ফের উপত্যকায় জঙ্গি-নিধন অভিযানে সেনাবাহিনী। এবার গুলির লড়াইয়ে কাঁপল কাশ্মীরের (Kashmir) শোপিয়ান অঞ্চল। নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে (Encounter) মৃত্যু হয় ২ জঙ্গির। সেনা সূত্রে খবর, নিহত জঙ্গিরা পাকিস্তানের মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লস্কর-ই-তইবার সঙ্গে যুক্ত ছিল।
কাশ্মীর পুলিস সূত্রে খবর, জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার খবর গোপন সূত্রে পেয়ে জম্মু ও কাশ্মীরের শোপিয়ানের জেলার আলশিপোরা অঞ্চলে অভিযান চালায় সেনা ও পুলিসের যৌথ বাহিনী। জঙ্গিদের নিকেশ করতে শুরু হয় এনকাউন্টার। তাতেই মিলল সাফল্য। মঙ্গলবার যৌথবাহিনীর গুলিতে খতম দুই লস্কর জঙ্গি। নিহতদের নাম মরিফাত মকবুল, জাজিম ফারুক ওরফে আব্রার।
কাশ্মীরের এক শীর্ষ পুলিস কর্তা বিজয় কুমার জানিয়েছেন, মৃত আব্রার কাশ্মীরি পণ্ডিত সঞ্জয় শর্মা খুনের ঘটনায় জড়িত ছিল। গত ফেব্রুয়ারি মাসে পুলওয়ামায় নিজের বাড়ির সামনে খুন হন সঞ্জয়। গত মাস থেকে দক্ষিণ কাশ্মীরের ৩ জেলার ৭টি অঞ্চলে এই খুনের সঙ্গে জড়িতদের খুঁজতে তল্লাশি শুরু করে স্টেট ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি।
জঙ্গি (Terrorists) দমনে বড় সাফল্য পেল দিল্লির পুলিস (Delhi Police)। গত মাসেই এনআইএ-এর তরফে জানানো হয়েছিল, দিল্লির বুকে ঘুরে বেড়াচ্ছে তিন আইএস (ISIS) জঙ্গি। তাদের মধ্যেই এক সন্দেহভাজন জঙ্গিকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিসের স্পেশাল সেল। সোমবার সকালে দিল্লি পুলিসের স্পেশাল সেল এনআইএ-এর তালিকাভুক্ত 'মোস্ট ওয়ান্টেড' সন্ত্রাসবাদী শাহনওয়াজ ওরফে শৈফি উজ্জমাকে গ্রেফতার করল। এই শাহনওয়াজের মাথার দাম তিন লক্ষ টাকা ঘোষণা করেছিল এনআইএ। এছাড়াও আরও তিন জন সন্দেহভাজন জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে স্পেশাল সেল।
এনআইএ সূত্রে খবর, বেশ কয়েকদিন ধরেই এই মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গিদের খোঁজার জন্য দিল্লি জুড়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছিল। অবশেষে তাদের মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিসের স্পেশাল সেল। জানা গিয়েছে, উত্তর ভারতে এক বড়সড় সন্ত্রাসবাদী হামলার ছক কষেছিল তারা। কিন্তু সেই ছক বানচাল করেই তাকে গ্রেফতার করতে সফল হয়েছে দিল্লি পুলিস। বর্তমানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, সন্দেহভাজন আইএস জঙ্গি শাহনওয়াজ পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। পরে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আইএসআইএস-এর সঙ্গে যুক্ত হয়।। জানা গিয়েছে, শাহনওয়াজ 'পুনে আইসিস মডিউল' কেসের সঙ্গেও জড়িত ছিল। সেসময় তাকে পুনে পুলিস গ্রেফতার করলেও পরে পালিয়ে গিয়ে দিল্লিতে আশ্রয় নেয়। এর পর আজ দিল্লির গোপন ডেরা থেকেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। যা বড়সড় সাফল্য বলেই মনে করা হচ্ছে।
রাজধানী দিল্লির (Delhi) বুকে নাকি ঘুরে বেড়াচ্ছে তিন আইএস বা 'ইসলামিক স্টেট'-এর তিন জঙ্গি (ISIS Terrorists)। ফলে তাঁদের খুঁজে বের করতে দিল্লিতে চিরুনি তল্লাশি করছে সন্ত্রাসদমন শাখা। জঙ্গিদের খুঁজে বের করে দিতে পারলেই দেওয়া হবে পুরষ্কার, এমনটাই ঘোষণা করা হয়েছে সন্ত্রাসদমন শাখার পক্ষ থেকে। আবার এনআইএ অর্থাৎ জাতীয় তদন্তকারী সংস্থাও তাদের তল্লাশি শুরু করেছে বলে খবর। সূত্রের খবর, আইএস জঙ্গিদের খোঁজ দিলেই মাথাপিছু দেওয়া হবে তিন লক্ষ টাকা। অর্থাৎ যে তাদের খোঁজ দেবেন, তিনি পুরষ্কার হিসাবে পেয়ে যাবেন ৯ লক্ষ টাকা।
এনআইএ সূত্রে খবর, ওই তিন জঙ্গির নাম মহম্মদ শেহনওয়াজ সুফিউজ্জামা আলম ওরফে আবদুল্লা, রিজওয়ান আব্দুল হাজি আলি এবং আবদুল্লা ফৈয়াজ শেখ। জানা গিয়েছে, এই তিন জঙ্গি 'পুনে আইসিস মডিউল' কেসের 'মোস্ট ওয়ান্টেড'। এই জঙ্গিদের দিল্লি কানেকশন প্রকাশ্যে আসার পর দিল্লি পুলিসের স্পেশাল সেলও তল্লাশি শুরু করেছে। পুনে পুলিস এবং জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএ মিলে নানা জায়গায় ইতিমধ্যেই তল্লাশি চালিয়েছে, কিন্তু কোনও তথ্যপ্রমাণ মেলেনি।
খলিস্তানিপন্থি শিখ নেতা তথা জঙ্গি (Terrorists) হিসাবে পরিচিত নিজ্জর সিং-এর হত্যার পিছনে ভারত রয়েছে, এমনটাই দাবি করেছে ট্রুডোর দেশ। এর পরই কানাডা-ভারত সম্পর্ক আরও তিক্ত হয়ে ওঠে। আর এই দুই দেশের মধ্যে সংঘাত বৃদ্ধি পেয়ে চরমে পৌঁছেছে। এতদিন এই অভিযোগের সরাসরি উত্তর না দিলেও এবারে উপযুক্ত জবাব দিয়েছে ভারত। আজ অর্থাৎ ২১ সেপ্টেম্বর ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, কানাডা ধীরে ধীরে জঙ্গিদের আশ্রয়স্থ হয়ে উঠছে। ফলে এই বক্তব্যের পরই বোঝা যাচ্ছে, ভারত এবারে কানাডাকেও পাকিস্তানের আসনে বসিয়েছে।
খলিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর খুনে ভারতের যোগ রয়েছে বলে কয়েকদিন আগে অভিযোগ করেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। বৃহস্পতিবার তার নিন্দা করে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, 'জঙ্গিদের নিরাপদ আশ্রয়স্থান হয়ে উঠছে কানাডা।' ট্রুডোর এই অভিযোগকে 'পলিটিক্যালি ড্রিভেন' বলে মনে করছেন তিনি। এছাড়াও অরিন্দম বাগচি জানিয়েছেন, আশ্রয় পাওয়া ২০-২৫ জন জঙ্গিদের ভারতের কাছে তুলে দেওয়ার কথাও বলা হয়। কিন্তু সেই ক্ষেত্রে কোনও পদক্ষেপ করেনি কানাডা। আবার নিজ্জর খুনের অভিযোগ আনার পিছনে তেমন কোনও প্রমাণও দেয়নি কানাডা, এমনটাই জানিয়েছে বিদেশমন্ত্রক। ফলে কানাডাকে উপযুক্ত জবাব দিতে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র পাকিস্তানের জায়গায় কানাডাকে বসালেন।
২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দু'বার সাফল্য পেল নিরাপত্তা বাহিনী। কুপওয়ারার পর এবারে জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu & Kashmir) পুঞ্চে ফের এক জঙ্গিকে (Terrorist) নিকেশ করল নিরাপত্তা বাহিনী। সূত্রের খবর, জম্মু-কাশ্মীরের পুঞ্চের (Poonch) কাছে নিয়ন্ত্রণ রেখা দিয়ে জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ রুখে দেয় সেনা। এরপরই শুরু হয় সংঘর্ষ। অবশেষে গুলির লড়াইয়ে নিকেশ হয় এক জঙ্গি ও আহত হয়েছে অন্য এক জঙ্গি। নিহত জঙ্গির কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে রাইফেল, ম্যাগাজিন, পিস্তল ইত্যাদি।
সেনা সূত্রে খবর, সোমবার গভীর রাতে জম্মু কাশ্মীরের পুঞ্চের দেগওয়ার সেক্টরে নিয়ন্ত্রণ রেখা দিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছিল জঙ্গিদের একটি দল। যার ইঙ্গিত পেতেই সেনা জওয়ানরা তল্লাশি শুরু করে গোটা এলাকা ঘিরে। এরপরই পাক জঙ্গিদের দেখতে পেয়ে তাদের বাধা দেয়। কিন্তু জঙ্গিরা গুলি চালাতে শুরু করলে এরপর সেনা জওয়ানরাও তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এরপর গুলির লড়াইতে নিহত হয় এক জঙ্গি। অন্য একজন আহত হয়। সূত্রের খবর, নিরাপত্তা বাহিনী ও জম্মু-কাশ্মীরের যৌথ অভিযানে জঙ্গি নিকেশ করা হয়েছে। ওই এলাকায় আর কোনও জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে কি না, সে বিষয়ে জোর খোঁজ শুরু করেছে সেনা বাহিনী।
সূত্রের খবর, নিহত জঙ্গির দেহ উদ্ধার করা হলেও অন্য এক জঙ্গিকে এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাকে গুলি করার পরেই সে নিয়ন্ত্রণ রেখার দিকে পালাতে থাকে। আরও জান গিয়েছে, নিহত জঙ্গির কাছ একে ৪৭ রাইফেল, ম্যাগাজিন, ১৫ রাউন্ড একে ৪৭ গুলি, ৫টি ৯ এমএম পিস্তল, ১টি ১৫ এমএমের পিস্তল ও প্রচুর বুলেট উদ্ধার করা হয়েছে। উল্লেখ্য,স্বাধীনতা দিবসের আগে ভারতে এক বড়সড় হামলার পরিকল্পনা করছে পাক সংগঠনের জঙ্গিরা, এমনটাই সূত্রের খবর। ফলে ভারত-পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
মণিপুরে (Manipur) আতঙ্কবাদীদের (Terrorists) গুলিতে মৃত্যু (Death) হল এক বিএসএফ (BSF) কমান্ডো বাহিনীর জওয়ানের। মঙ্গলবার ভোরে মণিপুরে এই ঘটনাটি ঘটেছে। ফোন করে এই খবরটি বিএসএফ কমান্ডোর মৃত্যুর খবরটি তাঁর পরিবারকে জানানো হয়।
জানা গিয়েছে, মৃত ওই জওয়ানের নাম রঞ্জিত যাদব (৩৬)। তিনি ভাটপাড়া পুরসভা ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের সুুকিয়া পাড়া এলাকার ২২ নম্বর গলির বাসিন্দা। মঙ্গলবার ভোরে দেশের জন্য গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন তিনি। বিএসএফ কমান্ডো রঞ্জিত যাদবের মৃত্যুর খবর পেয়ে তাঁর পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং এলাকা সহ শোকে ভেঙে পড়েছে।
মৃত জওয়ানের পরিবারের লোকজনদের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, কমান্ডো রঞ্জিত যাদব ২০০৯ সালে বিএসএফ-এ যোগদান করেন। তিনিই বাড়ির একমাত্র ছেলে। সরকারের কাছে তার পরিবারের একটাই আবেদন, তাঁদের বাড়িতে আয় এবং উপার্জন একমাত্র রঞ্জিত যাদব করতেন। তাই পরিবারের কাউকে যদি একটা চাকরি দেওয়া হয় তাহলে তাঁদের পরিবারটা রক্ষা পাবে।
মঙ্গলবার দক্ষিণ কাশ্মীরের (Kashmir) শোপিয়ান (Shopian)জেলার জৈনপোরার মুঞ্জ মার্গ এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের বন্দুকযুদ্ধ (Encounter) হয়। পুলিস সূত্রে খবর, এই সংঘর্ষে তিন লস্কর-ই-তৈবা (এলইটি) (LeT terrorists) সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। এই সন্ত্রাসীদের শনাক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে পুলিস।
জিএনএস-এ পৌছানো রিপোর্টে বলা হয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর ১আরআর এবং ১৭৮ সিআরপিএফ-এর একটি যৌথ দল মুঞ্জ মার্গে অভিযান শুরু করে। বাহিনীর যৌথ দল সন্দেহভাজন স্থানের দিকে গেলে লুকিয়ে থাকা জঙ্গিরা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এরপর শুরু হয় গুলির লড়াই।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে দুই সন্ত্রাসীকে শোপিয়ানের লতিফ লোন এবং অনন্তনাগের উমর নাজির হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, লতিফ লোন একজন কাশ্মীরি পন্ডিত পুরাণ কৃষ্ণ ভাটের হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল। আর উমর নাজির নেপালের তিল বাহাদুর থাপা হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল।
পুলিস সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে ৪৭ রাইফেল ও দুটি পিস্তল উদ্ধার করেছে। কাশ্মীর জোন পুলিস একটি টুইট বার্তায় জানিয়েছ, "নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন এলইটি-এর সঙ্গে জড়িত ৩ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।"