স্কুল পড়ুয়ার ব্যাগ থেকে উদ্ধার হল কার্তুজ সহ আগ্নেয়াস্ত্র। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারী থানার পাথরঘাটা এলাকায়৷ জানা গিয়েছে, স্থানীয় সুদর্শন নগর হাই স্কুলের নবম শ্রেণীর এক পড়ুয়ার ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় একটি দেশি পিস্তল ও কার্তুজ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বংশীহারী থানার পুলিস। বুধবার ওই পড়ুয়াকে জুভেনাইল কোর্টে পাঠানো হয়।
জানা গিয়েছে, ওই স্কুল পড়ুয়া নবম শ্রেণির ছাত্র। গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার স্কুলের তরফ থেকে বই বিতরণ করা হয়েছিল। সেই সময় আগ্নেয়াস্ত্র তার ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয়। তবে কী কারণে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে স্কুলে এসেছিল ওই পড়ুয়া তা নিয়ে দ্বন্ধে সহপাঠী থেকে স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা।
যদিও এই বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছে বংশীহারী থানার পুলিস। কোথা থেকে ওই স্কুল পড়ুয়া আগ্নেয়াস্ত্র পেল, তা নিয়ে খতিয়ে দেখছে পুলিস। পাশাপাশি এর পিছনে কোনো চক্র রয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখছে পুলিস।
অজানা গাছের ফল খেয়ে অসুস্থ ১১ জন শিশু। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুর ব্লকের গোকর্ণ গ্রাম পঞ্চায়েতের বলদু গ্রামে। বর্তমানে ওই ১১ জন শিশু গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
জানা গিয়েছে, ওই এগারো জন শিশু খেলতে গিয়ে একটি অজানা গাছের ফল খেয়ে ফেলে। এরপরেই ওই এগারো জন শিশুর পেট খারাপ, বমি ও খুব মাথাব্যথা শুরু হয়। তারপর ওই শিশুদের পরিবারের সদস্যরা টের পেতেই স্থানীয় হরিরামপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করায় ওই ১১ শিশুকে। রবিবার রাত ১২টা নাগাদ শারীরিক পরিস্থিতি অবনতি হলে গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। প্রতিটি শিশুর বয়স আনুমানিক আট থেকে দশের মধ্যে।
শিশুরা জানিয়েছে, খেলতে গিয়ে অজানা এক ফল একসঙ্গে খেয়েছিল তারা। আর তারপর থেকেই শরীর খারাপ হতে থাকে। যদিও শিশুরা এখন ভালো রয়েছে বলে জানিয়েছেন গঙ্গারামপুর হাসপাতাল সুপার বাবু সোনা সাহা।
স্বামীর সঙ্গে সংসার করার জন্য ধরনায় (Strike) বসলেন স্ত্রী। আদালতে বলেছিল স্ত্রীকে নিয়ে সংসার করবেন, সেই কারণে মামলা তুলে নেন স্ত্রী। অভিযোগ, বর্তমানে অন্য এক মহিলার সঙ্গে সংসার করছেন তাঁর স্বামী। সেই প্রতিবাদে স্বামীর বাড়ীর সামনে ধরনায় বসেছেন স্ত্রী। শনিবার, দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট থানার চিঙ্গিশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চক আলম এলাকার এই ঘটনাটি ঘটেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় বালুরঘাট থানার পুলিস।
জানা গিয়েছে, বছর পাঁচেক আগে বালুরঘাট থানার চিঙ্গিশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চক আলম গ্রামের বাসিন্দা সেনা বিভাগে কর্মরত সোম মুর্মুর সঙ্গে বিয়ে হয় কুমারগঞ্জের বটুন গ্রাম পঞ্চায়েতের বংশীপুর গ্রামের বাসিন্দা ওই মহিলার। অভিযোগ, বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই ওই মহিলার স্বামী সোশ্যাল মিডিয়ায় অন্য এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। তাঁর স্ত্রী বিষয়টি জানার পরেই না কি তাঁর ওপর শুরু হয় অত্যাচার। গৃহবধূ সেই অত্যাচারের প্রতিবাদ করায় তাঁর স্বামী তাঁকে মারধর করত বলে জানিয়েছেন তিনি। এই ঘটনায় ওই নির্যাতিতা গৃহবধূ গ্রাম্য সালিশি সভায় অভিযোগ করলে তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
এরপর ওই গৃহবধূ আইনে দ্বারস্থ হন। গৃহবধূ নির্যাতনের অভিযোগ করা হয় বালুরঘাট থানায়। নির্যাতিতা ওই গৃহবধূ জানিয়েছে, মামলা চলাকালীন তাঁর স্বামী তাঁকে নিয়ে সংসার করবার কথা জানালে, তিনি এই মামলা তুলে নেন। অথচ তাঁর স্বামীর কর্মস্থলের আবাসনে অন্য মহিলার সঙ্গে সংসার করছে বলে জানা যায়। এদিন এই ঘটনার প্রতিবাদে ওই গৃহবধূ তাঁর স্বামীর বাড়ির সামনে ধরনায় বসেন।
যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেন সেনা জওয়ান কর্মরত ওই মহিলার স্ত্রী সোম মুর্মু। শেষ পর্যন্ত পুলিস ওই গৃহবধূকে তাঁর স্বামীর বাড়িতে বাড়ির ভিতরে যাওয়ার ব্য়বস্থা করে দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
একটি টোটোর সঙ্গে একটি বোলেরো গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ (Accident)। এই দুর্ঘটনার জেরে মৃত্যু (Death) হলো টোটো চালক সহ এক যাত্রীর। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের (South Dinajpur) বংশীহারী থানার ডিটলহাট এলাকায়। এই ঘটনার পর স্থানীয়রা আহত অবস্থায় টোটোর চালক সহ যাত্রীদের হাসপাতালে ভর্তি করে।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বংশীহারী থানার ডিটলহাট এলাকায় যাত্রী বোঝাই একটি টোটোর সঙ্গে দ্রুত বেগে আসা বোলেরো গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন টোটো চালক সহ দুই টোটো যাত্রী। ঘটনার পরেই তড়িঘড়ি তিন আহত ব্যক্তিকে প্রথমে রশিদপুর হাসপাতাল এবং পরে গঙ্গারামপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে হাসপাতালেই কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা টোটো চালক বিপুল দাস ও এক যাত্রী রবীন্দ্রনাথ সোমকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
সূত্রের আরও খবর, মৃত ওই টোটো চালক বিপুল দাসের বাড়ি গঙ্গারামপুর থানার নীলডাঙ্গা এলাকায় ও টোটোতে থাকা রবীন্দ্রনাথ সোমের বাড়ি গঙ্গারামপুর থানার মহারাজপুর এলাকায়। পাশাপাশি আরও এক টোটোর যাত্রী গঙ্গারামপুর হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন। মৃত টোটো চালকের পরিবার জানিয়েছে, প্রতিদিনের মতো গঙ্গারামপুর থেকে সরাইহাটে যাওয়ার উদ্দেশ্যে টোটো নিয়ে বেরিয়েছিলেন বিপুল। তিনি টোটোতে কয়েকজন যাত্রীও নিয়ে যাচ্ছিল। আর তখনই এমন ঘটনা ঘটে।
মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় (Road accident) মৃত্য়ু (Death) হল দুই যুবকের। আহত আরও চারজন। সোমবার ভোররাতে দক্ষিণ দিনাজপুরের (South Dinajpur) গঙ্গারামপুরের গচিহার এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটে। জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম সুবীর গুহ ও প্রশান্ত সূত্রধর। দু'জনের বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাটে।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বালুরঘাটের ক্যাটারিং ব্যবসায়ী সুবীর গুহ ও স্বর্ণ শিল্পী প্রশান্ত সূত্রধর এবং তাঁদের পরিবার পাহাড়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন। সোমবার রাতে তাঁরা শিলিগুড়ি থেকে বালুরঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। ভোররাতে বালুরঘাট শহর থেকে চল্লিশ কিলোমিটার দূরে গাড়িটি একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা মারে এবং গাড়ির সামনের অংশ পুরোপুরি ভেঙে যায়। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, গাড়ির চালক ঘুমিয়ে পড়ার কারণেই এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে কালদিঘি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য সেখান থেকে শিলিগুড়ি ও কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
পাশাপাশি এই ঘটনায় আহত চারজনের মধ্যে এক শিশু সহ একজন মহিলা শিলিগুড়িতে চিকিৎসাধীন। একজন রায়গঞ্জ ও একজন কলকাতায় গুরুতর আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি রয়েছেন। পরিবার সূত্রের খবর, শিলিগুড়িতে চিকিৎসারত শিশুসহ মায়ের শারীরিক অবস্থা কোন উন্নতি ঘটেনি। মৃত দেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে।
তৃণমূলে (TMC) যোগ দিতে কাটতে হবে দন্ডি, তৃণমূলের এই দন্ডিকাণ্ডের ঘটনায় জল গড়িয়েছে অনেক দূর। এবার ওই দন্ডিকাণ্ডের এলাকার পাশের এলাকায় সভা করতে যাবেন তৃণমূলের সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। মঙ্গলবার দক্ষিণ দিনাজপুরে (South Dinajpur) জনসংযোগে নামছেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই জেলার হরিরামপুর ও পতিরামে দু’টি জনসভা করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গঙ্গারামপুরে হবে সান্ধ্য অধিবেশন। সূত্রের খবর, এছাড়াও তপনে আদিবাসী এলাকায় চা চক্রের মাধ্যমে জনসংযোগ করার কথা রয়েছে তাঁর। পাশাপাশি খাঁপুরে ঐতিহাসিক তেভাগা আন্দোলনের শহিদ বেদীতেও মাল্যদান করবেন তিনি।
এদিন ওই জেলার চক সতিহারে গ্রামবাসীদের সঙ্গেও দেখা করবেন অভিষেক। বালুরঘাটে দন্ডি কাণ্ডের ওই ঘটনাস্থলের পাশেই চক সতিহারে সেখানেই আদিবাসী এলাকায় চা চক্রে যোগ দেবেন অভিষেক। টানা ২ মাস জেলায় জেলায় জনসংযোগে করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে তৃণমূলে নবজোয়ার। ছোট বড় জনসভার পাশাপাশি রাস্তায় জনসংযোগও করছেন তিনি। গ্রাম পরিদর্শন, চা চক্রেও জোর দিচ্ছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।]
যদিও অভিষেকের এই সফরকে কটাক্ষ করেছেন দিলীপ ঘোষ। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির কথায়, 'এই নবজোয়ার আমাদের নকল করা, আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া লোকের বাড়িতে যাচ্ছেন। লোকের বাড়ি গিয়ে সাজানো খাবার খাচ্ছেন।'
গাড়ি দুর্ঘটনার (Accident) পিছনে অন্যতম কারণ চালকের অমনোযোগিতা। আর এ অমনোযোগিতার অন্যতম কারণ গাড়ি চালাতে চালাতে মোবাইল ফোনের ব্যবহার। আবার কখনও কখনও কানে হেডফোন লাগিয়ে গাড়ি চালানো। সম্প্রতি এমন অবস্থার জেরে বড়সড় দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে একটি যাত্রীবাহী বাস (Bus Accident)। অভিযোগ, কানে হেডফোন আর হাতে মোবাইল নিয়ে বাস চালাচ্ছিলেন চালক। যার জেরে চালক নিয়ন্ত্রণ সামলাতে না পেরে ট্রাকের পিছনে গিয়ে সোজা ধাক্কা মারেন। ঘটনায় জখম হন প্রায় ২০ জন বাস যাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার সকালে দক্ষিণ দিনাজপুর (South Dinajpur) জেলার ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়কের বাউল এলাকায়।
আশপাশের মানুষজন ছুটে এসে বাসের যাত্রীদের উদ্ধার করে বালুরঘাট সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যান। কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হলেও বেশ কয়েকজন এখনও ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে। খবর দেওয়া হয় থানায়। পুলিসের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা হাসপাতালে পৌঁছে জখম যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন ও চিকিৎসা সংক্রান্ত খোঁজ খবর নেন।
হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করিয়েই পালিয়ে গিয়েছেন বাস চালক। ডিএসপি হেডকোয়ার্টার, সোমনাথ ঝাঁ জানিয়েছেন, অভিযুক্ত বাস চালকের খোঁজ চালানো হচ্ছে। এছাড়া শীতকালে এই ধরনের ঘটনা বেশি ঘটে। অনেক সময় কুয়াশার জেরেও দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। আবার মোবাইল ব্যবহারের কারণেও ঘটে। সেক্ষেত্রে দুর্ঘটনা এড়াতে রেজিস্টার বাস চালকদের নিয়ে একটা ওয়ার্কশপ করা হবে। যেখানে তাঁদের বাস চালানোর সময় কী করণীয় এবং কী কী করা যাবে না তা বোঝানো হবে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, এদিনের দুর্ঘটনা কুয়াশা নাকি হেডফোন ও মোবাইল ব্যবহারের কারণেই ঘটেছে। তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
পাচারের আগেই কয়েক কোটি টাকার সাপের বিষ (snake venom) উদ্ধার করল বিএসএফ (BSF)। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বুধবার রাতে ২ কেজি ১৪০ গ্রাম সাপের বিষ উদ্ধার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর। দক্ষিণ দিনাজপুর (South Dinajpur) জেলার হিলি থানার অন্তর্গত ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের চকগোপাল বিএসএফ ক্যাম্প এলাকার ঘটনা। বিএসএফের ১৩৭ নম্বর ব্যাটেলিয়ান একটি মেড ইন ফ্রান্স লেখা কাঁচের জার ভর্তি সাপের বিষ উদ্ধার করে। বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, মোট বিষের পরিমাণ ২ কেজি ১৪০ গ্রাম। চোর বাজারে যার আন্তর্জাতিক মূল্য আনুমানিক প্রায় ১৭ কোটি টাকা। বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসার সময় পাচারকারীরা বিএসএফ টহল দেখে বিষ ভর্তি জার ফেলে পালিয়ে যায় বলে জানা গিয়েছে।
বৃহস্পতিবার ওই সাপের বিষ ভর্তি জার বালুরঘাটে বনদফতরের হাতে তুলে দেয় বিএসএফ। বালুরঘাট বনদফতরের ডেপুটি রেঞ্জার নিখিল ক্ষেত্রী জানান, বিএসএফের দেওয়া ওই বিষের নমুনা আদালতের মাধ্যমে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।
স্বামীর বাড়ির সামনে ধর্নায় বসেন স্ত্রী। সাতসকালেই এই দৃশ্য দেখে ভিড় জমান স্থানীয়রাও। জানা যায়, স্ত্রীকে (wife) বাড়ি নিয়ে যেতে অস্বীকার করছেন স্বামী (husband)। একাধিকবার বলেও হয়নি সুরাহা। এরপর একপ্রকার বাধ্য হয়েই বৃহস্পতিবার রাত থেকে স্বামীর বাড়ির সামনে ধর্নায় বসছেন স্ত্রী। ঘটনাটি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বুনিয়াদপুর (Buniyadpur) পুরসভার আট নম্বর ওয়ার্ড অর্থাৎ হাটপুকুর এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রামপুর (Rampur) এলাকার গৃহবধূ মৌসুমী অধিকারী মোহন্তর তাঁর স্বামী অরিন্দম মোহন্ত ওরফে ডেভিড মোহন্তের সঙ্গে দীর্ঘ চার বছর ধরে সম্পর্ক। আড়াই বছর আগে এই দুজনের রেজিস্ট্রি বিয়ে হয়েছে। সেই সঙ্গে ৯ মা হল সামাজিক বিয়ে হয়েছে। স্বামী ডেভিড মোহন্ত মালদহের বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। সেই সুবাদে বিয়ের পর থেকেই মাঝেমধ্যেই রামপুর এলাকায় তাঁর শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন।
তাঁর স্বামীর মালদহে কর্মরত থাকার কারণে হাটপুকুর এলাকায় তাঁর নিজের বাড়িতে খুব কম সময় থাকতেন। একাধিকবার বলেও ওই গৃহবধূকে বাড়ি নিয়ে যাননি তাঁর স্বামী। এই নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকতো।
গৃহবধূর বক্তব্য, স্বামী তাঁকে শ্বশুরবাড়িতে তুলবে না এমনই জানিয়ে দিয়েছেন। তিনি তাঁর স্বামীকে বলতেন যে তাঁর বাড়ির লোকজন গিয়ে কথা বলুক। কিন্তু তাও মেনে নিতেন না স্বামী। বৃহস্পতিবার রাতেও তাঁর স্বামীর সঙ্গে তাঁর শ্বশুরবাড়িতে চরম বিবাদ হয় এবং স্বামীর সঙ্গে রামপুর থেকে বুনিয়াদপুরে চলে আসেন রাতের বেলায় ওই গৃহবধূ।
কিন্তু গৃহবধূর স্বামী রাত ১২টা নাগাদ গৃহবধূকে তাঁর শ্বশুর বাড়ির সামনে ফেলে রেখে পালিয়ে যান। তারপর থেকেই শ্বশুরবাড়ির সামনে ধর্নায় বসে যান ওই গৃহবধূ। এখনও পর্যন্ত শ্বশুরবাড়ির সামনেই ধর্নায় তিনি। তবে এই বিষয়ে শ্বশুরবাড়ি কারও কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
দুর্গাপুজো (durga puja) কার্নিভালে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে (Raiganj) ষাঁড়ের তাণ্ডবে এক ব্যক্তির মৃত্যুর (death) পর, এবার দক্ষিণ দিনাজপুর (South Dinajpur) জেলা প্রশাসন রাস্তায় থাকা গরু (Cow), ষাঁড়ের (bull) বিষয়ে উদ্যোগ নিতে শুরু করেছে। বালুরঘাট পুর এলাকায় গরু, ষাঁড় শুয়ে থাকার কারণে পথচারীদের বিভিন্নভাবে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় নিত্যদিন। পাশাপাশি বেশ কিছু দুর্ঘটনার ঘটনাও ঘটেছে বলে অভিযোগ ওঠে। এবার এই সমস্ত মালিকবিহীন ষাঁড়দের এবং গরুদের রাস্তা থেকে সরাতে অভিযানে নামল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসন ও বালুরঘাট পুরসভা।
গরু মালিক, যারা গবাদি পশুদের রাস্তায় ছেড়ে রাখেন, তাঁদের মাইকিংয়ের মাধ্যমে সচেতন করেছে বালুরঘাট পুরসভা। বলা হয়েছে, তাঁদের গরু তাঁরা যেন বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যান। রাস্তাঘাটে অনেক গরু, ষাঁড়ের উপদ্রব নিরসনে এবার রবিবার রাতে অভিযানে নামে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসন, বন বিভাগ, বালুরঘাট পুরসভা। এদিন প্রথমেই এই সমস্ত গরুগুলিকে উদ্ধার করা হয়। এরপর সমস্ত নিয়ম মেনে এই গরু ও ষাঁড়গুলিকে খামারে রাখা হবে বলে বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান জানান।
বালুরঘাটের রাস্তা স্থানীয়দের জন্য সুরক্ষিত করতেই জেলা প্রশাসন ও বালুরঘাট পুরসভার এই উদ্যোগ বলে জানান তিনি।
দিদি নাকি মোদি কে এগিয়ে তা তো বোঝা যাবে ১১ ই আগস্ট রাখি বন্ধন উৎসবের (Rakhi bandhan festival) দিনেই। তবে আপাতত দুজনেরই চাহিদা রয়েছে বলেই জানা যায়। ভাবছেন কীসের কথা বলা হচ্ছে? ১১-ই আগস্ট রাখি বন্ধন উৎসব। এবছর বাজারে এসেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) ছবি দেওয়া রাখি। আর এই রাখির চাহিদা ভালোই রয়েছে বলে জানালেন বালুরঘাটের রাখি বিক্রেতারা। যদিও অন্য বছরের তুলনায় এবছর বিক্রি কিছুটা কম।
রাখি বন্ধন উপলক্ষে দক্ষিণ দিনাজপুরের (South Dinajpur) সদর শহর বালুরঘাটের নিউমার্কেট, ডানলপ মোড়, বাসস্ট্যান্ড-সহ বিভিন্ন এলাকায় রাখির পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। বিভিন্ন অলংকারিক রাখির পাশাপাশি রয়েছে বিভিন্ন রং-এর রাখি। বিশেষ বিশেষ রংয়ের রাখি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সাধারণত এই উৎসবকে কাজে লাগিয়ে ব্যবহার করে থাকে। এছাড়াও রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছবি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবি দেওয়া রাখি। তবে কে এগিয়ে তা কিন্তু খোলসা করে বলতে চাননি বিক্রেতারা।
বিক্রেতারা জানান, দুজনেরই চাহিদা রয়েছে বাজারে। তবে এখনও সেভাবে বিক্রি শুরু হয়নি, তাই বলা সম্ভব নয় বিক্রিতে কে এগিয়ে থাকবে। রাজনৈতিক নেতানেত্রীদের মুখ লাগানো রাখির বাইরে অন্য সাধারণ বা আলঙ্কারিক রাখি বেশি কিনতে আগ্রহী সাধারণ মানুষ।