
ফের রাজ্যের জেলায় জেলায় আগ্নেয়াস্ত্র (Firearms) উদ্ধার। শনিবার রাতে আগ্নেয়াস্ত্র সহ এক যুবককে গ্রেফতার (Arrest) করল স্বরূপনগর থানার পুলিস। ঘটনাটি ঘটেছে স্বরূপনগর (Swarupnagar) থানার অন্তর্গত তেতুলিয়া শ্মশান এলাকায়। ধৃত ব্যক্তির থেকে উদ্ধার করা হয়েছে এক রাউন্ড গুলি ও একটি পিস্তল। রবিবার ধৃতকে বসিরহাট আদালতে তোলা হয়েছে। আপাতত ধৃতকে পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। পুলিস সূত্রে খবর, ধৃত ওই ব্যক্তির নাম সম্রাট মণ্ডল। ধৃত স্বরূপনগরের হরিশপুরের বাসিন্দা।
পুলিস আরও জানায়, শনিবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তেতুলিয়া শ্মশান এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালায় পুলিস। স্বরূপনগর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক প্রতাপ মোদকের নেতৃত্বে থাকা একটি বিশেষ দল ওই এলাকায় যায়। সেখানেই আগ্নেয়াস্ত্র সহ সম্রাট মণ্ডলকে আটক করে পুলিস।
অন্যদিকে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ডোমকল থানার অন্তর্গত জুগিন্দা রথতলাপাড়া এলাকাতেও একই ঘটনা ঘটে। শনিবার রাতে আগ্নেয়াস্ত্র সহ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে ডোমকল থানার পুলিস। একই রকমভাবে ওই ব্যক্তির থেকেও একটি আগ্নেয়াস্ত্র সহ এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। পুলিস সূত্রে খবর, ধৃত ওই ব্যক্তির নাম আব্দুল মণ্ডল।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিস শনিবার জুগিন্দা রথতলাপাড়া এলাকায় অভিযান চালায়। তল্লাশি অভিযানের পরই আব্দুল মণ্ডল নামের ওই ব্যক্তির কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করে পুলিস। যদিও এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
তবে ধৃতদের কাছে কিসের জন্য আগ্নেয়াস্ত্র মজুদ করা ছিল তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
ফের সীমান্তবর্তী এলাকায় দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব। তার আগেই রুখে দিল পুলিস-প্রশাসন (Police)। গুলি ভর্তি দেশি পিস্তল (Gun), ভোজালি ও ছুরি সহ তিন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার (Arrest) করল স্বরূপনগর থানার পুলিস (Swarupnagar Police Station)।
জানা গিয়েছে, বসিরহাটের স্বরূপনগর থানার গোবিন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ধোপাপুকুর এলাকার ঘটনা। এলাকায় সমাজবিরোধী কাজ, ডাকাতি ও ছিনতাই করার জন্য একজায়গায় জড়ো হয়েছিল দুষ্কৃতীরা। গোপন সূত্রে খবর যায় স্বরূপনগর থানার পুলিস আধিকারিক প্রতাপ মোদকের কাছে। তারপর তাঁর নেতৃত্বে একদল পু্লিস গিয়ে হাতেনাতে পাকড়াও করে তিন দুষ্কৃতীকে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে গুলিভর্তি দেশি পিস্তল, ভোজালি, ছুরি ও লোহার রডের মতো ডাকাতি করার একাধিক সরঞ্জাম।
পুলিস সূত্রে খবর, এই তিন দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে বসিরহাটের বিভিন্ন থানায় লিখিত অভিযোগ ছিল। দীর্ঘদিন ধরে তাঁদের খোঁজ চালাচ্ছিল পুলিস। ওই তিনজন দুষ্কৃতীর নাম আশিকুল গাজী ও ইউনুস সানা, তাদের বাড়ি গোকুলপুর এলাকায়। অন্যজন, কাইয়ুম গাজী, তার বাড়ি স্বরূপদহ এলাকায়৷ ধৃত তিন দুষ্কৃতীকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়।
বাংলাদেশে নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ (Cough syrup) পাচারের চেষ্টা। ডাক বিভাগের চিঠির বস্তায় করে পাচারের (Sumggling) ছক পিওনের। তবে বিএসএফের (BSF) তৎপরতার শ্রীঘরে পোস্ট অফিসের পিওন। বসিরহাটের স্বরূপনগর থানার (Swarupnagar Police) ভারত-বাংলাদেশ হাকিমপুর সীমান্তের ঘটনা। ঘটনায় চিঠির বস্তা থেকে উদ্ধার হয় প্রায় ৩৮ বোতল নিষিদ্ধ কাপ সিরাপ ফেনসিডিল। অভিযুক্তকে আটক করে স্বরূপনগর থানার পুলিসের হাতে তুলে দিয়েছে বিএসএফ কর্মীরা। জানা গিয়েছে, ধৃত ওই পাচারকারীর নাম তালাক মাহমুদ। তিনি স্বরূপনগরেরই দত্তপাড়ার বাসিন্দা।
জানা গিয়েছে, হাকিমপুর পোস্ট অফিসের পিওন তালাক মাহমুদ শনিবার পোস্ট অফিস থেকে চিঠির বস্তা নিয়ে বেরিয়েছিল বাড়ি বাড়ি চিঠি পৌঁছে দেওয়ার জন্য। মোটরবাইকে করে হাকিমপুর সীমান্তে আসতেই তাঁর গতিবিধিতে বিএসএফের ১১২ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের জওয়ানদের সন্দেহ হয়। তাঁকে আটকে ধরে জেরা করে তল্লাশি চালাতেই ওই চিঠির বস্তা থেকে উদ্ধার হয় প্রায় ৩৮ বোতল নিষিদ্ধ কাপ সিরাপ ফেনসিডিল।
বিএসএফ-এর প্রাথমিক অনুমান, বাংলাদেশে পাচার করার উদ্দেশে ওই কাফ সিরাপগুলি বস্তাবন্দি করে নিয়ে যাচ্ছিল ওই পিওন। ধৃত পাচারকারীকে শনিবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে। এমনকি এই ঘটনার পিছনে আরও বড়সড় কোনও পাচার চক্র আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে স্বরূপনগর থানার পুলিস ও বিএসএফ জওয়ানরা।