গার্ডেনরিচে বহুতল ভেঙে মৃত্যু হওয়ার পরেও হুঁশ ফেরনি প্রশাসনের। ফের শহর কলকাতার বুকে গড়ে উঠেছে বেআইনি নির্মাণ। সেই চিত্র ধরা পড়ল শ্যামপুকুর থানার অন্তর্গত ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ৪৮৯/৪ রবীন্দ্র সরণী এলাকায়। সেখানে দেখা গিয়েছে অবৈধভাবে তৈরি হয়ে যাচ্ছে পাঁচ তলা বিল্ডিং। আর তাতে কোন হেলদোল নেই প্রশাসন এবং কাউন্সিলারের। যা নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কের মধ্যেই বসবাস করছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগেই এই পাঁচতলা বহুতল বিল্ডিং ভাঙতে এসেছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় টাকা দিয়ে তাঁদের মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এরপর আবার শুরু হয় বিল্ডিং তৈরি কাজ। চারিদিকে যেভাবে বহুতল নির্মাণ ঘটনায় মৃত্যুর খবর আসছে, যার জেরে আতঙ্ক যেন পিছু ছাড়ছে না মানুষের।
অভিযোগ, পুলিস প্রশাসন এবং কাউন্সিলর তাঁরা বেআইনি নির্মাণ নিয়ে কোনওরকম পদক্ষেপে নিচ্ছেন না। টাকার বিনিময়ে পাঁচ-ছয় তলা বিল্ডিং শুরু হয়ে যাচ্ছে গলির মধ্যে। কলকাতা শহর জুড়ে যেভাবে অবৈধ নির্মাণ দিনের পর দিন তৈরী হচ্ছে। তাতে বারংবার মৃত্যুর ঘটনা ঘটার প্রবণতা বেড়ে যাচ্ছে। এখন প্রশ্ন এটাই কোনও বৈধ কাগজপত্র ছাড়া কীভাবে তৈরী হচ্ছে পাঁচতলা বিল্ডিং। এই নিয়ে কবে হুঁশ ফিরবে প্রশাসনের?
শহর কলকাতার বুকে আবারও এক খুনের ঘটনা। মঙ্গলবার খাস কলকাতার শ্যামপুকুর এলাকায় এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির মৃতদেহ ঘিরে, চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকালে ৭১ নং যতীন্দ্রমোহন এভিনিউ এলাকায় এক ব্যক্তির মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। মাথায় এবং মুখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের। প্রাথমিক অনুমান, খুন করা হয়েছে ওই ব্যক্তিকে।
পরবর্তীতে শ্যামপুকুর থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিস এসে দেহটি উদ্ধার করে আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। যদিও পুলিসের দাবি অতিরিক্ত মাদকের নেশায় আসক্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির। মৃত্যুর কারণ নিয়ে ক্রমশ জট বাঁধছে রহস্য। যদিও ময়নাতদন্তের পরেই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। ওই ব্যক্তির পরিচয় জানার চেষ্টা করছে পুলিস।
কল্লোলিনী কলকাতার বুকে একের পর এক খুনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি। জয়নগর, চিৎপুর থেকে শুরু করে ময়দান, চিংড়িঘাটা এবং লেদার কমপ্লেক্স এলাকায় সামনে এসেছে প্রকাশ্যে খুনের ঘটনা। ভয়ের বাতাবরণ তৈরী হয়েছে রাজ্য জুড়ে। পরপর এতগুলো খুনের ঘটনা ঘটলেও, প্রশাসনের দিক থেকে রাজ্যের মানুষের নিরাপত্তার জন্য কোনওরকম হেলদোল নেই। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। প্রশ্ন উঠছে পুলিস প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও। আর কত প্রাণ গেলে টনক নড়বে প্রশাসনের? উত্তর চাইছে রাজ্যবাসী।