বাড়ির মধ্যে লুকোনো ছিল লোহার খাঁচা। সেখান থেকে উদ্ধার হল ময়ূর ও বাজপাখি। পলাতক সেই বাড়ির মালিক। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বকুলতলা থানা এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিস সূত্রে খবর, ওই বাড়ির মালিকের নাম জিয়াউল হক খান। পেশায় একজন ইমারতি দ্রব্যের ব্যবসায়ী। বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বকুলতলা থানার পুলিস জয়নগর ২ নম্বর ব্লকের বাইশহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের পাতপুকুর এলাকার জিয়াউল হক খানের বাড়িতে হানা দেয়।
পুলিসকে দেখেই অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে পালিয়ে যায় জিয়াউল হক খান। তারপরে বাড়ির দোতলার একটি ঘরে ঢুকতেই চক্ষু চড়ক গাছ পুলিসের। ঘরে লুকোনো একটি লোহার খাঁচার মধ্যে রয়েছে ময়ূর ও বাজপাখি। এরপর খবর দেওয়া হয় বনদফতরকে। সেই লোহার খাঁচা থেকে ময়ূর ও বাজপাখিকে উদ্ধার করে বকুলতলা থানায় নিয়ে আসে পুলিস।
শুক্রবার বনদফতরের হাতে ময়ূর ও বাজপাখিটি তুলে দেয় বকুলতলা থানা পুলিস। পাশাপাশি জিয়াউল হক খানের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিস। ঠিক কি উদ্দেশ্যে ময়ূর ও বাজপাখি বাড়ির মধ্যে খাঁচাবন্দী করে রেখেছিল জিয়াউল? সে কি ইমারতী দ্রব্য ব্যবসার আড়ালে কোনও পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত? সে সমস্ত জানতে তদন্ত শুরু পুলিস।
গ্রামের পুকুরের মধ্যে ঢুকে পড়ল একটি কুমির (crocodile)। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক ছড়ালো এলাকায়। শনিবার, এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা (South 24 Parganas) জেলার কাকদ্বীপ থানার ফটিকপুর এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে কাকদ্বীপ থানার পুলিস ও বনদফতরের কর্মীরা।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার সন্ধ্যায় একজন গ্রামবাসী বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় গ্রামের ঢালাই রাস্তাতে দেখতে পান একটি কুমির শুয়ে রয়েছে। লাইট মারার সঙ্গে সঙ্গে কুমিরটি রাস্তার পাশে থাকা গৌরহরি শাসমলের পুকুরে নেমে যায়। তারপর ওই ব্য়ক্তির চিৎকার চেঁচামেচি শুনে গ্রামবাসীরা ছুটে আসেন। খবর দেওয়া হয় বনদফতর ও কাকদ্বীপ থানায়। শনিবার দিন রাতেই ঘটনাস্থলে আসে কাকদ্বীপ থানার পুলিস।
এরপর ওই পুকুরের পাশে থাকা একটি গাছে লাইট বেধে, তা জ্বালিয়ে দিয়ে গ্রামবাসীরা ও পুলিস কর্মীরা রাতে পাহারা দেয়। রবিবার, সকালবেলায় বনদফতরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে ওই পুকুরটিতে তল্লাশি চালায়। পুকুরটিতে জাল ফেলা হয় এবং বোম ফাটানো হয়। কিন্তু কুমিরটিকে আর দেখা যায়নি।
গ্রামবাসীদের অনুমান, বজ্রপাত সহ প্রবল বৃষ্টি হওয়ার কারণে কুমিরটি অন্যত্র চলে গিয়েছে। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে গ্রামবাসীদের মধ্যে।