বুধ ও বৃহস্পতিবার, এই দু'দিন ধরেই উদযাপন করা হল রাখি বন্ধন উৎসব (Raksha Bandhan)। আর এই উৎসবে মেতে উঠতে দেখা গিয়েছে অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়কেও (Swastika Mukherjee)। তবে তিনি কাউকে রাখি পরাননি, তাঁকেই রাখি পরিয়েছেন তাঁর 'ফাল্গুনী দা'। তাঁর হাতে দেখা যায় এক অন্য রকমের রাখি। ফুলের রাখি স্বস্তিকার হাতে বাঁধা, তাঁর 'ফাল্গুনী দা'-এর সঙ্গে ছবিও তুলে ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন। কিন্তু এই খুশির মুহূর্তের মধ্যেই দুঃখের খবর দিলেন তিনি। তিনি সেই ছবির ক্যাপশনেই জানালেন, খুব শীঘ্রই তাঁর এক অপারেশন হতে চলেছে। আর এর জন্যই ব্লাড টেস্টের রক্ত নিতে এসেছেন তাঁর 'ফাল্গুনী দা'। তবে এই ক্যাপশনের পরই অনুরাগীরা তাঁর জন্য উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। কী হয়েছে তাঁর, প্রশ্ন স্বস্তিকা ভক্তদের।
অভিনেত্রী যে অসুস্থ, তা আগে তিনি জানাননি। রাখির জন্য ছবি পোস্ট করতে গিয়ে সেখানেই পুরো ব্যাপারটা জানিয়েছেন তিনি। রাখি পরার পোস্ট দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, 'ফাল্গুনী দা' তাঁর রক্ত নিতে এসেছেন। কারণ রক্ত পরীক্ষা করতে হলেই ওনার ডাক পরে। SRL ডায়গনিস্টিকস-এ কাজ করেন তিনি। আর তিনিই ফুলের রাখিটি তাঁকে পরিয়ে দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, 'আমার সামনের সপ্তাহে একটা অপারেশন হবে, তাই আজকে রক্ত নেওয়ার জন্য এসেছিলেন বাড়িতে। ঢুকেই বললেন, আগে হাত টা দাও তো দিদিমনি, আমি বললাম তুমি যে কিসব বাঁধো রক্ত নেওয়ার আগে ওটা বাঁধবে না? বললেন আগে রাখী টা পরাই, এমন দিনে তোমার কাছে এলাম, তুমি একা একা থাকো, সামনে একটা পরীক্ষা, কত সাহস তোমার, বাবা আছেন কিন্তু, সব ভালো হবে।'
আর এরপরই জানা যায়, তাঁর অস্ত্রোপচার হতে চলেছে। কিন্তু ঠিক কী কারণে তাঁর অপারেশন হবে, সেই বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানাননি তিনি। কমেন্টেও তাঁকে অনেকে জিজ্ঞাসা করেছেন যে, তাঁর কী হয়েছে? কিন্তু তাতে তিনি কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি।
অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় (Swastika Mukherjee) কেবল অভিনেত্রী নন, স্টাইল আইকনও বটে। ফ্যাশনের দিক থেকে তিনি ক্যান্ডিড। চরিত্রের প্রয়োজনে নানা রকমভাবে সাজেন তিনি, তবে ব্যক্তিগত জীবনে ফ্যাশন নিয়ে বেশ সাহসী স্বস্তিকা। যা খুশি পরেন, যেমন খুশি সাজেন। সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে মাঝেমধ্যেই সাহসী লুকে দেখা যায়। সম্প্রতি তেমনই বেশ কিছু ছবি পোস্ট করেছিলেন। স্বস্তিকাকে সবুজ প্রিন্টেড জামার সঙ্গে সবুজ রঙের লিপস্টিকে দেখা গিয়েছে। অভিনেত্রীর এই ছবিগুলি দেখেই সামাজিক মাধ্যমে ধেয়ে এসেছিল সমালোচনা। তবে স্বস্তিকা চুপ করে থাকেননি। অনেককেই উত্তর দিয়েছেন। স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দিয়েছেন ফ্যাশন নিয়ে তাঁর অবস্থান।
এক নেটিজেন লিখেছেন, 'সবুজ লিপস্টিক কেন?' উত্তরে অভিনেত্রী বলেন, 'সবুজ লিপস্টিক নয় কেন?' সেই নেটিজেন আবারও লেখেন, 'কারণ এই লিপস্টিকে আপনাকে একেবারেই মানাচ্ছে না।' এইবার স্বস্তিকা একটু কড়া ভাষাতে বলেন, 'এটি আপনার মতামত, আপনি ঠিক করছেন আমাকে কী ভালো লাগছে, আর কী ভালো লাগছে না। না প্রিয়, আপনার মতামত একেবারেই গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমার মনে হয় না, আমাদের গ্রহণযোগ্যতা খোঁজা উচিত, যদিও এই বিষয়ে আমার যথেষ্ট বয়স হয়ে গিয়েছে।'
শুধুমাত্র নেগেটিভ কমেন্ট নয়। বহু নেটিজেন স্বস্তিকার প্রশংসাও করেছেন। একজন লিখেছেন, 'সব রকম রঙেই আপনাকে ভালো লাগে। এর রহস্য কী?' উত্তরে অভিনেত্রী লিখেছেন, 'আত্মবিশ্বাস'।
বেশ খানিকটা সময় পরে ওয়েব সিরিজে ফিরছেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় (Swastika Mukherjee) এবং অভিনেতা টোটা রায় চৌধুরী (Tota Roy Chowdhury)। তাঁদের আসন্ন সিরিজের নাম 'নিখোঁজ' (Nikhoj)। সিরিজে অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়কে দেখা যাবে পুলিসের ডিসিপি বৃন্দা বসুর চরিত্রে। তবে আরও একটি সত্বা রয়েছে তাঁর। তিনি মা। 'দিতি'র মা। একদিন হঠাৎ করেই নিখোঁজ হয়ে যায় বৃন্দার মেয়ে দিতি। গাড়িতে রক্তমাখা অবস্থায় পাওয়া যায় রোমিত সেনকে (টোটা রায় চৌধুরী)।
রোমিত সেন জনপ্রিয় সাংবাদিক, আবার দিতির 'বস'। তাঁর প্রতি দিতির দুর্বলতা দেখা যাবে সিরিজে। তাই মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার পর বৃন্দার সন্দেহ গিয়ে পড়বে রোমিতের উপর। ট্রেলারে দেখা গিয়েছে, অভিনেতা পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঝলক। ২ মিনিট ৩২ সেকেন্ডের ট্রেলারে স্বস্তিকাকে বেশ ঝাঁঝালো চরিত্রে দেখা যাবে। অন্যদিকে টোটাকে দেখা গিয়েছে খানিকটা ক্লান্ত-হতবাক অবস্থায়।
ওটিটি তে ১১ আগস্ট মুক্তি পেতে চলেছে নিখোঁজ। সিরিজটি পরিচালনা করেছেন অয়ন চক্রবর্তী। পরিচালকের বক্তব্য, 'সিরিজটি খুব সতর্কভাবে তৈরী করা হয়েছে। চরিত্রগুলিকে দর্শক অনুভব করতে পারবেন।' চরিত্রাভিনেতাদের সম্পর্কে পরিচালকের মত, 'স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় এবং টোটা রায় চৌধুরী অসামান্য অভিনয় করেছেন। তাঁরা যথার্থই বৃন্দা বসু এবং রোমিত সেন হয়ে উঠেছেন।'
অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় (Swastika Mukherjee) টলিউডের সীমানা পেরিয়ে বলিউডের ওয়েব সিরিজেও পদার্পণ করেছেন। ওমন সৌন্দর্যের ভক্ত অনেক। কখনও সৃজিত মুখোপাধ্যায় কখনও সুমন মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে অভিনেত্রীর নাম জড়িয়েছে। যদিও স্বস্তিকা অনেকবার বলেছেন, তাঁর সম্পর্কের স্টেটাস 'সিঙ্গেল'। অনেকেরই জানা, আবার অনেকের অজানা, খুব কম বয়সে সঙ্গীতশিল্পী সাগর সেনের ছেলে প্রমিত সেনকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। যদিও স্বামীর সঙ্গে সংসার সুখের হয়নি।
স্বামীর সঙ্গে যখন আলাদা থাকা শুরু করেন, তখনই বুঝতে পেরেছিলেন তিনি অন্তঃসত্বা। এরপর জীবনে আসে মেয়ে অন্বেষা। সেই ছোট্ট মেয়েটি আজ বড় হয়েছে। বিদেশে পড়াশোনা করছে। বিয়ের এতবছর পর স্বস্তিকার ব্যর্থ বিয়ের জন্য আফসোস হয়? সম্প্রতি অভিনেত্রী এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, বিয়ে ভেঙে যাওয়া নিয়ে তাঁর মনে কোনও ক্লেদ নেই। বরং তিনি ভাবেন, বিয়ে না হলে মেয়েকে পেতেন না।
স্বস্তিকা 'সিঙ্গেল পেরেন্ট' হয়ে বড় করেছেন মেয়ে অন্বেষাকে। তিনি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, মেয়েই তাঁর ভালো থাকার কারণ। অভিনেত্রী এও বলেছেন, তাঁর জীবন সংগ্রামের চালিকা শক্তি মেয়ে অন্বেষা।
কিছুদিন আগেই বলিউড বর্ষীয়ান নেতা অনুপম খের (Anupam Kher) ইনস্টাগ্রামে তাঁর এক ছবি পোস্ট করেছিলেন, যেখানে তাঁকে দেখা গিয়েছিল কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের (Rabindranath Tagore) সাজে। মাথায় পাকা চুল, একগাল দাঁড়ি ও কালো পোশাক, ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট ফ্রেমে সেই ছবি তাক লাগিয়ে দেয় দর্শকদের। তাঁকে দেখে এই রব উঠেছিল যে, এ যেন অবিকল কবিগুরু। সমাজমাধ্যমে তাঁর এই রূপ দেখে প্রশংসা পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর এই সাজে আপত্তি জানালেন টলিউড অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি (Swastika Mukherjee)। নাম না করেই সমাজমাধ্যমে লিখলেন, 'রবি ঠাকুরকে একা ছেড়ে দিন।'
রবীন্দ্রনাথের সাজে সেজে ৮ জুলাই ইনস্টাগ্রামে অনুপম খের ছবি দিতেই হইহই পড়ে যায়। তিনি জানান, তিনি তাঁর কেরিয়ারের ৫৩৮ তম ছবিতে তিনি অভিনয় করতে চলেছেন বিশ্বকবির ভূমিকায়। বিস্তারিত তিনি পরে জানাবেন। কিন্তু এরপরেই ১০ জুলাই মধ্যরাতে স্বস্তিকা টুইটারে লেখেন, 'কাউকেই রবি ঠাকুরের চরিত্রে অভিনয় করা উচিত নয়। তাঁকে একা ছেড়ে দিন।'
আর এই পোস্টের পরেই অনেক বাঙালি তাঁর কথাতে সহমত হয়েছেন। নেটিজেনদের মতে, 'একজন বাঙালি হিসাবে কবিগুরুকে আমরা যতটা চিনি, ততটা কেউ চেনেন না। ফলে এনাকে নিয়ে সিনেমা না করাই উচিত।' তবে স্বস্তিকার এই পোস্টে অনুপম খেরের নাম না থাকলেও কাকে উদ্দেশ্য করে এই কথা, তা প্রায় প্রত্যেকেরই জানা।
'শিবপুর' (Shibpur) নিয়ে স্বস্তিকার মনের বরফ কী গলল? সামাজিক মাধ্যমে বর্তমানে এই নিয়ে চর্চা চলছে। অভিনেত্রী 'শিবপুর' সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন। কিন্তু ছবি মুক্তির আগে থেকেই বদলে গিয়েছিল অভিনেত্রীর সঙ্গে প্রযোজনা সংস্থার সম্পর্ক। স্বস্তিকা (Swastika Mukherjee) অভিযোগ তুলেছেন সিনেমার প্রযোজক তাঁর নগ্ন ছবি পাঠিয়ে ব্ল্যাকমেইল করছিলেন। এই কারণেই অভিনেত্রী এই ছবির সঙ্গে নিজের দূরত্ব ঘোষণা করেছিলেন সামাজিক মাধ্যমে।
সিনেমার ট্রেলার মুক্তি পেতেই স্বস্তিকা জানিয়েছিলেন, এই সিনেমার ট্রেলার সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করলেও প্রচারে যাবেন না। এমনকি ট্রেলার মুক্তির দিন প্রযোজনা সংস্থার আমন্ত্রণে উপস্থিত ছিলেন না অভিনেত্রী। অবশেষে সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছে বড় পর্দায়। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই সিনেমায় স্বস্তিকা জাত চিনিয়েছেন। পর্দায় কেবল তাঁর অভিনয় দেখেই বুঁদ হয়েছেন সকলে। অভিনেত্রীও গিয়েছেন বড় পর্দায় সিনেমাটি দেখতে।
স্বস্তিকা সম্প্রতি নিজের সামাজিক মাধ্যমে বেশ কিছু ছবি দিয়েছেন। একা একা নয়, তিনি নিজের প্রচুর বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে সিনেমাটি দেখতে গিয়েছিলেন। এই দলে ছিলেন গায়িকা ইমন চক্রবর্তী এবং তাঁর স্বামী নীলাঞ্জন ঘোষ। ছিলেন ফ্যাশন ডিজাইনার অভিষেক রায়, ছিলেন মেকআপ আর্টিস্ট অভিজিৎ চন্দ-সহ আরও অনেকে। তবে স্বস্তিকার বিশেষ অতিথি হয়ে গিয়েছিলেন তাঁর বাড়ির পরিচারকরা। সামাজিক মাধ্যমে সবার সঙ্গে ছবি পোস্ট করেছিলেন স্বস্তিকা।
বৃষ্টিভেজা দিনে মুখোমুখি প্রাক্তনেরা? টলিউডের দুই জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বের প্রেমের গুঞ্জন যদি সত্যি হয়ে থাকে তাহলে এমনটাই ঘটেছে। পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় (Srijit Mukherjee) এবং স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় (Swastika Mukherjee) একে অপরের প্রেমে পড়েছেন, এমন গুঞ্জনেই একসময় ছয়লাপ হয়েছিল টলি পাড়া। তাঁদের ঘনিষ্ঠ ছবি, একাধিক পার্টিতে একসঙ্গে উপস্থিতি তাঁদের রসায়নের সপক্ষেই কথা বলছিল। যদিও দুই তারকাই তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন। পরে অবশ্য শোনা গিয়েছিল প্রেমের মতোই বিচ্ছেদও এসেছিল তাঁদের জীবনে।
তবে মঙ্গলবার সৃজিতের পোস্ট করা ছবিতে আবারও তাঁদের সম্পর্ক চর্চায় এসেছে। পরিচালক স্বস্তিকার সঙ্গে তাঁর একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, 'হঠাৎ রাস্তায়, আপিস অঞ্চলে'। দুই তারকাই যে একে অপরের সঙ্গে দেখা করে খুব খুশি হয়েছেন, তা বোঝা গিয়েছে তাঁদের মুখের হাসি দেখে। নেটিজেনদের জল্পনার আগুনে আরও ঘি পড়েছে এই পোস্ট দেখে। এক নেটিজেন লিখেছেন, 'আপনাদের ছবি দেখে বেশ ভালো লাগল।' আরেক নেটিজেন লিখেছেন, 'পুরনো প্রেম কি আর ভুলে থাকা যায়!'
স্বস্তিকার সঙ্গে সৃজিত মুখোপাধ্যায় ছাড়াও একাধিক ব্যক্তির নাম জড়িয়েছে। যদিও অভিনেত্রী নিজেকে সিঙ্গেল বলেই দাবি করেন। অন্যদিকে সৃজিত মুখোপাধ্যায় বিয়ে করেছেন অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলাকে। তাঁদের দাম্পত্য জীবন চলছে সুখেই। কিন্তু স্বস্তিকার সঙ্গে যে তাঁর নিখাদ বন্ধুত্ব রয়ে গিয়েছে, তা বোঝা গিয়েছে আরও একবার।
মুক্তির অপেক্ষায় থ্রিলার ছবি 'শিবপুর' (Shibpur)। সিনেমায় দেখা যেতে চলেছে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, খরাজ মুখোপাধ্যায়, রজতাভ দত্ত এবং স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের মতো তারকাদের। কিন্তু প্রথম থেকেই ছবিটি নিয়ে বিতর্ক তৈরী হয়েছিল স্বস্তিকার (Swastika Mukherjee) অভিযোগে। অভিনেত্রী সামাজিক মাধ্যমেই অভিযোগ তুলেছিলেন, সিনেমার প্রযোজক সন্দীপ সরকার নগ্ন ছবি পাঠিয়েছেন অভিনেত্রীকে। এই নিয়ে একদফা বিতর্কও হয়েছিল। এরপর ছবির অন্যতম প্রযোজক অজন্তা অভিযোগ তুলে বলেছিলেন, পরিচালকের প্ররোচনায় এই কান্ড ঘটেছে। ছবির ট্রেলার লঞ্চেও সেই অন্তর্ঘাত জারি রইল।
মঙ্গলবার 'শিবপুর' ছবির ট্রেলার লঞ্চ অনুষ্ঠিত হয়েছে দক্ষিণ কলকাতার এক ক্যাফেতে। শোনা গিয়েছিল, ছবির পরিচালক নাকি সেই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পাননি। যদিও আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন স্বস্তিকা। অতীত ভুলে কী তিনি ট্রেলার লঞ্চে উপস্থিত থাকবেন? সামাজিক মাধ্যমেই এর উত্তর দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। প্রকাশ্যে লিখেছিলেন, 'আমি শহরে নেই, তবে শহরে থাকলেও আমি অংশ নিতাম না। যৌন হেনস্থা সামান্য ঘটনা নয় এবং এর কোনও ক্ষমা নেই।'
তবে অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, তিনি যেহেতু এই সিনেমার সঙ্গে যুক্ত তাই ভক্তদের জন্য সিনেমার ট্রেলার শেয়ার করবেন। ইতিমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে শিবপুর সিনেমার ট্রেলার মুক্তি পেয়েছে। যদিও অভিনেত্রী এখনও সামাজিক মাধ্যমে তা শেয়ার করেননি। তবে যেভাবে প্রযোজক সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন স্বস্তিকা। তাতে মনে করা হচ্ছে সিনেমার প্রচার থেকেও সরে দাঁড়াতে পারেন স্বস্তিকা।
স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের (Swastika Mukherjee) অভিনয় যাত্রা শুরু হয়েছিল টলিউড (Tollywood) থেকে। কিন্তু তিনি অভিনয়ে যত পরিণত হয়েছেন কেরিয়ারেও তত উন্নত হয়েছেন। বর্তমানে টলিউডের পাশাপাশি মাঝেমধ্যেই তাঁকে বলিউডে দেখা যায়। সিনেমায় সিরিজে কাজ করছেন চুটিয়ে। অভিনয়ের পাশাপাশি স্বস্তিকার সৌন্দর্যের মোহে মূর্ছা যায় কত মন। কিন্তু নিজের সৌন্দর্যকে কীভাবে দেখেন অভিনেত্রী? সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে জানালেন নিজেই।
কাজের মাঝে বোধহয় কিছুটা বিরক্ত হয়ে গিয়েছিলেন স্বস্তিকা। তাই ইনস্টাগ্রামে প্রশ্নোত্তর খেলতে চেয়েছিলেন। অর্থাৎ তাঁকে প্রশ্ন করবেন নেটিজেনরা, আর উত্তর দেবেন তিনি। স্বস্তিকার সঙ্গে এমনিই কত মানুষ কথা বলতে চান, এই সুযোগ হাতছাড়া করা যায় নাকি! তাই প্রচুর প্রশ্ন এসেছে অভিনেত্রীর জন্য। তিনিও কম শব্দব্যয়ে সেই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন।
নেটিজেনদের মধ্যে একজন স্বস্তিকাকে প্রশ্ন করেছিলেন, 'বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দরী হয়ে কেমন অনুভূতি হয়?' অভিনেত্রী উত্তরে বলেছেন 'বোরিং'। এছাড়াও স্বস্তিকা সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছেন, মেয়ে তাঁর সবচেয়ে প্রিয় মানুষ। লিখেছেন, প্রয়াত অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মনোহরণ হাসি তাঁর সবচেয়ে বেশি মনে পড়ে। স্বস্তিকা এও জানিয়েছেন, তাঁর পরের ছবি 'শিবপুর' মুক্তি পেতে চলেছে ৩০ জুন।
টলিউড পেরিয়ে বলিউড অভিনয় জগতে নিজের নাম লিখিয়েছেন অভিনেত্রী (Actress) স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় (Swastika Mukherjee)। সামাজিক মাধ্যমে বেশ জনপ্রিয় অভিনেত্রী। মাঝেমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে নিজের নানা ছবি পোস্ট করে থাকেন। ভক্ত ও নেটিজেনরা বলেন, 'স্বস্তিকা এভারগ্রীন'। ঠিকই বলেন। বয়স ৪২ হলেও তিনি যেন ২৪-এর যুবতী। মোহময়ী ব্যক্তিত্ব অভিনেত্রীর। পোশাক কীভাবে পরতে হয় ও সামাল দিতে হয় তাঁর থেকে ভালো আর কে জানে!
সম্প্রতি তাঁকে বিমান সফরে যেতে হয়েছিল। সেই সফরের কিছু নিজস্বী, ইনস্টাগ্রাম থেকে আপলোড করেছেন তিনি। ছবিতে দেখা গিয়েছে গামছা পোশাক পরেছেন অভিনেত্রী। বিনুনি স্টাইলে মাথায় বাধা চুল। গয়না বলতে গলায় কেবল একটি শঙ্খর হার। এবং চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা। একাধিক পোজে ছবি আপলোড করে অভিনেত্রী ক্যাপশনে লিখেছেন, 'আমি এয়ারপোর্ট লুকে বিশ্বাস করি না। আমি প্লেনের ভিতরের ছবিতে বিশ্বাস করি এবং আমিই নিজের ছবি তুলি।'
অভিনেত্রীর ছবি দেখে বেশ প্রশংসা করছেন নেটিজেনরা। একজন লিখেছেন, 'আপনি কোনওদিন বুড়ি হবেন না। আপনার সুস্থতা কামনা করি। কেউ আবার বলছেন উষ্ণ। কেউ আবার স্বস্তিকার চুলের প্রশংসা করছেন।'
অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের (Swastika Mukherjee) ব্যাপ্তি টলিউডের (Tollywood) সীমানা ছাড়িয়ে বলিউডে (Bollywood) গিয়ে পড়েছে। বাংলায় সিনেমা-সিরিজে অভিনয়ের পাশাপাশি বলিউডেও সিনেমায়-সিরিজে অভিনয় করে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন স্বস্তিকা। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে যতটা পরিণত হয়েছে তাঁর অভিনয়, চেহারার সৌন্দর্য বেড়েছে ততধিক। স্বস্তিকা মানেই স্মার্টনেস, গ্ল্যামার। বয়স বাড়লেও যেন দিন দিন সেই গ্ল্যামার বেড়েই চলেছে। সামাজিক মাধ্যমে বেশ সক্রিয় অভিনেত্রী। সক্রিয় তাঁর ভক্তরাও। তাই ছবি বা ভিডিও আপলোড করলে নিমেষেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। এবার সেই সামাজিক মাধ্যমেই মনের মানুষের খোঁজ করছেন অভিনেত্রী।
সামাজিক মাধ্যমে নিজের একটি ভিডিও আপলোড করেছেন স্বস্তিকা। সেই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে একেবারে কনের বেশে অভিনেত্রী। পরনে লাল বেনারসি। গলায় হাতে সাবেকি গয়না, শাঁখা পলা, আর মাথা ভর্তি সিঁদুর। খোলা চুলে মাথায় সাদা মুকুট। সব মিলিয়ে চোখ ধাঁধিয়ে যায় স্বস্তিকাকে দেখলে। হাতে মালা নিয়ে তিনি দাঁড়িয়ে রয়েছেন দক্ষিণ কলকাতার কোনও বনেদি বাড়িতে। কিন্তু মনের কোণে দুঃখ। কারণ তিনি তৈরি থাকলেও বর কোথায়? সামাজিক মাধ্যমে ভিডিও আপলোড করে একই কথা লিখেছেন স্বস্তিকা।
অভিনেত্রীর খুব অল্প বয়সে বিয়ে হয়েছিল সংগীতশিল্পী সাগর সেনের পুত্র প্রমিত সেনের সঙ্গে। তাঁদের কন্যাসন্তান অন্বেশাও এখন বড় হয়েছে। কিন্তু প্রমিতের সঙ্গে সেই বিয়ে খুব একটা সুখের হয়নি। বিচ্ছেদ হয়ে যায় দু'জনের। তাই বর্তমানে প্রেমে থাকলেও বিয়েতে নারাজ স্বস্তিকা।
সামাজিক মাধ্যমের দৌলতে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের (Swastika Mukherjee) মেয়েকে অনেকেই চেনেন। নেটিজেনরা ও জানেন স্বস্তিকার ছোট্ট মেয়েটি এখন অনেক পরিণত। অভিনেত্রীর কন্যা বর্তমানে কলকাতায় স্কুলের পাঠ চুকিয়ে মুম্বইতে স্নাতকের পড়াশোনা করছেন। জীবনে প্রেম এসেছে। সেই গোপন কথাটি গোপন না রেখে, ঘোষণা করেছেন সামাজিক মাধ্যমেও। প্রেমিকের সঙ্গে কাটানো বেশ কিছু মুহূর্তের ছবি দিয়েছিলেন সামাজিক মাধ্যমে (Social Media)। স্বস্তিকা মেয়ের সেই পোস্টে কমেন্ট করেছিলেন, এবার একসঙ্গে ডিনার ডেটেও গেলেন।
নেটিজেন এবং ভক্তরা জানান, অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় 'আল্ট্রা মর্ডান'। বিশেষ করে প্রেমের বিষয়ে তিনি বেশ খোলামেলা। তাই মেয়ের প্রেম-সম্পর্ককেও নিজের জীবনে স্বাগত জানিয়েছেন। স্বস্তিকা কন্যা অন্বেষা, শ্লোক চন্দনের সঙ্গে প্রেম করছেন। হবু জামাইকে একটু বুঝে নিতেই বোধহয়, সময় কাটাচ্ছেন একসঙ্গে। সঙ্গে ছিলেন মেয়েও। হবু জামাইকে কেমন লেগেছে স্বস্তিকার? বোঝা যায় তাঁর সামাজিক মাধ্যম থেকে।
দক্ষিণ কলকাতার এক পাঁচতারা হোটেলে ডিনারে গিয়েছিলেন স্বস্তিকা। সেই ছবি পোস্ট করেছেন সামাজিক মাধ্যমে। শ্লোককে যে তাঁর বেশ পছন্দ তা ছবির ঘনিষ্ঠতা ও অভিনেত্রীর মুখের হাসি থেকেই স্পষ্ট। তবে ডিনার শেষে মিষ্টিমুখ করা হয়নি স্বস্তিকার। তাই শ্লোককে সেই কথা মনে করিয়েছেন। খুব তাড়াতাড়ি আরও একটা ডেট প্ল্যান করার নির্দেশ দিয়েছেন শ্লোককে।
একদিকে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় (Swastika Mukhopadhyay) অন্যদিকে জয়া এহসান (Jaya Ahsan)। এই দুই অভিনেত্রী যেন ইন্টারনেট সেনসেশন হয়ে উঠছেন দিন দিন। স্বস্তিকার বয়স ৪০ পেরিয়েছে, অন্যদিকে জয়া প্রায় ৪০-এর কোঠায়। তবে তাঁদের ছবি দেখে তা বোঝার উপায় নেই। দুজনেরই বয়স যেন স্থির হয়ে রয়েছে। গ্ল্যামার বাড়ছে তবু বয়স বাড়ছে না। এখনও পর্যন্ত তাঁদের এক সিনেমায় দেখা যায়নি। তবে এক ছবিতে দেখা গিয়েছে।
সম্প্রতি একসঙ্গে ফটোশ্যুট করেছেন তাঁরা। দুজনের জামা প্রায় একই। 'টুইনিং' বললেও ভুল হবে না। কখনও পাশাপাশি দাঁড়িয়ে, কখনও একে অপরের কাঁধে মাথা রেখে ছবি দিয়েছেন। সেই ছবিতেই বুঁদ নেট দুনিয়া। এপার বাংলা, ওপর বাংলা যেন এক হয়েছে ছবিতে খানিকটা গঙ্গা-পদ্মার মতো।
টলিউডের অভিনেত্রীকে দেওয়া হচ্ছে হুমকি! নগ্ন ফটো ফাঁস, এমনকি প্রাণনাশের হুমকিও পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় (Swastika Mukherjee)। আর এই অভিযোগ এসেছে 'শিবপুর' (Shibpur) ছবির প্রযোজকের বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, স্বস্তিকা ইতিমধ্যেই বিষয়টি জানিয়ে পুলিসের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। অন্যদিকে ইম্পা (ইস্টার্ন ইন্ডিয়া মোশন পিকচার্স অ্যাসোসিয়েশন) সূত্রের খবর, অভিনেত্রী বিষয়টি সংগঠনের নজরে এনেছেন ও অভিযোগ জানিয়েছেন। ঠিক কী ঘটেছে ও কী বললেন স্বস্তিকা?
এক বাংলা সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর স্বস্তিকা জানিয়েছেন, শিবপুর ছবির পরিচালক অরিন্দম ভট্টাচার্য। প্রযোজক দু'জন সন্দীপ সরকার এবং অজন্তা সিংহ রায়। সন্দীপ বিদেশে থাকেন আর এই সন্দীপ সরকারই তাঁকে প্রায় এক মাস ধরে হেনস্থা করে চলেছেন। স্বস্তিকা জানিয়েছেন, চুক্তিপত্রে অজন্তা সিংহের স্বাক্ষর ছিল। সন্দীপ সরকার যে আরও একজন প্রযোজক, সেটা তো এখন জানতে পারছেন। গত এক মাস ধরে সন্দীপ সরকার তাঁকে ই-মেলে হুমকি দিচ্ছেন। প্রথমে কিছু তিনি না বললেও পরে তিনি পুলিসে অভিযোগ জানাতে বাধ্য হন।
তাঁকে কেমন ধরনের হুমকি দিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি জানান, 'একাধিক হুমকি দেওয়া হয় যেমন- আমেরিকান দূতাবাসে অভিযোগ করে ভিসা বন্ধ করে দেওয়া। আমেরিকা যাওয়া আটকানো, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে অভিযোগ জানানো। তাঁর সঙ্গে সহযোগিতা না করলে পুলিসে অভিযোগ জানানো ইত্যাদি।' আবার তাঁর ছবি বিকৃত করে পর্ন ওয়েবসাইটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন ওই প্রযোজক, এমনটাই দাবি অভিনেত্রীর। কিন্তু কেন এই হুমকি, জিজ্ঞেস করা হলে অভিনেত্রী জানান, তিনি সত্যিই জানেন না। তবে প্রযোজক জানিয়েছেন, তিনি নাকি টাকা চেয়েছেন। তবে স্বস্তিকার দাবি, 'চুক্তির বাইরে আমি কোনও টাকাই চাইনি।'
তবে এখানেই শেষ নয়, শুধুমাত্র অভিনেত্রী নয়, তাঁর ম্যানেজারকেও হুমকি দিয়েছেন ওই প্রযোজক। তাঁকে ইমেল করে বলা হয়েছে, তাঁর যখন-তখন পথ দুর্ঘটনা হয়ে যেতে পারে। পরিচালক অরিন্দমের সঙ্গে নাকি দিনের পর দিন খারাপ ব্যবহার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন অভিনেত্রী। এসব ঘটনার পর স্বস্তিকা অন্য এক প্রযোজকের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, তিনি নাকি অসুস্থ, আর এই বিষয়ে কিছুই জানেন না প্রযোজক অজন্তা।
তাই অজন্তার প্রশ্ন, 'একজন প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রীর সঙ্গে যদি এই ঘটনা ঘটে, তা হলে আমার ভয় করছে, নবাগত অভিনেতাদের তো এই ধরনের প্রযোজকরা রাস্তায় দাঁড় করিয়ে উলঙ্গ করে দেবেন!'
বাংলায় “খোল দ্বার খোল, লাগলো যে দোল” হোক বা হিন্দিতে “বালাম পিচকারি” হোক, বসন্ত উৎসব কিন্তু রঙ সর্বত্র ছড়িয়ে দিয়েছে। দোল বা হোলির (Holi) কথা বললেই চলে আসে রাধা-কৃষ্ণের লীলাক্ষেত্র মথুরা-বৃন্দাবনের প্রসঙ্গ। সারা বিশ্ব থেকে বহু মানুষ আসেন মথুরা-বৃন্দাবনের হোলি উৎসবে শামিল হতে। বৃন্দাবনে ধুমধাম করে পালিত হয় রঙের উৎসব। আর এবারে সেই আনন্দে যোগ দিতে গিয়েছিলেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় (Swastika Mukherjee)। তাও আবার ৯ বছর পর গায়ে দোলের রঙ লাগালেন অভিনেত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি নিজেই পোস্ট করেছেন।
বৃন্দাবনে রং খেলার ছবি পোস্ট করে স্বস্তিকা লেখেন, “৯ বছর পর দোল খেললাম। ২০১৪ সালের পর আর রং ছুঁইনি, বাড়ি থেকেও বার হইনি। আগের এতগুলো বছরের সমস্ত পাওনা এক দোলেই মিটিয়ে নিলাম। আগামী দিনের জন্যও বেশ কিছু বাড়তি রং তুলে নিলাম। রাধে রাধে।”
ছবিতে একেবারে রাধার মতোই লাগছিল স্বস্তিকাকে। কখনও হলুদ শাড়িতে আবার কিছু ছবিতে সাদা শাড়িতে রঙিন হয়ে উঠেছেন নায়িকা। এত বছর পর যে মনে রঙ লেগেছে তা ছবিতে ঝরে পড়া হাসি দেখে স্পষ্ট। এর পিছনে কী অন্য কোনও কারণ রয়েছে?