Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

SujanChakrabarty

DumDum: নজরে দমদম...

প্রসূন গুপ্তঃ লোকসভা বটে দমদম। স্বাধীনতা উত্তর যুগে এই দমদম যে কত ঘটনার সাক্ষী তা আর বলে দিতে হয় না। ড.বিধান রায়ের আমলে দমদম ছিল একেবারে কংগ্রেসের নিজের জমি। দমদম লোকসভায় যারা তখন ভোটার ছিল তাদের সিংহভাগই ছিল ওপার বাংলা থেকে আসা উদ্বাস্তু। ড.রায় তাদের পুনর্বাসন দিয়েছিলেন। নামমাত্র টাকায় জমি দিয়েছিলেন বসবাসের জন্য এবং চাকরি ও কন্ট্রাক্টারি করার সুযোগ করেও দিয়েছিলেন। কিন্তু ড.রায়ের মৃত্যুর পরে ধীরে ধীরে এই দমদম হয়ে উঠলো কমিউনিস্টদের চারণ ভূমি। ৭০ দশকের মধ্যভাগ থেকে সিপিএম একেবারে দখলদারি নিয়ে নিলো দমদমের। এই লোকসভার অন্তর্গত বিধানসভাগুলি ও পুরসভা দখলে এলো মার্কসবাদীদের। বলা হতো লালদুর্গ। ১৯৮৫-তে ইন্দিরা নিধনের পরে একবার দমদমে যেতে কংগ্রেসের আশুতোষ লাহা। ব্যাস ফের দমদম হাতছাড়া হয় সেই ১৯৯৯ তে, যে বার বিজেপির তপন শিকদার এখন থেকে জেতেন। তারপর ২০০৯-এ পরিবর্তনের হাত ধরে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী সৌগত রায় পরপর তিন বার জিতেছেন এই আসন থেকে। অর্থাৎ লালদুর্গের পতন হয়।

এবারে লোকসভা নির্বাচন এসে গিয়েছে। প্রার্থী ওই প্রবীণ সৌগতবাবুই। ২০১৪ এবং ২০১৯ এর মোদী হাওয়াতে পরিবর্তিত হয় নি দমদমের মুড। প্রশ্ন এবারে কি হবে?

বৃদ্ধ হলেও সৌগতবাবু এখনও দৌড়ে বেড়ান এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। বিভিন্ন এলাকার মানুষকে তিনি যেমন সময় দেন তেমনই মানুষও তাঁকে কাছে পায়। কাজেই প্রাথমিক ভাবে জয় নিয়ে যে খুব একটা টেনশনে তিনি এমনটি বলা যাবে না কিন্তু ১৩ বছর ক্ষমতায় আছে তৃণমূল অতএব বিপরীত হাওয়া যে বইবে না এমন গ্যারান্টি কোথায়? এবারে এখানে সিপিএমের জাঁদরেল প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী এবং বিজেপির প্রার্থী প্রাক্তন তৃণমূলের শীলভদ্র দত্ত। শীলভদ্র এলাকার বাসিন্দা। প্রথম রাজনীতি কংগ্রেসের হাত ধরে পরে মুকুল রায়ের হাত ধরে তৃণমূলে। পরে মুকুল দল ছাড়লে শীলভদ্রও দল ছাড়েন। বিজেপির হয়ে ২০২১ এর ভোটে পরাজিত হন।

অন্যদিকে সুজন চক্রবর্তীর দল আজ শূন্যে পরিণত হলেও ওজনদার প্রার্থী তিনি। তিনি যে এই ভোটের অন্যতম ফ্যাক্টর তা আর বলে দিতে হয় না। কাজেই সুজনের প্রাপ্তি ভোট, হয় বিজেপিকে অথবা তৃণমূলকে জেতাবে তা বলাই বাহুল্য। সুজন ভোট নিদারুন কম পেলে শীলভদ্রের লাভ এবং বেশি পেলে ফের সৌগত।

a month ago
Election: প্রচারের নানান রূপ

প্রসূন গুপ্তঃ ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজ্যের কিংবা লোকসভা ভোটে প্রচারের নানান রূপ দেখা যায়। পন্ডিত নেহেরু অবিশ্যি এসবে বিশ্বাস করতেন না, কিন্তু ইন্দিরা গান্ধী ভোট প্রচারে গেলে সারা দেশ জুড়ে তাঁকে ঘুরতে হত এবং একেকটি রাজ্যে গেলে পারদপক্ষে সেখানকার পোশাক (অবশ্যই শাড়ি) পড়তে দেখা যেত। রাজীব গান্ধীর প্রচারের সময়ে দেখা যেত নিজেই গাড়ি চালিয়ে এক স্থান থেকে অন্য কেন্দ্রে যেতেন। বাংলাতেও তাই দেখা যেত। জ্যোতি বসু অবিশ্যি কটাক্ষ করে বলতেন যে, পাইলট ছিলেন তাই অভ্যাসটি যায়নি, এখনও দেশটিকে এরোপ্লেন বলে মনে করেন। যাই হোক না কেন রাজীব কিন্তু ওসব পরোয়া করেননি। একই অভ্যাস অবশ্যই নরেন্দ্র মোদীরও রয়েছে। আসলে এঁরা যথেষ্ট সুদর্শন, কাজেই সেগুলো তাঁদের ইউএসপি বলেই ধরে নেওয়া হতো বা হয়।

তবে এই রাজ্যে বিভিন্ন পোশাকের বহর প্রথম দেখা গিয়েছিলো সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায়ের মধ্যে। এরপর কমিউনিস্ট সরকারে পোশাক আশাক ইত্যাদি নেতাদের মধ্যে একেবারেই দেখা যায়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবিশ্যি জেলা ভিত্তিক নানান ব্যবহার করেছেন। জঙ্গলমহলে তাঁর সাঁওতালদের সঙ্গে নাচ বা গানে তাঁকে দেখা গিয়েছে। যদিও ভোটের সময়ে মুখ্যমন্ত্রী একেবারেই ভিন্ন মুডে থাকেন। রাজ্য বিজেপিতে ভিন্ন রূপে নেতাদের দেখা গিয়েছে বিস্তর।

এবারের নির্বাচনে দেখা গেল, দোল উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রচারে সবকটি দলই রং খেলায় মেতেছেন। দক্ষিণ কলকাতা, যাদবপুর থেকে হুগলি বা বীরভূম সহ প্রায় প্রতিটি জায়গায় প্রার্থীরা মেতেছিলেন আনন্দ উৎসবে। বাদ নয় সিপিএম প্রার্থীরাও। আজকের প্রচারে কাঠখোট্টা ভাষণে মানুষ বোধহয় আনন্দ পায় না। এখন জমজমাট ভাষণ দিতে পারে হাতে গোনা কয়েকজন মাত্র। সোশ্যাল নেটের যুগে নতুনত্ব আনতেই আজকের রাজনৈতিক দলে সেলিব্রেটিদের আনাগোনা। তাঁরা কোথাও খাবার পরিবেশন করছেন, কোথাও নিজেরাই খেতে বসেছেন। কোথাও পুজোতে খঞ্জনি বাজাচ্ছেন আবার আসন্ন ঈদ উপলক্ষে হাজিরা দিচ্ছেন ইফতারে। করতেই হবে, ভোট যে বড়োই বালাই।

a month ago
CPM: কেন্দ্র বদল সুজনের, যাদবপুরে সৃজন, একনজরে বামেদের প্রার্থী তালিকা

সামনেই লোকসভা নির্বাচন। ভোটের দিন ঘোষণা হয়নি এখনও। তৃণমূল, বিজেপির পর এবার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল বামফ্রন্ট। প্রার্থী নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেইন শরিকদের মধ্যে আলোচনা চলছিল। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বৃহস্পতিবার বিকেলে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে সাংবাদিক বৈঠক করে ১৬ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করলেন। তাঁদের মধ্যে সিপিএমের ১৩ জন এবং বাকি ৩ প্রার্থী শরিকদের। একনজরে দেখে নিন প্রার্থীতালিকা।

কোচবিহার: নীতীশচন্দ্র রায় (ফরওয়ার্ড ব্লক)

জলপাইগুড়ি: দেবরাজ বর্মন (সিপিএম)

বালুরঘাট: জয়দেব সিদ্ধান্ত (আরএসপি)

কৃষ্ণনগর: এস এম শাদি (সিপিএম) 

দমদম: সুজন চক্রবর্তী (সিপিএম)

যাদবপুর: সৃজন ভট্টাচার্য (সিপিএম)

কলকাতা দক্ষিণ: সায়েরা শাহ হালিম (সিপিএম)

হাওড়া: সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় (সিপিএম)

শ্রীরামপুর: দীপ্সিতা ধর (সিপিএম)

হুগলি: মনোজিৎ ঘোষ (সিপিএম)

তমলুক: সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় (সিপিএম)

মেদিনীপুর: বিপ্লব ভট্ট (সিপিআই)

বাঁকুড়া: নীলাঞ্জন দাশগুপ্ত (সিপিএম)

বিষ্ণুপুর: শীতল কৈবর্ত (সিপিএম)

বর্ধমান পূর্ব: নীরব খান (সিপিএম)

আসানসোল: জাহানারা খান (সিপিএম)

তবে এদিন যে ১৬ টি আসনে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে সেখানের ১৪ জনই ওনতুন মুখ। ভোট বৈতরণী পার হতেই তরুণ মুখেদের উপরেই ভরসা রেখেছেন আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের ম্যানেজাররা। তবে কয়েকটি আসন নিয়ে রীতিমত চাপের মুখে পড়তে হয়েছে বামফ্রন্টকে।

তবে এদিন ডায়মণ্ডহারবার কেন্দ্রের জন্য কোনও প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়নি। ওই কেন্দ্র থেকে নওশাদ দাঁড়াতে পারে বলে জোর জল্পনা চলছে। তবে এই বিষয়ে আলোচনা চলতেই পারে বলে দাবি বিমান বসুর। তবে জোট নয়, আসন সমঝোতার উল্লেখ করেন তিনি।  বলেন, “বামফ্রন্টের শরিকদলগুলি ছাড়া অন্য কারও সঙ্গে কোনওদিনই জোট ছিল না। ভোটে লড়ার জন্য আসন সমঝোতা হয়েছিল। এবারেও হতে পারে।”

2 months ago