
খাতায় কলমে তিনি ক্রিকেটের (Cricket) মহারাজ। কিন্তু তাঁর হদয়জুড়ে অনেকটাই ফুটবলের (Football) রাজত্ব। মাদ্রিদে লা লিগার সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মউ সাক্ষর অনুষ্ঠানে সে কথা গোপন করলেন না সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly)।
বৃহস্পতিবার মাদ্রিদের মঞ্চে মহারাজ গলা ফাটালেন কলকাতার ফুটবলের হয়ে। কলকাতা ময়দানের জন্য রীতিমতো আর্তিই ঝরে পড়ল তাঁর গলায়।
লা লিগা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বাংলা ফুটবল অ্যাকাডেমি নিয়ে একটি মৌ-ও স্বাক্ষরিত হয়েছে। নতুন প্রতিভা খুঁজে আনতে সব উদ্যোগ লা লিগার তরফ থেকেই নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। লা লিগা কলকাতায় অ্যাকাডেমি করলে তিন প্রধান ক্লাবের হয়ে লিগে খেলতে পারবে বাংলার তরুণ প্রতিভারা, একরকম অনুনয়ের সুরেই বলেন মহারাজ। স্প্যানিশ ফুটবলের ঐতিহ্যেরও তারিফ করতে ভোলেননি সৌরভ। দাদা-দিদির মিলিত চেষ্টায় কলকাতা ফুটবলের জন্য একটা সম্ভাবনার দরজা সত্যিই খুলল কিনা, তা বলবে সময়।
বাংলাদেশ (Bangladesh) ক্রিকেটে ফের নাটক। অবসর ভেঙে ফের ক্রিকেটে ফিরলেন তামিম ইকবাল (Tamim Iqbal)। বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট (Cricket) থেকে অবসরের কথা জানিয়েছিলেন বাংলাদেশের এই ক্রিকেটার। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তামিমকে মত বদলাতে অনুরোধ করলেন খোদ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধ ফেলতে পারেননি তামিম। আবার প্যাড-আপ করছেন তিনি। এদিকে আফগানিস্তান সফরে এদিনই তামিমের পরিবর্তে লিটন দাসকে অধিনায়ক করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে হঠাৎ করেই নিজের অবসরের কথা ঘোষণা করেছিলেন তামিম। তিনি জানিয়েছিলেন, এটাই তাঁর শেষ দিন। বিশ্বকাপের ঠিক তিনমাস আগে অধিনায়কের হঠাৎ অবসরের সিদ্ধান্তে অবাক হয়ে যান বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কর্তারা। ১৬ বছরের কেরিয়ার এ ভাবে হঠাৎ করে শেষ করে দেওয়ার কারণ খুঁজতেই তাঁরা ব্যস্ত হয়ে ওঠেন। চট্টগ্রামে অবসর ঘোষণার সময় কেঁদেও ফেলেছিলেন তামিম ইকবাল।
বিষয়টির গুরুত্ব বুঝে ময়দানে নামেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কারণ, তিনি নিজে একজন ক্রিকেট ভক্ত। তামিমকে ডেকে পাঠান নিজের বাসভবনে। বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে জানা গিয়েছে, প্রাক্তন অধিনায়ককে দেড় মাসের ছুটি মঞ্জুর করেছেন প্রধানমন্ত্রী। ফুরফুরে মেজাজ নিয়ে এশিয়া কাপে ফিরে আসার অনুরোধ করেছেন। অবসর ভেঙে এশিয়া কাপের ফেরার কথা দিয়েছেন তামিমও।
হাফসেঞ্চুরি আগেই পার করেছেন। শনিবার ৫১ বছরে পা রাখলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly)। ১৯৯২ সালে দেশের হয়ে অভিষেক। টেস্ট ক্রিকেটে সুযোগ পেতে লেগেছিল আরও চার বছর। ম্যাচ ফিক্সিংয়ে টিম ইন্ডিয়া যখন কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে, সেই সময় টিমের হাল ধরেছিলেন। ক্রিকেটবিশ্বে চোখে চোখ রেখে লড়তে শিখিয়েছিলেন। ক্রিকেটে শুরু হয়েছিল দাদাগিরি।
জাতীয় দল থেকে বাদ, প্রত্যাবর্তন ও অবসর। গ্রেগ চ্যাপেল বিতর্ক, কেরিয়ারে একের পর উত্থান-পতন। সৌরভ মানে দেশের কাছে আবেগ। বিদেশের মাটিতে জিততে শিখিয়েছিলেন। তৈরি করেছিলেন নতুন টিম ইন্ডিয়া। ধোনি, সেহওয়াগ, জাহির খান, হরভজন সিংরা দাদার আমলেই জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছিলেন।
দীর্ঘদিন ক্রিকেট থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখলেও, ক্রিকেট ছাড়েনি সৌরভকে। ২০১৯ সালে বোর্ডের সভাপতি হন সৌরভ। বিরাট কোহলির সঙ্গে সৌরভের সংঘাত এখন সর্বজনবিদিত। তবু সৌরভের প্রতি ভালবাসা এতটুকু কমেনি। বাঙালির আবেগ এখনও অক্ষত। শুভ জন্মদিন মহারাজ।
এইমাত্র বিদেশ থেকে ফিরেছেন বলি ডিভা আলিয়া ভাট (Alia Bhatt)। মেট গালার (Met Gala) রেড কার্পেটে প্রথমবার হেঁটে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন সবার। তাঁর পোশাক ছিল নজরকাড়া, তাঁর সৌন্দর্যও মন্ত্রমুগ্ধ করেছে সবাইকে। এবারে তাঁর ব্যবহার দেখেও মুগ্ধ হয়েছে নেটাগরিকরা। এক অনুষ্ঠানে গিয়ে পাপারাৎজির মায়ের সঙ্গে দেখা করেন ও হাসি মুখে কথাও বলেন। কিন্তু তিনি হঠাৎ বলেন, 'আপনার ছেলে আমাকে খুব বিরক্ত করে।'
সম্প্রতি মুম্বইয়ে চলছে গ্লোবাল স্পোর্টস পিকলবল চ্যাম্পিয়নশিপ। সেই অনুষ্ঠানেই হাজির হতে দেখা গিয়েছে মুম্বইয়ের একাধিক তারকাকে। গিয়েছিলেন আলিয়া ভাটও। চারিদিকে পাপারাৎজিদের ভিড়। তাঁদের মধ্যে এক চিত্র সাংবাদিক সেই অনুষ্ঠানে তাঁর মাকে আলিয়ার সঙ্গে দেখা করাতে নিয়ে যান। আলিয়া সেই ভিড়ের মধ্যে তাঁকে দেখতে পেয়ে সেই মহিলার কাছে নিজে থেকেই এগিয়ে যান ও তাঁর সঙ্গে হাত মেলান। আলিয়ার সঙ্গে সেই মহিলার কথোপকথন সমাজমাধ্যমে ঝড়ের গতিতে ভাইরাল। তাঁর ব্যবহার দেখে মুগ্ধ নেটপাড়া। এরপর আলিয়া ভদ্রমহিলাকে বলেন, 'আপনার সঙ্গে দেখা করে ভালো লাগল।' আলিয়া মজা করে আরও বলেন, 'আপনার ছেলে আমাকে খুব বিরক্ত করে। তবে খুব ভালো কাজ করছে।' এরপর আলিয়া তাঁর সঙ্গে ছবিও তোলেন।
আলিয়ার ব্যবহার বাকি বলি তারকাদের থেকে অনেকটাই আলাদা ছিল। ফলে তা নেটিজেনদের মন ছুঁয়ে গিয়েছে। নেটিজেনরা কমেন্ট করেছেন, 'খুবই ডাউন টু আর্থ আলিয়া।' অনেকে আবার বলেছেন, 'তাঁকে ট্রোল করার আগে তাঁর মন দেখুন।'
সোনার ছেলে নীরজ চোপড়া (Neeraj Chopra)। এতদিন তাঁকে জ্যাভলিনের (Javelin) রানওয়েতে একের পর এক রেকর্ড গড়তে দেখা গিয়েছে। টোকিও অলিম্পিক্সে সোনা জিতে ভারতের মুখ বিশ্বদরবারে উজ্জ্বল করেছেন তিনি। তবে এবারে তাঁকে এক অন্য মুডে, অন্য ছন্দে দেখা গেল। এককথায়, তাঁর যেন এক অন্য রূপ সবার সামনে ফুটে উঠল, যা দেখে 'ফিদা' নেটিজেনরা। নীরজকে এবারে রানওয়ে ছেঁড়ে ডান্স ফ্লোর কাঁপাতে (Dance) দেখা গেল। আর এই ভিডিও সমাজমাধ্যমে (Social Media) ঝড়ের গতিতে ভাইরাল।
মুম্বইয়ের জুহুতে ভারতীয় ক্রীড়াজগতের এক অনুষ্ঠানে এসেছিলেন স্বর্ণপদক জয়ী নীরজ চোপড়া। সেখানেই তাঁকে জনপ্রিয় কিছু ইউটিউবার ও সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের সঙ্গে হার্ডি সান্ধুর 'বিজলি বিজলি' গানের সঙ্গে পা মেলাতে দেখা গিয়েছে। এই ভিডিও সমাজমাধ্যমে রাতারাতি ভাইরাল। মেয়েরা খাচ্ছে 'ক্রাশ'। এই ভিডিওতে ইতিমধ্যেই ৫০ হাজারের কাছাকাছি লাইক পড়েছে। আর বয়ে গিয়েছে কমেন্টের বন্যা। কেউ কমেন্টে দিয়েছে হার্ট ইমোজি। কেউ বলেছেন, 'কবুল হ্যাঁ'। আবার কেউ লিখেছেন, নীরজ তাঁদের এখন ক্রাশ হয়ে গিয়েছে।
এর আগেও নীরজকে টিভির পর্দায় বিজ্ঞাপনে দেখা গিয়েছিল। তাঁর সেই রূপ, অভিনয় তাক লাগিয়ে দিয়েছিল নীরজ অনুরাগীদের। আর এবারে কোমর দুলিয়ে ডান্স ফ্লোর কাঁপালেন নীরজ।
অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে আইসিসির ওডিআই তালিকায় শীর্ষস্থান হারালো ভারত। ভারতকে ২-১ ব্যাবধানে হারিয়ে সিরিজ জয় করে অস্ট্রেলিয়া। তারপরেই বদল হয় আইসিসির তালিকা। যেখানে ভারতকে শীর্ষস্থান থেকে সরিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে রাখা হয়েছে, তালিকায় ভারত বর্তমানে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।
চেন্নাইয়ে ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের পরেই নতুন ক্রমতালিকা প্রকাশ করেছে আইসিসি। সেখানে দেখা যাচ্ছে, শীর্ষে অস্ট্রেলিয়া। তাদের পয়েন্ট ৩৯৬৫। রেটিং পয়েন্ট ১১৩। সমান রেটিং পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে নেমে গিয়েছে ভারত। যদিও রোহিতদের পয়েন্ট অস্ট্রেলিয়ার থেকে অনেকটাই বেশি (৫২৯৪)। তালিকায় তিন নম্বরে রয়েছে নিউজ়িল্যান্ড। তাদের পয়েন্ট ৩২২৯। রেটিং পয়েন্ট ১১১। চার নম্বরে থাকা ইংল্যান্ডেরও রেটিং পয়েন্ট ১১১। জস বাটলারদের পয়েন্ট ৩৯৯৮। এই তালিকায় পাঁচ নম্বরে রয়েছে পাকিস্তান। বাবর আজ়মদের পয়েন্ট ২৬৪৯। তাদের রেটিং পয়েন্ট ১০৬।
চেন্নাইয়ে তৃতীয় ম্যাচে সিরিজ়ের মীমাংসা হওয়ার কথা ছিল। সেখানে প্রথমে ব্যাট করে ২৬৯ রান করে অস্ট্রেলিয়া। রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভাল করেছিল ভারত। অর্ধশতরান করেন বিরাট কোহলি। হার্দিক করেন ৪০ রান। কিন্তু অসি স্পিনারদের দাপটে ২৪৮ রানে অলআউট হয়ে যায় ভারত। ২১ রানে ম্যাচ ও সেই সঙ্গে সিরিজ় জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়া। এই সিরিজে সূর্যকুমার যাদব তিনটে ইনিংসেই শুন্য রানে আউট হয়েছেন।
আইএসএল (isl) জয়ের পরেই মোহনবাগানের নাম পরিবর্তনের বড় ঘোষণা ক্লাব মালিক গোয়েঙ্কার (goenka) । শনিবারই পেলান্টিতে ৪-৩ গোলে বেঙ্গালুরুকে হারিয়ে প্রথম বারের জন্য আইএসএল জিতে নেয় এটিকে মোহনবাগান। এর পরেই মোহনবাগান ক্লাব মালিক সঞ্জীব গোয়েঙ্কা ঘোষণা করে দলের নাম পরিবর্তনের কথা। শনিবার তিনি জানান, আইপিএলে তাঁর দল লখনউয়ের আদলে মোহনবাগানের আগে জুড়বে ' সুপারজায়ান্ট' অর্থাৎ মোহনবাগানের নামের শুরু থেকে সরে গেল ‘এটিকে’। পরের মরসুম থেকে দলের নতুন নাম হচ্ছে ‘মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস’। শনিবার মোহনবাগান জেতার পরে সঞ্জীব বলেন, ‘বাগান সমর্থকরা মোহনবাগানের নামের সামনে থেকে এটিকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি করেছিলেন। এটাই মোহনবাগান সদস্য ও সমর্থকেদের আমার উপহার।’
ফুলটাইম হওয়ার পর দুপক্ষেরই গোল সংখ্যা ছিল ২-২, পরে পেলান্টিতে ৪-৩ গোলে বেঙ্গালুরুকে হারিয়ে দেয় এটিকে মোহনবাগান। মোহনবাগান এর আগে তিন বার জাতীয় লিগ এবং দু’বার আই লিগ জিতেছিল। এটিকের সঙ্গে জুটি বাঁধার পর এই প্রথম আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হল মোহনবাগান। মোট ছ’বার ভারতসেরা হল সবুজ-মেরুন। প্রথম বার তারা জাতীয় লিগ জিতেছিল ১৯৯৮ সালে। ২০০০ এবং ২০০২ সালেও জাতীয় লিগ জেতে মোহনবাগান। জাতীয় লিগের নাম পাল্টে আই লিগ হওয়ার পর বেশ অনেক বছর অপেক্ষা করতে হয় সবুজ- মেরুনকে। ২০১৫ সালে ট্রফি জিতেছিল তারা। এ বারের লিগে মোহনবাগান শেষ করে তিন নম্বরে। ২০ ম্যাচে তারা পেয়েছে ৩৪ পয়েন্ট। লিগে ইস্টবেঙ্গলকেও দু’বার হারায় সবুজ-মেরুন।
ডোপ পরীক্ষায় (Dope test) ব্যর্থ বাঙালি জিমন্যাস্ট দীপা কর্মকারকে ২১ মাসের নির্বাসন। ইন্টারন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি এই পদক্ষেপ নিয়েছে। যদিও দীপার (Dipa Karmakar) শাস্তি কার্যকর করা হয়েছিল আরও আগে। ২০২১ সালের অক্টোবর মাস থেকে কোনও খেলায় অংশ নিতে পারছেন না এই বাঙালি জিমন্যাস্ট। নির্বাসনের শাস্তি ২০২৩ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। শাস্তিপর্বে ভারতের হয়ে আন্তর্জাতিক কোনও প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন না রিও অলিম্পিক্সের এই প্রতিযোগী।
আইটিএ জানিয়েছে, ২০২১ সালে ফেডারেশন ইন্টারন্যাশনাল ডি জিমন্যাস্টিক (এফআইজি) নামের একটি সংস্থা দীপার শরীরে হাইজিনামিন নামক এক নিষিদ্ধ পদার্থ পেয়েছিল। এরপরেই নির্বাসনের ঘোষণা। পরে নমুনা পরীক্ষার সময়েও দীপার শরীরে হাইজিনামিন পেয়েছেন তাঁরা। এই পদার্থ ফুসফুসে অক্সিজেনের মাত্রা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ২০২৪ সালের প্যারিস অলিম্পিক্সের আগে দীপার নির্বাসনের শাস্তি উঠে যাওয়ায় আশার আলো দেখছেন বাঙালি জিমন্যাস্ট মহল।
আফগানিস্তানের ফের ফিরেছে তালিবানরাজ (Taliban Government)। প্রাথমিক ভাবে কিছুটা ছাড় দেওয়া হলে সময় যত গড়িয়েছে আফগান মহিলাদের (Afghan Woman) উপর তত বেড়েছে নিষেধাজ্ঞা। মহিলাদের খেলাধুলোয় অংশগ্রহণ থেকে পঠনপাঠন। নানাক্ষেত্রে এসেছে তালিবানি রক্তচক্ষু। ২০২২-এ আফগানিস্তানের সংস্কৃতিমন্ত্রী আহমেদুল্লা ওয়াশিক স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, 'যেকোনও খেলা (Sports), যাতে শরীর দেখা যায় তা মহিলাদের জন্য নিষিদ্ধ।' তবে কঠোর এই বিধিনিষেধের ফাঁক গলেও গোপন অনুশীলন জারি রাখেন আফগান জাতীয় দলের অনেক মহিলা ক্রীড়াবিদ।
কিন্তু সম্প্রতি তাঁরা অনেকেই ফোনে হুমকি পাচ্ছেন। অনেক মহিলা ক্রীড়াবিদের আশঙ্কা, তাঁরা তালিবান নিপীড়নের শিকার হতে পারেন। মহিলাদের হাত-পা এভাবে বেঁধে দেওয়ার উদ্দেশে তালিবানের যুক্তি, মহিলাদের জন্য খেলা জরুরি ব্যাপার নয়। কারণ খেলতে গিয়ে অনেক সময়ই তাদের শরীরের বিভিন্ন অংশ উন্মুক্ত হয়ে যায়, ইসলামে যা বারণ।
কয়েক মাস আগে আফগানিস্তান সরকার মেয়েদের বিশ্ববিদ্যালয় যাওয়াতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। বেসরকারি সংস্থায় মহিলাদের কাজ করা, পার্ক এবং জিমে প্রবেশের ক্ষেত্রে রয়েছে একাধিক বিধিনিষেধ।
"মদন মিত্র (Madan Mitra) ছাড়া ক্রীড়ামন্ত্রী হিসেবে কাউকে মানি না, মানতে পারি না। ও মন্ত্রিসভাতে নেই ভাবলেও অবাক লাগে৷" এবার বিস্ফোরক মন্তব্য তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Prasun Banerjee)৷ সম্প্রতি শনিবার বিশ্বকর্মা পুজোর একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এমনই মন্তব্য করেন তৃণমূল সাংসদ৷ তাঁর এমন মন্তব্য ঘিরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক৷
শনিবারের ওই অনুষ্ঠানে মদন মিত্রের পাশে দাঁড়িয়ে তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানান, "পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের কেউ যদি ক্রীড়ামন্ত্রী হয়ে থাকেন, সেটা একমাত্র মদন মিত্রই। এছাড়া অন্য কাউকে ক্রীড়ামন্ত্রী বলে মানি না, সে তিনি যেই হোন না কেন৷" তাঁর কথায়, "দিদির পাশে দু-একজন থাকত, তাঁর মধ্যে মদন মিত্র অন্যতম। এখন অনেকেই দিদির পাশে ঘুরছে। মদন মিত্রকে সম্মান দিতে হবে এটা আমি চাই। ক্রীড়ামন্ত্রী থাকাকালীন খেলা সংক্রান্ত বহু সমস্যার তিনি স্বচ্ছতার সঙ্গে সমাধান করেছেন। তাঁর সময়ে ক্রীড়া দফতরে বহু পরিকল্পনা রূপায়িত হয়েছে যথেষ্ট স্বচ্ছতার সঙ্গেই। গভীর রাত পর্যন্ত কোনও সমস্যা হলেও মদন মিত্র তাঁর সময় দিতেন। ময়দানের অনেক ছোট ছোট খেলোয়ারদের তিনি অর্থ সাহায্য করেছেন। তাঁর মতো কাজের মানুষ রাজ্যের মন্ত্রিসভায় স্থান না-পাওয়ায় আমি অবাক।"
প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমন মন্তব্যে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তরজা।
ইমামি ইস্টবেঙ্গল। লাল হলুদে ইনভেস্টর হিসেবে ইমামির নাম ঘোষণা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা ছিল। অবশেষে অপেক্ষার অবসান। বহু প্রতীক্ষিত চুক্তি শেষমেশ সম্পন্ন হল। মঙ্গলবার শহরের এক পাঁচতারা হোটেলে লাল-হলুদ জার্সি গায়ে ম্যানেজমেন্টের কর্তাদের সইসবুদেও নতুনত্ব ছিল। চুক্তি অনুযায়ী, শেয়ারের ৭৭ শতাংশ থাকছে ইমামির হাতে। বাকি ২৩ শতাংশ ক্লাবের হাতে। ১০ জনের বোর্ডে ইমামির প্রতিনিধি থাকবেন ৭ জন। লাল হলুদের প্রতিনিধি ৩ জন। তবে ক্লাবের পক্ষ থেকে কারা থাকবেন এখনও ঠিক হয়নি।
আইএসএলে কোনও কোম্পানির নাম ক্লাবের আগে বসানোর নিয়ম নেই। তাই ইস্টবেঙ্গল নাম দিয়েই আইএসএল খেলবে দল। ইমামি কর্ণধার আদিত্য আগরওয়াল নিজেও মাঠে উপস্থিত থাকতে চান। বিগ বি থেকে সলমন খান। সিলভার স্ক্রিনের তারকাদের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডার হিসেবে যুক্ত করেছে এই কর্পোরেট গ্রুপ। ইস্টবেঙ্গলের ম্যাচেও ওঁদের আমন্ত্রণ করে হাইপ তুলতে চান কর্তারা।
ইমামির ডিরেক্টর আদিত্য আগরওয়াল বলেন, 'আমরা নতুন যাত্রা শুরু করছি। ক্লাবের নাম ইমামি ইস্টবেঙ্গল। ক্লাবের আবেগ, ট্র্যাডিশন আছে। আর ইমামি একটা বিশ্বাস। আমরা আবেগ বুঝি। সামনে আইএসএল। হয়তো আমরা একটু পিছিয়ে আছি। তবে আশা করছি ধরে ফেলব। কিছুটা সময় লাগবে শক্তিশালী টিম করতে।'
উল্লেখ্য, এদিন অনুষ্ঠানে ইস্টবেঙ্গলের পক্ষ থেকে ছিলেন সহ সভাপতি অজয় কৃষ্ণ চ্যাটার্জি, সচিব কল্যাণ মজুমদার এবং অন্যতম শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কোচ বিনো জর্জ। এছাড়াও হাজির ছিল ইস্টবেঙ্গলের একঝাঁক প্রাক্তন ফুটবলার। তারমধ্যে ছিলেন প্রশান্ত ব্যানার্জি, ভাস্কর গাঙ্গুলি, অলোক মুখার্জি, কৃষ্ণেন্দু রায়, সুমিত মুখার্জি, অমিত ভদ্র, অর্ণব মণ্ডল, সৌমিক দে, মেহতাব হোসেন, রহিম নবি প্রমুখ। সকলের উপস্থিতিতে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
স্তব্ধ কোকিল কণ্ঠ। ৯২ বছরে প্রয়াত ভারতরত্ন লতা মঙ্গেশকর (Lata Mangeshkar Death)। রবিবার সকাল ৮ টা বেজে ১২ মিনিটে প্রয়াত এই সঙ্গীতশিল্পী। তাঁর প্রয়াণে দু'দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা হয়েছে (National Mourning)। শুধু সঙ্গীত জগৎই নয়, গোটা বিশ্ব এখন শোকস্তব্ধ। পাশাপাশি সকাল থেকেই শোকপ্রকাশ বলিউড (Bollywood) এবং ক্রীড়া জগতের। সঙ্গীত পরিচালক এ আর রহমান (AR Rahman) থেকে রেনুকা সাহানে। অক্ষয় কুমার থেকে জোয়া আখতার, বিরাট কোহলি, প্রত্যেকেই নিজেদের মতো করে স্মরণ করেছেন ভারতরত্নকে।
লতাজির সঙ্গে এক পুরনো ছবি শেয়ার করে রহমানের ট্যুইট, 'ভালোবাসা, শ্রদ্ধা, প্রার্থনা।'
অভিনেত্রী রেনুকা সাহানির ট্যুইট, 'মা সরস্বতী মা সরস্বতীকে নিজের কাছে ডেকে নিলেন।'
Maa Saraswati has called Maa Saraswati back to her. निःशब्द. लता मंगेशकर यांना हृदयाच्या अंतःकरणापासून भावपूर्ण श्रद्धांजली व शत शत नमन. ॐ शांति 🙏🏾🙏🏾🙏🏾🙏🏾🙏🏾
— Renuka Shahane (@renukash) February 6, 2022
পূজা ভাট লেখেন, 'তিনি আমার মনের ভিতর। তাই একে মৃত্যু বলে না।'
हमको मिली हैं आज, ये घड़ियाँ नसीब से
— Pooja Bhatt (@PoojaB1972) February 6, 2022
जी भर के देख लीजिये हमको क़रीब से
फिर आपके नसीब में ये बात हो न हो
शायद फिर इस जनम में मुलाक़ात हो न हो
लग जा गले से.. #LataMangeshkar
To live in hearts we leave behind,is not to die. 🙏🙏♥️
একদমই শোকস্তব্ধ পরিচালক-প্রযোজক জোয়া আখতার। তিনি শুধু লতাজির একটি পুরনো ছবি প্রকাশ করেই শোক প্রকাশ করেন।
গত জানুয়ারি মাসের ৮ তারিখে তিনি করোনার মৃদু উপসর্গ নিয়ে মুম্বইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপরই ধরা পড়ে নিউমোনিয়া। সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন ধীরে ধীরে। তবে ফের গতকাল অর্থাৎ সরস্বতী পুজোর দিন তাঁকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। তাঁকে দেখতে গিয়েছিলেন তাঁর বোন আশা ভোঁসলে সহ একাধিক বিশিষ্ট মানুষ। এরপর রবিবার সকাল থেকে ওই হাসপাতাল চত্বরে বাড়ানো হয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা। তবে এরপরই শোনা যায় শোকের সংবাদ।
ভারতীয় ক্রিকেটে সৌরভ গাঙ্গুলি ও রবি শাস্ত্রীর সম্পর্ক যে কতটা 'মধুর' তা আজ ক্রিকেট প্রেমী সকলেই জানে। আগে যখন সৌরভ ক্রিকেট খেলতেন তখন শাস্ত্রী ছিলেন কমেন্ট্রি বক্সে এবং ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বিষয়ে গাঙ্গুলির সমালোচনা করতেন শাস্ত্রী। সেই সময় সৌরভের প্রশংসায় পোচোমুখ ছিলেন সুনীল গাভাস্কার ও জেফ বয়কট। সম্প্রতি পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার রশিদ লতিফ জানিয়েছেন যে কোচের পদ থেকে রবিকে সরিয়ে দেওয়ার কাজটি করেছেন সৌরভ। শাস্ত্রীর নাকি আরও কিছুদিন কোচ থাকার ইচ্ছা ছিল কিন্তু তাঁকে টি ২০ বিশ্বকাপের সময়ে খবর দেওয়া হয় যে এবারে বিদায় নাও। রশিদ বলেন, ক্রিকেট চলাকালীন ভারতীয় দলে বিভেদ এসে গিয়েছিলো, একটি রোহিত, রাহুলের গ্রুপ অন্যটি শাস্ত্রীর গ্রুপ। রাশিদ আরও বলেন, অনিল কুম্বলেকে অন্যায় ভাবে কোচের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল তখনই বন্ধু কুম্বলের জন্য ভেবেছিলেন সৌরভ কিন্তু শাস্ত্রীকে নিয়ে এসে সব কিছু বদলে দেওয়া হয়। এবারে ক্ষমতায় এসে গাঙ্গুলি একই সাথে ছেঁটে ফেলেন রবি ও বিরাটকে।
কোচের চাকরি ছাড়া পর পর রবি শাস্ত্রীর ইচ্ছা ছিল তাঁর পুরোনো কমেন্ট্রি বক্সে ফিরে যাওয়ার কিন্তু সেটিও হবার নয় কারণ ভারতীয় বোর্ডের নিয়ম আছে যে কোনও চ্যানেল প্রচার করুক না কেন বোর্ডের পছন্দের ভাষ্যকারদের বসাতে হবে। সম্প্রতি শাস্ত্রী, কোহলির সমর্থনে অনেক কথা বলেছেন যা বোর্ড পছন্দ করে নি। এরপর আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও শ্রী লঙ্কা সফরের ভাষ্যকারদের মধ্যে রবি শাস্ত্রীকে বাদ দিয়ে একটি লিস্ট প্রচারকারি চ্যানেলকে দিয়ে দিয়েছে। বোর্ড বলেছে, রবি এখন ব্যস্ত তাই তাঁকে দেওয়া যাবে না। গুঞ্জনে , রবি পাচ্ছে কমেন্ট্রি করতে বসে কিছু বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন তাই বাতিল তিনি। সুযোগ প্রাচীন যাঁরা তাঁরা সকলেই সৌরভের প্রিয়পাত্র। সুনীল গাভাস্কার, শিভরামকৃষ্ণ, হর্ষ ভোগলে, দীপ দাশগুপ্ত, মুরলি কার্তিক ও অজিত আগরকর। রবি শাস্ত্রী অবশ্য এখন ওমানে, লিজেন্টস ক্রিকেট লীগের কমিশনার হিসাবে সে দেশে।
হাওড়া শহরের ফুসফুস ডুমুরজলার খেলার মাঠ। হাওড়ায় সবুজ ধ্বংস করে খেলনগরীর সঙ্গে বহুতল আবাসন, শপিং মল সহ অন্যান্য নির্মাণের বিরোধিতা করে কনভেনশন ডুমুরজলায়। প্রায় ৫৫ একর জমি নিয়ে ডুমুরজলা স্টেডিয়ামকে কংক্রিটের জঙ্গল বানানোর প্রতিবাদে শনিবার ওই কনভেনশন হল ডুমুরজলায়।
ডুমুরজলার খেলার মাঠে প্রস্তাবিত বহুতল বাণিজ্য প্রকল্প নিয়ে অসন্তোষ দানা বাঁধছে। কনভেনশনের আয়োজনকারীদের দাবি, মূল মাঠে গড়ে উঠতে চলেছে কংক্রিটের জঙ্গল। এই জমিতে প্রস্তাবিত 'স্পোর্টস সিটি'তে কী কী গড়ে উঠতে চলেছে জানা যাক।
৬০ তলা বাণিজ্যিক প্রকল্প, সঙ্গে আবাসন, ১২ তলা বিশিষ্ট পার্কিং লট, থাকবে প্লেয়ার্স পার্কিং, অ্যাম্বুল্যান্স পার্কিং এবং দমকল পার্কিং। এছাড়া ইনডোর স্টেডিয়াম, ৪০ তলা বিশিষ্ট স্পোর্টস সেন্টার, ক্রিকেট মাঠ, হেলিপ্যাড, ফুটবল ও হকি মাঠ, সুইমিং কমপ্লেক্স। থাকছে টেনিস, লিবল এবং বাস্কেট বল মাঠ, জলাশয়। নজর রাখা হবে সবুজায়নেও। এরই প্রতিবাদে শনিবার সকালে ডুমুরজলা বাস্কেট বল মাঠে একটি কনভেনশনে যোগ দিলেন বহু মানুষ।
সেভ ডুমুরজলা জয়েন্ট ফোরামের উদ্যোগে এই সভায় খেলোয়াড়, আইনজীবী, পরিবেশকর্মী, প্রাতঃভ্রমণকারী সহ বহু সাধারণ মানুষ যোগ দেন। মূলত পরিবেশ বাঁচাতে মাঠ বাঁচানোর স্বপক্ষেই এই লড়াই। খেলার মাঠের চরিত্র বদল করে কংক্রিটের কাঠামো নির্মাণের বিরোধিতা করতেই এই কনভেনশন। এর আগেও কখনও পদযাত্রা, কখনও সভা করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন এলাকার মানুষ। শনিবারের সভায় খেলার জন্য স্টেডিয়াম তৈরি করার বিরোধিতা করেননি এলাকাবাসী। কিন্তু তার সঙ্গে প্রস্তাবিত বহুতল আবাসন, শপিং মল প্রভৃতি নির্মাণের বিরোধিতা করে প্রস্তাব নেওয়া হয়। ইতিমধ্যেই বিষয়টি প্রশাসনের কাছেও জানানো হয়েছে বলে জানান উদ্যোক্তারা।
ইতিমধ্যেই খেলনগরী বা স্পোর্টস সিটি গড়ার কাজ শুরু হয়েছে। কাজ শুরুর পর থেকেই ক্ষোভ দানা বাঁধছে হাওড়া শহরের নাগরিকদের মধ্যে। এদিকে রাতের অন্ধকারে স্টেডিয়ামের জলাভূমি ভরাটের প্রতিবাদ জানিয়ে এদিন সেভ ডুমুরজলা জয়েন্ট ফোরামের পক্ষ থেকে চ্যাটার্জিহাট থানায় লিখিত অভিযোগ জানান ফোরামের সদস্যরা। তবে পুলিস টালবাহানা করছে, অভিযোগে সরব সেভ ডুমুরজলা জয়েন্ট ফোরামের কনভেনর বলরাম ছড়ি।
উন্নয়নের বিপক্ষে নয় শহরবাসী। তবে মাঠ বাঁচাতেই এই আন্দোলন। জানালেন সেভ ডুমুরজলা জয়েন্ট ফোরামের পক্ষে আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় ।
প্রস্তাবিত খেলনগরী এখন বাস্তব রূপ পায় কি না, তা বলবে সময়ই।
টি ২০ বিশ্বকাপ শেষ মানেই রবি শাস্ত্রীর কাজ শেষ । সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ইচ্ছায় রবির ফিরে আসার কোনও সম্ভবনা নেই বলেই খবর । একই সাথে নতুন টি ২০ অধিনায়ক কে হবে তা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন কারণ কোহলি নেতৃত্ব ছাড়ছেন । সৌরভের দুই প্রিয় খেলোয়াড়ের নাম শোনা যাচ্ছে । এই দুই খেলোয়াড়কে ভারতীয় দলে সুযোগ দিয়েছিলেন বারবার । এঁরা বীরেন্দ্র শেহবাগ এবং ভিভিএস লক্ষণ । শেহবাগ এবং লক্ষণ চিরকালই সৌরভ ভক্ত । সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বিরু জানিয়েছিলেন যে, ধোনির থেকে সৌরভ অনেক বড় অধিনায়ক ছিলেন, সৌরভ শূন্য থেকে একটি নতুন দল তৈরী করেছিলেন যার সুবিধা পেয়েছিলেন ধোনি । অন্যদিকে লক্ষণ তাঁর প্রিয় অধিনায়ক সৌরভ খেলা ছাড়ার দিন তাঁকে কাঁধে নিয়ে সারা মাঠ ঘুরেছিলেন ।
সৌরভ কিন্তু তাঁর পুরাতন সতীর্থদের ভোলেন নি । রাহুল দ্রাবিড়কে জুনিয়র দলের কোচ করার পিছনেও মস্ত হাত ছিল 'দাদার' । এবারে সৌরভ চাইছেন হয় শেহবাগ অথবা লক্ষণ ভারতীয় দলের কোচ হন । অন্যদিকে কোহলি অধিনায়ক পদ ছাড়ার সাথে জানিয়েছেন কোনও ভাবেই যেন রোহিতকে অধিনায়ক করা না হয় কারণ তাঁর বয়স নাকি ৩৪ । অদ্ভুত আবদার তার, প্রতিবাদ উঠেছে সোশ্যাল নেটওয়ার্কে । গাভাসকার অবশ্য রোহিত শর্মাকেই অধিনায়ক চাইছেন ।