ফের বেঙ্গল এসটিএফ-এর (STF) হাতে গ্রেফতার (Arrest) ২ মাদক (Drug) ব্যবসায়ী। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার (Nadia) কালিগঞ্জ থানার পলাশী অঞ্চলে। ধৃতদের থেকে উদ্ধার হয়েছে দুই কোটি মূল্যেরও বেশি নিষিদ্ধ হেরোইন। এই বিষয়ে শনিবারই নদিয়ার কালিগঞ্জ থানায় এসটিএফ-র পক্ষ থেকে একটি নির্দিষ্ট এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। এমনকি এনডিপিএস আইনে কালিগঞ্জ থানায় একটি সুনির্দিষ্ট মামলাও রুজু করা হয়েছে। রবিবার অভিযুক্তদের কৃষ্ণনগরের এনডিপিএস আদালতে পেশ করা হয়েছে।
পুলিস সূত্রে খবর, ওই দুই অভিযুক্তর নাম গৌতম সরকার (৩৫), নারায়ণ রায় (২২)। অভিযু্ক্ত নারায়ণ রায়ের বাড়ি নদীয়ার কালিগঞ্জেই তবে অভিযুক্ত গৌতম সরকারের বাড়ি মুর্শিদাবাদের রেজিনগর থানার অন্তর্গত। বেঙ্গল এসটিএফ সূত্রে খবর, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার রাতে বেঙ্গল এসটিএফের একটি দল কালীগঞ্জ থানার অন্তর্গত পলাশী-করিমপুর রোডে অভিযান চালায়। সেই অভিযোনেই ধৃতদের কাছ থেকে ২ কেজি হেরোইন উদ্ধার করে এসটিএফ। তারপরেই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে এসটিএফ।
এসটিএফ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, দুই সপ্তাহ আগেই বহরমপুর বাসস্ট্যান্ডে পাঁচ কোটি টাকার মাদকসহ ঝাড়খন্ডের দুই মাদক পাচারকারীকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়। তারপর থেকে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতেই এই তথ্য বাইরে আসে। সম্প্রতি, বেঙ্গল এসটিএফের একটি দল মুর্শিদাবাদের বহরমপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুই মাদক পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছিল এবং তাদের কাছ থেকে ৪.৮ কেজি পরিমাণ হেরোইন উদ্ধার করে। এনডিপিএস আইনের অধীনে বহরমপুর থানায় একটি নির্দিষ্ট মামলা শুরু হয়েছিল এবং মামলাটি বেঙ্গল এসটিএফের দ্বারা তদন্তও করা হচ্ছে।
সাপের বিষের পর এবার পাচারকারীদের (Sumgglers) নজরে সাপের তেল (Snske oil)। এই ঘটনায় বন দফতরের হাতে ধরা পড়ল দুই ব্যক্তি। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ি (Siliguri) জংশন সংলগ্ন এলাকায়। এই গোটা ঘটনায় জোর তদন্ত শুরু করেছে বন দফতরের (Forest Dipertment) র্যাপিড রেসপন্স ফোর্স, দার্জিলিং ওয়াইল্ড লাইফের ১ নম্বর শাখা। ধৃতদের গ্রেফতার করে তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করে স্পেকট্যাকল কোবরার তেল। এমনকি ধৃতদের কাছ থেকে আরও উদ্ধার করা হয়েছে হরিণের চামড়া এবং শিং।
বন দফতর সূত্রে খবর, ধৃত ওই দুই পাচারকারীর নাম সিকান্দার কুমার এবং সঞ্জু বৈধ। তারা দুজনেই ভিন্ন ভিন্ন রাজ্যের বাসিন্দা। ধৃতদের মধ্যে সিকান্দার উত্তরপ্রদেশের খলিলাবাদ এলাকা এবং সঞ্জু বিহারের কাটিহারের বাসিন্দা বলেই খবর। এই ঘটনা প্রসঙ্গে র্যাপিড রেসপন্স ফোর্স এর রেঞ্জ অফিসার দীপক রসাইলি বলেন, 'ইতিমধ্যেই দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।'
বন দফতর সূত্রে আরও খবর, ধৃত দুই ব্যক্তির ওপর দীর্ঘদিন ধরেই বন দফতরের নজর ছিল। শেষ অবধি সোমবার গোপন সূত্রে খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে শিলিগুড়ি জংশন এলাকা থেকে তাদের পাকড়াও করা হয়। প্রাথমিকভাবে খবর মিলেছে বন্যপ্রাণের দেহাংশ সহ সাপের তেল পাচারের ছক ছিল ধৃতদের। তবে সেই সবকিছুই তাদের হেফাজতে নিয়ে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া সাপের তেলের ওজন আনুমানিক ৩৫০ মিলিলিটার। এছাড়াও ছিল ৪ টুকরো হরিণের চামড়া এবং তিন টুকরো হরিণের শিং উদ্ধার হয়েছে।