ফের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ার মৃত্যুতে শুরু বিতর্ক। অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র ও এক গবেষকের মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতনের ফলেই আত্মহত্যা করেছেন ওই ছাত্রী। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হয় জলপাইগুড়ির মালবাজারে। ওই ছাত্রীর এক আত্মীয়ের বাড়িতে উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। তারপরেই শুরু হয় বিতর্ক।
অভিযোগ, ওই ছাত্রীর বাবা গত ২৫ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। ওই অভিযোগপত্রে তিনি লিখেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাতত্ত্ব বিভাগের এক ছাত্র এবং বাংলা বিভাগের এক গবেষক মিলে তাঁর মেয়েকে শারীরিক, মানসিক অত্যাচার করত। যে কথা মৃত্যুর আগে পরিবারকে ওই ছাত্রী জানিয়েছিলেন বলেও দাবি। এমনকী জোর করে ওই ছাত্রীকে নেশা করানোর অভিযোগও উঠেছে।
এবার সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই জরুরি বৈঠকের ডাক দিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে ওই বৈঠকে থাকবেন রেজিস্ট্রার, ডিন অফ স্টুডেন্টস-সহ একাধিক আধিকারিকরা। ওই বৈঠকেই মৃত ছাত্রীর বাবার করা অভিযোগের ভিত্তিতে আলোচনা হওয়ার কথা।
যদিও এই ঘটনার পর সরব হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক ছাত্র সংগঠন। মৃত ছাত্রীর পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের দাবি, এই ঘটনায় উপযুক্ত তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে হবে কর্তৃপক্ষকেও। ইতিমধ্যেই কর্তৃপক্ষকে ডেপুটেশন জমা দিয়েছেন ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিরা। ছাত্র সংগঠন এফএসডি-র তরফেও দৃষ্টিহীন ছাত্রীর মৃ্ত্যুতে ডেপুটেশন জমা দেওয়া হয়েছে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যুতে এবার জমা পড়ল চার্জশিট। বুধবার আদালতে এই চার্জশিট জমা দেয় কলকাতা পুলিশ। সূত্রের খবর, চার্জশিটে কলেজের ৬ জন বর্তমান পড়ুয়া এবং ৬ জন প্রাক্তনীর বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ৩০২ এবং ৩০৫ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব়্যাগিং এবং পকসো ধারাতেও অভিযোগ এনেছে পুলিস।
উল্লেখ্য, অগাস্ট মাসে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের তিনতলার বারান্দা থেকে পড়ে মৃত্যু হয় নদিয়ার বগুলার প্রথম বর্ষের ছাত্রের। ঘটনার পর থেকেই প্রতিবাদ, মিছিল, এককথায় উত্তাল হয়ে উঠেছিল ক্যাম্পাস। র্যাগিংয়ের জেরেই মৃত্যু হয়েছে ওই পড়ুয়ার তা কার্যত স্বীকার করে নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এরপর পরিবারের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাংশ পড়ুয়ার বিরুদ্ধে যাদবপুর থানায় খুনের মামলা দায়ের করা হয়। তদন্তে নেমে একাধিক পড়ুয়াকে আটক করে পুলিস। তাদের বিরুদ্ধেই এদিন কলকাতা পুলিসের তরফে আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে।
কসবার সিলভার পয়েন্ট স্কুলে দশম শ্রেণীর ছাত্রের রহস্যমৃত্যুতে মামলা দায়ের হয়েছিল হাইকোর্টে। মঙ্গলবার শুনানির পর আদালতের নির্দেশ, পুলিস কমিশনারকে তদন্তে নজরদারি করতে হবে। প্রথম ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসকদের নিয়ে তৈরি মেডিক্যাল বোর্ডের সামনে পেশ করতে হবে। ওই রিপোর্ট ও ভিডিওগ্রাফি দেখিয়ে তাঁদের থেকে মতামত নিতে হবে। সিসিটিভি ডিভাইস ও হার্ড ডিস্ক বাজেয়াপ্ত করতে হবে। পোস্টমর্টেম কপি দ্রুত পরিবারকে দিতে হবে। আগামী শুনানিতে কেস ডায়েরি আদালতে জমা দিতে হবে। ৬ অক্টোবর ফের এই মামলার শুনানি।
মামলাকারীর অভিযোগ ছিল, ঘটনার পরে গুরুতম জখম অবস্থায় ওই ছাত্রকে দীর্ঘক্ষণ কোনও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়নি। ইনকোয়েস্ট বা সুরতহাল ঘটনার পরেই হওয়ার কথা। কিন্তু এক্ষেত্রে ২৪ ঘণ্টা পরে সুরতহাল করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে দেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। শুধু কান থেকে রক্ত বেরোতে দেখা গেছে। এটা অবিশ্বাস্য। আইনজীবী নিয়ে মৃতের পরিবার কসবা থানায় গেলেও সিসিটিভি দেখার সুযোগ দেওয়া হয়নি। কখন সে পড়ে গেছে, তার কোনও ছবি নেই। সিসিটিভি ফুটেজ বিকৃত করা হয়েছে। বাড়ির লোকের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়নি। তাই দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের দাবি। সিট গঠন করে তদন্তের দাবি।
বিচারপতি জানান, এমন একটা গুরুতর ঘটনায় ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক গাফিলতি করবেন বলে মনে হয়? স্কুলের তরফে জানানো হয়, প্রজেক্ট রিপোর্ট তৈরি করা নিয়ে ক্লাস টিচারের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় ওই ছাত্রের। সেই সময় শিক্ষকের সঙ্গে খারাপ ব্যাবহার করে সে। সিসিটিভি ফুটেজে সবটাই ধরা আছে। এরপর পাঁচতলার উপর থেকে সে ঝাঁপ দেয়। তখনই মুকুন্দপুরের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
বিচারপতি বলেন, তার মানে খারাপ ব্যবহার করে গিয়ে আত্মহত্যা করেছে, এটা বলতে চাইছেন? এরপরেই পুলিস কমিশনারকে তদন্তে নজরদারির নির্দেশ দেন বিচারপতি। পাশাপাশি, প্রথম ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসকদের নিয়ে তৈরি মেডিক্যাল বোর্ডের সামনে পেশ করতে হবে বলে নির্দেশ দেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।
কসবা এলাকার একটি বেসরকারি স্কুলের পাঁচ তলা থেকে ‘পড়ে’ মৃত্যু হয়েছিল দশম শ্রেণির ছাত্র শেখ শানের। গত ৪ সেপ্টেম্বরের সেই ঘটনায় স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছিল মৃত ছাত্রের পরিবার। এবার ওই ঘটনায় হাইকোর্টে মামলা দায়ের করলেন মৃত ছাত্রের পরিবার। পরিবারের অভিযোগ, কসবা থানা ৪ সেপ্টেম্বরে ঘটনার সময়ের সঠিক সিসিটিভি ফুটেজ পরিবারকে দিচ্ছে না। পুলিস মিনিট দশেকের একটা ফুটেজ দিয়েছে, যার মধ্যে যে ঘরে শেষবার ওই ছাত্রকে ঢুকতে দেখা গিয়েছে, সেই ঘরের ফুটেজ নেই।
সূত্রের খবর, মৃত পড়ুয়ার বাবা শেখ পাপ্পু স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মানসিক চাপ সৃষ্টি করার অভিযোগ তুলে বলেছিলেন, ‘প্রজেক্ট জমা দিতে পারেনি বলে ওই ছাত্রকে বকাবকি করা হয়েছিল। কান ধরে দাঁড় করিয়েও রাখা হয়েছিল সবার সামনে। এমনি অভিযোগ তুলেছিল পরিবার।' সেসময় কেবল স্কুল কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেও এখন পুলিশের গাফিলতিকেও দুষছেন ওই মৃত ছাত্রের পরিবার।
এ ঘটনায় মৃতের বাবা স্কুলের প্রধানশিক্ষক, সহকারী প্রধানশিক্ষক এবং আরও দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কসবা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ৩০২ এবং ধারা ১২০বি অনুযায়ী খুনের মামলা রুজু করা হয়। কিন্তু অভিযোগ এখনও অবধি ওই ঘটনায় ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার জন্য পুলিশের কাছে বারবার বলেও লাভ হচ্ছে না। অথচ ওই রিপোর্ট পাওয়ার অধিকার পরিবারের রয়েছে। এঘটনায় এবার ওই মৃত ছাত্রের পরিবার পুনঃরায় ময়নাতদন্তের জন্য আবেদন করেছেন। মঙ্গলবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত এই মামলা শুনবেন বলে সূত্রের খবর।
স্কুলে ফুটবল (Football) খেলার পরে পুকুরে স্নান করতে নেমে বিপত্তি। জলে ডুবে (Drowning) মৃত্যু (Student Death) হল ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রের। বুধবার রাতে পুকুর থেকে উদ্ধার হল মৃতদেহ। এই খবর পাওয়ার পরই উত্তেজিত হয়ে পড়েন পড়ুয়ার পরিবারের লোকজন। স্কুলের ভিতর শিক্ষকদের আটকে রেখে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়। জানা গিয়েছে, মৃত ছাত্রের নাম সৌভিক বেরা। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলার দাসপুর থানার খাঞ্জাপুর ইউনিয়ন হাইস্কুলে। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে এলাকায়।
জানা গিয়েছে, বুধবার স্কুল ছুটির পর স্কুলের তরফ থেকে ফুটবল খেলার আয়োজন করা হয়েছিল। আর ফুটবল খেলার শেষে ছাত্ররা স্কুল লাগোয়া পুকুরে স্নান করতে নামে। আর তাতেই ঘটে যায় দুর্ঘটনা। জলে ডুবে মৃত্যু হয় সৌভিকের। মৃত সৌভিকের বাবা সন্দীপ বেরা সহ এলাকার মানুষজনের অভিযোগ, সন্ধ্যে হয়ে যাওয়ার পরও ছেলে বাড়ি না ফেরায় দুশ্চিন্তা করতে থাকেন বাবা-মা। খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। স্কুলের সামনে এসে দেখেন শিক্ষকরা সকলেই বাড়ি চলে গিয়েছেন, স্কুলের গেটের বাইরে রয়েছে সৌভিকের বইয়ের ব্যাগ। স্কুলে লাগানো তালা।
তারপর অনেক খোঁজাখুঁজির পর রাতে স্কুল লাগোয়া পুকুর থেকে সৌভিকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ঘটনা ঘিরে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে স্কুলে পৌঁছন শিক্ষকেরা। উত্তেজিত জনতার দাবি, শিক্ষকদের চরম গাফিলতির জেরেই তরতাজা প্রাণটি চলে গেল। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে দাসপুর থানার বিশাল পুলিস বাহিনী ও র্যাফ পৌঁছয়।
যাদবপুর, কসবার পর ফের ছাত্রের রহস্য মৃত্যুর ঘটনা প্রকাশ্যে এল। কলেজের প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য। বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনা হাবরায়। অথচ, মেধাবী ছাত্র স্বাগত বণিকের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হল বাড়ি থেকে প্রায় ১১৮ কিলোমিটার দূরে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া থানার ক্ষিরাই স্টেশন লাগোয়া রেললাইন থেকে। একমাত্র ছেলের মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশায় পরিবার। আত্মহত্যা নাকি পরিকল্পিত খুন? ঘটনার তদন্তে পুলিস। পড়ুয়ার নিথর দেহ বাড়ি ফিরতেই শোকস্তব্ধ গোটা এলাকা। প্রশ্ন উঠছে রাজ্যজুড়ে কবে বন্ধ হবে পড়ুয়াদের মৃত্যু মিছিল?
পরিবার সূত্রে খবর, ছোটোবেলা থেকেই পড়াশোনায় ভালো ছিলেন বছর উনিশের স্বাগত। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে ভালো ফলাফলের পর শিয়ালদহ সুরেন্দ্রনাথ কলেজে স্ট্যাটিসটিকস-এ অনার্স নিয়ে ভর্তি হন স্বাগত। রবিবার, দুপুরে বাড়িতে স্বাগত জানান, প্রজেক্ট বাইন্ডিংয়ের কাজের জন্য সে শিয়ালদহ যাবেন। সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হলেও স্বাগত বাড়ি না ফেরায় দুশ্চিন্তায় পড়ে পরিবার। মধ্যরাতে হাবরা থানায় নিখোঁজ ডায়েরিও করা হয়। অবশেষে, সোমবার রাত ৯টা নাগাদ পাঁশকুড়া রেল পুলিসের পক্ষ থেকে খবর আসে, মাল গাড়ির সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন স্বাগত। আত্মহত্য়া নয়, খুন করা হয়েছে, দাবি পরিবারের।
স্বাগতের দিদির অভিযোগ, আত্মহত্যা করার থাকলে ভিনরাজ্যে কেন যাবে? স্বাগতের মৃত্যুর পিছনে সহপাঠীদের হাত রয়েছে বলে দাবি করেন। স্বাগতের বন্ধুদের কথায়, কলেজে ভর্তি হওয়ার পর নিয়মিত পাঁচতারা রেঁস্তোরা, ক্লাবে যাতায়াত চলত স্বাগতের। এত টাকা পেত কোথা থেকে স্বাগত? ভেবেই অবাক পরিবার। পুলিসের কাছে অপরাধীদের দ্রুত চিনহিত করে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন পরিবারের সকলে।
যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যেই তোলপাড় রাজ্য। এই নিয়ে রাজনৈতিক জলঘোলাও কম হয়নি। তারই মধ্যে, কসবা বোসপুকুরের একটি বেসরকারি স্কুলেও পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যু নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে রাজ্যে ছাত্র নিরাপত্তা নিয়ে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের ছাত্র মৃত্যু। কোনও খারাপ সঙ্গে মেলামেশার জন্যই কি এই পরিণতি স্বাগতর? নাকি বড় কোনও ষড়যন্ত্রের শিকার সুরেন্দ্রনাথ কলেজের ছাত্র? ধোঁয়াশার জট কীভাবে খোলে সেদিকেই নজর।
ঠিক কী হয়েছিল গত সোমবার দুপুরে ? কসবার ঘটনায় এর উত্তর পেতে এবার স্কুলের পাশের এক রিসর্টের সিসি ফুটেজ খতিয়ে দেখবে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, স্কুলের সিসি ফুটেজ তাঁরা হাতে পেয়েছেন। তা খতিয়ে দেখার পর ঘটনাটি আরও একবার খতিয়ে দেখতে চান তাঁরা।
কারণ, স্কুলের ক্যামেরায় ধরা পড়েছে, ছ তলার বারান্দায় ঘুরছে ওই পড়ুয়া। তারপর কী হয়েছিল, তা ওই ক্যামেরায় নেই বলেই দাবি তদন্তকারীদের। এদিকে, এই ঘটনার পর থেকে স্কুলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেছে মৃত পড়ুয়ার পরিবার ও পড়শিরা। এমনকী দুই শিক্ষিকাকে গ্রেফতারের দাবি করা হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে স্কুলের চার শিক্ষককে থানায় ডাকছে পুলিশ। এই চার জনের বিরুদ্ধেই খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মূলত ওই দিনের ঘটনা জানতেই ওই চার শিক্ষককে তলব করা হয়েছে।
এছাড়া সূত্রের খবর, আজ অর্থাৎ বুধবার কসবার ওই স্কুলে তদন্তকারী চিকিৎসকদের একটি দল যান। ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখেন। পাশাপাশি স্কুলের কিছু পড়ুয়াদের অভিভাবক ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে কথাও বলেন। পাশাপাশি ঘটনাস্থল থেকে কিছু নমুনা সংগ্রহের চেষ্টা করেন চিকিৎসকদের একটি দল।
যাদবপুরের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় আরও একটি মামলা দায়ের হল কলকাতা হাই কোর্টে। বুধবার জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলেন রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র নেতা সুদীপ রাহা। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। যেখানে অভিযোগ করা হয়েছে, আচার্য শুধু উপাচার্য নিয়োগেই ব্যস্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার দিকে কোনও নজর নেই।
এদিনের জনস্বার্থ মামলায় তিনটি দাবি করা হয়েছে। যার মধ্যে মূল দাবি, ইউজিসির দাবি মেনে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকে সুনিশ্চিত করা। কারণ মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, সিসি ক্যামেরা বসানোর পরেও তা ভেঙে ফেলা হয়। দাবি করা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের ডিজিট্যাল পরিচয় পত্র তৈরি করতে হবে। এই মামলায় তৃণমূলের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
আগামী সোমবার এই মামলার শুনানি রয়েছে। এর আগে অবশ্য আরও একটি মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাই কোর্টে। সেখানেও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ না মানার। আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়ের দায়ের করা সেই মামলার শুনানি হতে পারে এই সপ্তাহে।
যাদবপুরের ঘটনায় নদিয়ায় মৃত ছাত্রের বাড়িতে তৃণমূল প্রতিনিধি দল। মঙ্গলবারই নিহত ছাত্রের বাড়ি যেতে নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইমতো, বুধবার পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন রাজ্যের তিন মন্ত্রী-সহ এক সাংসদ।
এদিন নদিয়ায় যান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা। প্রতিনিধি দলে ছিলেন বারাসতের সাংসদ কাকলী ঘোষ দস্তিদারও। পরিবারকে সমবেদনার পাশাপাশি তাঁরা জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী নিজে বিষয়টি দেখছেন। বিচার অবশ্যই হবে।
যাদবপুরের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় আরও একটি মামলা দায়ের হল কলকাতা হাই কোর্টে। বুধবার জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলেন রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র নেতা সুদীপ রাহা। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। যেখানে অভিযোগ করা হয়েছে, আচার্য শুধু উপাচার্য নিয়োগেই ব্যস্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার দিকে কোনও নজর নেই।
এদিনের জনস্বার্থ মামলায় তিনটি দাবি করা হয়েছে। যার মধ্যে মূল দাবি, ইউজিসির দাবি মেনে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকে সুনিশ্চিত করা। কারণ মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, সিসি ক্যামেরা বসানোর পরেও তা ভেঙে ফেলা হয়।
ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় যাদবপুর থেকে নতুন করে গ্রেফতার ছ জনকে আগামী ২৮ অগাস্ট পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল আলিপুর আদালত। বুধবার গ্রেফতারের পরেই ধৃতদের আদালতে পেশ করা হয়েছিল। তার প্রেক্ষিতেই এই নির্দেশ আলিপুর আদালতের।
এদিকে, এই ঘটনায় এদিন লালবাজারে তলব করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু ও ডিন অফ স্টুডেন্ট রজত রায়কে। এরমধ্যে ঘেরাওয়ে আটকে পরেন ডিন অফ স্টুডেন্ট। তবে লালবাজারে হাজিরা দেন রেজিস্ট্রার।
আইনজীবী জানিয়েছেন, এই ঘটনায় আগে যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, তাদের জেরা করেই এই ছয় জনের নাম উঠে এসেছে। তাদের বয়ানে অসঙ্গতি দেখা দেওয়ায়, এই ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের থেকে তাদের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এছাড়া প্রাক্তনী সপ্তকের ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে দু দফায় মৃত ছাত্রের বাড়ি গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করেছেন তদন্তকারীরা। কথা বলেছেন নিহত পড়ুয়ার অভিভাবকদের। ঘটনার পর হস্টেল থেকে যে হলুদ ডায়েরি উদ্ধার করা হয়েছে, তাতে একটি চিঠি ছিল। সেই চিঠির হাতের লেখা যাচাই করার জন্য মৃতের বাড়ি থেকে খাতা এবং স্বাক্ষরের নমুনা সংগ্রহ করেছে পুলিশ।
যাদবপুরের (Jadavpur) ছাত্র মৃত্যুর (Student Death) ঘটনায় এবার নড়েচড়ে বসল ইউজিসি (UGC), এবার ইউজিসির হস্তক্ষেপে রাজ্যের সমস্ত কলেজগুলো আরও কড়া হবে বলে মনে করছেন সকলেই। সোমবারের মধ্যে প্রাথমিক রিপোর্ট তলব করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। সূত্রের খবর, ইউজিসির অ্যান্টি র্যাগিং দল ক্যাম্পাসে ঢুকে তদন্ত চালাবে, পাশাপাশি বৈঠকে বসছে যাদবপুরের তদন্ত কমিটি। সেই রিপোর্টও দেওয়া হবে ইউজিসি -কে।
সূত্রের খবর, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে ইউজিসির নিয়ম অনুযায়ী সঠিকভাবে ছাত্রদের রাখা হয়েছিল কিনা সেদিক থেকেই উঠছে প্রশ্ন। প্রশ্ন উঠছে, কিভাবে দিনের পর দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন পড়ুয়ারা হোস্টেল দখল করে ছিলেন? এ ছাড়া যাদবপুরের পড়ুয়া স্বপ্নদ্বীপের রহস্য মৃত্যুতে আরও কিছু স্পষ্ট হয়েছে যে শুধু হোস্টেল গুলিতে প্রাক্তন ছাত্ররা থাকতেনই না রীতিমতো জঙ্গলরাজ অর্থাৎ র্যাগিং চালাতেন বলেই অভিযোগ উঠেছে। এবার এসব ঘটনা তদন্তেই ইউজিসের অ্যান্টি র্যাগিং দল।
মেধার ভিত্তিতে দেশ তথা রাজ্যের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন একের পর এক অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে তা নিয়েও উদ্বিগ্ন ইউজিইসি। একাধিক অভিযোগ দায়ের হয়েছে ইউজিসিতে, তা খতিয়ে দেখতেই বিশ্ববিদ্যালয়ে আসবে একটি বিশেষ দল। রবিবার সকালেই যাদবপুরের ছাত্রের মৃত্যুতে গ্রেফতার করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়েরই আরও দুই ছাত্রকে। ইতিমধ্যেই তাঁদের ২২ তারিখ অবধি জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার (Arrest) করা হয়েছে সৌরভ চৌধুরীকে (Saurabh Chowdhury)। সূত্রের খবর, আজ তাঁকে আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁকে পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দেয়। জানা গিয়েছে, পুলিসের (Police) কাছে যে অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন স্বপ্নদীপের বাবা, সেখানে নাম রয়েছে সৌরভের। স্বপ্নদীপের বাবার অভিযোগ, সৌরভ চৌধুরীর নেতৃত্বেই হস্টেলের ছেলেরা অত্যাচার করে উপর থেকে ধাক্কা মেরে নীচে ফেলে মেরে ফেলে দিয়েছে স্বপ্ননীলকে। কিন্তু, সৌরভ চৌধুরী আসলে কে?
বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণায়। জানা গিয়েছে, প্রাক্তন ছাত্র হয়েও হস্টেলের মেস কমিটিতে ছিলেন সৌরভ। বলতে গেলে, কমিটির অন্যতম মাথা তিনি। এখন যাদপুরের ছাত্র না হলেও, তিনি ওই হস্টেলেই থাকতেন। সেখানে থেকেই চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। ডব্লিউবিসিএস অফিসার হওয়ার স্বপ্ন তাঁর চোখে। কৃষক পরিবারের একমাত্র ছেলে। ছোট থেকেই সৌরভ মেধাবী। তাঁকে নিয়ে বাবা-মা-র চোখে অনেক স্বপ্ন। তাঁদের অভিযোগে, সৌরভকে ফাঁসানো হয়েছে।
ছেলের উপর শারীরিক অত্যাচারে করার অভিযোগ করেছিলেন স্বপ্নদীপের বাবা রামপ্রসাদ কুণ্ডু। সেই মতো থানায় অভিযোগও দায়েরও করেন তিনি। তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাক্তনী সৌরভ চৌধুরীকে আটক করেছে পুলিশ। তারপর দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
স্বপ্নদীপের বাবা অভিযোগপত্রে জানিয়েছেন, সৌরভের সঙ্গে স্বপ্নদীপের আলাপ হয় চায়ের দোকানে। তখনও তিনি হোস্টেলে জায়গা পাননি। হস্টেলে সুযোগ না পেলে গেস্ট হিসেবে থাকতে পারে বলে স্বপ্নদীপকে জানান সৌরভ। এজন্য ১০০০ টাকা দিতে হবে। মাস দুয়েক পর স্বপ্নদীপ আবাসিক হয়ে যাবে বলে আশ্বাসও দেওয়া হয়। এরপরই হস্টেলে মনোতোষ নামে এক আবাসিকের রুমে থাকতে শুরু করে স্বপ্নদীপ।
রামপ্রসাদের দাবি, হোস্টেলে থাকার পর থেকেই ট্রমার মধ্যে চলে যাচ্ছিল স্বপ্নদীপ। এমনকী মৃত্যুর কিছুক্ষণ আগেও মা-কে ফোন করে তাঁকে হোস্টেল থেকে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে স্বপ্নদীপ। জানান, তাঁর অনেক কথা বলার আছে। কিন্তু সেকথা আর বলা হয় না। স্বপ্নদীপের বাবার দাবি, "আমার ছেলেকে ওরা মারাত্মক র্যাগিং করেছে। প্রচণ্ড অত্যাচার করেছে। সেটা যাতে জানাজানি না হয়, তার জন্যই ওকে খুন করা হয়েছে।" বড় ছেলেকে হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মা । ছেলের নাম ধরে চিৎকার করে উঠছেন। স্বামীকে সামনে পেলে জানতে চাইছেন, "আমার গোপাল ফিরবে তো আমার কোলে?"
মর্মান্তিক ঘটনা! জাতীয় সড়কে মোবাইলে ছবি তুলতে গিয়েই ঘটল বিপত্তি, দুর্ঘটনার (accident) কবলে পড়ে মৃত্যু (death) এক কিশোরের। শোকস্তব্ধ পরিবারের সদস্যরা। যদিও ঘাতক গাড়িটির এখনও খোঁজ পাওয়া যায়নি, তদন্তে পুলিস। ঘটনাটি বোলপুরের (Bolpur) ইলামবাজারের।
জানা গিয়েছে, ইলামবাজার থানার অন্তর্গত ইলামবাজার জঙ্গলের জাতীয় সড়কে মোবাইলে ছবি তুলতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে এক কিশোর। দুর্ঘটনার পরই মৃত্যু হয় তার। মৃতের নাম সুমন শেখ, বয়স ১৭ বছর। সুমন ইলামবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। তার সঙ্গে থাকা এক বন্ধু জানায়, বুধবার সকালবেলায় বন্ধুদের সঙ্গে ইলামবাজার থেকে সে বোলপুর আসছিল। এরপর জঙ্গলের জাতীয় সড়কে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে গিয়েছিল তারা। এমন সময় পিছন থেকে একটি ডাম্পার তাকে ধাক্কা মারে। সঙ্গে সঙ্গে সে রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে এবং পরে হাসপাতালে আনা হলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। সুমন তার বন্ধু শেখ রাউল এবং শেখ জুয়েলের সঙ্গেই বুধবার বোলপুর বেড়াতে এসেছিল। এরপরই ঘটে যায় দুর্ঘটনা।
স্কুলে বাথরুমের দেওয়াল ভেঙে মৃত একাদশ শ্রেণির এক ছাত্র। গুরুতর জখম আরও এক ছাত্র। ঘটনাটি বৃহস্পতিবার দুপুরে মালদহের মোথাবাড়ি বাঙ্গিটোলা হাইস্কুলের। পুলিস সূত্রে জানা গেছে, মৃত ছাত্রের নাম জিসান সেখ। সে বাঙ্গিটোলা হাইস্কুলের একাদশ শ্রেণির পড়ুয়া। এদিন দুপুরে টিফিন পিরিয়ডে সে বাথরুমে যায়। সেই সময় বাথরুমের দেওয়াল হঠাৎই ভেঙে পড়ে তার উপর। দেওয়াল চাপা পড়ে গুরুতর জখম হয় জিসান-সহ আরও এক ছাত্র। তাদের স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে জিসানের অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকরা জিসানকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় আর এক ছাত্র গুরুতর জখম অবস্থায় মালদা মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন।
এই ঘটনা চাউর হতেই উত্তেজিত জনতা স্কুলে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা দু'জন পুলিস আহত। উত্তেজিত জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিসকে লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে হয়েছে। ইংরেজবাজার, কালিয়াচক ও মানিকচক থানার বিশাল বাহিনীকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়।
সন্ধ্যার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও চাপা উত্তেজনার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। নতুন করে যাতে জমায়েত না হয় সতর্ক জেলা পুলিসের বাহিনী। এদিকে, স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির এনেছে ছাত্ররাই। তাঁদের অভিযোগ। দুর্ঘটনার পর শিক্ষকদের জানানো হলেও কেউ আসেননি। পড়ুয়ারাই আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে। পাশাপাশি যে দেওয়াল ধসে এই দুর্ঘটনা, সেটা জীর্ণ ছিল। এমন অভিযোগ তুলেছে পড়ুয়ারা।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে জেলা পুলিসের এক কর্তা জানান, গুজবের জেরে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। অনেক লোকের জমায়েত হয়েছিল। স্কুলে হামলার পাশাপাশি পুলিসকেও ইট ছোঁড়া হয়েছিল। আমরা বিশাল বাহিনী নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। আমাদের দু'জন আহত। জেলা শাসকের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন, আহত ছাত্রের সঠিক চিকিৎসার জন্য হাসপাতালকে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে।
খড়গপুর IIT-র ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যু (Student Death) মামলায় রাজ্যের জমা দেয়া রিপোর্টে উল্লেখ আত্মহত্যার প্রসঙ্গ। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) উদ্বিগ্ন IIT ক্যাম্পাসের র্যাগিং (Ragging) নিয়ে। এই বিষয়ে প্রথিতযশা এই কলেজকে সতর্ক হওয়ার বার্তা হাইকোর্টের। বৃহস্পতিবার আদালত জানতে চেয়েছে, আইআইটি খড়গপুর র্যাগিং প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নিয়েছে? সেই রিপোর্ট হাইকোর্টে জমা দেওয়ার নির্দেশ। আগামী সোমবার দিতে হবে রিপোর্ট। পাশাপাশি পুলিসকেও দিতে হবে রিপোর্ট। ২২ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি। সেদিন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার এসপি এবং ছাত্র মৃত্যুকাণ্ডের তদন্তকারী অফিসারকে উপস্থিত থাকতে হবে আদালতে।
এদিন শুনানিতে মৃত ছাত্রের পরিবারের তরফে অভিযোগ, র্যাগিং করা হতো অসমের ওই পড়ুয়াকে। একাধিকবার শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতনের শিকার ওই পড়ুয়া। কলেজ কর্তৃপক্ষকে এই বিষয়ে একাধিকবার অভিযোগ করা হয়েছিল বলে আদালতে দাবি করেছে মৃত ছাত্রের পরিবার। এমনকি, সেই দাবির প্রেক্ষিতে একটি অভিযোগ পত্র এদিন বিচারপতির কাছে জমা দেয় পরিবার। যদিও রাজ্যের তরফে এদিন পুলিস সুপারের রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে আদালতে। এমনকি ভিসেরা রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে পুলিস। এই দাবিও আদালতে করেছে রাজ্য।
দুই পক্ষের সওয়াল-জবাব শেষে বিচারপতির মন্তব্য, এসপি রিপোর্ট কাউকে দেখানো যাবে না। আবেদনকারীপক্ষকেও না। তিনি জানান, আমি বুঝতে পারছি না কলেজগুলো কেন কলেজ র্যাগিং নিয়ে ওয়াকিবহাল নয়। এটা এক্রা সামাজিক ব্যাধি। কলেজকেই র্যাগিং প্রতিরোধে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে।
বিচারপতি বলেন, 'আমি রিপোর্ট দেখে বুঝলাম ছাত্র আত্মহত্যা করেছে। তবে আমি চাই কলেজগুলো থেকে র্যাগিং একেবারে নির্মূল হোক।'