লোকসভা ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে। কোমর বেঁধে ময়দানে নেমেছে বিজেপি, তৃণমূল। তৃতীয় দফায় সভা করতে বঙ্গে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ, শনিবার বিকেলে শিলিগুড়িতে সভা করছেন তিনি। সেখানে উপস্থিত থাকছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি তথা অধুনা বিজেপি নেতা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, এমনটাই দলীয় সূত্রে খবর।
জানা গিয়েছে, শনিবার সকাল ১১টা ১৫ নাগাদ বাগডোগরায় নেমেছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। উত্তরবঙ্গের বিজেপি নেতা শঙ্কর ঘোষ তাঁকে বিমানবন্দর থেকে নিয়ে যান। লোকসভা নির্বাচনের মুখে উত্তরবঙ্গের প্রথম সভাটি শিলিগুড়ি দিয়ে শুরু করেছেন তিনি। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ সংলগ্ন কাওয়াখালি মাঠে বিকেল তিনটেয় ওই সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে শিলিগুড়ি শহর সংলগ্ন এলাকার বিভিন্ন জায়গায় নিয়ন্ত্রিণ করা হচ্ছে যান চলাচল।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দুপুরে বিচারপতির পদ থেকে ইস্তফা দিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তারপরই ৭ই মার্চ সুকান্ত মজুমদার ও শুভেন্দুর উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগদান করেন। বিজেপিতে যাওয়ার পর এটাই প্রথম মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হতে চলেছে প্রাক্তন বিচারপতির।
নাবালিকা স্কুল ছাত্রীকে যৌন নিগ্রহের চেষ্টার অভিযোগ। ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হতেই অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষককে গ্রেফতার করল শিলিগুড়ি মহিলা থানার পুলিস। শুক্রবার ধৃতকে আদালতে পেশ করা হয়। অন্যদিকে, এই ঘটনায় অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের কঠোর শাস্তির দাবি তুলে তার চাকরি থেকে বরখাস্ত করার আর্জি জানিয়ে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের সঙ্গে দেখা করলেন এবিভিপির সদস্যরা।
অভিযোগ, মহম্মদ আলম নামে ওই স্কুল শিক্ষক টিউশনি পড়ানোর নামে এক স্কুল ছাত্রীকে ডেকে যৌন হেনস্তার চেষ্টা করে। ঘটনাটি ঘটেছে চলতি বছরের ৩ রা জানুয়ারি। বেশ কিছুদিন বিষয়টি ধামাচাপা থাকলেও সম্প্রতি তা প্রকাশ্যে আসে। এরপরই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। অন্যদিকে, অভিযুক্ত ওই শিক্ষক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে শিলিগুড়ি শহরের সেবক রোড এলাকার একটি নার্সিংহোমে ভর্তি হন। সেখানেই চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় পুলিস তাকে গ্রেফতার করে।
শুক্রবার নার্সিংহোমের তরফে অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে ছেড়ে দেওয়া হলে তৎক্ষনাৎ তাকে আদালতে পেশ করা হয়। এরপর এদিন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখানো হয় এবিভিপির তরফে। তাদের দাবি অবিলম্বে ওই শিক্ষককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে হবে।
শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে মাধ্য়মিক পরীক্ষা। প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে চার চাকা, পিকআপ ভ্য়ান ও ক্যান্টারে করে মাধ্যমিক পরীক্ষার সেন্টারে পৌঁছল ছাত্রছাত্রীরা। সিএন-এর ক্য়ামেরায় ধরা পড়ল সেই ছবি। শনিবার সকালে ফাঁসিদেওয়া ব্লকের মাদাতি হাইস্কুলে দূরদূরান্ত থেকে পরীক্ষা দিতে আসা ছাত্র-ছাত্রীদের দেখা গেল এমন অবস্থায়।
যেখানে দেখা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথম দিনেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পাহাড়ের স্কুলগুলিতে ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষা দিতে যাতে অসুবিধা না হয় সেই কথা মাথায় রেখে রুম হিটারের ব্যবস্থা করা হয়। এমনকি হাতির উপদ্রবে এলাকাগুলি থেকে বনদফতরের পক্ষ থেকে বাসের ব্যবস্থা করে ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বিভিন্ন পরীক্ষা সেন্টারে।
ঠিক সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে চা বাগানের শ্রমিকের ছেলেমেয়েরা প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে এই ঠান্ডার মধ্যে পিকআপ ভ্যান ও ক্যান্টারে করে পরীক্ষার সেন্টারে যেতে হচ্ছে। ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি, যে কয়দিন মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে অন্তত সেই কয়েকদিন সরকারের পক্ষ থেকে যাতায়াতের জন্য বাসের ব্যবস্থা করে দেওয়া হলে খুব উপকৃত হত।
অবৈধভাবে মহানন্দা নদীর চর কেটে চলছিল মাটি মাফিয়াদের বালি বিক্রির কাজ। বালি বিক্রির কাজ বন্ধ করতে সরব গ্রামবাসীরা। শিলিগুড়ি মহকুমার ফাঁসিদেওয়া ব্লকের বিধাননগর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত উত্তর দিনাজপুর ও দার্জিলিং জেলার মাঝ বরাবর দিয়ে বয়ে চলেছে মহানন্দা নদী।
সেই মহানন্দা নদীর চর কেটে বিক্রি করছে মিনি ডাকপাড়া গ্রামের বেশ কিছু মানুষ। যারা বিক্রি করছে তাঁদের দাবি, তাঁরা পৈত্রিক সম্পত্তি কেটে বিক্রি হচ্ছে। বিগত কয়েক বছর আগে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হওয়ার ফলে আমাদের জমির উপর দিয়ে নদী বইতে শুরু করে। সেই সময় নদীগর্ভে চলে যায় কয়েকশ একর জমি। তবে এখন নদীর গতিপথ পরিবর্তন হওয়ার ফলে সেই জমি ফিরে পেয়েছি। সেখান থেকেই নিজের বাড়ির কাজের জন্য ও গ্রামবাসীরা নিজেদের কাজের জন্য ট্রাক্টর করে বালি নিয়ে যাচ্ছে।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে নদীর চর জেসিবির মাধ্যমে কেটে ট্রাক্টর বোঝাই করে অন্য এক জায়গায় ডাম্পিং করা হচ্ছে। সেখান থেকে রাতের অন্ধকারে ডাম্পার করে বালিগুলি পাচার করা হচ্ছে। তবে রাতের অন্ধকারে বালি পাচারকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীরা লিখিতভাবে অভিযোগ দিয়েছেন ফাঁসিদেওয়ার বিএলআর অফিসে।
ফাঁসিদেওয়ার বিএলআরও শুভ্রজিৎ মজুমদার জানান, নদীর গতিপথ পরিবর্তনের ফলে ওই এলাকায় আনুমানিক একশো থেকে দেড়শ বিঘা জমির চর বেরিয়ে এসেছে। তবে সেই চড় থেকে যারা বালি বিক্রি করছেন সেটি সম্পূর্ণ অবৈধ। বালি চুরি বন্ধ করার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কোনোমতেই বালি চুরি দুষ্কৃতীদের ছাড়া যাবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
ফের একবার শিরোনামে উত্তরবঙ্গ মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতাল।অভিযোগ, জীবিত সদ্যোজাতকে বদলে মৃত শিশুর দেহ রোগীর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে শিলিগুড়িতে। ইতিমধ্যে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ি শহর লাগোয়া রানাবস্তির বাসিন্দা বেদশ্রুতি দাসের পুত্র সন্তানের জন্ম হয় উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। পরিবারের কথা অনুযায়ী, জন্মের পর থেকেই শিশু স্বাভাবিক ছিল। শ্বাসকষ্টজনিত কারণে ভুগলেও তেমন কোন বিপদের আশঙ্কা ছিল না বলেই জানানো হয়েছিল। এরপর জন্মের দুই দিন কাটতেই ওই শিশুর মৃত্যু হয় বলে জানানো হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষর তরফে।
এরপর ওই সদ্য়োজাতের পরিবারের লোকজন মৃতদেহ দেখে সন্দেহ প্রকাশ করে। তাঁদের অভিযোগ, বাচ্চা বদল করা হয়েছে। এমনই অভিযোগ তুলে ইতিমধ্যে উত্তরবঙ্গ মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতালের সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। দ্বারস্থ হয়েছেন থানায়ও। পরিবারের সদস্যদের দাবি, মৃত শিশুর ডিএনএ পরীক্ষা করা হোক। তাহলেই সবটা স্পষ্ট হবে। মৃত শিশুর মায়ের এখন একটাই আর্তি যে নিজের বাচ্চাকে ফিরে পাওয়া।
পাচারের আগেই ২০৪ গ্রাম ব্রাউন সুগার সহ গ্রেফতার ২ যুবক। ২০৪ গ্রাম ব্রাউন সুগারের বাজার মূল্য় পাঁচ লক্ষ টাকা। পুলিস সূ্ত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতরা হল মহম্মদ আসলাম ও মহম্মদ আজাহার। নকশালবাড়ির তোতারাম জোতের বাসিন্দা। সোমবার ধৃতদের শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
জানা গিয়েছে, নকশালবাড়ির লালপুল সংলগ্ন এলাকায় গোপন সূত্রে খবর পেয়ে নকশালবাড়ি থানার পুলিস একটি স্কুটি আটক করে। এরপর ওই দুই যুবককে তল্লাশি চালিয়ে ২০৪ গ্রাম ব্রাউন সুগার উদ্ধার করেছে পুলিস। জিজ্ঞাসাবাদের পর সন্দেহজনক মনে হওয়ায় তাদের দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
পুলিস জানিয়েছেন, গোপন সূত্রে খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এই সাফল্য। আদালতে তোলার পর ধৃতদের পুলিসি হেফাজতে এনে গোটা ঘটনার তদন্তে নামবে পুলিস। তবে এই মাদকদ্রব্য় কোথা থেকে এল এবং কাকে এই মাদক দিতে যাচ্ছিল তা নিয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিস।
শিলিগুড়ির হোমে এক নাবালিকার অস্বাভাবিক মৃত্যু। বুধবার ভোরে হোমের শৌচাগার থেকে উদ্ধার হয় নাবালিকার ঝুলন্ত মৃতদেহ। মৃত্যুর কারণ নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। হোমের বিরুদ্ধে উঠেছে গাফিলতির অভিযোগ। পাশাপাশি মহিলাদের সুরক্ষা নিয়ে হোমের নিরাপত্তা নিয়ে উঠেছে একাধিক প্রশ্ন। ঘটনস্থলে পুলিস গিয়ে নাবালিকার মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য় শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে পাঠিয়ে গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গত আগস্ট মাসে নকশালবাড়ির বাসিন্দা ওই নাবালিকা যৌন নিগ্রহের শিকার হয় বলে অভিযোগ। তারপর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিলে ওই নির্যাতিতার পরিবারের পক্ষ থেকে। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে জেল হেফাজতে আনা হয়। আর নির্যাতিতার নিরাপত্তার জন্য় তাকে রাখা হয় শিলিগুড়ির ওই হোমে। নির্যাতিতার পরিবার সূত্রে খবর, নাবালিকার ব্যবহারে অস্বাভাবিক কিছু ছিল না। নিয়মিত বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ ছিল তার। দিন কয়েকের মধ্যেই বাড়ি ফেরার কথা ছিল। কিন্তু বাড়ি ফেরার আগেই ঘটে গেল চাঞ্চল্য়কর ঘটনা।
পরিবারের অভিযোগ হোমের গাফিলতিতে এই মৃত্যু হয়েছে। যার জেরে মেয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে হোমের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে নির্যাতিতার পরিবার। আত্মহত্য়া নাকি এর পিছনে রয়েছে অন্য় কোনো কারণ তা খতিয়ে দেখছে শিলিগুড়ি থানার পুলিস।
শিক্ষার নাগাল পেলেও জোটেনি একটা স্কুল বাস। চা বাগানের পড়ুয়ারা স্কুলে যায় মালবাহী কন্টেনার গাড়ি কিংবা ট্রাক্টরে চড়ে। গবাদি পশুর মতো ঠাসাঠাসি করেই পৌঁছতে হয় স্কুলে। উত্তরবঙ্গ সফরে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই খুদেদের স্কুলে বাসের আবেদন পৌঁছবে মাননীয়ার কানে?
মালবাহী গাড়িতে চড়ে চা বাগানের পড়ুয়া যাচ্ছে স্কুলে। অনেক কষ্টে ইউনিফর্ম, স্কুল-বাড়ি, বই-খাতা জুটলেও একটা স্কুল বাস জোগাড় হয়নি হাজার আবেদনের পরেও। অগত্যা তাই খাঁচা গাড়িই ভরসা। ঝড়, জল, রোদ মাথায় নিয়ে খাঁচা গাড়িতে চেপে স্কুলের পথে পাড়ি দেয় শতাধিক পড়ুয়া। এককালে শিক্ষার আলো থেকেও বঞ্চিত ছিল এই খুদেদের অভিভাবকরা। পাইনের সারির ফাঁক দিয়ে এখন তবু শিলিগুড়ির চা বাগানগুলিতে শিক্ষার আলো ঢোকে। সাত সকালে রং চটা ইউনিফর্মটা গায়ে দিয়ে স্কুলের পথে রওনা। কিন্তু সবই কেমন যেন উচ্ছিষ্ট মনে হয়। বেসরকারি স্কুলের পড়ুয়াদের আতিশয্য দেখে চা বাগানের খুদেদেরও ইচ্ছে হয়, ইস! যদি একটা স্কুল বাস থাকত!
শুধু খুদেদের শখ মেটাতেই নয়, স্কুল বাস জরুরী দুর্ঘটনা এড়াতে। অভিযোগ, বেশিরভাগ দিনই মদ্যপ অবস্থায় থাকেন চালকরা।পাহাড়ি রাস্তায় গাড়ি দ্রুতগতিতে মোড় ঘুরতেই পড়ুয়াদের বুক কাঁপে। কখনও খুব পায়ে ব্যথা করে, কখনও আবার স্কুল ফিরতি ক্লান্ত পড়ুয়া একটু গা এলিয়ে দিতে চায় গদি দেওয়া নরম সিটে। কিন্তু এত সুখ তো আর তাদের জন্য নয়। এই কথাটাই বারবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়া হয় শিলিগুড়ির নকশালবাড়ি, খড়িবাড়ি, ফাঁসিদেওয়ার চা বাগানের পড়ুয়াদের। এইখানেও বোধহয় ফারাকটা স্পষ্ট। পাহাড়ের সঙ্গে নাকি রক্তের সম্পর্ক রাখেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই পাহাড়ি বাচ্চাদের একটা ছোট্ট শখ কি মেটাবেন তিনি? রইল আবেদন।
এনআরএস কাণ্ডের ছায়া এবার শিলিগুড়িতে। ২০১৯ সালে কলকাতার সরকারি হাসপাতালে ১৬টি কুকুরছানাকে নৃশংস হত্যায় নাম জড়িয়েছিল দুই নার্সিং ছাত্রীর। সেই ঘটনা নিয়ে হইচই কম হয়নি। প্রায় বছর তিনেক পর আবারও একই ঘটনার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতিদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, শনিবার রাতে শিলিগুড়ি পুরনিগমের ১৮নম্বর ওয়ার্ডের সুভাষপল্লিতে খাবারের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে ১৪টি কুকুরছানাকে ‘খুন’ করেছে দুষ্কৃতিরা। কে বা কারা এই কাজ করল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিস বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
জানা গিয়েছে, সুভাষপল্লিতে সম্প্রতি একটি পথকুকুর ১৫টি সন্তানের জন্ম দেয়। স্থানীয় বেশ কয়েকজন তাদের দেখভাল করতেন। শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ঠিকঠাকই ছিল তারা। রাতের দিকে একের পর এক ১০টি পথকুকুরের দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। তার রেশ কাটতে না কাটতেই একই এলাকা থেকে আরও একাধিক কুকুর ছানার দেহ উদ্ধার হয়।
স্থানীয়রাই শিলিগুড়ি থানায় খবর দেন। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরাও ঘটনাস্থলে পৌঁছন। শিলিগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পথে নামে পশু প্রেমী সংগঠন। পুলিস দেহগুলি ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। কে বা কারা অমানবিক কাজ করল, তা জানার চেষ্টা চলছে।
শিলিগুড়ির নকশালবাড়ির এক সরকারি ব্যাঙ্কের এটিএম লুঠের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার এক যুবক। জানা গিয়েছে, ধৃত যুবক সেনাবাহিনীর জওয়ান। অভিযুক্তের নাম রিশভ প্রধান। বাড়ি নকশালবাড়ির বাবুপাড়া এলাকায়। আজ, সোমবার ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে এটিএম লুঠের অভিযোগ দায়ের করা হয় নকশালবাড়ি থানায়। ধৃতকে আজ শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
অভিযোগ, শনিবার গভীর রাতে নকশালবাড়ি বাজারে অবস্থিত এক সরকারি ব্যাঙ্কের এটিএম থেকে সাইরেন আওয়াজ শুনে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় নকশালবাড়ি থানার পুলিস। এটিএম মেশিন ভেঙে টাকা লুটের চেষ্টা করেন অভিযুক্ত ওই যুবক। অনুমান মেশিন থেকে টাকা বের করার পরিকল্পনা ছিল ধৃতের। ঘটনাস্থল থেকে পাথর উদ্ধার করা হয়েছে। পাথর দিয়ে এটিএমের দরজায় আঘাত করা হয় বলে অনুমান। ধৃত যুবক রিশব প্রধান, গোর্খা রেজিমেন্টের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে জানা গিয়েছে। ধৃত মদ্যপ অবস্থায় এই কাজ করেছেন বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের অভিযোগে ভারত-নেপাল সীমান্তের পানিটাঙ্কিতে এসএসবি-র ৪১ ব্যাটালিয়নের হাতে ধরা পড়ল পাকিস্তানি মা ও ছেলে। জিজ্ঞাসাবাদের পর দুজনকেই দার্জিলিং জেলা পুলিশের খড়িবাড়ি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। পুলিস ওই মহিলাকে গ্রেফতার করে এবং তাঁর ১১ বছরের পুত্র সন্তানকে হোমে পাঠানো হয়েছে।পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে আদালতের কাছে। ইতিমধ্যেই খড়িবাড়ি থানার পুলিস তদন্তে নেমেছে।
পুলিস আরও জানিয়েছে, ধৃতদের নাম শায়েস্তা হানিফ (৬২) ও আরিয়ান মহম্মদ হানিফ (১১)। বৃহস্পতিবার বিদেশি আইনে ওই মহিলাকে শিলিগুড়ি আদালতে পেশ করা হয়। জানা গিয়েছে, বুধবার বিকেলে নেপালের কাকরভিটা থেকে মেচি নদীর ওপর নির্মিত এশিয়ান হাইওয়ে সেতু হয়ে শিলিগুড়ি বিভাগের খড়িবাড়ি ব্লকের অন্তর্গত ভারত-নেপাল সীমান্ত পানিটাঙ্কিতে পৌঁছায় পাকিস্তানি মা-ছেলে। তল্লাশির সময় তাঁদের কাছ থেকে পাকিস্তানি পাসপোর্ট ও অন্যান্য নথি উদ্ধার করে এসএসবি জওয়ানরা। এর পর তাঁদের দুজনকেই আটক করা হয়।
সূত্রের খবর, পাকিস্তানি মহিলা শায়েস্তা হানিফের আসল নাম গৌরী দে এবং তাঁর আদি বাড়ি অসমের শিলচরে।১৯৭৫-এর দিকে কর্মসূত্রে এই মহিলা মুম্বইতে যান। সেখানে এক পাকিস্তানি যুবক মোহম্মদ হানিফের সঙ্গে আলাপ হয়। বন্ধুত্বের সম্পর্ক বিবাহে পরিণত পায় ১৯৭৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। এরপর মুম্বই থেকে তাঁরা পাকিস্তানের কারাচিতে চলে যান। সেখানে বেশ কয়েক বছর থাকার পর মোহম্মদ হানিফ কর্মসূত্রে সৌদি আরব যান এবং সেখানে স্বর্ণশিল্পীর সঙ্গে যুক্ত হয়ে। সেখানেই তাঁরা বসবাস করছিলেন।ছেলেকে নিয়ে নিজের মাতৃভূমি ভারতে ফেরার আকাঙ্ক্ষা দীর্ঘদিন ধরেই ছিল গৌরীর।
ভারতের ভিসা না পাওয়ায় শায়েস্তা হানিফ উরফে গৌরী দে তিনি নেপালের ভিসা নিয়ে নেপালে আসেন। সেখান থেকে ভারত নেপাল বর্ডার দিয়ে ভারতে প্রবেশ করার চেষ্টা করেন। সেই সময় এসএসবি জাওয়ানদের সন্দেহ হওয়ায় মা ও ছেলেকে আটক করে এবং তল্লাশি করার পর তাঁর ব্যাগ থেকে পাকিস্তানি পাসপোর্ট উদ্ধার করা হয়।সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করে খড়িবাড়ি থানার পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তবে এই পাকিস্তানি মা ও ছেলের সম্পর্ক কি সত্যিই সেই নিয়ে তদন্ত চালানো হচ্ছে পুলিসের পক্ষ থেকে।
ফের একবার ব্রাউন সুগার বাজেয়াপ্ত করল শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিস। ঘটনায় গ্রেফতার দুজন অভিযুক্ত। পুলিস সূত্রে খবর, ধৃতরা হল ইমাম হুসেন এবং সঞ্জিত সাহা। দু'জনেই উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরের বাসিন্দা। শনিবার ধৃতদের আদালতে তোলা হবে বলে পুলিস সূত্রে খবর।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিকেলে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালায় এসওজি এবং মাটিগাড়া থানার পুলিস। এরপর অভিযান চালিয়ে মাটিগাড়ার বিশ্বাস কলোনী এলাকা থেকে সন্দেহজনক দুজনকে আটক করে পুলিস। তারপর তল্লাশি চালিয়ে তাদের কাছ থেকে ৪০০ গ্রাম ব্রাউন সুগার বাজেয়াপ্ত করে দুজনকে গ্রেফতার করে মাটিগাড়া থানার পুলিস।
ইতিমধ্য়ে এই গোটা ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। কোথা থেকে এইসব মাদকদ্রব্য় আমদানি করা হয়েছিল এবং কোথায় সেগুলো পাচার হত..? এই কারবারির সঙ্গে আর কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে পুলিসের তরফে।
প্রায় দু কোটি টাকা ধার নিয়ে চম্পট দিলেন এক সেনা জওয়ানের স্ত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ির (Siliguri) বাগডোগরায়। শুক্রবার এই ঘটনার জেরে বাগডোগরা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন ১৬ জন ক্ষতিগ্রস্থ। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে নেমেছে বাগডোগরা থানার পুলিস।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সেনাবাহিনীর গোর্খা রেজিমেন্টে কর্মরত নায়ক সুবেদার মহেন্দ্র নগরবা তামাং-এর স্ত্রী হেমকুমারী নগরবা তামাং। তিনি তাঁর পরিচিত কয়েকজনের কাছ থেকে প্রায় দেড় থেকে দুই কোটি টাকা লোন হিসেবে নিয়েছিলেন। প্রত্যেককেই বলেছিলেন, তিন থেকে বারো মাসের মধ্যে সেই টাকা ফেরত দেবেন। তিনি আরও জানান, তাঁর বাড়ি তৈরীর জন্য এবং নতুন দোকান করার জন্য এই টাকা লোন নিচ্ছেন। প্রত্যেকেই সরল মনে সেই টাকা ওই মহিলাকে দিয়েছিলেন। এরপর দেখা যায় আচমকা হেমকুমারী নগরবা তামাং তাঁর বাড়ি বাগডোগরা গদাধর পল্লী থেকে উধাও হয়ে গেছেন। যার কারণে এদিন ওই মহিলার বিরুদ্ধে থানায় জালিয়াতির অভিযোগ করা হয়েছে।
শুক্রবার শিলিগুড়ি আদালতের আইনজীবী ভক্ত বিহারী তাঁর মক্কেলদের হয়ে থানায় উপস্থিত ছিলেন। তিনি জানান, জীবনবিহারী থাপা ক্ষতিগ্রস্থদের হয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন। যে ১৬ জনের টাকা খোয়া গিয়েছে তাঁদের প্রত্যেকের নাম এবং অর্থের পরিমাণ উল্লেখ করা হয়েছে। তবে অভিযুক্ত ওই মহিলার স্বামী বর্তমানে জম্মু-কাশ্মীরে কর্মরত। সেখানকার কমান্ডিং অফিসারকেও এই বিষয়ে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে বলে তিনি জানান। ইতিমধ্য়ে অভিযুক্ত ওই মহিলার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিস।
শিলিগুড়ি ও নিউ জলপাইগুড়িতে মোট ২৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে চলেছে পিসি মিত্তল গ্রুপ। এই গোষ্ঠীর গোড়াপত্তন বাংলাতেই। ধীরে ধীরে বিশ্বের বহু দেশে ছড়িয়ে পড়ে তাঁদের ব্যবসা। এবার বাংলাতেও তাঁরা বিনিয়োগ করবে বলে জানা গিয়েছে।
সোমবার রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, শিল্পসচিব বন্দনা যাদব ও অন্য শিল্পপতিদের এক প্রতিনিধি দল স্পেনের কনস্ট্যান্টির ট্র্যাভিপোসে যান। স্পেনের অন্যতম রেল কোচ তৈরির সংস্থা পিসি মিত্তল গ্রপের মালিকাধীন রেল ওয়ানের কারখানা পরিদর্শন করেন তাঁরা। কর্ণধার কমলকুমার মিত্তলও সেখানে ছিল। এরপরই সংস্থার কর্ণধার ঘোষণা করেন, শিলিগুড়িতে ইথানল তৈরির কারখানা তৈরি করা হবে। বিনিয়োগ হবে ১৫০ কোটি। কারখানার উৎপাদন ক্ষমতা হবে ২ লক্ষ লিটার। এছাড়া নিউ জলপাইগুড়ির নতুন আধুনিক কংক্রিট স্লিপার তৈরির কারখানার জন্য ১০০ কোটি বিনিয়োগ হবে।
গায়ে নেই কোনও জামাকাপড়। শরীরে রক্তের দাগ। গলায় বৈদ্যুতিক কেবলের ফাঁস লাগানো অবস্থায় একটি বাড়ির গ্রিলের সঙ্গে যুবকের ঝুলন্ত দেহ (Hanging Body) উদ্ধার হল সোমবার সাত সকালে। খবর পেতেই শিলিগুড়ি (Siliguri) থানার পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়। অজ্ঞাতপরিচিত যুবকের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। উদ্ধার হওয়া যুবকের নাম ও পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
জানা গিয়েছে, ঘটনাটি শিলিগুড়ি পুরনিগমের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের ডাবগ্রাম এলাকার। এদিন সকালে কাজে যাওয়ার সময় স্থানীয় এক বাসিন্দা ওই অজ্ঞাত পরিচিত যুবকের রক্তাক্ত ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। মূহুর্তেই সেই খবর ছড়িয়ে পড়ে। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, ওই যুবককে অন্য কোথাও খুন করে তাঁর রক্তাক্ত দেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়দের দাবি, এই ঘটনা কোনও একজনের পক্ষে ঘটানো সম্ভব নয়। একাধিক কেউ জড়িত থাকতে পারে। তাঁদের আরও দাবি, বেশ কিছুদিন যাবৎ এলাকায় বহিরাগতদের দৌরাত্ম্য বাড়ছে। থানায় তা নিয়ে লিখিত অভিযোগও করা হয়েছে। এর ফলেই এই ঘটনা বলে দাবি করছেন স্থানীয় এক ব্যক্তি।
গোটা ঘটনায় দুষ্কৃতীদের যোগ রয়েছে বলে মনে করছেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। পুলিস যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিও জানিয়েছেন তিনি।