২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের পর ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় মূলত, রাজ্যের তরফ থেকে সুপ্রিম কোর্টে মামলা সরানোর আবেদন জানানো হয়েছিল। অপরদিকে, সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল এই মামলার শুনানি যাতে ভিন রাজ্যে করা হয়। কেন? কারণ, এ রাজ্যে মামলার সাক্ষীদের এবং বিপক্ষের আইনজীবীদের নানান হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে বলে খবর। তাই সিবিআই ভিন রাজ্যে মামলা সরানোর দাবি করে।
তবে সিবিআইয়ের দাবি, মামলা এ রাজ্যে থাকলে সমস্যা আরও বাড়তে পারে। তাই, এবার মামলার শুনানি হবে ভিন রাজ্যেই। এই মর্মে আপাতত মামলার শুনানিতে রাজ্যের বিশেষ আদালতগুলিকে স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিমকোর্ট। তারপরেই তৎপর সিবিআই।
উল্লেখযোগ্যভাবে খবর, ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে একাধিক ব্যক্তির সঙ্গেই খুন হয়েছিলেন মহম্মদ আলি নামে এক যুবক। ওই ব্যক্তি খুনের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিকেও রবিবার বারাসতে নোটিস দেয় সিবিআই। যিনি, ঘটনায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতারির পর জামিনে মুক্তি পেয়েছিলেন। তবে, সাংবাদিকদের যেকোনও প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে চলে যান তিনি।
রাজ্যের একাধিক বিশৃঙ্খল ঘটনার মধ্যেই শোনা গেল, এখনও ভোট পরবর্তী হিংসার মামলার সাক্ষীরা হুমকি পাচ্ছেন। তদন্তকারী সংস্থা বাধ্য হচ্ছে ভিন রাজ্যে মামলার শুনানি হস্তান্তরিত করার আবেদন জানাতে। এ রাজ্যে তবে মামলার বিচারের জন্যও উপযুক্ত পরিস্থিতি নেই? শাসকের ওপর ক্ষোভ বাড়ছে সাধারণ মানুষের। দাবি বঙ্গের ওয়াকিবহাল মহলের।
বুধবারও লোকসভায় 'সাসপেনশন' অব্যাহত। এবারে সাসপেন্ড করা হল কেরলের দুই সাংসদকে। প্রথম জন, আলাপুঝার সিপিএম সাংসদ এএম আরিফ। দ্বিতীয় জন, আঞ্চলিক দল কেরল কংগ্রেস (মণি)-র নেতা তথা কোট্টয়মের সাংসদ সি থমাস। এই নিয়ে গত এক সপ্তাহে লোকসভা এবং রাজ্যসভা থেকে মোট ১৪৩ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হল। এর মধ্যে লোকসভার সাংসদ সংখ্যাই ৯৭ জন।
সাংসদদের সই নকল করার অভিযোগ উঠেছে আপ সাংসদ রাঘব চাড্ডার (Raghav Chadha) বিরুদ্ধে। এককথায় স্বাধিকার ভঙ্গের অভিযোগেই তাঁকে রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। আর এরপরেই তিনি পরিবর্তন করলেন তাঁর সমাজমাধ্য়মের বায়ো। এর আগে এমনটা দেখা গিয়েছে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর Rahul Gandhi) ক্ষেত্রেও। অনির্দিষ্টকালের জন্য সাংসদ পদ খুঁইয়ে বদলে ফেলেছিলেন টুইটার (Twitter Bio) অর্থাৎ 'এক্স'-এর বায়ো। এবারে রাহুলের দেখানো পথেই হাঁটলেন রাঘব চাড্ডাও।
অনির্দিষ্টকালের জন্য রাঘব চাড্ডাকে শুক্রবার সাসপেন্ড করেছেন রাজ্যসভায় চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়। এরপরেই রাঘবকে দেখা গিয়েছে, তাঁর সাসপেনশন নিয়ে নিজের স্বপক্ষে যুক্তি দিতে। একটি ভিডিও বানিয়ে সমাজমাধ্যমে শেয়ার করেন তিনি। সেখানে তিনি প্রথমেই জিজ্ঞাসা করেন, 'কেন আমাকে সাসপেন্ড করা হল? কী অপরাধ আমার?' এছাড়াও তিনি যুক্তি দেন যে, তাঁকে সাসপেন্ড করার কোনও কারণই নেই। আর সাসপেনশনের 'প্রতিবাদ' হিসাবে তিনি তাঁর টুইটারের বায়ো পরিবর্তন করে লিখলেন, 'সাসপেন্ডেড মেম্বার অফ পার্লামেন্ট'। অর্থাৎ 'সাসপেন্ডেড সাংসদ'। উল্লেখ্য, সাংসদ পদ হারানোর পর রাহুল গান্ধী বায়োতে লিখেছিলেন, 'অযোগ্য সাংসদ।' তবে এখন এটাই দেখার, কবে ফের সাংসদ পদ ফিরে পাচ্ছেন রাঘব চাড্ডা।
বাদল অধিবেশনের (Monsoon Session) শেষ দিনে রাজ্যসভা (RajyaSabha) থেকে সাসপেন্ড (Suspend) করা হল আপ নেতা রাঘব চাড্ডাকে (Raghav Chadha)। তাঁকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সাসপেন্ড করলেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়। সূত্রের খবর, চারজন সাংসদের সই নকল করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। সাংসদদের বিনা অনুমতিতে, প্যানেলের সদস্যদের জন্য তাঁদের নাম উল্লেখ করেছেন। ফলে স্বাধিকার ভঙ্গের অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয়েছে আপ নেতা রাঘব চাড্ডাকে। তাঁর এই সাসপেনশনের পরই তিনি এবারে সমাজমাধ্যমে এসে নিজের বক্তব্য রাখলেন। প্রথমেই তাঁকে বলতে শোনা গেল, 'কেন আমাকে সাসপেন্ড করা হল?'
My statement on suspension from Rajya Sabha
— Raghav Chadha (@raghav_chadha) August 11, 2023
राज्य सभा से निलंबित होने पर मेरी प्रतिक्रिया pic.twitter.com/0jM3DS6M7I
শুক্রবার সাসপেনশনের পর নিজের স্বপক্ষে যুক্তি দিয়েছেন রাঘব চাড্ডা। তিনি প্রথমেই জিজ্ঞাসা করেছেন, 'কেন আমাকে সাসপেন্ড করা হল? কী অপরাধ আমার? আমার কী এটাই অপরাধ যে, আমি পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে দুনিয়ার সবচেয়ে বড় পার্টি বিজেপির নেতাদের প্রশ্ন করেছি?' তাঁর বিরুদ্ধে সই নকল করার যে অভিযোগ উঠেছে, সেই বিষয়ে তিনি যুক্তি দিয়ে জানিয়েছেন, কোনও সিলেক্ট কমিটির সদস্যের জন্য কিছু সাংসদের নাম প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি। এমনটা অধিকার রয়েছে একজন সাংসদের। এই ক্ষেত্রে কোনও সাংসদের অনুমতি বা সইয়ের দরকার পড়ে না। কোনও সাংসদের আপত্তি থাকলে তাহলে তাঁর নাম তুলে নিতে পারেন। এসব বলেই তিনি নিজের স্বপক্ষে যুক্তি দেন। এখন এটাই দেখার অবশেষে প্রিভিলেজ কমিটির রিপোর্টে কী আসে। উল্লেখ্য, এই রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত রাজ্যসভার সমস্ত কাজ থেকে নির্বাসিত থাকবেন চাড্ডা, এমনটাই জানিয়েছেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়।
২০২২ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার বিচারপতি হিমা কুহেলি এবং বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের বেঞ্চ এই নির্দেশ দেয়। এর ফলে প্রায় ১২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া আপাতত বন্ধ থাকছে। এর আগে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, ২০২০-২২ শিক্ষাবর্ষের প্রশিক্ষিতরা ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবে না।
২০১৭ সালের প্রশিক্ষিত চাকরী প্রার্থীরা বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেন বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে। কিন্তু বিচারপতি তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চও সেই নির্দেশ খারিজ করে দেয়। তারপর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকরা কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের মামলাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে।
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয় ২০২২ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া আপাতত স্থগিত থাকবে।
৩২ হাজার প্রাথমিক চাকরি বাতিলের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ (suspension) দিল সুপ্রিমকোর্ট (Supreme Court)। শুক্রবার শীর্ষ আদালত ওই নির্দেশ দিয়েছে। কয়েকমাস আগে ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে।
নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে প্রথমে ৩৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশ পরে বদল করে ৩২ হাজার করেছিলেন তিনি। পাশাপাশি চার মাসের মধ্যে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করেছিলেন চাকরিহারাদের একাংশ। সেখানে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে কিছুটা পরিবর্তন করা হয়। ডিভিশন বেঞ্চের তরফে জানানো হয়, ওই ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষককে পার্শ্বশিক্ষক হিসাবে কাজ করতে হবে না। তাঁরা যেমন নিযুক্ত ছিলেন তেমনই থাকবেন। তবে পর্ষদকে নতুন করে নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।
এর পর হাইকোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যান প্রাথমিক শিক্ষকদের একাংশ। সেখানে বিচারপতি জে কে মহেশ্বরী এবং কে ভি বিশ্বনাথনের ডিভিশন বেঞ্চ হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ খারিজ করে দেয়।