টেট পরীক্ষায় মোবাইল নিয়ে পরীক্ষা। কেন্দ্রে প্রবেশ করায় গ্রেফতার দুই। জানা গিয়েছে, ধৃত একজন পরীক্ষার্থী, অপরজন তার বন্ধু। বন্ধুকে সহযোগিতা করতে পরীক্ষা কেন্দ্র প্রবেশ করেছিল অভিযুক্ত ওই যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার কৃষ্ণনগর কালিনগর উচ্চ বিদ্যালয়ে। সোমবার ধৃতদের কৃষ্ণনগর আদালতে তোলা হয়।
অভিযোগ, পরীক্ষা চলাকালীন কেন্দ্রের মধ্যে মোবাইল নিয়ে প্রবেশ করেছিল ওই দুজন অভিযুক্ত। তারপর তাদের আটক করে পরীক্ষকরা তাদের কাছ থেকে মোবাইল দুটি উদ্ধার হয়। এরপর দুজনকে আটক করে মোবাইল সহ তাদের পুলিসের হাতে তুলে দেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ।
পুলিস সূত্রে খবর, ধৃতরা হল সন্দীপ কুটি ও দেবাশীষ মৃধা। দুই জনের বাড়ি ধানতলা থানা বহিরগাছি এলাকায়। তাদের পরীক্ষার সিট পড়েছিল কৃষ্ণনগর কালিনগর উচ্চ বিদ্যালয়ে। দুই বন্ধুই পরীক্ষা দিতে ঢুকেছিল। কিন্তু এক বন্ধুকে সাহায্য করবে বলেই আর এক বন্ধু ঢুকেছিল। তারপর দুজনকেই ধরে ফেলে স্কুল শিক্ষকরা। মোবাইলসহ পুলিসের হাতে তুলে দেয় তাদের দুজনকে।
রবিবার ফের একবার রাজ্যে অনুষ্ঠিত হল প্রাথমিক টেট। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সূত্রে খবর, এবারের প্রাথমিক টেটে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩ লক্ষ ৯ হাজার ৫৪ জন। পরীক্ষা হয়েছে মোট ৭৭৩টি কেন্দ্রে। এরমধ্যে শহর কলকাতার পাঁচটি কেন্দ্রে চলল টেট পরীক্ষা। তার মধ্যে রয়েছে- চেতলা গার্লস, বাগবাজার মাল্টিপারপাস, শিয়ালদহ টাকি বয়েজ, যাদবপুর বিদ্যাপীঠ এবং দমদমের কুমার আশুতোষ ইনস্টিটিউশন। দুপুর ১২টা থেকে ২:৩০ পর্যন্ত সময় নির্ধারিত ছিল পরীক্ষার জন্য। কিন্তু বেশ কিছু কেন্দ্রে পরীক্ষা হলে ঢুকতে বাধার সম্মুখীন হন পরীক্ষার্থীরা। এমনকি অ্যাডমিট কার্ডে প্রবেশের শেষ সময়সীমা উল্লেখ না থাকায় কিছুটা বিভ্রান্তির মুখেও পড়তে হয় টেট পরীক্ষার্থীদের। যদিও পরবর্তীতে সিএনের খবরের জেরে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করেন পরীক্ষার্থীরা।
রবিবারের প্রাথমিক টেট নিয়ে যথেষ্ট কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিতে। এদিন সরেজমিনে সমস্ত দিক খতিয়ে দেখতে টেট পরীক্ষা কেন্দ্র সল্টলেকের এর ভগবতী দেবী বালিকা বিদ্যালয় পরিদর্শন করলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল। পাশাপশি প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রের নিরাপত্তার বিষয়গুলো খুঁটিয়ে দেখা হয়েছে বলে জানালেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন ডেপুটি সেক্রেটারি পার্থ কর্মকার।
গত ২০২২ ডিসেম্বরেও হয়েছিল প্রাথমিক টেট পরীক্ষা। যদিও সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া এখনো সম্পন্ন হয়নি। পাশাপাশি শহরের বুকে দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন করছেন চাকরিপ্রার্থীরা। নিয়োগ না হলেও ২০২৩-এও ফের একবার সম্পন্ন হল প্রাথমিক টেট। পরীক্ষার্থীরা জানাচ্ছেন, চাকরি না হলেও আপাতত এক বুক আশা নিয়েই পরীক্ষা দিতে এসেছেন তাঁরা।
এমনকি রবিবার রীতিমত নিরাশ হয়ে এক পরীক্ষার্থীর অভিভাবকও জানালেন তাঁরা কোনওরকম নিয়োগের আশা রাখছেন না এই টেট পরীক্ষা থেকেও। ২৪ ডিসেম্বর রাজ্যে ফের একবার প্রাথমিক টেট হলেও নিয়োগ কবে হবে জানেন না কেউই। এখনও পর্যন্ত শহরের বুকে নিয়োগের দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন চাকরিপ্রার্থীরা।এমনকি গত ২০২২ টেটের নিয়োগ অবধি এখনও হয়নি। তার মধ্যেই ফের একবার টেট সম্পন্ন হল রবিবার। আর এই নিয়েই প্রশ্নের মুখে থেকে যাচ্ছে মধ্যে শিক্ষা পর্ষদ সহ প্রশাসনের ভূমিকা। একবুক আশা নিয়েই যে ৩ লক্ষ পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিলেন আদৌ কি তাঁরা কখনও নিয়োগপত্র পাবেন? না কি তাঁদেরও ভবিষৎ রাজপথের আন্দোলনে কেটে যাবে ? প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।
আগামী ২৪ ডিসেম্বরই হবে টেট পরীক্ষা। ওই দিনই কলকাতার ব্রিগেড ময়দানে লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের ডাক দিয়েছে কয়েকটি সংস্থা। আর সেকারণেই প্রাথমিকের চাকরির টেট পরীক্ষা পিছনোর আর্জি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানিতে দিলীপ ঘোষের আবেদন খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট।
প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, পরীক্ষার দিন পরিবর্তন করা হবে না। ২৪ ডিসেম্বরই হবে টেট পরীক্ষা। রাজ্য প্রশাসনকে নিশ্চিত করতে হবে যাতে প্রত্যেক পরীক্ষার্থী পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছতে পারে। এ ব্যাপারে পরিবহন দফতরকে উপযুক্ত পরিবহন ব্যবস্থা রাখতে হবে। যারা পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড দেখাবে সেই পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছতে হবে নির্দেশ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের।
রবিবার বেলা ১২টায় শুরু চলতি বছরের টেট পরীক্ষা (TET Exam 2022), চলবে দুপুর আড়াইটে পর্যন্ত। মোট ১ হাজার ৪৫৩টি পরীক্ষাকেন্দ্রে এই পরীক্ষায় বসবেন ৬ লক্ষ ৯০ হাজার ৯৩১ জন। এই পরীক্ষার জন্য পরীক্ষার্থীদের নিশ্চিন্তে কেন্দ্রে পৌঁছতে রবিবার পথে নামবে ২ হাজারেরও বেশি সরকারি বাস ও ৩৬ হাজার বেসরকারি বাস। সব মিলিয়ে ৩৮ হাজার বাস নামবে ছুটির দিন। এই গণপরিবহণের (Bus-Train) পাশাপাশি চলবে বাড়তি ট্রেনও। পূর্ব রেল জানিয়েছে, বাড়তি ১৬ জোড়া ট্রেন চলবে শিয়ালদহ ডিভিশনে (Sealdah Division)। হাওড়া, আসানসোল, মালদা ও খড়গপুর ডিভিশনে সপ্তাহের অন্য দিনের মতোই ট্রেন চলবে রবিবার, পরীক্ষার দিন। পরীক্ষার নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ নিশ্ছিদ্র করতে, বায়োমেট্রিকের মাধ্যমে পরিচয় যাচাই, হাতে ধরা মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে তল্লাশি, সিসিটিভি নজরদারির মতো একগুচ্ছ পদক্ষেপ নিয়ে প্রস্তুত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (Primary Board)।
ইতিমধ্যেই পরীক্ষার্থী, অবজার্ভার, ইনভিজিলেটর, সেন্টার ইনচার্জ, পুলিশ, জেলা প্রশাসন-সহ পরীক্ষা ব্যবস্থায় যুক্ত সকলের কার কী করণীয় সেই সম্পর্কে বিস্তারিত নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে পর্ষদের তরফে। শুক্রবার আর একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে আবারও সতর্ক করা হয়েছে। বলা হয়েছে, পরীক্ষার্থী বা অন্য যে কেউ যদি গাইডলাইন লঙ্ঘন করেন বা পরীক্ষা সংক্রান্ত কোনও তথ্য বা নথি ডিজিট্যাল বা বৈদ্যুতিন মাধ্যমে আদানপ্রদান করেন, তার বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনি পদক্ষেপ নেবে পর্ষদ। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফেও চালু রয়েছে কন্ট্রোল রুম।
দেখুন টেট পরীক্ষা ঘিরে পর্ষদের চূড়ান্ত প্রস্তুতি কী রকম:
১) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের প্রবেশ করতে দেওয়া হবে
২) অবশ্যই ঢুকতে হবে ১১টার মধ্যে
৩) ১১.৩০-র মধ্যে অ্যাডমিট কার্ড, পরিচয়পত্রর প্রমাণ যাচাই করবেন ইনভিজিলেটর
৪) ১১.৩০ থেকে ১১.৪৫-এর মধ্যে পরীক্ষা সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করবেন ইনভিজিলেটর
৫) ১১.৪৫ মিনিটে পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্র (টেস্ট বুকলেট) এবং ওএমআর দেওয়া হবে
৬) ১১.৪৫ থেকে ১১.৫৯ পর্যন্ত টেস্ট বুকলেট ও ওএমআর-এ প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করবেন পরীক্ষার্থীরা
৭) বেলা ১২টা থেকে পরীক্ষা শুরু। ২.২৫ মিনিটে বাজবে ওয়ার্নিং বেল। পরীক্ষা শেষ হবে দুপুর ২.৩০-এ
৮) প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রের প্রবেশ-বাহির পথ ও কন্ট্রোল রুমে সিসিটিভির নজরদারি থাকবে
৯) পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার সময় হ্যান্ড হেল্ড মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি করা হবে পরীক্ষার্থীদের। বায়োমেট্রিকের মাধ্যমে যাচাই করা হবে পরিচয়
১০) পরীক্ষার্থীকে বৈধ পরিচয়পত্র যেমন, মাধ্যমিকের অ্যাডমিট, আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, প্যান কার্ড, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে আসতে হবে। নিয়ে আসতে হবে, কালো কালির বলপয়েন্ট পেন, যে ছবি অ্যাডমিট কার্ডে আছে, সেই ছবির একটি কপি ও অ্যাডমিট কার্ডের দু’টি কপি
১১) পরীক্ষাকেন্দ্রে নিষিদ্ধ বস্তুর তালিকা দীর্ঘ। যেমন, কাগজের টুকরো, ক্যালকুলেটর, জলের বোতল, সোনার গহনা, ঘড়ি বা হাতঘড়ি, ক্যামেরা, ওয়ালেট, সানগ্লাস, হাতব্যাগ, মোবাইল ফোন, ব্লু-টুথ, ইয়ারফোন, পেজার, হেল্থব্যান্ড ইত্যাদি
১২) বসতে হবে নির্ধারিত আসনেই। পরীক্ষা শেষে গোলাপী রঙের আসল ওএমআরটি ইনভিজিলেটর জমা নেবেন, সঙ্গে একটি অ্যাডমিট কার্ডের কপি। সবুজ রঙা ওএমআর ও প্রশ্নপত্র নিয়ে যেতে পারবেন পরীক্ষার্থী
১৩) ইনভিজিলেটর উপস্থিত পরীক্ষার্থীর জন্য নীল রঙের কালিতে ও অনুপস্থিতের জন্য লাল রঙের কালিতে স্বাক্ষর করবেন
১৪) টেট পরীক্ষার জন্য পরিবহণ দফতরের দুর্গাপুর হেডকোয়ার্টারের কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বপ্রাপ্তদের ফোন নম্বর ৭৩৬৩৯২০০৭০, ৯৪৩৪৬৭৩৮৪২
ডিইও শুভেন্দু দাসের ফোন নম্বর ৭৬৯৯৯৯৫৯১০
১৫) বেলঘড়িয়া ডিভিশনাল অফিসের দায়িত্ব থাকাদের নম্বর ৯৮৭৫৩৭৪২২৭, ৯৮৩৬৯৫৬১৯৯,৮৭৭৭০৪৭১৪৭
১৬) ডাব্লুবিটিসি-র কন্ট্রোল রুম নম্বর- ০৩৩ ২২৩৬০৪৬২ ও ২২৩৬০৪৬৩
ডিসেম্বরে নতুন করে টেট (TET Exam) পরীক্ষা নিয়ে বড়সড় সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। সূত্রের খবর, রবিবার শিক্ষক নিয়োগ (Recruitment) নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। পৃথক এই বৈঠক থেকে একটি সমাধান সূত্র বের করার চেষ্টা হয়েছে। জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেলে আরও একপ্রস্থ বৈঠকের সম্ভাবনা শিক্ষামন্ত্রী (Minister Bratya Basu) এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে টেট পরীক্ষা নিতে চায়। এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সঙ্গেও আলাদ বৈঠক করবেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এই প্রসঙ্গে ব্রাত্য বসু চাকরিপ্রার্থীদের উদ্দেশে বলেন, 'টেটের পরীক্ষা পর্ষদ চাইছে ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে। ওদের সঙ্গে বৈঠক ডেকেছি, দফতরের থেকে ওরা কী সহযোগিতা চায় জানতে চাই। সেই বৈঠকের পর পাকাপাকি ভাবে নির্দিষ্ট তারিখ জানাবো। আমরা আজ নিয়োগ নিয়ে বৈঠক করছি। নিয়োগ প্রাথমিক পর্ষদ এবং এসএসসি নিয়োগ করবে। মিছিল আন্দোলন না করে সরকারের উপর ভরসা রাখুন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর ভরসা রাখুনব। নিয়োগ শুধু সময়ের অপেক্ষা। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে নিয়োগ জট কাটাতে ক্রমাগত বৈঠক চলছে। রিপোর্ট নিয়েছি ব্যবস্থা প্রায় হয়ে গিয়েছে।' এই ইঙ্গিত গত সপ্তাহে দিয়েছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান গৌতম পাল। যদিও তিনি স্পষ্ট করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পরেই চূড়ান্ত দিনক্ষণ স্থির হবে।
এদিকে, টেট ২০১৭-র পরীক্ষার্থীরা দাবি আদায়ে রাজপথে। তাঁরা প্রশাসন এবং পর্ষদের উদাসীনতার অভিযোগে রাজ ভবন অভিযানের ডাক দিয়েছিল। কোর্ট নির্দেশ থাকা সত্বেও আটকে নিয়োগ। শিয়ালদহ-রাজ ভবন পর্যন্ত এই মিছিল শুরু মুখেই একাধিক চাকরিপ্রার্থীকে আটক করে লালবাজার সেন্ট্রাল লকআপে নিয়ে আসা হয়। এই মিছিলের একটি অংশ ধর্মতলায় পৌঁছলে নিউ মার্কেট থানার পুলিস আটক করে সেন্ট্রাল লকআপে নিয়ে যায়। তাঁদের দাবি, 'পুজোর আগে টেট ২০১৭-র নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করে স্বচ্ছ নিয়োগের দাবিতে এই প্রতিবাদ মিছিল।'