বাড়ির বাইরে বেরোলেই তীব্র গরমে জ্বলে পুড়ে যাচ্ছে গা। ক্রমশ তাপমাত্রা যেন বেড়েই চলছে। সকাল হতেই দেখা মিলছে চাঁদিফাটা রোদ। আগামী বুধবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা। ছয় জেলায় চলবে চরম তাপপ্রবাহ। সেই সঙ্গে বইবে লু। তাই তীব্র তাপপ্রবাহের জেরে লাল সতর্কবার্তা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুুযায়ী, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূমে চরম তাপপ্রবাহের লাল সতর্কবার্তা জারি থাকবে রবিবার পর্যন্ত। ইতিমধ্য়ে ৪০ ডিগ্রি পেরিয়েছে কলকাতার তাপমাত্রা। স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে গিয়েছে। শুষ্ক পশ্চিমী হাওয়ায় গরম বাড়বে পশ্চিমের জেলায়। আগামীকাল, রবিবার আরও বাড়তে পারে তাপমাত্রা। শনিবার গরম ও অস্বস্তিতে কাটবে সারাদিন।
শনিবার কলকাতায় সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যেতে পারে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি বেশি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ২২ থেকে ৮৬ শতাংশ।
আজ থেকে শুরু হয়েছে লোকসভা নির্বাচন। প্রথম দফায় ভোটগ্রহণ চলবে জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে। যদিও দক্ষিণবঙ্গের তুলনায় উত্তরবঙ্গে গরমের মাত্রা অপেক্ষাকৃত কম। উত্তরে সামান্য় বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও দক্ষিণে নেই কোনও বৃষ্টির পূর্বাভাস। তাই দক্ষিণবঙ্গে আপাতত তীব্র দাবদহ সহ অস্বস্তিকর আবহাওয়া বজায় থাকবে।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গে ক্রমশ তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে বাড়বে আরও গরম। আগামী রবিবার পর্যন্ত তীব্র দাবদহে জ্বলবে দক্ষিণবঙ্গ। অন্য়দিকে বৃষ্টিতে ভিজবে উত্তরবঙ্গের উপরের পাঁচ জেলা। ভোটের আবহে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলেও, বৃৃৃষ্টিতে সামান্য় স্বস্তি পাবে মানুষ। তবে বৃষ্টিপাত হলেও এখনই গরমের হাত কিন্তু রেহাই পাবে না উত্তরবঙ্গবাসী। এমনটাই পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহওয়া দফতর। দার্জিলিং ,কালিম্পং ও জলপাইগুড়ি জেলাতে বজবিদ্যুৎসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। পাশাপাশি ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে দমকা ঝোড়ো হাওয়া।
সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ সঙ্গে কুয়াশার দাপট। বেলায় কুয়াশা কেটে গেলেও মিলছে না রোদের দেখা। অন্য়দিকে মেঘ কাটতে না কাটতেই পারদ নেমেছে পশ্চিমের জেলাগুলিতে। কনকনে শীত বাঁকুড়া, পুরুলিয়াতে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, রবিবার দক্ষিণবঙ্গের সাত জেলায় রয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনা। হালকা বৃষ্টি হতে পারে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম। এছাড়াও বৃষ্টি হবে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং হাওড়া জেলার কিছু অংশে। এদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, রবিবার মেঘে ঢাকা থাকবে উত্তর ও দক্ষিণ বঙ্গ সহ কলকাতার আকাশ। আগামী ২৪ ঘণ্টা আবহাওয়ার বিশেষ কোনও হেরফেরের সম্ভাবনা নেই। তবে সোমবার থেকে পরিস্থিতির বদল ঘটতে পারে। দেখা মিলতে পারে ঝলমলে রোদের। মঙ্গলবার থেকে ফের বৃষ্টির সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলাতে। হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে। ২৪ ও ২৫ শে জানুয়ারি বৃষ্টি একটু বাড়তে পারে। তবে দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলায় আংশিক মেঘলা আকাশ থাকলেও বৃষ্টির সম্ভাবনা কম।
উত্তরবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই থাকবে ঘন কুয়াশার দাপট। এছাড়াও একাধিক জেলায় চলছে তীব্র শৈত প্রবাহ। বিরাজ করছে ব্যাপক ঠান্ডা। দার্জিলিংয়ের উপরিভাগে এবং সিকিমে রয়েছে বৃষ্টি ও তুষারপাতের সম্ভাবনা। উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং এবং কালিম্পং এর পার্বত্য এলাকায় হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস। সব জেলাতেই কুয়াশার দাপট থাকলেও বেশি কুয়াশা হবে মালদহ এবং দিনাজপুরে।
নিম্নচাপের রেশ কাটতেই বঙ্গে প্রবেশ জাঁকিয়ে শীতের। ভোরবেলাতে কুয়াশায় মোড়া চাদর। বেলা বাড়তেই কুয়াশা কাটিয়ে মিঠে রোদ। কলকাতাতে তাপমাত্রা নেমে দাঁড়িয়েছে ১৪ ডিগ্রিতে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, শীতের মরসুমে এই প্রথমবার কলকাতার পারদ এতটা নেমেছে। সেক্ষেত্রে আজ অর্থাৎ বুধবার হল কলকাতার এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে শীতলতম দিন। এদিন কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্র ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা হেরফেরের বিশেষ কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী পাঁচ দিন দক্ষিণ বঙ্গের ক্ষেত্রে কোথাও কোনো বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। তীব্র শীতের সঙ্গে থাকবে শুষ্ক আবহাওয়া। তাপমাত্রার বিশেষ কোনো পরিবর্তন নেই। তবে রাতের দিকে কয়েকটি জেলায় তাপমাত্রা আরও কমে যেতে পারে। সেই সঙ্গে পশ্চিমের জেলাগুলির তাপমাত্রা নেমে দাঁড়াতে পারে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত সিকিম এবং উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং জেলার দু'একটি জায়গায় হালকা বৃষ্টি এবং তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার জেলায় হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বাকি জেলাগুলিতে শুকনো আবহাওয়া এবং হাড় কাঁপুনি শীত বজায় থাকবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
ভাদ্রের অস্বস্তিকর গরমে জেরবার দক্ষিণবঙ্গবাসী। সকাল থেকেই চড়া রোদ, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভ্যাপসা গরম। তবে এই পরিস্থিতি বদলাতে চলেছে শীঘ্রই। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বুধবার থেকে আবহাওয়া পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে। তুমুল বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে শনিবার পর্যন্ত বৃষ্টি চলবে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। তা উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ওড়িশা উপকূলের দিকে অগ্রসর হতে পারে। সেকারণেই বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে এ রাজ্য।
মঙ্গলবার বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে, উল্টে গরম বাড়বে। তবে বুধবার ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। কলকাতাতেও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। তবে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে একাধিক জেলায়। শনিবার পর্যন্ত পরিস্থিতি বজায় থাকবে।
উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ কমতে শুরু করবে। মঙ্গলে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে। অন্যদিকে, উত্তরে বুধবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে। বৃষ্টির সঙ্গে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বজায় থাকবে।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই কড়া রোদ। মাঝে মাঝে কালো মেঘের ছায়াও পড়ছে। তবে এদিন, বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। মঙ্গলে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৪ ডিগ্রির আশেপাশে।
মোকার কোনো প্রভাব বাংলায় না এলেও, সোমবার সন্ধ্যায় দাপট দেখালো কালবৈশাখী। সোমবার কালবৈশাখীতে রাজ্যের বলি ৮ জন। গোটা রাজ্য যখন তাপপ্রবাহ চলছে, তীব্র গরমে হাঁসফাঁস ছিল পরিস্থিতি, ঠিক তখন সোমবার বিকেলে হঠাৎ কালবৈশাখীর দেখা বঙ্গে। কলকাতার একাংশ সহ রাজ্যের দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে ঝড়ের সঙ্গে বৃষ্টির দাপট চলল সন্ধ্যা জুড়ে। যার জেরে এখনও অবধি বেশ ক্ষয়ক্ষতি ও ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২ জন ব্যারাকপুরে, ৩ জন হাওড়ায়, ১ জন পূর্ব মেদিনীপুর,১ জন পশ্চিম মেদিনীপুর ও একজন ঝাড়গ্রামে।
সোমবার সন্ধ্যায় ব্যারাকপুরে মঙ্গল পান্ডে পার্কে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন দুই প্রেমিক যুগল, হঠাৎ ঝড় আসে। ঝড়ে ওই পার্কের একটি গাছ উপড়ে যায়। ওই গাছেই চাপা পড়েন ওই প্রেমিক যুগল। খবর পেয়ে ব্যারাকপুর কমিশনারেটের পুলিস, ডিএমজি, বিপর্যয় মোকাবিলা দল এসে গাছ কেটে তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করে চিকিৎসক। জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম কৌশিক ঢালি। ওদিকে এ ঘটনায় এখনও সুস্থ ওই যুবতী।
ওদিকে ব্যারাকপুরের মোহনপুর থানার অন্তর্গত জাফরপুর চালবাজার এলাকার স্বামী-স্ত্রী সরস্বতী বিশ্বাস ও অরুণ বিশ্বাস। দোকান থেকে ফেরার পথে নারকেল গাছ চাপা পড়েন দুজনেই, ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সরস্বতীর।
হাওড়ার বোটানিক্যাল থানা এলাকার এক জায়গায় বিদ্যুতের ছেড়া তারে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ১২ বছরের খুশবু যাদবের। হাওড়ার বাগনানে গাছ চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে রজনী প্রসাদ নামের ৪৫ বছরের এক মহিলার। উলুবেড়িয়ায় রামচন্দ্র মন্ডলের মৃত্যু হয়েছে ঝড়ে ঘরের দেওয়াল চাপা পড়ে।
পাশাপাশি পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট ব্লকের থানার শ্রীধরবসান এলাকায় ইলেকট্রিক পোস্ট পড়ে মৃত্যু শেখ আশরাফ খানের। ওদিকে ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ির সিমলা গ্রামে গাছ পড়ে মৃত্যু হয়েছে সনকা মহন্তের। বাজে পড়ে মৃত্যু হযেছে বেলপাহাড়ির আরও এক বৃদ্ধা মালতি মুর্মুর।
দক্ষিণ ২৪ পরগনায় জেলা শাসকের কার্যালয়ে গাছ ভেঙে বিপত্তি। এক ব্যক্তি আহত হয়, তাকে বাঙ্গুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এছাড়া ঝড়ের তান্ডবে আহতের সংখ্যাও নেহাত কম নয়।
ঝড়ের দাপটের রেহাই পায়নি রেলস্টেশনও। একদিকে যখন শিয়ালদহে দশ নম্বর স্টেশনের শুরুর দিকে একটি শেড ঝড়ে উড়ে যায়, অন্যদিকে তখন শর্ট সার্কিট হয়ে ট্রেন লাইনের একাংশে আগুন লাগে কোলাঘাট স্টেশনে। যার জেরে বেশ কিছুক্ষণ বন্ধ ছিল ওই লাইনের ট্রেন চলাচল। আতঙ্কের সৃষ্টি হয় গোটা স্টেশনে। যাত্রীরা কোনো রকমে প্রাণে বাঁচেন।
সকাল থেকেই পরিষ্কার আকাশ (Clear sky)। গরমে নাজেহাল অবস্থা শহরবাসীর। বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার আপাতত বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই দক্ষিণবঙ্গে (South Bengal) এমনটাই জানিয়েছে আলিপুর হাওয়া অফিস। বেলা বাড়তেই লু বইতে পারে গোটা দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে। যার কারণে তাপমাত্রা কিন্তু ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের দোরগোড়ায় পৌছবে বলে অনুমান। বাঁকুড়া, বর্ধমান, বীরভূম, ও উত্তর-পশ্চিমের জেলাগুলিতেও তাপপ্রবাহের (Heatwave) সর্তকতা জারি রয়েছে। মোকার (Moka) পরোক্ষ প্রভাবেই তীব্র তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে গোটা বঙ্গ জুড়ে এমনটাই দাবি আলিপুর আবহাওয়া দফতরের।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে থাকবে। গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি বেশি। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের থেকে দুই ডিগ্রি বেশি ছিল। ফলে আপেক্ষিক আর্দ্রতার সর্বোচ্চ পরিমাণ ছিল ৮৬ শতাংশ ও সর্বনিম্ন ৩২ শতাংশ।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা বেশি থাকায় অস্বস্তিকর আবহাওয়া বজায় থাকবে। মোকার প্রভাবে যেটা মনে করা হচ্ছিল যে, ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, সেটা কিন্তু এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে ল্য়ান্ডফল হবে বাংলাদেশ কিংবা মায়ানমারে। অর্থাৎ তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হচ্ছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যেরকম গরম ও শুষ্ক হাওয়া সেটা কিন্তু প্রভাব ফেলছে যার ফলে মানুষের অস্বস্তি বাড়ছে।
অবশেষে অবরোধ (Agitation) প্রত্যাহার কুড়মিদের (Kurmi)। দীর্ঘ ৫ দিন রাজ্য সড়ক পথ, রেল পথে অবরোধ করেন তাঁরা। কুড়মিদের অবরোধের জেরে দক্ষিণবঙ্গে (South Bengal) চরম তাপে ভোগান্তি হচ্ছিল সাধারণ মানুষের। তাঁদের আন্দোলনের জেরেই দক্ষিণ-পূর্ব শাখায় ৫ দিনে প্রায় ৪৫০টি ট্রেন বাতিল হয়। চরম দুর্ভোগের শিকার হয় সাধারণ মানুষ থেকে নিত্যযাত্রীরাও। অবশেষে রবিবার সকাল থেকে অবরোধ-আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন তাঁরা। কিন্তু খেমাশুলিতে এখনও অবরোধ বহাল রয়েছে। আরপিএফ-এর বিশাল বাহিনী পথে নেমেছে সেখানে।
সূত্রের খবর, রাজ্য সরকারের গাফিলতির অভিযোগ তুলে রেল ও সড়ক পথ অবরোধ করেন তাঁরা। দক্ষিণ-পূর্ব ডিভিশনে খড়গপুরে ও আদ্রাতে বিভিন্ন জায়গায় অবরোধ করেন তাঁরা। আরও জানা গিয়েছে, খেমাশুলি, কুস্তাউর, সহ বাঁকুড়াতেও চলে অবরোধ। রবিবার কুড়মি সমাজের স্পষ্ট দাবি, মানুষের কথা ভেবে অবরোধ প্রত্যাহার করলাম, কিন্তু আন্দোলন চলবে। এছাড়া তাঁরা আরও জানান, রাজ্যের প্রস্তাব মানছেন না তাঁরা। নিজেরাই এই অবরোধ প্রত্যাহার করলাম।
সূত্রের খবর, রাজ্যের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগে কুড়মি সমাজের বেশ কয়েকটি সংগঠন, প্রতিবাদে পথে নেমেছিল। এই কুড়মি সমাজের একটি সংগঠনের পক্ষে কৌশিক মাহাতোর দাবি, '১৯৫১ সালে আমাদের এই জাতিকে উপজাতি কোটা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়, কোনও কারণ ছাড়াই। সেই জন্য ২০১৫ সালে আমরা সরকারের বিরুদ্ধে একটি আন্দোলন গড়ে তুলি।' কৌশিক বুধবার সিএন-ডিজিটালকে জানান, 'রাজ্যের একটি সিআরআই রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এর পরবর্তী প্রক্রিয়ায় উপজাতি লিস্টে নথিভুক্ত করতে পারে কেন্দ্র সরকার। আন্দোলনের পরে ২০১৭ সালে সেই সিআরআই রিপোর্ট রাজ্যের তরফে পাঠানো হয়, সেই রিপোর্টে অনেক গাফিলতি আছে।'
কুড়মি আন্দোলনে অংশ নেওয়া এক আন্দোলনকারীর অভিযোগ, 'রাজ্যের গাফিলতির জন্য এই রিপোর্টটা ভুল গিয়েছে এবং তাদের গাফিলতির জন্যই বিষয়টা পিছিয়ে যাচ্ছে।' সূত্রের খবর, গত বছর, ২০২২ সালে সেপ্টেম্বর মাসে কুড়মি সমাজ আন্দোলনে নেমেছিল। কিন্তু সেসময় সরকারের প্রতিশ্রুতিতে অবরোধ ও আন্দোলন তুলে নেন তাঁরা। বুধবার কুড়মি আন্দোলনের এক নেতা শ্রীকান্ত মাহাতো বলেন, 'রাজ্য সরকার সেপ্টেম্বর মাসে বলেছিল ৩ মাসের মধ্যে সিআরআই রিপোর্টটা ঠিক করে পাঠিয়ে দেওয়া হবে, কিন্তু তারপর থেকে ৬ মাস হয়ে গেল পাঠায়নি। এভাবে ৬ বছর আমাদের অবহেলা করছে রাজ্য।'
বঙ্গ থেকে এখনই বিদায় নয় শীতের (Winter)। সকাল থেকে আকাশ পরিষ্কার এবং রাজ্যজুড়েই ফের শীতের আমেজ। দক্ষিণবঙ্গে (South Bengal) আগামী পাঁচ দিন শুষ্ক পরিষ্কার আবহাওয়া (Weather) থাকবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। রাতের তাপমাত্রা গত কয়েক দিন ধরে বেশ খানিকটা কমেছে। বর্তমানে স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি আবার কোথাও কোথাও তিন ডিগ্রি কমেছে। আগামী দিন তিনেক তাপমাত্রার তেমন কোনও পরিবর্তন নেই বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
৬ ফেব্রুয়ারি থেকে আবার রাতের তাপমাত্রা ২ থেকে ৪ ডিগ্রি বাড়বে। কলকাতা বা তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫.২ ডিগ্রি। উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে তাপমাত্রা খুব একটা উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন নেই বলে জানিয়ে দিয়েছে মৌসম ভবন। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে সকালের দিকে হালকা কুয়াশা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ৬-৭ তারিখ নাগাদ দার্জিলিং ও কালিম্পং-এ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। এছাড়া উত্তরবঙ্গে শুষ্ক ও পরিষ্কার আবহাওয়া থাকবে।
এক দিনের মধ্যেই কলকাতায় এক ধাক্কায় পারদ নেমেছে ৩ ডিগ্রি। বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে আগামী ২ দিনে তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমতে পারে।
রাস্তার বেহাল দশায় (Bad Road Condition) প্রতিনিয়ত সমস্যায় পড়তে হচ্ছে পথচলতি সাধারণ মানুষদের। পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া-সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনা (So0uth 24 Pargana) জেলার সুকদেবপুর গ্রামেরও একই অবস্থা। স্থানীয়দের দাবি, বাম আমল থেকে আজ পর্যন্ত রাস্তার একই ছবি দেখছেন এলাকার মানুষ জন। বারবার জানিয়েও কোনও সুরাহা মেলেনি। সামনেই ভোট আর তার আগেই রাস্তা পেতে মরিয়া এই দুই জেলার মানুষজন।
পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার (Pashkura) নস্কর দীঘি থেকে শিমুল হাণ্ডা পর্যন্ত মোরাম রাস্তার দীর্ঘদিন বেহাল দশা। বেশ কয়েকটি গ্রামের চাষী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষজন এই রাস্তাতে যাতায়াত করে। এমনকি মারুতি মেশিনভ্যান-সহ বিভিন্ন চার চাকা গাড়িও যাতায়াত করে এই রাস্তায়। বর্ষার সময় বড় বড় গর্ত হয়ে হাঁটু সমান জল দাঁড়িয়ে থাকে রাস্তায় উপর। প্রশাসনকে বারবার জানিয়েও মেলেনি কোনও সুরাহা। অন্যদিকে ঠিক একই অবস্থা দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুকদেবপুর গ্রামে। দীর্ঘদিন ধরে ইটের রাস্তা সংস্করণ না হওয়ায় রাস্তা খানাখন্দে ভরা। সুকদেবপুর গ্রামের রাস্তার উপর দিয়ে গুমুখবাড়িয়া, খোলাপুকুর বাজার, নারায়ণপুর, মনোহরপুরের বহু মানুষ যাতায়াত করেন।
এই রাস্তার জেরে প্রায় ঘটে চলে দুর্ঘটনা। একাধিকবার প্রশাসনিক মহলে জানিয়েও মেলেনি সুরাহা। এলাকাবাসীদের দাবি, আগে বহুবার প্রশাসন মহলে দরখাস্ত জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। ভোট আসে ভোট যায়, জনপ্রতিনিধিরা রাস্তা সরাইয়ের প্রতিশ্রুতিও দেয়। তবে ভোট গেলেই আর কোনও প্রতিনিধিই সমস্যার সমাধান করে না।
তবে এবার সামনেই পঞ্চায়েত ভোট তার আগেই রাস্তা ঠিক করতে হবে জনপ্রতিনিধিদের।
বছর শেষে হাড়কাঁপানো ঠান্ডার বদলে এবার শীত (winter) প্রায় নেই বললেই চলে। ক্রীসমাস ইভ (Christmas Eve)-এর সন্ধ্যায় শীতপোশাকের দেখা ছিল না বললেই চলে। শনিবার দুপুর থেকেই ফের ঊর্ধ্বমুখী তাপমাত্রা (temperature)। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, তামিলনাড়ু (Tamil Nadu) উপকূলে বঙ্গোপসাগরের উপর একটি সিস্টেম রয়েছে এবং রবিবার একটি উচ্চচাপ বলয় তৈরি হবে বঙ্গোপসাগরে। এর ফলে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প ঢুকবে রাজ্যে। আগামী দু-একদিনেই রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকায় লাফিয়ে বাড়বে তাপমাত্রা। এই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল ২০০৪ সালে। বুধবার থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন হবে। ২৯ ও ৩০ ডিসেম্বর ন্যূনতম তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রির কম থাকতে পারে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।
উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টা অর্থাৎ ২৮ ডিসেম্বর বুধবার সকালের মধ্যে সবকটি জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। তবে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় হিমালয় সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গে কোনও কোনও জায়গায় হাল্কা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকতে পারে। তবে বুধবার থেকে পরপর ৩-৪দিন তাপমাত্রা ২-৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো হ্রাস পেতে পারে।
এদিকে দক্ষিণবঙ্গের ক্ষেত্রে পূর্বাভাসে জানানো হয়েেছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টা অর্থাৎ ২৯ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের সর্বত্র আবহাওয়াও শুকনো থাকবে। তবে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলির কোনও কোনও জায়গায় হাল্কা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকতে পারে। বুধবার এরপর ৩-৪ দিন তাপমাত্রা ২-৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো হ্রাস পেতে পারে।
কলকাতা ও আশপাশের এলাকার পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় আংশিক মেঘলা আকাশ। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৯ ও ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে।
বছর শেষে হাড়কাঁপানো ঠান্ডার বদলে এবার শীত (winter) প্রায় নেই বললেই চলে। ক্রীসমাস ইভ (Christmas Eve)-এর সন্ধ্যায় শীতপোশাকের দেখা ছিল না বললেই চলে। শনিবার দুপুর থেকেই ফের ঊর্ধ্বমুখী তাপমাত্রা (temperature)। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, তামিলনাড়ু (Tamil Nadu) উপকূলে বঙ্গোপসাগরের উপর একটি সিস্টেম রয়েছে এবং রবিবার একটি উচ্চচাপ বলয় তৈরি হবে বঙ্গোপসাগরে। এর ফলে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প ঢুকবে রাজ্যে। আগামী তিন থেকে চারদিন রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকায় লাফিয়ে বাড়বে তাপমাত্রা। কলকাতা সহ পুরো রাজ্যে রবিবার, সোমবার এবং মঙ্গলবার তাপমাত্রা অনেকটাই বেশি থাকবে।
হাওয়া অফিস সূত্রে আরও খবর, ২৯ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত উত্তর পশ্চিম, মধ্য ও পূর্ব ভারতের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি পর্যন্ত কমতে পারে। ফলে বছরের শেষে কিছুটা হলেও ফিরতে পারে শীতের আমেজ। তবে এদিকে, এক ধাক্কায় তিন ডিগ্রি তাপমাত্রা বেড়ে গিয়েছে কলকাতায়। রাজ্যজুড়েই ঊর্ধ্বমুখী পারদ। বড়দিনে দার্জিলিংয়ে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা। ঘন কুয়াশার দাপট উত্তরবঙ্গে। দক্ষিণবঙ্গেও হালকা কুয়াশা থাকলেও, বেলা বাড়তেই পরিষ্কার হবে আকাশ।
ডিসেম্বরের ১৫ তারিখ থেকেই জাঁকিয়ে শীতের আমেজে মেতে উঠবেন শহরবাসী, এমনই ইঙ্গিত দিয়েছিল আবহাওয়া দফতর (Meteorological Department)। বেশকিছুদিন শীতের আমেজ থাকলেও বড়দিনে (christmas) তা আর থাকবে না বলেই মনে করছেন আবহবিদরা। বড়দিনের আনন্দ মাটি হতে চলেছে। শুক্রবার দুপুরের পর থেকেই তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করবে। গরমেই কাটবে এবারের বড়দিন এমনই পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বিপরীত ঘূর্ণাবর্তের কারণেই আবহাওয়ার এই পরিবর্তন বলে জানিয়েছেন আবহবিদরা। একেই ফের করোনার বাড়বাড়ন্তে চিন্তার ভাঁজ আমজনতার কপালে, তার ওপরে শীত গায়েব হয়ে যাওয়ার খবরে হতাশ বাঙালী।
উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির ক্ষেত্রে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, শনিবার থেকে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। ২৫ তারিখের পর তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা অর্থাৎ ২৪ ডিসেম্বর শনিবার সকালের উত্তরবঙ্গের সর্বত্র আবহাওয়া শুকনো থাকবে। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারের কোনও কোনও জায়গায় হাল্কা থেকে মাঝারি কুয়াশা দেখা দিতে পারে। পাশাপাশি উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর ও মালদহে ঘন কুয়াশা দেখা দিতে পারে বলেও সতর্ক করা হয়েছে। আচমকা হারিয়ে যাওয়া শীত ফেরায় খুশি উত্তরবঙ্গবাসী।
এদিকে, দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির ক্ষেত্রে জানানো হয়েছে, শুক্রবার বিকেল থেকেই তাপমাত্রা বাড়বে। তাই বড়দিনে আর জাঁকিয়ে শীত পড়ার সম্ভাবনা নেই। দিন এবং রাত উভয়ের তাপমাত্রাই বাড়তে শুরু করবে। বৃহস্পতিবার থেকেই কুয়াশার দেখা মিলেছে আকাশে। শুক্রবার সকালেও কুয়াশাচ্ছন্ন ছিল আকাশ। শুক্রবার কলকাতা শহরের তাপমাত্রা রয়েছে ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আর কিছুদিন পরই বড়দিনের (Christmas) উৎসবের মেতে উঠবেন রাজ্যবাসী। প্রায় ৬ থেকে ৭ মাস সহ্য করতে হয় প্যাঁচপ্যাঁচে গরম। তবে বছরের শেষ ও শুরুতে বাঙালীরা শীতের (winter) আমেজে মেতে উঠেন। কিন্তু সেই মাস তিনেকও যদি গরমে অনুভূতি হয় তাহলে বলুন তো কেমন লাগবে? রাজ্যের তাপমাত্রা আপাতত উর্দ্ধমুখী হতে চলেছে, এমনটাই জানিয়েছেন আবহবিদরা। আবহবিদরা জানিয়েছেন, এবছরের শীতে সেই কনকনে ভাব নেই, রোদ পোহানোর সেই বিষয়টি নেই। বড়দিনে এবার রীতিমতো ঘামতেও হতে পারে কলকাতাবাসীদের। পূর্বাভাস জানানো হয়েছে, বড়দিনে শহরের তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রিতে পৌঁছতে পারে। আগামী পাঁচদিন বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। এদিকে, আগামী দুদিন ঘন কুয়াশার (fog) আচ্ছাদনে ঢাকা পড়তে চলেছে মালদহ (Maldah) ও দুই দিনাজপুর।
দক্ষিণবঙ্গের ক্ষেত্রে জানানো হয়েছে, রবিবার ও সোমবার ১৯-২০ ডিগ্রিতে চড়তে পারে কলকাতার পারদ। দক্ষিণবঙ্গের উপকূলের জেলা-সহ বেশ কিছু জেলাতে সকালের দিকে হালকা কুয়াশা পড়তে পারে। তবে বেলা হলেই পরিষ্কার হবে আকাশ। সপ্তাহান্তের দিকে কোথাও কোথাও আংশিক মেঘলা আকাশের সম্ভাবনাও রয়েছে। আগামী ৫দিন মূলত পরিষ্কার থাকবে দুই বঙ্গের আকাশ, বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। শুক্রবার থেকেই হতে চলেছে এই হাওয়া বদল। মূলত, বঙ্গোপসাগরে বিপরীত ঘূর্ণাবর্তের জেরে জলীয় বাষ্প ঢুকবে ওই দিন থেকে। ফলে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের তাপমাত্রা ক্রমশ বাড়বে। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে আগামী কয়েকদিন তিন জেলায় ঘন কুয়াশার দাপট থাকবে।
আবহবিদরা আগেই জানিয়েছিলেন, ডিসেম্বরের ১৫ তারিখের পর থেকে রাজ্যে পড়বে জাঁকিয়ে ঠাণ্ডা। আর সেইমতই পৌষের শুরু থেকে ঠাণ্ডা (winter) হাওয়া সঙ্গেই জাঁকিয়ে শীত পড়তে শুরু করেছে রাজ্যে। জেলায় জেলায় ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে পারদ পতন। কলকাতা (Kolkata) সহ আশপাশের জেলাগুলির তাপমাত্রা (temperature) ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও নিচে নেমেছে। রবিবার শহরের তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি ছিল। তবে অন্যান্য কয়েকটি জেলার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রিতেও নেমেছিল। আবহবিদদের পূর্বাভাস অনুযায়ী ১৫ তারিখ থেকেই শীতের আগমন হয়েছে রাজ্যে। রবিবার মেঘলা আকাশ সঙ্গেই রোদের তেজ ছিল না। সেইরকমই সোমবারও সকাল থেকে শীত অনুভূত হচ্ছে। সঙ্গেই মেঘলা আকাশ। উত্তুরে হাওয়ার দাপটেই এই পারদ পতন বলে জানিয়েছে আবহবিদরা। আগামী ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাপমাত্রার এই পারদ পতন জারি থাকবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
এদিকে, উত্তরবঙ্গেও পাল্লা দিয়েই পারদ নিম্নমুখী জারি। দার্জিলিংয়ের তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, কালিম্পং ও কার্শিয়ায়ের তাপমাত্র ৭ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যেই রয়েছে। শীতের ছুটির মুখে তাপমাত্রার এই পতন পর্যটকদের আরও ভিড় বাড়াবে বলে মনে করছে হাওয়া অফিস। অন্যদিকে জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি সহ একাধিক জেলায় বাধাহীন উত্তুরে হাওয়া ঢুকতে শুরু করেছে।
দক্ষিণবঙ্গের কোথাও আবার নেমে গিয়েছে ১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা। শ্রীনিকেতনের তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব এবং পশ্চিম বর্ধমানের তাপমাত্রা নেমে গিয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তবে শহর কলকাতার তাপমাত্রা গতকালের চেয়ে ১ ডিগ্রি বেড়েছে।