Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

TET2014

TET: ২০১৪ টেট উত্তীর্ণ 'সুজন চক্রবর্তী,শুভেন্দু অধিকারী দিলীপ ঘোষ', তালিকা প্রকাশ পর্ষদের

২০১৪-র টেট পরীক্ষা (TET 2014) দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), দিলীপ ঘোষ, সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty) এবং শুভেন্দু অধিকারী! শুনতে বিস্ময়কর হলেও এটাই সত্যি। ১১ নভেম্বর ২০১৪ টেট উত্তীর্ণদের তালিকা প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (Primary Board)। পাশ প্রার্থীদের তালিকায় রয়েছেন "দিলীপ ঘোষ, সুজন চক্রবর্তী, শুভেন্দু অধিকারীর" নাম। জেনারেলে ক্যাটাগরিতে নাম আছে শুভেন্দু অধিকারী, সুজন চক্রবর্তীর আর ওবিসি ক্যাটাগরিতে নাম দিলীপ ঘোষ।


সফল প্রার্থীতালিকার সঙ্গে রাজ্যের রাজনীতিবিদদের নাম এভাবে মিলে যাওয়া কি কাকতালীয়? এই নামে অন্য প্রার্থীরা পরীক্ষা দিয়েছিলেন, তাঁরাই কি ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ? এই প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে বাংলার রাজনীতিতে। যদিও এবিষয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন একদল আইনজীবী।


তবে আইনজীবী তথা আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারির মত, 'পুরোটাই অনুপ্রেরণা এবং জালিয়াতি। মানুষ যখন নকল বা জালিয়াতি করে তখন এভাবেই ভুল করে। কতটা জালিয়াতি আবার প্রমাণিত।' সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর মন্তব্য, 'আমার নামে আর কারও নাম থাকতেই পারে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারী, এঁরা সবাই নাকি ২০১৪ টেট উত্তীর্ণ। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যানের নামটা বাদ গেল কেন। উদোর পিন্ডির ভুঁদোর ঘাড়ে দেওয়া, দুর্নীতিকে স্পষ্ট করা। পথে বসে থাকা চাকরিপ্রার্থীদের ঠিক। এই তালিকার কোনও মূল্য নেই।' 

2 years ago
TET: 'আপনাদের জন্য মেধাবীরা লড়ছেন আর অযোগ্যরা চাকরি করছে', ফের পর্ষদকে খোঁচা কোর্টের

সোমবার টেটে (TET) নিয়োগ সংক্রান্ত বঞ্চনার কথা জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নেফাউর শেখ নামে এক চাকরিপ্রার্থী। আদালতকে (High Court) তিনি জানিয়েছিলেন, টেটের ভুল প্রশ্নের জন্য তাঁর নম্বর বাড়লেও বয়স পেরিয়ে যাওয়ায় তিনি ইন্টারভিউয়ে বসতে পারেননি। পর্ষদের ভুলের জন্য তিনি বঞ্চনার শিকার। আদালত পর্ষদকে (Primary Board) নির্দেশ দিক, যাতে তাঁকে পরীক্ষায় বসতে অনুমতি দেয়। সেই মামলার শুনানিতে সোমবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, 'প্রাথমিকের নিয়োগে সমস্যা যখন হয়েছে পর্ষদের ভুলেই। তাই তার খেসারতও তাদেরই দিতে হবে।'

প্রশ্ন ভুল মামলায় কত জনকে ৬ নম্বর দেওয়া হয়েছিল, কত জনকে দেওয়া সম্ভব, তা আগামী ৪ নভেম্বর পর্ষদকে জানানোর নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ২০১৪ সালে ২০ লাখ পরীক্ষার্থী টেট পরীক্ষা দিয়েছিল। তাঁদের মধ্যে এক লাখের বেশি পরীক্ষায় পাশ করেছিল। এদিন সংশ্লিষ্ট চাকরিপ্রার্থীর আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশ, ওই ক্যান্ডিডেটকে যাতে পরীক্ষায় বসানো যায় সেই ব্যবস্থা পর্ষদকে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে করতে হবে। এই নির্দেশ সবার জন্য। যারা ২০১৪-য় পরীক্ষায় বসেছেন, তাঁদের বয়সের ঊর্ধ্বসীমা পেরিয়ে গেলেও পরীক্ষায় বসতে দিতে হবে।

এদিন শুনানিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, 'পাহাড় প্রমান দুর্নীতিগ্রস্ত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। মেধাবী চাকরিপ্রার্থীরা লড়াই করছেন আর অযোগ্যরা চাকরি করে যাচ্ছে। যুব সমাজের কাছে প্রমাণিত দুর্নীতিগ্রস্ত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। একটা চাকরির জন্য মেধাবী চাকুরীপ্রার্থী দেওয়ালে মাথা ঠুকছেন, সেখানে পর্ষদের ভুলে চাকরি পরীক্ষায় বসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।'

2 years ago
TET: ফের কি করুণাময়ীর ধর্নাস্থলে ফিরতে পারবেন চাকরিপ্রার্থীরা? মঙ্গলবার হাইকোর্টে সিদ্ধান্ত

এপিসি ভবনের (APC Bhawan) সামনে আন্দোলনরত টেট ২০১৪ (TET 2014) চাকরিপ্রার্থীদের বলপূর্বক তুলে দিয়েছিল বিধাননগর পুলিস (Bidhannagar Police)। রাতের অন্ধকারে হওয়া সেই পুলিসি অভিযানের নিন্দায় সরব রাজনৈতিক দল থেকে নাগরিক সমাজ। যদিও পুলিসি ধরপাকড়ের দিনেই চাকরিপ্রার্থীরা হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, তাঁরা আবার ফিরে আসবেন। তাই থেমে না থেকে আবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসের সামনে আন্দোলনের পরিকল্পনা শুরু করছেন চাকরিপ্রার্থীরা।

তবে এবার আইনি পথে হেঁটে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের ছাড়পত্র কোর্ট থেকে নিয়েই ফের করুণাময়ী আসতে চান চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের গৃহীত পরিকল্পনার বাস্তবায়ন নির্ভর করছে কলকাতা হাইকোর্টের উপর। শুক্রবার টেট প্রার্থীদের দায়ের করা মামলার শুনানি বিচারপতি অমৃতা সিনহা এবং অজয়কুমার মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে থাকলেও, সেটা পাঠানো হয়েছে রেগুলার বেঞ্চে।

আগামী মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি হাইকোর্টের রেগুলার বেঞ্চে। ততদিন তাঁরা ধর্মতলায় মাতঙ্গিনী মূর্তির পাদদেশে ধর্না চালিয়ে যাবেন। এদিকে, কালীপুজোর আগে টেট ২০১৪ নন ইনক্লুডেড চাকরিপ্রার্থীদের ধর্না এবং আমরণ অনশনে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। নিয়োগপত্র না পেলে তাঁরা ধর্নাস্থল ছাড়বেন না, এই পণ করে আমরণ অনশন শুরু করে তাঁরা। ধর্নাস্থলে ১৪৪ ধারা লঙ্ঘন এবং পর্ষদ অফিসে কর্মীদের যাতায়াতে অসুবিধা তৈরি করছে চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান বিক্ষোভ। এই অভিযোগে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। আদালতের অবসরকালীন বেঞ্চ ধর্না নিয়ে কোনও মন্তব্য না করলেও, করুণাময়ী এলাকার সংশ্লিষ্ট স্থানের ১৪৪ ধারা কার্যকরের দায়িত্ব পুলিসকে দিয়েছিল।

এমনকি, পর্ষদ অফিসে ঢোকা ও বেরনোর সময় যাতে কর্মীদের অসুবিধা না হয়। সেদিক নিশ্চিত করতে বিধাননগর পুলিসকে দায়িত্ব দিয়েছিল কোর্ট। আদালতের এই নির্দেশ কার্যকর করতেই মধ্যরাতে পুলিসি ধরপাকড়ের মাধ্যমে ফাঁকা করা হয় ধর্নাস্থল। সেই অভিযানের সমালোচনায় সরব ছিল গোটা বাংলা।

2 years ago


Letter: 'আন্দোলন ভাঙতে পুলিসি বলপ্রয়োগকে ধিক্কার', অপর্ণা,অনির্বাণ, কৌশিক সেনদের বিবৃতি

শান্তিপূর্ণ অবস্থানে থাকা চাকরিপ্রার্থীদের (TET 2014 Job Aspirants) মধ্যরাতে জোর করে পুলিস বাসে তুলেছে বিধাননগর পুলিস (Bidhannagar Police)। ইতিমধ্যে পুলিসের 'অতি সক্রিয়তার' বিরুদ্ধে সরব হয়েছে শাসক-বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। সামাজিক মাধ্যমে সোচ্চার অপর্ণা সেন (Aparna Sen), সোহিনী সরকার, শ্রীলেখা মিত্ররা (Sreelekha Mitra)। এই পরিস্থিতিতে নিয়োগ জট কাটাতে সরকারকে আলোচনায় বসার আর্জি জানালেন বিদ্বজ্জনেরা (Intellectuals)। এমনকি মধ্যরাতে পুলিসি বলপ্রয়োগে আন্দোলন ভাঙার চেষ্টাকে ধিক্কার জানিয়েছেন অপর্ণা সেন, অনির্বাণ ভট্টাচার্য, বিনায়ক সেনরা।


তাঁরা লিখেছেন, 'সংবাদ মাধ্যমে আমরা দেখেছি যে অনশনরত চাকরিপ্রার্থীদের সরিয়ে দেওয়ার জন্য কীভাবে বিধাননগর পুলিশ বলপ্রয়োগ করে আন্দোলনকে ভাঙার চেষ্টা করেছে। এই ঘটনাকে আমরা ধিক্কার জানাই এবং পশ্চিমবঙ্গের নাগরিকের গণতান্ত্রিক অধিকারে হস্তক্ষেপ বলে মনে করি। ১৪৪ ধারা বলবৎ করার আদেশ দিতে গিয়ে মাননীয় বিচারক মন্তব্য করেন, "পুলিশ কি পাওয়ার লেস?" এই মন্তব্য অসাংবিধানিক এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নাগরিক সুরক্ষার বিরোধী বলে মনে করি। অবিলম্বে সরকারকে আলোচনার মাধ্যমে এই জটিলতা কাটিয়ে ওঠার আবেদন জানাচ্ছি এবং আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের যাতে না করা হয়, সে বিষয়ে দৃষ্টি দিতে অনুরোধ করছি।'

এই বিবৃতির নিচে সই করেন-- ডাক্তার বিনায়ক সেন, অপর্ণা সেন, ডাক্তার কুণাল সরকার, বিভাস চক্রবর্তী, সুমন মুখোপাধ্যায়, সুজন মুখোপাধ্যায়, অনির্বাণ ভট্টাচার্য, রেশমি সেন, কৌশিক সেন, ঋদ্ধি সেন, বোলান গঙ্গোপাধ্যায় এবং দেবলীনা দত্ত।

2 years ago
Aparna: মধ্যরাতে করুণাময়ীতে পুলিসি ধরপাকড়! নিন্দা অপর্ণা সেনের, সরব সোহিনী-ঋদ্ধি

শুক্রবার মধ্যরাতে করুণাময়ীতে পুলিসি ধরপাকড়ের তীব্র নিন্দা পরিচালক-অভিনেত্রী অপর্ণা সেনের। তিনি ট্যুইটে লেখেন, 'অনশনকারীদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত করেছে তৃণমূল সরকার। অহিংস আন্দোলনের জন্য ১৪৪ ধারা কার্যকর কেন? পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই অনৈতিক কাজের তীব্র নিন্দা জানাই।' শুধু অপর্ণা সেন নয় কালকের ঘটনায় সরব টলিউডের একাধিক পরিচিত মুখ। শুক্রবার রাতেই অভিনেত্রী সোহিনী সরকারের ফেসবুক পোস্ট, 'এঁরা যত বেশি পড়ে, তত বেশি জানে, তত কম মানে।'


অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র আবার একধাপ এগিয়ে। তিনি নিজের ফেসবুক ফ্রেন্ডলিস্ট থেকে তৃণমূল সমর্থকদের সরে যেতে বার্তা পাঠান। জাতীয় পুরস্কার বিজয়ী ঋদ্ধি সেন লেখেন, 'ধিক্কার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পুলিশকে এক শান্তিপূর্ণ ,যোগ্য আন্দোলনের গায়ে এমন বীভৎস আঘাত করার জন্য। এই জঘন্য কাজের মাশুল গুনতে হবে রাষ্ট্রকে।'


তবে শুধু তারকা জগৎ রাজনৈতিক মঞ্চ থেকেও এই পুলিসি 'অতিসক্রিয়তার' সমালোচনা করা হয়েছে। শুভেন্দু অধিকারী লেখেন, 'বাংলার বর্তমান পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। মমতার পুলিস টেট ২০১৪-র চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ দমাতে পুলিসি বর্বরতার আশ্রয় নিচ্ছে। এটা পশ্চিম বাংলা না হিটলারের জার্মানি।'


যদিও শুভেন্দুর ট্যুইটকে কটাক্ষের সুরে বিঁধেছে তৃণমূল। দলের সাংসদ শান্তনু সেন জানান, ১৩ সেপ্টেম্বর যারা গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নামে বাইরে থেকে লোক ভাড়া করে পুলিসের উপর হামলা করে। যাঁদের নেতা পুলিসের উদ্দেশ্যে কুকথা বলেন, তাঁদের মুখে এসব কথা মানায় না। বারবার চাকরিপ্রার্থীদের উদ্দেশে ঘোষণা করার পর পুলিস আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যথাযথ কাজ করছে। বাংলার পুলিস দক্ষ এবং সংবেদনশীল। বিরোধীরা ঘোলা জলে মাছ ধরার জন্য আন্দোলনকারীদের প্ররোচনা দিয়েছে।


2 years ago


TET: ৮৪ ঘণ্টার ধর্না তুলতে খরচ ১৫ মিনিট! চাকরিপ্রার্থীদের টেনেহিঁচড়ে সরিয়ে করুণাময়ী খালি পুলিসের

৮৪ ঘণ্টার ধর্না তুলতে সময় লাগলো মাত্র ১৫ মিনিট। শুক্রবার মধ্যরাতে চ্যাংদোলা করে, টেনে-হিঁচড়ে ধর্নায় বসা চাকরিপ্রার্থীদের (TET 2014) ভ্যানে তোলে বিধান নগর পুলিস (Bidhannagar Police)। যদিও বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই মাইকিং শুরু করে পুলিস। ১৪৪ ধারা জারি থাকা জায়গা থেকে সরে যেতে চাকরিপ্রার্থীদের হুঁশিয়ারি দেয় বিধান নগর কমিশনারেট। সেদিন দুপুরেই হাইকোর্ট (Calcutta High Court) নির্দেশ দিয়েছিল, ১৪৪ ধারা কার্যকর রাখতে পদক্ষেপ নেবে পুলিস। পাশাপাশি পর্ষদ অফিসে যাতে কর্মীদের ঢুকতে এবং বেরোতে অসুবিধা না হয় নিশ্চিত করবে পুলিস।

যদিও ধর্না সরানো নিয়ে টুঁ শব্দ করেনি আদালত। তারপরেই কোর্ট নির্দেশকে হাতিয়ার করে আসরে নামে বিধান নগর কমিশনারেট।  বিকেলের পর থেকে করুণাময়ী এবং এপিসি ভবনের মাঝে বাড়তে থাকে পুলিস। শুরু হয় মাইকিং। ইতিমধ্যেই সন্ধ্যা বাড়লে একের পর এক অনশনকারী অসুস্থ হতে শুরু করে। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে সরলেও অনেকেই সহযোদ্ধাদের পাশে থাকতে অসুস্থ শরীরেই ধর্নাস্থলে থেকে যান। ক্রমেই রাত বাড়ে। আন্দোলনের ধারা পরিবর্তন করেন চাকরিপ্রার্থীরা।

অবশেষে রাত ১২টার পর সক্রিয় হয় পুলিস। প্রথমে ধর্নাস্থল ছাড়তে দু'মিনিট সময় দেওয়া হয় চাকরিপ্রার্থীদের। সেই আবেদনে কাজ না হওয়ায় ধর্নাস্থলে ঢুকে বল প্রয়োগ শুরু করে পুলিস। প্রায় ৫০ ঘণ্টার বেশি সময় অনশনে থাকা ক্লান্ত-শ্রান্ত চাকরিপ্রার্থীদের টেনেহিঁচড়ে-চ্যাংদোলা করে পুলিসের বাসে তুলে বিধান নগরের তিন থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।


জানা গিয়েছে, এসব চাকরিপ্রার্থীরা ফের ফিরে যাবেন মাতঙ্গিনী হাজরার পাদদেশে। সেখানেই অবস্থান মঞ্চে কালো ব্যাজ করে বিক্ষোভ দেখাবেন চাকরিপ্রার্থীরা। একইসঙ্গে পুলিসের এই হামলার প্রতিবাদে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা। অন্যদিকে এই ধর্নায় নেতৃত্ব দেওয়া তিন চাকরিপ্রার্থীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

সংবাদ মাধ্যমের সামনে এই অভিযোগ করেন তাঁদের সহকর্মীরা। যদিও বৃহস্পতিবার রাতেই ঘোষণা হয়েছে, 'শান্তিপূর্ণ অনশনে থাকা চাকরিপ্রার্থীদের বল প্রয়োগ করে পুলিসি বাসে তোলার প্রতিবাদে শুক্রবার থেকেই আন্দোলনে নামছে বাম-বিজেপি-কংগ্রেস।' বড়সড় অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে করুণাময়ী, শিয়ালদহ এবং হাওড়ায় মোতায়েন হয়েছে অতিরিক্ত পুলিস।

2 years ago
Agitation: করুণাময়ীতে নির্জলা অনশনের দু'দিন পার! অসুস্থ বহু, মাইকিংয়ে অবস্থান তুলতে আর্জি পুলিসের

২০১৪ টেট (TET 2014) নট ইনক্লুডেড চাকরিপ্রার্থীদের করুণাময়ীতে (Karunamoyee Agitation) চলা অবস্থান বিক্ষোভের ৭২ ঘণ্টা পার। প্রায় দু'দিনের বেশি সময় ধরে তাঁরা চালাচ্ছে আমরণ অনশন। বিক্ষোভকারীদের একটাই দাবি, 'চাকরির নিয়োগপত্র হাতে না পাওয়া পর্যন্ত অবস্থান তুল্বেন না তাঁরা।' যদিও পর্ষদ (Primary Board) স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে, নিয়োগ প্রক্রিয়ার অংশ হয়ে ইন্টারভিউতে বসতেই হবে চাকরিপ্রার্থীদের। কিন্তু তাঁরা অনড়। টেট পাশ করে ইতিমধ্যে তাঁরা দু'বার ইন্টারভিউ দিয়েছেন। তাই আর কোন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তাঁরা অংশ নেবেন না। স০ংবাদ মাধ্যমের মাধ্যমে পর্ষদকে পাল্টা অবস্থান জানিয়েছেন চাকরি প্রার্থীরা।


ইতিমধ্যে যেখানে ২০১৪ টেটের নট ইনক্লুডেড চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান, তার থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে পৃথক অবস্থান বিক্ষোভে ২০১৭ টেটের চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের আবার বক্তব্য, '২০১৪ টেট উত্তীর্ণরা ইতিমধ্যে দু'বার ইন্টারভিউ দিয়েছেন। কিন্তু তাঁদের একবারও ইন্টারভিউতে ডাকা হয়নি। পর্ষদ কি তাঁদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছেলেখেলা করছে? দু'পক্ষের এই টানাপোড়েনে যখন উত্তপ্ত করুণাময়ী চত্বর, তখন পর্ষদের দায়ের করা মামলায় অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।

আদালত জানিয়েছে, আচার্য ভবন এর সামনে ১৪৪ ধরা কার্যকর করবে বিধাননগর কমিশনারেট। পর্ষদ অফিসে ঢোকা এবং বেরনোর জন্য কর্মীদের নিরাপত্তা দেবে পুলিস। তবে অবস্থান সরানো নিয়ে কোনও নির্দেশ দেয়নি হাইকোর্ট। ৪ নভেম্বর পর্যন্ত এই অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ কার্যকর করবে। সেদিন আদালতে রেগুলার বেঞ্চে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।


হাইকোর্ট এভাবে অবস্থান স্পষ্ট করে দেওয়ার পর করুণাময়ী চত্বরে বাড়ে পুলিসি সক্রিয়তা। সন্ধ্যা বাড়তেই অবস্থান তুলে নেওয়ার জন্য মাইকিং শুরু করে পুলিস। নয়তো আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছে পুলিস। পাল্টা আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, 'নিয়োগ পত্র না নিয়ে একচুলও নড়বেন না তাঁরা। প্রয়োজনে মার খাবেন এবং গুলি খাবেন, কিন্তু নিয়োগ না পেলে অবস্থানস্থল ছাড়বেন না তাঁরা।' আদতে এটা চাকরিপ্রার্থীদের ডু অর ডাই ম্যাচ, এমনটাই জানান চাকরিপ্রার্থীরা।

এদিকে, ২০১৪ টেট নট ইনক্লুডেড চাকরিপ্রার্থীদের করুণাময়ীতে চলা অবস্থান বিক্ষোভের ৭২ ঘণ্টা পার, অনশনের পার ৫০ ঘণ্টা। কিন্তু মঙ্গলবার থেকে একফোঁটা জল এবং খাবার তাঁরা মুখে তোলেননি। ইতিমধ্যে অন্তত ৪-৫ জন অসুস্থ হওয়ার খবর মিলেছে। পুলিস এসে অসুস্থ চাকরিপ্রার্থীদের মেডিক্যাল সহযোগিতার প্রস্তাব দিলেও, সেই প্রস্তাব প্রত্যাখান করেন চাকরিপ্রার্থীরা। শেষ পাওয়া খবরে, গুরুতর অসুস্থ এক চাকরিপ্রার্থীকে চিকিৎসার জন্য অ্যাম্বুলেন্সে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছে পুলিস।

2 years ago
TET: করুণাময়ীতে আমরণ অনশনে চাকরিপ্রার্থীরা, 'রাজনৈতিক ইন্ধন' দেখছেন পর্ষদ সভাপতি

করুণাময়ীতে ২০১৪ টেট (TET 2014) চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান বিক্ষোভের ২৪ ঘণ্টা পার। মঙ্গলবার সকাল থেকে নিয়োগ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমরণ অনশনে (Fast onto Death) চাকরিপ্রার্থীরা। এখনও পর্যন্ত ৬ জনের অসুস্থ হওয়ার খবর মিলেছে। অনশনমঞ্চে থাকা অন্য চাকরিপ্রার্থীরা (Job Aspirants) অ্যাম্বুলেন্স জোগাড় করে অসুস্থদের হাসপাতালে পাঠান। পুলিস কোনওরকম সাহায্য করেনি বলেই অভিযোগ চাকরিপ্রার্থীদের।

এদিকে, মঙ্গলবার সকাল থেকেই বিধান নগর পুলিসের তরফে মাইকিং চলেছে। যেহেতু চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থানমঞ্চ এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি। যেহেতু হাসপাতাল রয়েছে তাই এটা একটা সাইলেন্ট জোন। শান্তিপূর্ণভাবে তাঁদের অবস্থান তুলে নেওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে মাইকিংয়ে। যদি চাকরি প্রার্থীরা জায়গা না ছাড়েন তাহলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এই হুঁশিয়ারিও বিধাননগর পুলিসের তরফে দেওয়া হয়।

এতে উত্তেজনা বাড়ে। চাকরিপ্রার্থীরা পাল্টা তাঁদের সঙ্গে থাকা জল, ফল, শুকনো খাবার ছুড়ে ফেলে আমরণ অনশনের ডাক দেন। এদিন সকাল ১১টা থেকে চলছে সেই অনশন। তাঁদের একটাই দাবি, 'নিয়োগপত্র হাতে না পেলে তারা এই আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। এটা ডু অর ডাই আন্দোলন।' তাঁদের এই অবস্থার জন্য প্রাইমারি বোর্ডের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে দায়ী করছেন বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা।


সরকার সবকিছু কোর্টের উপর ছেড়ে দিয়েছে। কিন্তু প্রশাসন চাইলে অযোগ্যদের নিয়োগ খারিজ করে আমাদের নিয়োগ নিশ্চিত করতে পারে। এমন দাবিও করেন চাকরিপ্রার্থীরা।

এদিকে, করুণাময়ীর অবস্থান বিক্ষোভের পিছনে রাজনৈতিক ইন্ধন দেখছেন প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ সভাপতি গৌতম পাল। তিনি জানান, একস্তরীয় বা বহুস্তরীয় রাজনৈতিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটাতে এই আন্দোলনকে অনুপ্রাণিত করছেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা নিয়োগ জট কাটিয়ে নিয়োগ করতে যাচ্ছি।


তাঁর আবেদন, 'যারা নট ইনক্লুডেড তাঁরা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ গ্রহণ করুক। স্বচ্ছতার সঙ্গেই নিয়োগ হবে। প্রতি বছর দুটি টেট হলে আগামি দিনে আরও শূন্যপদ বেরোবে।' তবে নিয়োগ প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে চাকরি প্রার্থীদের বয়সের সর্বোচ্চ সীমা সংক্রান্ত জটিলতায় সরকারের কোর্টে বল ঠেলেছেন পর্ষদ সভাপতি। তাঁর বক্তব্য, '২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা একটা মঞ্চ তৈরি করেছেন। আমি সেই মঞ্চের চার জনের সঙ্গে কথা বলেছি। ২০২০-তে ১৬৫০০ নতুন পদ তৈরি হয়েছে। ২০২১ সালে ১৬,৫০০ শূন্যপদের জায়গায় ১৩,৪৬৫ পদে নিয়োগ হয়েছে। ২০১৪-র টেট পাশ চাকরিপ্রার্থীরা দু'বার ইন্টারভিউয়ে অংশ নিয়েছেন।'

2 years ago


Court: 'পার্থর দেহরক্ষীর ঘনিষ্ঠদের জেরায় বিলম্ব কেন?', সিবিআইকে প্রশ্ন ক্ষুব্ধ হাইকোর্টের

২০১৪ টেট (TET) মামলার তদন্তে আদালতে ধমক খেল সিবিআই (CBI)। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ যে ১০ জন চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের জেরা ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে। এমনটাই নির্দেশ আদালতের। এই ১০ জনের বিরুদ্ধে বেআইনি ভাবে চাকরি পাওয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। এঁদের কারও মেধাতালিকায় নাম ছিল না। এমনটাই আদালতে সওয়াল করেন মামলাকারীর আইনজীবী। তাই এই ১০ জনকে জেরা করে ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রিপোর্ট হাইকোর্টে (Calcutta High Court) জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, বৃহস্পতিবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ প্যানেল সংক্রন্ত যে নথি জমা দিয়েছে, তা কার্যকরী নয়। শুনানিতে জানিয়ে দিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি নির্দেশে বলেন, ১৭ অগাস্ট বোর্ড প্যানেল সক্রান্ত নথি জমা দিয়েছে। কিন্তু যে দশ জনের বিরুদ্ধে প্যানেলে নাম না থাকা সত্বেও চাকরি পাওয়ার অভিযোগ, তা বোর্ডের আজকের জমা দেওয়া নথি থেকে স্পষ্ট নয়। মোট নম্বর-সহ তালিকা জমা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আদালত ব্রেকআপ-সহ কে কত নম্বর পেয়েছে, তা জানতে চায়। তাই এবার মামলারকারীর আইনজীবী ও বোর্ডের আইনজীবীরা এক সঙ্গে পর্ষদের অফিসে বসবেন। প্যানেলে ওই দশ অভিযুক্তর ব্রেকআপ-সহ নম্বর খতিয়ে দেখে যাচাই করবে। দেখা হবে সত্যিই পাস না করে তারা চাকরি পেয়েছে কিনা।'

বিচারপতি জানান, ১৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বোর্ডের অফিসে উভয়পক্ষকে বসে বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে হবে। ২১ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি। ঠিক কী হয়েছে এদিনের শুনানিতে --

#২০১৪ টেটের ভিত্তিতে যে দুটি নিয়োগপ্রক্রিয়া সংগঠিত হয়েছিল তার মেধাতালিকা আদালতে পেশ করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ

#২০১৬ এবং ২০২০ সালের প্রাথমিকের মেধাতালিকা পেশ 

#চার ব্যাগ নথি পেশ পর্ষদের

#দু'টি ব্যাগ ২০১৬-র এবং দুটি ব্যাগ ২০২০-র

# নম্বর বিভাজন-সহ তালিকা পেশ করা হয়নি। তাই এই মুহূর্তে এই তালিকার এই মামলায় কোন গ্রহণযোগ্যতা নেই: বিচারপতি

# সব নথি পর্ষদে ফেরত পাঠালেন বিচারপতি। 

# যদিও আদালতের নির্দেশ ছাড়া আজকে পেশ করা নথি নষ্ট করা যাবে না: হাইকোর্ট 

# এই মামলার সঙ্গে যুক্ত কোন নথিই নষ্ট করা যাবে না: হাইকোর্ট

#গত ১৭ অগাস্ট মেধাতালিকা পেশের জন্য পর্ষদকে নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

# আপাতত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দেহরক্ষী বিশ্বম্ভর মণ্ডলের যে ১০ ঘনিষ্ঠ পাশ না করে চাকরি পেয়েছে বলে অভিযোগ, তাঁদের নথি যাচাই হবে

# মামলাকারী এবং পর্ষদের আইনজীবীরা পর্ষদের অফিসে বসে এঁদের নথি যাচাই করবেন

# ১৬-ই সেপ্টেম্বর এর মধ্যে এই কাজ শেষ করতে হবে

# নথি যাচাই করে নম্বর বিভাজন-সহ তালিকা বানাবেন মামলাকরির আইনজীবীরা। নথি সই করবেন পর্ষদের সচিব

# পরবর্তী শুনানি ২১ শে সেপ্টেম্বর। 

এদিকে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দেহরক্ষী বিশ্বম্ভর মণ্ডল ঘনিষ্ঠ ১০ জনের মধ্যে ৮ জন সিবিআইয়ের কাছে গিয়েছেন ২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা চলছে। ২ জন আসেনি। এদিন আদালতকে এমনটাই জানায় সিবিআই 

2 years ago