বাগুইআটি-কাণ্ডে (Baguiati Murder Case) নিহত দুই ছাত্রের মধ্যে একজনের মাদকের নেশা ছিল। রবিবার এক দলীয় সভার এই বেফাঁস মন্তব্য করে বসলেন সাংসদ সৌগত রায় (Sougata Ray)। তিনি বলেন, 'এই ক'দিন আগে যে দু'জন খুন হয়েছে, তাঁদের বাড়ি গিয়েছিলাম। বাবা-মা দুঃখ করছিলেন। অপরাধীদের ধরা হয়েছে। সাজা নিশ্চয় পাবে। আমি শুনলাম দু'জনের মধ্যে অন্তত একজনের ড্রাগসের (Drug Addict) নেশা ছিল। ১৬ বছরের বাচ্চা ছেলে এন-১০ বলে একটা ট্যাবলেট খেত। ৫০ হাজার টাকা একটা মোটর বাইক কেনার জন্য কোথা থেকে পেল? ছেলেরা ভুল পথে যাচ্ছে।'
যদিও তদন্তের আগে এহেন কথা কীভাবে একজন জন প্রতিনিধি বলছেন? এই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এই প্রসঙ্গে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, 'কপিবুক মন্তব্য। যেভাবে মুখ্যমন্ত্রী হাঁসখালি-কাণ্ডে মন্তব্য করেছিলেন, সেভাবেই মুখ্যমন্ত্রীকে খুশি করলেন সৌগত রায়। উনি নিজে কেমন? কারণ নিজের ক্যারেক্টার সার্টিফিকেট নিজেকে দেওয়া যায় না।'
কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য জানান, সব ব্যাপারে সৌগত রায়ের মন্তব্যের কী আছে? যারা তদন্ত করছেন, তাঁরা বুঝবেন। সৌগত রায় একজন প্রবীণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মুখ খোলার কী আছে।'
একধাপ এগিয়ে বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ জানান, বোঝা যাচ্ছে সৌগত রায়ের বাহাত্তর পেরিয়েছে, এবার একটু রাঁচি থেকে ঘুরে আসুন।
তৃণমূলের (TMC) সবাই চোর বললে এবার বিরোধীদের পিঠে তাল পড়বে। শুক্রবার দমদমের (Dumdum) এক সভায় এই মন্তব্য করেছেন সাংসদ সৌগত রায় (MP Sougata Ray)। পাশাপাশি সত্যের অপলাপ করে সিএন চ্যানেল (CN Channel)। আমরা ইচ্ছে করলে ওদের অফিসটাই বন্ধ করে দিতে পারি। এমন হুমকির সুর শোনা গিয়েছে প্রবীণ সাংসদের গলায়। আর দমদমের সাংসদের এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে আসরে বিরোধী শিবির। বিজেপি (BJP) সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'ওরা গণতন্ত্রে কতটা বিশ্বাস করে জানি না। কিন্তু গণতন্ত্রে সংবাদ মাধ্যম খবর দেখাবে এবং মত প্রকাশ করবে। এই স্বাধীনতা সংবাদ মাধ্যমের আছে। এই মুহূর্তে চতুর্থস্থানে সম্ভবত সিএন আছে। বাংলার জনগণ সিএন দেখে এবং সিএন-র সঙ্গে আছে।'
পাশাপাশি এদিন সুকান্ত মজুমদার আরও বলেন, 'শুধু সৌগত রায় নয়, তৃণমূলের বিভিন্ন নেতারা এই ধরনের কথা বলছে। উনারা চুরি করছেন, রাহাজানি করছেন আর যে সংবাদ মাধ্যম এগুলো দেখাচ্ছে, তাদেরকে একথা বলা হচ্ছে। আপনারা অসুরক্ষিত মনে করলে আইনি পথে যেতে পারেন।'
এদিন বিজেপি সভাপতি সৌগত রায়ের তৃণমূলের সবাইকে চোর বলবেন না... প্রসঙ্গ টেনে বলেন, 'রাগ শুধু ওদের ছেলেদের হয়, এমন নয়। আমাদের ছেলেদেরও হয়। সৌগতবাবুর বয়স হয়েছে। এখন উনার অবসর নেওয়া উচিৎ।'
দমদমের সাংসদের মন্তব্য প্রসঙ্গে কংগ্রেসের তরুণ মুখ আশুতোষ চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'আমার জানা নেই কোন অধ্যাপক কোনও নিউজ চ্যানেল এভাবে বন্ধ করেছে। আমার মনে হয় আপনারা সৌগত রায়কে ভালো করে দেখাচ্ছেন না। প্রেসের কাজ সত্যিটা সত্যি দেখানো আর মিথ্যাকে মিথ্যা দেখানো। এতে কারও গাত্রদাহ হচ্ছে তাই এই মন্তব্য।'
শুক্রবার দমদমের এক অনুষ্ঠানে ক্যালকাটা নিউজ (Calcutta news) বা সিএন চ্যানেলের নাম উল্লেখ করে কার্যত হুমকি দেন দমদমের সাংসদ (MP Sougata Ray)। তিনি অনুষ্ঠানমঞ্চে দাঁড়িয়ে বলেন, 'এখানে একজন সিএন-র উপস্থিত আছে। সিএন-র মতো সত্যের অপলাপ করে এমন চ্যানেল আমি দেখিনি। এই চ্যানেলের মালিকরা থাকে বিরাটি, ইচ্ছে করলে অফিসটা বন্ধ করে দিতে পারি। কিন্তু আমরা একাজে বিশ্বাস করি না।'
ফের বিস্ফোরক তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় (Sougata Ray)। শুক্রবার দমদমের এক অনুষ্ঠানে বিরোধীদের পিঠে তাল পড়ার প্রসঙ্গ টেনেছেন এই প্রবীণ সাংসদ (TMC MP)। তিনি বলেন, 'আপনারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে বলুন কোনও আপত্তি নেই। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) সম্বন্ধে বলুন, কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু ভুল করে একথা বলবেন না, তৃণমূল সবাই চোর। তাহলে পিঠে তাল পড়লে দুঃখ করবেন না। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে কুৎসা করবেন না। দুর্নীতির রানী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata) এসব বললে আমাদের ছেলেরা রেগে যায়। রেগে গেলে মানুষের মাথা ঠিক থাকে না, কী করবে আমরা বলতে পারছি না। সিপিএম, বিজেপি সবাইকে এ কথা বলে যাচ্ছি।'
গণতন্ত্রে আপনারা অন্যভাবে প্রচার করুন, দেশে আইন আছে, আপনারা আইনি ব্যবস্থা নিন। দোষ হলে এমন একটা ভাব যে তৃণমূল পচে গিয়েছে, এটা নয়। এভাবেও দমদমের অনুষ্ঠানে সরব ছিলেন সৌগত রায়।
এই প্রসঙ্গে অম্বিকেশ মহাপাত্র বলেন, 'নির্বাচনে জিতে আসার পর থেকে তৃণমূলের লক্ষ্য গণতন্ত্র হত্যা করা। এরকম বহু ঘটনা আছে, যেমন আমার ঘটনা, তানিয়া ভরদ্বাজ, বরুণ বিশ্বাস, শিলাদিত্য চৌধুরী, তপরন দত্ত খুনের প্রসঙ্গ আছে। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী বারবার বলেছেন, কোন চ্যানেল দেখতে হবে, কোন চ্যানেলে দেখাতে হবে, অর্থাৎ দলতন্ত্র কায়েম করে, যেনতেন প্রকারে ক্ষমতায় থাকা লক্ষ্য। তাতে মোটেও ব্যতিক্রম নয় অধ্যাপক সৌগত রায়। তবে ভারতের সংবিধানে গণতন্ত্রের কথা বলা। আর গণতন্ত্রে সংবাদ মাধ্যমের ভূমিকা আছে। ওরা ভয় পেয়েছে বলেই এসব বলছে।'
ফের বিস্ফোরক তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় (Sougata Ray)। শুক্রবার দমদমের এক অনুষ্ঠানে বিরোধীদের পিঠে তাল পড়ার প্রসঙ্গ টেনেছেন এই প্রবীণ সাংসদ (TMC MP)। তিনি বলেন, 'আপনারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে বলুন কোনও আপত্তি নেই। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) সম্বন্ধে বলুন, কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু ভুল করে একথা বলবেন না, তৃণমূল সবাই চোর। তাহলে পিঠে তাল পড়লে দুঃখ করবেন না। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে কুৎসা করবেন না। দুর্নীতির রানী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata) এসব বললে আমাদের ছেলেরা রেগে যায়। রেগে গেলে মানুষের মাথা ঠিক থাকে না, কী করবে আমরা বলতে পারছি না। সিপিএম, বিজেপি সবাইকে এ কথা বলে যাচ্ছি।'
গণতন্ত্রে আপনারা অন্যভাবে প্রচার করুন, দেশে আইন আছে, আপনারা আইনি ব্যবস্থা নিন। দোষ হলে এমন একটা ভাব যে তৃণমূল পচে গিয়েছে, এটা নয়। এভাবেও দমদমের অনুষ্ঠানে সরব ছিলেন সৌগত রায়।
শুক্রবারের অনুষ্ঠানে তিনি ক্যালকাটা নিউজ বা সিএন চ্যানেলের নাম উল্লেখ করে হুমকি দেন দমদমের সাংসদ। তিনি অনুষ্ঠানমঞ্চে দাঁড়িয়ে বলেন, 'এখানে একজন সিএন-র উপস্থিত আছে। সিএন-র মতো সত্যের অপলাপ করে এমন চ্যানেল আমি দেখিনি। এই চ্যানেলের মালিকরা থাকে বিরাটি, ইচ্ছে করলে চ্যানেলটা বন্ধ করে দিতে পারি। কিন্তু আমরা একাজে বিশ্বাস করি না।'
যদিও সৌগত রায়ের এই মন্তব্য প্রসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'আমরা গান্ধীবাদী। এযাবৎকাল আমরা মার খেয়ে বড় হয়েছি, অত্যাচারিতদের পাশে মানুষের সহানুভূতি থাকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুরো দেহে মারের দাগ। রাজশক্তি শেষ কথা বলে না, জনশক্তি শেষ কথা বলে।'
কী বললেন সৌগত রায় এবং ফিরহাদ হাকিম:
সিএন (Calcutta News) আমাদের বিরুদ্ধে যতই লিখুক, বলুক কিছু হবে না। আমরাই আবার জিতব। পুরসভা জিতব, পঞ্চায়েত জিতব। লোকসভা, বিধানসভায় জিতব। তোমরা দেখে নিও। শুক্রবার বিরাটির এক অনুষ্ঠানে এসে এই মন্তব্য করলেন দমদমের সাংসদ সৌগত রায় (MP Sougata Ray)। রাজ্যব্যাপী একাধিক দুর্নীতির তদন্তে সক্রিয় হয়েছে সিবিআই-ইডি (CBI-ED)। কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলোর এই তৎপরতা যুবসমাজকে কতটা প্রভাবিত করবে? সিএন বা ক্যালকাটা নিউজের তরফে করা এই প্রশ্নে তৃণমূল সাংসদের সাফ জবাব, 'কোনও প্রভাব পড়বে না। যতই বিরুদ্ধ প্রচার হোক। যুবসমাজকে প্রভাবিত করবে না। আমরাই আগামি দিনে ভোটে জিতব।'
সিএন-র সাংবাদিককে ঠিক কী বলেছেন এই প্রবীণ সাংসদ
সৌগত রায়ের এই দাবিকে কটাক্ষের সুরে বিঁধেছে বিরোধী দলগুলো। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, 'দেশ এবং রাজ্যে শাসকের পক্ষে যা চলছে, তার মুখোমুখি দাঁড়ানোই সংবাদ মাধ্যমের কাজ। কেন্দ্র এবং রাজ্যের শাসক চায় সবাই তাদের দাস হয়ে থাকুক। এটা কখনও হয় না। অধ্যাপক সৌগত রায়ের বয়স যত বাড়ছে, এই তালগোল পাকানো কথা আরও বাড়ছে। এটা কেন বুঝতে পারছি না। উনি বলছেন সিএন যত অপপ্রচার করুক, সব ভোটেই জিতব। উনি বরং বলুক সব ভোটেই জিতব এবং লুঠ করব।'
বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ জানান, মিডিয়া যখন ওদের হয়ে কথা বলে তখন সত্যবাদী যুধিষ্ঠির। আর চোখে আঙুল দিয়ে ভুল দেখিয়ে দিলে মিডিয়া চোখের বালি। গত ১২ বছরে একটা ভালো কাজ দেখাক তৃণমূল করেছে, যার উপর ভিত্তি করে ওরা ভোটে জিতবে। আর পুলিস-প্রশাসনকে ব্যবহার করে লেঠেল নামিয়ে জিতলে আলাদা কথা।'
কংগ্রেস মুখপাত্র সৌম্য আইচের মন্তব্য, 'সংবাদমাধ্যম গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ, তাকে আপনার পছন্দ হতেও পারে নাও হতে পারে। কিন্তু এই ধরনের মন্তব্য সমীচিন নয়। কিন্তু আমার মনে হচ্ছে এখন সৌগত রায় দলে প্রাসঙ্গিক হতে চেষ্টা করছে। উনি শিক্ষিত হয়েও অন্ধ হয়ে গিয়েছে। আর এতে সমাজে বিরূপ প্রভাব পড়বে।'
বরানগরে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভা থেকে বিস্ফোরক দমদমের সাংসদ সৌগত রায় (MP Saugata Ray)। বিরোধী সিপিএম, বিজেপি কংগ্রেসকে (Opposition) এলাকাছাড়া করার হুঁশিয়ারি প্রবীণ এই রাজনীতিবিদের। ভাইরাল এক ভিডিওয় সৌগত রায়ের এহেন মন্তব্য ঘিরে ফের তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা। যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি ক্যালকাটা নিউজ বা ক্যালকাটা নিউজ ডিজিটাল। ঠিক কী বলেছেন দমদমের তৃণমূল সাংসদ। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভায় সৌগত রায় বলেন, 'সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেস আপনারা সব তৃণমূলকে চোর ধরো, জেল ভরো বলবেন না। তৃণমূলের সবাই চোর বলবেন না। আমাদের দলের ৯৮% সৎ, ২% দুর্নীতিবাজ। আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেব। তাই তৃণমূল মানেই চোর এভাবে বলে বিরোধীরা আমাদের উত্যক্ত করলে তৃণমূল কর্মীরা চুপ করে বসে থাকবে না। আমরা একবার রুখে দাঁড়ালে ওদের এলাকা ছেড়ে দিতে হবে।'
এখানেই থামেননি প্রবীণ এই সাংসদ, রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন, 'বিরোধীদের কেউ একজন প্রমাণ করুক সৌগত রায় কারও থেকে টাকা নিয়েছে, কোথাও সম্পত্তি রয়েছে। তাহলে রাজনীতি ছেড়ে দেব। ফালতু অভিযোগ শুনতে রাজি নই।'
মিডিয়া ট্রায়ালের অভিযোগ তুলে তৃণমূল সাংসদ বলেন, 'যাদের চিনি না, তাঁরা আমাদের দিকে অভিযোগ তুলবে, সেটা ভালো লাগে না। তৃণমূলের লোকেরা ফুঁসছে, তাই বিরোধীরা নিজেদের নিয়ন্ত্রণ না করলে কপালে দুঃখ আছে।'
সৌগত রায়ের এই মন্তব্যের সমালোচনায় সরব বিরোধী দলগুলো। সিপিএম নেতা তথা প্রাক্তন বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য বলেন, 'আমরা তো বলছি না তৃণমূল চোর। বলছি চোর ধরো, জেল ভরো। তাহলে চোরেদের গায়ে লাগার কথা তৃণমূলের কেন গায়ে লাগছে। সৌগত দা-কে ব্যক্তিগতভাবে আমি শ্রদ্ধা করি। উনি অভিজ্ঞ, বিদগ্ধ, অধ্যাপক মানুষ। কিন্তু এর আগে সৌগত রায় বলেছিলেন বিরোধীদের চামড়া দিয়ে জুতো বানানো হবে। তাহলে কি উনি গণতন্ত্রের সুস্থ সংস্করণ বিরোধী পরিসরের বিরুদ্ধাচারণ করছেন?'
পাশাপাশি প্রাক্তন সাংসদ তথা বিজেপির যুবনেতা অনুপম হাজরা জানান, অধ্যাপক মানুষের এমন মস্তিষ্ক কেন এমন বিকৃতি ঘটেছে বুঝতে পারছি না। নাকি উনি অনুব্রত মণ্ডলের জায়গা নিতে চাইছেন? অনুব্রত মণ্ডল তো এই ধরনের ধমক-চমকের রাজনীতি করতেন। ওরা দিনে দুপুরে চুরি করবে আর মানুষ কিছু বলতে পারবে না?'
দেখুন সেই ভাইরাল ভিডিও, সত্যতা যাচাই করেনি ক্যালকাটা নিউজ বা ক্যালকাটা নিউজ ডিজিটাল
তৃণমূল (TMC) সমালোচকদের চামড়া দিয়ে জুতো বানানো হবে। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের (Sougata Ray) সাম্প্রতিক এই মন্তব্যে শোরগোল তুঙ্গে। এই আবহে এবার প্রবীণ সাংসদকে পাল্টা দিলেন বিজেপির (BJP) দিলীপ ঘোষ। বৃহস্পতিবার দুর্গাপুরে (Durgapur) এক চা চক্রে বিজেপি সাংসদ বলেন, 'সৌগত রায়কে জুতোপেটা করা উচিৎ। একজন ৭০ বছরের বৃদ্ধ, যিনি কিনা অধ্যাপক, এটা তাঁর মুখের ভাষা। পিঠের চামড়া দিয়ে জুতো বানাবে! পিছনে কুকুর তাড়া করলে যিনি দৌড়তে গেলে পড়ে যাবেন, তিনি এসব কুকথা বলছেন। আবার আমার সমালোচনা করে বলে দেখ দিলীপ ঘোষ কুকথা বলে। এঁদেরকে কী পুজো করা উচিৎ?'
আজ দুর্গাপুরে প্রাতঃভ্রমণে বেরোন বিজেপির সহ-সভাপতি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। নিউটাউনশিপ থানার অন্তর্গত এমএএমসি টাউনশিপে প্রথম যান তিনি। কথা বলেন
স্থানীয় প্রাতঃভ্রমনকারীদের সঙ্গে। তাঁদের সঙ্গে সেলফি তোলার আবদারও রাখেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর আবেদন, তৃণমূলকে ভোট দেবেন না, এরা বিশ্বাসের মর্যাদা দেয় না। পাশাপাশি আয়জিত চা চক্রে সাম্প্রতিক ইস্যুতে শাসক দলকে তুলোধোনা করলেন বিজেপির মেদিনীপুরের সাংসদ।
কামারহাটির জনসভায় সৌগত রায়ের (TMC MP Sougata Ray) মন্তব্য ঘিরে শুরু রাজনৈতিক চাপানউতোর। একযোগে সমালোচনার সুরে বিঁধেছে বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস। রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কটাক্ষ, 'একজন অধ্যাপকের মুখ থেকে এ ধরনের কথা শুনে লজ্জায় আমার মাথা হেট হয়ে যাচ্ছে। তৃণমূলের (TMC) দৌলতে বাংলার রাজনীতি একদম নর্দমায় পরিণত হয়েছে।' সরব সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীও (Sujan Chakraborty)।
তিনি বলেন, 'সৌগত রায় আজ নোংরা, ফ্যাসিস্টদের মতো কথা বলেছে। হিম্মত আছে, কারণ আমরা সমালোচনা করবই। রাজ্যজুড়ে যা চলছে, তার সমালোচনা হবে না? এই মুহূর্তে তৃণমূলের বড় সমালোচক সাধারণ কর্মী-সমর্থকরা।'
একধাপ এগিয়ে কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীর মন্তব্য, 'চাপে পড়ে উনি এ কথা বলেছেন। সৌগত দা-কে যতটা চিনি এই ধরনের কথা বলার মানুষ নয়।'
আর কী বললেন বিরোধী নেতারা?
এদিকে, কামারহাটির জনসভায় দমদমের সাংসদ মন্তব্য করেন, 'তৃণমূলের সমালোচকদের গায়ের চামড়া দিয়ে পায়ের জুতো তৈরি হবে। সেইদিনের জন্য অপেক্ষা করুন।' এতেই তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। যদিও সমালোচনা শুরু হতে ঢোক গিলেছেন তৃণমূল সাংসদ। তিনি বলেছেন,'এই মন্তব্য রূপক হিসেবে ব্যবহার করেছিলাম। না করলেই ভালো হত। ভুল হয়েছে।'