এশিয়ান গেমসে (Asian Games) ফের লক্ষ্যভেদ ভারতীয় শুটারদের। ১০ মিটার এয়ার রাইফেলসের পুরুষদের দলগত ইভেন্টে সোনা জিতলেন ভারতের সরবজ্যোত সিং, শিবা নারওয়াল ও অর্জুন সিং চিমা। তাঁরা মোট ১৭৩৪ পয়েন্ট স্কোর করেছেন। সেই সঙ্গে ভারতকে আরও একটি সোনার পদক এনে দিয়েছেন। এদিন ভারতের ঝুলিতে রুপোর পদকও আসে উশু থেকে।
এশিয়ান গেমসের শুরুটা এই তিন শুটারের ভালো না হলেও শেষটা তাঁদের সোনা জয়ের মাধ্যমেই হয়েছে। ভারতীয় শুটারদের প্রথম রাউন্ডে স্কোর ছিল ২৮৪। কিন্তু দ্বিতীয় ভাগে ক্রমশ নিজেদের মেলে ধরেন তিন শুটার। দ্বিতীয় থেকে ষষ্ঠ রাউন্ড পর্যন্ত তাঁদের স্কোর যথাক্রমে ২৮৭, ২৯১, ২৯৪, ২৯০ ও ২৮৮। সব মিলিয়ে ১৭৩৪ পয়েন্ট স্কোর করেন তাঁরা। আর ১৭৩৩ পয়েন্ট স্কোর করেন চিনের তিন প্রতিযোগী। ফলে রুপো যায় চিনের ঘরে।
মণিপুরের রোশিবিনা দেবী মহিলাদের ৬০ কেজি বিভাগে রূপো জেতেন। রোশিবিনার ম্য়াচের শুরুতে এগিয়ে যায় তাঁর চিনা প্রতিপক্ষ ইউ শিয়াওয়ে। প্রথম থেকে দাপট দেখায় চিনা প্রতিপক্ষ। তবে দ্বিতীয় রাউন্ডে পাল্টা লড়াইয়ে ফেলেন রোশিবিনা। তবে সেটাও বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। পাল্টা লড়াইয়ে ইউ শিয়াওয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে ম্যাচ জিতে নেন। সঙ্গে তিনি সোনা নিশ্চিত করেন।
উল্লেখ্য, এই সোনা জয়ের ফলে এশিয়ান গেমসে ভারতের পদকের সংখ্যা হল ২৪। তার মধ্যে ৬টি সোনা, ৮টি রুপো ও ১০টি ব্রোঞ্জ রয়েছে।
এশিয়াডে চতুর্থ দিনের শুরুতেই শুটিংয়ে জোড়া সাফল্য ভারতের। বুধবার শুটিংয়ের দুই বিভাগে সোনা ও রুপো জিতলেন ভারতীয মহিলা শুটাররা। মহিলাদের দলগত ৫০ মিটার রাইফেলে প্রথমে রুপো জেতে ভারত। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই ২৫ মিটার পিস্তল টিম ইভেন্টে সোনার পদক জিতলেন।
মনু ভাকর, এষা সিং এবং রিদম সাংওয়ানের ত্রয়ী যোগ্যতার শীর্ষে শেষ করে মহিলাদের ২৫ মিটার পিস্তল দলগত ইভেন্টে সোনার পদক জিতলেন। এটা এশিয়ান গেমসে ভারতের চতুর্থ স্বর্ণপদক জয়। সেইসঙ্গে দেশের নামও আরও একবার উজ্জ্বল করলেন তাঁরা।
২৫ মিটার পিস্তল ইভেন্টে চিন এবং দক্ষিণ কোরিয়াকে হারিয়ে সোনা জিতল ভারত। ফাইনালে দলগতভাবে ভারত স্কোর করে ১৭৫৯, রুপো জয়ী চিনের স্কোর ছিল ১৭৫৬। অন্যদিকে ১৭৪২ পয়েন্ট নিয়ে ব্রোঞ্জ জয় করে দক্ষিণ কোরিয়া। ফাইনালে ভারতের হয়ে অনবদ্য পারফরম্যান্স করেন মনু ভাকর। তিনি একাই স্কোর করেন ৫৯০। এষা এবং রিদম স্কোর করেন ৫৮৬, ৫৮৩। রুপো আসে শুটিংয়ে। মহিলাদের দলগত ৫০ মিটার রাইফেল ৩ পজিশনসে ভারতকে পদক এনে দিলেন আশি চোক্সী, মানিনী কৌশিক ও শিফট কউর সামরা। ১৭৫৪ পয়েন্ট পদক জিতেছেন তাঁরা। এই প্রতিযোগিতায় সোনা জিতেছে চিন। তাদের পয়েন্ট ১৭৭৩। ভারতীয় দলকে সমাজ মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানান কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর।
উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত ভারত মোট ১৬টি মেডেল জিতেছে। যার মধ্যে রয়েছে চারটি সোনা, পাঁচটি রুপো ও সাতটি ব্রোঞ্জ। ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল, পুরুষদের ১০ মিটার এয়ার রাইফেল এবং ইকুয়েস্ট্রিয়ান টিমের হাত ধরে এসেছে তিনটি সোনা। ৪১ বছর পর এই বিভাগে পদক জিতে ইতিহাস গড়েছে ইকুয়েস্ট্রিয়ান টিম।
উলুবেড়িয়ার (Uluberia) ফুলেশ্বরে মাটির নীচ থেকে উদ্ধার হল প্রাচীন মুদ্রা (Ancient Silver Coins)। আর তা স্বচক্ষে দেখতে ভিড় উপচে পড়ল এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার বিকেলে উলুবেড়িয়া থানার অন্তর্গত ২১ নম্বর ওয়ার্ডের ফুলেশ্বর বৈকন্ঠপুরে। মাটির নিচ থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৭০ টি রূপোর মুদ্রা। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে উলুবেড়িয়া থানার পুলিস (Police) এসে বিষয়টি তদন্ত শুরু করেছে। আপাতত মুদ্রাগুলি যাঁর কাছে আছে, সেখানেই রাখা হয়েছে বলে খবর। পরবর্তী ক্ষেত্রে তদন্তের স্বার্থে ওই মুদ্রাগুলি প্রয়োজন হলে পুলিসি হেফাজতে নেওয়া হবে, এমনটাই জানিয়েছে প্রশাসনের তরফে।
পুলিস সূত্রে খবর, কানাই দাস নামক এক ব্যক্তির বাড়িতে এই ঘটনাটি ঘটে। তাঁর নতুন বাড়ি তৈরির জন্য মাটি কাটার কাজ চলছিল। সেই সময়ই মাটির নীচ থেকে বেরিয়ে এল প্রাচীন রুপোর মুদ্রা। বাড়ি তৈরির জন্য বুধবার সকাল থেকেই কানাই দাসের বাড়িতে মাটি কাটা হচ্ছিল।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মাটি কাটার সময়ই মাটির নীচ থেকে একটি ঢাকনা দেওয়া মাটির হাঁড়ি দেখতে পান শ্রমিকরা। কৌতুহলবশত তাঁরা ওই মাটির হাঁড়ির ঢাকনা খুলতেই ভিতরে একটি কাঁচের বোতল দেখতে পান। তার মধ্যেই রুপোর মুদ্রাগুলি ছিল।
এই ঘটনায় বাড়ির কর্তী বনমালা দাস বলেন, 'বুধবার বাড়ি তৈরীর জন্য মাটি কাটা হচ্ছিল। আর আমি বাড়িতে রান্না করার সময়ই এই রুপোর মুদ্রা উদ্ধারের বিষয়টি জানতে পারি। প্রায় ৭০ টি মুদ্রা পাওয়া গেলেও আমার জামাই কিছু মুদ্রা নিয়ে চলে গিয়েছে। তাই এখন আমার কাছে ২৭টি মুদ্রা আছে।'
অন্যদিকে এই ঘটনায় ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার প্রবীন মান্না জানান, উদ্ধার হওয়া মুদ্রাগুলি শতাধিক বছরের পুরাতন।
পাচারের আগেই পাচারকারীকে (Sumggling) গাড়ি সহ গ্রেফতার (Arrest) করল বিএসএফ জওয়ানরা (BSF)। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাটের (Basirhat) স্বরুপনগর থানার অন্তর্গত বিথারী হাকিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হাকিমপুর চেকপোস্টে। তল্লাশি চালিয়ে চারচাকা গাড়ি সিটের ভিতর থেকে প্রায় ২৩ কেজি রুপোর গয়না উদ্ধার করল বিএসএফ। যার বাজার মূল্য প্রায় ১৩ লক্ষ ৬৪ হাজার ৫৬৩ টাকা।
বিএসএফ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ওই পাচারকারীর নাম অনিমেষ দাস। হাকিমপুরের দাসপাড়ার বাসিন্দা। মঙ্গলবার রাতে অভিযুক্ত চারচাকা গাড়ি করে বাংলাদেশ সীমান্তের দিকে যাচ্ছিল। সেই সময়ই সন্দেহের জেরে হাকিমপুর চেকপোষ্টে গাড়ি দাঁড় করিয়ে ১১২ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের সীমান্তরক্ষী বাহিনীরা ওই গাড়িটির তল্লাশি চালায়। তল্লাশির পরেই গাড়ির সিটের মধ্যে থেকে প্রায় ২৩ কেজির রুপোর গয়না উদ্ধার করা হয়।
বিএসএফ জানিয়েছে, অভিযুক্তের ওই গাড়িটিকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে এবং গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। এমনকি উদ্ধার হওয়া রুপোর গয়না সহ পাচারকারীকে তেঁতুলিয়া শুল্ক দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
ফের বড় সাফল্য বিএসএফের (BSF)। সীমান্তে ৪ কেজি রুপোর (Silver) গয়না ও বাইক সহ গ্রেফতার (Arrest) পাচারকারী। বসিরহাটের (Basirhat) স্বরূপনগর থানার বিথারী-হাকিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হাকিমপুর চেকপোস্টের ঘটনা। ঘটনায় পাচারকারী সহ উদ্ধার হওয়া রুপোর গয়নাগুলি তেঁতুলিয়া শুল্ক দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এমনকি পাচারকারীর (Sumggler) বাইকটিকেও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বিএসএফ-র প্রাথমিক অনুমান, এই রুপোর গয়নাগুলি বাংলাদেশে পাচারের চেষ্টা চলছিল।
বিএসএফ সূত্রে খবর, ধৃত পাচারকারীর নাম শরিফ গাজী। তিনি স্বরূপনগরের বিথারী হাকিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তারালি এলাকার বাসিন্দা। অভিযুক্ত বাইকে করে রুপোর গয়না বাংলাদেশ সীমান্তের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল। সেইসময় হাকিমপুর চেকপোস্টে কর্তব্যরত ১১২ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানদের সন্দেহ হয়। তারা তল্লাশি চালাতেই মোটর বাইকের ভিতর থেকে বেরিয়ে আসে ৪ কেজির রুপোর গয়না। যার বাজার মূল্য প্রায় ৩ লক্ষ টাকা। এই ঘটনার পরেই বিএসএফ-এর সীমান্তরক্ষীরা পাচারকারীকে আটক করে।
ফের সোনার দোকানে চুরির (Theft) ঘটনা। দেওয়ালের উপরের অংশ ভেঙে চুরি করে দুষ্কৃতীরা। চাকদায় (Chakdaha) শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি রোডের একটি সোনার দোকানের ঘটনা। দোকানের শো-কেসে থাকা সোনা-রুপোর গয়না নিয়ে যায় চোর। পুরসভা ও চাকদা থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে আসে চাকদা থানার (Chakdaha Police) পুলিস।
জানা গিয়েছে, চুরি হওয়া দোকানের নাম মা জুয়েলার্স অ্যান্ড স্টোর্স। দোকানের মালিকের নাম বিকাশ কর্মকার। দোকানের পিছন দিকে দেওয়ালের উপরের অংশ ভেঙে ভিতরে ঢোকে চোর। দোকানে ঢুকেই প্রথমেই সিসিটিভি খুলে ফেলে দুষ্কৃতীরা। এমনকি সিন্দুক ভাঙতে না পেরে দোকানের শো-কেসে থাকা সোনা ও রুপোর গয়না নিয়ে যায় তারা।
এই ঘটনায় বিকাশবাবুর ছেলে বর্ষণ কর্মকার জানান, 'শনিবার সকালে দোকান খুলে দেখি ড্রয়ার ও শোকেসের মধ্যে থাকা সোনা রূপোর গয়না উধাও। এমনকি দোকানের ভিতরে থাকা সিন্দুকটাও ভাঙার চেষ্টা করা হয়েছিল।' তবে কী পরিমাণ জিনিস চুরি হয়েছে তা এখনও জানতে পারা যায়নি। বেশ মোটা অঙ্কের টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, এমনটাই দাবি তাঁর।
চাকদা থানা ও পুরসভার অধীন থাকা এই শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি রোড একটি জনবহুল এলাকা। আর সেই রাস্তার উপরে থাকা সোনার দোকানে চুরির ঘটনায় আতঙ্কিত অন্যান্য ব্যবসায়ীরাও। এত বড় বাজার থাকা সত্ত্বেও প্রশাসন থেকে কোনও পাহারাদার নিয়োগ করা হয়নি কেন? তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। তবে ইতিমধ্যেই চাকদা থানার পুলিস এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
মোটরবাইকের তেল ট্যাংকের ভিতর থেকে প্রচুর রুপোর গয়না উদ্ধার। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের স্বরূপনগর থানার ভারত-বাংলাদেশের আরশিকারি সীমান্তের ঘটনা। ঘটনাস্থলেই আটক করা হয় পাচারকারীকে। পাচারকারীর কাছ থেকে উদ্ধার হয় ৩ কেজি ৭৪০ গ্রাম রুপোর গয়না। উদ্ধার করা রুপোর গয়নার বাজারমূল্য প্রায় ২ লক্ষ টাকা।
জানা গিয়েছে, বছর ২৪-এর ওই ধৃতর নাম ইয়াসিন আলী মোল্লা। বুধবার সকালে মোটরবাইকে করে সীমান্তের দিকে যাচ্ছিল ওই পাচারকারী। পাচারকারীকে দেখে ১১২ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানদের সন্দেহ হয়। সন্দেহের জেরে ওই বাইকে তল্লাশি চালায় বিএসএফ। ওই বাইকের তেলের ট্যাঙ্কের ভিতরে ৩ কেজি ৭৪০ গ্রাম রুপোর গয়না উদ্ধার করেন জওয়ানরা। এখন যার বাজারমূল্য প্রায় ২ লক্ষ টাকা। মোটরবাইক-সহ পাচারকারীকে আটক করা হয়। এমনকি উদ্ধার হওয়া রুপোর গয়নাগুলি তেতুলিয়া শুল্ক দফতরের হাতে তুলে দেয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
বিএসএফের প্রাথমিক অনুমান, এই রুপোর গয়নাগুলি বাংলাদেশে পাচারের চেষ্টা করছিল পাচারকারী। সেই উদ্দেশ্যে মোটরবাইকে করে নিয়ে আসছিল গয়নাগুলি। তবে এর সঙ্গে কোন আন্তর্জাতিক পাচার চক্রের যোগসূত্র আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী।