এবারে ইডির তলব বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব ও তাঁর পুত্র তেজস্বী যাদবকে। তেজস্বী যাদব বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, জমি দিয়ে রেলে চাকরি দেওয়ার অভিযোগে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বুধবার তলব করেছে আরজেডি সুপ্রিমো লালু প্রসাদ যাদব ও তাঁর দ্বিতীয় পুত্র তেজস্বীকে।
এই মামলায় এর আগেই বাবা ও ছেলেকে জেরা করেছে সিবিআই। সিবিআইয়ের দায়ের করা মামলায় বেআইনি পথে অর্থ লেনদেনের অভিযোগের তদন্ত করছে ইডি। জানা গিয়েছে, লালু প্রসাদকে শুক্রবার অর্থাৎ ২২ ডিসেম্বর এবং তেজস্বীকে আগামী ২৭ ডিসেম্বর দিল্লির ইডি অফিসে যেতে বলা হয়েছে।
আশঙ্কা করা হচ্ছে, দুই নেতাকে গ্রেফতার করতে পারে তদন্তকারী সংস্থাটি। বর্তমানে পশু খাদ্য কেলেঙ্কারির মামলায় লালুপ্রসাদ জামিনে মুক্ত। তাঁর জামিন খারিজ করে ফের জেলে পাঠাতে তৎপর সিবিআই। তারা দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেছে। এরই মাঝে ফের বিপাকে আরজেডি সুপ্রিমো ও তাঁর ছেলে।
ভোট হচ্ছে রাজস্থানে। তার মধ্যেই কর্নাটকের আকাশে তেজস উড়িয়ে এলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বেঙ্গালুরুর ভারতীয় বায়ু সেনার বিমান ঘাঁটি থেকে সেই ছবি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করলেন তিনি।
ক্যাপশনে লিখছেন, এই অভিজ্ঞতা দুর্দান্ত। এই ঘটনার পর বলা যেতে দেশবাসীর উপর আস্থা আরও বেড়ে গেল। দেশজ পদ্ধতিতে এমন একটি যুদ্ধ বিমান তৈরি করা সম্ভব, তা এই উড়ানের পরেই বোঝা গিয়েছে।
ছবিতে দেখা গিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনার পোশাকে প্রধানমন্ত্রী। বসে আছেন পাইলট সিটে। চোখে তাঁর কালো রোদ চশমা। তবে কতক্ষণ প্রধানমন্ত্রী আকাশে উড়েছেন তা অবশ্য স্পষ্ট করা হয়নি।
বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছে বলিউড কুইন কঙ্গনা রানাউতের (Kangana Ranaut) ছবি 'তেজস' (Tejas)। ছবি ব্যর্থতা ঢাকতে সাফাই গাইতেও দেখা যায় কঙ্গনাকে। এমনকি এক ভিডিওতে হাতজোড় করে দেশবাসীদের কাছে তাঁর ছবি দেখার অনুরোধও করেছেন তিনি। তবে এমন পরিস্থিতিতে এবারে 'তেজস' ছবি দেখলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কঙ্গনা রানাউত। কঙ্গনা এমনকি দাবিও করেছেন, মঙ্গলবার তেজস-এর বিশেষ স্ক্রিনিং-এ যোগী আদিত্যনাথ আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন ও তাঁর চোখ ছলছল করে উঠেছিল।
কঙ্গনার একের পর এক ছবি ফ্লপ। তবে 'তেজস' নিয়ে আশাবাদী ছিলেন তিনি। তাছাড়াও দেশপ্রেমের প্রসঙ্গও আনা হয়েছে এই ছবিতে। কিন্তু এখন মনে করা হচ্ছে, কিছুই কাজে দেয়নি। ২৭ অক্টোবর এই ছবি মুক্তি পেলেও এখনও পর্যন্ত ৫ কোটির ব্যবসাও করতে পারেনি। এই পরিস্থিতিতে ১ অক্টোবর নিজের ছবির একটি বিশেষ স্ক্রিনিংয়ের বন্দোবস্ত করেছিলেন অভিনেত্রী। সেই শোয়ে যোগীর পাশাপাশি উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামিও উপস্থিত ছিলেন। শো শেষে কঙ্গনাকে বলতে শোনা গেল, যোগী নাকি ছবি দেখে চোখের জল ফেলেছেন এবং ছবিটির প্রতি তাঁর সমর্থনের কথাও ব্যক্ত করেছেন। তাঁর কথায়, "মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্য়নাথ ছবিটি দেখে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন। জাতীয়তাবাদীদের উদ্বুদ্ধ করবেন ছবিটি দেখার জন্য। এটা নারীর ক্ষমতায়নের ছবি নয়। এটা নারীশক্তির ছবি।"
Today hosted a screening of #tejas a film based on a soldier / Martyr’s life for honourable Chief Minister @myogiadityanath ji
— Kangana Ranaut (@KanganaTeam) October 31, 2023
As you can see in the first picture Maharaj ji couldn’t hold back his tears in the last monologue of Tejas.
“ Ek soldier kya chahta hai”
महाराज जी… pic.twitter.com/WTYHuhRwYA
পর পর ছবি ফ্লপ। এবারে ছবিতে দেশপ্রেম দেখালেও তাও কাজে দিল না। ২৭ অক্টোবর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে বলিউড 'কুইন' কঙ্গনা রানাউতের ছবি 'তেজস'। কিন্তু 'তেজস'-এ কঙ্গনার তেজ দেখিয়েও কোনও লাভ হল না বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ ৬০ কোটি টাকার বাজেটের ছবি দু'দিনে মাত্র ১ কোটির মত ব্যবসা করতে পেরেছে। ফলে অবশেষে নিজের ছবি দেখার জন্য দর্শকদের কাছে হাত জোড় করে অনুরোধ করলেন খোদ অভিনেত্রী। এক্স অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিও শেয়ার করে জানালেন একপ্রকার সাফাই গাইলেন যে কেন তাঁর ছবি প্রেক্ষাগৃহে মানুষ দেখতে যাচ্ছেন না।
Even before covid theatrical footfalls were dipping drastically post covid it has become seriously rapid.
— Kangana Ranaut (@KanganaTeam) October 28, 2023
Many theatres are shutting down and even after free tickets and many reasonable offers drastic footfall decline is continuing.
Requesting people to watch films in theatres… pic.twitter.com/Mty9BTcpkD
তেজস প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়ার পর বক্স অফিসে মুথ থুবড়ে পড়ে। ফলে বিশেষজ্ঞদের মতে, তেজসের ব্যর্থতা ঢাকতেই মুখ খুলেছেন কঙ্গনা। শনিবার এক্স অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিও শেয়ার করে কঙ্গনা বলেন, 'আমি জানি এই আধুনিক সময়ে আমাদের সবার কাছে মোবাইল আছে, টিভি আছে। কিন্তু একসঙ্গে সিনেমা দেখা, থিয়েটার অনেক আগে থেকে আমাদের সভ্যতার গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। নাচ, শিল্প, কথাকলি, লোকগান, নাটক আমাদের আমাদের সামাজিক জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। তাই মাল্টিপ্লেক্সের দর্শকদের কাছে অনুরোধ করছি, যদি আপনাদের এর আগে ‘উরি’, ‘মেরি কম’, ‘নীরজা’র মতো সিনেমা ভালো লেগে থাকে তাহলে ‘তেজস’ও ভালো লাগবে। এর পাশাপাশি অভিনেত্রী অভিযোগ করেছেন, ৯৯ শতাংশ ছবিকে নাকি দর্শক সুযোগই দেন না।
তবে কঙ্গনার এই ভিডিও-র পরও নেটিজেনদের ট্রোলিং-এর শিকার হতে হয়। নেটিজেনরাও জানিয়ে দিয়েছেন, ছবি ভালো হলে অবশ্যই প্রেক্ষাগৃহে মানুষ যাবে সিনেমা দেখতে। এছাড়াও 'জওয়ান', 'পাঠান'-এর ছবিরও উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন নেট নাগরিকরা।
আবারও সিনেমার ময়দানে বীরাঙ্গনা হয়ে নামতে চলেছেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত (Kangana Ranaut)। কিছুদিন আগেই মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত সিনেমা 'চন্দ্রমুখী ২।' যদিও বক্স অফিসে সফল হয়নি সিনেমাটি। তাই এবারও চেনা ছকে ফিরতে চলেছেন অভিনেত্রী। তাঁর পরবর্তী সিনেমা 'তেজাস' (Tejas)। ইতিমধ্যেই সিনেমার ট্রেলার মুক্তি পেয়েছে। এবার আকাশপথে দুশমনদের নিধন করবেন কঙ্গনা।
২ মিনিট ৩৩ সেকেন্ডের একটি ট্রেলার মুক্তি পেয়েছে। ট্রেলারের শুরুতেই অভিনেত্রীকে বলতে শোনা গিয়েছে, 'ভারতকে ছুঁলে ছাড়ব না।' মূল চরিত্রে অভিনয় করবেন কঙ্গনা রানাউত। ভারত যখন দুষ্কৃতির রক্তচক্ষুতে বিপন্ন। তখনই আকাশ পথে দুশমনদের নিধন করবেন 'তেজাস' (সিনেমায় কঙ্গনার চরিত্র)। সিনেমার স্লোগান, 'জরুরী নয় কথা বলতে হবে, যুদ্ধের ময়দানে এবার শুধু যুদ্ধ হবে।'
ট্রেলারে কঙ্গনার পাশাপাশি দেখা গিয়েছে, অভিনেতা আশীষ বিদ্যার্থীকে।বলিউডে অভিনেত্রীর যে কয়েকটি সিনেমা ভালো সাফল্য অর্জন করেছে তার মধ্যে বেশিরভাগই দেশাত্মবোধক। আবারও একই ধরনের সিনেমায় দেখা যাবে অভিনেত্রীকে। 'তেজাস' দর্শকদের মন জয় করতে পারল কি না জানা যাবে ২৭ অক্টোবর, সিনেমা মুক্তি পেলে।
মালদহবাদীদের জন্য সুখবর। অবশেষে দাবি পূরণ করল নরেন্দ্র মোদী সরকার (Narendra Modi)। রাজধানী এক্সপ্রেস (Tejas Rajdhani Express) পেতে চলেছে মালদা টাউন (Malda Town)। মালদহ টাউন স্টেশনের উপর দিয়ে বহু গুরুত্বপূর্ণ দূরপাল্লার ট্রেন চলাচল করলেও এতদিন রাজধানী এক্সপ্রেস ছিল না। মালদহ জেলা, দুই দিনাজপুর জেলার পাশাপাশি বীরভূম, মুর্শিদাবাদ জেলার মানুষও উপকৃত হবেন।
রেলমন্ত্রক সূত্রে খবর, এবার থেকে নয়াদিল্লি-আগরতলা রুটের রাজধানী তেজস ট্রেনটি মালদা হয়ে যাতায়াত করবে। দিল্লি ও উত্তর ভারতের দিকে যাতায়াতের সুবিধে হবে বাংলার এই ৫ জেলার বাসিন্দাদের। রেলমন্ত্রকের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, রুট পরিবর্তন করা হয়েছে আগরতলা আনন্দবিহার রাজধানী এক্সপ্রেসের। নতুন রুটে এই ট্রেন পাটনা, জালালপুর, ভাগলপুর এবং মালদহ টাউন স্টেশনে দাঁড়াবে।
আগে থেকে কোনও খবরও দেওয়া হয়নি। সরকারি হাসপাতাল পরিদর্শনে হঠাৎই হাজির রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী। হাসপাতালে হাজির হয়ে তাঁর একটাই কথা মনে হয়েছে, এটি চিকিৎসকের চেম্বার নাকি বাড়ির শোওয়ার ঘর?
দীর্ঘদিন ধরে পাটনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রোগী পরিষেবা নিয়ে নানা অভিযোগ উঠছিল। তাই মঙ্গলবার রাতে আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব আচমকাই হাজির হন হাসপাতালে। সুপারের অফিসে গিয়ে দেখলেন, রোগী দেখার বদলে অফিসেই মশারি টাঙিয়ে ঘুমানোর ব্যবস্থা করছেন। হাসপাতালের যত্রতত্রে পড়ে রয়েছে ময়লা-আবর্জনা। রোগীরা শুয়ে রয়েছেন হাসপাতালের মেঝেতে। কুকুর, বিড়াল অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে। যা দেখে রীতিমতো অবাক হয়েছেন বলেই সাংবাদিদের জানান নীতীশ কুমার মন্ত্রিসভার স্বাস্থ্যমন্ত্রী তেজস্বী।
হাসপাতালের ওয়ার্ডে প্রবেশ করতেই রোগী ও রোগীর পরিবারের সদস্যরা মন্ত্রীর কাছে হাসপাতালের ব্যবস্থা, অপরিচ্ছন্ন শৌচাগার, চিকিৎসক-ওষুধ অমিল থাকার মতো নানা অভিযোগ জানান। মহিলারা জানান, হাসপাতালের শৌচাগার এতটাই নোংরা যে তাদের বাইরের পে অ্যান্ড ইউজ টয়লেট ব্যবহার করতে হয়। হাসপাতালের ফার্মেসিতে অধিকাংশ ওষুধই অমিল থাকে, তাই বাইরে থেকেই ওষুধ কিনতে হয়। পরিষেবা নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে।
হাসপাতালগুলির বেহাল দশার কথা বলতে গিয়ে তেজস্বী বলেন, 'স্বাস্থ্যকর্মীরা নিজেদের খেয়ালখুশি মতো হাসপাতালে আসেন। স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে রাজ্যের আগের সরকার যে মিথ্যা দাবি করত, তা ধরা পড়ে গিয়েছে। আমাদের সরকার উপযুক্ত পদক্ষেপ করবে এবং রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার হাল ফিরিয়ে আনবে।' এমনকি তিনি কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ ওঠা চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রসূন গুপ্ত: সদ্য মহাজোটের সরকার গঠন হয়েছে বিহারে। আরজেডির নেতৃত্বে নীতিশ কুমারের মুখ্যমন্ত্রিত্বে সরকার গঠন বাংলার পড়শি রাজ্যে। নীতিশ এবার তাঁর সরকারকে সমর্থন করছে, এমন সব দলের বিধায়কদের মন্ত্রিসভায় রাখতে চেয়েছিলেন। বামেদের ১৬ বিধায়ক অবশ্য বাইরে থেকে মহাজোটের সরকারকে সমর্থন করছে।
তবে বামেরা চাইছে শাসক জোটের সব দলের বিধায়করা সতর্ক হোক। সে প্রসঙ্গে লালুর দল অর্থাৎ আরজেডিকে সতর্ক করেছে তারা। বামেরা বলেছে, যে ভাবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিজেপি বিরোধী সরকারের উপর কেন্দ্রীয় সংস্থা দিয়ে চাপ তৈরি করা হচ্ছে, তাতে বিহারের উপরেও চাপ আসবে। বামেদের এই পরামর্শে সহমত হয়েছেন তেজস্বী যাদব। কারণ নীতীশের বর্তমান মন্ত্রিসভায় অন্তত দু'জন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এই দু'জন আবার আরজেডি বিধায়ক। বর্তমান বিহার মন্ত্রিসভায় আরজেডি ছাড়াও রয়েছে নীতীশের জনতা দল (ইউনাইটেড), নির্দল এবং জিতনরাম মাঝির হাম দল। এর মধ্যে জিতনরামের দলের সঙ্গে সারা ভারতে বিজেপির সম্পর্ক খুবই খারাপ। ফলে এদেরও সতর্ক করেছেন উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব।
তেজস্বী কড়া বার্তা দিয়েছে দলের বিধায়কদের এবং দলের কর্মী নেতাদেরও। মূলত স্বচ্ছ ভাবমূর্তি রাখার জন্য। তেজস্বী বুদ্ধিমান ছেলে, তিনি জানেন দুর্নীতিতে জড়িয়ে তাঁর বাবা লালুর দুর্দশার কথা। বর্তমানে দিল্লির এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তেজস্বীর আশংকা ফের নতুন করে তাঁর দলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে, চব্বিশের ভোটের আগে বড় সমস্যা তৈরি হতে পারে। অন্যদিকে এই মুহূর্তে বিজেপির ব্যাডবুকে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারও। ফলে সতর্ক থাকতে হচ্ছে তাঁর দলকেও। তেজস্বী তাঁর দলের বিধায়কদের স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, রাজ্যের কোনও নাগরিকের প্রণাম নেওয়া চলবে না। হাত জোর করে বা সেলাম করে প্রণাম বা আদাব জানাতে হবে।
কোনও কাজ ফেলে রাখা যাবে না মন্ত্রীদের। সর্বোপরি এই মুহূর্তে ফাইল থেকে অন্য কাগজ দেখেশুনে সই করতে হবে। অর্থাৎ বার্তা অনেকটাই পশ্চিমবঙ্গের মতো। সতর্কবার্তার মধ্যে সবথেকে তাৎপর্য ভাবে তেজস্বী জানিয়েছেন, কেউ নতুন গাড়ি কিনতে পারবেন না বা নিতে পারবেন না উপঢৌকন নিতে পারবেন না।
অর্থনীতিতে স্নাতক (Graduate Chaiwali)! দু'বছর চাকরি না পেয়ে সংসারের হাল ধরতে বিহারের (Bihar) একটি কলেজের সামনে চায়ের দোকান খুলে বসেছিলেন প্রিয়াঙ্কা গুপ্ত (Priyanka Gupta)। ২০১৯ সালে অর্থনীতিতে স্নাতক হয়ে চাকরির জন্য হন্যে হয়ে ঘুরেও জোটেনি একটা চাকরি। কিন্তু পরিবারকে যে সামাল দিতেই হবে। অগত্যা পাটনায় একটি মহিলা কলেজের সামনেই চায়ের দোকান দিয়ে বসেছিলেন। কিন্তু, পাটনার (Patna) নাগরিক সংস্থার আধিকারিকদের সঙ্গে প্রিয়াঙ্কার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল।
ভিডিওতে দেখা যায়, স্নাতক চাওয়ালি ওই সংস্থার আধিকারিকদের কাছে অনুরোধ করছেন। কী ঘটেছিল সেদিন? জানা গিয়েছে, নাগরিক সংস্থা বোরিং রোডে তাঁর স্টলটি তুলে নেওয়ার কথা বলেন। পাটনা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের উচ্ছেদ অভিযানে ভাঙা পড়েছিল প্রিয়াঙ্কা গুপ্তর স্টল। তারপরই গুপ্ত সাহায্য চেয়ে বেশ কয়েকজন রাজনীতিবিদদের কাছে পৌঁছেছিলেন।
যদিও প্রিয়াঙ্কা জানান, তিনি স্টলের লাইসেন্সও নিয়েছেন। তাঁর অনুরোধের উত্তর দিয়েছেন ডেপুটি সিএম তেজস্বী যাদব এবং আরজেডি প্রধান লালু যাদব। তাঁর স্টল ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন তাঁরা।
প্রিয়াঙ্কা আরও বলেন, 'লোকেরা বলেন যে তিনি একজন গ্র্যাজুয়েট চা বিক্রেতা হওয়ায় মাসে ৩ লক্ষ টাকা আয় করেন। কিন্তু তিনি সেই অনুযায়ী খরচও করেন। তবে করোনার কারণে বাজার কমে যাওয়ায় এখন আর প্রত্যেক মাসে ৩ লক্ষ টাকা আয় হয় না।'
প্রিয়াঙ্কা গুপ্ত বিহারের পূর্ণিয়া জেলার বাসিন্দা। এবং বারাণসীর মহাত্মা গান্ধী কাশী বিদ্যাপীঠ থেকে স্নাতক হয়েছেন তিনি। দক্ষিণ ভারতীয় অভিনেতা বিজয় দেবেরকোন্ডা এবং ভোজপুরি চলচ্চিত্র তারকা অক্ষরা সিংও গুপ্তর স্টলে চা খেতে গিয়েছিলেন।
পদত্যাগের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অষ্টমবারের জন্য বিহারের মুখ্যমন্ত্রী (Bihar CM) হিসেবে শপথ নিলেন নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। আর তাঁর ডেপুটি হিসেবে শপথ নিলেন তেজস্বী যাদব (Tejaswi Yadav)। বুধবার দুপুরে রাজ ভবনে আধ ঘণ্টার অনুষ্ঠানে এই দু'জনকে শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল ফাগু চৌহান। মঙ্গলবারই আরজেডি, কংগ্রেস (RJD-Congress)-সহ অন্য দলের সমর্থন নিয়ে সরকার গড়ার দাবি জানাতে রাজ ভবনে গিয়েছিলেন নীতীশ-তেজস্বী।
সেই সাক্ষাৎ শেষে বেড়িয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে নীতীশ কুমার দাবি করেছিলেন, তাঁর সঙ্গে ১৬৪ বিধায়কের সমর্থন আছে। বুধবারই শপথ নেবে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার। সেই ঘোষণা মোতাবেক এদিন দুপুর দুটো নাগাদ রাজ ভবনে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছিল। শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রী এবং উপমুখ্যমন্ত্রী এদিন শপথ নিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, প্রথমবার ২০০০ সালে এনডিএ শরিক হিসেবে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন নীতীশ কুমার। লালুপ্রসাদ যাদবের দাপট কমিয়ে সেবার প্রথম যাদব পরিবারের বাইরে থেকে মুখ্যমন্ত্রী পেয়েছিল বিহার। তারপর ২০১৫ অবধি পরপর মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন বিহারের এই কুর্মি নেতা।
যদিও ২০১৫-তে আরজেডি কংগ্রেসের সঙ্গে গড়া জোট সরকার মাত্র দুই বছর স্থায়ী হয়েছিল। সেই মহাজোট ভেঙে বেড়িয়ে ফের বিজেপির হাত ধরে নীতীশ। ২০১৭ সালে ফের একবার এনডিএ শরিক হিসেবে মাজপথেই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন তিনি। ২০২০-র বিধানসভা ভোটে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েই লড়েন নীতীশ। যদিও রাজ্যের তৃতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে জেডিইউ।
তাও মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নীতীশ কুমারকেও সমর্থন করে বিজেপি। কিন্তু দুই বছর বাদে ফের ডিগবাজি নীতীশের। এবার আবার মহাজোটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে অষ্টমবার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন তিনি।