
গোসাবার মন্মথনগরে পুকুরে ঢুকে পড়ল কুমির (Crocodile)। আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) গোসাবা থানার অন্তর্গত বিপ্রদাসপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মন্মথনগরে। স্থানীয় সূত্রে খবর, সন্তোষ বর্মন নামে এক ব্যক্তির পুকুরে ঢুকে পড়ে কুমিরটি। গোটা ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় পুরো গ্রামে।
জানা গিয়েছে, হঠাৎ গ্রামবাসীদেরই কয়েকজন লক্ষ্য করেন, সন্তোষের বাড়ি লাগোয়া, তাঁর পুকুরের পাড়ে, একটি বিশাল কুমির শুয়ে রয়েছে। আতঙ্কে শিউরে উঠলে সম্বিৎ হারাননি তাঁরা। দ্রুত খবর পাঠান গোসাবা রেঞ্জে। কিন্তু গ্রামবাসীদের আওয়াজে কুমিরটি পুকুরের জলে নেমে নেমে পড়ে। স্থানীয়দের দাবি, মন্মথনগর গ্রামের পাশ দিয়েই বয়ে গিয়েছে বিদ্যাধরী নদী। সেই নদী থেকে উঠেই সম্ভবত মন্মথনগর গ্রামের মধ্যে ঢুকে পড়েছিল কুমিরটি। খবর পেয়ে গোসাবা রেঞ্জের কর্মীরা পৌঁছন সেখানে। কুমিরটিকে উদ্ধার করার চেষ্টা করছেন তাঁরা। যতক্ষণ পর্যন্ত তার হদিশ না মিলছে, আতঙ্কে রয়েছেন গ্রামের মানুষ।
ফাঁকা জমি থেকে উদ্ধার হল অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির (Dead Body) দেহ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) সোনারপুরের বিদ্যাধরপুর এলাকার ঘটনা। ঘটনাস্থলে পুলিস (Police) এসে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার সকালে গরু বাঁধতে এসে ওই ব্যক্তির দেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। তারপরেই স্থানীয়রা খবর দেন পুলিসকে।
পুলিস সূত্রে খবর, উদ্ধার হওয়া ওই ব্যক্তির দেহের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। এমনকি ওই ব্যক্তিকে গর্ত থেকে তুলতেই দেখা যায়, তাঁর গলার নলিকাটা ও মাথার পিছনের দিকে থেতলানো অবস্থায় রয়েছে। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, ওই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে খুন করা হয়েছে। খুন করার পরে বাইরে থেকে দেহ এনে এখানে ফেলে দেওয়া হয়েছে। তবে ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
চলন্ত ট্রেন থেকে এক নার্সের মোবাইল (Phone) ছিনতাই। ছিনতাইবাজদের (Snatching) বাধা দিলে গলা টিপে মারধরও করে তরুণীকে। এমনকি মোবাইল উদ্ধার করতে চলন্ত ট্রেন থেকেই ঝাঁপ তরুনীর। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বর্তমানে ক্যানিং (South 24 Parganas) মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই তরুণী। ঘটনার তদন্তে রেল পুলিস।
জানা গিয়েছে, ওই তরুণী পেশায় একজন নার্স। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ক্যানিং হাসপাতাল থেকে কাজ সেরে আপ ক্যানিং শিয়ালদহ লোকালে চেপে সোনারপুরের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন তিনি। ট্রেন মাতলা হল্ট স্টেশনে ঢুকতেই তরুণীর ফোন ছিনিয়ে নিয়ে পালায় এক দুষ্কৃতী। কিন্তু পালানোর সময় ছিনতাইবাজের হাত ধরে ফেলেন তিনি। বেগতিক বুঝে ছিনতাইবাজ আরেক হাত দিয়ে ওই তরুণীর গলা চেপে ধরে। ফলে দুষ্কৃতীর হাত ছেড়ে দেন তিনি। হাত ছাড়তেই চলন্ত ট্রেন থেকে লাফ দিয়ে পালায় অভিযুক্ত। কিন্তু হাল ছাড়েননি তরুণী। মোবাইল উদ্ধার করতে তিনিও চোরের পিছনে চলন্ত ট্রেন থেকে লাফ দেন। কিন্তু উদ্ধার করেতে পারেননি ফোন।
রেল পুলিস সূত্রে খবর, চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে গুরুতর জখম হন ওই তরুণী। শেষ পর্যন্ত সহযাত্রীদের সহযোগিতায় তাঁকে উদ্ধার করে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে।
স্ত্রীকে খুনের (Death) অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। পরকীয়া সম্পর্কের প্রতিবাদ করার কারণেই এই খুন। ঘটনাটি ঘটেছে সোনারপুর (South 24 Parganas) থানা এলাকার মানিকপুরে। অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার (Arrest) করেছে সোনারপুর থানার (Sonarpur Police) পুলিস। ধৃতকে শনিবার বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, মৃত স্ত্রীর নাম মীনা দেবনাথ (৫৫)। ৩৫ বছর আগে প্রেম করে অশোক দেবনাথকে বিয়ে করেছিল মীনা। অভিযুক্ত অশোক দেবনাথ মানিকপুরের বাসিন্দা। তাঁদের এক ছেলে ও মেয়ে রয়েছে। মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে এবং ছেলে কর্মসুত্রে নিউটাউনে থাকেন।
প্রতিবেশী সূত্রে জানা গিয়েছে, মীনা দেবনাথকে বুধবার তাঁরা দেখেছেন। তারপরে আর তাঁর সঙ্গে কারও দেখা হয়নি। তবে বুধবার স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ব্যাপক ঝামেলা হয়েছিল। প্রতিবেশীদের দাবি, প্রতিবেশী এক গৃহবধুর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন অশোক দেবনাথ। মূলত এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ব্যাপক ঝামেলা হয় বুধবার। তারপরে আর মীনার কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি। শনিবার ভোররাতে বাড়ির পিছনের জঙ্গলের মধ্যে মীনা দেবীর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন এক ব্যক্তি। পরে ওই ব্যক্তি প্রতিবেশী একজনকে ডেকে নিয়ে গিয়ে দেহটি দেখান। এরপরই খবর দেওয়া হয় সোনারপুর থানায়।
ঘটনায় মীনা দেবীর দাদা নিত্যগোপাল দেবনাথ সোনারপুর থানায় অশোক দেবনাথের বিরুদ্ধে খুনের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি জানান, 'প্রায়ই মারধর করা হত বোনকে। এমনকি তাঁদের সঙ্গেও সম্পর্ক রাখতে দিত না।' এই ঘটনায় সোনারপুর থানার পুলিস জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলে অশোকের বয়ানে কিছু অসঙ্গতি পায়। শেষ পর্যন্ত পুলিসের কাছে স্ত্রীকে খুনের কথা স্বীকার করেন অভিযুক্ত।
কিশোরী ছাত্রীকে (Student abuse) নগ্ন করে শারীরিক পরীক্ষার প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে গৃহ শিক্ষকের বিরুদ্ধে। দক্ষিণ ২৪ পরগণার (South 24 Parganas) কুলতলির শানকিজাহান এলাকার ঘটনা। গৃহ শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় (kultali Police) অভিযোগ দায়ের করে ওই ছাত্রী। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম গোপাল নস্কর। এলাকায় তিনি গোপাল মাস্টার নামেই পরিচিত।
ছাত্রীর অভিযোগ, তিন বছর ধরে ওই গৃহ শিক্ষকের কাছে টিউশন পড়ছিল ছাত্রী। গত কয়েক মাস ধরেই গৃহশিক্ষক বিভিন্নভাবে তকে কুপ্রস্তাব দিচ্ছিলেন। তবে গত কয়েকদিন ধরে তা আরও চরমে ওঠে। আরও অভিযোগ, টিউশন পড়তে গেলে তাকে আলাদা ঘরে বসানো হতো। সেখানেই তাঁর শরীরের বিভিন্ন অংশ স্পর্শ করতেন ওই গৃহ শিক্ষক। এমনকি বেশ কয়েকবার তাঁকে জড়িয়ে ধরে চুম্বনও করেন ওই গৃহ শিক্ষক, এমনটাই অভিযোগ।
ছাত্রীর আরও অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাকে নগ্ন করে বডি চেকআপের জন্য জোর করে শিক্ষক। এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে সেখান থেকে তড়িঘড়ি বেরিয়ে বাড়িতে ফেরেন ওই ছাত্রী। এই পুরো বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের কাছে জানান। ছাত্রীর বাবার অভিযোগ, বারে বারে মেয়ের কাছে ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ করেছে। কখনও গোলাপ দিয়ে, আবার কখনও হাত জড়ো করে মেয়েকে কুপ্রস্তাবও দিয়েছে। আবার এই বিষয়ে কাউকে জানালে মেয়ের নামে দুর্নাম ছড়িয়ে দেওয়ার ভয়ও দেখিয়েছেন ওই গৃহ শিক্ষক। এমনকি মারধর করারও হুমকি দিতেন ওই শিক্ষক।
ছাত্রীর বাবার দাবি, এমন ঘটনা যে কোনওদিন ঘটাতে পারে ওই শিক্ষক তা তিনি ভাবতেও পারেননি। এমনকি ওই শিক্ষকের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন, তিনি। ছাত্রীর করা অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। তবে ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত ওই গৃহ শিক্ষক।
পানীয় জলের (Drinking Water) সঙ্কটে মহেশপুরের (Maheshpur) গ্রামবাসী। কল আছে, কিন্তু কলে জল নেই। পানীয় জল থেকে বঞ্জিত থাকায়, হাহাকার করছেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের একটা দাবি 'জল চায়'।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা বাসন্তী ব্লকের ভরতগড় গ্রাম পঞ্চায়েতে ৪নং ভরতগড় মহেশপুর গ্রামের বাসিন্দারা পানীয় জলের জন্য় বিক্ষোভ করেন। বহু দূর থেকে জল আনতে গিয়ে ভীষণ সমস্য়ায় পড়ছেন গ্রামবাসীরা। চার বছর ধরে খারাপ হয়ে আছে কল। বার বার প্রশাসনকে জানানো হলেও প্রশাসন এ ব্য়াপারে কোনো গুরুত্ব দেয়নি। এমনকি বাসন্তী গ্রামের বিডিও এবং ভরতগড় গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান-কেও জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। তবে কোনও সুরাহা মেলেনি। সেইকারণে গ্রামবাসীরা সকলে মিলে চাঁদা তুলে খারাপ হওয়া কল সারাই করেন। কিন্তু কল সারানোর ২৪ ঘণ্টার মধ্য়েই আবার খারাপ হয়ে যাচ্ছে কল।
গ্রামের বাসিন্দা দেবানন্দ দাস জানান, টিউবওয়েলগুলো সব অকেজ হয়ে রয়েছে। ৫-৬ টি কল থাকা সত্ত্বেও জল নেই। জলের জন্য় ৪-৫ কিমি গিয়ে জল আনতে হয় তাঁদের।
আশেপাশে গ্রামগুলিতে শোয়ালো বসানোয় জলের সমস্য়া হচ্ছে।
ভোটের আগে নেতারা এলেও কোনও সহয়তা মেলেনি। এমনকি বাড়ি বাড়ি টিউবওয়েল দেওয়া হলেও জল আসেনি। গ্রামবাসীদের দাবি, শোয়ালোগুলো বন্ধ করা হোক। জল দেওয়ার আশ্বাস দিয়েও কোনোরকম জলের ব্য়বস্থা করা হয়নি এখনও পর্যন্ত। জলের আশায় গোটা গ্রামবাসী।
পুকুরে কুমির (Crocodile)! পুকুর ঘিরে রয়েছেন উৎসুক স্থানীয়রা। দিগম্বর (South 24 Parganas) পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রামনগর আবাদ এলাকার ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে খবর, এলাকার এক মহিলা গরুকে ওই পুকুরে জল খাওয়াতে নিয়ে যায়। পুকুরে গিয়ে ওই মহিলা দেখেন পুকুরেরে পাড়ে শুয়ে আছে কুমির। তৎক্ষণাৎ চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন তিনি। চিৎকার শুনে এলাকার প্রচুর মানুষ পুকুরের কাছে ভিড় করেন কুমিরটিকে দেখার জন্য।
জানা গিয়েছে, পুকুরটির মালিক বাসুদেব ঘোড়া। বনদফতর এবং ঢোলাহাট থানায় খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে এলাকার সিভিক ভলেন্টিয়ারও পুকুরের কাছে আসে। বনদফতরের কর্মীরা পুকুরের জাল দেওয়া শুরু করেন। প্রথমে জাল থেকে বেরিয়ে যায় কুমিরটি। তবে দ্বিতীয়বারে অতি সাহসিকতার সঙ্গে জলে ডুবে কুমিরটিকে ডাঙ্গায় তোলেন দুই বনকর্মী।
বন দফতর সূত্রে খবর, কুমিরটি আনুমানিক ৫ ফুট লম্বা। কুমিরটিকে ধনচি অথবা ভাগবতপুর এলাকায় ছেড়ে দেবে বলে জানিয়েছেন বনদফতরের আধিকারিকরা। কুমিরটি ধরা পড়ায় বেশ খুশি এলাকার মানুষজন। এমনকি স্থানীয়রা ধন্যবাদও জানিয়েছেন বনদফতরের আধিকারিকদের।
বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ (Blast)। ঘটনায় মৃত্যু (Death) হল অন্তত ৩ জনের। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) মহেশতলায়। জনবসতিপূর্ণ এলাকা হওয়ায় বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় দমকল বাহিনী এবং মহেশতলা ও বজবজ থানার পুলিস (Police)। জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম লিপিকা হাতি(৫২), শান্তনু হাতি(২২) এবং আলো দাস(১৭)।
স্থানীয়রা জানান, সোমবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ মহেশতলা পুরসভার ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের পুটখালী মণ্ডলপাড়ায় একটি বাজি কারখানাতে বিস্ফোরণটি হয়। তাতেই ওই বাজি কারখানার মালিকের স্ত্রী-পুত্র এবং এক প্রতিবেশীর নাবালিকা মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। তখনই এলাকাবাসীরা পুলিস ও দমকল কর্মীকে খবর দেয়।
পুলিস সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই দেহগুলি উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তিনটি দেহ ময়নাতদন্তের জন্য বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আপাতত আগুন নিয়ন্ত্রণে বলেই খবর। তবে এই দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে উঠছে নানান প্রশ্ন। এমন ঘন জনবসতি এলাকায় বাজি কারখানা করা যায় না। যদিও এ নিয়ে এখনই প্রশাসনের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
খালের জলে ভেসে ওঠে এক শিশুর দেহ (Child Death Body)। দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Pargana) উস্থি থানার (Usthi Police) লালপোল এলাকার ঘটনা। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় উস্থি থানার পুলিস। শিশুর দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ডায়মন্ড হারবারে পাঠায় পুলিস। এই মর্মান্তিক ঘটনায় গোটা এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
জানা গিয়েছে, মৃত শিশুর নাম আফফান লস্কর। জয়নগর থানার ধপধপি এলাকার বাসিন্দা। স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার বাবা-মায়ের সঙ্গে উস্থিতে মামার বাড়িতে এসেছিল আফফান। শনিবার বিকেলে ডায়মন্ড হারবারের মগরাহাটের ক্রিক খালের পাশে খেলতে যায় সে। খেলার সময় অসাবধানতায় খালের জলে পড়ে তলিয়ে যায় বছর ২ এর আফফান লস্কর। সেই সময়ই খালে জোয়ারের টান থাকায় নিমেষেই জলের স্রোতে তলিয়ে যায় ২ বছরের শিশু। পরে আফফানের খোঁজে খালের জলে তল্লাশি শুরু করে তাঁর পরিবার।
পরে খবর দেওয়া হয় উস্থি থানার পুলিসকে। উস্থি থানার পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে ডায়মন্ড হারবারের মগরাহাট খালে তল্লাশি অভিযান শুরু করলেও খোঁজ মেলেনি ওই শিশুর। এরপর রবিবার সকালে ওই খালের মধ্যেই ভেসে ওঠে শিশুটির দেহ। ইতিমধ্যেই দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ডায়মন্ড হারবারে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে এমন মর্মান্তিক ঘটনায় শোকাহত গোটা এলাকা।
রাস্তা-ব্রিজের সঙ্গেই এবার জল সংকট (Water Problem)। মন্দিরবাজার ব্লকের কেচারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রামভদ্রপুর গ্রামের মাঝেরপাড়া (Majherpara) এলাকায় দীর্ঘদিন জল সংকটে ভুগছেন এলাকাবাসী। এই এলাকার মানুষদের সবচেয়ে বড় সমস্যা পানীয় জল। এলাকায় কল না থাকায় পানীয় জল আনতে যেতে হয় প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে উত্তরপাড়া এবং দক্ষিণপাড়ায়। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ভোট আসলেই জনপ্রতিনিধিরা জলের কল বসানোর প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি আজও বাস্তবায়িত করতে পারেনি কেউ।
স্থানীয়দের আরও অভিযোগ, রামভদ্রপুর অবৈতনিক বিদ্যালয়ে রয়েছে একটিমাত্র ডিপ টিউব কল। কিন্তু আয়রনের জন্য সেই জলও খাওয়া যায় না। আবার কখনও এই কলে উঠে আসছে ঘোলা-নোংরা জল। যা কোনওভাবেই খাওয়ার উপযুক্ত নয়। শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা, সবদিনই উত্তর এবং দক্ষিণ পাড়ার পানীয় কলের উপরে নির্ভর করতে হয় এই মাঝেরপাড়ার ১০০-১৫০ পরিবারকে।
তাঁদের দাবি, এত দূর থেকে জল আনতে বড় সমস্যায় পড়তে হয়। অনেক সময় পুকুরের জলই তাঁদের ব্যবহারের অন্যতম মাধ্যম হয়ে ওঠে। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে পুকুরের জলের স্তর কমে যাওয়ার ফলে প্রতিনিয়ত সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় মাঝেরপাড়ার মানুষদের। দাবি, পঞ্চায়েত ভোটের আগেই যেন তারা জল পরিষেবা পায়।
যদিও এই বিষয়ে বিরোধীদের দাবি, জল নিয়ে রাজনীতি করছে শাসক দল। ভোট আসলেই বলে কল পাইয়ে দেবে। আর ভোটে জেতার পর খোঁজ মেলে না এই সমস্ত জনপ্রতিনিধিদের। তাই এবার কল নিয়ে তারা আন্দোলনে নামবে গ্রামবাসীদের নিয়ে। এই ইস্যুকে হাতিয়ার করে এবার ভোট লড়বে বিজেপিও।
বিরোধীদের এই কথায় তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি বিশ্বনাথ হালদার জানান, 'জল নিয়ে রাজনীতি করা যায় না। তৃণমূল কেচারপুরে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় আছে। তাহলে কি কেচারপুরের কলের জল বিরোধীরা খায় না?' তিনি আরও বলেন, 'ইতিমধ্যেই কলের টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এমনকি পঞ্চায়েত ভোটের আগেই কাজ শুরু হবে।'
বিপুল পরিমাণে গাঁজা(weed) উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেফতার ৩। ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়ক ধানকলের ঘটনা। ঘটনার তদন্তে বিষ্ণুপুর থানার পুলিস। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় ২৫ কেজি গাঁজা। যার বাজারমূল্য এখন প্রায় লক্ষাধিক টাকা। অভিযুক্তদের আলিপুর আদালতে পেশ করেছে পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। তখনই বিহার থেকে এই বিপুল পরিমাণে গাঁজা নিয়ে মগরাহাটের উদ্দেশে যাচ্ছিল ওই তিন ব্যক্তি। যার মধ্যে একজন গাড়িচালক ও দু'জন মিডল ম্যান। গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় ২৫ কেজি গাঁজা। যার বাজারমূল্য লক্ষাধিক টাকা। পুলিস আরও জানায়, আন্তঃরাজ্য মাদক পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত এই তিন অভিযুক্ত।
প্রাথমিক তদন্তে অভিযুক্তরা জানায়, মগরাহাটের বাবুর আলীর কাছে এই গাঁজা নিয়ে যাচ্ছিলো তাঁরা। তার আগেই বিষ্ণুপুর থানার পুলিস ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কে ধানকল থেকে তাদের গ্রেফতার করে।
কৈখালী থেকে কলকাতায় ফেরার পথে এক 'পুলিসকর্মী'র গাড়ির ধাক্কায় (Kultali Accident) আহত দুই। আহতদের মধ্যে এক শিশু (Child Injure)-সহ কিশোরীও রয়েছে। দু'জনকেই কলকাতার এক হাসাপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, কুলতলী থানার কালীতলা এলাকার এই ঘটনায় সোমবার সকালেও চাঞ্চল্য। স্থানীয়দের দাবি, দুর্ঘটনার পর ঘাতক গাড়ির ড্রাইভারের সিটে বসে থাকা ব্যক্তি নিজেকে কুলতলী থানার পুলিস (Police Car) বলে দাবি করেন। তিনি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন এবং কৈখালীর দিক থেকে এসে প্রবল বেগে গাড়ি নিয়ে ধাক্কা মারেন ওই দুই পথচারীকে।
এদিকে দুর্ঘটনার পর এলাকাবাসী দু'জনকে উদ্ধার করে প্রথমে জামতলা হাসপাতাল নিয়ে যায়, দু'জনেরই অবস্থার অবনতি হলে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে। দু'জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, ঘাতক গাড়িতে পুলিস লেখা স্টিকার এবং নিজেদেরকে কুলতলী থানার পুলিস পরিচয় দেন গাড়িতে থাকা দু'জন।। ক্ষিপ্ত জনতা গাড়িটি আটকে রাখেন। কুলতলী থানার পুলিস গিয়ে গাড়ি-সহ দু'জনকে উদ্ধার করেন।
পরিবার সূত্রে দাবি, দু'জন খাবার কিনে ফিরছিল, তখন পিছন দিক থেকে বেসামাল একটি গাড়ি তাদের ধাক্কা মারে। আহত একজনের নাক এবং মুখ ফেটে গিয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের।
এমজি এনআরজিএস কাজে ১ নম্বরে নাম পঞ্চায়েতের (Panchayet)। কিন্তু সেই পঞ্চায়েতে এমন এক পাড়া রয়েছে, যেখানে নেই কোনও পাকা রাস্তা (road)। বাম আমল থেকেই এক ফুট রাস্তায় ইট ফেলে যাতায়াত করছেন প্রায় একশো-দেড়শো মানুষ। তবে বর্তমানে শাসক দলের নেতাদের সমস্যার কথা জানিয়েও মেলেনি কোনও সুরাহা। যাতায়াতের জন্য পাড়ার মানুষদের ধার করতে হয় ব্যক্তিগত রাস্তা (private road)। কিন্তু এভাবে আর কতদিন? এই প্রশ্নই এখন স্থানীয়দের মনে।
মগরাহাট (Magrahat) এক নম্বর ব্লকের একতারা গ্রাম পঞ্চায়েত। যোগারিয়া সরদার পাড়া, শতাধিক পরিবার রয়েছে এখানে। বাম আমলে রাস্তা হলেও আজও সংস্কার হয়নি। পাড়ায় কোনও পাকা রাস্তা নেই। দেউলা বাস মোড়, হটুগঞ্জ মোড় কিংবা ডায়মন্ড হারবার যেতে গেলে এই খানাখন্দ ভরা রাস্তা দিয়ে যেতে হয়। পাকা রাস্তা বলতে ভিতরে ইট পড়েছে মাত্র একশো মিটার। তা আবার বহু আগের, বাকিটা মাটির রাস্তা। বর্ষাকালে বড় সমস্যা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বাম আমলে ইট পড়েছিল, সেই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করলেও পাড়ার বাকি রাস্তাটা পুরো মাটির। গ্রীষ্ম-শীত তো তাও ঠিক আছে, কিন্তু বর্ষাকালে এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। প্রতি বছর বর্ষাকালে হাঁটু অবধি জল জমে এই রাস্তায়। সেই সময় স্কুল যাওয়াও বন্ধ হয়ে যায় এলাকার পড়ুয়াদের। শুধু তাই নয়, নিত্যদিন যাতায়াতও তখন বন্ধ হয়ে যায়। প্রতিটা মুহূর্তে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় প্রত্যন্ত এলাকার মানুষদের। একাধিকবার পঞ্চায়েত প্রধান থেকে শুরু করে বিডিও, এসডিও সবাইকে জানিয়ে মেলেনি সুরাহা। পাড়ায় এখনও কোনও রাস্তাই হয়নি।
ফলে গ্রামের মানুষের যাতায়াতের জন্য রাস্তা ধার করে যেতে হয় দেউলা, হটুগঞ্জ, ডায়মন্ডহারবার-সহ একাধিক এলাকায়। এমনকি, স্থানীয় কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের কোলে তুলে নিয়ে যেতে হয়। পাড়ায় ঢোকে না কোনও অ্যাম্বুলেন্স (Ambulance), কোনও যানবাহন। সমস্যায় বহু মানুষ, কবে মিটবে এই সমস্যা জানেন না কেউই।
ফের রাজ্যে উদ্ধার একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র (firearms)। বীরভূমের (Birbhum) নানুরে আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেফতার (arrest) ১ দুষ্কৃতী। নানুর থানার তরফ থেকে জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পাওয়ার পর সোমবার ভোররাতে নানুর থানার অন্তর্গত বেনেড়া গ্রামে হানা দেয় পুলিস। সেখানে জেরমান শেখ ওরফে জেরায়ের বাড়িতে পুলিস (police) তল্লাশি চালায়। সেখানে দুটি দেশি বন্ধুক এবং একটি ৭.৬৫ বন্দুক উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। এই সকল বন্দুক উদ্ধার করার পাশাপাশি পুলিসের তরফ থেকে মোট ৯ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। ধৃত ব্যক্তিকে সোমবার আদালতে তোলা হবে।
অন্যদিকে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রবিবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগণার বকুলতলা থানার পুলিস বাইজবাটির পূর্বপাড়া এলাকা থেকে এক ব্যক্তিকে অস্ত্র-সহ গ্রেফতার করে। ধৃত ব্যাক্তির নাম বাপি সরদার। ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার হয় একটি লং ব্যারেল পাইপগান, একটি শর্ট পাইপগান ও এক রাউন্ড তাজা কার্তুজ। ধৃত কী কারণে অস্ত্র মজুত করেছিল সেই নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। ধৃতকে আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে বকুলতলা থানার পুলিস।
আবারও বাঘের (tiger) আতঙ্ক পাথরপ্রতিমায় (Pathar Pratima)। রাতভর আতঙ্কে (panic) ঘুম উড়ে যায় স্থানীয়দের। প্রাণ যাওয়ার ভয়ে ঘরবন্দী দশা প্রায় সকলেরই। রাতভর ঘুম ভেঙে পাহারারত অবস্থা। শেষমেষ তা হাতেনাতে ধরাও পড়ে। তবে একি কাণ্ড! দিনের আলো পড়তেই চক্ষুচড়কগাছ এলাকাবাসীদের। কী এমন ঘটল?
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার পাথরপ্রতিমার গঙ্গাপুর এলাকায় বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে বাঘের আতঙ্ক ছড়ায়। এলাকার বাসিন্দা উত্তম জানার মুরগি ঘরে হঠাৎ করে দেখা যায় একটি জন্তুকে। মুরগির চিৎকারে ঘুম ভেঙে উঠে পড়েন বাড়ির সদস্যরা। তাঁরা দেখতে পান বিরাট আকৃতির এক জন্তু সেখানে ঘুরছে। রাতের অন্ধকারে চোখ জ্বলজ্বল করছে। ভয়ে, আতঙ্কে চিৎকার-চেঁচামেচি করতে থাকেন তাঁরা।
তাঁদের আওয়াজ শুনে এলাকার লোকজন দৌড়ে আসেন। মূহুর্তের মধ্যেই ঘিরে ফেলে এলাকাটি। এমনকী মুরগির খামারের চতুর্দিকে জাল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়। তবে স্থানীয়দের চিৎকারে এদিকে জন্তুটিও গা ঢাকা দিয়েছে। শেষমেষ খবর যায় বন দফতরে। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি বনদফতরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। এরই মধ্যে ফুটে ওঠে দিনের আলো। আর দিনের আলো ফুটতেই যেন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন সকলেই। আলোতেই বোঝা যায় রাতভর যে জন্তুটি তাঁদের ঘুম উড়িয়েছে তা আসলে বাঘ নয়, বরং একটি আস্ত বাঘরোল।