তীব্র দহনে পুড়ছে গোটা বাংলা। এই আবহে স্কুলের গরমের ছুটি এগিয়ে আনলো রাজ্য সরকার। ২২ এপ্রিল থেকে সরকারি স্কুলে গরমের ছুটি ঘোষণা করা হল রাজ্য শিক্ষা দফতরের তরফে। সূত্র মারফৎ খবর, বেসরকারি স্কুলগুলিকেও গরমের ছুটি এগোনোর জন্য অনুরোধ করেছে রাজ্য।
লোকসভা ভোটের জন্য এবার গরমের ছুটি বাড়িয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। প্রতি বছর সাধারণত ১০ দিন গরমের ছুটি পায় স্কুল পড়ুয়ারা। এবার যা বাড়িয়ে ২২ দিন করা হবে বলে জানিয়েছিল পর্ষদ। বলা বাহুল্য, ২২ এপ্রিল অর্থাৎ সোমবার থেকে ছুটি ঘোষণা হওয়ায় গরমের ছুটি মেয়াদ আরও বাড়ল।
চলতি বছরের এপ্রিলে পর্ষদের জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ৬ মে থেকে গরমের ছুটি শুরু হওয়ার কথা ছিল। যা ২ জুন পর্যন্ত চলবে বলে জানিয়েছিল বোর্ড। উল্লেখ্য, বছরের শুরুতে ২০ মে পর্যন্ত গরমের ছুটি দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। যা পড়ে জুন মাস পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
প্রসঙ্গত, ১৯ এপ্রিল থেকে দেশজুড়ে শুরু হচ্ছে লোকসভা নির্বাচন। ওই দিন হবে প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। ১৯ তারিখ উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে চলবে নির্বাচন। এই কারণে সেখানকার স্কুলগুলিতে ছুটি ঘোষণা করেছে পর্ষদ।
সামনেই লোকসভা নির্বাচন। এবার সাত দফায় চলবে ভোটগ্রহণ পর্ব। আর সেই ভোট পর্ব চলবে বেশিরভাগ স্কুলে। সেই উপলক্ষ্য়ে সংশ্লিষ্ট জেলার স্কুলগুলিতে ছুটির নির্দেশিকা জারি করল স্কুল শিক্ষা দফতর। ৬ই মে থেকে ২রা জুন পর্যন্ত ছুটির নোটিশ দিয়েছে শিক্ষা দফতর।
সোমবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পাশাপাশি প্রাইমারি পর্ষদেও ছুটির ঘোষণা করা হল। লোকসভা ভোটের দিনগুলিতে সংশ্লিষ্ট জেলায় প্রাইমারি স্কুলগুলি ছুটি থাকবে। সেখানেও গরমের ছুটি বাড়িয়ে ৬ মে থেকে ২ জুন অবধি ছুটি ঘোষণা করে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
চলতি মাসের ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হবে লোকসভা ভোটপর্ব। আর ভোট শেষ হবে আগামী ১ জুন। ৪ জুন হবে ভোটগণনা। সেক্ষেত্রে প্রথম দফার ইলেকশনের জন্য ১৬ এপ্রিল থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ির জেলার স্কুল বন্ধ থাকবে। দ্বিতীয় দফার নির্বাচন পর্বের জন্য ২৪ এপ্রিল থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত দার্জিলিং, কালিম্পং উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার স্কুলগুলি বন্ধ থাকবে।
এখনই শেষ হচ্ছে না গরমের ছুটি। রাজ্যের স্কুলগুলির (School) গরমের ছুটির (Summer Vacation) মেয়াদ বাড়ল আরও ১০ দিন। ঘোষণা করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী (CM) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রাজ্যের তরফে মঙ্গলবার ঘোষণা করা হয়েছিল, আগামী ৫ জুন থেকে খুলে যাচ্ছে রাজ্যের মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলগুলি। ৭ জুন থেকে প্রাথমিক স্কুলগুলিও খোলার ঘোষণা করা হয়। তবে বুধবার রাজ্যের তরফে গরমের ছুটির মেয়াদ আরও ১০ দিন বাড়িয়ে তা ১৫ জুন পর্যন্ত করে দেওয়া হল।
গত ২ মে থেকে রাজ্যের স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি শুরু হয়েছিল। পর্ষদের বার্ষিক ছুটির তালিকা অনুযায়ী, গরমের ছুটি শেষ হওয়ার কথা আগামী ৪ জুন। তার পর ৫ তারিখ থেকে স্কুল খোলা হবে কি না, সে বিষয়ে শিক্ষা দফতরের মতামত জানতে চাওয়া হয়েছিল। এর পরেই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ৫ জুন থেকে স্কুল খোলার কথা জানানো হয়। কিন্তু বুধবার মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করলেন, এখনই গরমের ছুটি শেষ হচ্ছে না। পাশাপাশি গরমের ছুটির মেয়াদ আরও ১০ দিন বাড়ানোর কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রথমে ২৪ মে থেকে সরকারি স্কুলগুলিতে ছুটি পড়ার কথা থাকলেও তীব্র গরমের কারণে ২ মে ছুটি এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী সেই ছুটির কথা ঘোষণা করেছিলেন। সেই সময় সরকারের নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত স্কুল বন্ধই থাকবে।
এপ্রিলের মাঝামাঝিতেই ভরা গরম দেশে। এই সময় টলিউড হোক কিংবা বলিউড, অভিনেতা-অভিনেত্রীদের জন্য ছুটি কাটাতে যাওয়ার যথার্থ সময়। এই সময় বেশিরভাগ তারকা গরমের ছুটি কাটাতে উড়ে যান বিদেশে। শ্রীদেবী কন্যা জাহ্নবী কাপুরও (Janhavi Kapoor) কাজের ফাঁকে গরমের ছুটি বিলাসে উড়ে গেলেন আজ,রবিবার। শ্রীদেবী কন্যা জাহ্নবী স্বভাবত মিষ্টি। ওমন সুন্দরীর পিছনে দৌঁড়ে কূল কিনারা পান না পাপারাৎজিরা। আজ জাহ্নবীকে এয়ারপোর্টে ক্যামেরাবন্দি করলেন তাঁরা।
জাহ্নবীকে এয়ারপোর্টে সাদা ট্যাঙ্ক টপের সঙ্গে ওভারসাইজড স্যুট পরেছিলেন। তাঁর পিছু পিছু দেখা গিয়েছে শিখর পাহাড়িয়াকে। জাহ্নবী, শিখরের সঙ্গে প্রেম করছেন, এমন খবরে ছয়লাপ বলি-পাড়া। এয়ারপোর্টে আজ শিখরকে দেখা গিয়েছে নীল টিশার্ট ও সাদা ট্রাউজার্সের ক্যাজুয়াল লুকে। কিছুদিন আগেই তিরুপতি বালাজী মন্দিরে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল, জাহ্নবী কাপুর, খুশি কাপুর এবং শিখরকে।
মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সুশীলকুমার শিণ্ডের নাতি শিখর পাহাড়িয়া। দীর্ঘদিন একে অপরকে ডেট করেছিলেন জাহ্নবী এবং শিখর। ২০২২ সালে তাঁদের বিচ্ছেদের খবর ছড়িয়েছিল। তবে শোনা গিয়েছে, খুব তাড়াতাড়ি তাঁরা আবারও পুরোনো তিক্ততা ভুলিয়ে সম্পর্কে যান। একাধিক পার্টিতেও একসঙ্গে দেখা যায় যুগলকে। কাজের ফাঁকে সেই ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সঙ্গেই বেশ কিছুটা সময় কাটিয়ে নিতে চাইছেন জাহ্নবী।
স্কুলের পড়ুয়াদের কথা মাথায় রেখে এগিয়ে আনা হল গরমের ছুটি (Summer Vacation)। বুধবার স্কুলের গরমের ছুটি নিয়ে রাজ্যের শিক্ষমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, স্কুলের পড়ুয়াদের (School Student) কথা চিন্তাভাবনা করে এগোনো হয়েছে গরমের ছুটি। মে মাসের ২৪ তারিখে গরমের ছুটি পড়ার কথা ছিল, তা এগিয়ে ২রা মে করা হয়েছে। এমনকি স্কুলের শিক্ষক ও বাকি কর্মচারীদেরও গরমের ছুটি দেওয়া হবে। তবে এখন প্রয়োজন হলে পড়ুয়াদের বাড়তি ক্লাসও করানো হবে। এই বৈঠক থেকে আরও জানা যায়, রাজ্যের জেলাগুলিতে বৃষ্টি শুরু হলে, খুব তাড়াতাড়ি খুলে যেতে পারে স্কুল।
প্রবল গরমে নাজেহালজেলার মানুষজন। বৃস্পতিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে তাপমাত্রা আরও জোড়ালোভাবে বাড়তে পারে, এমনটাই দাবি আবহাওয়া দফতরের। এমনকি কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর এবং উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় বইতে পারে লু। তাপমাত্রা ক্রমশ বাড়বে। এমনকি আবহাওয়া নিয়ে প্রত্যেককেই সতর্ক হওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা।
পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ মজবুত করতে খানিকটা জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী হাতে-কলমে শিক্ষার উপর জোর দেবে রাজ্য সরকারের। শিক্ষা দফতরের পাশাপাশি ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসার, সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট গোটা বিষয়টির উপর নজরদারি রাখবেন। এমনকি গ্রীষ্মর ছুটিতে ছাত্রছাত্রীরা কী কী করবে, তার গাইডলাইন প্রকাশ করেছে স্কুল শিক্ষা দফতর। নির্দেশিকা মেনে পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের এই ছুটিতে নতুন নতুন কাজ দেওয়া হবে। প্রত্যেক ক্লাসের পড়ুয়াদের জন্য আলাদা আলাদা কাজ দেওয়া হবে। পড়ুয়াদের আত্মবিশ্বাস আরও নতুন করে গড়ে তুলতেই এই বিশেষ উদ্যোগ।
দেখুন কী সেই গাইডলাইনগুলি--
১.পঞ্চম থেকে ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের প্রকৃতি সচেতন নিয়ে কাজ দেওয়া হবে। তা নিয়ে গবেষণা করে পরে সেই বিষয়ে লিখতে হবে। এমনকি এই পুরো কাজ শেষ করতে পাঁচ থেকে সাত দিন সময় দেওয়া হবে ছাত্রছাত্রীদের।
২. সপ্তম থেকে অষ্টম শ্রেণীর পড়ুয়ারা বিজ্ঞান কেন্দ্র বা পেশাগত প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে গিয়ে পর্যবেক্ষণ করবে। সেই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের দূরত্ব স্কুল থেকে অন্তত ৩ কিলোমিটারের মধ্যেই হতে হবে। ওই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে গিয়ে যা শিখবে তার উপর নির্ভর করেই কাজ করবে পড়ুয়ারা।
৩. দশম শ্রেণীর পড়ুয়াদের ব্যাংক, কলেজ, গ্রন্থাগারে পাঁচ থেকে সাত দিন পর্যবেক্ষণ করতে হবে। এটি তাদের পেশাগত জীবনে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে। এমনকি ঠিক একই রকমভাবে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদেরও পেশাগত পাঠ নিতে হবে।
ঠিক এমনই গাইডলাইন পেশ করা হয়েছে শিক্ষা দফতরের তরফ থেকে।