রাজ্যে শুরু হয়েছে ২০২৪-এর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। আর উচ্চমাধ্যমিকের দ্বিতীয় পরীক্ষার ঠিক আগের রাতে শব্দদূষণে কেঁপে উঠলো নিউটাউন সিটি সেন্টার টু এলাকা। প্রতিবাদ করায় চলল ব্যাপক মারধর।
জানা গিয়েছে, নিউটাউনের বিশ্ববাংলা সরণির পাশেই একটি বিয়ে বাড়ি উপলক্ষে গভীর রাত পর্যন্ত চলছিল শব্দবাজির তাণ্ডব। এছাড়াও এই বাজির আগুনের ফুলকি ছড়িয়ে পড়ছিল পাশের একটি অভিজাত আবাসনে। আবাসনের আবাসিকরা এই ঘটনার প্রতিবাদ করলে, বিয়ে বাড়ির লোকজন আবাসনের গেট দিয়ে ভিতরে ঢুকে নিরাপত্তারক্ষী ও আবাসিকদের মারধর করেন বলে অভিযোগ।
এই ঘটনায় গভীর রাতেই ইকোপার্ক থানায় অভিযোগ দায়ের করেন আক্রান্ত আবাসিকরা। অভিযোগের ভিত্তিতে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে তদন্তে নেমেছে ইকো পার্ক থানার পুলিস।
শব্দ দূষণ (Sound Pollution) নিয়ন্ত্রণে কী পদক্ষেপ প্রশাসনের? রাজ্য সরকার (Mamata Government) এবং পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ড বা দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের (Pollution Control Board) কাছে জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে এই মর্মে করা জনস্বার্থ মামলায় এই রিপোর্ট তলব আদালতের। জানা গিয়েছে, এই জনস্বার্থ মামলায় উল্লেখ, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, কেন্দ্র-রাজ্য সরকারের গাইডলাইন এবং পরিবেশ আদালতের নির্দেশকেও মানা হচ্ছে না। বেপরোয়াভাবে চলছে শব্দ দূষণ। এই বিধিভঙ্গে রাজ্য সরকার এবং পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ড কী পদক্ষেপ নিয়েছে? সেই মর্মেই রিপোর্ট পেশের নির্দেশ প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চের।
মামলায় অভিযোগ, 'কেন্দ্র, রাজ্য এবং সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইন এবং পরিবেশ আদালতের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রাজ্যজুড়ে যথেচ্ছ ভাবে বাজানো হচ্ছে ডিজে, লাউড স্পিকার, মাইক্রোফোন ইত্যাদি।' এই মামলার প্রেক্ষিতেই আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে রাজ্য সরকার এবং পালিউশন কন্ট্রোল বোর্ডকে হলফনামা জমা দিয়ে জানাবে কী কী পদক্ষেপ এযাবৎকাল গ্রহণ করা হয়েছে। কীভাবে তাঁরা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ-সহ কেন্দ্র এবং রাজ্যের বিজ্ঞপ্তি কার্যকর করেছে। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সুপ্রিম কোর্টের ২০০৫ সালে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধি ২০০০ সালে লাগু হয়েছে। এই মর্মে রাজ্য সরকারের বিজ্ঞপ্তি আছে ২০০৯ সালে।
এবার হাইকোর্টের নির্দেশ, রাজ্যকে জানাতে হবে কলকাতা পুরসভা এলাকায় এই ঘটনার প্রেক্ষিতে কতগুলো অভিযোগ জমা পড়েছে। পুলিস কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, সেটাও হলফনামায় উল্লেখ করতে হবে। ৩ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি।