
সৌমেন সুর: বর্তমানে বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রী (Students) দেখা যায়, মাস্টার্স (MA) ডিগ্রী অর্জন করে বসে আছে, তারা চাকরির চেষ্টা হন্যে হয়ে ঘুরছে। কিন্তু চাকরির (JOB) যা বাজার! কার কখন চাকরি হবে এ ব্যাপারটা একমাত্র ভগবানই বলতে পারেন। পড়াশোনা জীবনের একটা অঙ্গ। যে যত পড়বে তার তত অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক জ্ঞান বাড়বে। কিন্তু বর্তমানে পড়াশোনাওয়ালা ছেলেমেয়েদের সমাজে কোন দাম নেই। বিশেষ করে গরীব ঘরের হলে তো কথাই নেই। মেরিটোরিয়াস বা স্টুডিয়াস কোনও ছেলে বা মেয়ের পাশের বাড়িটা যদি বিশাল অট্টালিকা হয়, সমাজে তার বেশি কদর। কারণ তার অর্থ আছে। বর্তমান সমাজে অর্থ আছে যার, সম্মান আছে তার। কোন স্টার পাওয়া, লেটার পাওয়া মানুষের কোনও দাম নেই।
ছেলেবেলায় পড়েছি বা শুনেছি সমাজে সুস্থ সুন্দর জীবনযাপন সম্মানের সঙ্গে করতে গেলে, তাকে অবশ্যই পড়াশোনায় দারুন হতে হবে। বর্তমানে এসব কথার কোনও মূল্য নেই। কারণ একগাদা ডিগ্রী নিয়ে বছরের পর বছর তারা বেকার। এক নিঃসীম অন্ধকার যেন গ্রাস করে আছে তাদের মুখশ্রীকে। শুধু আমাদের রাজ্য বলে নয়, সব রাজ্যেরই এক কথা। শিক্ষা নেই যার পোড়া কপাল তার। কিন্তু এখন হয়ে গেছে উল্টো, অশিক্ষায় আছেন যিনি, কৃপাহি কেবলম্ পাচ্ছেন তিনি। দেশটা কি ছিল আর কোথায় তলিয়ে যাচ্ছে, এখনই যদি আমূল সংস্কার না করা হয় তাহলে দেশের ভাগ্যে অন্ধকারের মুড়ো ঝাঁটা।
মাধ্যমিকে অকৃতকার্য (Failed) হওয়ার অভিমানে আত্মঘাতী (Suicide) হল এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী (Secondary students)। শুক্রবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়ার টামনা থানার অন্তর্গত (Purulia) ডুরকু গ্রামে। পুলিস জানিয়েছে, মৃত ওই পরীক্ষার্থীর নাম দীপিকা মাহাতো। দীপিকা পুরুলিয়া শান্তময়ী গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী ছিল।
মৃত ওই পরীক্ষার্থীর পরিবারের সূত্রে খবর, শুক্রবার দীপিকা অনলাইনের মাধ্যমে জানতে পারে সে মাধ্যমিক পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, বিষয়টি বাড়িতে জানা জানি হতেই পরিবারের সদস্যরা দীপিকা কে সামান্য বকাবাকি করে। তার পরেই কার্যত মানসিকভাবে অবসাদে ভেঙে পরে দীপিকা। এদিন বিকেলের পর থেকে দীপিকার কোনো খোঁজ না মেলায় তাঁর খোঁজাখুঁজি শুরু করে পরিবারের সদস্যরা। তার পর বাড়ির একটি ঘর বন্ধ অবস্থায় দেখতে পেয়েই পরিবারের সদস্যদের সন্দেহ হয়। তড়িঘড়ি দরজা ভাঙতেই দেখা য়ায় সিলিং পাখায় ঝুলছে দীপিকার নিথর দেহ। দ্রুত তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়। পাঠানো হয় পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো গর্ভমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। এর পরেই ময়না তদন্ত জন্য দেহ মর্গে পাঠানো হয়।
টেক্সাসের স্কুলে (School) ফের বন্দুকবাজের (Shooting) হামলা। অভিযোগ, পড়ুয়াদের উপর নির্বিচারে গুলি চালানো হয়েছে। গুলিবিদ্ধ হয়েছে ৯ জন পড়ুয়া। পুলিস সূত্রে খবর, টেক্সাসের ওই স্কুলটিতে একটি অনুষ্ঠান উপলক্ষে পার্টি (Party) করছিল পড়ুয়ারা (Students)। সেই পার্টি চলাকালীন গুলি চালানো হয়।
জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে টেক্সাসের জ্যাসপার এলাকার একটি হাইস্কুলে আচমকাই গুলির শব্দ শোনা যায়। পড়ুয়াদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। যার ফলে ৯ জন পড়ুয়া গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তবে গুলির আঘাত প্রাণঘাতী নয় বলে জানিয়েছে পুলিস। বর্তমানে আহত পড়ুয়ারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আমেরিকায় নাগরিকদের কাছে পিস্তল রাখা আইনত বৈধ। তাই অনেকেই সঙ্গে পিস্তল রাখেন। সেই জন্যে কোনও না কোনও জায়গায় বন্দুকবাজের হামলার ঘটনা প্রায়ই প্রকাশ্যে আসে। টেক্সাসের স্কুলের পড়ুয়ারা তেমনই হামলার শিকার হল। ওই স্কুলে তো বটেই, শহরের বাকি স্কুলগুলিতেও নিরাপত্তা দ্বিগুণ করে দিয়েছে প্রশাসন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, টেক্সাসের স্কুলে এই বন্দুকবাজের হামলায় যারা আহত হয়েছে, তাদের বয়স ১৫ বছর থেকে ১৯ বছরের মধ্যে। কারা এই হামলার সঙ্গে জড়িত আছেন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। একজন বন্দুকবাজ নাকি একাধিক বন্দুকবাজ স্কুলে গুলি চালিয়ে আক্রমণ করেছেন, তা স্পষ্ট করেনি পুলিস। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি টেক্সাসের পুলিস।
সাঁতার কাটতে গিয়ে জলে তলিয়ে গেলেন ভারতীয় দুই পড়ুয়া (Students)। তন্ন তন্ন করে খোঁজার পর অবশেষে আমেরিকার (America) মনরো লেক থেকে উদ্ধার হয় ওই দুই পড়ুয়ার দেহ। জানা গিয়েছে, জলে তলিয়ে যাওয়া ওই দুই পড়ুয়ার নাম সিদ্ধান্ত শাহ, বয়স ১৯ বছর এবং আর্য বৈদ্য, বয়স ২০ বছর। তাঁরা দু’জনেই আমেরিকার ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটির কেলি স্কুল অফ বিজনেসের (School of Business) ছাত্র।
১৫ এপ্রিল অর্থাৎ শনিবার বন্ধুদের সঙ্গে মনরো লেকে সময় কাটাতে গিয়েছিলেন তাঁরা। বন্ধুদের দাবি, প্রথমে দু’জনেই সাঁতার কাটবে না বলে ছোট নৌকোয় চেপে ঘুরছিলেন লেকের মধ্যেই। সেই সময় আচমকাই ওই দু’জন জলে ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং বাকি বন্ধুদের সঙ্গে সাঁতার কাটতে আরম্ভ করেন। হঠাৎ তারপর থেকেই আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না ওই দু'জনের। তল্লাশি অভিযান শুরু হয় ওই দুই পড়ুয়ার। ১৬ এপ্রিল থেকে আবহাওয়া খারাপ থাকার কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত থাকে। ফের ১৮ এপ্রিল জলে নামেন উদ্ধারকারীরা। তখনই দু’জন পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার হয়। জানা গিয়েছে, অনেকক্ষণ আগেই তাঁদের মৃত্যু হয়েছে বলে।
পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ মজবুত করতে খানিকটা জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী হাতে-কলমে শিক্ষার উপর জোর দেবে রাজ্য সরকারের। শিক্ষা দফতরের পাশাপাশি ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসার, সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট গোটা বিষয়টির উপর নজরদারি রাখবেন। এমনকি গ্রীষ্মর ছুটিতে ছাত্রছাত্রীরা কী কী করবে, তার গাইডলাইন প্রকাশ করেছে স্কুল শিক্ষা দফতর। নির্দেশিকা মেনে পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের এই ছুটিতে নতুন নতুন কাজ দেওয়া হবে। প্রত্যেক ক্লাসের পড়ুয়াদের জন্য আলাদা আলাদা কাজ দেওয়া হবে। পড়ুয়াদের আত্মবিশ্বাস আরও নতুন করে গড়ে তুলতেই এই বিশেষ উদ্যোগ।
দেখুন কী সেই গাইডলাইনগুলি--
১.পঞ্চম থেকে ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের প্রকৃতি সচেতন নিয়ে কাজ দেওয়া হবে। তা নিয়ে গবেষণা করে পরে সেই বিষয়ে লিখতে হবে। এমনকি এই পুরো কাজ শেষ করতে পাঁচ থেকে সাত দিন সময় দেওয়া হবে ছাত্রছাত্রীদের।
২. সপ্তম থেকে অষ্টম শ্রেণীর পড়ুয়ারা বিজ্ঞান কেন্দ্র বা পেশাগত প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে গিয়ে পর্যবেক্ষণ করবে। সেই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের দূরত্ব স্কুল থেকে অন্তত ৩ কিলোমিটারের মধ্যেই হতে হবে। ওই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে গিয়ে যা শিখবে তার উপর নির্ভর করেই কাজ করবে পড়ুয়ারা।
৩. দশম শ্রেণীর পড়ুয়াদের ব্যাংক, কলেজ, গ্রন্থাগারে পাঁচ থেকে সাত দিন পর্যবেক্ষণ করতে হবে। এটি তাদের পেশাগত জীবনে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে। এমনকি ঠিক একই রকমভাবে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদেরও পেশাগত পাঠ নিতে হবে।
ঠিক এমনই গাইডলাইন পেশ করা হয়েছে শিক্ষা দফতরের তরফ থেকে।
পরীক্ষা দিতে বসে মাথায় কোনও না কোনও গানের সুর ঘোরাফেরা করে, এই কথাটা অস্বীকার করার মতো মানুষ খুবই কম। কারণ এমনটা প্রায় সবারই হয়ে থাকে। এবার এমনই এক ছাত্রকে দেখা গেল, যার পরীক্ষা দেওয়ার সময় বলিউডের গান তো মাথায় ঘুরছিলই, এমনকি তিনি উত্তরপত্রে সেটি লিখে দিয়ে গিয়েছেন। তবে শুনলে অবাক হবেন, ছাত্রের এমন কাণ্ড দেখে শিক্ষকও লিখেছেন, 'তুমি আরও উত্তর (গান) লিখতে পারো।' ইতিমধ্যেই এই উত্তরপত্রের ভিডিওটি সমাজমাধ্যমে ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়েছে।
এই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, এই উত্তরপত্র চন্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পড়ুয়ার। তিনি সেই উত্তরপত্রে পেয়েছেন শূন্য। কারণ তিনি মাত্র ৩টি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে। কিন্তু তাতেও লিখেছেন বলিউডের গান। প্রথম প্রশ্নের উত্তরে লেখেন, 'থ্রি ইডিয়টস' ছবির 'গিভ মি সাম সানসাইন'-এর কিছু লাইন। এরপর দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তরে গান বাদ দিয়ে শিক্ষকের উদ্দেশে লিখেছেন, 'আপনি খুব ভালো মানুষ। আমি এত কঠিন কাজ করতে পারি না, তা আমার অক্ষমতা। ভগবান! আমাকে বুদ্ধি দাও।' তারপরেই তৃতীয় প্রশ্নের উত্তরে আবার আমির খানের ছবির গান বেছে নেন পড়ুয়া। 'পিকে' ছবির গান 'ভগবান হ্যাঁ কাঁহা রে তুঁ' গানের কিছু লাইন লিখেছে তিনি।
এরপর শিক্ষকের মন্তব্য দেখেও অবাক নেটদুনিয়া। তিনি লিখেছেন "You should write more answers (songs)"। এই মন্তব্য তিনি রেগে নাকি মজা করে লিখেছেন, তা বোঝা যায়নি। তবে এই ভিডিও ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করার পরেই এতে ৪ লক্ষের উপরে ভিউ এসেছে। কমেন্ট সেকশনে বয়ে চলেছে ঠাট্টা-মশকরায় ভরা মন্তব্য।
চোর ধরার জন্যে কলেজের শৌচাগারে সিসিটিভি(Cctv Camera) ক্যামেরা লাগানোর অভিযোগ কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। তারই প্রতিবাদ করতে বিক্ষোভে শামিল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা(Students)। উত্তরপ্রদেশের আজমগড়ের ডাফ পিজি কলেজের ঘটনা। এই কলেজের শৌচাগার থেকে বেশ কয়েক দিন ধরে জলের কল চুরি হচ্ছিল। যতবার কল বসানো হয়েছে, ততবারই কল চুরি গিয়েছে। এই কল চোর ধরতে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়।
কলেজের ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ, শৌচাগারে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর কথা তাঁদের জানায়নি কলেজ কর্তৃপক্ষ। ফলে তাঁদের ব্যক্তিস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। এরই প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু করে কলেজ পড়ুয়ারা। যদিও বিক্ষোভ দেখে ক্ষমা চেয়েছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। কলেজ কর্তৃপক্ষ জানায়, ইচ্ছা করে শৌচাগারে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়নি, কোনওভাবে একটি সিসিটিভি ক্যামেরা ভুল করে শৌচাগারের ভিতরের দিকে ঘুরে গিয়েছে। সেটা জানার পর সঙ্গে সঙ্গে খুলে অন্য জায়গায় বসানো হয়। কলেজের অধ্যক্ষ (Head Teacher) জানান, কলচোর ধরার জন্য অন্য ব্যবস্থা করা হবে। তাঁর এই প্রতিশ্রুতির পর বিক্ষোভ তুলে নিয়েছেন ছাত্রছাত্রীরা।
শুরু চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা (Madhyamik Exam 2023)। প্রশ্ন ফাঁস ও অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে পর্ষদ (WBBSE)। এবছর পরীক্ষা কেন্দ্রের ভিতরে অভিভাবকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। ২০২৩-র মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসছে ৬ লক্ষ ৯৮ হাজার ৭২৪ জন পরীক্ষার্থী। গত বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১০ লক্ষ ৯৮ হাজার ৭৭৫।
জানা গিয়েছে, ২৮৬৭ সেন্টারে পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। ৪০ হাজার শিক্ষক ও অশিক্ষককর্মী সুষ্ঠু পরীক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত থাকবেন। ৯৯% বেশি কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা। যে সমস্ত সেন্টারে বা বুথে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হবে না তাকে স্পর্শকাতর বুথ হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। এবছর পাহাড়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৯০০০। সেখানে ৬০টি সেন্টারে পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে।
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, অ্যাডিনো ভাইরাসের কথা মাথায় রেখে স্কুলগুলিতে করা হয়েছে সিক রুমের ব্যবস্থা। স্কুলগুলিতে থাকছে স্পেশাল চাইল্ডদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থাও। বিশেষ অ্যাপের মাধ্যমে সরাসরি পর্ষদের অফিসে বসে কেন্দ্রগুলিতে নজরদারি। এমনকি পর্ষদের অফিসে খোলা হয়েছে কন্ট্রোলরুম।
অতিরিক্ত ভেনু সুপারভাইজার অ্যাপ মাধ্যমে চালাবেন নজরদারি। প্রত্যেক ভেনুতে থাকবে কড়া পুলিসি ব্যবস্থা। মোবাইল ইলেকট্রনিক্স গেজেট ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা। ১১টার সময় প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খোলা হবে কন্ট্রোলরুমে। সাড়ে ১১ নাগাদ ক্লাসরুমে পৌঁছবে প্রশ্নপত্র। ১১:৪৫ মিনিটে প্রশ্নপত্র দেওয়া হবে পরীক্ষার্থীদের।
এদিকে, সম্প্রতি পর্ষদ সভাপতি পরীক্ষার্থীদের জানান, 'মাধ্যমিক পরীক্ষা ছাত্র জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা। কিন্তু শেষ পরীক্ষা নয়।' তাই মাথা ঠাণ্ডা রেখে পরীক্ষা দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। পাশাপাশি মে মাসের শেষ সপ্তাহে ফল ঘোষণার সম্ভাবনা বলেও জানান পর্ষদ সভাপতি।
এ বছর ৬ লক্ষ ৯৮ হাজার ৭২৪ জন মাধ্যমিক পরীক্ষা (Madhyamik Exam 2023) দেবে। মোট ২৮৬৭ কেন্দ্রে পরীক্ষা হবে। মঙ্গলবার জানিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ (Secondary Board)। জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা কিন্তু শেষ পরীক্ষা নয়। তাই পরীক্ষার্থীদের মাথা ঠাণ্ডা রেখে পরীক্ষা দিতে পরামর্শ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতির। মে মাসের শেষ সপ্তাহে ফল ঘোষণার সম্ভাবনা এদিন জানান পর্ষদ সভাপতি। জানা গিয়েছে, পরীক্ষা ব্যবস্থা সুষ্ঠুভাবে শেষ করতে ৪০ হাজার ৫০০ জন পরীক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, ২৩ ফেব্রুয়ারি পাহাড় বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে। সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে পর্ষদ সভাপতি জানান, '২৩ ফেব্রুয়ারি পাহাড় বনধ দুর্ভাগ্যজনক। প্রায় ৯ হাজার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী পাহাড়ে পরীক্ষা দেবে। প্রশাসনকে বলবো ব্যবস্থা নিতে যাতে সবাই পরীক্ষা দিতে পারে।' তিনি জানান, 'পাহাড়ে প্রায় ৬০টি পরীক্ষাকেন্দ্র আছে। সব জেলা থেকে রিপোর্ট এসেছে। প্রায় ২৮০০ স্কুলে সিসিটিভি বসেছে। যারা এখনও বসায়নি, তাদের বসাতে বলেছি।'
জানা গিয়েছে, সকাল ৮টা থেকে ১০টার মধ্যে প্রশ্নপত্র পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছবে। সাড়ে ১০টা থেকে পরীক্ষার্থী ঢুকতে পারবে। সাড়ে ১১টা অবধি পরীক্ষকরা ঢুকতে পারবেন। আর ১১টা ৪৫ মিনিট পরীক্ষার্থীদের সামনেই প্রশ্নপত্র খোলা হবে।
জিইয়ে রইল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের (Calcutta Medical College) অচলাবস্থা। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য ভবনের (Swasthya Bhaban) প্রস্তাবিত বৈঠক বাতিল হয়েছে। এদিকে, মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পড়ুয়াদের তরফে নাগরিক মিছিল (Civil Society) আয়োজন করা হয়েছে। মিছিলের সমর্থনে হাজির অন্য মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। জানা গিয়েছে, মিছিলের অভিমুখ সেন্ট্রাল এভিনিউ সেখান থেকে ধর্মতলা। পাশাপাশি এসপ্লানেডে চলমান গাড়িতে পথসভা হবে। বেশ কয়েক জন চিকিৎসক হাজির এই মিছিলে।
এদিকে, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের হাসপাতালে নির্বাচন সংক্রান্ত জট কাটাতে ফের স্বাস্থ্য সচিবকে ফোন করে সমাধানসূত্র বের করার আবেদন জানাব। এদিন এমনটাই জানিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। জানা গিয়েছে, গত ১০ই ডিসেম্বর কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সমস্যা দুর করতে এসেছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ন স্বরূপ নিগম এবং স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধান্ত নিয়োগী।
পাশাপাশি সোমবার হাসপাতালে এসেছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি প্রাথমিক ভাবে কথা বলেন অনশনরত পড়ুয়াদের সঙ্গে। তারপর প্রিন্সিপালের রুমে গিয়ে বৈঠক করেন তিনি। কিন্তু এদিন বৈঠক বাতিল হওয়ায় ঝুলে রইল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের অচলাবস্থা।
ছাত্র সংসদের (Students Union Vote) নির্বাচনের দাবিতে ৪ দিনে পড়ল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ (Medical College) পড়ুয়াদের অনশন আন্দোলন। শনিবার স্বাস্থ্য অধিকর্তা ও স্বাস্থ্যসচিব পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা করে গিয়েছেন। কিন্তু বেরোয়নি সমাধান সূত্র। মঙ্গলবার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের মাধ্যমে সমস্যার সমাধানের ডাক দেওয়া হয়েছে। যদিও সোমবার অনশনরত এক পড়ুয়া ঋতম মুখোপাধ্যায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। তড়িঘড়ি তাঁকে চিকিৎসার জন্য সুপার স্পেশালিটি ব্লকের সিসিইউ-তে নিইয়ে যাওয়া হয়েছে। আর তাঁদের সহপাঠীর এহেন অবস্থার জন্য মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষকে কাঠগড়ায় তুলেছেন আন্দোলনরত (Agitation) মেডিক্যাল পড়ুয়ারা।
এদিকে, এদিন সমস্যা সমধানের সূত্র খুঁজতে মেডিক্যাল কলেজে আসেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। কথা বলেন পড়ুয়াদের সঙ্গে এরপরে ভিতরে প্রিন্সিপাল রুমে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এদিকে, অনশনের সঙ্গেই কলেজ চত্বরে পোস্টারিং পড়ুয়াদের। এখন মঙ্গলবারের বৈঠকের দিকে তাকিয়ে গোটা রাজ্যের স্বাস্থ্য মহল।
ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে উত্তাল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (Medical College And Hospita।) সকাল থেকেই থমকে চিকিৎসা পরিষেবা। গেটে তালা ঝুলিয়ে মেডিক্যাল স্টুডেন্টদের (Medical Students) ঘেরাও, সুপারের ঘরে আটকে ডেপুটি সুপার-সহ বিভাগীয় প্রধানরা। পাল্টা চিকিৎসার দাবিতে সরব রোগীর পরিজনরা। দীর্ঘক্ষণ পরিষেবা বন্ধ থাকায় ইট দিয়ে গেটের তালা ভাঙার চেষ্টা করেন রোগীর পরিজনরা। তাঁদের দাবি, ঘেরাও তুলে রোগীর পরিজনদের হাসপাতালে প্রবেশ করতে দেওয়া হোক। অবিলম্বে পুলিসি নিরাপত্তা দেওয়া হোক, আবেদন এক রোগীর আত্মীয়ের। মামলা দায়ের কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে। আগামীকাল শুনানির সম্ভাবনা।
জানা গিয়েছে, ছাত্র সংসদের নির্বাচনের দাবিতে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের (Medical College Kolkata) অধ্যক্ষ, এমএসভিপি-সহ বিভাগীয় প্রধানদের ঘেরাও করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার থেকে চলছে বিক্ষোভ আন্দোলন। সেদিনই ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষর অফিস ঘেরাও করেন ডাক্তারি পড়ুয়ারা। তাঁদের অভিযোগ, '২২ ডিসেম্বর ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হয়েছিল। তার আগে সোমবার নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে অধ্যক্ষের অফিসে বৈঠকের কথা ছিল। সেই মোতাবেক তাঁরা বৈঠকে যোগ দিতে যান। সেখানে গেলে অধ্যক্ষর অফিস থেকে জানানো হয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন হবে না। একইসঙ্গে বলা হয় মৌখিকভাবে অন্য ডাক্তারি পড়ুয়াদের যেন তা জানিয়ে দেওয়া হয়।' এখানেই আপত্তি তোলেন ডাক্তারি পড়ুয়ারা। তারপরই অবস্থান বিক্ষোভ শুরু হয় মেডিক্যাল কলেজের করিডরে।
এই ঘেরাওয়ের জেরে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চার জন চিকিৎসক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ঘেরাওয়ের জেরে আটকে রয়েছেন সার্জারি, মেডিসিন, কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধানরা, প্রিন্সিপাল এবং সুপার। নার্সিং সুপারকে ঘেরাও করে চলছে বিক্ষোভ। এতে বচসায় জড়ান নার্সিং স্টাফ এবং মেডিক্যাল পড়ুয়ারা। হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষা করাতে আসা এক ব্যক্তির অভিযোগ, 'ভোর থেকে লাইন দিয়ে এখনও ঢুকতে পারলাম না। হয়রানির একশেষ, সকাল থেকে না খেয়ে দাঁড়িয়ে। কারও কিছু হয়ে গেলে কে দায় নেবে।' লক্ষ্মীকান্তপুর থেকে অসুস্থ স্বামীকে নিয়ে রাত ৩টে থেকে অপেক্ষায় থাকা এক মহিলার চোখেমুখেও হয়রানির চিত্র স্পষ্ট।
অনেক রোগীর পরিবারের কাতর আবেদন, 'সংবাদ মাধ্যম একটু সাহায্য করুক। আমাদের বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর সামর্থ নেই। কাজ থেকে ছুটি নিয়ে চিকিৎসা করাতে এসে এই হেনস্থা।'
এদিকে, অচলাবস্থা কাটাতে হাসপাতালে মধ্যস্থতার জন্য আসেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠনের কয়েকজন সদস্য তাঁদের বক্তব্য, 'মেডিক্যাল পড়ুয়াদের দাবি অযৌক্তিক নয়। কিন্তু আমরা চাই চিকিৎসা পরিষেবা সচল থাকুক, সঙ্গে আন্দোলন চলুক।
দুর্গাপুরের (Durgapur) একটি ড্রপ বক্স (Drop box), যাকে ঘিরেই যত বিতর্ক। অভিযোগ, সরকারিভাবে জানানো হয়েছিল কাউন্সেলিং হবে, কিন্তু সেটা কার্যত বদলে গেলো ড্রপ বক্সে। আর যাকে ঘিরে বিতর্ক তৈরি দুর্গাপুর আইটিআই-তে (ITI)।
সরকারি নোটিফিকেশন অনুযায়ী, আজ অর্থাৎ সোমবার দুর্গাপুর আইটিআই কলেজে স্পট কাউন্সেলিং হওয়ার কথা, যেটা চলবে সেপ্টেম্বর ২৯ পর্যন্ত। সরকারি নির্দেশিকাতে লেখা রয়েছে পুরো প্রক্রিয়াটা হবে ফার্স্ট কাম ফার্স্ট সার্ভ মেনে। অর্থাৎ যিনি প্রথম আসবেন তাঁর প্রথম কাউন্সেলিং হবে। প্রশ্ন উঠেছে প্রথম আসলে প্রথম অগ্রাধিকার, কিন্তু ড্রপ বক্সে এই প্রক্রিয়া কীভাবে কার্যকর হবে?
কারণ, বক্সের ভেতরে সবইতো মিলে মিশে একাকার হয়ে যাবে। কে প্রথম, কে পড়ে এটা বোঝা যাবে কীভাবে? আর আজ দুর্গাপুর আইটিআই-তে যারা স্পট কাউন্সেলিং-এর জন্য আসেন তাঁদের অভিযোগ এখান থেকেই শুরু। কেউ পুরুলিয়া, কেউ বাঁকুড়া, কেউ আসানসোল আবার কেউ বা আরও দূর থেকে দুর্গাপুরে এই সরকারি আইটিআই কলেজে কাউন্সেলিং-এর জন্য এসেছিলেন।
তাঁদের অভিযোগ, কোথাও তো একটা অস্বচ্ছতা রয়েছে, যার চরম মাসুল দিতে হচ্ছে তাঁদেরকে। বিতর্কের এখানেই যে শেষ তা নয়, সরকারিভাবে জারি করা এই নোটিফিকেশন। যেখানে সকাল ১১ টার কথা লেখা থাকলেও তা কলেজ আসার শেষ সময় না। তার আগে আসতে হবে কাউন্সিলিং-এর জন্য সেই নিয়েই জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে। এতে করে অনেক ছাত্র যারা দূর জেলা থেকে সোমবার দুর্গাপুরে এসেছিলেন, এদের অনেকে ড্রপ বক্সে ফর্ম ফেলতে পারেনি।
এই বিষয়ে ক্যামেরার সামনে কোনওরকম প্রতিক্রিয়া দিতে রাজি হয়নি দুর্গাপুর আইটিআই কলেজের প্রিন্সিপাল বিশ্বনাথ মুখোপাধ্যায়। সিএনের ক্যামেরা দেখে পালিয়ে বাঁচেন সরকারি কলেজের এই শিক্ষক। এমন ঘটনায় সুর চড়িয়েছে বিরোধীরাও।
প্রায় ১২দিন পর বসিরহাটে (Basirhat) মিললো বাগুইআটি (Baguihati Students) থেকে অপহৃত দুই স্কুলছাত্রের দেহ। পাড়ার এক যুবক সত্যেন্দ্র চৌধুরীর বিরুদ্ধে অতনু দে এবং অভিষেক নস্করকে অপহরণ করে খুনের অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি পরিবারের তরফে পুলিসি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ ওঠে। জানা গিয়েছে, সার্ভিসিংয়ে থাকা বাইক আনতে যাওয়ার নামে অভিযুক্তের সঙ্গে ২২ অগাস্ট গাড়িতে ওঠে অতনু-অভিষেক। তারপর থেকেই পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয় ওই স্কুল ছাত্রদের। পরিবারের দাবি, অতনু এবং অভিষেক সম্পর্কে মামাতো-পিসতুতো ভাই। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরী পলাতক হলেও অন্য ৪ জন গ্রেফতার। মূল অভিযুক্তকে এই কাজে তারাই সাহায্য করেছিল বলে জানায় পুলিস।
ইতিমধ্যে ২৪ তারিখ বর্ধমানে একজনের ফোন উদ্ধার করে রেল পুলিস। সেই খবর আসে বাগুইআটি থানার কাছে। পরিবারকে ডেকে সেই ফোন উদ্ধারের প্রসঙ্গ জানায় পুলিস। এমনকি, এক ছাত্রের বাবার ফোনে এক কোটি টাকা মুক্তিপণ চেয়ে মেসেজও করা হয়। এমনটাই জানিয়েছে পরিবার। কিন্তু প্রথম থেকেই পুলিস বলতে থাকে বাড়িকে না বলে হয়তো দুই ভাই কোথাও ঘুরতে গিয়েছে। পুলিস সূত্রে খবর, ২২ অগাস্টই বাসন্তী হাইওয়েতে দু'জনকেই গলা টিপে খুন করে সত্যেন্দ্র ও তার শাগরেদরা। তার আগে একটি বাইকের শোরুমে ওই দু'জনকে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। দেহ দুটি হাইওয়ের নয়ানজুলিতে মৃতদেহ ফেলে দেয় অভিযুক্তরা।
স্থানীয় থানা সেই দেহ উদ্ধার করে বসিরহাট পুলিস মর্গে পাঠায়। সেখানেই প্রায় ১২ দিন দুই ছাত্রের দেহ অজ্ঞাত পরিচয় হিসেবে পড়েছিল। সোমবার রাতে পরিবারের লোককে দেহ উদ্ধারের প্রসঙ্গে জানায় পুলিস। এদিকে, মঙ্গলবার দুই ছাত্রের দেহ উদ্ধারের ঘটনা চাউর হতেই ক্ষভে ফেটে পড়ে এলাকাবাসী। অভিযুক্ত সত্যেন্দ্রর নির্মীয়মাণ বাড়িতে চলে ব্যাপক ভাঙচুর। পড়ে বাগুইআটি থানার পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ধৃতদের জেরা করে পুলিস জানতে পেরেছে, এক ছাত্রের বাবা সত্যেন্দ্রকে ছেলের বাইক কেনার জন্য ৫০ হাজার টাকা দিয়েছিল। কিন্তু বাইক হাতে পায়নি ওই স্কুলছাত্র। যদিও বাইকের জন্য আরও টাকা চেয়ে সেই ছাত্রকে বারবার বললেও সেই টাকা দিতে অস্বীকার করে সে। এরপরেই তার বাবার থেকে আরও টাকা আদায়ে এই অপহরণ। অভিজিৎ বোস, শামীম আলী, সাহিল মোল্লা ও দিব্যেন্দু দাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একমাত্র অভিজিৎ হাওড়ার বাসিন্দা, বাকিরা বাগুইআটির বাসিন্দা। সোমবার এই ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে অভিজিৎ বসুকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিস। পুলিসি জেরায় ভেঙে পড়ে খুনের কথা স্বীকার করে।
ধৃত অভিজিৎ-ই স্বীকার করে ২২ তারিখ সন্ধ্যায় ওই দু'জনকে গলা টিপে খুন করে বাসন্তী হাইওয়ের দু'টি পৃথক খালে দেহ ফেলে দেয়। সেই সূত্র ধরে বাসন্তী হাইওয়ে সংলগ্ন একাধিক থানায় খোঁজ নিয়ে বসিরহাট মর্গে দুটি অজ্ঞাতপরিচয় দেহের সন্ধান মেলে। মঙ্গলবার সকালে অতনু এবং অভিষেকের বাড়ির লোকেরা বসিরহাট মর্গে গিয়ে দেহ শনাক্ত করে। পুলিসি নিষ্ক্রিয়তা প্রসঙ্গে বিধাননগর কমিশনারেট জানায়, যেহেতু অপহরণ এবং মুক্তিপণের অভিযোগ। তাই আমরা খুব সন্তর্পণে এগোচ্ছিলাম। এসওপি মেনেই কাজ হয়েছে। যখন জানতে পারি মৃতদেহ ফেলে দেওয়া হয়েছে। তখনই মর্গে খোঁজ খবর করি।
বিধাননগর কমিশনারেটের দাবি, এই তদন্তে কোনও গাফিলতি থাকলে খতিয়ে দেখা হবে।