Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

TMCLeader

Dholahat: শিক্ষক মাত্রেই ভয়! ঢোলাহাটের স্কুলে পড়ুয়াদের পাঠাতে আতঙ্কে অভিভাবকরা

ঢোলাহাটের মাদ্রাসা স্কুলে শৌচালয়ে নাবালিকাকে আটকে রেখে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে অভিযুক্ত পার্শ্বশিক্ষক। তবুও আতঙ্ক কাটেনি পড়ুয়া ও অভিভাবকদের। সেকারণেই এখনও ওই মাদ্রাসায় পড়ুয়াদের পাঠাতে চাইছেন না তাদের অভিভাবক। ওই স্কুলের এক পড়ুয়ার অভিভাবক জানান, এই ঘটনা শোনার পর থেকে মেয়ে, স্কুল তো দূর কোনও গৃহ শিক্ষকের কাছেও পড়তে যেতে চাইছে না। এ অবস্থায় পড়ুয়া ও অভিভাবকদের মধ্যে রিতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। এছাড়া এ ঘটনায় স্কুল কতৃপক্ষের উপরও ক্ষিপ্ত স্থানীয়রা। 

সূত্রের খবর, যৌন নিগ্রহের পর ওই ছাত্রীকে স্কুলের শৌচালয়ে আটকে রেখে চম্পট দেয় অভিযুক্ত পার্শ্ব শিক্ষক। ঘটনার খবর পেয়েই ওই নাবালিকার পরিবার ঢোলাহাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে, অভিযোগের ভিত্তিতে পার্শ্বশিক্ষক গ্রেফতার হলেও নির্যাতিতার পরিবারকে হুমকি দিতে থাকে তৃণমূল নেতারা। নির্যাতিতার পরিবারের তরফে অভিযোগ, এই ঘটনাকে কার্যত মিথ্যে প্রমান করার চেষ্টা করছে বিদ্যালয় কতৃপক্ষ, এবং তাঁদের সাহায্য করছে তৃণমূল। স্থানীয়দের অভিযোগ, এই মাদ্রাসা বিদ্যালয়ে কোনও স্থায়ী শিক্ষক নেই, শুধু পার্শ্বশিক্ষক দ্বারা গোটা বিদ্যালয় চালানো হচ্ছে। 

স্থানীয়দের আরও গুরুত্ব অভিযোগ, এর আগেও অভিযুক্ত ওই পার্শ্বশিক্ষকের উপর অন্য ছাত্রীদের উতক্ত করার অভিযোগ ছি, সব জানা সত্ত্বেও প্রধান শিক্ষক তাঁকে নিযুক্ত করেছিলেন। নির্যাতিতার দাদা জানিয়েছেন, 'তার বোনের উপর ওই বিদ্যালয়ের পার্শ্বশিক্ষকের এই আচরণ কে ধিক্কার জানাই।' এবং ওই অভিযুক্ত পার্শ্বশিক্ষকের উচিত সাজার দাবি করেছেন নির্যাতিতার পরিবার ও অন্যান্য অভিভাবকরা। 

9 months ago
Sitalkuchi: প্রেমে বাধা দিতেই কি খুন হতে হলো তৃণমূল সদস্যার পরিবারকে!

প্রেমে বাধা দিতেই কি খুন হতে হলো তৃণমূল সদস্যার (Tmc Leader) পরিবারকে! বাড়িতে ঢুকে কুপিয়ে খুন করা হলো কোচবিহারের (Cooch behar) শীতলকুচির (Sitalkuchi) পঞ্চায়েত সদস্য, তাঁর স্বামী ও বড় মেয়েকে। ছোট মেয়েও গুরুতর আহত হয়ে ভর্তি হাসপাতালে। শুক্রবার সকালে ঘটনার টের পেয়ে স্থানীয়রাই এক অভিযুক্তকে ঘটনাস্থলে মারধর করে পুলিসের হাতে তুলে দেয়। পুলিস তৎপর হয়ে আরও দুজন অভিযুককে গ্রেফতার করে। স্থানীয়দের মারধরে আহত ব্যক্তিকে স্থানীয় এমজেএন মেডিকেল কলেজে নেওয়া হয়েছে, বাকি ২ জন অভিযুক্তকে থানায় নিয়ে গিয়েছে পুলিস।

শুক্রবার কোচবিহারের শীতলকুচির পশ্চিমপাড়ায় ঘটনাটি ঘটেছে। এই ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। পুলিস সূত্রে খবর, প্রাথমিক ভাবে অনুমান, পঞ্চায়েত সদস্যার ছোট মেয়ের প্রেমঘটিত সম্পর্কে টানাপোড়েনের জেরেই এই হত্যাকাণ্ড। আদতে সেটাই সত্যি নাকি এই খুনের পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে? কিংবা এই খুনে আরও কেউ জড়িয়ে আছে কিনা সেটার তদন্ত করে দেখছে পুলিস।


one year ago
Hanskhali: প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে খুন তৃণমূল নেতাকে

প্রকাশ্য দিবালোকে হাড়হিম করা হত্যাকান্ড। পরপর গুলিতে (Fire) ঝাঁঝড়া করে দেওয়া হলো তৃণমূল নেতাকে (Tmc Leader)। শুক্রবার সকালে নদিয়ার হাঁসখালি (Haskhali) থানার বড়চুকড়ি এলাকার ঘটনা। পুলিস জানিয়েছে, মৃতের নাম আমোদ আলী বিশ্বাস। শুক্রবার সকাল বেলায় বগুলা বড়চুকড়ি বাজার এলাকায় একটি চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন তিনি, তখনই এই ঘটনা ঘটেছে। প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানিয়েছেন, তিনি যখন দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন, তখনই আচমকা কিছু দুষ্কৃতী তাঁকে ঘিরে ধরে পরপর গুলি চালায়। এরপর ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। সূত্রের খবর, আমোদ তৃণমূল কংগ্রেসের ওই অঞ্চল কমিটির সহ-সভাপতি।

এ ঘটনার পর স্বাভাবিক ভাবেই পুলিসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। প্রকাশ্যে দিবালোকে এই খুনের ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকাবাসীরাও। পুলিস মৃতদেহটিকে উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে, অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিস।

one year ago


Meet: অনুব্রতহীন বীরভূমের দায়িত্বে খোদ মমতা, সংখ্যালঘু সেলেও রদবদল

ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা আন্দোলন (DA Agitation), নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ড, স্বচ্ছ নিয়োগের দাবিতে লাগাতার ধর্না আন্দোলন। পাশাপাশি সাগরদিঘির (Sagardighi Bye Poll) ফল এবং একের পর এক তৃণমূল নেতার (TMC Leader) জেল যাত্রা। এই আবহে সামনেই কড়া নাড়ছে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Vote)। আর তাই অনুব্রত-হীন বীরভূমের দায়িত্ব নিজের হাতে তুলে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata)। যেহেতু বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তাই দলের ত্রুটি-বিচ্যুতি ঢাকতে তৃণমূলকে এবার বাড়তি সময় দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কালীঘাটের বৈঠকে (Kalighat Meeting) এই সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়েছে।

জানা গিয়েছে, জেলা ধরে ধরে প্রতি শুক্রবার হবে সাংগঠনিক বৈঠক। এদিন দলের সুপ্রিমো একাধিক দায়িত্ব ভাগ করে দেন। আগামি পঞ্চায়েত ভোট ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়ার ডাক দেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এদিনের বৈঠকে যুব সংগঠন শক্তিশালী না করতে পাড়ার ব্যর্থতা স্বীকার করে নিয়েছেন যুবনেত্রী সায়নী ঘোষ। এদিন সাংসদ সুদীপ বন্দোপাধ্যায়, মালা রায় এবং বিধায়ক অতীন ঘোষ, পরেশ পালকে সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় হওয়ার পরামর্শ দেন মমতা। পুরনো ফরম্যাট মেনে জেলাভিত্তিক পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব এদিন ভাগ করে দেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

জানা গিয়েছে, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি জেলা দেখার দায়িত্বে গৌতম দেব। কোচবিহার জেলা বিশেষভাবে দেখার জন্য পার্থপ্রতিম রায়, রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এবং উদয়ন গুহকে নির্দেশ। সাগরদিঘি ভোটের প্রভাব তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলে। তরুণ মোশারফ হোসেনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সংখ্যালঘু সেলের সভাপতির দায়িত্ব। উত্তর দিনাজপুর মালদা-মুর্শিদাবাদ দেখার দায়িত্বে দুই সংখ্যালঘু মুখ সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী ও মোশারফ হোসেন।

বিশেষ দায়িত্বে রয়েছেন সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনও। দক্ষিণ দিনাজপুর দেখবেন তাপস রায়, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পুরুলিয়ার দায়িত্বে মলয় ঘটক। মানস ভুঁইয়া দেখবেন দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলা। জানা গিয়েছে, ফিরহাদ হাকিম দেখবেন হাওড়া-হুগলি, উত্তর দিনাজপুর আর বীরভূম দেখবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে। বর্ধমান, দার্জিলিংয়ের সঙ্গে নদীয়া জেলার অতিরিক্ত দায়িত্বে অরূপ বিশ্বাস। এই প্রসঙ্গে দলের সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান , এঁরা কেউ অবজারভার নয়। এঁদের উপর সংগঠন দেখার দায়িত্ব।  

one year ago
Anubrata: কলকাতা হাইকোর্টে অনুব্রতর জরিমানা! দিল্লি যাচ্ছেনই টিএমসি নেতা

কলকাতা হাইকোর্টের বড় ধাক্কা অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal)। তাঁর দিল্লি যাত্রায় আর কোনও বাধা থাকলো না। তৃণমূল নেতার (TMC Leader) দিল্লি যাত্রা স্থগিত সংক্রান্ত আবেদন খারিজ হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। পাশাপাশি একই আবেদন দেশের দুই হাইকোর্টে করার অপরাধে তৃণমূল নেতাকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এদিন মামলার শুনানিতে ইডির (ED) আইনজীবী জানান, 'প্রয়োজনে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি এইমসে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানো হবে। কারণ তাঁর চিকিৎসার ব্যাপারে আমরাও চিন্তিত। কোনও অপরাধীকেই ইডি ছাড়বে না। তদন্তের স্বার্থে প্রত্যেকেই প্রয়োজনে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।'

এদিকে, অনুব্রত মণ্ডলের দিল্লি যাওয়া রুখতে আসানসোল সিবিআই বিশেষ আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। শনিবার হাইকোর্ট ছুটি থাকলেও বিশেষ এজলাস গঠন করে শুনানি হয় অনুব্রত মণ্ডলের আবেদনের। যদিও সেই আবেদন খারিজ করেছেন হাইকোর্টের বিচারপতি বিবেক চৌধুরী।

one year ago


Kuntal: নিয়োগ-কাণ্ডে টাকার বিনিময়ে চাকরি! তাপসের কাছে কুন্তলের গ্যারান্টার যুব টিএমসি নেতা শান্তনু

শুক্রবার মেডিক্যাল টেস্টের পর সিজিও কমপ্লেক্সে ঢোকার মুখে বিস্ফোরক যুব তৃণমূল (TMC Leader) নেতা শান্তনু ঘোষ। তাঁর দাবি, 'নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে গোপাল দলপতি সবচেয়ে বেশি টাকা নিয়েছেন। তিনি এই দুর্নীতি-কাণ্ডের (Recruitment Scam) সবটা জানেন। তাপস কুমার মণ্ডল এবং নীলাদ্রি ঘোষও কোটি কোটি টাকা নিয়েছেন।' ইডি (ED) সূত্রে খবর, এই তিন জন নিয়োগ-কাণ্ডে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। 

এদিকে, শুক্রবার হুগলি বলাগড়ের যুব তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেকে পাঠিয়েছে ইডি। এই যুব তৃণমূল নেতাকে একদফায় জেরার পর চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেয়েছে ইডি। এমনকি, শান্তনুর বাড়িতে কেন্দ্রীয় সংস্থা অভিযান চালালে ৩০০ জন চাকরিপ্রার্থীর নামের তালিকা উদ্ধার হয়েছে। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি তাপস কুমার মণ্ডল কেন কুন্তল ঘোষকে ১৯ কোটি টাকা দিয়েছিল, প্রশ্ন করেন ইডি কর্তারা। তখন তাপসবাবু জানান, 'আমি দিতে চাইনি। কুন্তল ঘোষ, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্যারান্টার হিসেবে নিয়ে এসে বলেন একে বিশ্বাস করে টাকা দিন। এই ব্যক্তি তৃণমূলের যুবনেতা। শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেছিলেন আপনি টাকা দিন আমি চাকরির ব্যবস্থা করে দেব।'

জানা গিয়েছে, তারপরেই নামের তালিকা-সহ টাকা চলে যায় কুন্তল ঘোষের কাছে। সেই নামের তালিকা ইতিমধ্যে ইডির হাতে এসে পৌঁছেছে। এমনকি কুন্তল ঘোষের পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করতেন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনটাই তদন্তে জানতে পেরেছে ইডি। শান্তনুর একাধিক সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। তাই শুক্রবার তাঁকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি-সহ ইডি দফতরের হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


one year ago
Panihati: মুরগি ব্যবসায়ীকে মারধর এবং দোকান উচ্ছেদের হুমকি! কাঠগড়ায় তৃণমূল নেত্রী মা ও মেয়ে

পানিহাটির (Panihati Incident) বাসিন্দা এক ব্যবসায়ী মানিক বোস ও তাঁর ছেলে খড়দহ বিটি রোডের উপর দেড় বছর ধরে মুরগির (Chicken Shop) দোকান চালান। এবার সেই দোকান থেকে তাঁদের উচ্ছেদের হুমকি দিচ্ছেন স্থানীয় তৃণমূল নেত্রী। এই ঘটনায় ছেলের অভিযোগ, 'খড়দহ এলাকার তৃণমূল নেত্রী (TMC Leader) রাখি দত্ত পাল ও তাঁর মেয়ে অলিভিয়া পাল তাঁদের দোকান থেকে উচ্ছেদ করার হুমকি দিয়েছেন। তৃণমূল নেত্রী প্রথমে ব্যবসায়ীর কাছ থেকে মাসিক তিন হাজার টাকা করে ভাড়া নিতেন। এখন বলছেন ভাড়া বাবদ ছয় হাজার টাকা দিতে হবে। গত দেড় মাস ধরে আমাদের উপর অত্যাচার চালানো হচ্ছে। পৌরসভা এসে উঠে যেতে বলছে। একমাস আগে রাখি দত্ত পালের মেয়ে আমাকে মারধর করেছে। বাবাকেও এসে হুমকি দেওয়া হয়েছে।'

এই ঘটনায় তৃণমূল নেত্রী রাখি দত্ত পাল-সহ চার জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন ব্যবসায়ীর ছেলে প্রশ্নাতীত বোস। জানা গিয়েছে, দোকানে গিয়ে ভাঙচুর এবং কর্মীদের হুমকি দিয়েছেন সকন্যা তৃণমূল নেত্রী।

এই ঘটনায় যথেষ্ট আতঙ্কিত ব্যবসায়ী বাবা-ছেলে। খড়দহ পৌরসভা থেকে শুরু করে খড়দহ থানা বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ জানিয়েও কোন সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ তাঁদের। এমনকি তৃণমূল নেত্রীর মেয়ের সেই হুমকির ছবি ধরা পড়েছে সিএন-র ক্যামেরায়। যদিও গোটা ঘটনা অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেত্রী। তিনি বলেন, 'দোকানটি তাঁর থেকে ভাড়া নিয়েছেন ওই ব্যবসায়ী। এখন তাঁকে উঠে যেতে বলায় সেই ব্যবসায়ী কোনওভাবে উঠছেন না। বরং নিজের নামে লাইসেন্স বের করতে ওরা পৌরসভায় গিয়েছিল। এখন ও, ওই দোকান দখল করতে চাইছে। তাঁদের কোন হুমকি বা মারধর করা হয়নি। মেয়ের সামনে আমাকে বাজে কথা বলায়, গালিগালাজ করায় মেয়ে ধমক দিয়েছে। পুরো অভিযোগটা ভিত্তিহীন।'

one year ago
Howrah: 'কোর্ট অর্ডার থাকলেও সিবিআইয়ের কেউ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি', এবার ক্ষুব্ধ প্রতিমা দত্ত

দিন দুয়েক আগে রাজ্যের একাধিক ইস্যুতে সিবিআই তদন্ত (CBI Investigation) নিয়ে ঘুরিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। এবার সিবিআই প্রসঙ্গে সেই সুরই শোনা গেল নিহত তৃণমূল নেতা তপন দত্তর (TMC Leader Killed) স্ত্রীয়ের কণ্ঠে। বালির তৃণমূল নেতা তপন দত্ত খুনে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। কিন্তু চার মাস পেরোলেই কেন্দ্রীয় সংস্থার কেউ প্রতিমা দত্তর সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। মঙ্গলবার এই অভিযোগ করেন নিহত তপন দত্তর স্ত্রী।

ক্যালকাটা নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, 'ছয় মাসের মধ্যে আমার স্বামীর খুনের ঘটনার তদন্ত সিবিআইকে শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। কিন্তু সেই নির্দেশের পর চার মাস কাটলেও সিবিআইয়ের কেউ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। কিন্তু এই কোর্ট অর্ডার বার করতে আমার ১২ বছর সময় লেগেছে।'

তিনি জানান, দিলীপ দা হয়তো ঠিক বলেছেন। মানুষের মনেও একটু চিন্তা আছে। অনুব্রত মণ্ডলের মতো হাওড়ার নেতারাও বিত্তশালী। মূলত আমার যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা হয়তো সিবিআইয়ের সঙ্গে সেটিং করে নিয়েছে। একবারও কেউ ভাবছে না যে ১২ বছর লড়াই করে একজন কোর্ট অর্ডার বের করেছে। অন্তত তাঁর সঙ্গে এসে কথা বলি। কিন্তু কেউ প্রয়োজন মনে করেনি।

প্রতিমা দত্ত বলেন, '১২ বছর ধরে আমি মামলাটাকে জীবিত করে রেখেছিলাম। আমার ধারণা ছিল সিবিআই হয়তো বিষয়টি গুরুত্ব দেবে। কিন্তু ১২ বছর আগের এক খুনের কোনও প্রত্যক্ষ তথ্য প্রমাণ নেই। আছে শুধু পারিপার্শ্বিক তথ্য প্রমাণ এবং নথি। আরও দেরি করলে সেই তথ্য প্রমাণও নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা। তাই সিবিআই ঠিক কে চাইছে বুঝতে পারছি না।'

2 years ago


viral video: স্বাধীনতা দিবসে দেদার টাকা উড়িয়ে চটুল নাচের আসর, মধ্যমণি তৃণমূল নেতা

তৃণমূল নেতার নাচের ভিডিও ভাইরাল (viral video)। কিন্তু এ যেমন তেমন নাচ (dance) না, একেবারে দেদার টাকা (money) উড়িয়ে চলছে চটুল নাচের আসর। উপলক্ষ্য স্বাধীনতা দিবস (Independence Day)। তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির নেতৃত্বে এই অশ্লীল নাচের আসরে মঞ্চে ছিলেন খোদ অঞ্চল সভাপতি নিজেও। রাজ্যে আর্থিক দুর্নীতির দায়ে একের পর এক তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা যখন জেল হেফাজতে, ঠিক তখনই মালদহের (Maldaha) শোভানগরের এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল। যা গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয় বিতর্ক, উঠছে নিন্দার ঝড়। 

দেশ স্বাধীন হওয়াকে উপলক্ষ করে এই অশ্লীল নাচের আসর বসান শাসকদলের শোভানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের অঞ্চল সভাপতি আনোয়ারুল হক বলে অভিযোগ। মঞ্চে যখন নর্তকীরা নেচে চলেছেন অশ্লীল গানের তালে, ঠিক তখনই মঞ্চে কোমর দোলাচ্ছেন পঞ্চায়েত সভাপতি আনোয়ারুল হক। শুধু কোমর দোলানোই নয়, তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা নর্তকীর ওপর লুটিয়ে দিচ্ছেন হাজার হাজার টাকা। আর এই দৃশ্য উপভোগ করছেন মঞ্চের নিচে থাকা কয়েক হাজার সাধারণ মানুষ থেকে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। মূহূর্তের মধ্যে এই ভিডিও গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয় বিতর্ক। যদিও এই ঘটনার পর থেকেই সভাপতি আনোয়ারুল হক নিজের মোবাইল ফোন বন্ধ রেখে গা ঢাকা দিয়েছেন।

অন্যদিকে, এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নিয়ে তৃণমূলের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী জানান, "এই ঘটনা খুবই নিন্দনীয়। স্বাধীনতা দিবস আনন্দের দিন। এই দিনে এই ধরনের চটুল নাচের আসর বসানো মেনে নেওয়া যায় না। এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি আমি।" পাশাপাশি জেলা সভাপতিকে এই ঘটনা সম্পর্কে জানানো হবে বলেও জানান তিনি। 

পাশাপাশি সুর চড়িয়েছেন বিজেপির দক্ষিণ মালদহ সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি। তিনি বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন রাজ্যের সংস্কৃতি বাঁচাতে হবে। আর তাঁরই দলের সভাপতিরা চটুল নাচের আসর বসাচ্ছে। এটা তাঁদের কালচার হয়ে দাঁড়িয়েছে। দুর্নীতিতে জর্জরিত তৃণমূল নেতারা বুঝে উঠতে পারছে না তাঁদের অসাধু উপায়ে কামানো টাকা কীভাবে খরচা করবেন। 

2 years ago
Reaction: 'সম্পত্তিবৃদ্ধিতে নাম বাম-কংগ্রেস নেতাদেরও', দাবি ব্রাত্যর, মন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ সেলিমের

নেতামন্ত্রীদের সম্পত্তি বৃদ্ধি সংক্রান্ত মামলায় বিরোধীদের তরফে কাঠগড়ায় তৃণমূলের ১৯ নেতামন্ত্রী (TMC Leaders)। এবার সেই আক্রমণ ভোঁতা করতে পাল্টা আসরে রাজ্যের শাসক দল। এই জনস্বার্থ মামলায় হাইকোর্ট (Pil in High court) রায়ের অর্ধেক অংশ তুলে ধরা হচ্ছে প্রচার মাধ্যমে। পুরো কোর্ট অর্ডারে উল্লেখ আছে, বাম-কংগ্রেস (Left-Congress) নেতাদের নামও। যাদের সম্পত্তিবৃদ্ধি নিয়েও পর্যবেক্ষণ রয়েছে হাইকোর্টের। আর সেই তালিকায় নাম আছে সূর্যকান্ত মিশ্র, কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়, অশোক ভট্টাচার্য এবং অধীর চৌধুরীর মতো বিরোধী দলের নেতারা। বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে এই দাবি করেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।

যদিও তৃণমূলের তরফে তোলা এই অভিযোগ খণ্ডন করেছেন অশোক ভট্টাচার্য, কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়, অধীর চৌধুরীরা। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য বলেন, 'আমরা পার্টিকে বেতনের টাকা দিই, তার বিনিময়ে পার্টি আমাদের একটা লেভি দেয়। আমাদের ব্যক্তিগত কোনও রোজগার নেই। আর ওরা একটা সিআইডি তদন্ত করুক, তাতেই বেড়িয়ে যাবে আমার কত সম্পত্তি বেড়েছে। ব্রাত্য বসু একদম নতুন ওর অনেক আয়ের উৎস।'

তিনি জানান, তৃণমূল মানে সবাই চোর। পা থেকে মাথা পর্যন্ত চোর। বাম জমানার অপর এক মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের জবাব, 'কোর্ট কি এই নামগুলো বলেছে? তাহলে চোরেদের পার্টি কী অভিযোগ করল, তার জবাব কেন দেব? সিপিএম পার্টি সেই ধাতুতে গড়া নয়।'

তৃণমূলের এই অভিযোগ প্রসঙ্গে সিপিএম-র রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম আরও আক্রমণাত্মক ছিলেন। তিনি বলেন, 'আমাদের কাছে আরও যা নাম আছে কাউন্সিলর, পঞ্চায়েত প্রধান আরও যারা নেতা আছে ওদের তাঁদের নাম দেব। আমি চ্যালেঞ্জ ছুড়লাম ব্রাত্য বসুকে। সূর্যকান্ত মিশ্র, জ্যোতি বসু এঁদের নাম নিচ্ছেন, ওরা কোর্টে গিয়ে হলফনামা দিয়ে সিপিএম নেতাদের সম্পত্তি খুঁজতে ইডিকে পার্টি করুন। সাহস আছে, ইডিকে পার্টি করার? কিন্তু মিথ্যাচার করবেন না। রায়ে ওদের ১৯ জনের নাম আছে, রায় আর পিটিশনের তফাৎ বুঝতে হবে।'

যদিও এই বিষয় বিচারাধীন বলে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি বিজেপি।

2 years ago