পারিবারিক ও রাজনৈতিক বিবাদের জের, গর্ভস্থ সন্তানকে হারালেন এক প্রসূতি (pregnant women)। অভিযোগ, মহিলা পুলিস ছাড়াই আটক করা হয় এক প্রসূতিকে। প্রসূতি তাঁর চিকিত্সা সংক্রান্ত বিভিন্ন কাগজ ও নথি দেখে জামিন পান। কিন্তু এরপরই গর্ভেই মারা (death) যায় তাঁর সন্তান। বর্তমানে তিনি ভর্তি স্থানীয় হাসপাতালে (hospital)। ঘটনাটি বীরভূমের (Birbhum) সিউড়ির।
জানা যায়, পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে পারিবারিক ও রাজনৈতিক অশান্তি দীর্ঘদিনের। কয়েকদিন আগেই সেই অশান্তি ফের মাথাচাড়া দেয়। অভিযোগ, বাড়ির দুই মহিলাকে বেধড়ক মারধর করে অভিযুক্ত পরিবারেরই এক সদস্য। এরপর খবর পেয়ে রামপুরহাট থানার পুলিস এসে পরিবারের সকলকে আটক করে নিয়ে যায়। সেই তালিকাতেই ছিলেন প্রসূতিও। তবে পরিবারের মহিলাদেরকেও আটক করে নিয়ে গিয়েছে পুরুষ পুলিস। ছিল না একজনও মহিলা পুলিস।
এরপর থানায় একদিন থাকার পর সিউড়ি আদালতে তাঁদের পেশ করা হয়। তখন ওই প্রসূতি তাঁর যাবতীয় চিকিত্সার কাগজ দেখিয়ে জামিন পান। কিন্তু বাড়ি ফিরতেই তাঁর প্রচন্ড পেটে যন্ত্রণা হয়। তড়িঘড়ি তাঁকে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। সেখানেই মারা যায় তাঁর সন্তান। ঘটনায় শোকের ছায়া এলাকায়।
কেন মহিলা পুরুষ ছাড়াই পরিবারের মহিলাদের আটক করা হল? প্রশ্ন তুলেছে পরিবার। পাশাপাশি আসল দোষীদের শাস্তি দেওয়ার দাবিও করেছে পরিবার।
অবশেষে উদ্ধার সিউরির (Siuri) নিখোঁজ (missing) শিশু। গত দুদিন আগে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া শিশুকে শনিবার সকালে পাথর চাপরি থেকে এক মহিলা তার বাড়িতে দিয়ে আসে। সেই শিশু সহ তার পরিবারকে ইতিমধ্যেই সিউরি থানায় জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিস।
প্রসঙ্গত, বীরভূমের (Birbhum) সিউড়ির ১৮ নম্বর রেলগেট এলাকা থেকে ফের এক শিশু নিখোঁজ হয়। নিখোঁজ শিশুর নাম নাজিমুদ্দিন মণ্ডল, বয়স ৮ বছর। পরিবার সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে চা খেয়ে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর সে আর বাড়ি ফেরেনি। পরিবার জানায় অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও তাকে পাওয়া যায়নি। এরপরই তদন্তে নামে সিউড়ি থানার পুলিস (police)। ওই এলাকা অন্তর্গত পুকুর-সহ অন্য জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়। পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছিল, তাঁদের ছেলেকে হয়তো কেউ অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছে। বেলা বাড়তেই এলাকায় এসে পৌঁছয় স্নিফার ডগ। ব্যবহার করা হয় ড্রোনও। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে চলে তল্লাশি। তবে এদিন সকালে শেষমেশ উদ্ধার হয় নিখোঁজ শিশু।