Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

SoumitraChatterjee

AI: 'বার্বি' উত্তম-সুচিত্রা, 'ওপেনহাইমার' সৌমিত্র, AI-এর সাধুবাদে নেট দুনিয়া

কয়েক দিন আগেই শিল্পী অনিকেত মিত্র স্বর্ণ যুগের তারকাদের মহাভারতের নানা চরিত্রে সাজিয়েছিলেন। সাহায্য নিয়েছিলেন AI অর্থাৎ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের (Artificial Intelligence)। আবারও এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্য নিয়ে স্বর্ণ যুগের অভিনেতারা হয়ে উঠলেন সাম্প্রতিক হলিউড সিনেমার চরিত্রে। বর্তমানে সিনেমা হলগুলিতে দাপিয়ে ব্যবসা করছে দুটি সিনেমা, বার্বি এবং ওপেনহাইমার। এই সিনেমা যদি বাংলাতে হত, কারা অভিনয় করতেন?


আসল 'বার্বি' সিনেমায় মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী মার্গট রবি। ওই সিনেমাতেই 'কেন'এর চরিত্রে অভিনয় করেছেন, রায়ান গসলিং। অন্যদিকে 'ওপেনহাইমার' সিনেমায় নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন কিলিয়ান মরফি। বর্তমানে এই তিনটি চরিত্রেই, বাংলার তিন স্বর্ণ যুগের অভিনেতাদের ছবি ভাইরাল হয়েছে। একটি ছবিতে দেখা গিয়েছে, 'বার্বি'র চরিত্রে সুচিত্রা সেনকে। আরেকটি ছবিতে দেখা গিয়েছে, কেন-এর চরিত্রে উত্তম কুমারকে। 'ওপেনহাইমার'-এর চরিত্রে ভাইরাল হয়েছে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের ছবি।


এই কর্মকাণ্ডের পিছনে রয়েছেন, ঋদ্ধিরাজ পালিত। তাঁর সামাজিক মাধ্যমের পেইজ, 'গ্রাফিক রাজ' থেকে পোস্ট করেছিলেন ছবিগুলি। নেটিজেনরা আপাতত এই ছবি নিজেদের প্রোফাইলে শেয়ার করছেন। সম্মতি জানাচ্ছেন, চরিত্রের এই নির্বাচনকে। যেমন বার্বি ও কেনের চরিত্রে বাংলা সিনেমা জগতের রোম্যান্টিক অভিনেতা অভিনেত্রী উত্তম-সুচিত্রাকে যথার্থ মানিয়েছে। অন্যদিকে ওপেনহাইমারের মতো বুদ্ধিদীপ্ত চরিত্রে যথার্থ মানিয়েছে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে। নেটিজেনরা বলছেন, এমন যদি হত, তাহলে ভালোই হত।


9 months ago
Soumitra: বাঙালির অপুর ৮৮ বছর, জানুন সত্যজিত এবং সৌমিত্রর সেলুলয়েডের রসায়ন

প্রসূন গুপ্ত: বিশ্ববরেণ্য সত্যজিৎ রায় কখনও সিনেমার সঙ্গে আপস করতে নিজের ভাবনার বাইরে যাননি। একেক ছবিতে একেক রকম চরিত্র। কিন্তু এই সত্যজিতের, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের উপর একটা দুর্বলতা ছিল। তাঁর ছবিতে সৌমিত্র সবথেকে বেশি প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন। বাংলা সিনেমার মানিকবাবুর মানসপুত্র ছিলেন বড় পর্দার 'অপু'। এমনটাই কানাঘুসো টলিপাড়ায়। অনেকে বলেন, এমন অনেক ছবি ছিল যেখানে হয়তো সৌমিত্রের বিকল্প ছিল। কিন্তু মানিকবাবু মনে করতেন সৌমিত্রের বিকল্প হয় না। সৌমিত্রকে আবিষ্কারও সত্যজিতেরই 'অপুর সংসার' দিয়ে। এরপর আরও ১৩টি, সব মিলিয়ে ১৪টি ছবিতে সৌমিত্র কাজ করেছেন সত্যজিত রায়ের সঙ্গে। এক ফেলুদা ছাড়া আর অন্য কোনও ছবিতে সৌমিত্রের চরিত্রের একটির সঙ্গে অপরটির কোনও মিল পাওয়া যায়নি।

সৌমিত্র জীবদ্দশায় তা বারবার স্বীকার করে বলেছেন যে, মানিকদা তাঁর জীবনের দ্বিতীয় পিতা, যিনি হাতে ধরে সৌমিত্রকে তৈরি করেছেন। অপুর সংসারে এক অভাগা দরিদ্র যুবক, দেবীতে জমিদারি আমলের এক বিদ্রোহী নাস্তিক, সমাপ্তিতে এমন এক যুবক যে নিজের মর্জিতে চলতে চায়। অভিযানে এক ট্যাক্সি ড্রাইভার অসামাজিক কাজে যুক্ত হতে গিয়েও ফিরে আসে নিজের আদর্শে। চারুলতার অমল যেন রবি ঠাকুরের ক্ষুদ্র সংস্করণ। কাপুরুষ-মহাপুরুষে এ এক কাপুরুষ যুবক, যে জীবন বোধে পরাজিত। অরণ্যের দিনরাত্রিতে এক উচ্চাভিলাসী বোহেমিয়ান যুবক।

এরপর সত্যজিৎ রঙিন ছবি তৈরি করেন এই সৌমিত্রকে নিয়েই। যদিও তাঁর একসময়ের রঙিন ছবি ছিল কাঞ্চনজঙ্ঘা (এতটাই পয়সা খরচ হয়েছিল যে ইচ্ছা থাকলেও রঙিন ছবি করতে পারেননি)। ছবি অশনি সংকেত, এই ছবিতে সৌমিত্রকে দিয়ে স্বাধীনতা পূর্বে এক পুরোহিতের চরিত্রে কাজ করিয়েছিলেন। এবার পরপর দুটি ফেলুদা, সোনার কেল্লা ও জয়বাবা ফেলুনাথ। যেখানে ফেলুদার চরিত্রে সৌমিত্র ছাড়া কাউকে ভাবতে চাননি সত্যজিৎ। এরপর এলো গুপীবাঘার দ্বিতীয় পর্ব হীরক রাজার দেশে। এখানে সৌমিত্র এক বিপ্লবী পণ্ডিত, যে একনায়ক রাজার বিরুদ্ধে লড়াই করেন। ফের রবীন্দ্রনাথ ও সত্যজিৎ।

ছবি করলেন ঘরে-বাইরে। এই ছবিতে সৌমিত্র এক ভণ্ড স্বাধীনতা সংগ্রামী। এরপর অসুস্থ হয়ে পড়েন সত্যজিৎ। কিছুটা সুস্থ হয়ে করলেন একেবারে ইনডোর শুটিংয়ে গণশত্রু, যেখানে সৌমিত্র এক ডাক্তার, যিনি অসামাজিকতার বিরুদ্ধে লড়াই  করেন। এই জুটির শেষ ছবি শাখা-প্রশাখা। এক উচ্চ শিক্ষিত মানুষ যিনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন।

কাজেই সৌমিত্রর জীবনে এত ধরনের চরিত্র এক বিশ্ববন্দিত পরিচালকের সঙ্গে কাজ করে তিনি খাঁটি সোনা থেকেছেন বাংলা চলচ্চিত্রে। আজ বাঙালির অপুর ৮৮ বছর পূর্ণ হল।


one year ago