কাতার বিশ্বকাপ (Qatar World Cup 2022) মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের (Swapan Debnath) চোখে।
আমি বর্ধমানের বিধায়ক দীর্ঘদিনের। আছিও পূর্বস্থলীতে বহুদিন। কিন্তু আমরা ওপার বাংলার । স্বাভাবিক ভাবেই ইস্টবেঙ্গল। একদিকে ইস্টবেঙ্গলের লাইফ মেম্বার অন্যদিকে বিশ্ব ফুটবলে ব্রাজিল। অবশ্য এটাও ঠিক যে ল্যাটিন আমেরিকার ফুটবলের প্রতি আমার আকর্ষণ চিরকালই। আহা এমন শিল্প ছিল পেলে, মারাদোনা থেকে আজকের মেসি বা নেইমার ইত্যাদিদের খেলা বা ছোট্ট ডজ বা ড্রিবলিং নিয়ে জায়গা বদলে বদলে কি খেলাটাই না খেলে।
তবে এটা ঠিক যে আজকের আধুনিক ফুটবলে কেউ এতো জায়গা দেবে না খেলোয়াড়দের কাটানোর। সময় কম, কিন্তু দেখছি তো এবারের খেলা। কি সব তিকিতাকা, নাহ মোটেই খারাপ না লাগলেও চোখে লেগে থাকে না। এবারের বিশ্বকাপে আমি মুখিয়ে রয়েছি আজকের ব্রাজিল আর আর্জেন্টিনার খেলা দেখার জন্য। বিধানসভার কাজ চলছে কিন্তু ফেরার পথে মোবাইলে ব্রাজিলের খেলা দেখবো অবশ্য বাড়ি পৌছিয়ে বাকি খেলা টিভিতে।
শুক্রবারের দুটো খেলায় গুরুত্বপূর্ণ। মন বলছে, ক্রোয়েশিয়াকে ব্রাজিল হারাবেই তবে নেইমারকে মাঠে থাকতে হবে এবং ছটফট করতে হবে। ওদের ডিফেন্স এতেই ভেঙে যাবে । আহামরি এমন কিছু দল নয় ক্রোয়েশিয়ারা। অনেক বুড়ো খেলোয়াড় ওদের। অন্যদিকে আর্জেন্টিনার কাছে পরপর কঠিন ম্যাচ। আজকে নেদারল্যান্ড কিন্তু বেগ দেবেই। ওই যে ঝাঁকড়া চুলওয়ালা ৪ নম্বর জার্সির ডিফেন্স, যথেষ্ট ভালো।
আমি খেলাধুলার ভক্ত। আমাদের পূর্বস্থলীতে নিয়মিত টুর্নামেন্ট হয়। এখানে বিদেশ বোস, ষষ্ঠী দুলে থেকে বহু খেলোয়াড়ের যোগদানে দারুন টুর্নামেন্ট হয়। এছাড়া বাংলার আদি খেলা কবাডি, খোখো ইত্যাদি খেলাও আমি আমার এলাকায় চালু রেখেছি। শরীরচর্চাই তো আসল। এসবে আমাদের দেশে খামতি আছে বলেই আমরা বিশ্বকাপ ফুটবলের স্বপ্ন দেখি না। (অনুলিখন: প্রসূন গুপ্ত)
কুমিরের (crocodile) আতঙ্কে এখন পূর্ব বর্ধমান (East Burdwan) জেলা প্রশাসন। দেবীপক্ষের সূচনা মহালয়ার (mahalaya) তর্পণে মানুষের ঢল নামে পূর্ব বর্ধমানের কালনার (Kalna) ধাত্রীগ্রামের মালতিপুর ঘাটে। কিন্তু সেখানে জল বোমা ফাটিয়ে মানুষকে সতর্ক করছে বনদফতরের কর্মীরা। সঙ্গেই মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের (Swapan Debnath) হাতজোড় করে অনুরোধ, জলে যাতে কেউ না নামেন।
মাস কয়েক হল ভাগীরথীর মালতীপুর ঘাটে মানুষ দুটি কুমিরের দেখা পেয়েছিল। এরপর বনদফতরকে জানানো হলে কয়েক মাস ধরে পাহারার ব্যবস্থা করে বনদফতর। এখনও পর্যন্ত কুমির দুটিকে ধরা যায়নি বলে চিন্তার ভাঁজ বনদফতরের। পিতৃপক্ষের অবসান ও দেবীপক্ষের সূচনার সকাল থেকেই ভিড় উপচে পড়ছে মালতিপুর ঘাটে। গতকাল থেকেই শুরু হয়েছে মাইকিং করে সচেতন করা। তর্পন করতে জলে কেউ যাতে না নামেন।
তবে রবিবার সকাল থেকে এত মানুষ তাঁদেরকে সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে বনদফতর ও নাদন ঘাট থানার পুলিস। সেই কারণেই জল বোমা ফাটানো হয় জলে, যাতে কুমির দূরে সরে যায়।
পূর্ব বর্ধমান জেলার বনদফতরের প্রধান নিশা গোস্বামী দাঁড়িয়ে থেকে গোটা ঘটনার তদারকি যেমন করছেন, তেমনই রাজ্যের মন্ত্রী ও এলাকার বিধায়ক স্বপন দেবনাথ হাত জোড় করে প্রত্যেকটা মানুষের কাছে অনুরোধ জানান, "জলে নামবেন না। জলে কুমির আছে।"
মানুষের মধ্যে আতঙ্ক থাকলেও ভাগীরথীদের তর্পনের জন্য তাঁরা জলে নামাতে চিন্তায় পড়েছেন পূর্ব বর্ধমান জেলার বনদফতর ও প্রশাসন।