বর্তমান সময়ে যখন চাঁদে চন্দ্রযান পাঠাচ্ছে ভারত, মুঠোফোনে গোটা বিশ্ব এখন হাতের মুঠোয়। ঠিক এই সময়ে কুসংস্কারে আচ্ছন্ন বাংলার ছবি প্রকাশ্যে এলো। কুসংস্কার মানতে গিয়ে আগুনে পুড়ে মৃত্যু হল ৬৫ বছর বয়সি এক বৃদ্ধার। ঘটনাটি ঘটেছে শান্তিপুর থানার কাশ্যপ পাড়াএলাকায়। পরিবার সূত্রে খবর, নতুন কাপড় আগুনে না দিয়ে পোড়াতে নেই, এমনই কুসংস্কার মানতেন বৃদ্ধা কাজল রানী দাস। নতুন কাপড় কিনে আগুনে পোড়াতে গিয়েই ঘটে বিপত্তি। ঘটনার তদন্তে নেমেছে শান্তিপুর থানার পুলিস।
জানা গিয়েছে, নতুন কাপড়ে আগুন লাগাতেই দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে। সেই আগুন চোখের নিমেষে নিজের গায়ের শাড়িতে লাগে। এরপর ছড়িয়ে পড়ে বৃদ্ধার গোটা শরীরে। তড়িঘড়ি ছেলে সুরজিৎ দাস আগুন নিভিয়ে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় কাজল রানী দাসের। হাসপাতাল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে আসে পুলিস। তবে বর্তমান সময়ে এই ধরনের কুসংস্কারে আচ্ছন্ন হয়ে রয়েছে এখনও বাংলার মানুষ। কবে এই কুসংস্কার এর হাত থেকে মুক্ত হবে বাংলা? এই প্রশ্নই বারবার উঠে আসছে।
স্রেফ কুসংস্কারের (superstition) জেরে গৃহবধূর উপর দিনের পর দিন নারকীয় অত্যাচার। অবশেষে স্বামী ও সন্তানের প্রাণ বাঁচাতে নিজেই আত্মহত্যার (Suicide) পথ বেছে নিলেন। সোমবার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ (hanging body)। সঙ্গেই উদ্ধার হয় একটি সুইসাইড নোট (Suicide note)। তাতে স্পষ্ট লেখা ওই গৃহবধূর সঙ্গে ঘটে যাওয়া হাড়হিম করা ঘটনা। সুইসাইড নোট পড়েই হতবাক পরিবারের সদস্যরা। নির্মম এই ঘটনা বনগাঁ (Bangaon) থানার কালুপুর এলাকায়।
পরিবারের আরও অভিযোগ, ৩ বছর হয়েছে তাঁর স্বামী তাঁকে শ্বশুরবাড়িতে রেখে আন্দামানে কাজে গিয়েছেন। প্রথমদিকে ফিরলেও বিগত ২ বছর শুধু টাকা পাঠিয়েছেন, বাড়ি ফেরেননি। প্রায় ২ বছর ধরে বাড়িতে আসছেন না তাঁদের ছেলে। এরপরই নিরুদ্দেশ স্বামীকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে গৃহবধূ এক গুণীন সুকুমার দাসের দ্বারস্থ হন। আর এই সুযোগকেই কাজে লাগিয়েছে অভিযুক্তরা। প্রায় ১ বছর ধরে ওই গৃহ থেকে ওই গুনীন ও তার সহযোগীরা লাগাতার ধর্ষণ করতো৷ স্বামীকে ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলে তাঁকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়৷ এরপরই হত কুকর্ম। গৃহবধূ আপত্তি করলে তাঁর স্বামী ও ছেলেকে মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছে ওই অভিযুক্ত৷
সোমবার আর কোনও পথ না পেয়ে ইন্দ্রা দেবী তাঁর সঙ্গে ঘটে যাওয়া সমস্ত কথা কাগজে লিখে রেখে তাঁর নিজের বাড়িতে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন৷ সুইসাইড নোট উদ্ধার হওয়ার পরই লিখিত অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। অভিযোগ পেয়ে ঘটনা তদন্তে নামে পুলিস৷ আটক করা হয় অভিযুক্ত সাধু ও তার সহযোগীদেরও।
এ যুগেও কুসংস্কার (superstition)? এখনও বিশ্বাস ঝাড়ফুকে? হ্যাঁ, এখনও কুসংস্কারে ভরা মানুষের মন। সাপের (snake) কামড়ে রোগীর হাসপাতালে (hospital) মৃত্যুর পর নিয়ে যাওয়া হয় ওঝার কাছে। আর সেই মৃতদেহ ফেলে রেখেই চলে ছাত্রের ঝাড়ফুঁক। মালদহ (Maldah) থানার চর কাদিরপুরে নালাগোলা রাজ্য সড়কের ধারে চলেছে ঝাড়ফুঁক।
জানা গিয়েছে, প্রথমে সাপে কামড়ানো রোগীকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানেই রোগীর মৃত্যু হয়, এরপর হাসপাতাল থেকে বাড়িতে এনে চলে ঝাড়ফুঁক। স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত ছাত্রের নাম মিঠুন মণ্ডল। রবিবার তাকে সাপে কামড়ায়। এরপর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তবে এরপরই এক অভূত কাণ্ড। পরিবারের সদস্যরা হাসপাতাল থেকে বাড়িতে এসে ওঝা এবং গুনিন ডাকে। এরপরই চলে মৃতদেহ ফেলে রেখে ঝাড়ফুঁক। খবর পেয়ে মালদহ থানার পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পুলিস মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়।