বন্দুক দেখিয়ে মুদির দোকানে ছিনতাইয়ের (Snatching) ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বারুইপুর (Baruipur) আমতলা রোডের দিঘীর সান এলাকায়। শুনতে অবাক লাগলেও দুষ্কৃতীরা দুটি সিগারেট সহ সাত হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। যদিও এই ঘটনায় কেউ আক্রান্ত হয়নি। তবে হঠাৎ এই ছিনতাইয়ের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বারুইপুর থানায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস (Police)।
অভিযোগকারী ব্যবসায়ী জানান, শনিবার রাত ন'টা নাগাদ দোকান বন্ধ করতে যান তিনি। ঠিক সেই সময়ই একটি বাইক এসে তাঁর দোকানের সামনে দাঁড়ায়। তারপর বাইক থেকে দু'জন নেমে দোকানের ভিতরে ঢুকে দুটি সিগারেট চায়। সিগারেট দেওয়ার পরে দুষ্কৃতীরা তাঁকে সিগারেটের দামও দেয়। ব্যবসায়ীর দাবি, সিগারেট দেওয়ার কিছুক্ষণ পর ওই দু'জন ব্যক্তির মধ্যে একজন তাঁর মাথায় বন্ধুক ঠেকিয়ে টাকার ব্যাগটি কেড়ে নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয়। তিনি আরও দাবি করেন, ওই ব্যাগের মধ্যে প্রায় সাত হাজার টাকা রাখা ছিল।
ঘটনায় বাকি ব্যবসায়ীদের দাবি, রাত ন'টার সময় এমন ঘটনায় বেশ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে এলাকার ব্যবসায়ীরা। তাই প্রশাসনের কাছে এই এলাকায় নিরাপত্তা দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। এমনকি কে বা কারা এই ধরনের ঘটনাটি ঘটিয়েছে তা তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দেওয়া হোক।
চলন্ত ট্রেন থেকে এক নার্সের মোবাইল (Phone) ছিনতাই। ছিনতাইবাজদের (Snatching) বাধা দিলে গলা টিপে মারধরও করে তরুণীকে। এমনকি মোবাইল উদ্ধার করতে চলন্ত ট্রেন থেকেই ঝাঁপ তরুনীর। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বর্তমানে ক্যানিং (South 24 Parganas) মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই তরুণী। ঘটনার তদন্তে রেল পুলিস।
জানা গিয়েছে, ওই তরুণী পেশায় একজন নার্স। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ক্যানিং হাসপাতাল থেকে কাজ সেরে আপ ক্যানিং শিয়ালদহ লোকালে চেপে সোনারপুরের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন তিনি। ট্রেন মাতলা হল্ট স্টেশনে ঢুকতেই তরুণীর ফোন ছিনিয়ে নিয়ে পালায় এক দুষ্কৃতী। কিন্তু পালানোর সময় ছিনতাইবাজের হাত ধরে ফেলেন তিনি। বেগতিক বুঝে ছিনতাইবাজ আরেক হাত দিয়ে ওই তরুণীর গলা চেপে ধরে। ফলে দুষ্কৃতীর হাত ছেড়ে দেন তিনি। হাত ছাড়তেই চলন্ত ট্রেন থেকে লাফ দিয়ে পালায় অভিযুক্ত। কিন্তু হাল ছাড়েননি তরুণী। মোবাইল উদ্ধার করতে তিনিও চোরের পিছনে চলন্ত ট্রেন থেকে লাফ দেন। কিন্তু উদ্ধার করেতে পারেননি ফোন।
রেল পুলিস সূত্রে খবর, চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে গুরুতর জখম হন ওই তরুণী। শেষ পর্যন্ত সহযাত্রীদের সহযোগিতায় তাঁকে উদ্ধার করে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে।
ঝাড়খণ্ড থেকে কলকাতা (Jharkhand to Kolkata) আসার পথে বাগনানে এক পরিবারকে ছিনতাইয়ের চেষ্টা। বাধা পেয়ে দুষ্কৃতীদের গুলি (Firing), মৃত এক মহিলা। যে গাড়িতে এই হামলা, সেই গাড়িতে চালকের আসনে ছিল মৃতার স্বামী প্রকাশ কুমার এবং এই দম্পতির সফরসঙ্গী ছিল তাঁদের শিশুকন্যাও। পুলিস সূত্রে খবর, আক্রান্ত পরিবার ঝাড়খণ্ড থেকে সড়কপথে কলকাতার দিকে আসার সময় বাগনান থানা (Bagnan Howrah) এলাকার মহিষারেখা সেতুর কাছে গাড়ি থামান প্রকাশ। তিনি শৌচকর্মের জন্য নামলে তিন দুষ্কৃতী তাঁকে ঘিরে ধরে ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। এই অবস্থায় প্রকাশের স্ত্রী অর্থাৎ মৃতা মহিলা স্বামীকে বাঁচাতে এলে দুষ্কৃতীরা তাঁকে খুব কাছ থেকে গুলি করে পালায়।
এরপর প্রকাশ আহত স্ত্রী এবং শিশুকন্যাকে নিয়ে প্রায় তিন কিলোমিটার গাড়ি চালিয়ে আসেন। কুলগাছিয়া পিরতলা এলাকায় তিনি রাস্তার ধারে কিছু লোক দেখতে পেয়ে সাহায্যের আবেদন করেন। তাঁরাই প্রকাশ ও তাঁর শিশুকন্যার দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। খবর যায় রাজাপুর থানায়। গুলিবিদ্ধ ওই মহিলাকে উলুবেড়িয়া শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে রাজাপুর থানার পুলিসও হাসপাতালে এসে তদন্তভার নেয়। প্রকাশকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান সরেজমিন তদন্ত করতে। পুলিসের বক্তব্য, নির্জন এলাকায় এমন ঘটনা কী করে ঘটলো? পাশাপাশি এই ঘটনায় জাতীয় সড়কে পুলিস পেট্রলিংয়ের বিষয়টা প্রশ্নের মুখে পড়ল। তাহলে কি পুলিস পেট্রলিং যথাযথভাবে হয়নি। যার খেসারত দিতে হল ভিন রাজ্যের এই পরিবারকে।
এদিকে এই ঘটনার পর যাঁদের কাছে সাহায্যের জন্য যান প্রকাশ, তাঁদের মধ্যে একজন জানান, আমার দোকানের সামনে একটা গাড়ি এসে দাঁড়ালে আমি ভাবি কোনও গ্রাহক এসেছে। কিন্তু গাড়ির চালক এসে বলে একটু সাহায্য চাই, হাসপাতালে যেতে হবে। আমি দেখি মাথার ডানদিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মেয়েটা গাড়ির মধ্যে পড়ে রয়েছে। দেখে মৃতই মনে হয়েছে।। সেই অবস্থা দেখে বলি হাসপাতালে যাওয়া যাবে না, এটা খুনের ঘটনা, পুলিস ডাকতে হবে। স্থানীয়রা পুলিসকে খবর দিলে রাজাপুর থানা এসে মৃতদেহ নিয়ে চলে যায়। এই ঘটনা প্রসঙ্গে এসডিপিও জানান, যেভাবে তদন্ত হওয়া দরকার, সেভাবে তদন্ত চলছে। এখনও কাউকে আটক করা হয়নি। তবে তবে এই ঘটনায় মৃতার স্বামীকে সন্দেহের উর্দ্ধে রাখছে না পুলিস। স্বামীর বক্তব্যে অসঙ্গতি ধরা পড়ায় এও সন্দেহ, এমনটাই জানা যাচ্ছে হাওড়া গ্রামীণ পুলিস সূত্রে।
পাশাপাশি বুধবার ফরেন্সিক টিম গিয়ে গাড়ির বিভিন্ন অংশ থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে, গাড়িটিকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে বলে খবর। জানা গিয়েছে, মৃতা তরুণী ঝাড়খণ্ডের পরিচিত ইউ টিউবার। তাঁর স্বামী প্রকাশ কুমার ঝাড়খণ্ডের ইউটিউব চ্যানেলের পরিচালক।
ফের ছিনতাইয়ের (snatching) ঘটনা! ভর সন্ধ্যা থেকেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। নিরাপত্তা (safety) কোথায়? ফের কি বাড়বাড়ান্ত বাড়ল দুষ্কৃতীদের? প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসী। শনিবার সন্ধ্যায় ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) কালচিনি ব্লকের হ্যামিল্টণগঞ্জ পাঁচমোড় এলাকায়।
জানা গিয়েছ, হ্যামিল্টণগঞ্জ পাঁচমোড় এলাকায় এল আই সি প্রিমিয়ায় পয়েন্টের ম্যানেজার সৌরভ দত্ত অফিস থেকে তাঁর ব্যাগ নিয়ে বের হন। সেই সময় আচমকাই দুজন দুষ্কৃতী বাইকে করে এসে সজোরে সৌরভ দত্তের মাথায় আঘাত করে। এই ঘটনায় সৌরভ দত্ত মাটিতে লুটিয়ে পড়লে দুষ্কৃতীরা তাঁর ব্যাগ নিয়ে চম্পট দেয়। সৌরভ বাবুর দাবী, তাঁর ব্যাগে ল্যাপটপ ও নগদ প্রায় দেড় লক্ষ টাকা ছিল। ভর সন্ধ্যায় এমন ঘটনা ভাবতেও পারছেন না তিনি। প্রশাসনের কাছে সাহায্যের আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
তবে হ্যামিল্টণগঞ্জের মত জনবহুল এলাকায় সন্ধ্যার সময় এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সঙ্গেই আতঙ্কও ছড়িয়েছে। শনিবার স্থানীয় বাসিন্দারা সৌরভ দত্তকে উদ্ধার করে লতাবাড়ি হাসপাতালে নিয়ে আসে চিকিৎসার জন্য। সেখানে প্রথমিক চিকিৎসা হয় তাঁর।
টাকা ছিনতাই মানুষের জন্য বড়সড় অপরাধ। কিন্তু এই কাজ যদি বাঁদর করে তাহলে আইপিসির কোন ধারায় মামলা? এই প্রশ্ন এখন ঘুরছে সিমলার (Shimla) আকাশে-বাতাসে। জানা গিয়েছে, ফোন বিলের টাকা জমা দিতে গিয়ে এক বাঁদরের (Monkey) খপ্পরে পড়েন এক ব্যাক্তি। তাঁর হাতের ব্যাগে ছিল ৭৫ হাজার টাকা। যে রাস্তা দিয়ে ওই ব্যক্তি যাচ্ছিলেন, সেই রাস্তার পাশেই বসে ছিল এক দল বাঁদর। সেই দলের মধ্যে থেকে এক বাঁদর আচমকাই ওই ব্যক্তির উপর হামলা করে টাকাভর্তি ব্যাগ ছিনিয়ে (Bag Snatching) নিয়ে। তারপরেই উঁচু জায়গায় উঠে বসে।
ব্যাগভর্তি টাকা হাত থেকে ছিনতাই হতেই চিৎকার জুড়ে দেন ওই ব্যক্তি। সেই চিৎকার শুনে লোকজন ছুটে আসেন। স্থানীয়রা দেখেন, অফিসের ছাদে বসে সেই টাকা নিয়ে খেলছে 'ছিনতাইবাজ' বাঁদর। কিছু টাকা ছাদের উপর থেকে নীচে ফেলছেও। এই বাঁদরামি দেখে ততক্ষণে আরও কয়েকটি কৌতূহলী বাঁদর সেখানে জুটে যায়। নীচে দাঁড়িয়ে অসহায়ের মতো সেই দৃশ্য দেখছিলেন সবাই।
যদিও অফিসের ছাদে কয়েক জন উঠে বাঁদরের হাত থেকে সেই ব্যাগ কে়ড়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে, আরও উঁচুতে লাফ মারে সেই বাঁদর। নিচে হৈচৈ জুড়ে যাওয়ায় কিছুটা ভয় পেয়ে ব্যাগটি কার্নিসেই রেখে এলাকা ছাড়ে ওই বাঁদরের দল। এরপর টাকার ব্যাগ উদ্ধারের পর দেখা যায়, ৭৫ হাজার টাকা থেকে ৪ হাজার টাকা গায়েব।