
অবশেষে অন্তর্বর্তী জামিন (Interim Bail) পেলেন দিল্লির প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও কারামন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন (Satyendar Jain)। শুক্রবার সুুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির জন্য ৬ সপ্তাহের জন্য তাঁর এই অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করেছে। বৃহস্পতিবার তিহাড় জেলের শৌচালয়ে মাথা ঘুরে পড়ে গিয়েছিলেন গ্রেফতার হওয়া দিল্লির প্রাক্তন মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন। এরপর আজ, শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট তাঁর অন্তবর্তী জামিন মঞ্জুর করেছে। উল্লেখ্য, গত বছর মে মাস থেকে তিহাড় জেলে বন্দি দিল্লির এই প্রাক্তন মন্ত্রী। তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ।
শীর্ষ আদালতের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, দিল্লি ছেড়ে বাইরে কোথাও যাওয়া যাবে না ও সংবাদমাধ্যমের সামনে কিছু বলা যাবে না। তবে সুপ্রিম কোর্ট তাঁর শারীরিক পরিস্থির কথা ভেবে নির্দেশ দিয়েছে, তিনি তাঁর চিকিৎসার জন্য যে কোনও হাসপাতালে যেতে পারেন। ১১ জুলাই পর্যন্ত এই জামিন থাকবে। ১০ জুলাই এই মামলার শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে বলে জানানো হয়েছে। তখন তাঁর সমস্ত মেডিক্যাল রিপোর্ট আদালতে পেশ করতে বলা হয়েছে। এরপর তা দেখেই তা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।
বৃহস্পতিবার সকালে তিহাড় জেলের শৌচালয়ে মাথা ঘুড়ে পড়ে যান তিনি। এরপরই তাঁকে দিল্লির দীন দয়াল উপাধ্যায় হসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর তাঁকে লোক নারায়ণ জয় প্রকাশ নারায়ণ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতির ফলে তাঁকে আইসিইউ-তে ভর্তি করা হয়েছে। সেই হাসপাতালেই বর্তমানে চিকিৎসাধীন তিনি।
মণি ভট্টাচার্য: 'বারে বারে ঘুঘু তুমি খেয়ে যাও ধান, এবার ঘুঘু তোমার বধিবে পরান।' তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) সিবিআইয়ের (CBI) জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে এমনই দাবি বিরোধীদের। শুক্রবার সকালে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) ফের বড় ধাক্কা খেলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি জাস্টিস সিনহার ২৫ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণের নির্দেশে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের। সূত্রের খবর, সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদ দিয়ে জাস্টিস গঙ্গোপাধ্যায়ের রায় বহাল রাখেন জাস্টিস সিনহা। সঙ্গে জাস্টিস সিনহা ২৫ লক্ষ টাকা করে জরিমানার নির্দেশ দেয় অভিষেক ও কুন্তল ঘোষকে। ওই মামলার রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চে আবেদন জানায় অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। যদিও ওই আবেদনের শুনানিতে শুক্রবার সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে কোনও স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট।
এরপরেই তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কে নিয়ে কটাক্ষ শুরু করেছেন বিরোধী দল বিজেপির একাংশ। বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি শুক্রবার সিএন-ডিজিটালকে বলেন, 'বারে বারে ঘুঘু তুমি খেয়ে যাও ধান, এবার ঘুঘু তোমার বধিবে পরান। অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের এখন ওই অবস্থা। উনি সিবিআইকে কেন এত ভয় পাচ্ছেন যে গ্রেফতার হতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে স্থগিতাদেশ চাইতে হচ্ছে। পাশাপাশি বিজেপি উচ্চ নেতৃত্বের মত, উনি যে অপরাধী সেটা বুঝতেই পারছে, নাহলে গ্রেফতারির আশঙ্কা প্রকাশ করে সিবিআইয়ের থেকে রেহাই চায়।' যদিও এ প্রসঙ্গে এখনও কোনও মতামত পাওয়া যায়নি তৃণমূলের।
রমেশ নন্দী বনাম পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একটি মামলায়, কুন্তল ঘোষের চিঠিতে অভিষেকের নাম থাকায় তাঁকে ডেকে প্রায় সাড়ে ৯ ঘটনা জিজ্ঞাসাবাদ চালায় সিবিআই। পাশাপাশি ওই ঘটনায় কুন্তলকেও হেফাজতে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। যদিও জেরা সেরে বেরিয়ে এসে অভিষেকের নিশানা ছিল বিজেপিরই দিকে। তিনি আঙ্গুল তোলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দিকেও। যদিও এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১০ই জুলাই। আপাতত ১০ই জুলাই অবধি সিবিআই অভিষেককে জেরা করতে পারবে।
এবার অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguly) রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ প্রাথমিক চাকরিচ্যুতরা। প্রাথমিকে নিয়োগ বাতিল মামলায় হাই কোর্টের (High Court) সিঙ্গল বেঞ্চ ও ডিভিশন বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ শিক্ষকরা।
সূত্রের খবর, পূর্বে হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, আপাতত তাঁরা ৪ মাস স্কুলে যেতে পারবেন। পার্শ্ব শিক্ষকদের বেতনকাঠামো অনুযায়ী বেতনও পাবেন। পরে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেন। চাকরি বাতিল না হলেও নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে বলা হয় তাঁদের। পর্ষদকে নির্দেশ দেওয়া হয়, অগস্টের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করে ফেলতে হবে। এর মধ্যেই হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে শিক্ষকরা।
২০১৬ সালে প্রাথমিকে নিয়োগ হয়েছিল মোট ৪২,৫০০ জন। এর মধ্যে ৬,৫০০ জনকে নিয়ে বিতর্ক নেই। কিন্তু বিচারপতি জানান, ৩০ হাজার ১৮৫ জন প্রশিক্ষণ না নিয়েই চাকরি পেয়েছেন। ইন্টারভিউ না নেওয়ারও অভিযোগ ওঠে। এই মামলায় চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
আদালতের দ্বারস্থ হয়ে পরপর ধাক্কা অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee)। আপাতত জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আবেদন করে বিচারপতি অমৃতার সিনহার (Amrita Sinha) রায়কে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, অভিষেকের ওই আবেদন খারিজ করে দিলেন সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে আবেদন করলে ভ্যাকেশন বেঞ্চে করুন। আজ অর্থাৎ শনিবার একপক্ষ আদালত হয়ে গ্রীষ্মকালীন ছুটি শুরু হবে অধিকাংশ আদালতেই। এবার এর আগে অভিষেকের আবেদন নিতে অস্বীকার করল সুপ্রিম কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ।
সূত্রের খবর, সুপ্রিম কোর্টের তরফে অভিষেকের আইনজীবীকে জানানো হয়েছে, অবসরকালীন বেঞ্চে আবেদন করুন। ধারাবাহিক ভাবে সুপ্রিম কোর্টে এই ধাক্কার ফলে কিছুটা অস্বস্তিতে থাকবেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রন্ত মামলায় নির্দেশ দিয়েছিল সিবিআই-ইডি চাইলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও কুন্তল ঘোষকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে পারবে। এরপরে সুপ্রিম কোর্টে যান অভিষেক। যদিও তখন সাময়িক স্বস্তি মিলেছিল অভিষেকের। কিন্তু সংশ্লিষ্ট মামলায় বিচারপতি বদল হওয়ায়, জাস্টিস গঙ্গোপাধ্যায়য়ের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিচারপতি অমৃতা সিনহা কে জোড়া আবেদন করেন, কিন্তু তাতে লাভ হয় নি। জাস্টিস গাঙ্গুলির রায় বহাল রাখেন জাস্টিস সিনহা। তারপরে অভিষেক ডিভিশন বেঞ্চে গেলেও ডিভিশন বেঞ্চ গ্রীষ্মকালীন ছুটির পরে আবেদন করতে বলেন। এরপরে শনিবার সুপ্রিম কোর্টে গেলে সেখানেও ধাক্কা খান অভিষেক।
কুন্তল ঘোষের (Kuntal Ghosh) চিঠি সংক্রান্ত মামলায় বিচারপতি (Justice) অমৃতা সিনহার (Amrita Sinha) রায়ের বিরুদ্ধে প্রধান বিচারপতির দ্বারস্থ হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে ইডি এবং সিবিআই জেরা করতে পারবে বলে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি সিনহা। একক বেঞ্চের সেই নির্দেশকেই চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন অভিষেক। নিয়োগ মামলায় অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষও বিচারপতি সিনহার একক বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে প্রধান বিচারপতির দ্বারস্থ হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সকালেই কুন্তলের চিঠি সংক্রান্ত অভিষেকের মামলায় রায় দেয় আদালত। এই মামলায় এর আগে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় যে রায় দিয়েছিলেন, তা বহাল রেখেই বিচারপতি সিন্হা বলেন, কুন্তলের চিঠি সংক্রান্ত মামলায় অভিষেককে জেরা করতে পারবে সিবিআই এবং ইডি। একই সঙ্গে অভিষেক এবং কুন্তল দু’জনকেই আদালতের সময় নষ্ট করার জন্য ২৫ লক্ষ টাকা করে জরিমানাও করেন বিচারপতি। সেই নির্দশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের দ্বারস্থ হন অভিষেক।
একক বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দ্রুত শুনানির আর্জি করেছিলেন অভিষেক এবং কুন্তল। যদিও প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ মামলা দ্রুত শুনানির আর্জি এখনই মঞ্জুর করেনি। তবে মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন।
মনি ভট্টাচার্য: 'মমতা দি চাইলে, দিদির সঙ্গে বসে সিনেমাটি দেখব।' 'দ্য কেরালা স্টোরি' (The Kerala Story) সিনেমায় বাংলার নিষেধাজ্ঞায় সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) স্থগিতাদেশের পর সিএন-ডিজিটালকে এমনই জানালেন পরিচালক সুদীপ্ত সেন (Sudipto Sen)। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার এই সিনেমার উপর বাংলার নিষেধাজ্ঞায় স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
চলতি মাসের ৫ তারিখ এই সিনেমা গোটা ভারতবর্ষে মুক্তি পায়। এরপরেই আইনশৃঙ্খলার দোহাই দিয়ে ৮ই মে এই সিনেমার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যান সিনেমার পরিচালক সুদীপ্ত সেন। বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব সরকারের। সেজন্য কোনও সিনেমা বন্ধ হতে পারে না। এরপর এই সিনেমাটি দেখার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন বিচারপতি স্বয়ং। যদিও পাল্টা তিনি আরও জানান, এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৮ ই জুলাই, ওই তারিখের মধ্যে সিনেমায় প্রদর্শিত ৩২ হাজার মহিলার ধর্মান্তরিত সমন্ধে তথ্য পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
এই রায়ে স্বাভাবিকভাবেই ভীষণ খুশি পরিচালক সুদীপ্ত সেন। বৃহস্পতিবার সিএন-ডিজিটালকে তিনি বলেন, 'একটি ছবি দেখার জন্য যে আন্দোলনের চেহারা নিয়েছে বাংলায়, সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়ায়, নিউজ চ্যানেলে, তা দেখে আমি খুশি। আপনারা সঙ্গ দিয়েছেন।' এছাড়া সিএন ডিজিটালকে ধন্যনাদ জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, 'সারা ভারতবর্ষ ছবিটা দেখছে, বাংলা কিছুটা পিছিয়ে গেল। আমাদের ১০-১২দিন নষ্ট হলো। এই ছবি নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট ১০ দিনে দু'বার রায় দিলেন। এই ছবি নিয়ে নিশ্চয়ই এ দেশে কোনও কথা হবে না। এই ছবিটাকে কোনো সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে, কিংবা এই ছবিতে তথ্য বিকৃত করা হয়েছে। এই যে রটনা চলছিল সেটা নিশ্চয়ই বন্ধ হবে।'
বাংলার পরিচালকের সৃষ্টি, বাংলায় নিষিদ্ধ ঘোষণা এ নিয়ে আবার সরব হন তিনি। পরিচালক সুদীপ্ত সেন আরও বলেন, 'আমি বাঙালি, আমার মাথা নিচু হয়ে যাচ্ছিল গোটা দেশে, কারণ সব জায়গায় প্রচলিত পশ্চিমবঙ্গ আজ যা ভাবে, অন্যান্যরা সেটা আগামীকাল ভাবে। সেই জায়গায় এই সিনেমা ব্যান হয়ে যাওয়ার কোনও মানে হয় না।'
এরপরেই তিনি আরও বলেন, 'দিদি চাইলে আমি আসবো, এসে দিদির সঙ্গে বসে সিনেমাটি দেখতে চাই। কেউ দিদিকে ভুল বুঝিয়েছিলেন। আমার ধারণা দিদি নিজে ফিল্ম দেখেবন এবং বুঝতে পারবেন। এই ব্যান করা কতটা ভুল সিদ্ধান্ত ছিল, সেন্সর বোর্ড যখন কোনও সিনেমাটিকে পাশ করিয়ে দেয়, তখন কারোর ক্ষমতা থাকে না সিনেমাটিকে ব্যান করার। পশ্চিমবঙ্গ সরকার আইনশৃঙ্খলার দোহাই দিচ্ছিলেন। ফিল্ম না দেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হয়নি।'
'দ্য কেরালা স্টোরি' সিনেমাটি বাংলায় নিষেধাজ্ঞা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশ। চলতি মাসে ৫ তারিখ গোটা দেশে মুক্তি পায় এই সিনেমাটি। এরপর আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হবার দোহাই দিয়ে রাজ্যে এই সিনেমা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই সিএন-ডিজিটালকে ওই সিনেমার পরিচালক সুদীপ্ত সেন জানিয়েছিল, এই নির্দেশকে নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছেন তিনি।
সেইমতো সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে ওই সিনেমার পরিচালক সুদীপ্ত সেন। সেই মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ বৃহস্পতিবার অর্থাৎ আজ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এই সিনেমা সংক্রান্ত বাংলায় নিষেধাজ্ঞার যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, সেটি স্থগিতাদেশ থাকবে। অর্থাৎ এই সিনেমা বাংলার সমস্ত প্রেক্ষাগৃহে চলতে পারে।
বাংলায় 'দ্যা কেরালা স্টোরি' সিনেমাটি ব্যান করা নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পরিচালক সুদীপ্ত সেন। ওই মামলার শুনানিতে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের কাছে জানতে চেয়েছিল এই সিনেমা গোটা দেশে চললেও বাংলায় নিষিদ্ধ কেন? এবার তার উত্তরে রাজ্য অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গ সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছে এই সিনেমা বাংলায় চললে বাংলার শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হতে পারে। আইন-শৃঙ্খলার অবনতির ঘটতে পারে। সেই জন্য এই সিনেমা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
চলতি মাসের ৫ই মে এই সিনেমাটি মুক্তি পায়। তারপর চার দিন এই সিনেমা বাংলায় চলে। চারদিন পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এই সিনেমাটি পশ্চিমবঙ্গে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। এ বিষয়ে সুদীপ্ত সেন অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনুরোধ করেছিলেন, 'কারুর কথা শুনে এই সিনেমা বন্ধ করবেন না। আপনি নিজে একবার সিনেমাটি দেখুন। তারপর সিদ্ধান্ত নিন।' যদিও ততক্ষণে বাংলায় সিনেমাটি করার সিদ্ধান্ত নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ ওই সিনেমার পরিচালক সুদীপ্ত সেন ও সিনেমার প্রযোজনা সংস্থা। আজ অর্থাৎ বুধবার সুপ্রিম কোর্টে ওই মামলার ফের শুনানি।
পশ্চিমবঙ্গে 'দ্য কেরালা স্টোরি' (The Kerala Story) নিষিদ্ধ হওয়া নিয়ে এর জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) পর্যন্ত। সিএন ডিজিটালকে পরিচালক সুদীপ্ত সেন (Sudipto Sen) জানিয়েছেন, শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানির পর তিনি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা কিছুটা আশাবাদী, খুব শীঘ্রই বাংলায় তাঁর পরিচালিত ছবি ফের প্রেক্ষাগৃহে দেখা যাবে। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের প্রশ্নের মুখে পড়তে বাধ্য হয় রাজ্যকে। দেশের সমস্ত রাজ্যে এই ছবি প্রেক্ষাগৃহে দেখা গেলেও পশ্চিমবঙ্গে কেন তা নিষিদ্ধ, তা নিয়ে প্রশ্ন করেছেন রাজ্যের আইনজীবীকে।
পশ্চিমবঙ্গে 'দ্য কেরালা স্টোরি' ব্যান করায় সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হন পরিচালক সুদীপ্ত সেন। এরপর শুক্রবার এই মামলা শীর্ষ আদালতে উঠলে প্রধান বিচারপতি রাজ্যের আইজীবীর কাছে প্রশ্ন করেন, 'এই সিনেমা অন্যান্য রাজ্যে চলছে, সমস্যা নেই। তবে বাংলায় কেন এই সিনেমা বন্ধ!' এছাড়া তিনি আরও জানান, 'মানুষকে ছবিটি দেখানোর সুযোগ দেওয়া হোক।'
শুনানির পর সুদীপ্ত সেনকে সিএন ডিজিটালের তরফে ফোনে ধরা হলে তিনি বলেন, 'প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণের পর আশাবাদী যে, পরবর্তী শুনানি বা বুধবারের পর এই ছবির উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা সরে যাবে। ফের বাংলার মানুষরা এই ছবি দেখতে পাবেন।' শুধুমাত্র সুদীপ্ত সেন নয়, তাঁর দাদা মনোজ সেনকেও ফোনে ধরা হলে তিনিও জানান, তিনি বিশ্বাস করেন, এই ছবি ফের বাংলার মানুষ দেখার সুযোগ পাবেন।
পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নির্দেশে 'দ্যা কেরালা স্টোরি' (The Kerala Story) সিনেমাটি নিষিদ্ধ হয়। এরপরে অবশ্য বহু বিতর্ক হয়েছে রাজ্য তথা গোটা দেশ জুড়ে। এবার এই সিনেমাটি রাজ্যের পেক্ষাগৃহ গুলিতে দেখানোর জন্য মত প্রকাশ করেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়।
সিএন ডিজিটালই প্রথম জানিয়েছিল 'দ্যা কেরালা স্টোরি' পশ্চিমবঙ্গে নিষিদ্ধ হওয়া নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে পরিচালক সুদীপ্ত সেন ও নির্মাতা সংস্থা। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, রাজ্যের আইনজীবীকে প্রশ্ন করে, 'এই সিনেমা অন্যান্য রাজ্যে চলছে, সমস্যা নেই। তবে বাংলায় কেন এই সিনেমা বন্ধ!' এছাড়া তিনি আরও জানান, 'মানুষকে ছবিটি দেখানোর সুযোগ দেওয়া হোক।'
পশ্চিমবঙ্গে এই ছবি নিষিদ্ধ হওয়ার পর সিএন ডিজিটাল কে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে ওই সিনেমার পরিচালক সুদীপ্ত সেন বলেছিলেন, 'তিনি আদালতে গিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্ট শুক্রবার এই মামলায় রাজ্যের কাছে সিনেমা বন্ধের কারণ জানতে চেয়ে নোটিশ করেছে বলে খবর। সূত্রের খবর, এই মামলার শুনানি আগামী বুধবার হবে।
সিএন ডিজিটাল কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে, 'দ্যা কেরালা স্টোরির' পরিচালক সুদীপ্ত সেন বলেছিলেন, 'মমতাদি আমার সিনেমা বন্ধ করার আগে, একবার আমার সিনেমাটি দেখুন। অন্যের কথা শুনে আমার সিনেমাটি বন্ধ করবেন না।'
মনি ভট্টাচার্য: পশ্চিমবঙ্গে দ্যা কেরালা স্টোরি (The Kerala Story) ব্যান করাকে নিয়ে যে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) যাচ্ছেন, ওই ছবির নির্মাতা পরিচালক এ কথা সিএন ডিজিটালই প্রথম জানিয়েছিল। সিএন-ডিজিটালকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে সে কথা জানিয়েছিলেন তিনি।পাশাপাশি ওইদিন ওই ছবির পরিচালক সুদীপ্ত সেন মনের ক্ষোভও প্রকাশ করেন। আজ অর্থাৎ শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি বলে খবর। বেলা ১২টা থেকে দুপুর ২ টোর মধ্যে এই মামলার শুনানি হতে পারে বলে সিএন ডিজিটালকে শুক্রবার জানালেন পরিচালক সুদীপ্ত সেন (Sudipto Sen)।
পশ্চিমবঙ্গে দ্যা কেরালা স্টোরি ব্যান হওয়া নিয়ে রাজনৈতিক পারদ তুঙ্গে। কেরালা স্টোরি ব্যান নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টেও জোড়া মামলা হয়েছে বলে খবর, যে মামলার শুনানি পরের সপ্তাহে হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
সম্প্রতি নবান্নে একটি সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দ্যা কেরালা স্টোরি ব্যান করার ঘোষণা করেন। কারণ হিসেবে আইনশৃঙ্খলা বিগড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দর্শান তিনি। যদিও এ প্রসঙ্গে সুদীপ্ত সেন অর্থাৎ ওই সিনেমার পরিচালক সিএন ডিজিটালকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে বলেন,'আইনশৃঙ্খলার কোনও অবনতি ঘটেনি বাংলায়। চার দিন হাউজ ফুল চলেছে এই সিনেমা। এবং তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্য অনুরোধ করেন এবং বলেন, 'দিদি আপনাকে অনুরোধ করছি একবার আমার সিনেমাটি দেখুন। তারপর ব্যান করার সিদ্ধান্ত নিন, অন্যের কথা শুনে দয়া করে আমার সিনেমা বন্ধ করবেন না।'
'দ্য কেরালা স্টোরি' (The Kerala Story) বাংলায় নিষিদ্ধ হবার পর ওই সিনেমার (Cinema) নির্মাতা সংস্থা ও পরিচালক যে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) যাচ্ছেন সে কথা প্রথম সিএন ডিজিটালেই জানিয়েছিলেন। এবার এই সিনেমার প্রদর্শনীর বন্ধের বিরোধিতা করে কলকাতা হাইকোর্টে জোড়া জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল। ঠিক কোন কারণে এই সিনেমাটি নিষিদ্ধ করা হল বাংলায়, তা জানতে চেয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছে অনিন্দ্য সুন্দর দাস নামে এক ব্যক্তি।
সূত্রের খবর, কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলা দায়ের করার অনুমতি দেয়। মামলাকারী অনিন্দ্য সুন্দর দাসের দাবি, এভাবে নোটিফিকেশন জারি করে সিনেমা বন্ধ করা যায় না। এটা বাকস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ বলে মনে করেন তিনি। এছাড়া এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে দেবদত্ত মাঝি নামে এক ব্যক্তি হাইকোর্টে মামলা করেন। তাঁর দাবি এভাবে সিনেমা বন্ধ করা যায় না। এভাবে কন্ঠ রোধ করা যায় না।
গত ৫ই মে দেশের বহু প্রেক্ষাগৃহে সুদীপ্ত সেন পরিচালিত সিনেমা 'দ্যা কেরালা স্টোরি' রিলিজ করে। তাঁর পরেই শুরু হয় বিতর্ক। এর পরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সিনেমাটি বাংলার প্রেক্ষাগৃহে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। যদিও সিনেমা নির্মাতা সুদীপ্ত সেনের দাবি, ৪ দিন বাংলায় ভালো ব্যবসা করেছে 'দ্যা কেরালা স্টোরি।'
মনি ভট্টাচার্য: সিএন-ডিজিটালই প্রথম জানিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গে 'দ্য কেরালা স্টোরি' (The kerala Story) ব্যান (Banned) করা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) যেতে চলেছে ওই সিনেমার পরিচালক সুদীপ্ত সেন। আজ অর্থাৎ বুধবার সুপ্রিম কোর্টে ওই মামলার শুনানি হবে বলে সূত্রের খবর।
সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে 'দ্য কেরালা স্টোরি' ব্যান করার ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরে সিএন-ডিজিটালকে প্রথম সাক্ষাৎকার দেন ওই সিনেমার পরিচালক সুদীপ্ত সেন। সুদীপ্ত সেন জানায়, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন তাঁরা। এরপরে সিএন-ডিজিটালের তরফে মঙ্গলবার রাতে পরিচালক সুদীপ্ত সেনকে ফোনে ধরা হলে তিনি বলেন, 'আমরা আদালতে গিয়েছি, বুধবার ওই মামলার শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে।' এছাড়া দীর্ঘ কথোপকথনে তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, 'আপনি দয়া করে সিনেমাটি একবার দেখুন। তারপর সিদ্ধান্ত নেবেন।'
'দ্য কেরালা স্টোরি' সিনেমার পরিচালক সুদীপ্ত সেন বলেন, ' আমি সাত বছর এই সিনেমাটা নিয়ে কাজ করছি, বাংলার সৃষ্টি বাংলায় ব্যান। এটা জাস্টিস নয়।' এই সিনেমা নিয়ে রাজনৈতিক পারদও চড়তে শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার রাজ্যের হাওড়া ও বেলঘড়িয়াতে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি।
নবম ও দশম শ্রেণিতে শিক্ষক (IX and X Teachers) নিয়োগের ক্ষেত্রে কারচুপির অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন। এমনকী বেতন ফেরতের কথাও বলেন। ডিভিশন বেঞ্চ ঘুরে সেই মামলা এখন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দরজায়। দেশের শীর্ষ আদালত হাইকোর্টের নিয়োগ বাতিলের নির্দেশের ওপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করেছে। সোমবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়, সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী নির্দেশ আসা না পর্যন্ত নবম-দশম শ্রেণির নিয়োগ বাতিল হচ্ছে না।
সোমবার এই মর্মে জেলার স্কুল পরিদর্শকদের কাছে পর্ষদের নির্দেশিকা যায়। সেখানে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের চূড়ান্ত রায় আসা না পর্যন্ত নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষকদের চাকরি বৈধ। অর্থাৎ শীর্ষ আদালতের পরবর্তী নির্দেশ আসা না পর্যন্ত পর্ষদের দেওয়া নিয়োগপত্র বৈধ থাকবে চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের।
রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগের ক্ষেত্রে বেনিয়মের অভিযোগ ওঠে। সেই প্রেক্ষিতে মামলা হয় হাইকোর্টে। রাজ্যের উচ্চ আদালতের নির্দেশে তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। তারপর দেখা যায়, শাসক দলের একের পর এক নেতা-মন্ত্রীর নাম জড়াতে থাকে নিয়োগ দুর্নীতিতে। অনেকে গ্রেফতারও হন।
প্রাথমিক থেকে নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে নিয়োগে দুর্নীতির গন্ধ পান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে অনেক চাকরি বাতিল হয়। তারমধ্যে ছিল নবম-দশম শ্রেণির ‘অযোগ্য’ শিক্ষকরাও।
হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যান চাকুরিহারারা। বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ, সিঙ্গল বেঞ্চের বেতন ফেরতের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দিলেও চাকরি বাতিলের ক্ষেত্রে আগের নির্দেশ বহাল। পরে এই মামলা যায় সুপ্রিম কোর্টে। সেখানে বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ চাকরি বাতিলের নির্দেশে অন্তর্বতীকালীন স্থগিতাদেশ দেয়।
দীপিকা দাসঃ সোমবার নবান্নে একটি প্রশাসনিক বৈঠকে 'দ্য কেরালা স্টোরি' (The Kerala Story) পশ্চিমবঙ্গে ব্যান করার ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বাংলায় 'দ্য কেরালা স্টোরি' নিষিদ্ধ করা নিয়ে এবারে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হচ্ছেন পরিচালক সুদীপ্ত সেন। একথা নিজের মুখেই সিএন ডিজিটালকে জানালেন পরিচালক সুদীপ্ত সেন (Sudipto Sen)। বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই এই সিনেমাটি আলোচনার কেন্দ্রে। ট্রেলার মুক্তি পাওয়ার আগে থেকেই সুদীপ্ত সেন পরিচালিত ছবি নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। ইসলাম আগ্রাসন, সন্ত্রাসবাদ ও লভ জিহাদ- মূলত এই তিনটি বিষয়কেই তুলে ধরা হয়েছে এই সিনেমায়।
সিনেমাজগত থেকে রাজনৈতিক মহল- এই ছবি নিয়ে তোলপাড় পুরো দেশ। এবারে এর আঁচ পড়ল পশ্চিমবঙ্গেও। সোমবার সন্ধ্যায় নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে ঘোষণা করেন যে, বাংলায় নিষিদ্ধ করা হল 'বিতর্কিত' ছবি 'দ্য কেরালা স্টোরি'। আর রাজ্যের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই সুপ্রিম কোর্টে যেতে চলেছেন সুদীপ্ত সেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় সোমবার ঘোষণা করে জানিয়েছেন, এই ছবিতে বিকৃত তথ্য দেখানো হয়েছে। এর কোনও সত্যতা নেই। সমস্ত গল্পই বিকৃত করে দর্শকদের দেখানো হচ্ছে। ফলে রাজ্যে শৃঙ্খলা ও সৌহার্য্য বজায় রাখতেই এই ছবি রাজ্যে নিষিদ্ধ করা হলো।