প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ তথা বর্তমানে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে এফআইআর নথিভুক্ত করেছে ইডি। এই প্রেক্ষিতে মহুয়া মৈত্র সংসদে টাকার বদলে প্রশ্ন কাণ্ডে কটাক্ষপূর্ণ পোস্ট করলেন সমাজমাধ্যমে। এর আগে সিবিআই মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে মামলা করে তাঁর নিউ আলিপুরের বাড়িতে তল্লাশি চালায়। ইডি মহুয়া মৈত্রকে এর আগে তিনটি সমন পাঠালেও, তিনি হাজিরা দেননি।
বুধবার এক্স হ্যান্ডেলে মহুয়া পোস্ট করে লেখেন, 'খুলে হ্যায় বিজেপি কে দ্বার/ আ যাও নহি তো অব কে বার— তিহাড়।' যার বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায়, 'বিজেপির দরজা খোলা আছে। চলে এস, নইলে এই বার ঠিকানা তিহাড়।' অর্থাৎ, বিজেপির বিরুদ্ধে ফের প্রতিহিংসামূলক রাজনীতির অভিযোগ তুললেন মহুয়া।
ইডির অভিযোগ, তৃণমূল নেত্রী ফেমার নিয়ম লঙ্ঘন করেছেন। এর আগে ইডি মহুয়া মৈত্রকে ফেমা সম্পর্কিত একটি মামলায় সমন পাঠিয়ে ২৮ মার্চ হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল। সেই সময় মহুয়া মৈত্র বলেছিলেন, লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে ব্যস্ত থাাকায় তিনি হাজির হতে পারবেন না।
বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে সংসদে টাকার বদলে প্রশ্ন মামলায় লোকপালের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। লোকপালের তরফে এব্যাপারে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। লোকপাল সিবিআইকে মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে মামলা নথিভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছিল। সেইসঙ্গে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ছয় মাসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছিল লোকপাল। লোকপাল তার আদেশে বলেছিল মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মূল্যায়নের পরে দেখা গিয়েছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রমাণ রয়েছে এবং তা খুবই গুরুতর প্রকৃতির। ঝাড়খণ্ডের বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে অভিযোগ করেছিলেন, শিল্পপতি গৌতম আদানি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করতে দুবাই ভিত্তিক ব্যবসায়ী দর্শন হিরানন্দানির কাছ থেকে নগদ ও উপহারের বিনিময়ে লোকসভায় প্রশ্ন করেছিলেন মহুয়া মৈত্র। যদিও মহুয়া মৈত্র এই অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন।
নিশিকান্ত দুবে অভিযোগ করেছিলেন, মহুয়া মৈত্র লোকসভা সদস্য হিসেবে পোর্টালের লগইন পাসোয়ার্ড দর্শন হিরানন্দানিকে শেয়ার করেছিলেন। নিশিকান্ত দুবের অভিযোগ অনুযায়ী, মহুয়া মৈত্র লোকসভায় অন্তত ৫০ টি এমন প্রশ্ন করেছিলেন, যা হিরানন্দানি ও তার পরিবারের ব্যবসার সঙ্গে সম্পর্ক যুক্ত। বিজেপি সাংসদ আরও অভিযোগ করেছিলেন, এই প্রশ্ন করার পরিবর্তে মহুয়া মৈত্র নগদে দুই কোটি টাকা পেয়েছিলেন। মহুয়া মৈত্র নিজের লোকসভার পোর্টালের লগইন পাসোয়ার্ড শেয়ার করার বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছিলেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অভিযোগ ওঠার পরে লোকসভার অধ্যক্ষ এম বিড়লা একটি কমিটি গঠন করেন। সেখানে নিশিকান্ত দুবে, মহুয়া মৈত্র-সহ অনেকের বয়ান রেকর্ড করা হয়।
এরপর গত নয় নভেম্বর ক্যাশ ফর কোয়ারির অভিযোগে মহুয়া মৈত্রের লোকসভা সদস্যপদ বাতিলের সুপারিশ করা হয়। কমিটির ছয় সদস্য রিপোর্টের পক্ষে ভোট দেন এবং গত ডিসেম্বরে মহুয়া মৈত্রের লোকসভা সদস্যপদ খারিজ করা হয়। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস কৃষ্ণনগর আসন থেকে মহুয়া মৈত্রকে ফের মনোনয়ন দিয়েছে। তৃণমূল প্রার্থী আবারও তাঁর জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী।
শিশুদের নিরাপত্তার কথা ভেবে বড় পদক্ষেপ নিল কেন্দ্রীয় সরকার। এবারে শিশু যৌন নির্যাতন (Child Abuse) সংক্রান্ত সমস্ত ধরনের কনটেন্ট সরিয়ে ফেলার জন্য পরামর্শ দিল কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স এবং আইটি মন্ত্রক। সূত্রের খবর, শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স, ইউটিউব এবং টেলিগ্রামকে এ বিষয়ে নোটিশ পাঠিয়ে সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স এবং আইটি মন্ত্রক। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর বলেছেন 'ভারতীয় ইন্টারনেট অপরাধমূলক ও ক্ষতিকারক কনটেন্টের জন্য জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। আর তা কার্যকর করা হবে।'
কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স এবং আইটি মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিকে যে কোনও শিশু যৌন নির্যাতনের কনটেন্ট অবিলম্বে এবং স্থায়ীভাবে অপসারণ করতে হবে। সেগুলি যাতে কেউ ব্যবহার করতে না পারে, সেই ব্যবস্থাও করতে হবে। ভবিষ্যতে যাতে শিশুদের যৌন নির্যাতনের বিষয়গুলি আর ছড়াতে না পারে, তার জন্য কনটেন্ট মডারেশন অ্যালগরিদম এবং রিপোর্টিং মেকানিজমের মতো সক্রিয় পদক্ষেপ করতে হবে।"
কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের তরফে আরও জানানো হয়েছে, যদি সোশ্যাল মিডিয়াগুলো এই নোটিশের পরও দ্রুত কোনও পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে আইটি অ্যাক্টের ৭৯ ধারার অধীনে তাদের নিরাপদ আশ্রয় প্রত্যাহার করা হবে ও তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় আলাপ থেকে প্রেম, তারপর বিয়ে। বিয়ের তিন মাসের মধ্যেই দাম্পত্য জীবনে শুরু হয় টানা পোড়েন। যার ফলে অকালে ঝরে গেল একটি জলজ্যান্ত প্রাণ। এই ঘটনায় ওই স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। পুলিস সূত্রে খবর, মৃতার নাম পিঙ্কি মাইতি। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে।
জানা গিয়েছে, দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী পিঙ্কি মাইতির সঙ্গে সোশাল মিডিয়ায় আলাপ হয়েছিল সোনারপুরের যুবক ঈশান দাসের। তারপরেই প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ হয় তাঁরা। তিনমাস আগে পরিবারের অমতে বাড়ি থেকে পালিয়ে ঈশানকে বিয়ে করেছিল পিঙ্কি। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই পিঙ্কির উপর শুরু হয় অত্যাচার। এরপর হঠাৎই পিঙ্কির দিদির কাছে ফোন আসে যে, তাঁর বোন গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তড়িঘড়ি হাসপাতালে গিয়ে দেখেন অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছে পিঙ্কি। শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন দেখতে পাওয়া গিয়েছে তাঁর।
এই ঘটনায় ঈশান সহ তার পরিবারের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয় সোনারপুর থানায়। অভিযোগের ভিত্তিতে ঈশানকে গ্রেফতার করেছে সোনারপুর থানার পুলিস। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে মৃতার পরিবার।
মণি ভট্টাচার্য: নেহাত লজ্জাই বটে এবং এ লজ্জা সবারই। কথা বলছি রাষ্ট্রের একপ্রান্ত মণিপুর ও অন্যপ্রান্ত মালদহের ঘটনা নিয়ে। না, দুটি ঘটনা আমি গুলিয়ে না ফেললেও, উভয় ক্ষেত্রেই যে আমাদের মানবিকতা ও সমাজতান্ত্রিক অবক্ষয় হয়েছে সেটা বলা যায়। অনেক ক্ষেত্রে কিছু ঘটনায় প্রশাসন কিংবা পুলিস, এদের কিছুই করার থাকে না, তখন সহায় হয় কেবল মানুষই। যেমন ধরুন এই মালদহ কিংবা মণিপুর। উভয় ক্ষেত্রেই একটি বড় অংশের মানুষ কেবল এই দৃশ্যগুলো দেখেছে, উপভোগ করেছে, তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নিই যে উপভোগ করেনি, তাহলেও তাদের পক্ষে এই ঘটনার দায় এড়ানো অসম্ভব। কারণ তারা হয়তো চাইলেই এই ঘটনাগুলি আমাদের লজ্জার কারণ হওয়া থেকে রুখতে পারত।
দীর্ঘদিন ধরেই অশান্ত মণিপুর। এরই মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। যেখানে দেখা যাচ্ছে একদল যুবক দুটি মহিলাকে যৌন নিগ্রহ করতে করতে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছে (ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সিএন-ডিজিটাল)। যা নিয়ে তোলপাড় হয় গোটা দেশ। এরপর স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও নড়েচড়ে বসেন এবং এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরও এ ঘটনায় কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন। এরপরই গ্রেফতার হয় এ ঘটনার মূল অভিযুক্ত এক যুবক। এরপর ওই যুবকের বাড়ি ঘর ভেঙে পুড়িয়ে দেন স্থানীয় মহিলারাই।
অন্যদিকে, মালদহে লেবু চুরির অপবাদে দুই মহিলাকে ভরা বাজারের সামনে কার্যত জুতোপেটা করলেন মহিলারাই। মারধর করা হল বিবস্ত্র অবস্থায়। সেই অবস্থাতেই পুলিস চুরির অভিযোগে নির্যাতিতা মহিলাদেরই গ্রেফতার করল। এই ঘটনা সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। গ্রেফতার করা হয় এই ঘটনায় জড়িত থাকা পাঁচ অভিযুক্তকে।
কিন্তু প্রশ্ন থাকছেই। পৃথক ধরনের দুই ঘটনাতেই প্রশাসন ও পুলিস দায় এড়াতে পারে না। ফলে তাঁদের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ রয়েছেই। কিন্তু সমান ভাবে দায়ী ওই মানুষ গুলিও যারা এই দুর্বিসহ অন্যায় হতে দেখেও চুপ করে দাঁড়িয়েছিলেন। বাধা তো দেনই নি, বরং অন্যায় দেখে এক প্রকার উল্লাস করছিলেন।
মণিপুরের ঘটনা সামনে আসতেই, যেমন বিক্ষোভ প্রতিবাদ দেখিয়েছে দেশ, তেমনই মালদহের ঘটনা সামনে আসতেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজ্য তথা গোটা দেশ। কিন্তু প্রশ্ন কেবল রাষ্ট্র কিংবা প্রশাসনকে নিক্ষেপ করে বা তীরে বিধে নয়। প্রশ্ন মানবিকতার, প্রশ্ন মানবিক ন্যায়দণ্ডেরও। মনিপুরের ঘটনা কিংবা মালদহের ঘটনা, এই ঘটনায় যারা দূর থেকে দাঁড়িয়ে দেখছিলেন কিংবা ওই অন্যায়ের ভিড়ে মিশে গিয়েছিলেন, তারা চাইলেই কি এই ঘটনার রুখতে পারতেন না, হয়তো পারতেন। কিংবা পারতেন না। প্রশ্ন সেখানে নয়, প্রশ্ন অন্যায় রোখার চেষ্টা করেছিলেন কি! উত্তর যদি না হয়, তবে বিবস্ত্র নারীকে হেনস্তার লজ্জা শুধু রাষ্ট্রের কিংবা প্রশাসনের নয়, লজ্জা আমার এবং আপনারও।
দুবাইতে (Dubai) কাজে গিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছেন ৪৫ জন বাঙালি (Bengali)। বাড়ি ফিরতে চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ (Social Media) মাধ্যমে তাঁরা করুণ আর্তি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে ভাইরাল (Viral Video) সেই ভিডিও। জানা গিয়েছে, ওই ৪৫ জনের বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া সহ বিভিন্ন জেলায়। সোমবার সিএন এই খবর সম্প্রচার করে। সেই খবর দেখে বুধবার সকালে মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর প্রতারিতদের পরিবারের লোকজনকে ডেকে পাঠালেন। আর দুবাইতে আটকে পড়া সকলকে ফেরাবে বলে তাদের আশ্বস্ত করলেন তিনি।
আটক ওই বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের দাবি, নদিয়ার একজন এজেন্ট নাজমুল তাঁদের কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা নেয় দুবাই শহরে কাজ দেবে বলে। গত একমাস আগে তাঁদেরকে দুবাইতে নিয়ে গিয়ে একটি হোটেলে রেখে পাসপোর্ট কেড়ে নেয়। কোনও রকম কাজও দেয় না বলে অভিযোগ। বর্তমানে অনাহারে দিন কাটছে তাঁদের। এরফলে বাড়ি ফেরার কাতর আর্জি জানাচ্ছেন তাঁরা। দুঃশ্চিন্তায় রয়েছেন পরিবার পরিজনেরা।
ফের চর্চায় দিল্লি মেট্রো (Delhi Metro)। প্রায়শই কিছু না কিছু ঘটেই চলেছে রাজধানীর মেট্রোয়। কখনও পোশাক নিয়ে বিতর্ক, কখনও যুগলের চুম্বন, কখনও আবার বসার জায়গা নিয়ে দুই যাত্রীর মধ্যে চুলোচুলি, এই সব কিছু নিয়েই দিল্লির বুক চিড়ে যাত্রী বহন করে চলেছে দিল্লি মেট্রো। এবার মেট্রোর মধ্যে দুই ব্যক্তির মারপিটের ভিডিও প্রকাশ্যে (Viral Video) এসেছে। যদিও সেই ভিডিওর (Social Media) সত্যতা যাচাই করেনি সি এন পোর্টাল।
ভাইরাল ওই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, দুই ব্যক্তির মধ্যে কোনও একটি বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। সেখান থেকে মারপিটে পৌঁছয়। দুজনেই একে অপরকে চড়-কিল-ঘুষি মারতে থাকে। বাকি মেট্রো যাত্রীরা তাঁদের সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেও বিশেষ কিছু লাভ হয়নি। তবে স্টেশন চলে আসায় মারপিট থামিয়ে তাঁদের মধ্যে হঠাৎই এক জন মেট্রো থেকে নেমে যান।
A fight broke out between two people on @OfficialDMRC Violet Line. #viral #viralvideo #delhi #delhimetro pic.twitter.com/FbTGlEu7cn
— Sachin Bharadwaj (@sbgreen17) June 28, 2023
ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসতেই বিষয়টি নিয়ে বিবৃতি জারি করেছে দিল্লি মেট্রো রেল কর্পোরেশন (ডিএমআরসি)। এই প্রসঙ্গে, ডিএমআরসির জনসংযোগ আধিকারিক অনুজ দয়াল বলেন, ‘‘আমরা অনুরোধ করছি যাতে মেট্রোতে ভ্রমণ করার সময় যাত্রীরা সঠিক আচরণ করেন। কোনও যাত্রীর আপত্তিকর আচরণ লক্ষ করলে অন্যরা যেন অবিলম্বে ডিএমআরসির হেল্পলাইন নম্বরে যোগাযোগ করেন। মেট্রোর নিরাপত্তা কর্মীরা ইতিমধ্যেই যাত্রীদের অভব্য আচরণ বন্ধ করতে নজরদারি বাড়িয়েছে।’’
ভাইরাল হতেই ভিডিওটিতে একাধিক মন্তব্য করেন নেটাগরিকরা। কেউ কেউ মজার ছলে বলে বসেন, দুই শক্তিমানের লড়াই চলছে।
ফের মন জিতলেন মাহি (MSD)। তবে এবার মাঠে নয়, একেবারে আকাশে। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) একটি ভিডিও ভাইরাল (Viral) হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে উড়ানে সফর করছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। আর তাঁকে সামনে পেয়ে আপ্লুত ওই উড়ানের সেবিকারা। ধোনির জন্য এক থালা চকোলেট সাজিয়েও আনা হয়েছে। বিমান সেবিকাদের অনুরোধে সেই চকোলেট গ্রহণও করেছেন ধোনি।
আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসকে চ্যাম্পিয়ন করিয়ে এখন ক্রিকেট থেকে আপাতত বিশ্রামে রয়েছেন মাহি। সম্প্রতি মুম্বইয়ে তাঁর হাঁটুতে অপারেশনও রয়েছে। এই হাঁটুর চোট নিয়ে গোটা আইপিএল খেলেছেন। কিন্তু কখনও তাঁর চোট বাকিদের বুঝতে দেননি। আবার মাঠে ফিরবেন, এমন আশ্বাসই আমেদাবাদ থেকে তাঁর ভক্তদের দিয়েছেন মাহি।
তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল দোতলা পার্কিং জোনের একাংশ। ক্ষতিগ্রস্ত হল বেশ কয়েকটি গাড়ি এবং বহু বাইক। দুর্ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর নেই। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার দুপুর পৌনে ১টা নাগাদ পঞ্জাবের (Punjab) মোহালির (Mohali) সেক্টর ৮৩-তে। দুর্ঘটনার একটি ভিডিও ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) ভাইরাল (Viral)।
মোহালির পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বেশ কয়েকদিন ধরে পার্কিং জোনের পাশেই চলছিল একটি ভবনের বেসমেন্ট তৈরির কাজ। বুধবার দুপুরে নির্মীয়মান ভবনের কাজ চলকালীন হঠাৎ পার্কিং জোনটি ধসে পড়ে। ঘটনায় পার্কিং জোনে থাকা অন্তত ১২টি গাড়ি কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি গাড়ি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিস।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ওই ভেঙে পড়া পার্কিং লটের পাশে একটি বিল্ডিং -এ ছিল বেশ কয়েকটি অফিস। ওই অফিসের কর্মীরাই তাঁদের গাড়ি দোতলা পার্কিং লটে রাখেন। ঘটনার সময় ওই পার্কিং জোনে কেউ না থাকায়, কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। হঠাৎ পার্কিং জোন ধসে পড়ায়, আতঙ্ক তৈরি হয় স্থানীয়দের মধ্যেও।
মোহালির ডিএসপি হরসিমরান সিং জানিয়েছেন, পার্কিং জোনের একাংশ ধসে পড়ার ঘটনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মোটরবাইক। প্রায় ৯ থেকে ১০টি বাইক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান তিনি। এছাড়া ২টি চারচাকার গাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন। তবে, দুর্ঘটনার সময় পার্কিং জোনটিতে কোনও মানুষ না থাকায়, বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন মোহালি পুলিসের ওই ডিএসপি।
মোবাইল ফেটে (Mobile exploded) মৃত্যুর খবর এর আগে বহুবার শোনা গিয়েছে। ফের মোবাইল বিস্ফোরণেরে জন্য খবরের শিরোনামে উঠে এল কেরল (Kerala)। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার। প্রতিদিনের অভ্যাস মতো ঘটনার দিনও চা খেতে বেরিয়েছিলেন বছর সত্তরের ইলিয়াস। চা-এর দোকানে বসে আরাম করে চা খাচ্ছিলেন। আর জামার পকেটে ছিল তাঁর মোবাইল ফোনটি। আচমকা কিছু বুঝে ওঠার আগেই বিস্ফোরণ হয়। সঙ্গে সঙ্গেই আগুন ধরে যায়। সেই ভিডিও ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media)। যদিও ভিডিয়োটির (Viral Video) সত্যতা যাচাই করেনি সিএন পোর্টাল।
জানা গিয়েছে, ইলিয়াস নামের ওই ব্যক্তি মারাত্তিচালের বাসিন্দা। পাড়ারই একটি দোকানে চা খেতে গিয়েছিলেন তিনি। তখনই এই দুর্ঘটনা ঘটে। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির জামায় আচমকা আগুন ধরে যায়। মোবাইলটি পকেট থেকে বার করে বাইরে ফেলে দেন। কিন্তু জামার আগুন নেভাতে হিমশিম খেতে হয়েছে তাঁকে। দোকানের মালিককেও ছুটে আসতে দেখা যায় ভিডিওতে। তিনিও আগুন নেভাতে এগিয়ে যান।
A cell phone accidentally exploded when it was kept in the pocket of an individual at a local eatery center in Marottichal, a tranquil village in Thrissur district, Kerala state. The incident was captured by a camera positioned at the shop. pic.twitter.com/9NJoX8nkRP
— Syam Kumar V (@Syamkumarnair) May 18, 2023
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, ব্যাটারি গরম হওয়ার কারণে মোবাইলটি ফেটে যায়। এর আগেও এরকম বহু ঘটনা ঘটেছে। যার ফলে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন অনেকে। শিশু মৃত্যুর মতো মর্মান্তিক দুর্ঘটনাও ঘটেছে।
প্রতারণা (Fraud) ও সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) মহিলাদের কটূক্তি করার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন তৃণমূল (TMC) ঘনিষ্ঠ ইউটিউবার অনিন্দ্য চৌধুরী। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাঁশদ্রোণী থানার পুলিস তাঁকে গ্রেফতার করেন। আজ সন্ধ্যায় তাঁর জামিন হয়, জামিন হবার পর আদালত চত্তরে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। কলকাতা পুলিস ও জেলা পুলিসের বেশ কিছু থানায় অনিন্দ্যর বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। সরকারি বিভিন্ন দফতরে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে লক্ষাধিক টাকা নেওয়ার অভিযোগ এর আগে উঠেছিল তার বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার গভীর রাতে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে নিয়ে যাওয়া হয়। ওখানেই রাট ১ টা নাগাদ তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল ঘনিষ্ঠ ইউটিউবারেরে বিরুদ্ধে অভিযোগ বহু। সূত্রের খবর, কোনও ব্যক্তির কাছ থেকে ড্রাগ লাইসেন্স করে দেওয়ার নামে নিয়েছেন প্রায় আড়াই থেকে তিন লক্ষ টাকা। কিন্তু আদতে ওই ব্যক্তি লাইসেন্স পায় নি। আবার কারোর অভিযোগ স্বাস্থ্য দফতরে চুক্তিভিত্তিক পদে কাজ দেওয়ার জন্য নিয়েছেন অনেক টাকা। কাউকে বিধায়ক ও কাউন্সিলর পদের টিকিট পাইয়ে দেওয়ার নাম করেও লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা করেছেন তিনি।
পুলিস সূত্রে খবর, সোশ্যাল মিডিয়ায় এক মহিলাকে অশ্লীল মন্তব্য ও হুমকি দেয় বলে অভিযোগ এই অনিন্দ্য চৌধুরী। মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার ইউটিউবার অনিন্দ্য চৌধুরী বলে অভিযোগ। বাঁশদ্রোণী থানার পুলিশ গতকাল বেলঘড়িয়া থেকে অনিন্দ্য চৌধুরী কে গ্রেফতার করে। ধৃতকে আজ আলিপুর আদালতের পেশ করা হলে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে তদন্ত প্রক্রিয়া চালিয়ে নিয়ে যাবে বাঁশদ্রোণী থানার পুলিশ।
সামাজিক মাধ্যমের দৌলতে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের (Swastika Mukherjee) মেয়েকে অনেকেই চেনেন। নেটিজেনরা ও জানেন স্বস্তিকার ছোট্ট মেয়েটি এখন অনেক পরিণত। অভিনেত্রীর কন্যা বর্তমানে কলকাতায় স্কুলের পাঠ চুকিয়ে মুম্বইতে স্নাতকের পড়াশোনা করছেন। জীবনে প্রেম এসেছে। সেই গোপন কথাটি গোপন না রেখে, ঘোষণা করেছেন সামাজিক মাধ্যমেও। প্রেমিকের সঙ্গে কাটানো বেশ কিছু মুহূর্তের ছবি দিয়েছিলেন সামাজিক মাধ্যমে (Social Media)। স্বস্তিকা মেয়ের সেই পোস্টে কমেন্ট করেছিলেন, এবার একসঙ্গে ডিনার ডেটেও গেলেন।
নেটিজেন এবং ভক্তরা জানান, অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় 'আল্ট্রা মর্ডান'। বিশেষ করে প্রেমের বিষয়ে তিনি বেশ খোলামেলা। তাই মেয়ের প্রেম-সম্পর্ককেও নিজের জীবনে স্বাগত জানিয়েছেন। স্বস্তিকা কন্যা অন্বেষা, শ্লোক চন্দনের সঙ্গে প্রেম করছেন। হবু জামাইকে একটু বুঝে নিতেই বোধহয়, সময় কাটাচ্ছেন একসঙ্গে। সঙ্গে ছিলেন মেয়েও। হবু জামাইকে কেমন লেগেছে স্বস্তিকার? বোঝা যায় তাঁর সামাজিক মাধ্যম থেকে।
দক্ষিণ কলকাতার এক পাঁচতারা হোটেলে ডিনারে গিয়েছিলেন স্বস্তিকা। সেই ছবি পোস্ট করেছেন সামাজিক মাধ্যমে। শ্লোককে যে তাঁর বেশ পছন্দ তা ছবির ঘনিষ্ঠতা ও অভিনেত্রীর মুখের হাসি থেকেই স্পষ্ট। তবে ডিনার শেষে মিষ্টিমুখ করা হয়নি স্বস্তিকার। তাই শ্লোককে সেই কথা মনে করিয়েছেন। খুব তাড়াতাড়ি আরও একটা ডেট প্ল্যান করার নির্দেশ দিয়েছেন শ্লোককে।
নেটমাধ্যমে(Social Media) অচেনা যুবকের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়ে দু'কোটি টাকা খোয়ালেন এক বৃদ্ধা। এই ঘটনাটি ঘটেছে গুরুগ্রাম এলাকায়। অভিযোগ, ভুয়ো (Fake) পরিচয় দিয়ে প্রতরণা করেছে ওই যুবক। থানায় গিয়ে অভিযোগ মামলা দায়ের করেন প্রতারিত বৃদ্ধা। অভিযোগ পাওয়ার পরই তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। বৃহস্পতিবার, এই প্রতারণার (Fraud) ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। এই ঘটনার সূত্রপাত ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাস। সমাজমাধ্যমে সেই সময় এক যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল ৬১ বছর বয়সের এক বৃদ্ধার। ওই যুবক একটি আন্তর্জাতিক বিমানসংস্থার পাইলট হিসাবে নিজের ভুয়ো পরিচয় দিয়েছিলেন। কয়েকদিনের মধ্যেই তাঁদের মধ্যে বন্ধুত্ব গাঢ় হয়। এমনকি ফোন নম্বরও অদলবদল করেন তাঁরা।
অভিযোগ, বন্ধুত্ব আরও গাঢ় হওয়ার পরেই ওই বৃদ্ধাকে আইফোন, গয়না, ঘড়ি, নগদ টাকার একটি ‘সারপ্রাইজ প্যাকেজ’ পাঠাবেন বলে জানান ওই যুবক। দুবাই থেকে উপহার সামগ্রীর পাঠানোর জন্য বৃদ্ধার কাছ থেকে ৪৫ হাজার টাকা চেয়েছিলেন অভিযুক্ত। যুবকের কথামতো টাকাও দেন বৃদ্ধা। এরপরই অচেনা এক ব্যক্তির কাছ থেকে ফোন আসে ওই বৃদ্ধার কাছে। বিমানবন্দরের আধিকারিক পরিচয় দিয়ে বৃদ্ধার কাছ থেকে জরিমানা হিসাবে ১ লক্ষ টাকা দাবি করেন তিনি। বৃদ্ধার পুরো টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন বিমানবন্দরের আধিকারিক পরিচয় দেওয়া ব্যক্তি।
অভিযোগ, এরপর আরও অচেনা ব্যক্তিরা তাঁকে ফোন করে কোনও এক তদন্তকারী সংস্থার কর্তা হিসেবে পরিচয় দিয়ে তাঁর কাছ থেকে ধাপে ধাপে টাকা নেওয়া হয়েছে। বৃদ্ধার অভিযোগ পাওয়ার পরই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪১৯, ৪২০ ধারা এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৬ডি ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিস।
গরমে হাঁসফাঁস করছে দেশবাসী। এপ্রিলের শুরুতেই তাপমাত্রার পারদ ছুঁয়ে যাচ্ছে ৪০ ডিগ্রি। সেই গরমের আঁচ ছুঁয়েছে বিরাট কোহলিকেও (Virat Kohli)। তাই জলে অবগাহন করলেন ভিকে। তবে সঙ্গে নিলেন মেয়ে ভামিকাকেও (Vamika Kohli)। মেয়ের সঙ্গে কাটানো মুহূর্তের ছবি শেয়ার করলেন সামাজিক মাধ্যমে। ছোট ভামিকা যেন মিঠা মোরব্বা হয়ে উঠছে দিন দিন। বিরাটের পোস্টের কমেন্ট ভাসছে নেটিজেনদের ভালোবাসায়।
ছবি দেখে বোঝা গিয়েছে, বাপ-বেটিতে বসে রয়েছেন কোনও রিসর্ট বা হোটেলের পুলের ধারে। চারপাশে রোদের দাপট বোঝা যাচ্ছে। পুলের ধারে পা ডুবিয়ে বসে রয়েছেন বিরাট, পাশেই বসে মেয়ে ভামিকা। শর্টস পরেছেন বিরাট, ভামিকার পরনে সুইমিং স্যুট এবং মাথায় বাঁধা ঝুটি। ছবিটি দেখে এই গরমেই মন গলতে শুরু করেছে নেটিজেনদের।
ক্রিকেট তারকার পাশাপাশি, ঘোরতর ফ্যামিলি ম্যান বিরাট কোহলি। বিয়ে করেছেন অনুষ্কা শর্মাকে। ছোট্ট ভামিকার গর্বিত পিতা হয়েছেন। সময় পেলেই এদিক ওদিক ঘুরতে চলে যান সপরিবারে। সেই ছবি পোস্ট করে থাকেন সামাজিক মাধ্যমে। বিরাট ও অনুষ্কা, নেটিজেনদের বিশেষ পছন্দের জুটি। সামাজিক মাধ্যমে তাঁদের ছবি আপলোড করলেই তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়। ভামিকাও সেই ফেবারিটের তালিকায় যুক্ত হয়েছে।
সারা বিশ্বের বিত্তশালীদের মধ্যে রয়েছেন বিল গেটস, ইলন মাস্ক, জুকারবার্গরা। প্রতিপত্তিতে তাঁরা দাঁড়িয়ে রয়েছেন মাথার উপর। একদিনেই বড়লোক হয়ে যাননি তাঁরা। তাঁদের জীবন সংগ্রামের কথা, দীনতার কথা শুনেছেন অনেকেই। কিন্তু দামি গাড়ি, দামি বাড়ি, দামি জামাকাপড় ছাড়া তাঁদের চোখে দেখেননি। আচ্ছা গরীব হলে তাঁদের কেমন দেখতে হত তা ভেবে দেখেছেন?
সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে বেশ কয়েকটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। সেই ছবিতে দেখা গিয়েছে, বিল গেটস, ইলন মাস্ক, ডোনাল্ড ট্রাম্প, মার্ক জুকারবার্গ এমনকি মুকেশ আম্বানি দাঁড়িয়ে রয়েছেন বস্তির সামনে। পিছনে কোটি টাকার বাড়ির পরিবর্তে স্পষ্ট ভাঙা চালের বাড়ি। পরনে কয়েক লাখি স্যুটের বদলে নোংরা পোশাক। শরীর যেন ভেঙে পড়েছে অপুষ্টিতে। তাঁরা কেউ যেন আর ধনী নয়, বরং সর্বহারা।
অনেক নেটিজেন জানতে চাইছেন 'এই ছবিগুলি দেখে তো একেবারেই নকল বলে মনে হচ্ছে না, তাহলে কী সব হারিয়ে এমন হয়ে গিয়েছেন তাঁরা?' এর উত্তর রয়েছে। প্রযুক্তির জগতে সাম্প্রতিক আমদানি 'এআই' অর্থাৎ আর্টিফিসিলিয়াল ইন্টেলিজেন্স। 'মিডজার্নি' বলে একটি অ্যাপ, নিজের কল্পনার ছবি তৈরি করা যায়। সেই সফটওয়্যার থেকেই এই ছবির উৎপত্তি।
একদিকে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় (Swastika Mukhopadhyay) অন্যদিকে জয়া এহসান (Jaya Ahsan)। এই দুই অভিনেত্রী যেন ইন্টারনেট সেনসেশন হয়ে উঠছেন দিন দিন। স্বস্তিকার বয়স ৪০ পেরিয়েছে, অন্যদিকে জয়া প্রায় ৪০-এর কোঠায়। তবে তাঁদের ছবি দেখে তা বোঝার উপায় নেই। দুজনেরই বয়স যেন স্থির হয়ে রয়েছে। গ্ল্যামার বাড়ছে তবু বয়স বাড়ছে না। এখনও পর্যন্ত তাঁদের এক সিনেমায় দেখা যায়নি। তবে এক ছবিতে দেখা গিয়েছে।
সম্প্রতি একসঙ্গে ফটোশ্যুট করেছেন তাঁরা। দুজনের জামা প্রায় একই। 'টুইনিং' বললেও ভুল হবে না। কখনও পাশাপাশি দাঁড়িয়ে, কখনও একে অপরের কাঁধে মাথা রেখে ছবি দিয়েছেন। সেই ছবিতেই বুঁদ নেট দুনিয়া। এপার বাংলা, ওপর বাংলা যেন এক হয়েছে ছবিতে খানিকটা গঙ্গা-পদ্মার মতো।