বনদফতরের হেফাজতে থাকাকালীন পলাতক কাঠ পাচারকারী। এর কারণেই বনদফতরের বিট অফিসার কে সাসপেন্ড ও বিভাগীয় তদন্ত নির্দেশ করা হল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ফাঁসিদেওয়া ফুলবাড়ী ক্যানেল রোডের সামনে একটি ক্যান্টার গাড়িকে আটক করে বাগডোগরা বনদফতরের কর্মীরা। ক্যান্টার গাড়ি তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর পরিমাণ বার্মাটিক কাঠ উদ্ধার করা হয়। সেই সঙ্গে গাড়ির চালকের কাছে বৈধ কাগজপত্র দেখতে চাওয়া হলে চালক কোনও বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। এরপরেই সেই ক্যান্টারের চালককে আটক করে নিয়ে আসা হয়।
অভিযুক্ত গাড়ি চালককে বেশ কয়েকবার দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং জিজ্ঞাসাবদের পরেই জানা যায় বার্মাটিক কাঠগুলি কলকাতার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেখান থেকে বেশ কিছু জায়গায় পাচার করা হত বলে অনুমান কার হচ্ছে। বাজেয়াপ্ত কাঠ গুলোর বাজার মূল্য প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা।
এর আগেও বহুবার প্রচুর পাচারকারী সহ বার্মাটিক কাঠ উদ্ধার করা হয়। তবে এই পাচারকারীর সঙ্গে আরও কে বা কারা জড়িত রয়েছে সেই তদন্তর জন্য বন বিভাগের হেফাজতে রাখা হয় সেই পাচারকারীকে। বনদফতর এর এক বিট অফিসারের হেফাজতে রাখা হয়। অবশেষে বনদফতরের হেফাজত থেকে পালিয়ে যায় কাঠ পাচারকারী। এরপর বনদফতরের পক্ষ থেকে বাগডোগরা বনদফতরের সেই বিট অফিসারকে সাসপেন্ড ও বিভাগীয় তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
একটি বহুমূল্য লাক্সারি গাড়ি সহ বেঙ্গল এসটিএফের (STF) হাতে গ্রেফতার (Arrest) দুই মাদক (Drug Smuggler) পাচারকারী। রবিবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের (Malda) বৈষ্ণবনগরে জাতীয় সড়কের উপর। অভিযুক্তদের গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার বাজারমূল্যের মোট ঊনিশ কোটি টাকার হেরোইন। ধৃতদের বিরুদ্ধে বৈষ্ণবনগর থানায় মাদক আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। ধৃতদের ১৪ দিনের পুলিসি রিমান্ডের নেওয়ার আবেদন জানিয়ে মালদহের চিফ জুডিসিয়াল কোর্টে পেশ করা হয়েছে।
এসটিএফ সূত্রে খবর, ধৃত ওই দুই পাচারকারীর নাম প্রদীপ জাভিয়ার টির্কি (৪১), স্যামুয়েল লুনমিনলুন খুংসাই (২৯)। রবিবার ভোর রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মালদহের বৈষ্ণবনগরের জাতীয় সড়কে অভিযান চালায় এসটিএফের একটি দল। সেই সময়ই ঝাড়খণ্ডের রেজিস্ট্রেশন নম্বর বহনকারী মডেল এমজি হেক্টরের একটি চার চাকার গাড়ি করে দু'জন আসছিলেন৷ ঠিক তখনই সন্দেহের জেরে মালদহের বৈষ্ণবনগর থানার অধীনে ১৪ মাইল টোল প্লাজার কাছে এনএইচ-৩৪ এ তাদের আটকানো হয়। তারপর পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তল্লাশির পর এসটিএফের দল তাদের থেকে প্রায় ১০ কিলোগ্রাম হেরোইন উদ্ধার করে। এই ঘটনার পরেই গাড়ির মধ্যে থাকা দুজনকে গ্রেফতার করা হয়।
গরু পাচার করার সময় বাধা পেয়ে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীকে আক্রমন, বাহিনীর পাল্টা গুলিতে মৃত এক পাচারকারী। বুধবার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের বৈরাগীহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের ইচ্ছাগঞ্জ সীমান্তবর্তী এলাকার ঘটনা। পুলিস জানিয়েছে, মৃত পাচারকারীর নাম মোকলেশ্বর হক, তিনি দিনহাটার বাসিন্দা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় মাথাভাঙ্গা থানার পুলিস। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেই পুলিস সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই এ ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিস। পাশাপাশি পুলিস জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে কিছু আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, বুধবার কাকভোরে বৃষ্টির সুযোগে অন্ধকারাচ্ছন্ন অবস্থাকে কাজে লাগিয়ে একদল গরু পাচারকারী গরু পাচারের উদ্দেশ্যে ইচ্ছাগঞ্জ এলাকায় হাজির হয়। তখন সেখানে কর্তব্যরত বিএসএফ জওয়ানের হাতে ধরা পরে সেই গরু পাচারকারী দল। বাধা দিতে গেলে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীকে আক্রমণ করে পাচারকারী দল। তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ওই সীমান্ত রক্ষীর দাবি, আত্মরক্ষার জন্যই গুলি করতে বাধ্য হন তিনি। ঘটনাস্থল থেকে ৫টি গরু ও ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করে মাথাভাঙ্গা থানার পুলিস।
দিনহাটার বাসিন্দা মোকলেশ্বরের পরিবার, তাঁর মা, বাবা, স্ত্রী ও এক ছেলে আছে বলে জানা গিয়েছে। মোকলেশ্বরের দাদার দাবি, মোকলেশ্বর ছোটো ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। তিনি গরুপাচারকারী দলের সঙ্গে যুক্ত ছিল কিনা! এই বিষয়ে পরিবার কিছু জানেন বলেই দাবি। আদেও কি তিনি গরু পাচারকারীর দলের সঙ্গে যুক্ত? এ বিষয়ে পুলিস স্পষ্ট কিছু না জানালেও, এ ঘটনার তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিস।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে (Border) গরু পাচার করতে গিয়ে বিএসএফের গুলিতে মৃত্যু (Death) হল এক পাচারকারীর (Smuggler)। রবিবার গভীর রাতে এই ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের জলঙ্গী থানার অন্তর্গত সরকারপাড়া এলাকায়। জানা গিয়েছে, মৃত ওই ব্যক্তির নাম মোমিন শেখ (৩৪)। বাড়ি রাণীনগর থানার খাস্তালুক জিন্নাতপাড়া এলাকায়। এই ঘটনার খবর পেয়ে পুলিস এসে ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই ব্যাপক চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
জানা গিয়েছে, রবিবার গভীর রাতে সরকারপাড়া এলাকায় বিএসএফদেরকে লক্ষ্য করে বোমাবাজি করে গরু পাচার করার চেষ্টা করছিল মোমিন শেখ নামের ওই ব্য়ক্তি। সেই সময় পাল্টা বিএসএফ গুলি ছোড়ে। তখনই বিএসএফের গোলাগুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মোমিন শেখ নামে ওই পাচারকারীর।
সোমবার, এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বিএসএফ আধিকারিক ও ডোমকল এসডিপিও সহ জলঙ্গি থানার বিশাল পুলিস বাহিনী পৌঁছয়। এই পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
বিএসএফ (BSF)-গরু পাচারকারীদের (Cow Smuggler) সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল নদিয়ার (Nadia) ধানতলা। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে গরু নিয়ে বাংলাদেশের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করছিল গরুপাচারকারীরা। সেইসময় বিএসএফ বাধা দেওয়ায়, তাঁদের লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। পাল্টা গুলি চালায় বিএসএফও। মুহূর্তের মধ্যে রণক্ষেত্রে হয়ে ওঠে এলাকা। ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। ইছামতি বর্ডার আউটপোস্টের কাছে ঘটনাটি ঘটেছে।
বিএসএফ-এর তরফে জানানো হয়েছে, জওয়ানদের লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ার ঘটনা প্রথমবার ঘটল। ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তাঁরা। বিএসএফের তরফে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের দিকে গরু নিয়ে যাওয়ার সময় পাচাকারীদের বাধা দিলেই তারা বোমা ও অস্ত্র বের করে। বিএসএফকে উদ্দেশ্য করে পাথরও ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া, ৫ থেকে ৬ জন আহত হয়েছেন বলে খবর।
উল্লেখ্য, মাস খানেক আগে গরু নিয়ে যাওয়ার সময় বিএসএফের গুলিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন এক ব্যক্তি।
ফের বেঙ্গল এসটিএফ-এর (STF) জালে দুই মাদক পাচারকারী। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murchidabad) বহরমপুর বাস স্টপেজের কাছে। ধৃতদের থেকে ৪ কিলো ৮০০ গ্রাম নিষিদ্ধ মরফিন (Drug Smugglers) উদ্ধার করা হয়েছে। যার বাজার মূল্য প্রায় ৫ কোটি টাকা। অভিযুক্ত ওই দু'জনকেই গ্রেফতার (Arrest) করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বুধবার বহরমপুর নিম্ন আদালতে পেশ করা হয়। এমনকি এই নিষিদ্ধ মাদক পাচারচক্রের বিরুদ্ধে বিস্তারিত তদন্তও শুরু করেছে বহরমপুর থানার পুলিস। বেঙ্গল এসটিএফ সূত্রে খবর, ধৃত ওই দুই ব্যক্তির নাম গৌর সরকার (৩৫) এবং শেখ গোলাম (৬০)। তারা দু'জনেই ঝাড়খণ্ডের সাহেবগঞ্জের বাসিন্দা।
এসটিএফ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার বিকেলে একটি গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পশ্চিমবঙ্গের বিশেষ টাস্কফোর্সের একটি দল বহরমপুর বাস স্ট্যান্ড এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালায়। সেখানেই সন্দেহের জেরে ওই দু'জনকে আটক করে। তারপর তাদেরকে তল্লাশি করার পর উদ্ধার হয় ওই নিষিদ্ধ মাদক। যদিও এই বিষয়ে বেঙ্গল এসটিএফের তরফে বহরমপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এমনকি এনডিপিএস আইনের অধীনে একটি নির্দিষ্ট মামলা রুজু করে এই ঘটনার তদন্তও শুরু করে দিয়েছে বহরমপুর থানার পুলিস।
ফের সীমান্তে গরু পাচার রুখলো এসএসবি (SSB)। ঘটনাটি নকশালবাড়ির (Naxalbari) ভারত-নেপাল সীমান্তের মনিরাম গ্রাম পঞ্চায়েতের কোটিয়া জোতে। পাচারকারীদের (Smuggler) কাছ থেকে উদ্ধার হয় ৪৯ টি গরু।
জানা গিয়েছে, সীমান্তে টহলদারি করার সময় কোটিয়া জোতে কয়েকজনকে দেখে সন্দেহ হয় জওয়ানদের। ঠিক তার পরেই ৪১ ব্যাটেলিয়ানের জওয়ানদের দেখেই গরু ছেড়ে নেপালে পালিয়ে যায় পাচারকারীরা। ঘটনায় পাচারকারীদের থেকে ৪৯ টি গরু উদ্ধার করেছে এসএসবি। এর আগেও গরু পাচার করতে গিয়ে এসএসবি -এর চোখে পড়ায় বহুবার ধরা পড়েছে পাচারকারীরা। এরপর উদ্ধার করা গরুগুলিকে নকশালবাড়ি থানার পুলিসের হাতে তুলে দেয় এসএসবি। গোটা ঘটনায় তদন্তে নেমেছে পুলিস। উদ্ধার করা গরু নকশালবাড়ি খোয়াড়ে পাঠানো হয়েছে।
বন দফতরের (Forest Division) সচেতনতায় সাড়া দিয়ে এবার বন রক্ষায় (Forest Protection) এগিয়ে এল কাঠ মাফিয়ারা (Wood Smuggler)। আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলার কুমারগ্রাম ব্লক ও সংলগ্ন কোচবিহার জেলার ঘটনা। এ যেন অনেকটা রত্নাকর থেকে বাল্মীকি হয়ে ওঠার গল্প। বন দফতরের সচেতনতার ডাকে সাড়া দিয়ে, এক সময়ের দুর্ধর্ষ কাঠ মাফিয়ারাও কাঠ পাচার ছেড়ে বন রক্ষার কাজে সামিল হলেন। বন দফতরের রেঞ্জ অফিসে এসে তা রীতিমতো অঙ্গীকার করে গেলেন কাঠ মাফিয়ারা। তাঁদের মুখে এখন শুধু একটাই কথা, 'আগে যা করেছি ভুল করেছি, আর কোনও দিন বন ধংস করবো না।' উল্টে তাঁরা প্রতিজ্ঞাও করেছেন, 'বন রক্ষাই এখন থেকে হবে তাঁদের প্রধান কাজ।'
বন দফতর সূত্রে খবর, এই কাঠ মাফিয়াদের মধ্যে অনেকেই এক সময় কাঠ পাচার করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরাও পরেছেন বন দফতরের কাছে। এমনকি তাঁদের অনেকের বিরুদ্ধে এখনও মামলা চলছে, অনেকে আবার জামিনে মুক্ত। আলিপুরদুয়ার জেলার কুমারগ্রাম ব্লক সংলগ্ন কোচবিহার জেলার বেশ কয়েকজন কাঠ পাচারকারীকে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ভল্কা রেঞ্জে ডেকে পাঠান সংশ্লিষ্ট রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসার প্রভাত কুমার বর্মন।
রেঞ্জ অফিসার প্রভাত কুমার বর্মনের দফতরে দীর্ঘক্ষণ চলে এই বন্য সচেতনতার পাঠ। সেখান থেকেই বাইরে বেরিয়ে বনভক্ষক থেকে বনরক্ষক হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার করেন তাঁরা। তাঁরা জানিয়েছেন, জঙ্গলের কাঠ অবৈধভাবে পাচার করা বাদ দিয়ে সৎ পথেই চলবেন তাঁরা। পাশাপাশি বনাঞ্চল রক্ষায় বন দফতরকে সহয়োগিতার হাতও বাড়িয়ে দেবেন প্রতিনিয়ত। এমনকি তাঁদের সঙ্গে কথা বলে কাঠ পাচার সম্পর্কিত বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও পেয়েছে বন দফতর, এমনটাই জানিয়েছেন ভলকা রেঞ্জ অফিসার প্রভাত বর্মন।
শনিবার সন্ধায় আইসিপি পেট্রাপোল (ICP Petrapole), ১৪৫ ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা (Army) আন্তর্জাতিক সীমান্তে ৪ কেজি ৬৬৭ গ্রাম ওজনের ৪০ টি সোনার বিস্কুট সহ এক চোরাকারবারীকে গ্রেফতার করেছে। বাজেয়াপ্ত সোনার মোট মূল্য প্রায় ২ লক্ষ ৮০ কোটি টাকা।
সেনা সূত্রে খবর, কর্তব্যরত জওয়ানরা গোপন সূত্রে খবর পান এক চোরাকারবারী ট্রাক ড্রাইভারের ছদ্দবেশে আইসিপি পেট্রাপোল হয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে সোনা পাচার করতে চলেছে। অবিলম্বে, বিএসএফ আধিকারিকদের নির্দেশ অনুসারে জওয়ানরা একটি অনুসন্ধান দল গঠন করে। এর কিছুক্ষণ পরই খবর মোতাবেক এক সন্দেহভাজন বাংলাদেশি ট্রাক আইসিপি পেট্রাপোল দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে। বিএসএফ অনুসন্ধান দল তল্লাশির জন্য ওই ট্রাকটিকে থামায়। ওই ট্রাকে করে বাংলাদেশ থেকে ভারতে মাছ আনা হচ্ছিল। জওয়ানরা পুরো ট্রাকটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তল্লাশি করে। তল্লাশিকালে মাছের বাক্সের নিচে থেকে ৪০টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার করা হয়। জওয়ানরা অবিলম্বে ট্রাক এবং সোনা সহ ট্রাক চালককে আটক করে এবং আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিএসএফ ক্যাম্পে নিয়ে আসে। গ্রেফতারকৃত পাচারকারীর পরিচয় সুশংকর দাস। তিনি বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদের সময় ট্রাক চালক জানান, সে ১৫ বছর ধরে ট্রাক চালাচ্ছেন। সে আরও জানান, রবিবার ট্রাকের মালিক সফিকুল ইসলাম সে সাতক্ষীরা থেকে এই ট্রাকে মাছ বোঝাই করেছিলেন। এরপর ভারতে আসার পর এসব মাছ কলকাতার একটি বেসরকারি সংস্থার কাছে হস্তান্তর করার কথা ছিল। কিন্তু আইসিপি পেট্রাপোলে বিএসএফ অনুসন্ধান দল তল্লাশির সময় তাঁকে সোনার বিস্কুট সহ আটক করে নেয়। আটক পাচারকারীকে সোনার বিস্কুট ও ট্রাকসহ কাস্টম অফিস, পেট্রাপোল পুলিসের হাতে তুলে দিয়েছে।
৩০৬ গ্রাম ব্রাউন সুগার-সহ (Drug Smuggling) শিলিগুড়ির কুখ্যাত পাচারকারীকে গ্রেফতার করলো এসওজি-বাগডোগরা থানার পুলিস। গোপন সূত্র খবর পেয়ে বাগডোগরা সংলগ্ন এক বেসরকারি ব্যাংকের সামনে এসওজি ও বাগডোগরা থানার পুলিস (Police) এক ব্যক্তিকে আটক করে। তাকে তল্লাশির পর সেই ব্যক্তির ব্যাগের ভিতর থেকে ৩০৬ গ্রাম ব্রাউন সুগার উদ্ধার হয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি শিলিগুড়ি (Siliguri) থেকে ব্রাউন সুগার পাচারের উদ্দেশে যাচ্ছিল।
৩০৬ গ্রাম ব্রাউন সুগারের আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় কয়েক লক্ষ টাকা। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ তামান্না, বাড়ি শিলিগুড়িতে। পুলিস অভিযুক্তকে প্রথমে আটক এবং পরে গ্রেফতার করেছে। মঙ্গলবার তাকে শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তোলা হবে বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে, শিলিগুড়িতে মাদক পাচারকারী গ্রেফতারের দিন তিনেক আগেই হাতির দাঁত-সহ তিন পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছিল এসএসবি-বন দফতর। যৌথ উদ্যোগে লক্ষাধিক টাকার মূল্যের হাতির দাঁত উদ্ধার করা হয়েছিল। ফাঁসিদেওয়ার ঘোষপুকুর এলাকার বহুমূল্যের এই দাঁত পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার তিন। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে খরিবাড়ির ইন্দো-নেপাল সীমান্তে এসএসবির জওয়ানরা তিন জন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটক করেন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি জওয়ানরা তল্লাশি চালালে বহুমূল্যের দুটি হাতির দাঁত উদ্ধার হয়েছে।
অভিনব কায়দায় সোনার বিস্কুট (Gold Biscuits) পাচারের চেষ্টা। গোপনাঙ্গের মধ্যে সোনার বিস্কুট পাচারের অভিনব চেষ্টা রুখে দিল সীমান্তরক্ষী বাহিনী। বসিরহাটের (Basirhat) স্বরূপনগর থানার বিথারী-হাকিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভারত-বাংলাদেশ হাকিমপুর (Hakimpur) সীমান্তের ঘটনা। ঘটনায় আটক এক। বিএসএফ সূত্রে খবর, শুক্রবার ভোররাতে হাকিমপুরেরই বাসিন্দা পাঁচু গোপাল মণ্ডল সীমান্তের দিক থেকে সাইকেল চালিয়ে আসছিল। সেই সময় তার সাইকেল চালানোর ভঙ্গিমা দেখে সন্দেহ হয় কর্তব্যরত বিএসএফের ১১২ নম্বর ব্যাটালিয়নের জওয়ানদের। এরপরই তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন জওয়ানরা। শুরু হয় তল্লাশি। সেই সময়ই তার গোপনাঙ্গ অর্থাৎ পায়ুছিদ্র থেকে ৬টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার করে বিএসএফ জওয়ানরা। উদ্ধার হওয়া সোনার বিস্কুট গুলির ওজন ৯৬০ গ্রাম। যার বাজার মূল্য ৫৩ লক্ষ ৬২ হাজার ৯৪৪ টাকা।
আরও জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া সোনার বিস্কুট-সহ ধৃত পাচারকারীকে তেঁতুলিয়া শুল্ক দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। শুক্রবারই পাচারকারী পাঁচু গোপাল মণ্ডলকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়।
কাঠ পাচারে বাধা, পরিণাম মৃত্যু (Death)! ঘটনায় একজন বনরক্ষী-সহ ছয়জন নিহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সকালে অসম-মেঘালয় সীমান্তে (Assam-Meghalaya border)। অভিযোগ, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কাঠ পাচার রুখতে একটি ট্রাক আটকায় পুলিস (Police)। তখনই পুলিস-পাচারকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে মারা যান বনরক্ষী-সহ ছয়জন।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সাতটি জেলায় ৪৮ ঘণ্টার জন্য ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে মেঘালয় সরকার। ইতিমধ্যে ট্রাক চালক, হ্যান্ডম্যান এবং আরেক জনকে আটক করেছে পুলিস। বনরক্ষীরা ঘটনার বিষয়ে জিরিকেন্ডিং থানাকে অবহিত করে এবং শক্তিবৃদ্ধির জন্য বলে।
জানা গিয়েছে, ভোর ৩টের দিকে এই সংঘর্ষ শুরু হয়। ট্রাকটিকে পশ্চিম কার্বি আংলং জেলার মইকরাং-এর মেঘালয় সীমান্তে অসম বন বিভাগের কর্মীরা আটক করেন। প্রথমে পালানোর চেষ্টা করে ট্রাকটি। তখনই পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে বনরক্ষীরা গাড়িটিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় এবং একটি টায়ার পাংচার করে। সূত্রের খবর, পুলিস নিজেদের আত্মরক্ষার্থে গুলি চালায়। আর তাতে নিহত হন ছয় জন।
উল্লেখ্য, মৃত বনরক্ষীর নাম বিদ্যা সিং লেহেতে এবং অপর এক বনরক্ষী, অভিমন্যু এই ঘটনায় আহত হয়েছেন। পুলিস অফিসার বলেন, "এ ঘটনায় একজন ফরেস্ট গার্ড এবং খাসি সম্প্রদায়ের তিনজন নিহত হয়েছেন। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে।"
এবার বড়সড় সাফল্য পেল জলপাইগুড়ি পুলিস (police)। শুক্রবার রাতে অভিযানে উদ্ধার হয় প্রায় আড়াইশো কেজি গাঁজা। গ্রেফতার ভিন রাজ্যের তিনজন।
জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) রাজগঞ্জ সংলগ্ন ৩১ নং জাতীয় সড়কে অভিযান চালানো হয়। সেখানে পাঞ্জাব নম্বরের একটি বড় কন্টেনার ট্রাক আটক করে জেলা পুলিসের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ এবং রাজগঞ্জ থানার পুলিস তল্লাশি চালিয়ে কন্টেনারে তৈরি করা গোপন খুপুরি থেকে উদ্ধার হয় প্রায় আড়াইশো কেজি গাঁজা (weed)। যারা আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা। ওই কন্টেনারে থাকা তিনজনকে গ্রেফতার (arrest) করা হয়।
পুলিস সূত্রে খবর, ধৃতরা হল বছর ৩৫ এ জাসবিন্দর সিং, বছর ২৫ এর বাবু সিং, বছর ৫৪ এর জিন্দর সিং। ধৃতরা তিনজনই পাঞ্জাবের বাসিন্দা। ধৃতদের জিজ্ঞাসবাদের পর, পুলিস জানতে পারে, গাঁজাগুলি গুয়াহাটি থেকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
জেলা পুলিস সুপার দেবর্ষি দত্ত একটি লিখিত বার্তায় জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এনডিপিএস আইনে রাজগঞ্জ থানায় শুরু মামলা রুজু করা হয়েছে। শনিবার তাদের জলপাইগুড়ি আদালতে পেশ করা হবে।
সাত সকালেই বড়সড় সাফল্য পেল ইসলামপুর থানার পুলিস (police)। বুধবার সকালেই ৮০ বোতল ফেনসিডিল সহ ইসলামপুর (Islampur) বাস স্ট্যান্ড থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার (arrest) করে পুলিস।
পুলিস সূত্রে জানা যায়, বহরমপুর থেকে জলঙ্গি গামী বেসরকারি বাসে তল্লাশি চালায় পুলিস। সেই বেসরকারি বাঁশের ভেতর থেকে একটি ব্যাগে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ফেনসিডিল। এরপরই আলমঙ্গির সেখ নামে ধৃত ওই ব্যক্তির কাছ থেকে ৮০ বোতল উদ্ধার হয়। ধৃতের বাড়ি রাণীনগরের থানার নন্দিভিটা এলাকায়।
জানা যায়, ধৃত ওই ব্যক্তিকে ইসলামপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। বুধবারই তাকে জেলা আদালতে পাঠানো হবে। এপর পাঁচদিনে পুলিসি হেফাজতের আবেদন করা হবে। কোথায় থেকে নিয়ে আসছিল এই ফেনসিডিলগুলি, এবং কোথায় পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল সমস্ত বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে ইসলামপুর থানার পুলিস।
১০ কোটিরও বেশি টাকা মূল্যের তিমির বমি (Whale Vomit) পাচার করতে গিয়ে সম্প্রতি চার ব্যক্তিকে গ্রেফতার (Arrested) করেছে যোগী রাজ্যের পুলিস (Uttar Pradesh)। চোরাবাজারে ওই দুই ব্যক্তি স্পার্ম তিমির (Sparm Whale) বমি বা ‘অ্যাম্বারগ্রিস’ (Ambergris) বিক্রি করবে বলে পুলিস খবর পায়। অভিযান চালিয়ে প্রায় ৪ কেজি ১২০ গ্রাম ওজনের ‘তিমির বমি’ বাজেয়াপ্ত করে চোরাচালানকারীদের কাছ থেকে।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, উত্তরপ্রদেশ পুলিসের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের পক্ষ থেকে টুইটারে এই ঘটনার কথা জানানো হয়েছে। এক পোস্টে জানানো হয়েছে, ‘আন্তর্জাতিক আঙিনায় নিষিদ্ধ বন্য জীব সংরক্ষণ আইনের অধীনে চার ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৪.১২ কেজি ওজনের ওই অ্যাম্বারগ্রিস পাচার চেষ্টার অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।’
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, অ্যাম্বারগ্রিস বা তিমির বমি কী কাজে লাগে? আকাশ ছোঁয়া তার দাম বা কেন? তিমির অন্ত্রে জমে থাকা মোমজাতীয় এই পদার্থ, যা বমি হিসেবে শরীর থেকে বের করে দেয় স্তন্যপায়ী প্রাণীটি, সেই অ্যাম্বারগ্রিস ব্যবহার করা হয় সুগন্ধী নির্মাণে। তিমির বমি থেকে সুগন্ধী! এও সম্ভব! আবার কোন তিমি, না স্পার্ম তিমি। উল্লেখ্য, তিমির একটি বিশেষ প্রজাতি হল স্পার্ম হোয়েল। এছাড়া প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতিতেও এর গুরুত্ব ছিল অনেক।
সমুদ্রের জলে ভেসে আসে এই দুর্মূল্য বস্তু। তাই একে 'ফ্লোটিং গোল্ড'ও বলা হয়। সুগন্ধীর বাজারে এর গগনচুম্বী চাহিদার জন্যই এমন দাম। দুবাইয়ের মতো কয়েকটি দেশে সুগন্ধীর বিশাল বাজার।