কেরলের কালামাসেরির প্রার্থনা সভায় বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করল এক ব্যক্তি। ত্রিশুর জেলার কোদাকোরা থানায় সে আত্মসমর্পণ করেছে বলে জানায় কেরল পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তির নাম ডমিনিক মার্টিন। আত্মসমর্পণের পর পুলিশ তাঁকে হেফাজতে নিয়েছে। ওই ব্যক্তির মানসিক সুস্থতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি গুজরাতের বাসিন্দা। মেঙ্গালুরু থেকে আরিককোড যাচ্ছিল ওই ব্যক্তি। তার সঙ্গে একটি ব্যাগও ছিল। ব্যাগে সন্দেহজনক দ্রব্যও উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, যে গোষ্ঠীর প্রার্থনা চলছিল, তিনি তারই সদস্য।
কেরালা পুলিশ জানিয়েছে, এই বিস্ফোরণটি কোনও আইইডি বিস্ফোরণ। NIA-এর পাশাপাশি রাজ্যের পুলিশও সিট গঠন করে তদন্ত করবে। আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠীর কোনও যোগ আছে কিনা, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দাম্পত্য বিবাদের জের। স্ত্রী ও আট বছরের কন্যাকে খুন করে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ স্বামীর। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল বসিরহাটের (Basirhat) বাদুড়িয়ায়। আদৌ দাম্পত্য কলহের জেরেই এই ঘটনা, নাকি নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
জানা গিয়েছে, মৃত স্ত্রীর নাম মৌসুমী পাল। অভিযুক্ত স্বামীর নাম সঞ্জীব পাল। বসিরহাটের বাদুড়িয়া থানার রামচন্দ্রপুর গ্রামের দাসপাড়ার বাসিন্দা। স্থানীয়দের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই মৌসুমীকে পণের জন্য চাপ সৃষ্টি করতেন সঞ্জীব। যার জেরে অশান্তি লেগেই থাকতো। মৌসুমীর পরিবারের সদস্যরা জানান, মেয়ে সন্তান জন্মানোর পর থেকে আরও অত্যাচার শুরু করে মৌসুমীর উপর। যদিও পুলিসি জেরায় অভিযুক্ত স্বামী জানিয়েছেন, অবৈধ সম্পর্কের জেরেই তাঁদের মধ্যে প্রায়শই অশান্তি হতো। সেই অশান্তি চরম আকার ধারণ করে মঙ্গলবার রাতে।
বুধবার ভোররাতে স্ত্রী মৌসুমী ও বছর আটের কন্যাকে ঘুমের মধ্যেই কুপিয়ে খুন করেন বলে অভিযোগ। তারপর হাবড়া থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন সঞ্জীব। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
স্ত্রীকে খুন করে পুলিসের কাছে নিজেই আত্মসমর্পণ (Surrender) করল চিকিৎসক স্বামী। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা অশান্তির জেরেই এই খুন করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ঘটনায় মৃতার নাম রত্নতম বালা। তিনি একটি বেসরকারী হাসপাতালে কর্মরত। আর অভিযুক্ত ওই চিকিৎসকের নাম অরিন্দম বালা। এসএসকেএম হাসপাতালে কর্মরত রয়েছেন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে বাগদা থানার অন্তর্গত মন্ডপ ঘাটা এলাকায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাগদা এলাকায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
অভিযুক্তের ভাই অনির্বাণ বালা জানান, বছর দুই আগে অরিন্দম বালার সঙ্গে বারাসতের বাসিন্দা রত্নতম বালার বিয়ে হয়। এরপর থেকেই দু'জনের মধ্যে বিভিন্ন সময় কথা কাটাকাটি ও অশান্তির বাতাবরণ সৃষ্টি হয়। ভাই অনির্বাণ বালা আরও বলেন, বৌদি বেশিরভাগ সময় বাপের বাড়িতেই থাকতেন৷ গতকাল অর্থাৎ শনিবার রাতে দাদা বৌদি একসঙ্গে বাড়িতে আসে। সবাই রাতে একসঙ্গেই খাওয়া দাওয়া করে। তারপর ভোরবেলা নামাদ দাদা বলে সে একটি ভুল কাজ করে ফেলেছে, বৌদিকে নিজের হাতে খুন করেছে। ঘরের মধ্যে অনেক ইনজেকশনের সিরিঞ্জ পড়েছিল বলে জানা গিয়েছে। এরপর অরিন্দম বালা বাগদা থানাতে পুলিসকে ফোন করে ডেকে দাদা নিজেই আত্মসমর্পণ করে।
স্ত্রীকে খুন (Killing) করে থানায় আত্মসমর্পণ (Surrender) স্বামীর। পারিবারিক অশান্তির জেরেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করেছে, স্বীকার করলো অভিযুক্ত। সোমবার ভোর তিনটে নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে ধূপগুড়ি (Dhupguri) ব্লকের বারঘরিয়া অঞ্চলের অফিসপাড়ায়। ঘটনাস্থলে ধূপগুড়ি থানার পুলিস পৌঁছে দেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্যে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পাশাপাশি ওই অভিযুক্তকে গ্রেফতার (Arrest) করে পুলিস (Police)। ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
পুলিস সূত্রে খবর, মৃত গৃহবধূর নাম ফোনি বালা রায়। অভিযুক্তের নাম ভোপাল রায়। দুজনেই ধূপগুড়ি ব্লকের বারঘরিয়া অঞ্চলের অফিসপাড়া এলাকার বাসিন্দা। অভিযুক্ত পেশায় অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ক কর্মী। তাঁদের দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রায়ই ওই দম্পতির মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকত। সোমবার ভোরেও তাঁদের মধ্যে ব্যাপক অশান্তি হয়। বেশ কিছুক্ষণ ধরে ওই অশান্তি চলে। তারপরেই সকালে এলাকার একটি ধান ক্ষেতে ওই গৃহবধূর দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। গৃহবধূর শরীরে আঘাতের চিহ্নও পাওয়া গিয়েছে। তাঁদের দাবি, পারিবারিক অশান্তির জেরে ভোপালই খুন করেছে ওই গৃহবধূকে।
মৃতার বড়বৌমা জানিয়েছেন, 'বাবা সকালে আমাদের বাড়িতে আসেন। তারপরেই মাকে খুন করার বিষয়টি তিনি আমাদের জানান। তিনি বাড়িতে এসে বলেন, "তোর মা আর নেই, আমি মেরে ফেলছি।" এরপরেই তিনি থানায় আত্মসমর্পণ করতে ছুটে যায়।
মাকে শ্বাসরোধ (suffocation) করে হত্যা (killing) করার পর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ (Surrender) করলো ছেলে। নারায়নপুর থানা এলাকার পূর্বাচলের ঘটনা। পুলিস সূত্রের খবর, অভিযুক্ত ৩০ বছর বয়সী সোমনাথ সাঁতরা। এবং তাঁর মৃত মায়ের নাম লক্ষ্মী সাঁতরা (৪৯)। সূত্রের খবর, মা ও ছেলে নারায়ণপুরের পূর্বাচল ২১ নম্বর লেনে থাকতো।
পুলিস সূত্রে খবর, মাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার পর ছেলে, নিজেই থানায় গিয়ে দোষ স্বীকার করে আত্মসমর্পণ করে নারায়ণপুর থানায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, সেই ভাবে কোন কাজকর্ম করত না সোমনাথ। যার ফলে আর্থিক অনটন চলছিল পরিবারে। এমনকি সোমনাথ সাঁতরা বিবাহিত হলেও তার স্ত্রী তার সাথে বাড়িতে থাকতো না।
সোমবার রাতে মায়ের সাথে বিবাদ হয় সোমনাথ সাঁতরার। পুলিসকে সোমনাথ জানিয়েছে, মায়ের সাথে বিবাদের পর মাকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করে সে। তারপর নিজেই নারায়নপুর থানায় গিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করে এবং আত্মসমর্পণ করে। সোমনাথের কথা শোনার পর, পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে লক্ষ্মী সাঁতরার দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়। তবে এই হত্যার পেছনে মানসিক অবসাদ না আর্থিক অনটন, নাকি অন্য কোন বিষয় তা তদন্ত করে দেখছে নারায়ণপুর থানার পুলিস। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য এলাকায়।
পোস্টার হাতে ভুলের ক্ষমা চাইতে থানায় হাজির এক মোটরবাইক চোর। পুলিস এনকাউন্টার থেকে বাঁচতে কি এই ক্ষমাপ্রার্থনা? বুধবার মুজফ্ফরনগরের মনসুরপুর থানায় পোস্টার হাতে ঢুকে আত্মসমর্পন (Surrender) এক মোটরবাইক চোরের। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা সেই পোস্টারে। পুলিস (Uttar Pradesh Police) সূ্ত্রে খবর, অভিযুক্ত মোটরবাইক চোরের নাম অঙ্কুর। অভিযুক্তর এরকম অপরাধ স্বীকার দেখে মনসুরপুর থানার এক পুলিসকর্মী বলেন,'অভিযুক্ত অঙ্কুর এনকাউন্টারের (Encounter) ভয়ে নিজের প্রাণ বাঁচাতেই অপরাধ স্বীকার করেছে।'
কারণ, যোগী আদিত্যনাথের সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে উত্তরপ্রদেশে অপরাধ দমনে এনকাউন্টার অনেক বেড়ে গিয়েছে। তিনি ক্ষমতায় আসার পর থেকে উত্তরপ্রদেশে প্রায় ন’হাজারেরও বেশি এনকাউন্টার হয়েছে। মঙ্গলবার পুলিসি এনকাউন্টারের একটি খবর প্রকাশ্যে আসে। তারপরেই বুধবার গ্রাম প্রধান এবং পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অভিযুক্ত অঙ্কুর তাঁর অপরাধ স্বীকার করতে থানায় হাজির। খুনের চেষ্টা ও চুরির বেশ কয়েকটি মামলা থাকায় পুলিস অভিযুক্ত অঙ্কুরের খোঁজে ছিল। তাই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে আইপিসির একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।
ভবিষ্যতে কোনও অপরাধ করব না, এই মুচলেকা লিখে থানায় আত্মসমর্পণ এক দুষ্কৃতীর। মুচলেকা বললে ভুল হবে, রীতিমতো গলায় প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে হাতজোড় করে থানায় হাজিরা এক দুষ্কৃতীর। তারপরই তাকে গ্রেফতার করে উত্তর প্রদেশ পুলিস। সূত্রের খবর, দুষ্কৃতীর নাম সৌরভ গিরি। মেরঠের পরীক্ষিতগড়ের ত্রাস হয়ে উঠেছিল অভিযুক্ত। সৌরভের নামে একাধিক মামলা ঝুলছে। দীর্ঘদিন ধরে সে ওয়ান্টেড পুলিসের খাতায়।
কিন্তু মঙ্গলবার আচমকাই থানায় গলায় প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে হাজির হয় সৌরভ। মুখে আতঙ্কের ছাপ, হাতজোড় করে নিজের অপরাধের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী সৌরভ। যে দুষ্কৃতী ওয়ান্টেড, তাকে থানায় হাজিরা দিতে দেখে হতবাক পুলিসকর্মীরা।
মেরঠের পুলিশ সুপার জানান, 'সৌরভ গিরি নামে এক দুষ্কৃতী গলায় প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেছে। তার নামে একাধিক মামলা রয়েছে। পুলিসের খাতায় ওয়ান্টেড। সে নিজে থেকেই আত্মসমর্পণ করেছে।' পুলিস সুপার আরও জানান, সৌরভের কাছে থেকে একটি পিস্তল, কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে।