আবারও চিকিৎসার অভাবে সাপের কামড়ে মৃত্যু হল এক যুবকের। জানা গিয়েছে, নদীয়ার গাংনাপুর থানার অন্তর্গত রানাঘাট ২ নম্বর ব্লকের দেবগ্রাম পঞ্চায়েতের কোড়াবাড়ি বিলপাড়া এলাকার বাসিন্দা বছর ১৮-র ওই যুবক। নাম সায়ন দাস। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
পরিবারের সদস্যরা জানান, বাড়িতে ঘুমন্ত অবস্থায় সাপে কামড়ায় সায়ন দাসকে। ঘটনার পরেই পরিবারের লোকজনকে জানালে তড়িঘড়ি তাঁকে প্রথমে চাকদহ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। দীর্ঘক্ষণ ধরে বিনা চিকিৎসায় হাসপাতালে আটকে রাখার অভিযোগ পরিবারের। এরপর হাসপাতালের তরফ থেকে জানানো হয় চাকদহ হাসপাতালে এন্টিভেনাম বা এভিএস নেই। হাসপাতালের তরফ থেকে অযথা সময় নষ্ট করার অভিযোগ তোলে পরিবার। এরপর হাসপাতাল থেকে স্থানান্তরিত করা হয় কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে। কল্যাণী জে এন এম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে রাস্তাতেই মৃত্যু ঘটে সায়ন দাসের।
সায়ন রানাঘাট কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। জেলার গ্রামীণ হাসপাতালে এন্টিভেনাম বা এবিএস না থাকায় একটি ছাত্রের মৃত্যুতে আবারো প্রশ্ন উঠছে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নিয়ে। গ্রাম অঞ্চলের মানুষের বড় আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সাপের কামড়। সাপের কামড়ে সঠিক চিকিৎসা পেতেই গ্রামের মানুষ ছুটে আসেন গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে। বর্তমান পরিস্থিতিতে চাকদাহের স্টেট জেনারেল হাসপাতালের মত একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অ্যান্টি ভেনাম বা এভিএস না থাকাই আবারও প্রশ্নের মুখে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। আর যার কারণেই মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়তে হলো দ্বিতীয় বর্ষের এক কলেজ ছাত্রকে। ছেলেকে হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছে গোটা পরিবার।
আবারও চিকিৎসা পরিষেবার অভাবে সাপের কামড়ে মৃত্যু হল এক যুবকের। ঘটনাটি ঘটেছে গাংনাপুর থানার রানাঘাট ২ নাম্বার ব্লকের দেবগ্রাম পঞ্চায়েতের কোড়াবাড়ি বিলপাড়া এলাকায়। জানা গিয়েছে মৃত যুবকের নাম, সায়ন দাস (১৮)। দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। এই ঘটনাকে ঘিরে রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ বাড়িতে ঘুমন্ত অবস্থায় সাপে কামড়ায় সায়ন দাসকে। এরপর পরিবারের লোকজনকে জানালে তড়িঘড়ি তাঁকে প্রথমে চাকদহ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। দীর্ঘক্ষণ ধরে হাসপাতালে আটকে রাখার পর হাসপাতালের তরফ থেকে জানানো হয় চাকদহ হাসপাতালে এন্টিভেনাম বা এভিএস নেই। অযথা এই সময় নষ্ট করার অভিযোগ ওঠে হাসপাতালের বিরুদ্ধে পরিবারের।
এরপর চাকদহ হাসপাতাল থেকে স্থানান্তরিত করা হয় কল্যাণী জি.এন.এম হাসপাতালে। কল্যাণী জি.এন.এম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে রাস্তাতেই মৃত্যু ঘটে সায়ন দাস নামে ওই যুবকের। জেলার গ্রামীণ হাসপাতালে এন্টিভেনাম বা এভিএস না থাকায় একটি ছাত্রের মৃত্যুতে আবারো প্রশ্ন উঠছে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নিয়ে।
গ্রামাঞ্চলের মানুষের বড় আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সাপের কামড়। সাপের কামড়ে সঠিক চিকিৎসা পেতেই গ্রামের মানুষ ছুটে আসেন গ্রামীন স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে। আর সেখানে এসে যদি যথাযথ চিকিৎসা না পাওয়া যায় তবে কি হবে সাধারণ মাানুষের..?
বর্তমান পরিস্থিতিতে চাকদহের স্টেট জেনারেল হাসপাতালের মত একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অ্যান্টিভেনাম বা এভিএস না থাকায় আবারও প্রশ্নের মুখে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। আর যার কারণেই অকালে মৃত্য়ুবরণ করতে হল দ্বিতীয় বর্ষের এক কলেজ ছাত্রের। একমাত্র পুত্রকে হারিয়ে পুত্রশোকে গোটা পরিবার।
বিষধর কালাচ সাপের (Snake Bitten) কামড়ে মৃত্যু (Death Couple) হল এক দম্পতির। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ভাঙড় থানার অন্তর্গত প্রতাপনগর গ্রামে। ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাকালীনই মৃত্যু হয় তাঁদের। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ক্যানিং (Canning) থানার পুলিস (Police)। পুলিস দেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। ঘটনাকে ঘিরে শোকের ছায়া নেমেছে ওই এলাকায়। পুলিস সূত্রে খবর, মৃতদের নাম গণেশ মণ্ডল (৪২) ও বিজলী মণ্ডল (৩৬)।
মৃতদের পরিবার সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতে খাওয়া দাওয়া করে একসাথেই ঘুমোতে গিয়েছিলেন গণেশ ও বিজলী। তবে ভোরের দিকে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থাতেই তাঁদের বিছানার মধ্যে একটি কালাচ সাপ ঢুকে পড়ে। তারপরেই সাপটি তাঁদের দুজনকেই কামড় দেয়।
মৃতার ছেলের দাবি, 'বাবা ভোরে আমার ঘরে গিয়ে আমাকে ডেকে ঘুম থেকে তোলে। তারপরেই বাবা সাপ কামড়ানোর দাগটি দেখায়। আর সেই দাগ দেখে আমি বাবা-মায়ের ঘরে গিয়ে মাকে মেঝেতে পড়ে ছটপট করতে দেখি। তখনই আমি আর পরিবারের অন্য সদস্যরা বাব-মাকে গাড়ি করে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। তবে সেখানে তাঁদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় শুক্রবার সকালেই তাঁদেরকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তারপর ক্যানিং হাসপাতালের চিকিৎসকেরা মৃত্যুর খবরটি জানান।
জামার মধ্যে ঢুকে পড়লো আস্ত লম্বা একটি গোখরো সাপ (Snake)। অনেকেই মাঠে কাজ করার পর বিশ্রাম নিতে চলে যায় গাছের নিচে। গাছের সেই ঠাণ্ডা ছায়ায় বেশ আরাম করে বিশ্রামও করে থাকে। আবার কখনো কখনো বিশ্রাম করতে করতে ঘুমে আচ্ছন্নও হয়ে পড়ে। সেরকমই এক ব্যক্তি একটি গাছের তলায় বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। তখনই ঘটে গেল এই অবিশ্বাস্য ঘটনা। এমনই একটি ভিডিও (Video) ছড়িয়ে পড়েছে (Viral) সমাজমাধ্যমে।
ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে, গাছের তলায় বসে ঘুমিয়ে পড়েছেন ওই ব্যক্তি। তখন হঠাৎই জামার ভিতরে ঠান্ডা কিছু একটা অনুভব করেন তিনি। এমনকি জামার ভিতরে সেটি নড়াচড়াও করছিল। তারপরেই তিনি চোখ খুলে দেখতে পান জামার ফাঁক দিয়ে সাপের মাথা দেখা যাচ্ছে। এই ঘটনায় বেশ কিছুক্ষণ তিনি চুপচাপ ওই একই অবস্থায় থাকেন। তারপরেই তিনি এক ব্যক্তিকে ডাকেন আর সমস্তটা বলেন। ওই ব্যক্তি জামার বোমগুলি খুলে সাপটিকে বের করার চেষ্টা করেন। বেশ কিছুক্ষণ চেষ্টা করার পরই বেরিয়ে আসে একটি সাপ, এমনটাই দেখা গিয়েছে ভিডিওটিতে। তবে এই ঘটনায় কারোর কোনও ক্ষতি হয়নি বলে জানা গিয়েছে।
সাপের (Snake Panic) আতঙ্ক! যার ফলে বন্ধ (Closed) হয়ে গিয়েছে সিউড়ির (Birbhum) আম্বেদকর (Ambedkar Park) উদ্যান। কয়েক মাস আগেই সর্বসাধারণের জন্য খোলা হয়েছিল উদ্যানটি। আট থেকে আশি প্রায় সবাই এই উদ্যানে আসত। তবে বর্ষার কারণে এই উদ্যানে উত্পাত বেড়েছে সাপের। যার ফলে সাময়িকভাবে বন্ধ করা হলো এই উদ্যানটি।
জানা গিয়েছে, বর্ষার মরশুমে উদ্যানে থাকা ঘাস সহ বিভিন্ন গাছপালা খুব দ্রুত বেড়েছে। তাই উদ্যানে একটু ঝোপঝাড় হওয়ায় যেখানে সেখানে সাপ বিচরণ করতে দেখা গিয়েছে। যেহেতু শিশুরাই বেশি আসে খেলতে, তাই সতর্কতা জারি রেখে সাময়িক এই উদ্যানটিকে বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।
সূত্রের খবর, তবে এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই এই উদ্যানটিকে পরিষ্কার করার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। এমনকি উদ্যানে সাপ আছে কিনা বা কোন বিষাক্ত সাপ আছে তা খোঁজাখঁজিও করছে কর্তৃপক্ষ। এমনকি এই ঘটনায় উদ্যান কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে সর্প বিশেষজ্ঞ দীনবন্ধু বিশ্বাসকে খবর দেওয়া হয়েছে। তবে তিনি দীর্ঘক্ষণ তল্লাশি করেও সাপের দেখা পাননি। যদিও উদ্যানে যে বিষাক্ত সাপের বাসা তৈরী হয়েছে তা স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন তিনি, এমনটাই খবর।
বিষাক্ত সাপের (Snake) কামড়ে একই পরিবারে মৃত্য়ু (Death) হয়েছে একজন নাবালিকার ও গুরুতর অসুস্থ দুই জন। শনিবার, দক্ষিন ২৪ পরগনার ক্য়ানিং থানার নিকারীঘাটা পঞ্চায়েতের পাঙ্গাশখালী গ্রামের একটি পরিবারে ঘটনাটি ঘটে। পুলিস সূত্রে খবর, মৃতার নাম, হালিমা সরদার (৬)। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস এসে মৃতদেহটি উদ্ধার (Rescue) করে ময়না তদন্তের জন্য় পাঠায়।
হালিমার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছেন, শনিবার গভীর রাতে মা ও দুই শিশু কন্যাকে নিয়ে ঘরের মেঝেতে শুয়েছিলেন। সেই সময় কখন যে তাদের সাপ এসে কামড়েছে তা ঠিক করে বুঝে উঠতেই পারেনি পরিবারে সদস্য়রা। এরপরে দুই শিশু কন্যা রেশমা সরদার ও হালিমা সরদার অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের লোকজন তাদেরকে নিয়ে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন। সেখানে চিকিৎসা শুরুর আগেই মৃত্যু হয়েছে ছোট মেয়ে হালিমা সরদারের। মা সোলেমা সরদার ও বড় রেশমা সরদারকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলকাতার একটি সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে আসে পরিবারে।
ঘটনাস্থলে পুলিস এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যায়। তবে চিকিৎসক ও সর্পরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সমরেন্দ্রনাথ রায় জানিয়েছেন, ঘটনাটি খুব দুঃখজনক। দীর্ঘক্ষণ ওঝা গুনীন করার কারণে সময় নষ্ট হয়ে যাওয়ায় হাসপাতালে সেভাবে তাদের চিকিৎসা করার সময় পাওয়া যায়নি।
রবিবার ইউক্রেনে (Ukraine) রুশ আগ্রাসনের ৫০০ দিন ছাড়াল। এই যুদ্ধে সকলকে চমকে দিয়েছিল কৃষ্ণসাগরের তীরে অবস্থিত স্নেক আইল্যান্ড (Snake Island)। এদিন যুদ্ধের ৫০০তম দিনে আইল্যান্ড দ্বীপের সফরে (tour) গেলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি। তিনি বলেন, ‘এই দ্বীপ কোনও দিন কেউ ছিনিয়ে নিতে পারবে না।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে এই পর্যন্ত ৯ হাজার সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে ছিল পাঁচশোটি শিশু। তবে এ সবই খাতায়কলমে থাকা হিসেব থেকেই অনুমান করা। রাষ্ট্রপুঞ্জের ‘মানবাধিকার পর্যবেক্ষণকারী অভিযান’-এর তরফে জানানো হয়েছে, আসল নিহতের সংখ্যা আরও অনেক বেশি।
তবে এ বছর কিন্তু গত বছরের তুলনায় হতাহতের সংখ্য়া কিছুটা কম। চলতি বছরে ২৭ জুন ক্ষেপণাস্ত্রের হানায় ১৩ জন সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৪টি শিশুও ছিল। উল্লেখ্য়, যুদ্ধক্ষেত্র থেকে বেশ অনেকটা দূরে লিভিভ শহরে রুশ হামলার পরেও ১০টি দেহ উদ্ধার হয়ছে। বৃহস্পতিবার, ওই হামলায় আরও ৩৭ জন জখম হয়েছিলেন। এই যুদ্ধের ফলে ৫০টিরও বেশি বাড়ি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। লিভিভ পলিটেকনিক ইউনিভার্সিটির ডর্মিটরির একাংশ ভেঙে পড়েছে।
সরাসরি বোতল থেকে সাপকে (Snake) খাওয়ানো হল জল, আর সেই ভিডিও দেখেই হইহই পড়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ঘটনাটি তামিলনাড়ুর (Tamilnadu)। জানা গিয়েছে, প্রচন্ড গরমে মানুষের মতই তৃষ্ণার্ত হয়ে প্রায় অজ্ঞান হয়ে পড়েছিল একটি কোবরা সাপ (Cobra Snake)। নটরাজন নামে এক ব্যক্তির বাড়ির সামনেই পড়েছিল সেটি। এরপর তিনি তাঁর বন্ধুকে দেখালে তিনি এক পরিবেশকর্মীকে খবর দেন। তারপর তিনি সেখানে পৌঁছতেই সাপটিকে সেভাবে পড়ে থাকতে দেখে সেটাকে জল খেতে দেন। আর সাপটিকেও দেখা গেল সেই বোতল থেকেই জল খেতে।
তামিলনাড়ুর কুড্ডালোরের থিরুচোপারুর বাসিন্দা নটরাজন। তিনি তাঁর বাড়ির সামনেই কোবরা সাপটিকে পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর তিনি তাঁর বন্ধু এঝুমালাইকে ডাকেন। তারপর তিনি পরিবেশকর্মী চেল্লাকে খবর দেন। খবর পৌঁছে যাওয়ার পরপরই চেল্লা সেখানে হাজির হন। সাপটিকে দেখে তিনিই জলভর্তি বোতল এটার মুখের সামনে ধরেন। এরপর দেখা যায়, সত্যি সত্যি সাপটি জল খাচ্ছে। এই দৃশ্য দেখতেই হইহই পড়ে যায় এলাকা জুড়ে।
যদিও সাপটিকে জল খাওয়ানোর সময় চেল্লা সেটার লেজটি ধরে রেখেছিল নিজের নিরাপত্তার জন্য। এরপর দেখা যায়, সাপটি জল খেতেই কিছুটা সুস্থ হয়ে ওঠে। তারপর এটাকে একটি প্লাস্টিকের জারে ভরে একটি জঙ্গলে ছেড়ে দিয়ে আসেন চেল্লা। চেল্লা জানান, কোবরা সাপটি ইঁদুর মারার বিষ জাতীয় কিছু খেয়ে নিয়েছিল। যার ফলে ডিহাইড্রেটেড হয়ে অজ্ঞন হয়ে পড়েছিল। এই সাপটির সহায়তা করায় নেটপাড়ায় নটরাজন, এঝুমালাই ও চেল্লার প্রশংসা করছেন নেটিজেনরা।
ট্রেন (Train) থেকে উদ্ধার হলো তিন ব্যাগ ভর্তি গোসাপ (Snake)। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে (South 24 Parganas) শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার নামখানা লাইনের ডাউন ট্রেনে। এই ঘটনার খবর পেয়ে রবিবারই ট্রেন থেকে সাপগুলি উদ্ধার করে কাকদ্বীপ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তারপরেই ওই গোসাপ গুলিকে নামখানা রেঞ্জের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর, রবিবার বিকেলে লক্ষ্মীকান্তপুর স্টেশনে আরপিএফ-এর নজরদারির সময় ট্রেনের ভিতরে এই সাপগুলি পাওয়া যায়। তারপরেই সেগুলিকে উদ্ধার করা হয়। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া ওই তিনটি ব্যাগ থেকে মোট ১৪ টি গোসাপ উদ্ধার করা হয়েছে। যার মধ্যে দুটি মৃত। তবে কে বা কারা এই গোসাপগুলি পাচার করছিল তার তদন্ত শুরু করেছে লক্ষ্মীকান্তপুর স্টেশনের আরপিএফ ও কাকদ্বীপ থানার পুলিস।
এক চমকে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে রাজস্থানের (Rajastha) মেহরানগড়ে (Mehrangarh)। এক ব্যক্তিকে সাপ (Snake) কামড়ানোর পর ফের তাঁকে খেতে হল একই প্রজাতির সাপের কামড়। প্রথমবার কামড় খেয়ে বেঁচে গেলেও দ্বিতীয়বার রক্ষা পেলেন না তিনি। দ্বিতীয়বার সাপের কামড়ে প্রাণ হারান সেই ব্যক্তি। এমনটা হয়তো এর আগে দেখা যায়নি। ফলে এটি একেবারেই অবাক করা ঘটনা।
সূত্রের খবর, রাজস্থানের ৪৪ বছর বয়সী জাসাব খানকে ২০ জুন একটি সাপ কামড়েছিল। তারপর তাঁকে দ্রুত পোখরানের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনকই ছিল। কিন্তু চার দিন চিকিৎসার পর তিনি সুস্থ হন ও বাড়িতে ফিরে আসেন। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। প্রথমবার সাপ কামড়ানোর ৫ দিনের মধ্যে একই প্রজাতির সাপ সেই ব্যক্তিকে দ্বিতীয়বার কামড়ায়। প্রথমবার সাপটি জাসাবের বাঁ পায়ে কামড়েছিল ও দ্বিতীয়বার ডান পায়ে। জানা গিয়েছে, যে প্রজাতির সাপ তাঁকে কামড়েছিল, সেটি সেখানে 'বান্দি' নামে পরিচিত।
জাসাবের মৃত্যু নিয়ে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, প্রথমবার সাপের কামড়ে বেঁচে গেলেও তিনি পুরোপুরি সুস্থ হননি। ফলে দ্বিতীয়বার ফের সাপ কামড়াতেই তখন তাঁর শরীর সাপের বিষ আর সহ্য করতে পারেনি। যার ফলে মৃত্যু হয় তাঁর। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ভানিয়ানা পুলিস।
সাপের বিষের পর এবার পাচারকারীদের (Sumgglers) নজরে সাপের তেল (Snske oil)। এই ঘটনায় বন দফতরের হাতে ধরা পড়ল দুই ব্যক্তি। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ি (Siliguri) জংশন সংলগ্ন এলাকায়। এই গোটা ঘটনায় জোর তদন্ত শুরু করেছে বন দফতরের (Forest Dipertment) র্যাপিড রেসপন্স ফোর্স, দার্জিলিং ওয়াইল্ড লাইফের ১ নম্বর শাখা। ধৃতদের গ্রেফতার করে তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করে স্পেকট্যাকল কোবরার তেল। এমনকি ধৃতদের কাছ থেকে আরও উদ্ধার করা হয়েছে হরিণের চামড়া এবং শিং।
বন দফতর সূত্রে খবর, ধৃত ওই দুই পাচারকারীর নাম সিকান্দার কুমার এবং সঞ্জু বৈধ। তারা দুজনেই ভিন্ন ভিন্ন রাজ্যের বাসিন্দা। ধৃতদের মধ্যে সিকান্দার উত্তরপ্রদেশের খলিলাবাদ এলাকা এবং সঞ্জু বিহারের কাটিহারের বাসিন্দা বলেই খবর। এই ঘটনা প্রসঙ্গে র্যাপিড রেসপন্স ফোর্স এর রেঞ্জ অফিসার দীপক রসাইলি বলেন, 'ইতিমধ্যেই দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।'
বন দফতর সূত্রে আরও খবর, ধৃত দুই ব্যক্তির ওপর দীর্ঘদিন ধরেই বন দফতরের নজর ছিল। শেষ অবধি সোমবার গোপন সূত্রে খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে শিলিগুড়ি জংশন এলাকা থেকে তাদের পাকড়াও করা হয়। প্রাথমিকভাবে খবর মিলেছে বন্যপ্রাণের দেহাংশ সহ সাপের তেল পাচারের ছক ছিল ধৃতদের। তবে সেই সবকিছুই তাদের হেফাজতে নিয়ে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া সাপের তেলের ওজন আনুমানিক ৩৫০ মিলিলিটার। এছাড়াও ছিল ৪ টুকরো হরিণের চামড়া এবং তিন টুকরো হরিণের শিং উদ্ধার হয়েছে।
বিশালাকারের কেউটে (Snake) উদ্ধার ঘিরে হৈচৈ পড়ে গেল উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 parganas) বসিরহাট মহাকুমার হিঙ্গলগঞ্জে। বন দফতরের (Forest Division) প্রচেষ্টায় হিঙ্গলগঞ্জ (Hingalganj) এলাকা থেকে সাপটি উদ্ধার করা হয়। তবে সাপ উদ্ধারের এই দৃশ্য চাক্ষুষ দেখতে ঘটনাস্থলে ভিড় জমিয়েছেন এলাকার মানুষজন। সাপ উদ্ধার করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকার মানুষের মধ্যে বেশ উৎসাহও লক্ষ্য করা গিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট মহাকুমার হিঙ্গলগঞ্জের বিডিও অফিসে কুড়ের মাঠের পাশে নদীর চর থেকে উদ্ধার হয় সাপটি। করুণা ঋষি নামক এক বৃদ্ধা চরে আতল পেতে রেখেছিলেন মাছ ধরার জন্য। সেই আতল জল থেকে তুললেই চক্ষু চড়ক গাছ। মাছ নেই! আছে বিশাল আকৃতির কেউটে। যার দৈঘ্য প্রায় ৬ ফুট।
ওই বিশালাকারের সাপটিকে দেখামাত্রই আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয়েছে বনদফতরে। তারপর বন দফতরের কর্মীরা এসেই সাপটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
অদ্ভূত! একটি আস্ত সাপকে (Snake) চিবিয়ে খেল এক ৩ বছরের শিশু। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের (Uttarpradesh) ফারুখাবাদের (Farrukhabad)। জানা গিয়েছে, অক্ষয় নামের এক ৩ বছরের শিশু ঘরের বাইরে খেলছিল। তখনই পাশের এক জঙ্গল থেকে একটি ছোট সাপ তার সামনে চলে আসে। এরপরই সেটিকে মুখে ঢুকিয়ে নিয়ে চিৎকার করতে থাকে সে। সূত্রের খবর, এই ঘটনার পর কোনও ক্ষতি হয়নি শিশুটির(Child)।
সূত্রের খবর, উত্তরপ্রদেশের ফারুখাবাদে ৩ বছরের খুদে সাপ সামনে দেখতে পেয়ে মুখে ঢুকিয়ে নেয়। এরপর তার চিৎকার শুনতে পেয়ে ঘর থেকে দৌঁড়ে বেরিয়ে আসে তার ঠাকুমা। খুদের মুখে সাপ দেখতে পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে মুখ থেকে টেনে বের করে দেন তিনি। এরপর তিনি চিৎকার করতে থাকলে পরে শিশুটির বাবা-মা এসে হাসপাতালে নিয়ে যায় তাকে। সঙ্গে সাপটিকেও নিয়ে যায় তাঁরা, এমনটাই জানা গিয়েছে।
তবে আশ্চর্যের ব্যাপার। ডাক্তাররা শিশুটিকে অনেকক্ষণ পর্যবেক্ষণের পর জানান, তার মধ্যে কোনও বিষ পাওয়া যায়নি। বরং সে একদম সুস্থ আছে। তারা আরও জানান যে, সাপটি আসলে একটি ছোট সাপ ছিল, আর সেই সাপটি বিষহীন ছিল। তাই শিশুটির কোনও ক্ষতি হয়নি।
গৃহস্থের বাড়ি থেকে উদ্ধার (Rescue) হল বিষধর সাপ (Snake)। ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাটের (Basirhat) সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের হিঙ্গলগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের মামুদপুর গ্রামের হীরুলাল শিটের বাড়িতে। বনদফতরের (Forestdepartment) তৎপরতায় উদ্ধার হয় একটি কেউটে সাপ। বিষধর সাপ হওয়ায় সাপটিকে দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা।
জানা গিয়েছে, বাড়ির মালিক সাপটি দেখা মাত্র মিনাখাঁ বনদফতরে খবর দেন। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি বনদফতরের উদ্ধারকারীর দল ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয়। প্রায় ঘণ্টা দুয়েক ধরে মাটি খুঁড়ে অবশেষে বিশাল আকারের একটি কেউটে সাপ বের করে আনেন তারা। এর বিজ্ঞানসম্মত নাম ন্যাজা কেওটিয়া। এরপর বন দফতরের কর্মীরা সাপটিকে উদ্ধার করে নিয়ে চলে যান। এদিন সাপ উদ্ধার করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক লক্ষ্য করা যায়। আবার সাপটিকে দেখার জন্য ঘটনাস্থলে এলাকার মানুষেরা ভিড় জমান।
মাছ ধরার চাঁইয়ে ধরা পড়ল বিশাল আকারের গোখরো (Snake)। বসিরহাটের (Basirhat) সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের লেবুখালির ঘটনা। আর সেই সাপ দেখতেই ঘটনাস্থলে ভিড় জমিয়েছেন স্থানীয়রা। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মিনাখাঁ বন দফতরের (Forest Division) আধিকারিকরা। ওই বিশাল আকারের গোখরোটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যান তাঁরা।
স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, নারায়ণ মণ্ডল নামের এক ব্যক্তি প্রতিদিনের মতোই মঙ্গলবার রাতেও লেবুখালি খালে চাঁই পাতেন মাছ ধরার জন্য। তারপর বুধবার সকালে তিনি মাছের জন্যে পাতা চাঁইটি আনতে যায়। আর তখনই চাঁইয়ের গায়ে হাত দিতেই তিনি চমকে ওঠেন। দেখতে পান, ভিতরে বিশাল আকারের গোখরো সাপ আটকা পড়েছে। ওই সাপটি লম্বায় ছিল প্রায় সাড়ে সাত ফুট। তবে সাপটি হঠাৎ দেখা মাত্রই ভয় পেয়ে যান তিনি। আর ভয়ের জেরে চিৎকার করলে আশেপাশের মানুষজন ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। পরে একটি লাঠি দিয়ে চাঁইটিকে তুলে আনা হয়।
আর এই ঘটনার কথা এলাকায় ছড়িয়ে পড়তেই সাপটিকে দেখার জন্য ভিড় জমান এলাকার মানুষজন। তারপরেই মিনাখাঁ বন দফতরে খবর দেওয়া হয়।