
২০২১ সালের অগাস্টে তালিবানরা (Taliban) আফগানিস্তান (Afghanistan) দখল নেওয়ার পর থেকেই সেখানকার নারীদের স্বাধীনতায় একের পর এক কোপ বসিয়েছে। তালিবানরা আফগানিস্তানে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই নারীদের স্বাধীনতা পদে পদে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। এবারে নারীদের বিউটি পার্লারে (Beauty Parlour) যাওয়ার ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তালিবানরা। আর এর ফলে এবারে বহু সংখ্যক মহিলা বেকার হয়ে পড়েছে বলে খবর। তাই এবারে আর চুপ না থেকে এর প্রতিবাদে নেমেছে আফগানিস্তানের মহিলারা।
তালিবানরা আফগানিস্তানে আসার পর থেকেই একে একে নারীদের উচ্চশিক্ষা, বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করা নিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এরপর সেখানকার মহিলাদের জিম-পার্কে যাওয়াও বন্ধ করেছে। আর এবারে তাঁদের বিউটি পার্লারে যাওয়ার ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করে ফরমান জারি করেছে তালিবান সরকার। ফলে এর প্রতিবাদে নেমেছে আফগান মহিলারা।
ফরমানে বলা হয়েছে, পার্লারে মহিলারা বাজে খরচ করে। তাই তৎক্ষণাৎ পার্লার বন্ধ করতে হবে। শুধু ফরমান জারি করা নয়, কড়া হাতে বিউটি পার্লার বন্ধ করে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। এদিকে, বিউটি পার্লারে কাজ করেন দেশের ৬০ হাজারেরও বেশি মহিলা। তালিবানি এই ফরমান জারির ফলে কাজ হারাতে বসেছেন তাঁরা। এরই প্রতিবাদে এবার রাস্তায় নামল তাঁরা। রীতিমতো পোস্টার, ব্যানার নিয়ে তালিবানি ফরমানের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে রাজধানী কাবুলের বুচার স্ট্রিটে প্রতিবাদে সামিল হয়েছে প্রায় ৫০ জন মহিলা। তাদের পোস্টারে লেখা রয়েছে, 'আমার রুটি, জল ছিনিয়ে নিও না।' আর সেই প্রতিবাদের ভিডিওই বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।
২০২১ সালে কাবুল বিমানবন্দরে আত্মঘাতী বিস্ফোরণের ঘটনার ‘মাস্টারমাইন্ড’কে খুন করেছে তালিবান (Taliban)। এমনই দাবি আমেরিকার আধিকারিকদের। ২০২১-এর ২৬ অগস্ট ওই বিস্ফোরণের (Blast) ঘটনায় মৃত্যু হয় ১৩ জন আমেরিকার সেনাকর্মী এবং ১৭০ জন সাধারণের। আমেরিকার দাবি, সেই বিস্ফোরণের মূলচক্রীকেই শেষ করেছে তালিবান। তবে কীভাবে তাকে হত্যা করা হল তা এখনও জানায়নি আমেরিকা। এমনকি জানা যায়নি মৃতের নামও।
এই ঘটনায় হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি একটি বিবৃতিতে বলেছেন, ‘‘নিহত এক জন আইসিস-এর সদস্য এবং অ্যাবে গেটের মতো একাধিক ঘটনার মূলচক্রীদের অন্যতম ছিল। কিন্তু আর নতুন কোনও ছক কষা তাঁর পক্ষে সম্ভব হবে না।’’
২০২১-এর ১৫ অগস্ট তালিবান আনুষ্ঠানিক ভাবে কাবুল পুনর্দখল করে। আফগানিস্তানে দ্বিতীয় বার তালিবানি শাসন কায়েম হওয়ার পরেই সে দেশ থেকে যেতে শুরু করে আমেরিকা। পরে বিমানটি কাবুল বিমানবন্দর থেকে ছাড়ে ২০২১-এর অগস্টের শেষে। সেই সময়ই ঘটে যায় ভয়ঙ্কর এই বিস্ফোরণের ঘটনা। তবে এবার তালিবানের হাতে চলে এলেন কাবুল বিমানবন্দরে বিস্ফোরণের মূলচক্রী।
ফের আফগান (Afghan) মহিলাদের স্বাধীনতা খর্ব করতে আরও এক বড় পদক্ষেপ নিল তালিবানরা (Taliban)। এবারে কোনও রেস্তোরাঁ ও সবুজ গাছপালায় ভরা প্রশস্ত বাগান ধরণের জায়গায় মহিলা প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করল তালিবান। তালিবানদের দাবি, আফগান মহিলারা এখন হিজাব না পরেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন, তাই একাধিক ধর্মীয় ব্যক্তিত্বরা এই বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন। এর ফলেই তালিবানরা মহিলাদের বিরুদ্ধে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সূত্রের খবর, ধর্মীয় ব্যক্তিত্বরা জানিয়েছেন, আফগানিস্তানে (Afghanistan) এখন মহিলারা কোনও নিয়ম মেনেই চলাফেরা করছেন না। তাঁরা হিজাব পরছেন না। এমনকি ছেলে-মেয়ে একসঙ্গে ঘোরাফেরা করছেন, একসঙ্গে রেস্তোরাঁ, হোটেলে দেখা করছেন। ফলে নারী-পুরুষের মেলামেশা বন্ধ করার জন্যই এই পদক্ষেপ তালিবানদের। তবে এই নিষেধাজ্ঞা এখন শুধুমাত্র হেরাত নামক জায়গার জন্য়ই প্রযোজ্য। হেরাতে বিভিন্ন রেস্তোরাঁ বা প্রশস্ত বাগান-সহ হোটেলে শুধুমাত্র ছেলেরাই যেতে পারবেন। এমনকি পরিবার-সহ গেলেও পুরুষ ছাড়া কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না রেস্তোরাঁয়।
তালিবানদের মুখপাত্র জানিয়েছেন, তবে হেরাতের সমস্ত রেস্তোরাঁয় মহিলাদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা নেই। যেসমস্ত রেস্তোরাঁয় বাগান-পার্ক রয়েছে, যেখানে ছেলে-মেয়ে দেখা করতে পারেন, সেসব জায়গায় ঢুকতে দেওয়া হবে না মহিলাদের। তবে তিনি জানিয়েছেন, অন্যান্য রেস্তোরাঁগুলোর উপর নজর রাখা হচ্ছে, সেখানেও যদি ছেলে-মেয়ে দেখা করেন, সেখানেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে তালিবানরা আফিগানিস্তানের উপর দখল নেওয়ার পর থেকে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা জারি করে চলেছে তারা। আফগান মহিলাদের স্বাধীনতা খর্ব করার জন্য তারা এর আগেই শিক্ষা, বিনোদন, চাকরি ইত্যাদি ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এরপর পার্ক ও জিমে প্রবেশে নিষেধ করার পর এই তালিকায় এখন রেস্তোরাঁও যুক্ত হল।
মহিলা স্বনির্ভরতা প্রশ্নে বরাবর 'সংস্কারী' তালিবান (Taliban Government)। ফের আফগানিস্তানে (Afghanistan Law) চালু হয়েছে প্রকাশ্যে শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা। এবার দুই মহিলা-সহ ১১ জনকে জনসমক্ষে চাবুক মারলো প্রশাসন। তালিবান সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, শুক্রবার আফগানিস্তানের বাদখশানের ফৈজাবাদের খেলার মাঠে ওই ১১ জন চাবুক মারা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ব্যভিচার। আফগানিস্তানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে এনেছে।
তালিবান প্রশাসনের এক বিবৃতি প্রকাশ করে জানিয়েছে, উত্তর বাদাখশানের এক খেলার মাঠে ১১ জনের শাস্তি দেখতে উপস্থিত হয়েছিলেন বহু মানুষ। ছিলেন তালিবান প্রশাসক, শিক্ষাবিদ থেকে বিশিষ্ট জনরা। দক্ষিণ হেলমন্দ প্রদেশের গ্রিশক জেলার এই ঘটনায় স্পষ্টতই আতঙ্ক। সাম্প্রতিককালে গোটা আফগানিস্তানে তালিবানদের নির্দেশে ২৫০ জনকে চাবুক মারা হয়েছে বিভিন্ন অভিযোগে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, বিয়ের আগে সহবাস আফগানিস্তানে নিষিদ্ধ করেছে তালিবান সরকার। জানিয়ে দিয়েছে, এই ধরনের আচরণ সহ্য করা হবে না। সম্প্রতি পূর্ব আফগানিস্তানের নানগারহার তিন যুবককে ‘ব্যভিচার’-এর অভিযোগে মোট ৩৯ বার চাবুক মারা হয়েছে। নানগারহার প্রদেশের তালিবান প্রশাসকের তরফে জানানো হয়েছে, এই তিন যুবক একটি বাড়িতে থাকেন।
ফের জঙ্গি হুমকির নিশানায় বাণিজ্য নগরী মুম্বই (Mumbai)। এবার সন্ত্রাসী হামলার হুমকি ফোন। সোমবার সন্ত্রাসী সংগঠন ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের নামে হুমকি কল (Threatening Call) পাওয়ার পর ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের (Chhatrapati Shivaji Maharaj International Airport) নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। হুমকি কলের পর মুম্বই পুলিস এবং অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থাগুলি শহরের প্রধান বিমানবন্দরে সতর্কতা জারি করেছে। মুম্বই পুলিস অজ্ঞাত পরিচয় কলারকে শনাক্ত করার চেষ্টা করছে বলে জানা গিয়েছে।
মুম্বই পুলিসের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, সোমবার মুম্বই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি হুমকি ফোন আসে। ফোনের ওপারে থাকা ব্যক্তি নিজেকে ইরফান আহমেদ শেখ বলে পরিচয় দিয়ে দাবি করে, তিনি সন্ত্রাসী সংগঠন ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের সদস্য। কোড ওয়ার্ডে সে শহরে সন্ত্রাসী হামলা চালানোর হুমকি দেয়। এরপরেই সন্দেহজনক কার্যকলাপে কড়া নজর রাখতে নিরাপত্তা সংস্থাগুলিকে অবিলম্বে সতর্ক করা হয়েছে। বিমানবন্দরে নিয়োজিত সংস্থাগুলো প্রতিটি যাত্রীর উপর কড়া নজর রাখছে।
এদিকে, মুম্বই পুলিস এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি) ধারা ৫০৫(১)-এর অধীনে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে। কিছুদিন আগেই জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র (NIA) অফিস ই-মেইলে হুমকি আসে। বিস্ফোরণে মুম্বই উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। মুম্বই পুলিস জানিয়েছিল, মেইল প্রেরককারী নিজেকে একজন তালিবান সদস্য বলে দাবি করেছিল। সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কায় এই ই-মেইল পাওয়ার পরই মহারাষ্ট্রের বহু শহরে সতর্কতা জারি করেছে সরকার।
ফের জঙ্গি হুমকির নিশানায় বাণিজ্য নগরী মুম্বই (Mumbai)। এবার সরাসরি তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র (NIA) অফিস ই-মেইলে আসে হুমকি মেইল (Threatening Email)। বিস্ফোরণে মুম্বই উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। মুম্বই পুলিস সূত্রে খবর, মেইল প্রেরককারী নিজেকে একজন তালিবানের (Taliban) সদস্য বলে জানিয়েছে। সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কাজনক এই ই-মেইল পাওয়ার পরই মহারাষ্ট্রের বহু শহরে সতর্কতা জারি করেছে সরকার।
কিন্তু প্রাথমিকভাবে গোয়েন্দা তথ্য অন্য কথা বলছে। আইএসআই-র সক্রিয় মদতে অন্য দেশের মাটি ব্যবহার করে ভারতকে হুমকি পাঠিয়েছে পাকিস্তান। ভারত-আফগান সম্পর্কে ভাঙ্গন ধরাতে পাকের অপচেষ্টা। পুলিস সূত্রে খবর, এনআইএ এই বিষয়ে মুম্বই পুলিসকে জানিয়েছে। একইসঙ্গে সন্ত্রাসী হামলার হুমকির পর মহারাষ্ট্রের অনেক শহরে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। উল্লেখ্য এই বছরের জানুয়ারির শুরুতে মুম্বইয়ের ধিরুভাই আম্বানি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে একটি হুমকি কল আসে। এই ফোনে অজ্ঞাত ব্যক্তি স্কুল উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।
এরপর শুক্রবারের এই হুমকি মেইল ঘিরে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। যদিও আতঙ্ক তৈরি করতে এই প্রচেষ্টা বলে অনুমান করছে পুলিস। পুলিস এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
সোমবার পাকিস্তানের (Pakistan) পেশোয়ারের এক মসজিদে(Mosque) আত্মঘাতী বিস্ফোরণের (Peshawar Blast) দায় নিল পাক তালিবান বা তেহরিক-ই-তালিবান (TTP)। জেহাদি সংগঠনের কমান্ডার সরবাকফ মহম্মদ নিজে হামলার দায় স্বীকার করেছে। ইতিমধ্যে ভয়াবহ এই বিস্ফোরণে (Explosion) মৃত্যু হয়েছে ৯০ জনের। জখম শতাধিক। ঘটনার সময় কমপক্ষে ৪০০ জন উপস্থিত ছিলেন মসজিদে। মৃতের সংখ্যাও আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, পেশোয়ার পুলিস লাইন এলাকায় দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে নমাজের সময় ভয়াবহ এই বিস্ফোরণ ঘটে। খবর পেয়ে মসজিদে পৌঁছয় স্থানীয় পুলিস।
সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় উদ্ধারকাজ। বেশ কয়েকজনকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মসজিদের ভিতর থেকে তোলা একটি ভিডিওয় ধ্বংসাবশেষ দেখা গিয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকেও উদ্ধার করা হয় দেহ।
গোটা ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে পেশোয়ারে। পাকিস্তানের মাটিতে প্রতিনিয়ত নাশকতা চালিয়ে যাচ্ছে পাক তালিবান। সম্প্রতি এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানে তালিবান শাসন কায়েম হওয়ার পর থেকেই অতিসক্রিয় হয়ে উঠেছে বিভিন্ন জেহাদি সংগঠনগুলি। বিশেষ করে পাকিস্তানে একাধিক হামলা চালিয়েছে টিটিপি।
মঙ্গলবার কান্দাহারের (Kandahar) আহমদ শাহি স্টেডিয়ামে ডাকাতির অভিযোগে জনসমক্ষে ৪ আফগান নাগরিকের (Afghanisthan) হাত কেটে দেয় তালিবানিরা। এই অভিযোগে প্রথমে নয় জনকে বেত্রাঘাত করে তালিবান (Taliban) পুলিস এবং তারপর ওদের মধ্যে চারজনের হাত কেটে দেওয়া হয়। এই ঘটনার সময় সমাজের নানা ক্ষেত্রের মানুষ ভিড় জমিয়েছিল আহমদ শাহি স্টেডিয়ামে। ছিলেন তালিবান প্রশাসনের কর্তা, ধর্মগুরু, বৃদ্ধজন এবং আমজনতা। সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, ওই নয় জনকে ৩০-৩৫ বার বেত্রাঘাত করা হয়েছিল।
মানবাধিকার আইনজীবি এবং আফগান পুনর্বাসন এবং শরণার্থী বিষয়ক মন্ত্রীর প্রাক্তন নীতি উপদেষ্টা শবনম নাসিমি ফুটবল স্টেডিয়ামে বসে থাকা ওই নয়জনের ছবি ট্যুইট করে জানান, "এটা মানবাধিকার লঙ্ঘন।" এর আগে ডিসেম্বরে তালিবানিরা হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত একজনকে প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফিরে এটাই ছিল তাদের প্রথম দেওয়া প্রকাশ্য মৃত্যুদণ্ড।
রাষ্ট্রসংঘের বিশেষজ্ঞরা এভাবে প্রকাশ্যে বেত্রাঘাত ও মৃত্যুদণ্ড নিয়ে গভীর উদ্বিগ্ন। এই চাবুক মারা শাস্তি নিয়ে সমালোচনা সুর রাষ্ট্র সংঘের গলায়। অবিলম্বে সব ধরনের নারকীয় এবং অবমাননাকর শাস্তি বন্ধের নির্দেশ তালিবানকে দিয়েছে সংঘ।
কাবুলে আত্মঘাতী বিস্ফোরণে (Suicide Blast) নিহত অন্তত ২০ জন। শহরের বিদেশ মন্ত্রকের (Foreign Ministry) অফিসের সামনে এই বিস্ফোরণ। এক আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, বুধবারের এই বিস্ফোরণে বাড়তে পারে হতাহতের সংখ্যা।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, বিস্ফোরণের সময় বিদেশ মন্ত্রকে চিনের আধিকারিকদের সঙ্গে তালিবান প্রশাসনের বৈঠক চলছিল। বিস্ফোরণের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় নিরাপত্তা বাহিনী। বুধবারের এই হামলার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন জামশেদ করিমি নামে এক গাড়ি চালক। জামশেদ বলেন, ‘‘আমি জানি না, বিস্ফোরণে কত জন হতাহত হয়েছেন। তবে বিস্ফোরক দিয়ে নিজেকে উড়িয়ে দিতে এক জনকে দেখেছি।’’ এই হামলার সত্যতা স্বীকার করেছে স্থানীয় প্রশাসন। শহরে বিস্ফোরণ হয়েছে বলে জানান কাবুল পুলিসের মুখপাত্র।
আফগানিস্তানের ফের ফিরেছে তালিবানরাজ (Taliban Government)। প্রাথমিক ভাবে কিছুটা ছাড় দেওয়া হলে সময় যত গড়িয়েছে আফগান মহিলাদের (Afghan Woman) উপর তত বেড়েছে নিষেধাজ্ঞা। মহিলাদের খেলাধুলোয় অংশগ্রহণ থেকে পঠনপাঠন। নানাক্ষেত্রে এসেছে তালিবানি রক্তচক্ষু। ২০২২-এ আফগানিস্তানের সংস্কৃতিমন্ত্রী আহমেদুল্লা ওয়াশিক স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, 'যেকোনও খেলা (Sports), যাতে শরীর দেখা যায় তা মহিলাদের জন্য নিষিদ্ধ।' তবে কঠোর এই বিধিনিষেধের ফাঁক গলেও গোপন অনুশীলন জারি রাখেন আফগান জাতীয় দলের অনেক মহিলা ক্রীড়াবিদ।
কিন্তু সম্প্রতি তাঁরা অনেকেই ফোনে হুমকি পাচ্ছেন। অনেক মহিলা ক্রীড়াবিদের আশঙ্কা, তাঁরা তালিবান নিপীড়নের শিকার হতে পারেন। মহিলাদের হাত-পা এভাবে বেঁধে দেওয়ার উদ্দেশে তালিবানের যুক্তি, মহিলাদের জন্য খেলা জরুরি ব্যাপার নয়। কারণ খেলতে গিয়ে অনেক সময়ই তাদের শরীরের বিভিন্ন অংশ উন্মুক্ত হয়ে যায়, ইসলামে যা বারণ।
কয়েক মাস আগে আফগানিস্তান সরকার মেয়েদের বিশ্ববিদ্যালয় যাওয়াতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। বেসরকারি সংস্থায় মহিলাদের কাজ করা, পার্ক এবং জিমে প্রবেশের ক্ষেত্রে রয়েছে একাধিক বিধিনিষেধ।
বুধবার পাকিস্তানের (Pakistan) বালুচিস্তানের (Balochistan) কাছে কোয়েটার বালেলি এলাকায় একটি পুলিসি ট্রাকে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ (suicide blast)। ঘটনায় একজন পুলিস সদস্য এবং একটি শিশু মারা গিয়েছে। বিস্ফোরণে ২০ জন পুলিস কর্মকর্তা-সহ কমপক্ষে ২৪ জন আহত হয়েছেন বলে সূত্রের খবর। আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে নিকটরবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
পাকিস্তানি মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, বিস্ফোরণের পর চলন্ত পুলিসের ট্রাকটি ছিটকে পড়ে এবং খাদে পড়ে যায়। পুলিস জানিয়েছে, একটি উদ্ধারকারী দল এবং বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দলকে বিস্ফোরণস্থলে পাঠিয়েছে। বিস্ফোরণে ২৫ কিলোগ্রাম বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
কোয়েটার ডিআইজি গোলাম আজফার মহেসার পাকিস্তান মিডিয়াকে নিশ্চিত করেছেন যে বিস্ফোরণটি একটি আত্মঘাতী হামলা ছিল। কারণ তাঁরা ঘটনাস্থলে আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীর দেহাবশেষ পেয়েছেন। তিনি বলেন, 'বিস্ফোরণের কারণে পুলিসের ট্রাকটি ছিটকে পড়ে এবং একটি খাদে পড়ে যায়।'
উল্লেখ্য, নিষিদ্ধ ঘোষিত তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি) হামলার দায় স্বীকার করেছে। সেখানকার সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, জঙ্গি গোষ্ঠীটি সরকারের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি প্রত্যাহার করার এবং যোদ্ধাদের সারা দেশে হামলা চালানোর নির্দেশ দেওয়ার একদিন পরই এই বিস্ফোরণ।
এক পুলিস কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিস্ফোরণে পুলিসের ট্রাকসহ তিনটি গাড়ি এবং কাছাকাছি দুটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিস্ফোরণের স্থানটি ঘিরে রাখা হয়েছে এবং আরও তদন্ত চলছে।
ফের বিস্ফোরণে (blast) কাঁপল কাবুল (Kabul)। শিক্ষাঙ্গনে আত্মঘাতী বিস্ফোরণে ঝরল রক্ত। প্রাণ (Death) গেল ১৯ জনের। আহত আরও ২৭। আহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে খবর। কাবুল পুলিসের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ বিস্ফোরণটি ঘটে। রাজধানীর সিজে এলাকায় অবস্থিত ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে আত্মঘাতী হামলা চালায় জঙ্গিরা। তবে হামলার পিছনে কতজন রয়েছেন তা এখনও জানা যায়নি। যে সময় হামলা চালায়, তখন পরীক্ষা চলছিল শিক্ষাকেন্দ্রে।
পাশাপাশি প্রতিবেদন লেখা অবধি কোনও জঙ্গি সংগঠনের তরফে হামলার দায় স্বীকার করা হয়নি। বিস্ফোরণের পর ওই এলাকায় উদ্ধার কাজ শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন। ওই শিক্ষাঙ্গন থেকে রক্তাক্ত মৃতদেহগুলি বের করে নিয়ে আসে কাবুলের পুলিস।
উল্লেখ্য, আমেরিকার সেনা সরে যেতেই ঘানি সরকারের পতন ঘটে। আফগানিস্তানের দখল নেয় তালিবান। আর ঘটনার কথা জানতে পেরে তালিবানের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাদের নিরাপত্তারক্ষীরা সেখানে পৌঁছেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে তালিবান সরকার।
এক আত্মঘাতী হামলায় কাবুলে (Kabul blast) নিহত তালিবান (Taliban) নেতা রহিমুল্লা হাক্কানি। আফগানিস্তানের (Afganisthan) তালিবান সরকারের ধর্মীয় নেতা হিসেবে পরিচিত তিনি। বৃহস্পতিবার সে দেশের সংবাদ সংস্থা টলো নিউজ এই খবর দিয়েছে। যে খবরের সত্যতা স্বীকার করেছে আফগানিস্তানের তালিবান সরকার।
জানা গিয়েছে, ধর্ম পণ্ডিত, শিক্ষক শেখ রহিমুল্লা হক্কানি বৃহস্পতিবার কাবুলের একটি স্কুলবাড়ির কাছে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন। সেই সময় জলসায় উপস্থিত এক ব্যক্তির কৃত্রিম পায়ে লুকিয়ে থাকা বিস্ফোরক থেকেই এই বিস্ফোরণ। এমনটাই টলো নিউজ সূত্রে খবর।
এদিকে, আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখল ইস্তক সে দেশে তালিবান এবং পাক তালিবানের ছায়া যুদ্ধ চলছে। আর পাক তালিবানকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছে তালিবান বিরোধী অপর গোষ্ঠী হাক্কানি নেটওয়ার্ক। যদিও এই জঙ্গি সংগঠন আফগানিস্তানে জোট সরকারের শরিক। কিন্তু ক্ষমতা বৃদ্ধির লড়াইয়ে তারা তালিবান থেকে পিছিয়ে। তাই তৈরি হয়েছে বৈরিতা।
এদিনের আত্মঘাতী বিস্ফোরণ সেই বৈরিতার বহিঃপ্রকাশ কিনা খতিয়ে দেখবে তালিবান পুলিস। অন্যদিকে আইএস জঙ্গিগোষ্ঠী আফগানিস্তানে সক্রিয় হতে মরিয়া। এসবের মাঝে পড়ে প্রায়ই তালিবান শাসিত আফগানিস্তানে বিস্ফোরণ এবং মৃত্যুর খবর মিলছে।