টোটোর ধাক্কায় প্রাণ গেল খুদের। শরীরের ওপর দিয়ে চলে যায় টোটো। গুরুতর চোট লাগে মাথায়। ঘটনাস্থলে গিয়ে টোটো চালককে আটক করেছে পুলিস। বুধবার দুর্ঘটনাটি ঘটে নদিয়ার জলকর মথুরাপুর ঘোষপাড়ায়। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতোই ঘুম থেকে উঠে স্কুলে যাওয়ার জন্য তৈরি হয়েছিল বছর ছয়ের রনি ঘোষ। প্রথম শ্রেণির পড়ুয়া সে। কিন্তু কে জানত, খুদের জন্য অপেক্ষা করছে মৃত্যু। রাস্তার পাশে বসে থাকাটাই যেন কাল হল তার। নদিয়ার জলকর মথুরাপুর ঘোষপাড়ায় দ্রুতগতির টোটোর ধাক্কায় অকালে প্রাণ যায় ওই খুদের। শিশুটির শরীরের ওপর দিয়ে চলে যায় টোটোটি এবং উল্টে যায় ঘটনাস্থলে। ঘটনাস্থলেই রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে রনি।
এরপর গুরুতর জখম অবস্থায় রনিকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। অন্যদিকে, ঘটনাস্থলে গিয়ে টোটো চালককে আটক করে ভীমপুর থানার পুলিস। প্রসঙ্গত, গত বছরই বেহালা চৌরাস্তার পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায় বড়িষা হাই স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়া সৌরনীল সরকার। আর কত মৃত্যু হলে গতি কমবে? আর কত প্রাণ ঝরলে সচেতন হবে চালকেরা? উঠছে একাধিক প্রশ্ন
কথায় আছে, চুরি বিদ্যা মহাবিদ্যা যদি না পড়ো ধরা! আর ধরা পড়লে কি হবে? চাল চুরি পর্দাফাঁস, হাতেনাতে ধরে ফেলল স্থানীয়রা। মেদিনীপুর সদর ব্লকের বনপুরা ৭ নম্বর অঞ্চলে অবস্থিত চুয়াশোল শিশু শিক্ষাকেন্দ্র। অভিযোগ,সেই কেন্দ্রের মিড ডে মিলের জন্য বরাদ্দ বস্তা ভর্তি চাল, টোটোতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল স্কুলের শিক্ষিকার বাড়িতে। নির্দেশ নাকি মিলেছিল এমনটাই। এলাকাবাসীর সন্দেহ হওয়ায় হাতেনাতে টোটোচালকে পাকড়াও করেন গ্রামবাসীরা। তারপর গ্রামবাসীর জেরা মুখে পড়ে সবটাই স্বীকার করে নেন টোটোচালক। তবে, এই প্রথম নয় এর আগেও দু-একবার শিক্ষিকার বাড়িতে চাল পৌছে দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন টোটোচালক। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই প্রতিবাদে সরব স্থানীয়রা, চলে বিক্ষোভ।
কোনও কোনও স্কুলে ঢালাও চাল চুরি। কোথাও কোথাও খোলা বাজারে চাল বিক্রি। অনেক ক্ষেত্রে আবার ছাত্রছাত্রীদের প্রাপ্য ডিম দেওয়া হয় না। পড়ুয়াদের মুখে গ্রাসটুকু কেড়ে নিচ্ছে খোদ শিক্ষিকাই? তবে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ মানতে নারাজ অভিযুক্ত শিক্ষিকা।
স্কুলের প্রতি পড়ুয়াদের আগ্রহ বাড়াতে এবং শিক্ষার্থীদের সুষম খাদ্য দিতেই মিড ডে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছিল। কিন্তু এ রাজ্যে দুপুরের খাবার জোগান নিয়ে অভিযোগ উঠেছে বারে বারেই।
রেশন দুর্নীতির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় রেশন বন্টনে বেনিয়মের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখান গ্রাহকরা। এবার প্রকাশ্যে এল মিড ডে মিলের চাল চুরির অভিযোগ। পড়ুয়াদের খাবার নিয়েও এত গড়িমসি কেন?
পাঁচ দিন নিখোঁজ থাকার পর টোটো চালকের মৃতদেহ উদ্ধার। ঘটনায় আটক দুইজন অভিযুক্ত। বুধবার সকালে মোহন থানার দুর্গাবাড়ি এলাকার একটি নালা থেকে উদ্ধার হয় ওই টোটো চালকের মৃতদেহটি। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত টোটো চালকের নাম, শ্যামল মালিক (৪০)। পুলিসের অনুমান, টোটো বিক্রি করা নিয়ে ঝামেলার জেরেই খুন হয়েছে ওই টোটো চালক। মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
পরিবার সূত্রে খবর, শুক্রবার থেকে নিখোঁজ ছিল ওই টোটো চালক। তারপর থেকেই বিভিন্ন জায়গায় পুলিস এবং পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করেও কোন হদিশ পায়নি শ্যামল বাবুর। এরপর এদিন সকালে মোহন থানার দুর্গাবাড়ি এলাকায় একটি নালা থেকে উদ্ধার হয় শ্যামল মালিক নামে ওই টোটো চালকের মৃতদেহ। এলাকার বাসিন্দারা দেখতে পেয়ে মোহনপুর থানায় খবর দিলে পুলিস এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্যারাকপুর পুলিস মর্গে পাঠায়। ইতিমধ্য়ে পুলিস এই পুরো ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে।
এবারে মালদহে (Malda) ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার ভোরে লরি ও টোটোর সংঘর্ষে মৃত্যু হয় চার জন কৃষকের। লরির ধাক্কায় উল্টে যায় টোটো ও ছিটকে যান টোটোর যাত্রীরা। জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ৩ জনের ও গুরুতর আহত অবস্থায় আরেকজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষ রক্ষা করা যায়নি। পথেই মৃত্যু হয় তাঁর।
সূত্রের খবর, মালদার গাজোলের শ্যামনগর সংলগ্ন এলাকায় ১২ নম্বর জাতীয় সড়কে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। মঙ্গলবার সাড়ে পাঁচটা নাগাদ যখন টোটো করে কৃষকরা সবজি নিয়ে বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন, সেই সময় একটি লরি এসে পিছন থেকে সজোরে ধাক্কা মারে। টোটোর পিছন দিক দুমড়ে-মুচড়ে যায় ও টোটো উল্টে গিয়ে ছিটকে যান যাত্রীরা। তিনজনের দুর্ঘটনাস্থলে মৃত্যু হলেও অন্য একজন গাজোল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় মারা যান। আরেকজনকে মালদা মেডিক্যাল হাসপাতালে পাঠোনা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, টোটোতে ৪-৫ জন কৃষক ছিলেন। শ্যামনগরের কাছে একটি লরি সজোরে এসে ধাক্কা মারে একটি টোটোকে। এরপরেই টোটোতে উপস্থিত কৃষকদের মধ্যে তিনজন সেখানেই মারা যান। অন্য একজনের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় মৃত্যু হয়। আরেকজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তাঁরা জানিয়েছেন, মৃতেরা আহোরা এলাকার বাসিন্দা। ঘাতক লরিটিকে আটক করা হয়েছে ও ঘটনার তদন্ত করছে পুলিস।
জাতীয় সড়ক, রাজ্যের হাইওয়ে এবং বিভিন্ন জেলার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় বেআইনি টোটো, অটো এবং তিন চাকার যান চলাচল নিষিদ্ধ করল রাজ্য সরকার। এদিন পরিবহণ দফতর থেকে জারি করা হল নোটিফিকেশন। তাতেই বলা হয়েছে, এই সব রাস্তায় বেআইনিভাবে এই সমস্ত যান চলাচলের ফলে বাড়ছে দুর্ঘটনা। একইসঙ্গে রোজই নানা অসুবিধার মুখে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
ইতিমধ্যেই সমস্ত জেলা পুলিশ, প্রশাসনকেও এই নির্দেশের বিষয়ে জানানো হয়েছে বলে খবর। এরপরেও বেআইনিভাবে এই যানগুলি চললে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ২৮ অগস্ট বিধানসভায় এই বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। কীভাবে বাসে ফের যাত্রী সংখ্যা বাড়ানো যায় সেদিন তিনি সেই প্রসঙ্গও তোলেন বলে খবর।
সাফ বলেছিলেন, “গত দশ বছরে প্রচুর ছোট গাড়ি রাস্তায় নেমেছে। অটো, ই-রিকশা, লোকাল টোটোও আমরা রাস্তায় দেখি। বিভিন্ন জায়গায় শয়ে শয়ে বেকার যুবকরা এগুলি চালিয়ে তাঁদের জীবিকা নির্বাহ করছেন। তাঁদের তো আমরা সহজে তুলে দিতে পারব না। ফলে লোকাল প্যাসেঞ্জাররা এগুলিতেই বেশি চাপেন। যাত্রী পেতে চাপ বাড়ে বাসগুলির। হু হু করে কমতে থাকে যাত্রী। সবথেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে লং রুটের বাসগুলির। ফলে ইতিমধ্যেই অনেক বাস রুট ইতিমধ্যেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তাই আমরা সমস্ত পৌরসভা, পঞ্চায়েতগুলিকে নির্দেশিকা পাঠাচ্ছি। সমস্ত লোকাল পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে বসে অটো, ই-রিকশাগুলিকে যাতে একটি নির্দিষ্ট এলাকাতেই শুধু চালানো যায় সে বিষয়ে আলোচনা করতে বলেছি।” তাঁর এ মন্তব্যের পর মাস ঘুরতে না ঘুরতেই এল নয়া সিদ্ধান্ত। স্বভাবতই তা নিয়ে নতুন করে তৈরি হয়েছে চাপানউতোর।
সংসারের হাল ধরতে টোটো (Toto) চালিয়ে রোজগারের পথ বেছে নিল বছর পনেরোর গায়ত্রী হালদার। বর্তমানে গাইঘাটা (Gaighata) এলাকার সকলের পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছে। সকাল হলেই টোটো নিয়ে বেরিয়ে পড়ে সে। মাঝে কিছুটা সময় স্কুলে পড়াশোনা, তারপর আবারও টোটো নিয়ে যাত্রীদের এক প্রান্ত থেকে অপরপ্রান্তে পৌঁছে দেওয়ায় কাজ। আর এই যাত্রী পরিষেবা দিয়ে উপার্জন করা অর্থেই এখন চলছে গোটা সংসার।
কারণ পরিবারের একমাত্র রোজগেড়ে বাবা অলক হালদার শারীরিক অসুস্থতার কারণে শয্যাশই হয়ে পড়ায়, সংসারের হাল ধরতে জেদ করেই টোটো চালানো শেখা গায়ত্রীর। ছোট্ট টালির চাল দেওয়া বাড়িতে অসুস্থ বাবা, মা ও দিদিকে নিয়ে সংসার গায়েত্রীর। শুধু সংসারের হাল ধরাই নয়, পাশাপাশি দিদির পুলিস হওয়ার ইচ্ছেকেও এগিয়ে নিয়ে যেতে বোন হয়ে দিদির পাশে দাঁড়িয়েছে গায়ত্রী। ছোট মেয়ের সংসার চালানোর এই লড়াই দেখে, মা কৃষ্ণা হালদারও এলাকার দুটি বাড়িতে পরিচারিকার কাজ শুরু করেছেন। এলাকার মানুষও গায়েত্রীর এই লড়াইকে আজ কুর্নিশ জানাচ্ছেন।
প্রথম অবস্থাতে নানা বিদ্রুপ কটুক্তির শিকার হতে হয়েছে গায়ত্রীকে। তবে তাঁর লড়াই-এর কাছে মাথা নত করতে হয়েছে সকলকে। এখন টোটো স্ট্যান্ডের সকলেই এমনকি পাড়া-প্রতিবেশীরাও সব রকমভাবে সাহায্য করেন বছর পনেরোর টোটো চালক গায়ত্রীকে। মাঝে কিছুদিনের জন্য টোটো খারাপ হয়ে যাওয়ায় টোটো স্ট্যান্ডে গায়ত্রীকে দেখা না যেতেই খোঁজ পরে তার। জানা যায় টোটোর ব্যাটারি খারাপ হয়ে যাওয়ার কারণেই সমস্যায় পড়েছিল গায়ত্রী। পাড়া প্রতিবেশী ও টোটো চালকদের সাহায্যে আবারও নতুন ব্যাটারি লাগিয়ে পুনরায় যাত্রী পরিষেবা দিতে পথে নামে গায়ত্রী। মেয়ের এই লড়াই দেখে রীতিমত চোখে জল এনে দিচ্ছে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী বাবা অলক হালদারের। শারীরিকভাবে সুস্থ হয়ে মেয়েকে এই কষ্ট থেকে মুক্তি দিতে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি। বাবার চিকিৎসা খরচ থেকে শুরু করে দিদির পড়াশোনা এমনকি বাড়ির সকলের খেয়াল রাখতে গিয়ে নিজের সমস্ত শখ আহ্লাদ ভুলে সকাল বিকেল টোটো চালিয়েই অর্থ উপার্জন করছে বছরে পনেরোর এই ছোট্ট মেয়েটিকে।
স্থানীয় ঢাকুরিয়া বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারাও আজ গায়েত্রীর পাশে রয়েছে এবং সব রকমভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। তবে পড়াশোনা চালিয়ে গেলেও স্কুলের বন্ধুবান্ধবদের ব্যবহার নিয়ে আক্ষেপের সুর গায়ত্রী গলায়।
এত ছোট বয়সে গায়ত্রী আজ টোটো চালক। তাই হয়তো ক্লাসের অন্যান্য সহপাঠীরা সেভাবে কথা বলে না তার সঙ্গে। সেই কারণে স্কুলে আসলেও মানসিকভাবে একাই কাটাতে গায়ত্রীকে। সেই কথা বলতে গিয়ে রীতিমতো চোখের জল চলে আসলো নবম শ্রেণীর এই ছাত্রীর। গায়ত্রীর এখন চায় সরকারি সাহায্য করা হোক বা যেভাবে হোক বাবাকে সুস্থ করে তুলতে। এত অল্প বয়সে পরিবারের হাল ধরতে কজনই বা পারে! তাই টোটো চালক গায়ত্রী যেন আজ সমাজে লড়াইয়ের দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে।
বেআইনি টোটো (Illegal Toto) দৌরাত্ম্য কমাতে বেআইনি টোটো বিক্রেতদের বিরুদ্ধে অভিযানে নামলো পুরুলিয়া (Purulia) আরটিও (RTO) দফতর। শহরে যেখানে সেখানে গজিয়ে ওঠা অনুমতিহীন টোটো দোকান গুলিতে গিয়ে অভিযান চালিয়ে টোটো কেনাবেচার উপর নিষেধাজ্ঞা (Prohibition) জারি করেছেন আরটিও দফতরের আধিকারিকরা।
শুক্রবার, শহরের বিটি সরকার রোড, দেশবন্ধু রোড সহ শহরের একাধিক টোটোর দোকানে গিয়ে তাঁদের টোটো বিক্রির অনুমতির কাগজপত্রের খোঁজ নেন আরটিও আধিকারিকরা। যদিও অধিকাংশ দোকান গুলির বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি দোকান মালিকরা। ফলে তাঁদের কড়া ভাষায় সতর্ক করা হয়। অনেক দোকানের মালিকরা আরটিও দফতরের আধিকারিক পৌঁছানোর আগেই দোকান ছেড়ে পালিয়ে যান।
এদিন আরটিও দফতরের আধিকারিক বলেন, শহরে অনুমতিহীন টোটো বিক্রি হলেও সেই সব টোটোর কোনও রেজিস্ট্রেশন নেই। ফলে রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই শহরে অবাধে চলছিল এই বেআইনি টোটোগুলি। সম্প্রতি বেআইনি টোটোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেই, প্রথম ধাপে বেআইনি টোটো বিক্রি রুখতে এদিনের এই অভিযান। আগামী দিনে রাস্তায় যেসব নম্বরবিহীন বেআইনি টোটো চলছে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, শহর জুড়ে টোটোর দৌরাত্ম্যের ঘটনা নতুন নয়। দিন যত বাড়ছে, পাল্লা দিয়ে ততো বাড়ছে টোটোর সংখ্যা। সরকারি নির্দেশিকাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কার্যত বিনা লাইসেন্স এবং বিনা নম্বরে টোটো নিয়ে রাস্তায় রাজত্ব করছে এই বেআইনি টোটো গুলি। এর ফলে শহর জমছে ব্যাপক যানজট। যখন তখন সড়কপথে ঘটছে দুর্ঘটনা। আর তাই শুক্রবার আরটিও দফতরের আধিকারিকরা বেআইনি টোটো দৌরাত্ম্য রুখতে শহরের বিভিন্ন অনুমতিহীন দোকানগুলিতে অভিয়ান চালায়।
টোটো (Toto) ভাড়াকে কেন্দ্র করে যাত্রী ও চালকের মধ্যে বাধে বচসা। কথা কাটাকাটি পরিণত হয় হাতাহাতিতে। ঘরবাড়ি ভাঙচুর, ইটবৃষ্টির মতোও ঘটনা ঘটে। ঘটনায় জখম (Injured) হয় বেশ কয়েকজন। এমনকি এক টোটো চালককে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে যাত্রীর পরিবারের বিরুদ্ধে। তবে টোটো চালকের বিরুদ্ধেও মারধর করার পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন যাত্রীর পরিবারের সদস্যরা। উত্তর দিনাজপুরের (North Dinajpur) ইসলামপুর থানার নয়াবস্তি এলাকার ঘটনা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ইসলামপুর থানার বিশাল পুলিস বাহিনী (Police)। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। তবে ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়।
জানা গিয়েছে, নয়াবস্তি এলাকায় আজমেরী নিসা নামে এক মহিলার বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল। সোমবার দুপুরে সেই অনুষ্ঠান সম্পূর্ণ হয়ে যায়। এরপরেই ওই বিয়ে বাড়িতে আসা বিহারের কিছু আত্মীয় এলাকারই এক টোটো ভাড়া করতে যান। তখনই ভাড়ার টাকা নিয়ে বচসা শুরু হয় দু'পক্ষের মধ্যে। পরে সেই ছোট্ট বচসা রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়।
স্থানীয়দের দাবি, বেশ কিছুক্ষণ ধরেই দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, মারধর, ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও ইট ছোঁড়ছুঁড়িও চলে। যার ফলে দু'পক্ষেরই বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন। স্থানীয়রা আরও জানান, ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনতে না পেরে খবর দেওয়া হয় পুলিসে। তারপর পুলিস এসে জখমদের উদ্ধার করে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়।
বেপরোয়া ট্রেলারের (Car) ধাক্কায় দুমড়ে মুচড়ে গেল আস্ত একটি টোটো। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন টোটো চালক (Driver)। ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুর (Durgapur) কোক ওভেন থানা এলাকার পি.সি.বি.এল রোডে। অভিযোগ, পুলিসের নজর এড়িয়ে এই রাস্তাতে সারাদিনই দ্রুত গতিতে গাড়ি চলাচল করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাত প্রায় ১১ টা নাগাদ বিকট শব্দ শুনে বেরিয়ে আসে স্থানীয় এক ক্লাবের সদস্য ও স্থানীয়রা। দ্রুত গতিতে থাকা একটি ট্রেলারট ধাক্কা মারে টোটোকে। ট্রেলারের ধাক্কায় টোটোর সামনের বাঁদিকের চাকা দুমড়ে মুচড়ে যায়। এমন অবস্থাতে টানতে টানতে টোটোকে নিয়ে যায় বেশ অনেকটাই। স্থানীয়রা ট্রেলারটিকে দাঁড় করাতেই পালিয়ে যান চালক ও খালাসি দু'জনই। খোঁজ পাওয়া যায়নি ট্রেলার চালকের। এমনই দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের। এই ঘটনায় উত্তেজিত হয়ে ওঠেন স্থানীয়রা।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কোকওভেন থানার পুলিস ও মুচিপাড়া ট্রাফিক পুলিস। পুলিসের তরফে স্থানীয়দের জানানো হয়েছে, টোটো চালক আশষ্কাজনক অবস্থায় দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। পাশাপাশি স্থানীয়দের অভিযোগ, রাত বাড়তে এই রাস্তাতে বেপরোয়াভাবে গাড়ি যাতায়াত করে। এর জেরে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন স্থানীয় পথচারী মানুষজন থেকে বাইক আরোহীরা। প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয়। প্রশাসনে দৃষ্টি আর্কষণের আর্জি স্থানীয়দের।
একরত্তি শিশুকে কোলে নিয়ে টোটো চালিয়ে রোজগার এক ব্যক্তির। এই কাহিনি এক অসহায় বাবার। ওই ব্যক্তির নাম কমলেশ বর্মা (৩২)। সন্তান জন্মের কয়েক মাস পরেই কমলেশের স্ত্রী অন্তিমা মারা যায়। তারপর থেকেই মা এবং ৮ মাসের এক কন্যাসন্তান সরস্বতীকে নিয়েই তাঁর পরিবার। এক সংবাদমাধ্যমে ওই ব্যক্তি জানান, '৩ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল আমার। সে সময় একটি কারখানায় কাজ করতাম। মাসে ৮-১০ হাজার টাকা উপার্জন হত। তাতে ভাল ভাবে সংসার চলে যেত। আট মাস আগে আমাদের কোল আলো করে সরস্বতী আসে। স্ত্রী আর আমি খুব আনন্দে দিন কাটাচ্ছিলাম। কন্যাসন্তান হওয়ায় অনেকেই আমাদের দু’জনকে নানা কটু কথা শুনিয়েছিল। কিন্তু আমরা তাতে খুব একটা পাত্তা দিতাম না। মেয়েকে নিয়েই আমাদের সময় কেটে যেত।'
তিনি আরও বলেন, সব কিছু ঠিকঠাকই এগোচ্ছিল। কিন্তু তার মধ্যেই আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন স্ত্রী। তারপরই মৃত্যু হয় তাঁর। কমলেশ জানান, “স্ত্রী মারা যাওয়ায় খুব ভেঙে পড়েছিলাম। মেয়েটার জন্য খুব চিন্তা হত। কীভাবে ওকে মানুষ করব। ওই একরত্তি দুধের শিশুটি জানতেও পারেনি তাঁর মা আর নেই। অগত্যা কোনও পথ খুঁজে না পেয়ে মেয়ের দেখাশোনার দায়িত্ব নিজেই নিলাম। বৌদিদের বলেছিলাম সরস্বতীকে দেখাশোনার জন্য। কিন্তু ওঁরা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম আমিই মেয়েকে বড় করে তুলবো। কিন্তু বুঝতে পারছিলাম না কী করব, কোথা থেকে শুরু করব। সন্তানকে দেখাশোনা করতে গিয়ে চাকরিটাও চলে গিয়েছিল। ফলে আরও সমস্যায় পড়েছিলাম। কিন্তু মেয়েকে তো বাঁচিয়ে রাখতে হবে! টাকাপয়সা যা ছিল সবই খরচ হয়ে গিয়েছিল। একটা সময় ছিল যখন ধার করে হলেও মেয়ের জন্য দুধ কিনতে হয়েছে।'
তবে এই পরিস্থিতিতে কমলেশকে একটি টোটো কিনে দেন তাঁর শ্যালক। পরে বন্ধুর থেকে টোটো চালানো শিখে কমলেশ। আর এখন সেই টোটোই তাঁর উপার্জনের একমাত্র উপায়। কমলেশ প্রতিদিন ভোরে উঠে রান্না করে। তারপর মাকে খাইয়ে, মেয়ের জন্য খাবারের জোগাড় করে। পরে মেয়েকে খাইয়ে তাঁকে সঙ্গে করেই টোটো নিয়ে বেরিয়ে পড়েন কমলেশ। মেয়েকে কোলের সঙ্গে বেঁধে নিয়ে ৫০ কিলোমিটার টোটো চালান কমলেশ। টোটো চালিয়ে দিনে ৮০০-১০০০ টাকা আয় হয় কমলেশের। এভাবেই একরত্তি মেয়ের মা এবং বাবা দুটোর দায়িত্বই পালন করে চলেছেন তিনি।
বুধবার সাতসকালে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী (Student) টোটো চালকের (Toto Driver) ক্ষতবিক্ষত ও পচাগলা দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে রঘুনাথগঞ্জ (Raghunathganj) থানার অন্তর্গত আলের ওপর এলাকায়। পুলিস জানিয়েছে, মৃত (Death) ছাত্রের নাম দীপঙ্কর মণ্ডল। সে এই বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী, সাগরদিঘী হাইস্কুলের ছাত্র।
জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘী থানার অন্তর্গত কান্তনগর গ্রামের বাসিন্দা দীপঙ্কর মণ্ডল। পরিবারের স্বচ্ছতার জন্য টোটো চালিয়ে সংসার চালান। রবিবার রঘুনাথগঞ্জের আলের ওপর এলাকায় তাকে টোটো নিয়ে আসতে বলা হয়। কারণ, কুমড়ো নিয়ে যাওয়ার জন্য ওই টোটো ভাড়া করা হয়। সেই মতো রঘুনাথগঞ্জে এসে উপস্থিত হয় দীপঙ্কর। রবিবার ভোরেই টোটো নিয়ে বাড়ি থেকে রওনা দেন। কিন্তু তারপরে আর বাড়ি ফিরে আসেননি।
পরিবারের সদস্যরা উৎকন্ঠার মধ্যেই ছিল। দীর্ঘ দুই দিন পর অবশেষে নিখোঁজ থাকার পরে বুধবার সাত সকালে রঘুনাথগঞ্জের আলের ওপরের মাঠে ক্ষতবিক্ষত পচাগলা অবস্থায় দেহ উদ্ধার করে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিস। তিনদিন ধরে নিখোঁজ থাকার পরে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা হয়েছে টোটো। পুলিস দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
অভিযুক্তদের আটক করে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিসের গাড়ি থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ কাউন্সিলরের (TMC Councillor) বিরুদ্ধে। পানিহাটি পুরসভার (Panihati Incident) ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের পুলিস নিরাপত্তা তুলে নিয়ে, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি খড়দহ থানার। জানা গিয়েছে, দুর্গাপুজোর কেনাকাটার ভিড় ছিল সোদপুর স্টেশন রোড মার্কেটে। মানুষের ভিড় সামলাতে হিমশিম অবস্থা ট্রাফিক পুলিস ও খড়দহ থানার। সেই সময় সোদপুর ব্রিজে ওঠার মুখে টোটো চালকরা (Toto-Police scuffle) ট্রাফিক নিয়ম মানছিলেন না। এই নিয়ে কর্তব্যরত সিভিক ভলান্টিয়ার টোটো চালকদের সঠিক ট্রাফিক রীতি মানতে বলেন।
সেই নির্দেশ ঘিরে শুরু হয় বচসা, টোটো চালকদের সঙ্গে সিভিক পুলিসের গণ্ডগোল বাঁধে। এমনকি কর্তব্যরত সিভিক পুলিসকে মারধরের অভিযোগ ওঠে টোটো চালকদের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে খড়দহ থানার পুলিস। অভিযুক্ত দুই টোটো চালককে আটক করে খড়দহ থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় সোদপুর ট্রাফিক মোড়ে পুলিসের জিপ থেকে অভিযুক্তদের নামিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে পানিহাটি পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের পৌরপিতা গোবিন্দ দাসের বিরুদ্ধে। পরবর্তী সময়ে খড়দহ থানার পুলিশ গিয়ে ওই দুই অভিযুক্ত টোটো চালককে গ্রেফতার করে। এদিকে, অভিযুক্তদের পুলিসের গাড়ি থেকে নামানোর ঘটনায় কাউন্সিলর গোবিন্দ দাসের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করে ব্যারাকপুর কমিশনারেট।
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কাউন্সিলর। পাশাপাশি এ ঘটনায় নিন্দা জানান পানিহাটির বিধায়ক নির্মল ঘোষ। তিনি বলেন, 'পুলিস-প্রশাসন তাঁদের কাজ করবে। অন্যায় ভাবে পুলিশের কাজে বাধা দিলে কাউকে রেয়াত করা হবে না। পাশাপাশি শাসকদলের কাউন্সিলরের এই ঘটনার সমালোচনায় সরব বিজেপিও।
অটো (Auto) ও টোটোর (Toto) মধ্যে ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় মহেশতলা (Maheshtala) ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের ব্যানার্জি হাট বাগমারি মোড়ে। অটোচালককে মারধর (Beaten) করার অভিযোগ ওঠে টোটো চালকদের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিস। এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দুটি টোটো সহ তিনজন টোটো চালককে আটক (Arrested) করে নিয়ে যায় থানায়।
জানা গিয়েছে, অটোচালককে মারধর করার অভিযোগে ব্যানার্জি হাট থেকে টোটো নিয়ে যাওয়ার সময় অটো চালকরা বাইক নিয়ে টোটো চালককে ধাওয়া করেন। প্রায় এক কিলোমিটার দূরে গিয়ে টোটোকে বাইক নিয়ে ধাক্কা মারেন অটোচালকরা। এরপরই টোটো রাস্তায় উল্টে যায়। ঠিক সেই সময় এক ব্যক্তি স্কুটি করে তাঁর তিন মাসের শিশু সন্তানকে নিয়ে বাড়ি যাচ্ছিলেন। ওই টোটো গিয়ে পড়ে তাঁদের গায়ের উপর। আহত হয় তিন মাসের শিশু। শিশুকে উদ্ধার করে একটি বেসরকারি নার্সিংহোম নিয়ে যাওয়া হয়। এবং টোটো চালক রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকেন। টোটো চালকে পুলিস উদ্ধার করে মহেশতলা পৌরসভা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কানের কাছে চারটি সেলাই করেন চিকিৎসক।
মহেশতলা থানার পুলিস এই ঘটনায় টোটো ও অটোর বেশ কয়েকজনকে আটক করে।
এ যেন অবাক কাণ্ড। হাসপাতালে (hospital) আসার পথে অসম্ভব প্রসবযন্ত্রণা (labor pains), এরপরই চমৎকার! মাঝরাস্তায় টোটোর মধ্যেই এক ফুটফুটে পুত্রসন্তানের জন্ম দিলেন মা। উলুধ্বনি দিয়ে সদ্যোজাতকে শুভকামনা জানালেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। শুক্রবার এমনই এক ঘটনার সাক্ষী রইল হাবরা (Habra) থানার নতুনহাট।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দেগঙ্গা (Deganga) থানার উত্তর বারণী এলাকার বাসিন্দা অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ মৌমিতা গাইন টোটোতে (toto) করে হাবরা হাসপাতাল যাচ্ছিলেন। টোটোতে যেতে যেতেই শুরু হয় প্রসব যন্ত্রণা। শেষমেষ হাবরা থানার নতুনহাট কাঠালতলা বাজারে স্থানীয় মহিলাদের তৎপরতায় টোটোর চারদিকেই কাপড় দিয়ে ঘিরে টোটোর মধ্যেই একটি ফুটফুটে পুত্রসন্তানের জন্ম দিলেন মৌমিতা। এরপরে স্থানীয় এক কোয়াক ডাক্তারের সহযোগিতায় বর্তমানে সুস্থ রয়েছেন মা এবং সদ্যজাত সন্তান।
পরিবার সূত্রে খবর, মৌমিতা দেবীর পাঁচ বছরের এক কন্যা সন্তান রয়েছে। তারপরে এই ছেলে হওয়ায় স্বভাবতই খুশি মা। শুধুই যে বাবা-মা খুশি তা নয়, এই ঘটনার সাক্ষী থাকতে পেরে খুশি স্থানীয়রাও। এমনকি উলুধ্বনির মধ্য দিয়ে সদ্যোজাতকে বরণ করে নেন স্থানীয়রা। এমন ঘটনায় সদ্যোজাতকে দেখতে ভিড় জমিয়ে ছিলেন এলাকার সাধারণ মানুষ থেকে কচিকাচারা। কেউ তুলে দিলেন তোয়ালে আবার কেউ আশীর্বাদ স্বরূপ বাবা-মায়ের হাতে তুলে দিলেন টাকা।
স্থানীয়দের মধ্যে কেউ কেউ তো আবার বাবা মায়ের উদ্দেশ্যে বলতে শোনা গেল, বড় হলে ছেলেকে জন্মস্থান দেখাতে নিয়ে আসবেন। এরপরে সেই টোটোতে করেই সদ্যোজাতকে নিয়ে দেগঙ্গার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন দম্পতি।
স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি (Independence day) উদযাপন গোটা দেশ জুড়ে। আমরা আজ স্বাধীন দেশের নাগরিক (citizen)। তাই বলে কি আমরা আইন নিজেদের হাতে তুলে নিতে পারি? আইন কি আমাদের সেই স্বাধীনতা দিয়েছে? বোধহয় না। তবুও কখনও কখনও সাধারণ মানুষ নিজেদের হাতে আইন তুলে নেন। যেমন আইন নিজের হাতে তুলে নিলেন নয়ডার এক মহিলা।
ঠিক কী হয়েছিল? এক টোটোচালককে (toto driver) দাঁড় করিয়ে টানা ১৭ টি চড় মারলেন অভিযুক্ত ওই মহিলা। এই খবরের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় (social media) ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ওই টোটোচালকের জামার কলার ধরে রয়েছেন এক মহিলা। কিন্ত কেন?
কলার ধরে রীতিমতো মুখে শাসিয়ে যাচ্ছেন টোটোচালককে। একের পর এক চড় মারছেন ওই ব্যক্তির গালে। অভিযোগ, টোটোচালককে ৯০ সেকেন্ডে ১৭টি চড় কষিয়েছেন ওই মহিলা। এই দৃশ্য দেখে মহিলার শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন নেটাগরিকরা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের নয়ডার সেক্টর ১১০-এ।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, টোটোচালককে মারধরে অভিযুক্ত মহিলার নাম কিরণ সিং। তিনি নয়ডার বাসিন্দা। তবে তাঁর আদি বাড়ি আগ্রায়। জানা গিয়েছে, নয়ডার সেক্টর ১১০-এর একটি বাজারের সামনে দিয়ে গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিলেন ওই মহিলা। সে সময় তাঁর গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লাগে ওই ব্যক্তির টোটোর। যদিও পুলিস জানিয়েছে খুব সামান্যই ধাক্কা লাগে গাড়িতে। গাড়ি তেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। এরফলেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ওই মহিলা। ধাক্কার পরই নিজের গাড়ি থেকে নেমে জামার কলার ধরে টোটো থেকে নামান চালককে। তারপরই তাঁকে গালি দেওয়ার পাশাপাশি একের পর এক চড় মারেন বলে অভিযোগ। এমনকি টোটোচালকের পকেট থেকে জোর করে টাকা তুলে নিতেও দেখা গিয়েছে ওই মহিলাকে। (যদিও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সিএন পোর্টাল)
Incident from NOIDA: A WOMAN slapped a poor e-rickshaw driver.
— Barkha Trehan 🇮🇳 / बरखा त्रेहन (@barkhatrehan16) August 13, 2022
17 slaps in less than 90 seconds, she constantly kept abusing the poor e-rickshaw wala. #PurushAayog demands strict action against the woman for taking law in her hand !!@noidapolice#DomesticViolenceOnMen pic.twitter.com/u2VbarbNW9
ঘটনার পর ওই মহিলার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন টোটোচালক। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত মহিলাকে গ্রেফতার করেছে নয়ডার পুলিস।
थाना फेस-2 पुलिस द्वारा ई-रिक्शा चालक के साथ मारपीट करने वाली महिला अभियुक्ता गिरफ्तार। pic.twitter.com/wyNTeEZl9G
— POLICE COMMISSIONERATE GAUTAM BUDDH NAGAR (@noidapolice) August 13, 2022