ভয়াবহ! ১৫ মাসের খুদেকে মেঝেতে তিনবার আছড়ে দিলেন নিজের বাবা। নিজের স্বামীর বিরুদ্ধে এমনটা অভিযোগ এনে পুলিস স্টেশনে (Police Station) মামলা রুজু করলেন টিভি পর্দার অভিনেত্রী চন্দ্রিকা সাহা (Chandrika Saha)। আর সেই দৃশ্যই সিসিটিভিতে (CCTV) ধরা পড়েছে। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল সেই খুদেকে। বর্তমানে তার অবস্থা স্থিতিশীল।
জানা গিয়েছে, ৪১ বছর বয়সী অভিনেত্রী চন্দ্রিকা সাহা নিজের থেকে ২০ বছর কম বয়সের ছেলেকে বিয়ে করেছেন। ২১ বছর বয়সী সেই ব্যক্তির নাম অমন মিশ্র। অভিনেত্রী অভিযোগ দায়ের করে জানিয়েছেন, তিনি বেডরুম থেকে তাঁর সন্তানের কান্নার আওয়াজ পেয়ে ছুটে এসে দেখেন শিশুটি রক্তাত্ব অবস্থায় মেঝেতে পড়ে রয়েছেন। এরপর তাকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখতেই দেখা যায়, তাঁর স্বামী তিনবার তাঁদের সন্তানকে মেঝেতে আছড়ে ফেলেছেন। এরপরই অমনের বিরুদ্ধে জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্ট ৭৫ ধারার অধীনে বাঙ্গুর পুলিস স্টেশনে মামলা রুজু করেছেন চন্দ্রিকা। খুব শীঘ্রই অমনকে জিজ্ঞসাবাদের জন্য ডাকা হবে বলে খবর।
উল্লেখ্য, বিবাহবিচ্ছেদের পর চন্দ্রিকার সঙ্গে অমনের দেখা হয় ও তারপরেই তাঁরা সম্পর্কে চলে যান। এরপর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পরেই তাঁরা বিয়ে করেন। তবে গর্ভপাত করানোর জন্য বলেছিলেন অমন। তবে তিনি অমনের কথা না শুনে সন্তানকে জন্ম দিয়েছিলেন। চন্দ্রিকাকে এর আগে সিআইডি, সাবধান ইন্ডিয়ার মত ধারাবাহিকে দেখা গিয়েছে।
দিন কয়েক আগেই খবর রটে সম্পত্তিগত বিবাদের কারণে ছেলের হাতে খুন হিন্দি ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী (TV Actress) বীণা কাপুর। অভিনেত্রীর এক সহ-অভিনেত্রীর করা পোস্ট থেকে চাউর হয়েছিল এই হত্যাকাণ্ডের (Murder) খবর। ১৫ কোটি টাকার সম্পত্তির লোভে বেসবল দিয়তে মাথায় মেরে মাকে খুন করেছে ছেলে। তারপর মুম্বই (Mumbai) শহর থেকে অনেক দূরে মাথেরানের জঙ্গল দেহ ফেলে আসে অভিনেত্রীর ছেলে এবং এক সহযোগী। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসে মুম্বই পুলিস।
কিন্তু পুলিসের তদন্ত যখন মাঝপথে তখন একেবারে বিস্মিত বাণিজ্য নগরী। জানা গিয়েছে, যে অভিনেত্রীর হত্যার খবর রটেছিল, তিনি দিব্য বেঁচে আছেন। এমনকি যে ছেলের বিরুদ্ধে মাকে পিটিয়ে 'খুনের' অভিযোগ, তাঁকে নিয়ে থানায় পৌঁছন অভিনেত্রী। এমনকি, তাঁর মৃত্যুর ভুয়ো খবর রটানোর জন্য এফআইআর দায়ের করেন প্রবীণ অভিনেত্রী বীণা কাপুর।
এক সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, 'বীণা কাপুর নামে যিনি খুন হয়েছেন, আমি সেই মহিলা নই। নাম ও পদবি এক হওয়ার কারণে এই বিভ্রান্তি। আমি গোরেগাঁওয়ের বাসিন্দা, জুহুতে থাকি না।' পাশাপাশি অভিনেত্রীর ছেলে জানান, এই খবর আমাকে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত করেছে। তবে মুম্বই পুলিশ এই কঠিন সময়ে আমাদের সহযোগিতা করেছেন।'
পুলিসের সামনেই ছোট পর্দার (TV Actress) জনপ্রিয় অভিনেত্রী নবনীতা দাসকে খুনের হুমকি (Murder Threat)। আর এই কাণ্ড শুধু দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখা নয়, বরং অভিযুক্তপক্ষকে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে দিয়েছে পুলিস। নিমতা থানার (Nimta PS) এহেন ভূমিকায় সমালোচনা করে সরব অভিনেতা জিতু কামাল এবং তাঁর স্ত্রী অভিনেত্রী নবনীতা দাস। উস্তাদ রশিদ খানের পরিবার কলকাতা পুলিসের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তুলেছে। সেই টানাপোড়েনে এবার ছোট পর্দার জনপ্রিয় দুই জিতু-নবনীতা একইভাবে পুলিসি হেনস্থার শিকার। এমন অভিযোগ সংবাদ মাধ্যমের সামনে করেছেন ওই তারকা দম্পতি। ব্যারাকপুর কমিশনারেটের অন্তর্গত নিমতা থানার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। সংবাদ মাধ্যমের হাতে আসা এক ভিডিওবার্তায় যেখানে রীতিমতো পুলিসি হেনস্থা এবং তাঁদের সঙ্গে হওয়া কাণ্ডের জন্য অভিনেত্রীকে কাঁদতেও দেখা গিয়েছে। যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সিএন ডিজিটাল। জানা গিয়েছে, কর্মসূত্রে বিরাটি থেকে মাঝেরহাটি হয়ে গন্তব্যে যাওয়ার পথেই এই কাণ্ড।
ঠিক কী হয়েছে এদিন নিমতা মাঝেরহাটি মোড়ে, যার রেশ এসে পৌঁছয় নিমতা থানা অবধি। সংবাদ মাধ্যমকে নিগৃহীত অভিনেত্রী নবনীতা জানান, 'দুপুর দেড়টা নাগাদ মাঝেরহাটি মোড়ে ডান পাশ দিয়ে একটা পন্যবাহী গাড়ি ঢুকে জোরে আমাদের গাড়িকে মেরে চলে যায়। আমি ডান পাশে বসে ছিলাম এবং পণ্যবাহী গাড়িকে দাঁড়াতে বলি। কিন্তু আমাদের কথা না শুনে ও বেড়িয়ে যায়। তখন সিগনালে গিয়ে আমার ড্রাইভার গাড়িটাকে ধরে, কিন্তু পণ্যবাহী গাড়ির ড্রাইভার আমাদের ড্রাইভারকে প্রায় পিষে বেড়িয়ে যেতে চায়। কিন্তু আমাদের ড্রাইভার সামনে গিয়ে কাঁচে মারলে ওরা উলটে বলে ওদের কাঁচে দাগ পড়েছে।'
তাঁর অভিযোগ, 'এরপর আমি প্রস্তুত ছিলাম যে থানায় আসতে হবে। কিন্তু নিমতা থানার এক পুলিসকর্তা আমাদের থানায় আসতে বাধা দেয়। উলটে বলেন আপনার ড্রাইভার যদি মেরে থাকে তাহলে কিন্তু ওকে লকআপে নিয়ে যাব। উলটে আমাদের বলে ঘটনাস্থলেই যা কথাবার্তা বলে নিন। কিন্তু আমি ওই প্রস্তাব ফিরিয়ে বলি থানায় গিয়ে জিডি করব। থানায় এসে আমাদের দু-আড়াই ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয়। তারপর থানা বলে দু'পক্ষই একটা করে জিডি করুন। এই সময় থানার বাইরে চিৎকার শুনে বেড়িয়ে গিয়ে দেখি আমার ড্রাইভারকে ওই পণ্যবাহী গাড়ির চালক-সহ তাঁর বন্ধুরা হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। আমরা গিয়ে যখন বলি কী হচ্ছে, উলটে আমাকে বলছে মেরে রেখে দেব, এখানে দাদাগিরি হচ্ছে!'
অভিনেত্রী জানান, 'এই ঘটনার সময় দু'জন পুলিস গোটা ব্যাপারটা শোনে। ওদের সামনেই ওই পন্যবাহী গাড়ির চালক ও তাঁর বন্ধুরা বলছে, তোদের দেখে নেব, মেরে দেব একবার বেরো এখান থেকে। পুলিসকে আমি বলি যে আপনাদের সামনে এটা কী হচ্ছে। এখানেই এসব হচ্ছে, বাইরে গেলে কী হবে?' এখানেই থামেননি অভিনেত্রী, নিমতা থানার বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তুলে অভিনেত্রী জানান, 'প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে বসিয়ে রেখে আমাদের এফআইআর নেয় পুলিস। যদিও প্রথমে বলে আপনারা সাদা খাতায় সই করে যান, এফআইআর আপনাদের কাছে পাঠিয়ে দেব।'
এদিকে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নাগাদ অভিনেত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে ঘাতক পণ্যবাহী গাড়ির চালক-সহ ৪ জনের এফআইআর দায়ের করে পুলিস। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪,৫০৬,৩৪১-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। পাশাপাশি পণ্যবাহী গাড়ির চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। আটক একজন, একজন পুলিসের বিরুদ্ধে বিচারবিভাগীয় তদন্ত শুরু হবে, এমনটাই পুলিস সূত্রে খবর।