বাংলা ধারাবাহিক জগতের খুবই জনপ্রিয় মুখ শ্বেতা ভট্টাচার্য (Sweta Bhattacharya)। নানা ধারাবাহিকে অভিনয় করে ফেলেছেন ইতিমধ্যে। অভিনেত্রীর মিষ্টি স্বভাবের ভক্ত হয়েছেন অনেকে। সামাজিক মাধ্যমেও অসংখ্য ফলোয়ার তাঁর। তবে রবিবার সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট দেখে উদ্বিগ্ন হয়েছেন অনেকে। শ্বেতা সামাজিক মাধ্যমে লেখেন, 'তোমায় ছাড়া ঘুম আসে না মা।' এই একটি কথাতেই সকলে বুঝে গিয়েছেন, অভিনেত্রী মা'কে নিয়ে চিন্তিত। কী হয়েছে অভিনেত্রীর মায়ের?
এক সংবাদমাধ্যমকে শ্বেতা জানিয়েছেন, তাঁর মা বেশ কিছু দিন ধরেই অসুস্থ। জ্বর আসছিল বারবার। এরপর ডেঙ্গি পরীক্ষা করে দেখা হলে রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। কিন্তু জ্বর কমেনি অভিনেত্রীর মায়ের। এমনকি শরীরে সোডিয়াম-পটাশিয়ামের মাত্রা কমতে থাকে। ফলে প্রলাপ করতে শুরু করেন। আর দেরি না করে মা'কে হাসপাতালে ভর্তি করান অভিনেত্রী। আপাতত হাসপাতালেই থাকতে হবে শ্বেতার মাকে। তাই মন খারাপ অভিনেত্রীর।
শ্যুটিংয়ের সেটেই কিছুদিন আগে গুরুতর আহত হয়েছিলেন অভিনেতা রুবেল দাস (Rubel Das)। 'নিম ফুলের মধু' ধারাবাহিকে রুবেলের বাসের ছাদ থেকে লাফ দেওয়ার একটি অ্যাকশন দৃশ্যের শ্যুটিং চলছিল। সেই স্টান্টটি শ্যুটিং করার সময়েই রুবেল পায়ে চোট পান। পরীক্ষা করে দেখা যায়, তাঁর দুই পায়েরই গোঁড়ালি ভেঙে গিয়েছে। চিকিৎসক তাঁকে একেবারে শয্যাশায়ী হওয়ার পরামর্শ দেন। এই অবস্থায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন শ্বেতা (Sweta Bhattacharya)। সামাজিক মাধ্যমে প্রেমিকের জন্য তাঁর দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেন।
বর্তমানে রুবেল রয়েছেন তাঁর বারাসতের বাড়িতে। শ্বেতা বেশিরভাগ সময় শ্যুটিংয়ের ফ্লোরে থাকলেও, সুযোগ পেলেই প্রেমিককে দেখতে তাঁর বাড়ি চলে যান। সেই সাক্ষাতের ছবিও শ্বেতা আপলোড করে থাকেন সামাজিক মাধ্যমে। তবে রুবেলের সঙ্গে শ্বেতার এইবারের সাক্ষাৎ বেশ মজাদারই হয়েছে। দুই অভিনেতা-অভিনেত্রীই নাচ করেছেন একে ওপরের সঙ্গে। ভাবছেন তো, রুবেলের পা ভেঙে গিয়ে থাকলে তিনি কীভাবে নাচলেন?
আসলে নাচতে গেলে যে সবসময় সর্বাঙ্গ দিয়ে নাচতে হয় তা নয়। বসে, কেবলমাত্র হাতের মুদ্রা সঞ্চালন করেও সুন্দর ভাবে নাচ যায়. সেই পদ্ধতিতেই নেচেছেন দুজন। জনপ্রিয় 'কাভালা' গানেই রিলিস বানিয়েছেন তাঁরা। সেই ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে আপলোড করেছেন অভিনেত্রী। তাঁদের সম্পর্কের রসায়নও স্পষ্ট হয়েছে সেই নাচ থেকে।
বাংলা ধারাবাহিকের অভিনেতা রুবেল দাস (Rubel Das) অসুস্থ। ধারাবাহিকের সেটে গুরুতর চোট পেয়েছেন অভিনেতা। ভেঙে গিয়েছে রুবেলের দু পায়ের গোড়ালি। এমন অবস্থায় উদ্বিগ্ন অভিনেতার প্রেমিকা শ্বেতা ভট্টাচার্য (Sweta Bhattacharya)। সামাজিক মাধ্যমেই রুবেলকে নিয়ে লিখেছিলেন তিনি। প্রেমিককে দিয়েছিলেন ভরসা-ভালোবাসা। তবে অভিনেতা মাত্র দু দিন হল অসুস্থ হয়ে বাড়িতে। তাই নিজেকে এখনও সামলাতে পারেননি শ্বেতা। প্রেমিকের জন্য আবারও লিখলেন, মনের কথা।
অভিনেত্রী লিখেছেন, ' জানি খুব কষ্ট হচ্ছে তোমার, তাও বাড়ির সবার সাথে হেসে খেলে থাকছো। নিজের কষ্টটা কাউকে বুঝতে দিচ্ছ না। জ্বর এসেছে এখন, যন্ত্রনা টাও বেড়েছে, তার মধ্যেও আমাকে হাসানোর চেষ্টা করছো। ঈশ্বর তোমাকে আশীর্বাদ করুন। আমি জানি, সকলের শুভ কামনা আর তোমার মনের জোর তোমাকে খুব তাড়াতাড়ি আবার দাঁড় করাবে। তুমি দাঁড়াবে,তুমি দৌঁড়াবে, তুমি নাচবে। আর আমি সব সময় তোমার পাশে থাকবো, সারা জীবন।'
চিকিৎসক রুবেলকে আগামী ৬ মাস বিশ্রাম নিতে বলেছেন। তিনি বর্তমানে অভিনয় করছিলেন 'নিম ফুলের মধু' ধারাবাহিকে। আপাতত আগে শ্যুট করা ব্যাঙ্ক থেকেই চলছে ধারাবাহিকের সম্প্রচার। তবে আগামী দিনে কী হবে, রুবেলের পরিবর্তে কেউ আসবে কি না, তা নিয়ে চিন্তায় দর্শকেরা। অন্যদিকে রুবেল অসুস্থ হতেই টিআরপি কমেছে ওই ধারাবাহিকের।
জনপ্রিয় নাচের রিয়েলিটি শো থেকে উত্থান হয়েছিল রুবেল দাসের (Rubel Das)। এরপর বহু ধারাবাহিকে অভিনয় করে তিনি এখন অভিনেতা হিসেবেই জনপ্রিয়। বর্তমানে তিনি অভিনয় করছেন 'নিম ফুলের মধু' ধারাবাহিকে। সেই ধারাবাহিকের শ্যুটিং করতে গিয়েই গুরুতর আহত হলেন রুবেল। ধারাবাহিকে একটি অ্যাকশন দৃশ্যের শ্যুটিং ছিল। দৃশ্যটিতে বাসের মাথা থেকে লাফাতে হয়েছে অভিনেতাকে। এই স্টান্ট করতে গিয়েই দু পায়ের গোড়ালিতে গুরুতর চোট পেয়েছেন অভিনেতা।
এমন অবস্থায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন রুবেলের প্রেমিকা, অভিনেত্রী শ্বেতা ভট্টাচার্য। সামাজিক মাধ্যমেই রুবেলের অসুস্থতায়, নিজের মনের কথা লিখলেন অভিনেত্রী। শ্বেতা লিখেছেন, 'খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠ আমার চ্যাম্পিয়ান। তুমি খুব সাহসী ছেলে। আমার বিশ্বাস তুমি সুস্থ হয়ে উঠবে খুব তাড়াতাড়ি। তুমি ভালো তাই তোমার সাথে কোনও খারাপ হতে পারে না। শুধু কয়েকটা দিনের অপেক্ষা। আমি তোমাকে ভালোবাসি বাবাই। সবসময় তোমার সঙ্গে আছি।'
রুবেলের দু'পায়েই চোট গুরুতর। আগামী ৬ মাস তাঁকে বিশ্রাম নিতে বলেছেন চিকিৎসক। রুবেলের অনুপস্থিতিতে শ্যুটিং করে রাখা ব্যাঙ্ক থেকেই চলছে ধারাবাহিকের সম্প্রচার। তবে অভিনেতা ৬ মাস শ্যুটিং করতে না পারলে ধারাবাহিকের ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয় তৈরী হবে। এই মুহূর্তে রুবেলের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন দর্শকেরাও। সকলেই তাঁর সুস্থতা প্রার্থনা করছেন।
মামা-ভাগ্নি পরিচয়ে একই আবাসনে থাকতেন অয়ন-শ্বেতা (Ayan-Shweta)। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে একের পর এক অবাক করা তথ্য খুঁজে পেয়েছে ইডি (ED Radar)। এক অয়নকে পাকড়াও করে বিতর্কে, টলিউড (Tollywood) পরিচালক, অভিনেতা-অভিনেত্রী থেকে শুরু করে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার প্রভাবশালী দুই মন্ত্রীর নাম। নিয়োগ দুর্নীতিতে (Education Scam) সম্প্রতি অয়ন শীলকে গ্রেফতার করেছে ইডি। তাঁকে ব্যাঙ্কশাল আদালত ১৩ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। জানা গিয়েছে, কামারহাটি পুরসভা এলাকায় এক আবাসনে থাকতেন অয়ন-শ্বেতা। মামা-ভাগ্নি সম্পর্কে তাঁরা থাকতেন বলে দাবি আবাসনের নিরাপত্তারক্ষীর। তবে আগে একসঙ্গে থাকলেও বছর দুয়েক দু'জন একসঙ্গে থাকছিল না বলে জানান ফ্ল্যাটের এক আবাসিক।
অয়নের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া সমস্ত নথি, ওএমআর শিট যাচাই করে ইডি জানতে পেরেছে উদ্ধার হওয়া ওএমআর শিট, আসল উত্তরপত্র। পুরসভা এবং শিক্ষা দুর্নীতিতে অভিযুক্ত অয়ন শীলের বাড়ি থেকে শুধুমাত্র স্কুল নয়, একইসঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু পুরসভারও ওএমআর শিট মিলেছে। সেই সব ওএমআর শিট থেকে মিলেছে প্রভাবশালীদের সুপারিশ সংক্রান্ত তথ্য।
স্কুল সার্ভিসের গুরগাঁওয়ের সংস্থার মতো অয়নের সংস্থা কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করত গোটা পদ্ধতি, তা জানতে চাইছেন ইডি কর্তারা। পাশাপাশি ইডির আধিকারিকরা জানিয়েছেন, অয়নের কালো টাকা খেটেছে টলিউডে। তৈরি হয়েছে একাধিক সিনেমা! অয়নের দুর্নীতির জাল কত দূর অবধি? তা জানতে ইডির নজরে শ্বেতা চক্রবর্তীও।
ইডির সূত্র মারফত খবর, কবাডি কবাডি ছবির প্রযোজনা করেছিলেন অয়ন শীল। অয়নের সংস্থার ব্যানারে ওই ছবির প্রযোজনা হয়েছিলেন। জানা গিয়েছে, সেই ছবির পরিচালনা করেছিলেন কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়। অয়নের বাড়ি থেকে ওই ছবি প্রযোজনার নথি উদ্ধার। চুক্তিপত্র থেকে ছবির খরচের হিসেব মিলেছে তল্লাশিতে। ২০২১ সালে তৈরি হয় ওই ছবি।
অর্জুন চক্রবর্তী, সোহিনী সরকারের মতো নামজাদা অভিনেতা-অভিনেত্রীরা ছিলেন ওই ছবিতে। অয়ন শীলের, প্রোডাকশন হাউজের, যে প্রথম সিনেমাটি কাবাডি কাবাডি, সেই সিনেমার ট্রেলার লঞ্চয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল শ্বেতা চক্রবর্তী।
ইডি সূত্রে খবর, শ্বেতা চক্রবর্তী এতটাই প্রভাবশালী ছিল যে, গত ১৮ তারিখ যখন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটরেট আধিকারিকরা সল্টলেকের এফডি ব্লকে যায়, তার আগে থেকে অয়ন শীলকে সতর্ক করেন মেসেজ পাঠিয়েছিলেন শ্বেতা। ইডির দাবি, 'শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রমোটিং ব্যবসা মূল দায়ভার ছিল অয়ন শীলের কাঁধে। আর এই প্রোমোটিংয়ের যে প্রজেক্টগুলি হতো, সেই প্রজেক্টের প্ল্যান পাশ করতো কামারহাটি পৌরসভার সিভিল ইঞ্জিনিয়ার শ্বেতা চক্রবর্তী। এই শ্বেতা চক্রবর্তীর সঙ্গে অয়ন শীলের স্ত্রী, কাকলি শীলের সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্ক ছিল।'
এছাড়া ইডির চাঞ্চল্যকর তথ্য, অয়নের বাড়িতে মিলেছে ইম্পার অডিট সংক্রান্ত নথিও। অয়নের অফিসে মিলেছে ইম্পার ব্যালান্স শিটও। পাশাপাশি অয়ন শীলের ছেলে অভিষেক শীলের পেট্রোল পাম্পের হদিস মিললো। সেখানে বড় আর্থিক লেনদেন হয়েছে। যার পার্টনার ইমন গঙ্গোপাধ্যায়, কে এই ইমন গঙ্গোপাধ্যায়। কী যোগসূত্র রয়েছে খতিয়ে দেখছে ইডি।
অয়নের নথি হাতড়ে এবং ধৃত অয়নকে জেরা করে এজেন্টদের তথ্য বার করে ফেললো ইডি। এই তালিকায় রয়েছে একাধিক এজেন্ট দের নাম। যাদের মাধ্যম দিয়ে দুর্নীতি চালাত অয়ন। ইডির সূত্র অনুযায়ী, কানুদা, এমডি, তপনদা, লাল, কানুদা এসব নাম উদ্ধার করেছে ইডি। যদিও এদেরপরিচয় এখনও জানা যায়নি বলেই খবর, সেসব তথ্য, নথি, ইডি খুঁটিয়ে পরীক্ষার পর আরও নাম, এবং তথ্য উঠে আসবে বলেই দাবি করেছে ইডি। ইডির তালিকা থেকে আরও জানা যায় যে, এদের মধ্যে কেউ ৯৬ জন প্রার্থীর তালিকা পাঠিয়েছিল অয়নের কাছে। ওই চাকরিপ্রার্থীদের রোল নম্বর, পদ, পুরসভা, বিভাগ-সহ বিস্তারিত বিবরণও রয়েছে। এছাড়া জানা যায় ৬৮ জন প্রার্থীর নামের তালিকা পাঠিয়েছে লাল। ৪৩ জন প্রার্থীর নামের তালিকা পাঠিয়েছে এমডি, ১৫ জন ক্যান্ডিটেড নামের লিস্ট পাঠিয়েছেন তপনদা। এ সমস্ত লিস্ট আদালতেকে জানিয়েছে বলে দাবি ইডির।
সে সঙ্গেই উদ্ধার অয়নের সঙ্গে এক রহস্যময়ী নারীর যোগ। যে নারীই নাকি অয়নকে সমস্ত নথি সরিয়ে ফেলতে বলে মেসেজ করেছিল। সে মেসেজও ইডি উদ্ধার করেছে অয়নের ফোন থেকে। ইডি সূত্রেই খবর, অয়ন শীলের এক ঘনিষ্ঠ বান্ধবী আছেন, যার নাম শ্বেতা চক্রবর্তী, যিনি নৈহাটি জেলাপাড়াতে থাকেন। তথ্য যাচাই করে ইডি জানতে পেরেছে যে, কামারহাটি পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ার পদে চাকরি করতো শ্বেতা। বাবা প্রাক্তন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মী। সূত্রের খবর, শ্বেতা কে অয়ন শীল দামি গাড়ি উপহার দিয়েছিলো। সেই গাড়ির রিসিভ, অর্থাৎ স্বেতা চক্রবর্তীর নামে যে গাড়ি কেনা হয়েছিল তার বিল উদ্ধার করেছে ইডির কর্তারা। এছাড়া আরও খবর , অয়নের বাড়ি থেকে শ্বেতার ব্যাঙ্কে টাকা পাঠানোর রশিদ উদ্ধার হয়েছে। শ্বেতা-অয়ন শীলের প্রমোটারির ব্যাবসায় মদত দিত বলে সূত্রের খবর। পাশাপাশি সোমবার ইডি তল্লাশির পর জানিয়েছে, অয়নের ঘর থেকে মিলেছে বেশ কয়েকটি ডিপোজিট স্লিপও। এছাড়াও উদ্ধার হয়েছে আরও কয়েকটি মানি রিসিপ্ট, ধনেখালি, কেএলসি, ভাঙড় থানা এলাকায় বেশ কয়েকটি জমি এবং দিল্লি এনসিআর এলাকায় কাকলি শীলের নামে কেনা সম্পত্তির নথি। পাশাপাশি সই করা চেকের পাতা, কয়েকটি ল্যাপটপ, কম্পিউটার, হার্ড ডিস্কও পেয়েছে ইডি।
খুব কম সময়ে সকলের মন জয় করে না ফেরার দেশে চলে গিয়েছেন সুশান্ত সিং রাজপুত (Sushant Singh Rajput)। মৃত্যুর দু'বছর পরও তাঁর স্মৃতি এখনও সকলের মনে দগদগে। সম্প্রতি এক টিভি চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে কুপার হাসপাতালের মর্গের কর্মী রূপকুমার শাহ দাবি করেছিলেন, সুশান্তের দেহে এবং গলায় একাধিক ক্ষতের দাগ ছিল। সুশান্ত আত্মহত্যা (Suicide) করেননি। তাঁকে খুন (Murder) করা হয়েছে। একথা বলার কারণে রূপকুমার শাহের প্রাণসংশয় হতে পারে বলে আশঙ্কাপ্রকাশ করেছেন প্রয়াত অভিনেতার দিদি শ্বেতা সিং কীর্তি। সে কারণে ওই মর্গকর্মীর নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে আবেদন জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর কাছে।
ওদিন সাক্ষাৎকারে মর্গ কর্মী আরও দাবি করেছেন, তিনি ঘটনার কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন। তবে কর্তৃপক্ষ তাঁকে ‘নীতি’ মেনে কাজের নির্দেশ দেন। তবে তিনি সত্য সকলের সামনে আনতে চান বলেও জানান। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, কুপার হাসপাতালেই ময়নাতদন্ত করা হয়েছিল অভিনেতার।
১৪ জুন, ২০২০, সেদিন একটা খবরে থমকে গিয়েছিল গোটা দেশ। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু। ওই দিন মুম্বইয়ে বান্দ্রার ফ্ল্যাটে উদ্ধার হয় তাঁর ঝুলন্ত দেহ। মুম্বই পুলিস প্রাথমিক তদন্তে জানিয়েছিল মানসিক অবসাদ থেকে'আত্মহত্যা' করেছেন অভিনেতা। কিন্তু এমন প্রাণোচ্ছ্বল ছেলে আত্মহত্যা করতে পারে, মানতে পারেনি তাঁর পরিবার, অনুরাগীরা।
সুশান্তর মৃত্যুর পর তদন্তে নামে এনসিবি, ইডি-সহ একাধিক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই ঘটনায় নাম জড়ায় সুশান্তের বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীর নাম। তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপ, মাদক পাচার থেকে শুরু এরকম নানা অভিযোগ ওঠে। এমনকী জেলবন্দিও করা হয় রিয়া (Rhea Chakraborty) ও তাঁর ভাইকে। বর্তমানে তাঁরা জামিনে মুক্ত।