
বিশ্বকাপের আগে বড় ধাক্কা শ্রীলঙ্কার। বিশ্বকাপের দলথেকে বাদ পড়লেন দলের অলরাউন্ডার ওয়ানিদু হাসারাঙ্গা। উরুতে চোট আছে তাঁর। লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে এই চোট পান হাসারাঙ্গা। এশিয়া কাপেও দলের সঙ্গে খেলেননি তিনি। মনে করা হয়েছিল, বিশ্বকাপের দলে ফিরবেন তিনি।
২৬ বছরের লঙ্কার অলরাউন্ডার এবার টিমে থাকলে, বিশ্বকাপে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ হত শ্রীলঙ্কা। ভারতের মাটিতে হাসারাঙ্গার উপর অনেকটাই নির্ভর করে ছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। এশিয়া কাপ ফাইনালে ভারতের বিরুদ্ধে লজ্জার হারের পর এবার দুঃসংবাদ শ্রীলঙ্কা শিবিরে।
শ্রীলঙ্কার বিশ্বকাপ দল
দাসুন শনাকা (অধিনায়ক), পাথুম নিশাকা, দামুথ করুণারত্নে, চারিথ আসালাঙ্কা, ধনঞ্জয় ডি সিলভা, কুশল মেন্ডিস, কুশল পেরেরা, সাদিরা সামারাউইকিরামা, দুনিথ ওয়েলালাগে, মাথিসা পাথিরানা, কাসুন রাজিথা, প্রমোদ মাদুশান, দুষ্মন্ত চামিরা, লাহিরু কুমারা
ভারতের পেস আক্রমণ কতটা শক্তিশালী। এশিয়া কাপের ফাইনাল যেন তারই উদাহরণ। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপে নামার আগে, সিরাজের এই পারফরম্যান্স চিন্তা বাড়িয়ে দিল অন্য দলের। মাত্র ৫০ রানে শ্রীলঙ্কাকে বাক্সবন্দি করে এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন টিম ইন্ডিয়া। এই ম্যাচেই তৈরি হল একাধিক রেকর্ড।
ওয়ানডে ক্রিকেটে কোনও প্রতিযোগিতার ফাইনালে এটাই সবথেকে কম রানের ইনিংস। এতদিন পর্যন্ত এই রেকর্ড ছিল ভারতেরই দখলে। ২০০০ সালে শারজায় এশিয়া কাপের ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৫৪ রানে শেষ হয়ে যায় ভারতের ইনিংস। এবার এশিয়া কাপের ফাইনালে সর্বনিম্ন স্কোর শ্রীলঙ্কার নামে।
২০১২ সালে ওয়ানডে ক্রিকেটে এর থেকেও কম রানে অলআউট হয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। সেবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে মাত্র ৪৩ রানে শেষ হয়ে যায় তাঁদের ইনিংস। এবার ৫০ রান তুলতে পেরেছিলেন শনাকারা।
সি...রাজই রাজা
বৃষ্টির জন্য দেরি হলেও খেলার শুরুতেই সিরাজের কাছে হার মেনে নেয় শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং লাইন আপ।
এশিয়া কাপের ফাইনালে রেকর্ড গড়লেন মহম্মদ সিরাজ। প্রথম ভারতীয় বোলার হিসেবে ১ ওভারে নিলেন ৪ উইকেট।
ইনিংসের চতুর্থ ওভারে বল করতে এসে এই সাফল্য পান সিরাজ।
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে নিজের প্রথম স্পেলেই ৫ উইকেট তুলে নিয়েছেন সিরাজ। মোট ৭ ওভারে ২১ রান দিয়ে ৬ উইকেট নিয়েছেন তিনি।
সিরাজই যেন কলম্বোয় রাজত্ব করলেন।
এশিয়া সেরা যেমন ভারত, তেমনই বিশ্ব সেরা যেন মহম্মদ সিরাজ।
খুব সহজেই এশিয়া কাপ জয় ভারতের। ১৩ বছর পর এশিয়া কাপের ফাইনালে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হয়েছিল ভারত। শ্রীলঙ্কার ঘরের মাঠে তাদের হারানো প্রাথমিক ভাবে কঠিন মনে হয়ে থাকলেও সেটা শেষ পর্যন্ত মনেই হল না। শ্রীলঙ্কার ৫১ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে এক লহমায় যেন শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে দিল ভারত। কোনো উইকেট না খুইয়ে ৬ ওভার ১ বলেই নিজের প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় ভারত। সে সঙ্গেই এশিয়ার সেরা হিসেবে নির্বাচিত হয় ভারত।
টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং ভরাডুবি হয় শ্রীলঙ্কার। ১৫ ওভার ২ বলে মাত্র ৫০ রানে গুটিয়ে যায় তাদের ইনিংস। শ্রীলঙ্কা দলের অর্ধেক শূন্য রান করেই সাজঘরে ফিরে যায়। দুই অংকের রান করে মাত্র ২ জন। কুশল মেন্ডিস ৩৪ বলে ১৭ রান করে, এছাড়া হেমন্ত ১৩ রান করে। আগুন ঝরানো বল করে সিরাজ। প্রথমে বল করতে নেমেই মাত্র ৩৪ রানে ৭ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। সিরাজ নেয় শ্রীলঙ্কার ক্যাপ্টেনের উইকেট সহ মোট ৬ উইকেট, পাণ্ড্য নেয় ৩ উইকেট। ১ টি উইকেট পায় বুমরা।
৫০ রানের টার্গেট নিয়ে ব্যাট করতে নেমে প্রথমেই মার শুরু করে ঈশান কিষান ও শুভমন গিল। কোনও উইকেট না হারিয়ে মাত্র ৬.১ ওভারেই রান তুলে দেয় এই ওপেনিং জুটি। ভারতের পক্ষে ঈশান করে ২৩ রান। এবং গিল করে ২৭ রান। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে এই বড় জয়ে ভারত কেবল এশিয়ার সেরা হল না, বিশ্বকাপের আগে এই এশিয়া কাপ জয় যে ভারতীয় দলে অনেক আত্মবিশ্বাস জোগাবে সেটা বলাই বাহুল্য।
ফাইনালে এমন ম্যাচ হয়তো আগে দেখা যায়নি এবার তাই দেখল গোটা ক্রিকেট দুনিয়া। কথা বলছি ভারত বনাম শ্রীলঙ্কার এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলা নিয়ে। টসে জিতে প্রথম ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় শ্রীলঙ্কা। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বড় ধাক্কা পায়। শ্রীলঙ্কা ৫০ রানে সকল উইকেট হারায়। কুশল মেন্ডিস ও দূষণ হেমন্ত ছাড়া কেউই রানে দুই অংক বেরোতে পারেনি।
প্রথমে ব্যাট করতে নামে কুশল মেন্ডেস ৩৪ বলে ১৭ রান ও দূষণ হেমন্ত পনেরো বলে ১৩ রান করে। এছাড়া আশালঙ্কা, পাথিরানা, দলের অধিনায়ক দশুন শঙ্কা, সাদিরা, কুশল পেরেরা দলের ৫ টি খেলোয়াড় শূন্য রানে ঘরে ফেরে। ভারতের পক্ষে সিরাজ ৬ উইকেট, পান্ডিয়া ৩ উইকেট, ও বুমরা ১ টি উইকেট পায়। ভারতকে এখন জিততে হলে ৫০ ওভারে ৫১ রান করতে হবে।
তবে শ্রীলঙ্কার এর আগেও এমন ভরাডুবি হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তারা ২০১২ সালে মাত্র ৪৩ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল।
রবিবার এশিয়া কাপের ফাইনাল ম্যাচ। মুখোমুখি হতে চলেছে ভারত-শ্রীলঙ্কা। কিন্তু, ম্যাচকে ঘিরে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। ভিলেন সেই বৃষ্টি। রবিবারের ম্যাচে আবহাওয়া কেমন থাকবে ? কী বলছে আবহাওয়া দফতর ? জেনে নিন
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, রবিবার বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রবল। কলম্বোয় দুপুর ১টা থেকে সন্ধে ৭টা পর্যন্ত বৃষ্টি হবে। রাতের দিকে বৃষ্টির প্রকোপ কমবে। এদিকে, দুপুর তিনটে থেকে ম্যাচ। বৃষ্টির মধ্যে ম্যাচ করা সম্ভবই নয়। সেক্ষেত্রে কি ফের সোমবার রিজার্ভ ডে-তে খেলতে হবে ভারত-শ্রীলঙ্কাকে? কিন্তু, দু'দিনই খেলা না হলে কী হবে ?
জানা গিয়েছে, রবিবার যদি দুই দল অন্তত ২০ ওভার না খেলতে পারে, তা হলে সোমবার রিজার্ভ ডে-তে খেলা হবে। আর দু'দিনই যদি বৃষ্টি হয়, ম্যাচ ভেস্তে যায়, তাহলে দুই দলকেই বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।
এবার এশিয়া কাপের ম্যাচগুলিতে বেশিরভাগ দিনই বাদ সেধেছে বৃষ্টি। দু'বার ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ ভেস্তে গেছে। শেষ ম্যাচটি খেলতে হয় রিজার্ভ ডে-তে। সেক্ষেত্রে ফাইনালেও যে আবহাওয়ার পরিস্থিতি আশানরূপ থাকবে না, তা বলাই বাহুল্য।
১৩ বছর পর আজ, রবিবার এশিয়া কাপের ফাইনালে মুখোমুখি ভারত ও শ্রীলঙ্কা। গতবার পাকিস্তানকে হারিয়ে এশিয়া কাপ ঘরে তুলেছিল শ্রীলঙ্কা। আর ভারত শেষবার এই ট্রফি জিতেছিল ২০১৮ সালে। ফলে, এদিন কলম্বোর প্রেমাদাসায় ভারতের সামনে যে এক কঠিন ম্যাচ তা বলা যেতে পারে।
এই ম্যাচের আগে অবশ্য রাহুল দ্রাবিড়ের নেতৃত্বে প্রায় ঘণ্টা খানেকের বৈঠক করেছে টিম ম্যানেজমেন্ট। যেখানে হাজির ছিলেন জাতীয় নির্বাচন কমিটির প্রধান অজিত আগারকরও।
সূত্রের খবর একাধিক ইস্যুতে এই বৈঠক হয়েছে। বিশ্বকাপের পাশাপাশি আলোচনা হয়েছে রবিবাসরীয় ফাইনাল এবং অক্ষর প্যাটেলের চোট নিয়ে। পরিসংখ্যান বলছে, এশিয়া কাপে বরাবর ভারতের শক্তি প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। দুই দল এর আগে সাত বার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছে। তার মধ্যে ভারত চার বার জিতেছে। শ্রীলঙ্কা তিন বার। তাই, আজ সবাই তাকিয়ে প্রেমাদাসার দিকে। টস ফ্যাক্টর হতে পারে। ফাইনালের আগে রোহিতে ইঙ্গিত, বিশ্বকাপের আগে এশিয়া কাপ জিততে পূর্ণ শক্তিতেই ফিরবে টিম ইন্ডিয়া।
বিশ্বকাপের আগে রবিবার এশিয়া কাপের ফাইনাল (Asia Cup)। কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে গতবারের চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা ও ভারত। ফরম্যাট বদলে এবার ৫০ ওভারের টুর্নামেন্ট। আর তাতেই পরিসংখ্যানে দাপট ভারতীয়দের।
পাঁচ ম্যাচে ২৭৫ রান করে এশিয়া কাপের এখনও পর্যন্ত টপ স্কোরার ভারতের শুভমন গিল। শুক্রবারই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ১৩৩ বলে ১২১ রান করেছেন ভারতীয় এই ওপেনার। শুভমনের ঝুলিতে রয়েছে আরও একটি নজির
এই টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি বাউন্ডারি এসেছে তাঁর ব্যাট থেকেই। ফাইনালের আগে পর্যন্ত টুর্নামেন্টে মোট বাউন্ডারি ৪৭৩। এর মধ্যে ২৯টি এসে গিলের ব্যাট থেকে। পাশাপাশি ১১টি ওভার বাউন্ডারি মেরে শীর্ষে ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দলে পরীক্ষা করেছিলেন রোহিত। কিন্তু ফাইনালে আবার পুরনো দল। কারণ রোহিত জানিয়েছেন, বিশ্বকাপের আগে এশিয়া কাপ নিয়ে দেশে ফিরতে চায় টিম ইন্ডিয়া।
এশিয়া কাপের ফাইনালে (Asia Cup final) হচ্ছে না ভারত বনাম পাকিস্তানের দ্বৈরথ। বৃহস্পতিবার পাকিস্তান বনাম শ্রীলঙ্কার (SriLanka) ম্যাচে বাবর আজমদের হারিয়ে ফাইনালে উঠলেন দাসুন শনাকারা। রবিবার কলম্বোয় রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের টিম ইন্ডিয়ার মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কা।
বৃহস্পতিবারের শ্রীলঙ্কা বনাম পাকিস্তানের ম্যাচ কার্যত সেমিফাইনালে পরিণত হয়েছিল৷ হিসাব ছিল স্পষ্ট, যে দল জিতবে, তারাই ভারতের বিরুদ্ধে ফাইনালের টিকিট পাবে। লড়াই হল সেয়ানে সেয়ানে। তবে শেষ পর্যন্ত ঘরের মাঠে বাজিমাত করল শ্রীলঙ্কা।
বৃষ্টির জন্য ওভারের সংখ্যা ৫০ থেকে কমিয়ে ৪২ করা হয়। প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫২ রান করে পাকিস্তান। একসময় ১৩০ রানে ৫ উইকেট পড়ে গিয়েছিল পাকিস্তানের। সেখান থেকে লড়াই করে ভালো রান তোলেন দুই ব্যাটার রিজওয়ান ও ইফতিখার। ৮৬ রান করে অপরাজিত থাকেন রিজওয়ান।
জয়ের জন্য ৪২ ওভারে শ্রীলঙ্কার টার্গেট ছিল ২৫২ রান। দুই উইকেটে ম্যাচের শেষ বলে রুদ্ধশ্বাস জয় পেল শ্রীলঙ্কা। দারুণ খেললেন চরিথ আসালঙ্কা। তাঁর অপরাজিত ৪৯ রানই শ্রীলঙ্কাকে ফাইনালে পৌঁছে দিল। শেষ ওভার দরকার ছিল ৮ রান। প্রবল চাপের মধ্যে দলকে জিতিয়ে নায়ক হলেন আসালঙ্কা।
কুশল মেন্ডিস শ্রীলঙ্কার হয়ে অপরাজিত ৯১ রানের ইনিংস খেলেন। ফাইনালে তাঁকে নিয়ে ভাবতে হবে টিম ইন্ডিয়াকে।
যে জিতবে, সেই টিমই ভারতের বিরুদ্ধে ফাইনাল খেলবে। এশিয়া কাপে আজ ধুন্ধুমার লড়াইয়ে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। কিন্তু এই ম্যাচ ঘিরেও তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। বৃষ্টিতে ভাসতে পারে কলোম্বোর প্রেমদাসা স্টেডিয়াম।
ভারতের বিরুদ্ধে হেরে পাঁচ ক্রিকেটারকে দল থেকে বাদ দিয়েছেন অধিনায়ক বাবর আজম। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ইমাম উল হকের সঙ্গে ওপেন করলেন মহম্মদ হ্যারিস। শাহিন শাহ আফ্রিদির সঙ্গে থাকবেন মহম্মদ ওয়াসিম ও জামান খান।
ভারতের বিরুদ্ধে ২২৮ রানে হারের পর পাকিস্তানের নেট রানরেট অনেকটাই কমেছে। এই ম্যাচ যদি বৃষ্টিতে ভেস্তে যায়, তাহলে ফাইনালে ভারতের বিরুদ্ধে যাবে কিন্তু শ্রীলঙ্কাই। বৃষ্টিতে খেলা বাতিল হলেও রিজার্ভ ডে নেই। তাই পয়েন্ট ভাগাভাগি হবে। তাই এই ম্যাচ জেতা ছাড়া আর কোনও বিকল্প নেই পাকিস্তানের কাছে।
ব্যাটে-বলে ওয়ালালাগে। তবুও প্রেমাদাসায় নায়ক হওয়া হল না কুড়ি বছরের শ্রীলঙ্কার এই ক্রিকেটারের। মঙ্গলবার ভারতের বিরুদ্ধে বল হাতে পাঁচ উইকেট নেন। এরপর ব্যাট হাতে তিনি যখন মাঠে আসেন, তখন ভারতের ২১৪ রান তাড়া করতে গিয়ে প্রায় কোমায় শ্রীলঙ্কা। এখান থেকে তাঁর ব্যাটে অক্সিজেন খোঁজার চেষ্টা করেছিল দাসুন শানুকার দল।
কিন্তু ভারতীয় বোলারদের দাপটে ফিনিশ করতে পারলেন ওয়ালালাগে। শ্রীলঙ্কাকে ৪১ রানে হারিয়ে এশিয়া কাপে সুপার ফোরের দ্বিতীয় ম্যাচে জয় পেল ভারত। ফলে বাংলাদেশকে হারাতে পারলেই রবিবার ফাইনাল খেলবেন রোহিত শর্মারা। এই ম্যাচেও চার উইকেট কুলদীপ যাদবের।
স্পিন দিয়ে ভারতকে ঘিরে ছিল শ্রীলঙ্কা। একদিনের ক্রিকেটে এই প্রথম ১০ উইকেট ভাগ করে নিয়েছিলেন দুই স্পিনার। বদলায় বুমরা আর সিরাজই শ্রীলঙ্কার শিড়দাঁড়ায় ধাক্কা দেন। ৯৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ঘরের মাঠে দিশা হারায় গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। কারণ, মাঝপথে কুলদীপ এবং জাডেজার দুটি করে উইকেট শানুকাদের ম্যাচ থেকে কার্যত দূরে ঠেলে দেয়।
এরমধ্যেই লড়াই করলেন ওয়ালালাগে। ৪০ রানে পাঁচ উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতেও তাঁর লড়াই স্মরণীয় করে রাখল প্রেমাদাসাকে। এদিন প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ২১৩ রান করেছিল ভারত। তার জবাবে ১৭২ রানেই অলআউট হয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। ৫৩ রান করে আউট হন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। এই ম্যাচে ১০ হাজার রান পূর্ণ করেন হিট ম্যান।
ব্যবধান মাত্র কয়েক ঘণ্টার। এশিয়া কাপে একই প্রেমাদাসায় বদলে গেল ভারতীয় ব্যাটিং। বলা ভাল কুড়ি বছরের এক তরুণ সিংহলির স্পিনের কাছে নতজানু হল ভারতীয় ব্যাটিং। তাঁর নাম দুনিত ওয়ালালেগে। ৪০ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট নিয়ে ভারতীয় ব্যাটিংকে ব্যাকফুটে ঠেলে দিলেন। রোহিত-বিরাটের মতো তারকা এই ম্যাচে তাঁর শিকার।
টস জিতে ভালই শুরু করেছিলেন রোহিত-শুভমন। মনে হচ্ছিল পাক ম্যাচে রান না পাওয়ার ক্ষোভ মেটাচ্ছেন দুই ভারতীয় ওপেনার। কিন্তু ওয়ালালেগে আসতেই কাঁপুনি শুরু হয়ে গেল। এর মধ্যে ১০ হাজার করার পাশাপাশি হাফ সেঞ্চুরি করে আউট হলেন রোহিত। তাঁর ৫৩ রান ভারতীয় কার্ডে উজ্জ্বল হয়ে থাকল।
প্রেমাদাসা বরাবরের ঘূর্ণি। কিন্তু মঙ্গলবার যেন একটু বেশি ঘুরে গেল। তাই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৩৫৬ রান করা ভারতও ওয়ালালেগে এবং চরিতা আশারঙ্গার স্পিনে বোকা হয়ে গেল। ৪৯ ওভার ১ বলেই ২১৩ রানে শেষ হয়ে যায় ভারতের ইনিংস। শ্রীলংকার সামনে ২১৪ রানের টার্গেট। বর্তমানে শ্রীলংকা ২১৪ রানের টার্গেট নিয়ে ব্যাট করতে নেমে ২ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৭ রান করেছে। এই ম্যাচ জিতলে, ফাইনালে ওঠা সহজ হত ভারতের কাছে। কিন্তু এখন তা দূরহ মনে হচ্ছে।
গত ৪৮ ঘণ্টায় খেলতে হয়েছে ৮১ ওভার। আজ, মঙ্গলবার যদি বৃষ্টি না হয়, তাহলে আরও ১০০ ওভার খেলতে হবে ভারতকে। সবমিলিয়ে মাত্র ৭২ ঘণ্টায় ১৮১ ওভারের ধকল সহ্য করতে হবে টিম ইন্ডিয়াকে। তাই এশিয়া কাপে সুপার ফোরে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে ক্লান্তির কথায় আগাগোড়া বললেন পাকিস্তানের ম্যাচের সেরা বিরাট কোহলি।
পাকিস্তানকে ২২৮ রানে হারিয়ে সুপার ফোরে শীর্ষে ভারত। আজও বৃষ্টির ভ্রুকুটি মাথায় নিয়ে সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাবের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে খেলতে নামছে ভারত। তার আগে বিরাট জানালেন, পাকিস্তান ম্যাচে যতই শতরান আসুক না কেন, প্রেমাদাসায় একটা সময় ব্যাট করার সময় তাঁর মনে হচ্ছিল মঙ্গলবার আবার তিনটের সময় মাঠে নামতে হবে। ভাগ্য ভাল, তিনি টেস্ট খেলেন। এবং ১০০ বেশি টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর।
শ্রীলঙ্কা ম্যাচে কী কোনও পরিবর্তন হবে ? নাকি পাক ম্যাচের দলই দেখা যাবে ? স্পষ্ট করে কিছুই বলেননি রোহিত শর্মা। কারণ, সাড়ে ১৫ ঘণ্টার মধ্যে আবার একটা ম্যাচ। tপ্রায় ৯১ বছর ক্রিকেট খেলছে ভারত। কিন্তু এমন অভিজ্ঞতা এই প্রথমবার। তাই রোহিত জানালেন, মঙ্গলবার সকালে এই ব্যাপারে চিন্তা করা যাবে।
তবে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বড় জয় পেলেও মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধেও জিততে মরিয়া টিম ইন্ডিয়া। কারণ, শ্রীলঙ্কাকে হারাতে পারলে বাংলাদেশ ম্যাচ পর্যন্ত আর অপেক্ষা করতে হবে না রোহিতদের। সেক্ষেত্রে তাকিয়ে থাকতে হবে না পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের দিকেও। তাই ইঙ্গিত যা, তাতে আজকের ম্যাচে উইনিং কম্বিনেশন নাও ভাঙতে পারে টিম ম্যানেজমেন্ট।
সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ ম্যাচের আগে সুপার ফোরে সূর্যকুমার, মহম্মদ শামিদের মাঠে নামা হচ্ছে না। এমনকী শ্রেয়স আইয়ারেরও নয়। চোট সারিয়ে দলে ফিরেই শতরান করেছেন কেএল রাহুল। উইকেটে পিছনেও পাক ম্যাচে যথেষ্ঠ সক্রিয় দেখা গিয়েছে তাঁকে। টানা ৩২ ওভার ফিল্ডিং করে নজর কেড়েছেন ইশানও। তাই, সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাবের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে বিরাট কোনও অঘটন না ঘটলে অপরিবর্তিত টিম ইন্ডিয়া।
বাংলাদেশের হয়ে শেষ পর্যন্ত লড়লেন তৌহিদ হৃদয়। মন জিতলেও ম্যাচ জিততে পারলেন না। বাংলাদেশের টপ অর্ডারের ব্যর্থতা ডোবাল তাদের। প্রথমে ব্যাট করে ২৫৭ রান করে ২১ রানে ম্যাচ জিতে নিল শ্রীলঙ্কা। ম্যাচের নায়ক দলের অধিনায়ক দাসুন শনাকা। এক ব্যাটার কম খেলানোর খেসারতও দিতে হল বাংলাদেশকে। এই ম্যাচ হেরে যাওয়ায় বাংলাদেশের এশিয়া কাপের ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হল। অন্য দিকে শ্রীলঙ্কার ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন বেঁচে রইল।
টসে জিতে শ্রীলঙ্কাকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল বাংলাদেশ। টপ অর্ডারে কেউই বড় রানের ইনিংস খেলতে পারেনি। শেষে ২২ বছর বয়সী তৌহিদ হৃদয়ের ৮২ রানের ইনিংস তাদের মনে আশা জাগিয়েছিল। কিন্তু তাতে শেষপর্যন্ত কোনও লাভ হয়নি। ৪৮.১ ওভারে ২৩৬ রান তুলে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ।
এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচেই বড় জয় শ্রীলঙ্কার। প্রথম ম্যাচে হার দিয়ে শুরু করল বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার ১৬৫ রান তাড়া করতে নেমে ক্যান্ডিতে ৩৯ ওভারেই নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌঁছে যায় শ্রীলঙ্কা।
টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। কিন্তু শ্রীলঙ্কার বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতে পারেনি বাংলাদেশের কোনও ব্যাটসম্যান। একমাত্র নাজমুল হোসেন শান্ত ৮৯ রান করেন। তৌহিদ হৃদয় ২০ রান করেন। ১৬৪ রানে শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। ৪ উইকেট নেন শ্রীলঙ্কার বোলার মাথিসা পাথিরানা।
রান তাড়া করতে নেমে শ্রীলঙ্কার হয়ে সাদিরা সামারাউইকরামা ৫৪ রান করেন। চারিথ আসালাঙ্কা ৬২ রান করে ম্যাচ শেষ করে আসেন।