বড় অবলীলায় ভরা সভা থেকে বক্তব্য রেখেছিলেন মাননীয়া। অসংগঠিত ক্ষেত্রে শ্রমিকদের কাজ করার জন্য যথেষ্ট ভাল পরিবেশ নাকি রয়েছে এই বাংলাতেই। ঠিক যেমন ডিগ্রিধারীদের জন্য চপশিল্পের অনুপ্রেরণা। আর বাস্তবের ছবিটা কী বলছে? বাস্তবে পেটের জ্বালা যে বড় জ্বালা। আর তাতেই পরিবার পরিজন ছেড়ে ভিনরাজ্য়ে বাসা বাঁধে ওঁরা। আর সেই আশাতেই কাজের খোঁজে দালাল ধরে অন্ধ্রপ্রদেশে পাড়ি দিয়েছিল বাঁকুড়ার ৬ পরিযায়ী শ্রমিকের দল। কিন্তু সেখানে গিয়েই ধাপ্পা। নাম কে ওয়াস্তে বেতনের বিনিময়ে প্রায় ক্রীতদাসের ভূমিকায় বঙ্গ সন্তানের দল। আধপেটা খাবার। সঙ্গে অমানসিক অত্যাচার। কেড়ে নেওয়া হয় যোগাযোগের একমাত্র সম্বল মোবাইলটাও।
ভিনরাজ্যে আটকে বাড়ির ছেলে। স্থানীয় তৃণমূল নেতা থেকে প্রশাসন, সব দরজায় কড়া নেড়েও সুবিধে হয়নি কোনওটাতেই। অবশেষে ময়দানে নামে লাল ঝাণ্ডার দল। সিটুর বাঁকুড়া জেলা নেতৃত্বের কাছে খবর পৌঁছোতেই হুলুস্থুলু শুরু দুই রাজ্যে।
কখনও মৃত্যু। কখনও নিখোঁজ। কখনও প্রাণ টুকু নিয়ে বাড়ি ফেরা। কম পয়সায় পরিযায়ী শ্রম লুফে নিলেও সব রাজ্যেই ওঁরা অবাঞ্ছিত। ভিনরাজ্যে সামাজিক সুরক্ষার কথা না হয় তোলাই থাকল। সরকারই বা কী ভাবছে নিজের রাজ্যের শয়ে শয়ে বেকার যুবক যুবতীদের জন্য়। বছরে একবারের শ্রমিক মেলার চাকচিক্যে মুছবে কড়া বাস্তবটা। নিজের দায়িত্ব থেকে এইভাবেই মুখ ফিরিয়ে নেবে সরকার?
ফের সংবাদ শিরোনামে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। যাদবপুরে বাম বাধায় আটকে গেল রাম কর্মসূচি। অশান্তির গুঞ্জন ছিলই। সে কথা মাথায় রেখে রবিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছিল। কিন্তু রামমন্দির উদ্বোধনের দিন অশান্তি আটকানো গেল না যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন শুরুর খানিকটা আগেই তপ্ত হয়ে ওঠে যাদবপুর ক্যাম্পাস।
রামমন্দির উদ্বোধনের লাইভ স্ট্রিমিং করার জন্য প্রোজেক্টর-সহ অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করছিল অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের সমর্থকেরা। অভিযোগ, সেই সময় অতিবাম সংগঠনের ছাত্রছাত্রীরা তাদের বাধা দেয়। স্লোগান, পাল্টা স্লোগানে ক্যাম্পাসে তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়। হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন দু'পক্ষের সমর্থকেরা। চলে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ও। ABVP শিবিরের দাবি, বামেরা তাদের উপর হামলাও চালিয়েছে।
যাদবপুরের ঘটনায় ইতিমধ্যেই আহত হয়েছেন বিশ্ব বিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য অমিতাভ দত্ত। সূত্রের খবর, মারমুখী ছাত্রদের মধ্যে পড়ে আহত হন তিনি। এছাড়াও ABVP সূত্রে খবর, তাঁদের ৮ জন সদস্য আহত হয়েছেন। অন্যদিকে DSF, SFI সহ অন্যান্য বাম সংগঠনের ৪ জন সদস্য আহত। খবর পেয়ে অধ্যাপকদের অনেকে পৌঁছে যান ৩ নম্বর গেটের সামনে। পরিস্থিতি সামাল দিতে গেট বন্ধ করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তার পরেও চাপা উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে।
৮ অক্টোবর অর্থাৎ শনিবার রেড রোডে অনুষ্ঠিত হবে দুর্গাপুজো কার্নিভাল (Puja Carnival)। কার্নিভালের প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। গত দু'বছর করোনা পরিস্থিতির (Covid Situation) জন্য কার্নিভাল বন্ধ ছিল। এবছর আবার কার্নিভালের আয়োজনে পশ্চিমবঙ্গ সরকার (Bengal Government)। শহরের সেরা অন্তত ১০০টি পুজো এই কার্নিভালে অংশগ্রহণ করবে। তারই প্রস্তুতি তুঙ্গে।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার থেকেই মণ্ডপ থেকে বের করে আনা হবে প্রতিমাগুলো। রাখা থাকবে রেড রোডে। কোন প্রতিমা কীভাবে রাখা হবে, তার তালিকা ইতিমধ্যে তৈরি হয়েছে। এই মেগা আয়োজনে যাতে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি না হয়, অতিথিদের বসার ক্ষেত্রে তাই বিশেষ আয়োজন। একটি আয়োজনে বসবেন মুখ্যমন্ত্রী এবং মুখ্য অতিথিরা। দ্বিতীয় আয়োজনে বসবেন মন্ত্রী এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা। তৃতীয় আয়োজনে বসবেন অন্য আমন্ত্রিত এবং অতিথিরা। এবং সব শেষে বাকি যারা টিকিট কেটে কার্নিভালে দেখবেন তাঁদের জন্য তৈরি আলাদা ব্যবস্থা। এমনটাই কলকাতা পুলিস এবং রাজ্য সরকার সূত্রে খবর। পাশাপাশি শুক্রবার থেকেই রেড রোডে যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
শুক্র এবং শনিবার বন্ধ থাকবে রেড রোড। তার বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হবে রানী রাসমণি রোড, মেয়ো রোড খলা থাকবে। খোলা থাকবে জাজেস ঘাট রোড এবং আউট্রাম রোড।
প্রবল বৃষ্টিতে(heavy rain) বন্যা(flood) পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে ওড়িশায়(Odisha)। ওড়িশার ১০ টি জেলার প্রায় আড়াই লাখ মানুষ বিপর্যস্ত বন্যা পরিস্থিতির জেরে। ইতিমধ্যেই ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির ফলে ওড়িশায় প্রায় ১,৪০০ টি গ্রাম(village)) ভেসে গিয়েছে। উল্লেখ্য, প্রবল বর্ষণে মহানদী ফুঁসে উঠতেই বাঁধ ভেঙে যায়।
জলমগ্ন কটক সহ বিভিন্ন এলাকা। দুর্গত এলাকা থেকে সাধারণ মানুষকে উদ্ধারে স্থানীয় প্রশাসন(local administration) তত্পর। এই পরিস্থিতিতে ফের ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া দফতর। শুক্রবার ও শনিবার ফের ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলেই জানানো হয়েছে। আজ সকাল থেকেই বঙ্গোপসাগরের পূর্ব উপকূলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। ধীরে ধীরে নিম্নচাপটি পশ্চিমবঙ্গের গাঙ্গেয় উপকূল, উত্তর ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড ও ছত্তিশগড়ের দিকে অগ্রসর হবে।
২৪ হাজার হেক্টর চাষের জমি ইতিমধ্যেই ভেসে গিয়েছে বলে খবর। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিরাকুঁদ বাঁধের বহু গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। স্পেশ্যাল রিলিফ কমিশনর জানান, উদ্ধারের কাজে ওড়িশা ব়্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স কাজ করছে। সঙ্গে রয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল।
শুক্রবার সকাল থেকেই কেওনঝড়, ময়ূরভঞ্জে অতি ভারী থেকে প্রবল বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে খুরদা, পুরী সহ ৭ টি জেলায়। কমলা সতর্কতা জারি কটক, জগৎসিংপুর ও সম্বলপুর সহ ১৪টি জেলায়। শনিবারও ওড়িশার সাত-আটটি জেলায় অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই নিম্নচাপের জেরে বৃষ্টি শুরু হয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। সন্ধ্যার দিকে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে প্রবল বৃষ্টিতে ব্যাহত হয় শহর কলকাতাস-সহ শহরতলির জনজীবন। আগামি ২৪ ঘণ্টা চলবে বৃষ্টি। এমনটাই জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দুর্গতদের উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। খোলা হয়েছে মেডিক্যাল ক্যাম্পও। বন্যা দুর্গতদের খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থাও করেছে প্রশাসন। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারই আকাশপথে বন্যা পরিস্থিতির উপরে নজর চালান ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। আগামী ১৫ দিন এই জেলায় সমস্ত গ্রামে ত্রাণ সামগ্রী দেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।