বন্ধ ঘরের ভিতর থেকে উদ্ধার হল মা ও ছেলের রক্তাক্ত মৃতদেহ। ঘটনায় চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে বীরভূমের মল্লারপুর কানাচি আদিবাসী পাড়ায়। জানা গিয়েছে, মৃত মহিলার নাম সুমি হাঁসদা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় মল্লারপুর থানার পুলিস।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সুমি হাঁসদার স্বামী বাইরে কাজ করেন। এক মেয়ে সেও বাইরে থাকে। তাই শিশু পুত্র নিয়ে সে বাড়িতে একাই থাকতেন। শুক্রবার সকালে স্থানীয়রা দেখতে পায় বাড়িতে সুমি ও তাঁর শিশু পুত্র রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। এরপর স্থানীয়রা খবর দেয় মল্লারপুর থানায়। ঘটনাস্থলে পুলিস রক্তাক্ত অবস্থায় মা-ছেলেকে উদ্ধার করে রামপুরহাট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা দুইজনকেই মৃত বলে ঘোষণা করে।
যদিও পরিবারের দাবি, ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে মা ও ছেলেকে খুন করা হয়েছে। তবে কী কারণে বা কীভাবে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
বাইসনের হামলায় মৃত্যু এক। গুরুতর আহত আরও একজন। ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহার নিশীগঞ্জ ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের খোকো বাড়ি এলাকায়। জানা গিয়েছে, মৃতের নাম রমণী সরকার (৬৫)। বর্তমানে আহত ব্য়ক্তি মাথাভাঙ্গা মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ রবিবার সকালে থেকেই মাথাভাঙ্গা ২ ব্লকের নিশীগঞ্জ এলাকায় দুটি বাইসন দেখতে পায় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বন বিভাগের কর্মীরা। এরপরেই বাইসনের হামলায় ওই এলাকার দুইজন আহত হয়। তার মধ্যে রমণী সরকার বাড়ির পিছনে কাজ করছিল। সেই সময় পিছন দিক বাইসন এসে তাঁর উপর হামলা চালায়। এরপর তড়িঘড়ি তাঁকে প্রথমে নিশীগঞ্জ প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে অবস্থা অবনতি হওয়ার কারণে তাঁকে কোচবিহারের হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনাকে ঘিরে গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
প্রসূন গুপ্ত: ইন্দিরা গান্ধী ১৯৬৪ থেকে ১৯৬৭ অবধি পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ অর্থাৎ রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন। অবিশ্যি এর মধ্যে লালবাহাদুর শাস্ত্রীর প্রয়ানে তিনিই প্রথম রাজ্যসভা থেকে যাওয়া প্রথম প্রধানমন্ত্রী হন। এরপর থেকে নেহেরু/গান্ধী পরিবার থেকে আর কেউ রাজ্যসভায় দাঁড়ান নি। এবারে ইন্দিরার পুত্রবধূ সনিয়া রাজ্যসভায় যাচ্ছেন। প্রশ্ন হচ্ছে সনিয়া হঠাৎ রাজ্যসভায় কেন? দাঁড়ালে কোথা থেকে এবং তাঁদের পারিবারিক কেন্দ্র রায়বেরিলিতে কে দাঁড়াবে?
আপাতত ঠিক হয়েছে সনিয়া গান্ধী রাজস্থান থেকে দাঁড়াচ্ছেন। সেখানকার সদ্য বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলত, সনিয়ার নির্বাচনী এজেন্ট। এই রাজস্থান থেকেই সাংসদ ছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। তিনি আর সরাসরি রাজনীতিতে থাকছেন না বলেই খবর। অন্যদিকে পরে থাকে রায়বেরিলি।
সূত্রের খবর এবার প্রথম এই কেন্দ্র থেকে লোকসভা নির্বাচনে দাঁড়াচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। এতদিন খোদ সনিয়ার আপত্তিতে প্রিয়াঙ্কা ভোটে আসেন নি। তিনি কিন্তু প্রচারে ছিলেন বহুদিন। প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি রাহুলের উপর আস্থা নেই তাঁর মায়ের?
বিষয়টি ভিন্ন। একসময় ভোট যাদুগর প্রশান্ত কিশোর গান্ধী পরিবারকে জানিয়েছিলেন যে, প্রিয়াঙ্কাকে প্রোজেক্ট করতে। তাঁর মধ্যে নাকি ঠাকুমা ইন্দিরার লক্ষন ইতিবাচক রয়েছে। কিন্তু সনিয়া বা রাহুল বিষয়টিকে আমল দেন নি। এখন শেষ মুহূর্তে বদল কি পিকের টোটকা?
প্রসঙ্গত নরেন্দ্র মোদী কিন্তু সময়ে সময়ে এই পরিবারকে কটাক্ষ করেছেন পরিবারতন্ত্র নিয়ে। কংগ্রেসের বক্তব্য ঐ কারনেই আরও বেশি করে বিরোধীতা করবে তারা। তাই কি প্রিয়াঙ্কাকে ভোটে নিয়ে আসা? সময় জবাব দেবে।
বিয়ের পর থেকে মদ্য়প অবস্থায় অত্য়াচার চালাত স্বামী। প্রতিদিন স্বামীর অত্য়াচার সহ্য় করতে না পেরে আত্মহননের সিদ্ধান্ত নিলেন স্ত্রী। নিজের চার বছরের শিশু পুত্রকে মেরে আত্মঘাতী হলেন মা। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নৈহাটি পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের অরবিন্দ পল্লীতে।
সূত্রের খবর, শুভঙ্কর অধিকারীর ও তাঁর স্ত্রী বিশ্বমিত্রা অধিকারীর চার বছরের সন্তান নিয়ে সংসার তাঁদের। অভিযোগ, শুভঙ্কর প্রায়ই নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরতেন। যার ফলে সাংসারিক অশান্তি লেগেই থাকত। রবিবার সেই অশান্তি চরমে পৌঁছে গিয়েছিল। নিত্য়দিনের ঝামেলা অশান্তি সহ্য় করতে না পেরে বিশ্বমিত্রা অধিকারী তাঁর বছর চারেকের ছেলে সৌমিক অধিকারীকে গলায় দড়ি দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে হত্যা করে। পরে নিজেও আত্মঘাতী হন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে নৈহাটি থানার পুলিস এসে মা ও শিশুর নিথর দেহ উদ্ধার করে নৈহাটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাদের মৃত বলে ঘোষণা করে। তবে কী কারণে ছেলে ও মা একইসঙ্গে আত্মঘাতী হল? তা নিয়ে দ্বন্ধে রয়েছে পুলিস। হত্যা না আত্মঘাতী তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে নৈহাটি থানার পুলিস। ইতিমধ্যে মৃত বিশ্বমিত্রা অধিকারীর স্বামী শুভঙ্কর অধিকারীকে আটক করেছে পুলিস।
স্কুল চলাকালীন আচমকাই দুষ্কৃতী হামলা। সোনারপুরের বলরামপুর এম এন বিদ্যামন্দিরে বেশ কয়েকজন বহিরাগত ঢুকে পড়ে শুরু করে দৌরাত্ম্য। বেধড়ক মারধর করেছিল স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদেরও। শিক্ষাঙ্গনে দুষ্কৃতী তাণ্ডবের ঘটনায় প্রধান শিক্ষকের প্রত্যক্ষ মদত ছিল বলেও অভিযোগ জানিয়েছিলেন আক্রন্ত শিক্ষক-শিক্ষিকারা। গোটা ঘটনায় উঠে এসেছিল পুলিসের উদাসীনতার ছবিও। স্কুলের অন্দরে দুষ্কৃতী তাণ্ডবের পর অতিক্রান্ত ৪ দিন। এখনও পর্যন্ত এফআইআর-এ নাম থাকা অভিযুক্তদের কোনও খোঁজ নেই। কিন্তু যে স্কুলকে ঘিরে ঘটনার সূত্রপাত, সেই স্কুলের কী পরিস্থিতি? অভিভাবকরাই বা কি বলছেন এই ঘটনার পর? খোঁজ নিল সিএন। স্কুলে থমথমে পরিবেশ। বেলা ১১ টা থেকে স্কুল শুরু হলেও দেখা নেই পড়ুয়াদের। হাতে গোনা কয়েকজন পড়ুয়াকে চোখে পড়ল এদিন। যত্রতত্র পড়ে রয়েছে ভাঙা চেয়ার, বেঞ্চ। স্পষ্ট দুষ্কৃতী তাণ্ডবের ছবি স্কুল চত্বরে।
কারা যেন দল বেঁধে ঢুকে পড়ে স্যার-ম্যাডামদের ফোনগুলো আছাড় মেরে ভেঙে দিল। তার সঙ্গে চলতে লাগল মারধর। হামলার কথা মনে পড়তে এখনও শিউরে উঠছে পড়ুয়ারা। হাতে গোনা কয়েকজন পড়ুয়া এলেও, কাটছে না আতঙ্কের রেশ। দুশ্চিন্তায় রয়েছেন অভিভাবকরাও।
তবে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের আবহে শিক্ষাঙ্গনে এই বহিরাগতের তাণ্ডব কোনও ভাবেই মেনে নিতে পারছেন না শিক্ষক শিক্ষিকারাও। প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে মতবিরোধের খেসারত দিতে হবে এভাবে তা মেনে নিতে পারছেন না তাঁরা। আপাতত আক্রান্ত শিক্ষক শিক্ষিকাদের নিরপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিসের তরফে।
থানা চত্বর থেকে উদ্ধার হল এক পুলিস কর্মীর ঝুলন্ত মৃতদেহ। ঘটনায় চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে বাঁকুড়ার ছাতনা থানায়। পুলিস জানিয়েছে, মৃত ওই পুলিস কর্মীর নাম হরেন্দ্র নাথ বাউরী। নিছক আত্মহত্যা নাকি এর পিছনে রয়েছে অন্য কোনো কারণ তা খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্য়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
ছাতনা থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার গভীর রাতে হরেন্দ্রনাথ বাউরী নামের ওই পুলিস কর্মীকে দেখতে না পেয়ে তাঁর সহকর্মীরা খোঁজ শুরু করেন। এরপর ছাতনা থানা চত্বরে একটি পরিত্যক্ত কোয়ার্টারের সিলিং থেকে হরেন্দ্রনাথ বাউরী-র ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পান তাঁর সহকর্মীরা। পুলিস কর্মীর মৃতদেহটি উদ্ধার করে দ্রুত নিয়ে যায় ছাতনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। তবে কী কারণে আত্মঘাতী হলেন ওই পুলিস কর্মী তা নিয়ে দ্বন্ধে রয়েছে গোটা পুলিস মহল। গোটা ঘটনার আসল কারণ জানতে তদন্তে নেমেছে পুলিস।
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্য়ু হল এক পুলিস কর্মীর। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বেসরকারি বাসের ধাক্কায় পুলিসের বাইকে। বৃহস্পতিবার দুপুরে দুর্ঘটনাটি ঘটে বীরভূমের ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর রামপুরহাট কুঠি গ্রাম মোড়ের কাছে। জানা গিয়েছে, মৃত পুলিস কর্মীর নাম বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য। তিনি মুরারই থানায় কর্মরত। ঘটনাস্থলে রামপুরহাট থানার পুলিস গিয়ে ওই মৃত পুলিস কর্মীকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জাতীয় সড়কের কাছেই রয়েছে পশু হাট। এদিন দুপুরে সেই হাট থেকে কতগুলি গরু আসছিলো। আর সেই সময় গরুগুলিকে বাঁচাতে রামপুরহাট থেকে নলহাটি মুখি একটি বেসরকারি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একই দিকে যাওয়া বাইক আরহী অর্থাৎ পুলিসের বাইকে ধাক্কা মারে। বাসের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মৃত্য়ু হয় ওই বাইক আরহী পুলিস কর্মীর। স্থানীয়দের অভিযোগ, গরুর হাটের জন্যই প্রায় দুর্ঘটনা ঘটে।
সপ্তাহের শুরুতেই পোড়া গন্ধে ঘুম ভাঙে হুগলি তারকেশ্বরের চাঁপাডাঙা বিশ্বাসপাড়ার বাসিন্দাদের। দুর্গন্ধের উৎস সন্ধান করতে গিয়েই চোখে পড়ে হাড়হিম করা দৃশ্য। মেঝেতে পড়েছিল আগুনে পোড়া ২টি দগ্ধ দেহ, গলায় দড়ি বাঁধা অবস্থায় ঝুলছিল আরেকটি দেহ। অনুমান, মা ও দিদিকে পুড়িয়ে খুন করে আত্মঘাতী হন যুবক। সাত সকালে এই দৃশ্যে কেঁপে উঠেছে বিশ্বাসপাড়া।
জানা গিয়েছে, একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন বছর ২৭-র শুভম মাইতি। থাকতেন মা বিজলি মাইতি ও সুজাতা মাইতির সঙ্গে। মেধাবী ছাত্র, ভালো ছেলে, কম্পিউটার বিদ্যায় তুখড়, এইভাবেই শুভমকে চেনেন এলাকাবাসী। সেই শুভম মাইতিই নাকি মাঝে মধ্যে বেপাত্তা হয়ে যেতেন। দিনের পর দিন, মাসের পর মাস বাড়ি ফিরতেন না। কোন অন্ধকারে ডুবেছিল যুবকের মন? মানসিক কোনও অশান্তি থেকেই কি মা, দিদিকে খুন করে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী যুবক?
ঘরের দরজা ভেঙে ৩ টি দেহই উদ্ধার করেছে তারকেশ্বর থানার পুলিস। কোন ধাক্কায় একসঙ্গে ৩ টি মর্মান্তিক মৃত্যু? তদন্তের দাবি উঠছে।
বিয়ের সাত বছরের মাথায় স্ত্রী ও সন্তানকে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, অজ্ঞান করে কাশ্মীরে বিক্রি করা হয়েছিল স্ত্রী ও দুইবছরের ছেলেকে। তারপর ২৪ বছর পর লুকিয়ে বাড়িতে ফিরলেন আকলেমা বিবি ও তাঁর ছেলে নয়ন শেখ (২৬)। রবিবার বিকেলে বাড়ি ফিরেই স্বামীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলে রানিনগর থানার দারস্থ হন ওই গৃহবধূ।
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ইলশেমারি এলাকার আকলেমা বিবির সঙ্গে প্রায় তিনদশক আগে বিয়ে হয়েছিল ওই এলাকারই ইয়াসিন শেখ নামের এক ব্যক্তির। বিয়ের পরে কয়েকবছর ভালোই চলছিল তাঁদের সংসার। তাঁদের একটা পুত্র সন্তান হয়েছিল। গৃহবধূর অভিযোগ, সন্তান হওয়ার দু'বছরের মাথায় তাঁর স্বামী অজ্ঞান করে তাঁকে ও কোলের সন্তানকে কাশ্মীরের এক পরিবারের কাছে বিক্রি করে দেয়। তারপর থেকে কাশ্মীরেই ওই বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতেন ওই মহিলা। দীর্ঘ চব্বিশ বছরে একাধিকবার সেখান থেকে বাড়িতে ফেরার চেষ্টা করলেও ওই বাড়ির মালিক তাদের আসতে দেয়নি। দিন কয়েক আগে সেখান থেকে লুকিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে পাড়ি দেয় তারা। রবিবার রানিনগরে এসে পৌঁছন তাঁরা। এলাকায় এসে পরিবারের কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে রানিনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা।
ছেলে নয়ন শেখ বলেন, 'মায়ের কাছে শুনেছি আমি যখন দু'বছরের ছিলাম, তখন আমার বাবা আমাদের কাশ্মীরে বিক্রি করে দিয়েছিলেন। এরপর থেকে ওখানেই আমি বড় হয়েছি। ওখানেই বাগান পরিষ্কার, বাড়ি পরিষ্কারের কাজ করতাম। আমরা আসতে চাইলেও সেই সুযোগ ছিলনা। এরপর ক'দিন আগে সেখান থেকে লুকিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে আমরা পাড়ি দিই।'
পেট্রোলিং করার সময় মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্য়ু হল দুই পুলিস কর্মীর। গাড়ির চালক সহ আরও দুুজন পুলিস কর্মী আহত। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার বাগনান ১৬ নম্বর জাতীয় সড়ক বরুন্দার কাছে। মৃত দুই পুলিস কর্মীর মধ্য়ে একজন সাব ইন্সপেক্টর ও একজন হোম গার্ড। জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম সুজয় দাস (এ এস আই), পলাশ সামন্ত (হোম গার্ড)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ভোরে হাওড়ার বাগনানের বরুন্দায় পুলিসের পেট্রোলিং গাড়িটি বাগনানের দিকে ফিরছিল। সেই সময় পিছন দিক থেকে একটি বড় ট্রাক সজোরে ধাক্কা মেরে চলে যায়। ট্রাকের ধাক্কায় দুমড়ে মুচড়ে যায় পেট্রোলিংয়ের গাড়িটি। এরপর আশপাশের লোকজন ছুটে এসে ওই পুলিস কর্মীদের উদ্ধার করে বাগনান গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত দুজনকে কলকাতার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, আর একজনকে উলুবেড়িয়া শরৎচন্দ্র মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে মনে করা হচ্ছে ঘন কুয়াশার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
রাজপুর সোনারপুর পুরসভার পার্ক ৮৪-এর একটি ফ্ল্য়াট থেকে উদ্ধার হয় তিনজনের মৃতদেহ। একসঙ্গে পুরো পরিবারের মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। জানা গিয়েছে, মৃতরা হলেন ছেলে সুমনরাজ মৈত্র (৩৯) মা অপর্ণা মৈত্র (৬৮) ও বাবা স্বপন মৈত্র (৭৫)। তবে তাঁরা আত্মহত্য়া করেছেন কিনা তা এখনো স্পষ্ট জানা যায় নি। তবে তদন্তের স্বার্থে পুলিসের হাতে উঠে এসেছে এক চাঞ্চল্য়কর তথ্য়। যা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা কল্পনা।
বুধাবার সকাল থেকে ওই বন্ধ ফ্ল্য়াট থেকে প্রতিবেশীরা পচা দুর্গন্ধ টের পায়। তারপর তাঁরা খবর দেয় পুলিসকে। ঘটনাস্থলে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিস এসে ফ্ল্য়াটের দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে দেখতে পান বাবা,ছেলে ও মায়ের মৃতদেহ ঝুলছে। ওই মৃতদেহগুলি আলাদা আলাদা ঘর থেকে পাওয়া গিয়েছে এমনটাই পুলিস সূত্রে খবর।
প্রাথমিকভাবে পুলিস ঘটনাটিকে আত্মহত্য়ার ঘটনা বলে মনে করলেও সঠিক কোনও তথ্য় মেলেনি। কিন্তু আত্মহত্যা নাকি অন্য কোনো কারণ তা খতিয়ে দেখতে পুলিসের নজরে পড়ে মৃত সুমনরাজ মৈত্রের এক ফেসবুক লাইভ। ২৮ ডিসেম্বর মৃত সুমন রাজ মৈত্র ফেসবুকে দুটি ২১ মিনিটের লাইভ করে জানিয়েছেন, যে তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। অনেকেই হুমকি দিচ্ছে এই কথাও জানিয়েছেন তিনি। তাই আমার ছোট মামা বলেছেন তিনি আমাকে আমাকে এখান থেকে শিফট করে দেবে। এই শিফট করার ব্যাপারটা সমস্যার সমাধান নয়। এমনকি বেশ কিছুদিন হলো এখানকার অনেক বাচ্চারা আমাকে আর আমার বাবা-মাকে পাগল পাগল বলছে। আমরা খুব কষ্টে ভুগছি। এইভাবে থাকা যায় না তাই আমাদের একটা ডিসিশনে আসতে হবে। সেই ডিসিশনটা আমরা নিয়ে ফেলেছি।
বন্ধ ফ্ল্য়াটের দরজা। ভিতর থেকে বেরিয়ে আসছে পচা দুর্গন্ধ। সন্দেহ হওয়ায় স্থানীয়রা খবর দেয় পুলিসকে। এরপর পুলিস এসে ওই বন্ধ ফ্ল্য়াটের মধ্য থেকে উদ্ধার করে তিনজনের ঝুলন্ত মৃতদেহ। চাঞ্চল্য়কর ঘটনাটি ঘটেছে রাজপুর সোনারপুর পুরসভার পার্ক ৮৪-এর একটি আবাসনে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতরা হলেন মা অপর্ণা মৈত্র (৬৮), তাঁর স্বামী স্বপন মৈত্র (৭৫) এবং তাঁদের ছেলে সুমনরাজ মৈত্র। স্বপন মৈত্র পেশায় ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন বলে জানা গিয়েছে স্থানীয় সূত্রে।
রাজপুর সোনারপুর পুরসভার পার্ক ৮৪ এর তিন তলা আবাসনে থাকতেন স্বামী, স্ত্রী ও তাঁদের ছেলে। সেখান থেকেই উদ্ধার তাঁদের তিনজনের মৃতদেহ। স্থানীয় সূত্রে খবর, মূলত বাড়িতেই থাকতেন তাঁরা। খুব একটা বাইরে বেরোতে দেখা যেত না তাঁদের। ২৮ তারিখ অর্থাৎ গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার ওই পরিবারের সঙ্গে শেষ কথা হয়। তারপর থেকেই বন্ধ করে দেয় ফ্ল্য়াটের দরজা। এরপর বুধবার সকালে পচা দুর্গন্ধ টের পাওয়ার পরেই স্থানীয়রা খবর দেয় পুলিসকে।
এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়ে বন্ধ ফ্ল্য়াট খুলতেই দেখতে পায় ছেলের ও মায়ের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে বেড রুম। আর বাবার দেহ পড়ে আছে ডাইনিং-এ। পুলিসের অনুমান, একইসঙ্গে আত্মঘাতী হয়েছেন পুরো পরিবার। তবে কী কারণে এই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিলেন তাঁরা, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। যদিও এখনও পর্যন্ত মৃত্য়ুর আসল কারণ জানা যায়নি।
রবিবার বর্ষবরণের রাতে পুরুলিয়ার রাঘবপুর মোড়ে যান নিয়ন্ত্রণের কাজ করছিলেন পুরুলিয়ার ডিএসপি (ট্র্যাফিক) পদমর্যাদার এক আধিকারিক সহ পাঁচ পুলিস কর্মী। আচমকাই একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুলিস কর্মীদের ধাক্কা মারলে ভয়ানক দুর্ঘটনাটি ঘটে। বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয় বাবলু গড়াই নামে এক পুলিস কর্মীর। ঘটনায় গুরুতর জখম ডিএসপি পদমর্যাদার এক আধিকারিক সহ আরও চার পুলিস কর্মী।
সোমবার তৃণমূল প্রতিষ্ঠা দিবস সেরে ফির ছিলেন পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি নিবেদিতা মাহাতো, সহ অন্যান তৃণমূলের নেতা কর্মীরা। তাঁদের উদ্যোগেই আহতদের উদ্ধার করে পুরুলিয়ার দেবেন মাহাতো গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
জখম অবস্থায় বাবলু গড়াই নামে ওই পুলিস কর্মীকে সংকটজনক অবস্থায় দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষ রক্ষা হয়নি। মৃত পুলিস কর্মী পুরুলিয়ার বেলগুমা পুলিস লাইনে কর্মরত ছিলেন। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুরুলিয়া সদর থানার পুলিস।
পুলিস কর্মীর বাড়ির সামনের রাস্তা আটকে প্রাচীর তুলে দেওয়ার অভিযোগ প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে। যার ফলে গৃহবন্দী হয়ে পড়েছেন ওই পুলিসকর্মীর পরিবার। অভিযোগ, দীর্ঘ তিন মাস ধরে গৃহবন্দী হয়ে রয়েছে ওই পরিবারটি। জানা গিয়েছে, বেঙ্গল পুলিসে কর্মরত কৃষাণু বিশ্বাস তিনি যাতায়াতের রাস্তার জন্য একাধিকবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এমনকি রানাঘাট মহাকুমা আদালত থেকে ১৪৭ ধারা জারি করা হয়েছিল ওই রাস্তার উপর।
অভিযোগ, আদালতের নির্দেশিকা ছাড়াই রাস্তার উপরেই প্রাচীর তুলে দেন প্রতিবেশীরা। ওই পুলিস কর্মীর অভিযোগ, শাসকদলের মদতেই এই কাজ করেছেন প্রতিবেশীরা। তারপর প্রশাসন থেকে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রশাসনের কাছে গেলেও মেলেনি সুরাহা। অবশেষে নিজের পরিবারকে বাঁচাতে এবং গৃহবন্দী অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে শুক্রবার বাদকুল্লা দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনে ইউনিফর্ম পড়ে প্লাকার্ড হাতে ধরনায় বসেন ওই পুলিসকর্মী।
এরপর ধরনায় বসার খবর চাউর হতেই ঘটনাস্থলে যায় বাদকুল্লা ফাঁড়ির পুলিস। এখন প্রশ্ন উঠছে নিরাপত্তা ও প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে। কারণ একজন পুলিসকর্মী হয়েও পাচ্ছেন না নিরাপত্তা, পাচ্ছেন না প্রশাসনের সহযোগিতা। তাহলে সাধারণ মানুষ কিভাবে সেই নিরাপত্তা পাবে এটা নিয়ে বারংবার উঠছে প্রশ্ন। লিখিতভাবে প্রশাসনকে জানিও কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলো না?
অজানা গাছের ফল খেয়ে অসুস্থ ১১ জন শিশু। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুর ব্লকের গোকর্ণ গ্রাম পঞ্চায়েতের বলদু গ্রামে। বর্তমানে ওই ১১ জন শিশু গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
জানা গিয়েছে, ওই এগারো জন শিশু খেলতে গিয়ে একটি অজানা গাছের ফল খেয়ে ফেলে। এরপরেই ওই এগারো জন শিশুর পেট খারাপ, বমি ও খুব মাথাব্যথা শুরু হয়। তারপর ওই শিশুদের পরিবারের সদস্যরা টের পেতেই স্থানীয় হরিরামপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করায় ওই ১১ শিশুকে। রবিবার রাত ১২টা নাগাদ শারীরিক পরিস্থিতি অবনতি হলে গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। প্রতিটি শিশুর বয়স আনুমানিক আট থেকে দশের মধ্যে।
শিশুরা জানিয়েছে, খেলতে গিয়ে অজানা এক ফল একসঙ্গে খেয়েছিল তারা। আর তারপর থেকেই শরীর খারাপ হতে থাকে। যদিও শিশুরা এখন ভালো রয়েছে বলে জানিয়েছেন গঙ্গারামপুর হাসপাতাল সুপার বাবু সোনা সাহা।