আবারও রাজ্যে আত্মঘাতী বিএসএফ জওয়ান (BSF Jawan)। এবার ঘটনাস্থল কোচবিহারের (Cooch Behar) শীতলকুচি (Sitalkuchi)। বিএসএফ সূত্রে খবর, শুক্রবার ভোরে নিজের সার্ভিস রিভলভার থেকে বুকে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী (Death) হয়েছেন তিনি। সহকর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত শীতলকুচি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
জানা গিয়েছে, মৃত জওয়ানের নাম এন এম স্বামী। তাঁর বাড়ি অন্ধ্রপ্রদেশে। কোচবিহারের শীতলকুচি ব্লকের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের গাদোপোতায় ক্যাম্পে থাকতেন তিনি। অন্যান্য জওয়ানরা জানান, শুক্রবার ভোররাতে আচমকা গুলির শব্দ পান তাঁরা। তখনই দেখতে পান রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন এন এম স্বামী। তড়িঘড়ি উদ্ধার করে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলেও শেষরক্ষা হয়নি। পারিবারিক অশান্তির জেরেই এমন ঘটনা হতে পরে বলে আশঙ্কা করছেন সহকর্মীরা।
কিন্তু কেন এমন ঘটনা? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিএসএফের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাথাভাঙ্গায় পাঠানো হয়েছে। জওয়ানের ‘আত্মহত্যা’ নিয়ে বাহিনীর তরফে এখনও সরকারি ভাবে কিছু জানানো হয়নি। যদিও এ ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও সেনা জওয়ানদের আত্মঘাতী হওয়ার খবর সামনে এসেছে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে উত্তপ্ত কোচবিহার (Cooch Behar)। দিনহাটা (Dinhata), শীতলকুচিতে (Sitalkuchi) পরপর কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত পরিবেশ। সংঘর্ষে জড়িয়েছে শাসকদল তৃণমূল (TMC) ও বিজেপি (BJP)। উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের হিংসা নিয়ে ফের সরব রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (C. V. Ananda Bose)।
রাজ্যপাল বলেন, 'আমি বিশদে বলতে চাই না। যারা সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, তাদের ভাবতে হবে। আমার লক্ষ্য পরিস্থিতির উপর নজর রাখা। বর্তমান পরিস্থিতি এখনই বদলাতে হবে। এই পরিস্থিতি অসহনীয়। এটা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।'
রাজ্যপালের উত্তরবঙ্গ সফরের মাঝেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কোচবিহার। শীতলকুচি, দিনহাটাতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বুধবারও নতুন করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এর আগে মুর্শিদাবাদ ও দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও পঞ্চায়েতের মনোনয়ন ঘিরে উত্তাপ ছড়ায়। ভাঙড় ও ক্যানিংয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
প্রেমে বাধা দিতেই কি খুন হতে হলো তৃণমূল সদস্যার (Tmc Leader) পরিবারকে! বাড়িতে ঢুকে কুপিয়ে খুন করা হলো কোচবিহারের (Cooch behar) শীতলকুচির (Sitalkuchi) পঞ্চায়েত সদস্য, তাঁর স্বামী ও বড় মেয়েকে। ছোট মেয়েও গুরুতর আহত হয়ে ভর্তি হাসপাতালে। শুক্রবার সকালে ঘটনার টের পেয়ে স্থানীয়রাই এক অভিযুক্তকে ঘটনাস্থলে মারধর করে পুলিসের হাতে তুলে দেয়। পুলিস তৎপর হয়ে আরও দুজন অভিযুককে গ্রেফতার করে। স্থানীয়দের মারধরে আহত ব্যক্তিকে স্থানীয় এমজেএন মেডিকেল কলেজে নেওয়া হয়েছে, বাকি ২ জন অভিযুক্তকে থানায় নিয়ে গিয়েছে পুলিস।
শুক্রবার কোচবিহারের শীতলকুচির পশ্চিমপাড়ায় ঘটনাটি ঘটেছে। এই ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। পুলিস সূত্রে খবর, প্রাথমিক ভাবে অনুমান, পঞ্চায়েত সদস্যার ছোট মেয়ের প্রেমঘটিত সম্পর্কে টানাপোড়েনের জেরেই এই হত্যাকাণ্ড। আদতে সেটাই সত্যি নাকি এই খুনের পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে? কিংবা এই খুনে আরও কেউ জড়িয়ে আছে কিনা সেটার তদন্ত করে দেখছে পুলিস।