Breaking News
Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?      Sarabjit Singh: ভারতীয় বন্দি সরবজিৎ সিং-এর হত্যাকারী সরফরাজকে গুলি করে খুন লাহোরে      BJP: ইস্তেহার প্রকাশ বিজেপির, 'এক দেশ এবং এক ভোট' লাগু করার প্রতিশ্রুতি      Fire: দমদমে ঝুপড়িতে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড, ঘটনাস্থলে দমকলের একাধিক ইঞ্জিন      Bengaluru Blast: বেঙ্গালুরু ক্যাফে বিস্ফোরণকাণ্ডে কাঁথি থেকে দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করল এনআইএ      Sheikh Shahjahan: 'সিবিআই হলে ভালই হবে', হঠাৎ ভোলবদল শেখ শাহজাহানের      CBI: সন্দেশখালিকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের...     

SujayKrishnaBhadra

ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির

হোয়াটসঅ্য়াপ কল এবং মেসেজের ভয়েস রেকর্ডের সঙ্গে মিলে গেল সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠস্বর। কাকুর সেই ভয়েজ স্য়াম্পল রিপোর্ট এখন ইডির হাতে। সূত্রের খবর, ২২ তারিখ অর্থাৎ সোমবার হাইকোর্টে সেই রিপোর্ট জমা দিতে পারে ইডি। সাড়ে তিন মাস পর কালীঘাটের কাকুর ভয়েজ স্য়াম্পল টেস্টের রিপোর্ট এখন ইডির হাতে। যা নিয়ে ইতিমধ্য়ে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক সমালোচনা। লোকসভা নির্বাচনের আবহে এই রিপোর্ট খানিকটা অস্বস্তিতে ফেলতে পারে শাসকদলকে, এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের। 

প্রসঙ্গত, রাজ্যবাসীর সকলেরই জানা, কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে কম বেগ পেতে হয়নি তদন্তকারী আধিকারিকদের। নমুনা সংগ্রহ আটকাতে অতীতে একাধিকবার কাকু দেখিয়েছেন তাঁর শারীরিক অসুস্থতার দোহাই। কাঠগড়ায় উঠেছিল এসএসকেএম-এর ভূমিকাও। কখনও আবার সেই দোহাই নিশ্চিত করতে একেবারে শিশুদের জন্য সংরক্ষিত বেড দখল করে ভর্তি হয়ে দিনের পর দিন কাটিয়েছেন তিনি। তারপর অবশেষে গত জানুয়ারি মাসের ৩ তারিখ মধ্যরাতে এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে জোকা ইএসই হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে করানো হয়েছিল কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষা। খানিক আশ্বস্ত হয়েছিলেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। 

কেন, কারণ, তদন্তকারী আধিকারিকরা মনে করছেন, এই কণ্ঠস্বরের নমুনার ওপর নির্ভর করেছে শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতির গোপন রহস্যভেদ। ২ বছর হয়ে গেল এই দুর্নীতিতে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর গ্রেফতারি। একে একে জট খুলতে খুলতে গ্রেফতার হয়েছেন কালীঘাটের কাকুও। যে চ্যাট এবং কলের হদিশ চাইছিলেন তদন্তকারী আধিকারিকরা, সেই কণ্ঠস্বর সুজয়কৃষ্ণেরই, এমনটাই সূত্রের খবর। এখন আদালতে রিপোর্ট পেশ করা হলেই বোঝা যাবে, কার সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে কথোপকথন হয়েছিল কাকুর? তিনি কোন মধ্যস্থতাকারী প্রভাবশালী, যিনি ২ বছরেও তদন্ত ধরা পড়লেন না একবারের জন্যেও? ঠিক কত গুলো বেআইনি নিয়োগ হয়েছিল? গোটা প্রক্রিয়া কার নির্দেশে চলত?


yesterday
SujayKrishna: আরও বিপাকে 'কালীঘাটের কাকু'! কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ মামলায় হস্তক্ষেপ করল না ডিভিশন বেঞ্চ

কলকাতা হাইকোর্টে জোর ধাক্কা 'কালীঘাটে কাকু' ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের! তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ নিয়ে বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশের উপরে কোনওরকমের হস্তক্ষেপ করল না বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ। কণ্ঠস্বরের নমুনার পরবর্তী প্রক্রিয়ার উপরে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। সাফ জানিয়ে দিল ডিভিশন বেঞ্চ। কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ নিয়ে বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই মামলার প্রেক্ষিতেই ডিভিশন বেঞ্চ হস্তক্ষেপ না করে এমনটাই নির্দেশ দিল ডিভিশন বেঞ্চ। ফলে এখনও আর ফ্যাসাদে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র।

নিয়োগ দুর্নীতিতে কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের জন্য কম জলঘোলা হয়নি। এদিন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের আইনজীবী বলেন, 'সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র-এর জোর করে ভয়েস টেস্ট এর জন্য নিয়ে গিয়েছে ইডি।বিচারপতি অমৃতা সিনহা মামলার শুনানি করলেন রুদ্ধদ্বার। যার ভয়েস টেস্ট হবে তিনি এই মামলায় যুক্ত ছিলেন না। রাত ৮টার পর ইডি অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে গিয়ে কণ্ঠস্বর পরীক্ষা করতে নিয়ে গেলো এসএসকেএম থেকে ইএসআই জোকায়। এটা ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ।'

এর পরই কেন্দ্রের আইনজীবী বিল্লোদল ভট্টাচার্য্য বলেন, 'বিচারপতি সিনহার আগে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের কাছে জামিনের আবেদনের মামলায় ভয়েস টেস্টের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি ঘোষ। এই কণ্ঠস্বর পরীক্ষার নির্দেশ বিচারপতি সিনহা নতুন দেননি। বিচারপতি ঘোষের নির্দেশ-এ দেরি হচ্ছিল, তদন্ত শ্লথ হচ্ছিল। তাই তিনি ইডিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন তদন্তের স্বার্থে।'

ইডির আইনজীবী ধীরাজ ত্রিবেদী বলেন, 'বিচারপতি সিনহার নির্দেশের পর আমরা এসএসকেএম যাই। ওনাকে সাবধানে নিয়ে গিয়ে টেস্ট করাই ও তারপর আবার এসএসকেএম-এ ফেরত দি। এসএসকেএম-এ তিনি দীর্ঘদিন ধরে ভর্তি আছেন। এসএসকেএম বলছে তিনি সুস্থ না। অথচ অন্য হাসপাতাল ইএসআই জোকা বলেছে তিনি সুস্থ। ওনার কণ্ঠস্বর পরীক্ষা না করলে তদন্ত দেরি হচ্ছিল। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ আছে তদন্ত শেষ করতে হবে।' এছাড়াও ইডির আইনজীবীর অভিযোগ, 'আমরা তদন্ত কিভাবে করবো? গোটা রাজ্য আমাদের বিরুদ্ধে। রাজ্য অসহযোগিতা করছে।'

এর পরই বুধবার এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ সাফ জানিয়ে দেয়, এই মামলায় হস্তক্ষেপ করবে না ডিভিশন বেঞ্চ। মামলার পুরো সিদ্ধান্ত নেবে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের সিঙ্গল বেঞ্চ। তবে তিনি প্রশ্ন করেন, 'ইডি হেফাজতে আছে ওই অভিযুক্ত। তাহলে ইডি ওই হাসপাতালেই কণ্ঠস্বর পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে পারতো। সেটা না করে একজন অসুস্থ মানুষকে নিয়ে গেলো জোকা ইএসআই। আর কণ্ঠস্বর পরীক্ষার রিপোর্ট কখনও কোনও প্রমাণ হিসাবে গণ্য করা হয় না। তবে এই কণ্ঠস্বর পরীক্ষা নিয়ে কিসের তৎপরতা ইডির? কী উদ্দেশে?'

3 months ago
SSKM: আর কতদিন এসএসকেএম-এ 'কালীঘাটের কাকু' ও বালু, আজই জানাবেন মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যরা!

রাজ্যের একাধিক দুর্নীতিতে অভিযুক্ত প্রভাবশালী ব্যক্তিরা মাসের পর মাস এসএসকেএম-এ কাটাচ্ছেন, 'সুস্থ' হওয়া সত্ত্বেও বেড দখল করে রাখছেন তাঁরা, এমনটাই অভিযোগ উঠছে। গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবারই কলকাতা হাইকোর্টও এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ও এসএসকেএম ডিরেক্টরকে রিপোর্ট পেশ করতে বলেছেন। এর পরই আজ অর্থাৎ শুক্রবার তৎপর মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যরা। জানা গিয়েছে, আজ মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যরা 'কালীঘাটের কাকু' সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র এবং জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে দেখতে যাবেন। তাঁদের  শারীরিক অবস্থা কেমন আছে, তা দেখতে যাবেন। ফলে আর কতদিন তাঁদের এসএসকেএম-এ রাখা হবে বা আজই তাঁদের জেলে পাঠানো হবে কিনা, তা সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।

জানা গিয়েছে, 'কালীঘাটের কাকু' সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র সুস্থ রয়েছেন। তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। হাসপাতালে ভর্তির সময় সিওপিডি ছিল, সুগার ছিল, বাইপাস সার্জারিও হয়েছিল। তবে এখন সুস্থই আছেন তিনি এমনটাই সূত্রের খবর। এছাড়াও জোকা ইএসআই হাসপাতালের তরফে তাঁকে ফিট সার্টিফিকেটও দেওয়া হয়। ফলে নতুন করে তাঁর আর কোনও সমস্যা নেই। তাহলে কেন হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে। অন্যদিকে রেশন দুর্নীতিতে অভিযুক্ত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকও এসএসকেএম-এই রয়েছেন। তিনিও স্থিতিশীল আছেন বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু এখন হাসপাতালে কেন ভর্তি তাঁরা। এই নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। ফলে জানা গিয়েছে, আর কতদিন হাসপাতালে রাখা হবে কালীঘাটের কাকু সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র এবং জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক কে, নাকি ছেড়ে দেওয়া হবে হাসপাতাল থেকে, আজই মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যরা জানিয়ে দিতে পারেন, এমনটাই খবর এসএসকেএম সূত্রে।

4 months ago


SSKM: 'একজন দিনের পর দিন কীভাবে ভর্তি থাকতে পারে?' এসএসকেএমের কাছে রিপোর্ট চাইল কলকাতা হাইকোর্ট

এবারে বড় ফ্যাসাদে এসএসকেএম। রাজ্যের সুপারস্পেশালিটি হাসপাতাল এসএসকেএম। বহুদিন ধরেই এই হাসপাতালে একে একে ভর্তি হয়েছে দুর্নীতিতে গ্রেফতার অভিযুক্তরা। আর সেখানেই মাসের পর মাস কেটে যাচ্ছে তাঁদের। ফলে এবারে এসএসকেএমে চিকিৎসাধীন প্রভাবশালীদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত রিপোর্ট হলফনামা দিয়ে জানাতে বলল কলকাতা হাইকোর্ট। এসএসকেএম হাসপাতাল নিয়ে জোড়া জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। আর সেই মামলার শুনানিতেই এসএসকেএম-এর ডিরেক্টরের কাছে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।

নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একাধিক মামলায় হাইকোর্টে এসএসকেএমের ভূমিকায় প্রশ্ন তুলেছে ইডি। পরে এই এসএসকেএম হাসপাতাল নিয়ে জোড়া জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। বিভিন্ন দুর্নীতিতে যুক্ত থাকা ব্যক্তিদের আশ্রয়স্থল হয়ে দাঁড়িয়েছে এসএসকেএম বলে অভিযোগ মামলায়। বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানিতে প্রশ্নের মুখে এসএসকেএম। তিনি প্রশ্ন করেন, 'একজন দিনের পর দিন কীভাবে ভর্তি থাকতে পারে?' এদিন প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, 'বেড দখল করে রাখাটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। অভিযোগ যদি সত্যি হয় তাহলে এটা সিরিয়াস কেস।'

'কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা যখনই কোনও প্রভাবশালী বা মন্ত্রীকে গ্রেফতার করে তখনই দেখা যায় সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ তাঁদের স্বাস্থ্যের অবনতির কথা বলে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করায়। তারা দিনের পর দিন বেড দখল করে রাখেন। সাধারণ মানুষ চিকিৎসা করাতে গেলে বেড পায় না,' এই অভিযোগ তুলে মামলা করেন সুস্মিতা সাহা নামে এক আইনজীবী।

এর পর এই মামলায় প্রধান বিচারপতি বলেন, 'সংশোধনাগারের নিজেদের একটি হাসপাতাল থাকে। যখন সেই হাসপাতাল চিকিৎসা করতে ব্যর্থ হয় তখনই তাকে সেই সংশোধনাগারের অধীনে কোন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু তার মানে এই নয়, সেই ব্যক্তিকে পাঁচ মাস ছয় মাস সেই হাসপাতালে ভর্তি করে রাখা হবে। তবে সেটা অবশ্য নির্ভর করবে চিকিৎসকদের উপরে। এক্ষেত্রে আদালত কি করবে? তবে আপনাদের অভিযোগ যুক্তিযুক্ত। দিনের পর দিন বেড দখল করা ঠিক নয়।' এরপরেই এই বিষয়ে এসএসকেএম হাসপাতালের ডিরেক্টরকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।  বর্তমানে কতজন ভর্তি রয়েছে হাসপাতালে, তাঁদের বর্তমান শারীরিক অবস্থা কেমন, আর কতদিন ভর্তি থাকবেন, তা হলফনামা আকারে জানানোর নির্দেশ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২৪ জানুয়ারি।

4 months ago
Sujay Krishna: ভয়েস স্যাম্পেল দিতে অসহযোগিতা! নাটকীয় পর্ব শেষে 'কালীঘাটের কাকু'র কণ্ঠস্বরের নমুনা ইডির হাতে

বুধবার রাত থেকে 'কালীঘাটের কাকু'-এর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ নিয়ে নাটকীয় পরিস্থিতি এসএসকেএম-এ। অবশেষে গভীর রাতে সম্পন্ন হল 'কালীঘাটের কাকু' সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ প্রক্রিয়া। বুধবার রাত ৯টা ১২ মিনিট নাগাদ এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এর পর সেখানে ১২ টা ৫২ মিনিট নাগাদ তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা নেওয়ার পর জোকা ইএসআই হাসপাতাল থেকে বার করা হয় কালীঘাটের কাকুকে। বিভিন্ন স্কেলে তার কন্ঠস্বর নেওয়া হয়েছে ও ইতিমধ্যে পাঠানো হয়েছে ফরেনসিক ল্যাবেও। তবে এখন প্রশ্ন উঠছে, এর আগে কাকুর শারীরিক অসুস্থতা কথা বলে কণ্ঠস্বর নমুনা সংগ্রহ করতে দেয়নি এসএসকেএম। সেই কাজ জোকা হাসপাতালে ৩০ মিনিটে সম্পন্ন হল কী করে? এছাড়াও জোকা ইএসআই হাসপাতালে ফিট সার্টিফিকেট পাওয়া সেই কাকু আবার এসএসকেএম হাসপাতালের কেবিনে ভর্তি কেন?

ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে কণ্ঠস্বর দিতে অসহযোগিতা করছিলেন 'কাকু'। এরপর কাউন্সিলিং করা হয় চিকিৎসকদের তরফে। তারপর তিনটি বাক্য বলতে বলা হয় তাকে। পরপর দুবার তিনটি বাক্য বলতে বলা হয়। ইডি সূত্রে খবর, ইডি তরফে পরিকল্পনা ছিল, কালীঘাটের কাকুকে জোকা ইএসআই হাসপাতালে ভর্তি রেখে দেবে। যার ফলে ইডির তরফে জানতে চাওয়া হয়েছে, জোকা ইএসআই হাসপাতালে কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে রাখা যেতে পারে কি? এর উত্তরে ইডিকে সোজাসুজি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কালীঘাটের কাকুর উপর সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র একজন কার্ডিওলজির পেশেন্ট, তার বাইপাস সার্জারি হয়েছে। তাকে রাখার মত পরিকাঠামো নেই জোকা ইএসআই হাসপাতালে। এর পাশাপাশি সিকিউরিটির বিষয় থাকে। জোকা ইএসআই রাখতে পারবেনা সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে। ইডিকে সাফ জানিয়ে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যার ফলে ইডি আধিকারিকদের কার্যত বাধ্য হয়ে এসএসকেএম হাসপাতালকে ফিরিয়ে দিতে হয় কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে। গভীর রাত প্রায় ৩টে ৩২ মিনিট নাগাদ এসএসকেএম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের ১ নম্বর কেবিনে স্থানান্তর করা হয়।

তবে এই ইএসআই হাসপাতালের ফিট সার্টিফিকেট দেওয়া 'কালীঘাটের কাকু'র ভয়েস স্যাম্পেল নেওয়ার জন্য এত বেগ পেতে হল কেন ও এসএসকেএম হাসপাতাল কেন তাকে অসুস্থ প্রমাণ করতে মরিয়া, তা নিয়েই উঠছে একাধিক প্রশ্ন।

১) কণ্ঠস্বর নমুনা দেওয়ার জন্য সুস্থ কালীঘাটের কাকু। জোকা ইএসআই বোর্ডের এই রিপোর্ট পাওয়ার পরেই কাকুর নমুনা সংগ্রহ করে ইডি। তাহলে এত দিন অসুস্থতার কথা বলে কাকুর কণ্ঠস্বর নমুনা সংগ্রহে বাধা ছিল এসএসকেএম?

২) ইএসআই হাসপাতালের মেডিক্যাল বোর্ড যাকে ফিট সার্টিফিকেট দিচ্ছে, সেই ব্যাক্তি এসএসকেএম হাসপাতালে আনফিট কি করে?

৩) ইএসআই মেডিক্যাল বোর্ডের রিপোর্ট অনুযায়ী একজন সুস্থ ব্যক্তিকে এসএসকেএম কেবিনে ভর্তি করা হল কেন?

৪) কাউকে আড়াল করতেই কি এসএসকেএম-এ আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে কাকুকে। সেটা হলে কার নির্দেশ মেনে এই কাজ করছে এসএসকেএম?

৫) ৩০ মিনিটেই যেখানে কণ্ঠস্বর নমুনা সংগ্রহ সম্পন্ন হলো, সেখানে ইডিকে সহযোগিতা না করে কার নির্দেশে কাকুর কণ্ঠস্বর নমুনা সংগ্রহ বাধা হয়েছিল এসএসকেএম?

4 months ago


SujayKrishna: একের পর এক টেস্ট, কিন্তু সংগ্রহ করা হচ্ছে না 'কালীঘাটের কাকু'র কণ্ঠস্বরের নমুনা!

'কালীঘাটের কাকু' এখনও এসএসকেএম হাসপাতালেই। তাঁকে দেখতে রীতিমত মানুষ ভিড়ও করছেন হাসপাতালের সামনে। এরকম চিত্রই দেখা যাচ্ছে হাসপাতাল চত্বরে। এসএসকেএম হাসপাতালে কার্ডিওলজি বিভাগের ১ নম্বর কেবিনে রয়েছেন কালীঘাটের কাকু। তাঁর কণ্ঠস্বর নমুনা পরীক্ষা আটকাচ্ছে কোনও না কোনওভাবে।

এসএসকেএম হাসপাতালের তরফ থেকে একটার পর একটা স্বাস্থ্য পরীক্ষা সুজয় কৃষ্ণের ক্ষেত্রে করানোর কথা বলা হচ্ছে। কখনও মায়োকার্ডিয়াল স্পেস পারফিউশন টেস্ট, আবার কখনও মেন্টাল টাফনেস টেস্ট-স্বাস্থ্য পরীক্ষার মধ্যেই আবদ্ধ কালীঘাটের কাকু। শুধু কণ্ঠস্বর নমুনা সংগ্রহ হচ্ছে না। এমন আবহেই আগামী ৫ জানুয়ারির মধ্যে এসএসকেএম হাসপাতালের কাছ থেকে কাকুর সমস্ত শারীরিক পরীক্ষার রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট।

4 months ago
SujayKrishna: 'কাকু'র অসুস্থতা 'বানানো গল্প'! সুজয়কৃষ্ণকে জামিন নয় কেন, ইডির কাছে রিপোর্ট চাইল হাইকোর্ট

এসএসকেএম-এ (SSKM) 'কালীঘাটের কাকু'র মেডিক্যাল রিপোর্ট বিকৃত করা হচ্ছে, এমন দাবি আগেও করা হয়েছে ইডির তরফে। এবারে কলকাতা হাইকোর্টে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুর শারীরিক অবস্থা প্রশ্নের মুখে। এর আগে বারবার ইডি প্রশ্ন তুলেছে, কালীঘাটের কাকু কতটা অসুস্থ সেটাই তাদের কাছে স্পষ্ট নয়। অথচ তারা কোনওভাবেই কাকুর কণ্ঠের নমুনা নিতে সফল হচ্ছে না। শুক্রবার সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের জামিন মামলায় আরও একবার সে প্রশ্নই উঠল। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে এই মামলার শুনানি হয়। কাকুর অসুস্থতাকে 'বানানো গল্প' বলেই মনে করছে ইডি। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের শারীরিক অবস্থা জানিয়ে এবং কেন তাঁকে জামিন দেওয়া যাবে না, সেই বিষয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের। অন্তর্বর্তী জামিনের শুনানি আগামী ১৯ ডিসেম্বর।

জামিন চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু। স্বাস্থ্যের কারণ দেখিয়ে জামিনের আর্জি করেন তিনি। বৃহস্পতিবার দ্রুত শুনানির আর্জি জানিয়ে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ‘কাকু’র আইনজীবী। শুক্রবার এই মামলার শুনানির সময় ইডির দাবি, কালীঘাটের কাকুর মেডিক্যাল রিপোর্ট বিকৃত করা হচ্ছে। এছাড়াও এদিন ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি তাঁর জামিনের বিরোধিতা করে জানান, সুপ্রিম কোর্ট বলে দিয়েছে যে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নয়, জামিনের বিষয় বিচার করতে হবে। এসএসকেএম-কে বিশ্বাস করা যাচ্ছে না। এসএসকেএম বলছে রোগী উঠতে পারছে না। অথচ সংবাদমাধ্যমে দেখা যাচ্ছে তিনি সোফায় বসে আছেন। সিস্টেমের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন হচ্ছে। তাই ইএসআই-তে চিকিৎসার ইচ্ছে প্রকাশ করেছে ইডি। সব ঠিকঠাক থাকলে আগামীকালই তাঁকে এসএসকেএম থেকে ইএসআই তে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করাতে চায় ইডি।

এদিন সুজয়কৃষ্ণের আইনজীবী কিশোর জানান, 'হার্টের অপারেশনের পর তিনি জেলে গিয়েছিলেন কিন্তু সেখানে বমি শুরু হয় সেই জন্য তাঁকে হসপিটালে আনা হয়।' আবার ইডির আইনজীবী জানান, 'মেডিক্যাল সার্টিফিকেট সব ম্যানুফ্যাকচার করা হচ্ছে। কালকে ইএসআই-তে নিয়ে যাওয়া হোক। এরপরই আগামী ১৯ ডিসেম্বর সুজয়কৃষ্ণের শারীরিক অবস্থা নিয়ে ইডির বক্তব্য জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।

4 months ago
Sujoykrishna: সুজয়কৃষ্ণের ভয়েস স্যাম্পেল টেস্টে 'ঢিলেমি'! এসএসকেএম-এর ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) ধৃত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র বর্তমানে রয়েছেন এসএসকেএম হাসপাতালে। তবে ঠিক কী হয়েছে তাঁর, তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। এরই মধ্যে কালীঘাটের কাকুর ভয়েস স্যাম্পেল নেওয়ার জন্য তৎপর ইডি। এমনকি জোকা ইএসআই হাসপাতাল তৈরি রেখেছে মেডিক্যাল বোর্ড। ভয়েস স্যাম্পেল টেস্টের আগে, প্রস্তুত রয়েছে বেডও। কিন্তু সুজয়কৃষ্ণকে সেখানে কেনও এখনও পাঠানো হচ্ছে না, তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।

এসএসকেএম হাসপাতাল সূত্রে বারংবার জানানো হয়েছে অসুস্থ সুজয়কৃষ্ণ। সম্প্রতি চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, প্রবল মানসিক চাপে রয়েছেন কালীঘাটের কাকু। বিভিন্ন শারীরিক জটিলতাও রয়েছে। এই অবস্থায় তার গলার স্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে গেলে সমস্যা বাড়বে। তবে ইডিও ছাড়ার পাত্র নয়। কণ্ঠস্বরের নমুনা নেওয়ার জন্য তৎপর ইডি।

জানা গিয়েছে, জোকা ইএসআই হাসপাতালে করা হবে ভয়েস স্যাম্পেল টেস্ট। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তারা সুজয়কৃষ্ণর গলার স্বরের নমুনা নিতে প্রস্তুত, কিন্তু তাঁকে পাঠাতে এত কেন ঢিলেমি, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। কালীঘাটের কাকুকে জোকা ইএসআই হাসপাতালে ভয়েজ স্যাম্পেল টেস্টের জন্য পাঠানো কেন হচ্ছে না, তা নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ এসএসকেএম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার থেকে ডিরেক্টর। ফলে এবারে এসএসকেএম হাসপাতালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে।

5 months ago


Sujay: ইডির চিঠির উত্তর দিল এসএসকেএম, পাল্টা 'হাইকোর্ট' দাওয়াই ইডির

কালীঘাটের কাকু অর্থাৎ সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠস্বর নিয়ে এবার কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে ইডি। ইতিমধ্যেই কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর নিয়ে টালবাহানা শুরু হয়েছে ইডি ও এসএসকেএম হাসপাতালের মধ্যে। জানা গিয়েছে কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা করতে চেয়ে ইতিমধ্যেই এসএসকেএমকে চিঠি লিখেছে ইডি। সেই চিঠির উত্তরে এসএসকেএম কতৃপক্ষ জানিয়েছে, মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হবে কালীঘাটের কাকুর জন্য। রোগীর শারীরিক অবস্থাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এরপর তাদের কণ্ঠস্বর নমুনা নেওয়ার জন্য তারিখ জানানো হবে।' যদিও এ উত্তরে কোনও ভাবেই খুশি নয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এর পরিপেক্ষিতে ইডির তরফ থেকে জানানো হচ্ছে যে, এসএসকেএম যদি ঠিকমতো পদক্ষেপ না নেয় তাহলে সেক্ষেত্রে তারা হাইকোর্টে আবেদন জানিয়ে এসএসকেএম এর বিরুদ্ধে দারস্থ হবে।

ওদিকে এসএসকেমের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা। অভিযোগ বিশেষ চিকিৎসার মাধ্যমে সুজয়কৃষ্ণের গলার স্বর পাল্টানো হচ্ছে। সুকান্ত-সেলিমের এই অভিযোগের পরেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্য জুড়ে। প্রশ্ন উঠছে সত্যই কি তাহলে তদন্তের মোড় ঘোরাতেই এই চেষ্টা? কাউকে আড়াল করতেই এই প্রয়াস? এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কি পদক্ষেপ নেয় সেটাই এখন দেখার। যদিও এই অভিযোগ সামনে আসায় সলামচনায় সরব হয়েছেন শহরের বিশিষ্ট চিকিৎসকেরা।

5 months ago
Sujay: কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর পাল্টানো হচ্ছে! বিস্ফোরক অভিযোগ বিরোধীদের

বিশেষ চিকিৎসার মাধ্যমে সুজয়কৃষ্ণের গলার স্বর পাল্টানো হচ্ছে। সুকান্ত-সেলিমের এই অভিযোগের পরেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্য জুড়ে। প্রশ্ন উঠছে সত্যই কি তাহলে তদন্তের মোড় ঘোরাতেই এই চেষ্টা? কাউকে আড়াল করতেই এই প্রয়াস? এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কি পদক্ষেপ নেয় সেটাই এখন দেখার। যদিও এই অভিযোগ সামনে আসায় সলামচনায় সরব হয়েছেন শহরের বিশিষ্ট চিকিৎসকেরা।

পাশাপাশি, ধৃতদের দিনের পর দিন এসএসকেএম-হাসপাতালকে রেখে চিকিৎসা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মেডিক্যাল সার্ভিস সেন্টারের কলকাতা জেলার যুগ্ম সম্পাদক তথা এসএসকেএম-এর প্রাক্তনী চিকিৎসক কবিউল হক। এছাড়াও চিকিৎসকদের চাপের মুখে নতিস্বীকার না করার অনুরোধ করেন তিনি।

এই ধরণের ঘটনা যদি সত্যিই ঘটে তাহলে এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিসকদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই যাবে। ইডি হেফাজতে থাকা ব্যক্তির অস্ত্রোপচার করে স্বরবদল করে বিপদে পড়বে না তো শহরের নামজাদা এই হাসপাতাল? আপাতত এই কথাগুলোই ঘুরপাক খাচ্ছে রাজ্য-রাজনীতির অলিন্দে। 

5 months ago


ED: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে কালীঘাটের কাকুকে জেরা করতে চেয়ে প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষকে চিঠি ইডির

নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে নিয়ে আরও তৎপর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এবার কালীঘাটের কাকুকে জেরা করতে চেয়ে প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠালো ইডি। দ্রুত তদন্ত শেষ করার জন্য আদালতের নির্দেশ রয়েছে ইডির ওপর। সেই তদন্ত শেষ করতে গিয়ে ফের কালীঘাটের কাকুকে জেরা করা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার সিইও ও সংস্থার প্রাক্তন ডিরেক্টর এবং সিইও-র আপ্ত সহায়ককে জিজ্ঞাসাবাদ করে নতুন তথ্য উঠে এসেছে। যা প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। সেই বিষয়ে জেরা করতে চাই কালীঘাটের কাকুকে।

গত ৩০মে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে সেভাবে কালীঘাটের কাকুকে জেরা করা যায়নি। অসুস্থতার কারণে এখনও হাসপাতালে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। কেন এতো দিন হাসপাতালে তার জন্য তৃতীয়ার দিন হাসপাতালে গিয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা। সেই দিনই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কালীঘাটের কাকুর মেডিক্যাল রিপোর্ট তলব করেছিল ইডি। হাসপাতালের তরফ থেকে ইডির কাছে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের শারীরিক পরীক্ষার যাবতীয় মেডিক্যাল রিপোর্ট পাঠানো হয়েছিল ইডির কাছে। সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখার পরেই এবার কালীঘাটের কাকুকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠানো হয়েছে ইডির তরফে।

ইডি যাতে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন তার জন্য জেল কর্তৃপক্ষকে যাবতীয় ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছে। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা যে জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছে, তাতে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা না গেলে তদন্ত শেষ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে ইডি সূত্রে খবর।

6 months ago
Summon: শনিতে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর এবার মঙ্গলে কালিঘাটের কাকুকে তলব ইডির

কালীঘাটের (KalighatKaku) কাকুকে কি আষ্টেপৃষ্টে বেঁধে ফেলতে চাইছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সম্প্রতি কালীঘাটের কাকুকে বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি (ED)। শনিবার দীর্ঘ সময় ধরে বেহালায় তাঁর একাধিক ঠিকানায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সে দিন কয়েক দফা জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছিল তাঁকে। এ বার সেই সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র (Sujay Krishna Bhadra) ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’কে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হল। ইডি সূত্রের খবর, আগামী মঙ্গলবার (৩০ মে) ইডির দফতরে তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে।

তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরের প্রাক্তন কর্মী সুজয়কৃষ্ণের পাশাপাশি গত শনিবার তৃণমূলের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সদস্য জ্ঞানানন্দ সামন্তের বিবিরবহাটের বাড়িতেও তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে। সেই সঙ্গে রাহুল বেরা নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকেও তলব করা হয়েছে বলে ইডি সূত্রের খবর। গত শনিবার বেহালার ফফিরপাড়া রোডে তল্লাশি অভিযানের সময় সুজয়ের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। ইডি সূত্রের খবর, সেই মোবাইল থেকে উদ্ধার হওয়া কিছু ‘তথ্য’ সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে তাঁকে।

11 months ago
CBI: কালীঘাটের কাকুর বাড়িতে সিবিআই হানা, বাজেয়াপ্ত নগদ টাকা ও চাকরিপ্রার্থীদের অ্যাডমিট কার্ড

কালীঘাটের কাকুর বাড়িতে হানা দিয়ে পরীক্ষার্থীদের অ্যাডমিট কার্ড (Admit Card), নগদ টাকা বাজেয়াপ্ত করল সিবিআই (CBI)। বৃহস্পতিবার কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের (SujayKrishna Bhadra) দু’টি বাসস্থানে হানা দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তথা সিবিআই। পাশাপাশি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত বেহালার ১২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পার্থ সরকার ওরফে ‘ভজা’র বাড়িতেও তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। দু’জনের বাড়িতেই নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলার তদন্তেই এই অভিযান বলে সিবিআই সূত্রে খবর। একই সঙ্গে বেহালার ব্যবসায়ী সন্তু গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়িতেও সিবিআই আধিকারিকেরা অভিযান চালাচ্ছেন বলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর।

নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে বৃহস্পতিবার সকালে একযোগে শহরের চার জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছেন সিবিআই আধিকারিকরা। ‘কালীঘাটের কাকু’, ‘ভজা’ এবং ব্যবসায়ী সন্তু ছাড়াও প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থের প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক সুকান্ত আচার্যের বাড়িতেও হাজির হয়েছে সিবিআই।

কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণের কথা প্রথম প্রকাশ্যে আনেন নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত তাপস মণ্ডল। সুজয়কৃষ্ণকে আগেও সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজাম প্যালেসে তলব করেছিল। পরে তাঁর এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের ব্যাঙ্কের নথিও চেয়ে পাঠানো হয়েছিল। সেই সব নথি তিনি সিবিআইকে জমা দিয়েছেন বলেও সুজয়কৃষ্ণ দাবি করেছিলেন।

12 months ago


KALIGHAT: সিবিআই হাজিরা এড়ালেন 'কালীঘাটে'র কাকু, নথি-সহ গেলেন উকিল

হাজিরা এড়ালেন কালীঘাটের (Kalighat) কাকু, কিন্তু সিবিআইয়ের (Cbi) চেয়ে পাঠানো নথি আইনজীবী মারফত পাঠালেন নিজাম প্যালেসে (Nizam palace)। কয়েকদিন আগেই তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল সিবিআইয়ের তরফে। আজ অর্থাৎ সোমবার তাঁকে সম্পত্তির নথি-সহ দেখা করতে বলা হয়েছিল বলেই সূত্রের খবর, কিন্তু সুজয় ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু, তিনি আজকে হাজিরা দিতে এলেন না। তার সমস্ত নথি তার আইনজীবী মারফত নিজাম প্যালেসের সিবিআই দফতর পাঠালেন। আইনজীবী নাজমুল আলম সরকার ১০টা বেজে ৩৩ মিনিটে নিজাম প্যালেসের সিবিআই দফতরে এলেন।

সূত্রের খবর, গোপাল দলপতি এবং তাপস মণ্ডলের মুখে উঠে আসে এই ‘কাকুর’ কথা। তিনি বেহালার সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র। তিনিই সংবাদমাধ্যমের সামনে জানিয়েছিলেন তাঁর বসের নাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার ফের সিবিআই অফিসে যাওয়ার কথা প্রসঙ্গে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, 'সিবিআই ডাকেনি। শুধুমাত্র নথি চেয়েছে। তাই প্রতিনিধি যাচ্ছেন তা জমা দিতে।' 


one year ago