চা বাগান (Tea Garden) থেকে উদ্ধার এক দিনমজুরের মৃতদেহ (DeadBody)। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে খুন করা হয়েছে ওই ব্যক্তিকে। ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) এক নম্বর ব্লকের পাটকাপাড়া চা বাগানে। স্বাভাবিকভাবেই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে চা বাগানের শ্রমিক মহল্লায়।
মৃতের স্ত্রী জানিয়েছেন, রাত প্রায় ৯টা নাগাদ বাগানের গুদাম লাইনের একটি বন্ধ দোকানের বারান্দায় শুয়ে ছিলেন বছর পঞ্চাশের শিবচরন মুন্ডা। আচমকাই স্থানীয় যুবক কাজল বড়াইক শিবচরনের উপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রথমে গলায় তারপর ঘাড়ে কোপ মারে। তাঁর স্বামী চিৎকার করলে স্থানীয়রা ছুটে আসেন। অভিযুক্ত কাজলকে বাধা দিতে গেলে ওই যুবক অস্ত্র হাতে সবাইকে ভয় দেখাতে থাকে। এরপর ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায় ঘাতক কাজল।
যদিও পরবর্তীকালে তাকে স্থানীয়রা খুঁজে বের করে পুলিসের হাতে তুলে দেন। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে গোটা এলাকায়। আলিপুরদুয়ার থানার বিশাল পুলিস বাহিনী গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়।
চা বাগানের নর্দমার মধ্য থেকে উদ্ধার হল একটি পূর্ণবয়স্ক চিতাবাঘের (Leopard) মৃতদেহ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ডুয়ার্সের (Dooars) মেটেলি ব্লকের আইভিল চা বাগানে (Tea Garden)। কীভাবে চিতাবাঘের মৃত্যু হয়েছে তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানার জন্য চিতাবাঘের দেহটি ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। খবর পেয়ে বনদফতরের খুনিয়া ওয়াইল্ড লাইফ স্কোয়াডের কর্মীরা এসে চিতাবাঘের দেহটি উদ্ধার করে লাটাগুড়ি প্রকৃতিবীক্ষণ কেন্দ্রে নিয়ে যায়।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বাগানে কাজ করার সময় শ্রমিকেরা দেখতে পান বাগানের মেইন ডিভিশনের ১৬ নম্বর সেকশনের একটি নর্দমায় লেপার্ড-এর দেহ পড়ে রয়েছে। খবর চাউর হতেই বহু মানুষ ভিড় জমান চা বাগান চত্বরে। আসেন বাগান কর্তৃপক্ষের আধিকারিকেরাও। তবে কীভাবে চিতাবাঘটি সেখানে এল? কীভাবে মৃত্যু হয়েছে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বন দফতরের আধিকারিকরা।
উল্লেখ্য, এর আগেও একাধিকবার বিভিন্ন জায়গা থেকে চিতাবাঘের মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। এবারে বার্ধক্যজনিত কারণেই চিতাবাঘের মৃত্যু হয়েছে, নাকি চোরা পশু শিকারীর গুলিতে নিহত হয়েছে, তা তদন্তের পরই জানা যাবে।
ফের বন্ধের নোটিস (Closed) ডুয়ার্সের চা বাগানে (Tea Garden)। কর্মহীন হয়ে পড়লেন প্রায় ১২০০ শ্রমিক। ডুয়ার্সের (Dooars) বানারহাট ব্লকের দেবপাড়া চা বাগানের ঘটনা। এই নিয়ে গত চার বছরে তিনবার বন্ধ হলো এই চা বাগান। খবর পেয়ে চা বাগানে আসেন তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন জেলা সভাপতি রাজেশ লাকড়া। তিনি বলেন, বাগান খোলার জন্য শ্রমিকদের সঙ্গে লাগাতার আন্দোলনে নামা হবে। শ্রমিকদের জন্য যা করার দরকার তাই করবে সংগঠন।
জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরেই বাগানে সমস্যা চলছিল। বাগান ঠিকমতো পরিচর্যা করা হচ্ছিল না। প্রতিদিনের মতোই শনিবারও বাগানে কাজে যোগ দিবেন বলে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন শ্রমিকরা। কিন্তু শনিবার বাগান থেকে কোনও সাড়া শব্দ না পেয়ে শ্রমিকরা কারখানায় গিয়ে দেখেন সেখানে কেউ নেই। স্বাভাবিকভাবে শ্রমিকরা বুঝতে পারেন চা বাগান বন্ধ করে চলে গিয়েছে মালিক কর্তৃপক্ষ।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে খুলল ডুয়ার্সের কোহিনূর চা বাগান (Teagarden)। প্রায় পাঁচ মাস ধরে বন্ধ ছিল এই চা বাগান। শাসকদলের তৎপরতায়, একগুচ্ছ প্রশ্ন রেখেই পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat vote) আগেই তড়িঘড়ি খুলে দেওয়া হল ইস্টার্ন ডুয়ার্সের কোহিনূর চা বাগান। আর এই পদ্ধতিতে বাগান খুলে দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। কারণ আগের মালিকের লিজ (Lease) বাতিল না করেই খুলে দেওয়া হল কোহিনূর চা বাগান।
শ্রমিক সূ্ত্রে খবর, চা বাগান খুলে যাওয়াতে একদিকে যেমন সুবিধা হয়েছে। অপরদিকে, শ্রমিকদের দীর্ঘদিনের প্রাপ্য পিএফ, গ্র্যাচুইটির কোনও সমাধান না করেই তড়িঘড়ি পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে কোহিনূর চা বাগান খুলে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক মনোজ ওঁরাও-এর দাবি, পঞ্চায়েত ভোট মিটে গেলে ফের বন্ধ হয়ে যাবার আশঙ্কা রয়েছে এই বাগানের।
উল্লেখ্য, শুক্রবার মেরিকো এগ্রো ইন্ডাস্ট্রির হাত ধরে খুলে দেওয়া হয়েছে কোহিনূর চা বাগান। বাগান খোলার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের আদিবাসী কল্যাণ মন্ত্রী বুলু চিক বড়াইক, জেলা তৃণমূল সভাপতি প্রকাশ চিক বড়াইক সহ একঝাঁক তৃণমূল নেতা।
এ যেন লুকোচুরি খেলা খেলছেন চিতাবাঘ বাবাজী (Cheetah)। গ্রামের মানুষদের চোখে হঠাৎ, হঠাৎই দেখা দিচ্ছেন তিনি। অথচ বন দফতর এলে টিকিও দেখা মিলছে না তার। বন দফতরের(Forest Department) পাতা খাঁচার ফাঁদেও পা দেননি তিনি। তাই আতঙ্ক পিছু ছাড়ছে না স্থানীয় বাসিন্দা এবং চা শ্রমিকদের।
জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকদিন ধরে জলপাইগুড়ির পাতকাটা অঞ্চলের পাদ্রিকুটির, লেবুডাঙা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় চিতাবাঘের দেখা মিলছিল। এলাকায় একাধিক ছোট ছোট চা বাগান রয়েছে। বুধবার, সেরকমই একটি ছোট চা বাগানে কাজ করার সময় চিতাবাঘের অতর্কিত হানায় জখম হন এক চা শ্রমিক। এরপরই বন দফতরের তরফে খাঁচা পাতা হয় ওই বাগানে। কিন্তু তিনদিন কেটে গেলেও সেই খাঁচা ফাঁকাই পড়ে থাকে। যদিও মাঝে-মধ্যেই চিতাবাঘের দেখা মিলছে বলে দাবি স্থানীয়দের। শুক্রবার রাতে নাইট ডিউটি চলাকালীন বাগানের এক নিরাপত্তারক্ষী চিতাবাঘ দেখতে পান বলে দাবি করেন। অতর্কিত হামলায় জখম হন গোপাল দাস। তাঁর চোখমুখে এখনো আতঙ্কের ছোঁয়া। বাগানে কাজে যেতেও ভয় পাচ্ছেন তিনি। বাগান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, নিরাপত্তারক্ষীরা লাঠি হাতে বাগানে টহল দিচ্ছেন। এলাকায় একটি চিতাবাঘই বারবার দেখা যাচ্ছে নাকি।
স্থানীয়দের দাবি, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যেন চিতাবাঘটি ধরা হয়। কারণ, গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এই চিতাবাঘটি। যার ফলে স্থানীয়রা বাড়ি থেকে কোথাও বেরোতেও ভয় পাচ্ছেন। শনিবার সকালে বন দফতরের তরফে এলাকায় টহলদারি চালানো হয়, ফাটানো হয় পটকা। কিন্তু তবুও দেখা মেলেনি চিতাবাঘের। কোথায় ঘাপটি মেরে আছে কে জানে। আচমকাই হয়তো ফের দেখা দেবে। দিন-রাত এই আশঙ্কায় আতঙ্কিত স্থানীয়রা।
আবারও চিতাবাঘের আক্রমণে (leopard Attack) আহত এক মহিলা চা শ্রমিক। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেলে বাগডোগরা (Bagdogra) চা বাগানে (Tea Garden) চা পাতা তোলার সময় চিতাবাঘের হামলার মুখে পড়েন মহিলা। ওই মহিলার উপর চিতাবাঘটি লাফিয়ে পড়ে। এর ফলে মহিলা মুখে গুরুতর আঘাত পান। আক্রান্ত মহিলা অঞ্জলী কেরকাট্টা (২০)। মহিলা চিৎকার শুরু করলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় চিতাবাঘটি।
পরে শ্রমিকরা আক্রান্ত মহিলাকে উদ্ধার করে বাগডোগরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। ক্ষত এতটাই গুরুতর যে সেখান থেকে তাঁকে শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে স্থানান্তরিত করা হয়েছে চিকিৎসার জন্য। অপরদিকে, ওই আক্রান্ত মহিলার সঙ্গে শান্তি বরাইক নামে আরও এক মহিলা শ্রমিক চা-পাতা তুলছিলেন। চোখের সামনে সবটা দেখে তিনিও অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে পরবর্তীতে বাগডোগরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এর আগেও ওই এলাকায় চিতাবাঘ দেখা গিয়েছে। এলাকায় চিতাবাঘ বারবার নজর আসায় আতঙ্কে রয়েছেন বাগান শ্রমিকরা।
খাঁচাবন্দি হল একটি লেপার্ড (Leopard)। বৃহস্পতিবার সকালেই বন্দি করা হয় লেপার্ডটি। আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) কালচিনি ব্লকের মেচপাড়া চা বাগান এলাকায়। বন দফতরের (Forest division) পাতা ফাঁদে বন্দি হয় লেপার্ডটি। ঘটনাস্থলে পৌঁছে বন দফতরের আধিকারিকরা খাঁচাবন্দি লেপার্ডকে উদ্ধার করে। লেপার্ডকে উদ্ধার করে রাজাভাতখাওয়া নিয়ে যাওয়া হয়। স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর লেপার্ডটি বক্সার জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি মেচপাড়া চা বাগানে লেপার্ডের হামলায় জখম হয় এক শ্রমিক। পরবর্তীতে বন দফতরের হ্যামিল্টনগঞ্জ রেঞ্জের পক্ষ থেকে মেচপাড়া চা বাগানে খাঁচা বসানো হয়। বৃহস্পতিবার সকালে সেই খাঁচায় বন্দি অবস্থায় দেখা যায় একটি লেপার্ডকে। চা বাগানের শ্রমিক সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকালে কাজে যাওয়ার সময় বাগানের শ্রমিকরা দেখতে পায় লেপার্ডটি খাঁচাবন্দি হয়েছে।
পরবর্তীতেই খবর দেওয়া হয় বন দফতরকে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে বন দফতরের আধিকারিকরা খাঁচাবন্দী লেপার্ডটি উদ্ধার করে রাজাভাতখাওয়ায় নিয়ে যায়। এক রেঞ্জ অভিসার অঙ্কন নন্দী জানান, বুধবার রাতে ফাঁদ পাতা হয়েছিল। আর বৃহস্পতিবার সকালেই তা সফল হয়েছে। কিছু শারীরিক চিকিত্সা করিয়ে লেপার্ডকে বক্সার জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, ওই পুরুষ লেপার্ডের বয়স ছিল প্রায় ১২ বছর।
চা বাগান লাগোয়া জঙ্গলে হাতির দেহ(Elephant carcass) উদ্ধার। তবে মৃত্যুর কারণ নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। জলপাইগুড়ির(Jalpaiguri) রাজগঞ্জ ব্লকের বৈকুন্ঠপুর জঙ্গলের ঘটনা। ঘটনাস্থলে ছিলেন বৈকুন্ঠপুর বন বিভাগের শালুগাড়া রেঞ্জের বনকর্মীরা(Forest Officer)। ইতিমধ্যেই দেহটির ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঘটনার জেরে শোকাহত গোটা রাজগঞ্জ ব্লক। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেলে সরস্বতীপুর চা বাগান সংলগ্ন বৈকুন্ঠপুর জঙ্গলে হাতির দেহটি পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। তাঁরাই সঙ্গে সঙ্গে খবর দেন বন দফতরে। খবর পেয়েই তড়িঘড়ি বৈকুন্ঠপুর জঙ্গলে আসেন বন দফতর কর্মীরা।
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত হাতির বয়স আনুমানিক ১২ বছর। তবে ঠিক কী কারণে হাতির মৃত্যু হয়েছে তা এখনও পরিষ্কার নয়। এই বিষয়ে বন দফতরের কর্তারা কোনও মন্তব্য করতে চাননি। বন দফতর থেকে ইতিমধ্যেই দেহটি ময়নাতদন্তে জন্যে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ফের চা বাগানে (Tea Garden) নির্যাতনের শিকার এক ছয় বছরের নাবালিকা। অসমের (Assam) সোনিতপুর জেলার একটি চা বাগানে ছয় বছরের এক নাবালিকাকে শারীরিক নির্যাতন ও খুন (Murder) করা হয়েছে বলে পুলিস সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ঢেকিয়াজুলির কাছে মুহিনীপুর চা বাগানে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিস মৃতদেহ উদ্ধার করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। সোনিতপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার বিরিঞ্চি বোরাহ বলেছেন, 'পুলিস অপরাধীকে শনাক্ত করেছে এবং শীঘ্রই গ্রেফতার করা হবে। চা বাগানের মধ্যে একটি নাবালিকার দেহ পড়ে রয়েছে বলে তাদের কাছে খবর যায়। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।'
অপরদিকে, এলাকাবাসী অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতারের জন্য জেলা প্রশাসন ও পুলিসের কাছে দাবি জানিয়েছেন। স্থানীয় এক যুবক বলেন, 'আমরা প্রশাসনের কাছ থেকে জানতে পেরেছি যে, ৬ বছর বয়সী নাবালিকা মেয়েটিকে শারীরিক নির্যাতন ও খুন করা হয়েছে।' আমাদের দাবি, 'অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতার করা হোক। প্রশাসনের উচিত দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া।'
সাত সকালেই উদ্ধার একটি আস্ত চিতাবাঘ (leopard)। খাঁচাবন্দী অবস্থায় চা বাগান থেকে উদ্ধার করা হয় চিতাবাঘটিকে। বুধবার আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) ফালাকাটা ব্লকের দলগাঁও চা বাগানে বনদফরের পাতা খাঁচাতেই ধরা পড়ে ওই চিতাবাঘটি। চিতাবাঘ খাঁচাবন্দী হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই বাঘ দেখতে ভিড় জমান চা বাগানের বাসিন্দারা। ঘটনার পর থেকেই আতঙ্ক (panic) ছড়িয়েছে এলাকায়।
চা বাগান সূত্রে জানা গিয়েছে, বাগানের টু ফাইভ সেকশনে বাঘ ধরার খাঁচা পাতা হয়েছিল বন দফতরের তরফে। বেশ কিছুদিন থেকেই বাগানের মধ্যে চিতাবাঘের আনাগোনা লক্ষ্য করছিলেন বাগান শ্রমিকরা। যার ফলে আতঙ্ক ছড়িয়ে ছিল। এদিন চিতাবাঘটি ছাগলের লোভে খাঁচায় আটক হয়।
দলগাঁও চা বাগানের ম্যানেজার মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্য জানান, "বাগানের মধ্যে চিতাবাঘ দেখতে পাচ্ছিলেন বাগানের শ্রমিকরা। আমরা বন দফতরের কাছে আবেদন জানিয়েছিলাম খাঁচা দেওয়ার জন্য। সেই মতোই খাঁচা পাতা হয়। এদিন সকালে বাগানের শ্রমিকরা প্রথম খাঁচাবন্দী চিতাবাঘটি দেখতে পায়। তবে বাগানে আরও চিতাবাঘ থাকতে পারে জানান তিনি।"
চা বাগানে (Tea Garden) বন দফতরের পাতা খাঁচায় ধরা পড়লো একটি পূর্ণবয়স্ক পুরুষ লেপার্ড (Leopard)। ঘটনাটি মেটেলি ব্লকের (Jalpaiguri Meteli) কিলকোট চা বাগানের। ঘটনায় চা বাগানে এলাকায় চাঞ্চল্য। জানা গিয়েছে, প্রায় সপ্তাহ দুয়েক আগে বাগানের ১২ ও ১৩ নাম্বার সেকশনের মধ্যবর্তী এলাকায় বন দফতরের তরফে ওই খাঁচা পাতা হয়েছিল। শনিবার ভোরে বাগানের বাসিন্দারা ওই এলাকায় লেপার্ডের গর্জন শুনতে পান। কাছে গিয়ে দেখে যে একটি লেপার্ড খাঁচার মধ্যে এদিক ওদিক ছোটাছুটি করছে। খাঁচায় লেপার্ড ধরা পড়ার খবর চাউর হতেই বহু মানুষের ভিড় জমে চা বাগান এলাকায়।
খবর যায় বন দফতরের খুনিয়া স্কোয়াডে। বনকর্মীরা এসে খাঁচা-সহ লেপার্ডটিকে গরুমারায় নিয়ে যায়। উল্লেখ্য, প্রায় সপ্তাহ দুয়েক আগে কিলকোট চা বাগানে ভাল্লুকের আতঙ্ক তৈরি হেয়ছিল। বাগানে কাজের সময় শ্রমিকরা ভাল্লুক দেখতে পায় বলে দাবি করা হয়েছিল। ওই দিনই বনকর্মীরা এসে ভাল্লুকের খোঁজ চালালেও কোনো হদিশ মেলেনি ওই বন্যপ্রাণের। এরপর ভাল্লুক ধরার জন্য বন দফতরের তরফে খাঁচাও বসানো হয়। ভাল্লুক ধরার জন্য বসানো খাঁচায় এদিন ওই লেপার্ডটি ধরা পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। লেপার্ডটি সুস্থ থাকায় সেটিকে এদিনই গরুমারা জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
চলন্ত মোটর বাইকে হামলা চিতাবাঘের (leopard)। ঘটনায় জখম (injured) হলেন এক যুবক। অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন আহত যুবকের কাকা। শনিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) নাগরাকাটায় ঘটে। জানা গিয়েছে, নাগরাকাটা ব্লকের গ্রাসমোড় চা বাগান থেকে ছাড়টণ্ডুতে বাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন সরিফুল ইসলাম ও তাঁর কাকা সাইরুল ইসলাম। সাইরুল ইসলাম বাইক চালাচ্ছিলেন। সরিফুল পিছনে বসে ছিলেন। সেই সময় চা বাগানের পাশে অন্ধকার রাস্তার ধার থেকে একটি চিতাবাঘ তাঁদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে। সরিফুল ইসলাম বাইক থেকে পড়ে যান। সেই সময় চিতাবাঘটি তাঁর পায়ে কামড়ে দেয়।
সঙ্গে থাকা সাইরুল ইসলাম বাইকের হেডলাইটের আলো চিতাবাঘের চোখে ফেলে। এরপর জোরে জোরে হর্ণ বাজাতে থাকেন। এতেই ঘাবড়ে গিয়ে চিতাবাঘটি পালিয়ে যায়। সাইরুল ইসলাম আহত সরিফুলকে তড়িঘড়ি সুলকাপাড়া হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতাল (hospital) সূত্রে খবর, প্রাথমিক চিকিৎসার পর সরিফুলকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে হাসপাতাল থেকে।
চা বাগানের নালা থেকে উদ্ধার হল হস্তি শাবকের (elephant cub) মৃতদেহ। ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়ায় ডুয়ার্সের (Dooars) চুনাভাটি চা বাগানে। স্থানীয়রা জানান, রোজকার মতই বৃহস্পতিবার সকালেও বাগানে শ্রমিকরা কাজ করতে যান। তখনই বাগানের ৩৯ নং সেকশনের একটি নালার মধ্যে হস্তি শাবকটিকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান তাঁরা। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি জানানো হয় বন দফতরের বিন্নাগুড়ি বন্যপ্রাণী স্কোয়াডে। এছাড়াও খবর দেন বাগান কর্তৃপক্ষকেও।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, মঙ্গলবার প্রায় ২০ থেকে ২৫টি হাতির একটি দল চুনাভাটি চা বাগান হয়ে ডায়নার জঙ্গলের দিকে ফিরছিল। সেই দলে এই শাবকটিও ছিল। কোনওভাবে হাতিটি চা বাগানে নালার মধ্যে আটকে যায় এরপর কোনওভাবে হাতিগুলির পায়ের চাপেই মাটি চাপা পড়ে যায় শাবকটি এবং সেখানে মৃত্যু (death) হয় তার। এদিকে ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলের চলে আসে বিন্নাগুরি বন্যপ্রাণী স্কোয়াডের কর্মীরা।
মৃতদেহ (deadbody) উদ্ধার করেন বনকর্মীরা। বনকর্মীদের অনুমান, মৃত হাতিটির বয়স ১ বছর হবে। মৃতদেহ উদ্ধারের পর ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় জঙ্গলে। ময়নাতদন্তের পরেই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছেন বনদফতরের কর্মীরা।
ফের হাতির তাণ্ডব। এবার সটানে একটি চা বাগানে (tea garden) ঢুকে পড়ে হাতির (Elephant) দল। আতঙ্কে কাজ বন্ধ বাগানের একাংশে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বনকর্মীরা। ঘটনাটি জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) নাগরাকাটা ব্লকের গাঠিয়া চাবাগানের।
কর্মীরা জানান, মঙ্গলবার সকালে বাগানের ডি সেকশনে ঢুকে পড়ে একপাল বুনো হাতি। প্রায় ২৫ থেকে ৩০টি হাতি রয়েছে সেই দলে। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে বাগানের ওই অংশে। কাজ বন্ধ করে পালিয়ে যান শ্রমিকেরা। অন্যদিকে, হাতির দল দেখতে ভিড় জমায় স্থানীয়রা।
জানা গিয়েছে, এই বুনো হাতির দলটি ডায়নার জঙ্গল থেকে এই এলাকায় ঢুকে পড়েছে। খবর পেয়ে বনদফতরের খুনিয়া রেঞ্জের বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে আসেন। তাঁরা ভিড় সরিয়ে দিয়ে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। বনদফতর সূত্রে খবর, হাতির দলটি কোনও ক্ষয়ক্ষতি করেনি। বাগানের ছায়াগাছে নিচেই তারা আশ্রয় নিয়েছে। বনকর্মীদের অনুমান, সন্ধ্যা নামলেই হাতির দলটি নিজেরাই জঙ্গলে ফিরে যাবে। ততক্ষণ সমস্ত সাবধানতা অবলম্বন করেছেন তাঁরা।
চা বাগান রেখে যাওয়া দুটি শাবককে (Leopard Calf) মুখে করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে গেল মা চিতা (Cheetah)। রাতের অন্ধকারে ঘটে যাওয়া এই ঘটনা কারো চোখে না পড়লেও, ধরা পড়ল বন দফতরের ট্র্যাপ ক্যামেরায়। আর এই ভিডিও প্রকাশ করতেই,সকলের তারিফ কুড়োতে শুরু করল বন কর্তারা। বক্সা ব্যাঘ্র (Buxa Tiger) প্রকল্প সুত্রে খবর, গত ১৯ সেপ্টম্বর চা বাগানে ২টি লেপার্ড শাবক দেখতে পায় বনকর্মীরা। কিন্তু শাবক দুটি উদ্ধার করা হয় না। কারণ জায়গাটিকে নিরাপত্তায় ঘিরে রেখে মা চিতা আসার অপেক্ষা করা হয়। পাশাপাশি সমস্ত ঘটনাক্রম ক্যামেরাবন্দি করার ব্যবস্থাও করে তারা। পরবর্তীতে সেই চিন্তা ফলপ্রসূও হয়।
এদিকে, সদ্যজাত চিতাশাবক উদ্ধারের ঘটনায় সম্প্রতি চাঞ্চল্য জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাট ব্লকের গেন্দ্রাপাড়া চা বাগানে। ঘটনাকে ঘিরে চা বাগানে কর্মরত শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছিল। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে চা বাগানে কর্মরত শ্রমিকরা ১০ নম্বর সেকশনে কাজ করার সময় নিকাশি নালা ও চা গাছের ঝোপের মাঝে তিনটি সদ্যজাত চিতাশাবকে দেখতে পান। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় বনদফতরের বিন্নাগুড়ি ওয়াইল্ড লাইফ স্কোয়াডে। ঘটনাস্থলে বন দফতরের কর্মীরা এসে ১০ নম্বর সেকশনের কাছে একটি ফাঁকা জায়গায় ছেড়ে দেয় শাবকগুলোকে।
জানা গিয়েছে, মা চিতাবাঘ এসে শাবকগুলিকে নিয়ে যাবে এমনটাই অনুমান বন দফতরের কর্মীদের। সে সময় গেন্দ্রাপাড়া চা বাগানের লেবার ওয়েলফেয়ার অফিসার বিশু দাস বলেন, 'সম্ভবত শাবকগুলি ২-৩ দিন আগেই ভূমিষ্ঠ হয়েছে। চিতাশাবকগুলিকে নির্জন জায়গায় রাখা হয়েছে যাতে মা চিতাবাঘটি এসে অনায়াসে শাবকগুলিকে নিয়ে যেতে পারে। শ্রমিকদের সুরক্ষার কথা ভেবেই ওই এলাকায় কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। চিতাশাবকগুলোকে সুস্থ ভাবে মা চিতাবাঘের কাছে ফিরে যাক এমনটাই আশা বন দফতরের আধিকারিকদের।'