টাকা নিয়ে প্রশ্ন করার অভিযোগে মহুয়া মৈত্রকে লোকসভা থেকে বহিস্কারের সুপারিশ করল এথিক্স কমিটি। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে এই সংক্রান্ত রিপোর্টও পাঠানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, মহুয়াকে বহিস্কারের পক্ষে ভোট দিয়েছেন ৬ জন সদস্য এবং বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ৪ জন। ডিসেম্বরের বসবে লোকসভার শীতকালীন অধিবেশন। সেখানেই ওই রিপোর্ট পেশ করা হবে।
হীরানন্দানি গ্রুপের কাছ থেকে টাকা নিয়ে প্রশ্ন করার অভিযোগ উঠেছে মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এথিক্স কমিটির বৈঠক হয়। সেখানে হাজির হয়েছিলেন মহুয়া মৈত্র। মহুয়ার অভিযোগ, ওই প্যানেলে তাঁকে ব্যক্তিগত একাধিক বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে। যদিও বৈঠকের মাঝেই বেরিয়ে আসেন তৃণমূল সাংসদ। বৃহস্পতিবার ওই কমিটি সরকারিভাবে তাদের রিপোর্ট পেশ করতে চলেছে।
এদিকে এথিক্স কমিটির চেয়ারম্যান তথা বিজেপি সাংসদ বিনোদ সোনকরের বিরুদ্ধে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে অভিযোগ করেন মহুয়া। তিন পাতার একটি চিঠি লিখে তাঁর অভিযোগ, বৈঠকের সময় তাঁকে মৌখিকভাবে তাঁর 'বস্ত্রহরণ' করা হয়েছে । তাঁর সঙ্গে অনৈতিক, নোংরা আচরণ করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন সাংসদ ।
কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোর (CBI-ED) অতি সক্রিয়তার বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ করতে তৎপর রাজ্য বিধানসভা (Bengal Assembly)। মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমকে জানালেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Assembly Speaker)। তিনি বলেন, 'বিধানসভায় কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোর অতিসক্রিয়তার বিরোধিতায় একটা প্রস্তাব (Resolution) এসেছে। আমি সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেছি। এবার আমরা বিধানসভায় আলোচনা করব। বিরোধীদের জন্য সময় বরাদ্দ থাকবে, সরকারপক্ষও আলোচনায় অংশ নেবে। আমার মনে হয় এই বিষয়ে আলোচনা দরকার। কারণ রাজ্যজুড়ে একটা ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। সরকারি দলে যারা রয়েছে, তাঁদের বেছে বেছে আক্রমণ করা হচ্ছে। আমরা আতঙ্কিত।'
এই প্রসঙ্গে রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানান, ১৯ তারিখ কেন্দ্রীয় সরকারি এজেন্সিগুলোর অতিসক্রিয়তার বিরোধিতায় প্রস্তাব আনা হচ্ছে। সিবিআই, ইডি, আয়কর দফতরকে ব্যবহার করা হচ্ছে একাধিক রাজ্যের বিজেপি বিরোধী সরকারগুলোর বিরুদ্ধে। তার নিন্দা করে বাংলার সরকার প্রথম এই ধরনের প্রস্তাব আনছে।
এই গৃহীত প্রস্তাব প্রসঙ্গে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য জানান, যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার মধ্যে থেকে এই ধরনের প্রস্তাব আনা যায় না। তৃণমূলকে যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা বুঝতে হবে। এই সিদ্ধান্ত কার্যত ভারতীয় সংবিধান বিরোধী। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'অতি সক্রিয়তা কোন প্যারামিটারে ঠিক হয়েছে। যেহেতু ওদের থেকে টাকা বেরোচ্ছে? আমরা বিরোধী দল হিসেবে এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করব। তৃণমূল সরকার তো এভাবে দেশের সার্বভৌমত্বকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে।