সপ্তাহের শুরুতেই পোড়া গন্ধে ঘুম ভাঙে হুগলি তারকেশ্বরের চাঁপাডাঙা বিশ্বাসপাড়ার বাসিন্দাদের। দুর্গন্ধের উৎস সন্ধান করতে গিয়েই চোখে পড়ে হাড়হিম করা দৃশ্য। মেঝেতে পড়েছিল আগুনে পোড়া ২টি দগ্ধ দেহ, গলায় দড়ি বাঁধা অবস্থায় ঝুলছিল আরেকটি দেহ। অনুমান, মা ও দিদিকে পুড়িয়ে খুন করে আত্মঘাতী হন যুবক। সাত সকালে এই দৃশ্যে কেঁপে উঠেছে বিশ্বাসপাড়া।
জানা গিয়েছে, একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন বছর ২৭-র শুভম মাইতি। থাকতেন মা বিজলি মাইতি ও সুজাতা মাইতির সঙ্গে। মেধাবী ছাত্র, ভালো ছেলে, কম্পিউটার বিদ্যায় তুখড়, এইভাবেই শুভমকে চেনেন এলাকাবাসী। সেই শুভম মাইতিই নাকি মাঝে মধ্যে বেপাত্তা হয়ে যেতেন। দিনের পর দিন, মাসের পর মাস বাড়ি ফিরতেন না। কোন অন্ধকারে ডুবেছিল যুবকের মন? মানসিক কোনও অশান্তি থেকেই কি মা, দিদিকে খুন করে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী যুবক?
ঘরের দরজা ভেঙে ৩ টি দেহই উদ্ধার করেছে তারকেশ্বর থানার পুলিস। কোন ধাক্কায় একসঙ্গে ৩ টি মর্মান্তিক মৃত্যু? তদন্তের দাবি উঠছে।
নুন আনতে পান্তা ফুরোয় অবস্থা পরিবারে। দুঃখ দুর্দশার কথা বলতে গিয়ে ভারী হয়ে আসে চোখ। তবুও স্বপ্ন টলাতে পারেনি আর্থিক প্রতিবন্ধকতা। নজির বিহিন কৃতিত্বে আজ সোনার মেয়ে হুগলি তারকেশ্বরের বুলটি রায়। চান সরকার একটু পাশে এসে দাঁড়াক। তবে অনুদান নয়। কর্মসংস্থান দিক সরকার।
২ সন্তান। স্বামী ট্রেনে হকারি করেন। নুন আনতে পান্তা ফুরোয় অবস্থা পরিবারে। দুঃখ দুর্দশার কথা বলতে গিয়ে ভারী হয়ে আসে চোখ। তবুও স্বপ্ন টলাতে পারেনি আর্থিক প্রতিবন্ধকতা। সম্প্রতি তামিলনাড়ুতে জতীয় স্তরে একাধিক মেডেল প্রাপ্তি। নজির বিহিন কৃতিত্বে আজ সোনার মেয়ে হুগলি তারকেশ্বরের বুলটি রায়। মালয়েশিয়ায় আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় যোগাদানের স্বপ্ন থাকলেও খরচ জোগাতে হিমশিম খাচ্ছে পরিবার।
দু'বেলা দু মুঠো অন্ন জোগাড়ও অনিশ্চিত। তবুও ঘর ভরেছে সোনা, রূপোর পদকে। সংসারে আয় বাড়াতে, ছোটো দুই ছেলে মেয়ের পড়ার খরচ টানতে কাজে যোগ দিয়েছেন বুলটি নিজে। তবুও সময় বের করে চলছে অনুশীলন। মালয়েশিয়ায় আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাই এখন স্বপ্ন। তার জন্য খরচ প্রায় ২ লাখ টাকা। আক্ষেপ একটাই, অন্য জায়গায় জাতীয় স্তরের খেলোয়াড়দের সবাই চেনে, সাহায্যও পান তাঁরা।
বুলটি স্বর্ণপদক জয় করলেও তাঁর কাছে নেই উপযুক্ত জুতো। অনুশীলনের জন্য নেই ভাল পোশাক। কিন্তু অভাব বুলটির ইচ্ছেশক্তির কাছে পরাজিত। কান্না ভেজা গলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আর্জি জানালেন, মুখ্যমন্ত্রী যদি একটা চাকরি দেন, তাহলে তাঁর পরিবার খেয়ে পরে থাকতে পারবে। এর সঙ্গে নিজের স্বপ্নের পিছনে আরও দৌড়তে পারবেন বছর তিরিশের ‘সোনার মেয়ে’।
এক গৃহবধূকে (House Wife) ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ প্রতিবেশী এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে তারকেশ্বর (Tarkeshwar) থানার অন্তর্গত ৯ নম্বর ওয়ার্ডের শরৎপল্লী এলাকায়। সোমবার এই ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ জানায় ওই নির্যাতিতা। পাশাপাশি বারবার অভিযুক্তকে আড়াল করার জন্য অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে অভিযুক্তর দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধেও। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিস (Police)। আজ তথা বৃহস্পতিবার নির্যাতিতার গোপন জবানবন্দী নেওয়া হয়েছে চন্দননগর আদালতে। ঘটনাকে ঘিরে বেশ উত্তপ্ত ওই এলাকা।
সূত্রের খবর, অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির নাম সুধীর মণ্ডল। নির্যাতিতা জানিয়েছেন, রবিবার রাতে তাঁর স্বামী শ্রাবণী মেলার জন্য বাইরে গিয়েছিলেন। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তাঁর ঘরের মধ্যে তাঁকে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টা করে ওই ব্যক্তি। তবে ওই গৃহবধূ নিজেকে বাঁচাতে হাতের সামনে থাকা একটি কোদাল নিয়ে ওই ব্যক্তির দিকে তেড়ে গেলেই ঘর থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। তারপর গৃহবধূর চিৎকার শুনে ছুটে আসে প্রতিবেশীরা। তবে ধরা যায়নি অভিযুক্তকে। নির্যাতিতার দাবি, বারবার প্রতিবেশী মহিলাদের উপর এই হামলা হওয়ার একপ্রকার ভীতস্থ হয়ে পড়েছে সবাই। তাই অভিযুক্তর কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নির্যাতিতা সহ এলাকাবাসীরা। আগেও একাধিকবার ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছিল ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
আচমকা এক তীর্থযাত্রীর মৃত্যু (Death) ঘিরে চাঞ্চল্য। তারকেশ্বর (Tarkeshwar) মন্দির পুজো দিতে এসেই এমন ঘটনা। মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করতে শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য দেহটি পাঠায় তারকেশ্বর থানার (Tarakeswar Police) পুলিস। জানা গিয়েছে, মৃত ওই তীর্থযাত্রীর নাম অজিত দাস। তিনি উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) বসিরহাট এলাকার বাসিন্দা।
মঙ্গলবার সকালে তারকেশ্বর মন্দিরে পুজো দিতে যান তিনি। মন্দিরে পুজো দেওয়ার পরেই অসুস্থতা বোধ করেন তিনি। সঙ্গীরা সঙ্গে সঙ্গে তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁকে। তখনই হাসপাতালে কর্মরত চিকিত্সকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন ওই পুণ্যার্থী। যার ফলেই মৃত্যু হয় তাঁর।
এক পুণ্যার্থী জানান, সকালে দুধ পুকুরে স্নান করেছিলেন তিনি। স্নান করে ঘট নিয়ে শিবের মাথায় জলও ঢালেন তিনি। জল ঢেলে যাওয়ার সময় যেখানে বিল কাটা হয় সেখানে দাঁড়িয়ে কাঁপতে থাকেন অজিত দাস। হঠাত্ই কাঁপতে কাঁপতে মাটিতে বসে পড়েন তিনি। তখন কয়েকজন তীর্থযাত্রী ও সিভিক ভলেন্টিয়ার মিলে অজিত দাসকে তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে শেষরক্ষা করা যায়নি।