
এনআরএস কাণ্ডের ছায়া এবার শিলিগুড়িতে। ২০১৯ সালে কলকাতার সরকারি হাসপাতালে ১৬টি কুকুরছানাকে নৃশংস হত্যায় নাম জড়িয়েছিল দুই নার্সিং ছাত্রীর। সেই ঘটনা নিয়ে হইচই কম হয়নি। প্রায় বছর তিনেক পর আবারও একই ঘটনার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতিদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, শনিবার রাতে শিলিগুড়ি পুরনিগমের ১৮নম্বর ওয়ার্ডের সুভাষপল্লিতে খাবারের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে ১৪টি কুকুরছানাকে ‘খুন’ করেছে দুষ্কৃতিরা। কে বা কারা এই কাজ করল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিস বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
জানা গিয়েছে, সুভাষপল্লিতে সম্প্রতি একটি পথকুকুর ১৫টি সন্তানের জন্ম দেয়। স্থানীয় বেশ কয়েকজন তাদের দেখভাল করতেন। শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ঠিকঠাকই ছিল তারা। রাতের দিকে একের পর এক ১০টি পথকুকুরের দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। তার রেশ কাটতে না কাটতেই একই এলাকা থেকে আরও একাধিক কুকুর ছানার দেহ উদ্ধার হয়।
স্থানীয়রাই শিলিগুড়ি থানায় খবর দেন। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরাও ঘটনাস্থলে পৌঁছন। শিলিগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পথে নামে পশু প্রেমী সংগঠন। পুলিস দেহগুলি ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। কে বা কারা অমানবিক কাজ করল, তা জানার চেষ্টা চলছে।
শিলিগুড়ির নকশালবাড়ির এক সরকারি ব্যাঙ্কের এটিএম লুঠের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার এক যুবক। জানা গিয়েছে, ধৃত যুবক সেনাবাহিনীর জওয়ান। অভিযুক্তের নাম রিশভ প্রধান। বাড়ি নকশালবাড়ির বাবুপাড়া এলাকায়। আজ, সোমবার ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে এটিএম লুঠের অভিযোগ দায়ের করা হয় নকশালবাড়ি থানায়। ধৃতকে আজ শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
অভিযোগ, শনিবার গভীর রাতে নকশালবাড়ি বাজারে অবস্থিত এক সরকারি ব্যাঙ্কের এটিএম থেকে সাইরেন আওয়াজ শুনে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় নকশালবাড়ি থানার পুলিস। এটিএম মেশিন ভেঙে টাকা লুটের চেষ্টা করেন অভিযুক্ত ওই যুবক। অনুমান মেশিন থেকে টাকা বের করার পরিকল্পনা ছিল ধৃতের। ঘটনাস্থল থেকে পাথর উদ্ধার করা হয়েছে। পাথর দিয়ে এটিএমের দরজায় আঘাত করা হয় বলে অনুমান। ধৃত যুবক রিশব প্রধান, গোর্খা রেজিমেন্টের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে জানা গিয়েছে। ধৃত মদ্যপ অবস্থায় এই কাজ করেছেন বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের অভিযোগে ভারত-নেপাল সীমান্তের পানিটাঙ্কিতে এসএসবি-র ৪১ ব্যাটালিয়নের হাতে ধরা পড়ল পাকিস্তানি মা ও ছেলে। জিজ্ঞাসাবাদের পর দুজনকেই দার্জিলিং জেলা পুলিশের খড়িবাড়ি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। পুলিস ওই মহিলাকে গ্রেফতার করে এবং তাঁর ১১ বছরের পুত্র সন্তানকে হোমে পাঠানো হয়েছে।পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে আদালতের কাছে। ইতিমধ্যেই খড়িবাড়ি থানার পুলিস তদন্তে নেমেছে।
পুলিস আরও জানিয়েছে, ধৃতদের নাম শায়েস্তা হানিফ (৬২) ও আরিয়ান মহম্মদ হানিফ (১১)। বৃহস্পতিবার বিদেশি আইনে ওই মহিলাকে শিলিগুড়ি আদালতে পেশ করা হয়। জানা গিয়েছে, বুধবার বিকেলে নেপালের কাকরভিটা থেকে মেচি নদীর ওপর নির্মিত এশিয়ান হাইওয়ে সেতু হয়ে শিলিগুড়ি বিভাগের খড়িবাড়ি ব্লকের অন্তর্গত ভারত-নেপাল সীমান্ত পানিটাঙ্কিতে পৌঁছায় পাকিস্তানি মা-ছেলে। তল্লাশির সময় তাঁদের কাছ থেকে পাকিস্তানি পাসপোর্ট ও অন্যান্য নথি উদ্ধার করে এসএসবি জওয়ানরা। এর পর তাঁদের দুজনকেই আটক করা হয়।
সূত্রের খবর, পাকিস্তানি মহিলা শায়েস্তা হানিফের আসল নাম গৌরী দে এবং তাঁর আদি বাড়ি অসমের শিলচরে।১৯৭৫-এর দিকে কর্মসূত্রে এই মহিলা মুম্বইতে যান। সেখানে এক পাকিস্তানি যুবক মোহম্মদ হানিফের সঙ্গে আলাপ হয়। বন্ধুত্বের সম্পর্ক বিবাহে পরিণত পায় ১৯৭৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। এরপর মুম্বই থেকে তাঁরা পাকিস্তানের কারাচিতে চলে যান। সেখানে বেশ কয়েক বছর থাকার পর মোহম্মদ হানিফ কর্মসূত্রে সৌদি আরব যান এবং সেখানে স্বর্ণশিল্পীর সঙ্গে যুক্ত হয়ে। সেখানেই তাঁরা বসবাস করছিলেন।ছেলেকে নিয়ে নিজের মাতৃভূমি ভারতে ফেরার আকাঙ্ক্ষা দীর্ঘদিন ধরেই ছিল গৌরীর।
ভারতের ভিসা না পাওয়ায় শায়েস্তা হানিফ উরফে গৌরী দে তিনি নেপালের ভিসা নিয়ে নেপালে আসেন। সেখান থেকে ভারত নেপাল বর্ডার দিয়ে ভারতে প্রবেশ করার চেষ্টা করেন। সেই সময় এসএসবি জাওয়ানদের সন্দেহ হওয়ায় মা ও ছেলেকে আটক করে এবং তল্লাশি করার পর তাঁর ব্যাগ থেকে পাকিস্তানি পাসপোর্ট উদ্ধার করা হয়।সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করে খড়িবাড়ি থানার পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তবে এই পাকিস্তানি মা ও ছেলের সম্পর্ক কি সত্যিই সেই নিয়ে তদন্ত চালানো হচ্ছে পুলিসের পক্ষ থেকে।
ফের একবার ব্রাউন সুগার বাজেয়াপ্ত করল শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিস। ঘটনায় গ্রেফতার দুজন অভিযুক্ত। পুলিস সূত্রে খবর, ধৃতরা হল ইমাম হুসেন এবং সঞ্জিত সাহা। দু'জনেই উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরের বাসিন্দা। শনিবার ধৃতদের আদালতে তোলা হবে বলে পুলিস সূত্রে খবর।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিকেলে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালায় এসওজি এবং মাটিগাড়া থানার পুলিস। এরপর অভিযান চালিয়ে মাটিগাড়ার বিশ্বাস কলোনী এলাকা থেকে সন্দেহজনক দুজনকে আটক করে পুলিস। তারপর তল্লাশি চালিয়ে তাদের কাছ থেকে ৪০০ গ্রাম ব্রাউন সুগার বাজেয়াপ্ত করে দুজনকে গ্রেফতার করে মাটিগাড়া থানার পুলিস।
ইতিমধ্য়ে এই গোটা ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। কোথা থেকে এইসব মাদকদ্রব্য় আমদানি করা হয়েছিল এবং কোথায় সেগুলো পাচার হত..? এই কারবারির সঙ্গে আর কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে পুলিসের তরফে।
প্রায় দু কোটি টাকা ধার নিয়ে চম্পট দিলেন এক সেনা জওয়ানের স্ত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ির (Siliguri) বাগডোগরায়। শুক্রবার এই ঘটনার জেরে বাগডোগরা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন ১৬ জন ক্ষতিগ্রস্থ। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে নেমেছে বাগডোগরা থানার পুলিস।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সেনাবাহিনীর গোর্খা রেজিমেন্টে কর্মরত নায়ক সুবেদার মহেন্দ্র নগরবা তামাং-এর স্ত্রী হেমকুমারী নগরবা তামাং। তিনি তাঁর পরিচিত কয়েকজনের কাছ থেকে প্রায় দেড় থেকে দুই কোটি টাকা লোন হিসেবে নিয়েছিলেন। প্রত্যেককেই বলেছিলেন, তিন থেকে বারো মাসের মধ্যে সেই টাকা ফেরত দেবেন। তিনি আরও জানান, তাঁর বাড়ি তৈরীর জন্য এবং নতুন দোকান করার জন্য এই টাকা লোন নিচ্ছেন। প্রত্যেকেই সরল মনে সেই টাকা ওই মহিলাকে দিয়েছিলেন। এরপর দেখা যায় আচমকা হেমকুমারী নগরবা তামাং তাঁর বাড়ি বাগডোগরা গদাধর পল্লী থেকে উধাও হয়ে গেছেন। যার কারণে এদিন ওই মহিলার বিরুদ্ধে থানায় জালিয়াতির অভিযোগ করা হয়েছে।
শুক্রবার শিলিগুড়ি আদালতের আইনজীবী ভক্ত বিহারী তাঁর মক্কেলদের হয়ে থানায় উপস্থিত ছিলেন। তিনি জানান, জীবনবিহারী থাপা ক্ষতিগ্রস্থদের হয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন। যে ১৬ জনের টাকা খোয়া গিয়েছে তাঁদের প্রত্যেকের নাম এবং অর্থের পরিমাণ উল্লেখ করা হয়েছে। তবে অভিযুক্ত ওই মহিলার স্বামী বর্তমানে জম্মু-কাশ্মীরে কর্মরত। সেখানকার কমান্ডিং অফিসারকেও এই বিষয়ে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে বলে তিনি জানান। ইতিমধ্য়ে অভিযুক্ত ওই মহিলার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিস।
শিলিগুড়ি ও নিউ জলপাইগুড়িতে মোট ২৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে চলেছে পিসি মিত্তল গ্রুপ। এই গোষ্ঠীর গোড়াপত্তন বাংলাতেই। ধীরে ধীরে বিশ্বের বহু দেশে ছড়িয়ে পড়ে তাঁদের ব্যবসা। এবার বাংলাতেও তাঁরা বিনিয়োগ করবে বলে জানা গিয়েছে।
সোমবার রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, শিল্পসচিব বন্দনা যাদব ও অন্য শিল্পপতিদের এক প্রতিনিধি দল স্পেনের কনস্ট্যান্টির ট্র্যাভিপোসে যান। স্পেনের অন্যতম রেল কোচ তৈরির সংস্থা পিসি মিত্তল গ্রপের মালিকাধীন রেল ওয়ানের কারখানা পরিদর্শন করেন তাঁরা। কর্ণধার কমলকুমার মিত্তলও সেখানে ছিল। এরপরই সংস্থার কর্ণধার ঘোষণা করেন, শিলিগুড়িতে ইথানল তৈরির কারখানা তৈরি করা হবে। বিনিয়োগ হবে ১৫০ কোটি। কারখানার উৎপাদন ক্ষমতা হবে ২ লক্ষ লিটার। এছাড়া নিউ জলপাইগুড়ির নতুন আধুনিক কংক্রিট স্লিপার তৈরির কারখানার জন্য ১০০ কোটি বিনিয়োগ হবে।
গায়ে নেই কোনও জামাকাপড়। শরীরে রক্তের দাগ। গলায় বৈদ্যুতিক কেবলের ফাঁস লাগানো অবস্থায় একটি বাড়ির গ্রিলের সঙ্গে যুবকের ঝুলন্ত দেহ (Hanging Body) উদ্ধার হল সোমবার সাত সকালে। খবর পেতেই শিলিগুড়ি (Siliguri) থানার পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়। অজ্ঞাতপরিচিত যুবকের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। উদ্ধার হওয়া যুবকের নাম ও পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
জানা গিয়েছে, ঘটনাটি শিলিগুড়ি পুরনিগমের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের ডাবগ্রাম এলাকার। এদিন সকালে কাজে যাওয়ার সময় স্থানীয় এক বাসিন্দা ওই অজ্ঞাত পরিচিত যুবকের রক্তাক্ত ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। মূহুর্তেই সেই খবর ছড়িয়ে পড়ে। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, ওই যুবককে অন্য কোথাও খুন করে তাঁর রক্তাক্ত দেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়দের দাবি, এই ঘটনা কোনও একজনের পক্ষে ঘটানো সম্ভব নয়। একাধিক কেউ জড়িত থাকতে পারে। তাঁদের আরও দাবি, বেশ কিছুদিন যাবৎ এলাকায় বহিরাগতদের দৌরাত্ম্য বাড়ছে। থানায় তা নিয়ে লিখিত অভিযোগও করা হয়েছে। এর ফলেই এই ঘটনা বলে দাবি করছেন স্থানীয় এক ব্যক্তি।
গোটা ঘটনায় দুষ্কৃতীদের যোগ রয়েছে বলে মনে করছেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। পুলিস যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিও জানিয়েছেন তিনি।
দুর্ঘটনা! প্রতিনিয়ত বাড়ছে আশঙ্কা। প্রত্যেকদিন পথ দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে শিলিগুড়ির (Siliguri) ভিআইপি রোডের নিত্যযাত্রীদের। রাস্তার পিচের আস্তরণ উঠে গিয়েছে। তার উপর টানা বৃষ্টির জেরে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে রাস্তায়। ডোবা বললেও ভুল হবে না। বছর ঘুরলেও সংস্কারের ছোয়া লাগেনি শিলিগুড়ির এই ব্যস্ততম রাস্তায়। দীর্ঘ টালবাহানা, দীর্ঘ প্রতিশ্রুতি। কাজ শুরু হলেও মাঝপথেই থমকে গিয়েছে কাজ। আর তার প্রতিবাদে শুক্রবার রাস্তা অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভে সামিল হন স্থানীয়রা।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি থেকে প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিত্য যাতায়াত এই রাস্তা দিয়ে। অথচ বারবার কীভাবে রাস্তার এই বেহাল দশা নজর এড়িয়ে চলেছেন তাঁরা? রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হলেও তা বিঁশ বাও জলে। মাঝপথেই থমকে যায় রাস্তা সংস্কারের কাজ। কাজের মান নিয়েও প্রশ্ন ওঠে একাধিক। অভিযোগ তুলছেন খোদ স্থানীয়রাই। এই দুরাবস্থা রাস্তার জেরে এক স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু দেখেছে শিলিগুড়িবাসী। কিন্তু তারপরও টনক নড়েনি প্রশাসনের? আর কত মৃত্যু দেখলে রাস্তা মেরামতিতে উদ্যোগী হবে প্রশাসন?
কেবল শাসকদলের আশ্বাস আর আশ্বাস। পুজোর আগেই রাস্তা সংস্কারের কাজ সম্পন্ন হবে। এখন কেবল অপেক্ষার কতটা কাজ হয়।
পাচারের আগেই বিপুল পরিমান গাঁজা সহ গ্রেফতার এক মহিলা। মঙ্গলবার দুপুরে শিলিগুড়ির ভক্তিনগর থানা সংলগ্ন এলাকার ঘটনা। পুলিস জানিয়েছে, ধৃত ওই মহিলা পাচারকারীর নাম সোনামনি দাস। বুধবার সকালে ওই ধৃত পাচারকারীকে শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে পাঠানো হয়েছে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ভক্তিনগর থানার পুলিস অভিযান চালানোর সময়ে ওই মহিলাকে আটক করে। এরপর জিজ্ঞাসাবাদ করে ওই মহিলার থেকে ১৮ কেজি ১০০ গ্রাম গাজা উদ্ধার করে বাজেয়াপ্ত করে পুলিস।
সূত্রের খবর, ওই ধৃতের থেকে উদ্ধার হওয়া গাঁজার বাজার মূল্য প্রায় ৩ লক্ষ টাকা। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত ওই মহিলা কোচবিহার জেলার বাসিন্দা। এদিন দুপুর নাগাদ একটি বেসরকারি বাসে চেপে শিলিগুড়ি এসে পৌঁছোন তিনি। তার কাছে থাকা পৃথক তিনটি ব্যাগে গাঁজা মজুত ছিল। প্রাথমিক এভাবে পুলিসের সন্দেহ হওয়ায় ওই মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, এরপর তাঁর ব্যাগ থেকে গাঁজা উদ্ধার হওয়ায় তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিস।
পুলিস সূত্রের খবর, সোনামনিকে জিজ্ঞসাবাদ করে কোথা থেকে এই গাঁজা আনা হয়েছিল, এবং কোথায় ওই গাঁজা পাচার করার ছক ছিল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে পুলিস সূত্রের খবর।
জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকার সন্দেহে শিলিগুড়ি থেকে এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিস। পুলিস সূত্রে খবর, ধৃত ওই যুবকের নাম করিম খান। অসমের দিসপুর এলাকার বাসিন্দা। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের সদস্য করিম খান। আর সেই সন্দেহের ভিত্তিতেই শিলিগুড়ি থেকে ওই যুবককে গ্রেফতার করল অরুণাচল প্রদেশের খালাস থানার পুলিস। এই বিষয়ে অরুণাচল প্রদেশের খালাস থানার পুলিসকে সহযোগিতা করেছে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিস।
অরুণাচল প্রদেশের পুলিসের দাবি, প্রায় এক বছর আগে কাজের খোঁজে শিলিগুড়ি গিয়েছিল ওই ধৃত যুবক। সেই সময়ই সম্ভবত নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন ন্যাশনাল সোস্যালিস্ট কাউন্সিল অফ নাগাল্যাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। শুধু তাই নয় এক ব্যবসায়ীকে ভয় দেখিয়ে অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছে বলেও অনুমান পুলিসের। সেক্ষেত্রে ধৃতের খোঁজ শুরু হয়েছিল অনেক আগেই। তবে কখনও অসম, কখনও মণিপুর, শিলিগুড়িতে গা ঢাকা দিয়ে থাকায় ধরা ছোয়ার বাইরে ছিল ধৃত ওই যুবক।
তবে শেষরক্ষা অবশ্য হয়নি। মোবাইল লোকেশন ট্র্যাক করে অরুণাচল পুলিস ওই ধৃতের খোঁজ বের করে। এরপরই শিলিগুড়ি এসে পৌঁছয় খালাস থানার পুলিস। প্রধাননগর থানার সাহায্যে শহর শিলিগুড়ি লাগোয়া শালবাড়ি এলাকা থেকে ওই যুবককে পাকড়াও করে। এরপর পেশ করা হয় আদালতে। তিন দিনের জন্য় পুলিসি হেফাজতে তাকে নিয়ে যায় অরুণাচল প্রদেশের পুলিস।
স্কুল ছাত্রীকে মাথা থেঁতলে খুনের অভিযোগে সোমবার রাতে গ্রেফতার (Arrest) করা হয়েছে মূল অভিযুক্তকে। যৌন নির্যাতনে বাধা পেতেই ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে শিলিগুড়িতে খুন নাবালিকা স্কুল পড়ুয়াকে। প্রাথমিক তদন্তে এমনটাই জানতে পেরেছে পুলিস। পুলিস জানিয়েছে, মূল অভিযুক্তের নাম মহম্মদ আব্বাস। মঙ্গলবার ধৃতকে আদালতে পেশ করা হয়। তদন্তের স্বার্থে ১০ দিনের পুলিসি হেফাজতের আর্জি জানিয়েছে পুলিস।
সোমবার সন্ধ্যা নাগাদ মাটিগাড়া থানা অধীন মোটাজোত এলাকায় পরিত্যক্ত একটি জমি থেকে এক নাবালিকা স্কুল পড়ুয়ার রক্তাক্ত নিথর দেহ উদ্ধার হয়। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে ১২ ঘণ্টার আগেই সাফল্য পেল পুলিস। মাটিগাড়ার লেলিন কলোনীর বাড়ি থেকেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে মাটিগাড়া থানা পুলিস। গ্রেফতারের পরে জিজ্ঞাসাবাদের সময় অভিযুক্ত খুনের ঘটনা স্বীকার করে নেয়। তবে মৃতা ওই নাবালিকার সঙ্গে অভিযুক্তের কতদিনের এবং কী সম্পর্ক ছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়। তদন্ত জারি রেখেছে পুলিস।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, সোমবার স্কুল ছুটির পর ওই পড়ুয়া হাঁটা পথেই মোটাজোত পৌঁছয়। অন্যদিকে, পেশায় খালাসি ধৃত মহম্মদ আব্বাস সাইকেলে ছিল। ঘটনার পরই ধৃত এলাকা ছেড়ে চম্পট দিয়েছিল। তবে সিসিটিভি ক্যামেরায় ফুটেজ অবশেষে অভিযুক্তকে ধরিয়ে দিল। একইসঙ্গে স্থানীয়দের বয়ান সহ তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয় রাতেই।
ঘটনা প্রসঙ্গে ডিসিপি অভিষেক গুপ্তা জানিয়েছেন, মৃতা ওই ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের চেষ্টা করা হয়েছিল। বাধা পেতেই ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়। গোটা ঘটনার তদন্ত করছে পুলিস।
পুজোর আগেই শহরে নতুন বাস টার্মিলানের (Terminal) উদ্যোগ। শহর শিলিগুড়ির (Siliguri) টাউন স্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে লোকাল বাস স্ট্যান্ড সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা শিলিগুড়ি পুরনিগম কর্তৃপক্ষর। শিলিগুড়িতে নতুন বাস টার্মিনাল তৈরী হলে একদিকে সুবিধা হবে পর্যটকদের। সেই মোতাবেক এসজেডিও প্রদত্ত জমিতে রাজ্যের সহযোগিতায় শুরু হয়েছে বাস টার্মিলান তৈরির কাজ। যদিও বেসরকারি মিনি বাস চালকেরা পুরোনো বাস স্ট্যান্ড ছেড়ে নয়া বাস টার্মিনালে যেতে নারাজ। প্রয়োজনে কোর্টের দ্বারস্থও হতে পারেন বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা। এই পরিস্থিতিতে এবার শিলিগুড়ি পুরনিগম কর্তৃপক্ষ জেলাপ্রশাসনের উপস্থিতিতে বৈঠক সারল মিনি বাস মালিক সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে। যদিও এদিনের বৈঠকেও জট কাটল। তবে সমস্যা দ্রুত সমাধান হবে, আশাবাদী দু-পক্ষই।
সোমবার সকালে শিলিগুড়িতে পিডাব্লুইউডি ইনস্পেকশন বাংলোতে বসে বৈঠক। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে চলে বৈঠক। এদিনের বৈঠকে বাস মালিক সংগঠনের সদস্যদের তরফে একাধিক সমস্যার কথা তুলে ধরা হয়। মেয়র গৌতম দেব এই বিষয়ে মনযোগ সহকারে সমস্ত সমস্যা শোনেন। সমস্যা সমাধানে আশ্বাস দিয়ে আগামীতে জেলা প্রশাসনকে বৈঠকে বসার কথার জানান তিনি। অন্যদিকে বাস মালিক সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, টাউন স্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে বাসস্ট্যান্ড তিনবাত্তি মোড়ে স্থানান্তরিত করা হলে বাসগুলির সলিল সমাধি করা ছাড়া কিছুই হবে না।
কনটেনার ভর্তি বার্মাটিক (Barmatic Wood) কাঠ আটক। তবে এবার বন দফতর নয় এসটিএফ-র (STF) জালে এবার কনটেনার বোঝাই বার্মাটিক কাঠ। ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ির (Siliguri) মহানন্দা ক্যানেল রোডে। ঘটনায় কনটেনারের চালক ও খালাসিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, সোমবার ধৃতদের শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তোলা হবে।
এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর-পূর্ব ভারতের অসম থেকে কনার্টকে পাচারের ছক করা হচ্ছিল। তবে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এসটিএফ আধিকারিককেরা শিলিগুড়ির মহানন্দা ক্যানেল রোডে কাঠ ভর্তি কনটেনার আটক করে। তারপরে কনটেনারে তল্লাশি করতেই বোঝাই করা অবস্থাতে বার্মাটিক কাঠগুলিকে দেখতে পায় তারা। এরপরেই এসটিএফ-র পক্ষ থেকে কাঠগুলি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া বার্মাটিক কাঠের আনুমানিক বাজারমূল্য় প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা। ইতিমধ্যেই উদ্ধার হওযা কাঠগুলি বাগডোগরা বন দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি, ২ দিন আগেই বনবিভাগের ব্যারিকেড ভেঙে কনটেনার বোঝাই বার্মাটিক কাঠ পাচার আটকে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল বাগডোগরা রেঞ্জে বনকর্মীরা। তারপরে আবার সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল।
আরও একবার সন্তান হারা (Death Child) হল কিকা। বুধবার মৃত্যু হয়েছে কিকার দ্বিতীয় সন্তানের। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে শিলিগুড়ির (Siliguri) বেঙ্গল সাফারি পার্কের অন্দরমহলে। বেঙ্গল সাফারি পার্ক সূত্রে খবর, বেঙ্গল সাফারি পার্কের একমাত্র সাদা বাঘ (Tiger) হল কিকা। গত ১২ জুলাই দুটো শাবকের জন্ম দিয়েছিল বেঙ্গল সাফারির সাদা রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার কিকা। কিন্তু জন্মের পরের দিনই মৃত্যু হয় কিকার একটি শাবকের। তারপর থেকে সবকিছু ঠিকঠাকই ছিল। তবে চলতি মাসের বুধবার কিকা-র দ্বিতীয় শাবকেরও মৃত্যু হয়েছে বেঙ্গল সাফারি পার্কে। প্রথমে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হলেও অবশেষে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে।
সাফারি পার্ক সূত্রে খবর, অপুষ্টিজনিত কারণেই দ্বিতীয় শাবকের মৃত্যু হয়েছে। দু তিন ধরে শাবকটি কিকার দুধ পান করা বন্ধ করে দিয়েছিল। যার জেরেই মৃত্যু হয়েছে ওই শাবকটির। এই ঘটনায় রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানান, শাবকটি জন্মের পর থেকেই শারীরিকভাবেই দুর্বল ছিল। সামনের দিকের একটি পা ছিল না জন্ম থেকেই। শুরু হয়েছিল চিকিৎসাও। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি।
মাদক কারবারে (Drug dealing) গ্রেফতার (Arrest) হওয়া কারাগার কর্মীর ৯ দিনের পুলিসি রিমান্ড পর্ব শেষ। তাই সোমবার (Siliguri) ধৃতকে ফের একবার জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে পেশ করা হল। এনজেপি থানার তরফ থেকে জানা গিয়েছে, ধৃত কারাগার কর্মী মোবারক আলিকে নতুন করে ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানিয়ে আদালতে পেশ করা হয়েছে।
পুলিস সূত্রে খবর, চলতি মাসের শুরুতেই বিপুল পরিমাণ মাদক এবং ৫ লক্ষ টাকা সহ এক মাদক পাচারকারীকে ধরে পুলিস। তারপর থেকেই শুরু হয়েছিল তদন্ত। আর সেই তদন্তেই এনজিপি থানার পুলিস কারাগার কর্মী মোবারক আলির জড়িত থাকার কথাটি জানতে পারে। পুলিস আরও জানিয়েছে, যে গাড়িতে করে মাদক পাচার করা হচ্ছিল সেই গাড়িটি ছিল ওই কারাগার কর্মীর। এই তথ্য পাওয়ার পরেই গত সপ্তাহের শুক্রবার মোবারক আলিকে গ্রেফতার করে পুলিস। ওই দিনই অভিযুক্তকে তদন্তের স্বার্থে ৯ দিনের জন্য রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানিয়ে আদালতে পেশ করে পুলিস। পুলিসের দাবি, অভিযুক্তকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ পর্বেই ধৃতের থেকে প্রায় ৩০০ গ্রাম ব্রাউন সুগার বাজেয়াপ্ত করা হয়।
উল্লেখ্য, আরও জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল চত্বরের একটি কোয়াটারে থাকত অভিযুক্ত কারাগার কর্মী। অভিযুক্তর ওই কোয়াটার থেকেই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বিপুল পরিমাণের ব্রাউন সুগার। আর সেই ঘটনায় মাটিগাড়া থানায় নতুন করে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।