গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্য়ু হল এক তৃণমূল নেতার। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে অশোকনগরের গুমা-১ নম্বর পঞ্চায়েতের স্টেশন সংলগ্ন এলাকায়। জানা গিয়েছে, নিহতের নাম বিজন দাস। গুমা-১ নম্বর পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধান ছিলেন তিনি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্য়াপক চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে এলাকায়।
জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ রবিবার এলাকার একটি নামকীর্তন অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন বিজন দাস। সেখান থেকে ফিরে এসে নিজের বাড়ির ঘরে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন তিনি। ঠিক সেই সময় এক দুষ্কৃতী ঘরের ভিতরে ঢুকে উপপ্রধানকে লক্ষ্য় করে পরপর তিন রাউন্ড গুলি চালায়। গুলির শব্দ শুনে স্থানীরা ছুটে এসে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে ওই তৃণমূল নেতা। ততক্ষণে ছেড়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। তারপর আশঙ্কাজনক অবস্থায় তড়িঘড়ি তাঁকে বারাসত হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে জানান।
অভিযোগ, স্থানীয় এক যুবক গৌতম দাস-এর বিরুদ্ধে। স্থানীয়দের দাবি, পুরনো শত্রুতার জেরেই গুলি করা হয়েছে উপপ্রধানকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় অশোকনগর এবং হাবরা থানার বিশাল পুলিস বাহিনী। ইতিমধ্য়ে কয়েকজন আটক করেছে পুলিস। এছাড়াও গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
মুর্শিদাবাদে মধ্যরাতে চলল গুলি। পর পর এলোপাথাড়ি গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে মৃত এক যুবক। খুনের অভিযোগ মৃতের পরিবারের। জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম শ্যামবাবু রায়। বৃহস্পতিবার এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে মুর্শিদাবাদের দিয়ারে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরনো শত্রুতার জেরেই এই খুন হামলা। অন্য়দিকে নিহত যুবক তৃণমূল কর্মী ছিলেন বলে দাবি তাঁর পরিবারের। গতকাল অর্থাৎ বুধবার বিয়ে বাড়িতে দুই গোষ্ঠীর মধ্য়ে বচসা বাঁধে। এরপরেই রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ শ্যামবাবু রাস্তায় বেরোতেই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে দুষ্কৃতীরা। গুলি গিয়ে লাগে তাঁর মুখে। গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়ে ওই যুবক। এরপর তাঁকে উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। ইতিমধ্য়ে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মুর্শিদাবাদ থানার পুলিস।
রাতের অন্ধকারে বাড়িতে ঢুকে চলল পর পর গুলি। গুলির আঘাতে আহত হন এক ব্য়ক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের রানীনগরের সীমান্তবর্তী এলাকার একান্ন বর্ডার পাড়া এলাকায়।
জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ বুধবার রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ বাড়িতেই ছিলেন মনোজ মণ্ডল নামের ওই ব্যক্তি। হঠাৎই রাতে সেই সময় কিছু দুষ্কৃতী তাঁর বাড়িতে এসে ডাকাডাকি শুরু করে। তারপর তাঁর স্ত্রী দরজা খুলতেই তাঁকে ধাক্কা দিয়ে ঘরের ভিতরে ঢুকে মনোজ মণ্ডলকে লক্ষ্য় করে গুলি চালাতে শুরু করে। আর গুলিবিদ্ধ হয়েই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন মনোজ মণ্ডল। এরপর তড়িঘড়ি তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এই ঘটনাকে ঘিরে রীতিমত ধোঁয়াশা শুরু হয়েছে এলাকা জুড়ে। রাজনৈতিক ব্যক্তি বর্গের দাবি, জখম কর্মী তৃণমূলের কর্মী। বিগত পঞ্চায়েত ভোটে এলাকায় রাজনৈতিক ভাবে যথেষ্ট সক্রিয় ছিল ওই ব্যক্তি। সেই কারণে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপির নেতৃত্ব। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রানীনগর পুলিস প্রশাসন।
একদিকে কলকাতাবাসী মেতে উঠেছিল বড়দিনের আনন্দে। আর সোমবার রাতেই খাদ্যভবনে ঘটে গেল মর্মান্তিক ঘটনা। কর্মরত অবস্থায় নিজের সার্ভিস রিভলবার থেকে বুকে গুলি লেগে মৃত্যু হল কনস্টেবলের। কলকাতা পুলিসের রিজার্ভ ফোর্সের ওই কনস্টেবল আত্মঘাতী হয়েছেন নাকি অসাবধানতায় নিজের সার্ভিস রিভলবারের গুলি তাঁর বুকে লাগে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। স্বাভাবিকভাবেই উৎসবের রাতের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে।
সূত্রের খবর, মৃতের নাম তপন পাল (৫৩)। কলকাতা পুলিসের রিজার্ভ ফোর্সের ডি কোম্পানিতে কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন। তপনবাবুর বাড়ি নদিয়ার হরিণঘাটায়। তবে কাজের সূত্রে নিউমার্কেট এলাকায় খাদ্যভবনের ভিতরে পুলিস ব্যারাকে থাকতেন।
পুলিস সূত্রে খবর, রাত আটটা নাগাদ ডিউটিতে যাওয়ার জন্য ব্যারাক থেকে যখন তপন গাড়িতে উঠছিলেন, সেই সময় তাঁর সার্ভিস রিভলবার থেকে বুকে গুলি লাগে। কোনওরকম মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন কিনা তাও জানা যায়নি। তবে জানা গিয়েছে, তপন বাবু বেশ কিছুদিন ধরেই নার্ভের সমস্যায় ভুগছিলেন। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানার চেষ্টা চলছে। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে যান পুলিস কমিশনার বিনীত গোয়েল।
বসিরহাটের পর আমডাঙা। একই দিনে ভিন্ন দুই জায়গাতে চলল গুলি। প্রায় মাসখানেক আগে দুষ্কৃতীদের বোমার আঘাতে মৃত্যু হয়েছিল আমডাঙায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান রূপচাঁদ মণ্ডলের। সেই ঘটনার স্মৃতি এখনও টাটকা। এর মধ্য়েই ফের দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য আমডাঙায়। রবিবার গভীর রাতে শেখ ফরিদ হাসান নামে এক প্রাক্তন তৃণমূল কর্মী তথা জমি ব্যবসায়ীর গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। তবে তিনি বাড়ির ভেতরে ঢুকে যাওয়ায় কোনক্রমে প্রাণে বেঁচে যান। গাড়ির ভিতর থেকে গুলির একটি খোলও উদ্ধার হয়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীর। গোটা ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে পুলিস।
সম্প্রতি জয়নগরের দোলুইখাকি গ্রামে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য সাইফুদ্দিন লস্কর। তারপর গতমাসে দুষ্কৃতীদের বোমার আঘাতে প্রাণ হারিয়েছিলেন আমডাঙার পঞ্চায়েত প্রধান রূপচাঁদ মণ্ডল। রাজ্যজুড়ে একের পর এক এ ধরনের ঘটনা ঘটলেও কোনো হেলদোল নেই প্রশাসনের।
বিরোধীদের দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এবং জমি কেনাবেচা নিয়ে বিবাদের জেরেই এই ধরনের ঘটনাগুলো ঘটছে। এর ফলে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন সাধারণ মানুষ। রাজ্যের নাগরিকদের নিরাপত্তা দেওয়া কি পুলিস প্রশাসনের কাজ নয় ? পুলিস কি তার দায় অস্বীকার করতে পারে ? প্রশ্ন ওয়াকিবহাল মহলের।
মিষ্টির দোকানে ঢুকে চলল এলোপাথারি গুলি। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত একজন। অভিযোগ, মিষ্টির স্বাদ পছন্দ হয়নি বলে মিষ্টির দোকানের মালিককে ধরে মারধর এবং আগ্নেয়াস্ত্র বের করে পর পর ৬ রাউন্ড গুলি চালানো হয়। এমনকি মিষ্টির দোকানে থাকা সিসিটিভি ক্য়ামেরা পর্যন্ত ভাঙচুর করা হয়েছে। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাটে। ঘটনার পর থেকে থমথমে হয়ে রয়েছে গোটা এলাকা।
জানা গিয়েছে, আহত ব্য়ক্তির নাম নবীন কুমার দাস (৩০)। বর্তমানে আহত ওই ব্য়ক্তি আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলকাতায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। গতকাল অর্থাৎ রবিবার রাতেই অপারেশন করে পেট থেকে গুলি বার করেছে চিকিৎসক।যদিও এখন আপাতত আহত ওই ব্য়ক্তি সুস্থ আছে বলে জানা গিয়েছে।
যদিও পুলিস এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। তবে অভিযুক্তদের খোঁজের পাশাপাশি এই গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। কোনও কারণ ছাড়াই কথায় কথায় গুলি চালানোর ব্য়াপারটা এখন অনেকের কাছে স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে। যার সমাজে দুষ্কৃতীমূলক কার্যকলাপ প্রায়ই নজরে পড়ে। কিন্তু দিনের পর দিন এভাবে চলতে থাকলে অসহায় হয়ে পড়বে সাধারণ মানুষ। কারণ সমাজের এইসকল ঘটনার জেরেই আজ আতঙ্কিত জনসমাজ।
দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গুলি করে খুন। সোমবার রাত ৯ টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে কোলাঘাটে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে। সোনা সহ গয়না এবং নগদ টাকা পয়সা নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। জানা গিয়েছে মৃত ব্য়বসায়ীর নাম সমীর পাড়িয়া (৩৭)। কোলাঘাটের জিয়াদা বাজারে তাঁর দোকান রয়েছে। সেই দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথেই এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতো সোমবার রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলেন ওই ব্য়বসায়ী। এমনকি ৮ টা নাগাদ স্ত্রীকে ফোন করে কথাও বলেছিলেন বলে পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে। এরপর তিনি যখন বাড়ি ফেরেন তখন সেই সময় কোলাঘাটে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে দেউলবাড় এলাকায় বাইক নিয়ে কয়েকজন দুষ্কৃতী পথ আটকায় তাঁর। এরপর ব্য়বসায়ীর কাছে থাকা সোনা ও টাকা ব্য়াগ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে ওই দুষ্কৃতীরা। তখন বাধা দিলে দুষ্কৃতীরা ব্য়বসায়ীর মাথায় বন্দুক তাক করে গুলি করে। ব্য়বসায়ীর চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুটে আসতেই ঘটনাস্থল থেকে সোনা ও টাকার ব্য়াগ লুটপাট করে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। গুলির আঘাতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় ঘটনাস্থলে মৃত্য়ু হয় ওই ব্য়বসায়ীর।
নিহতের পরিবারের দাবি, এই ঘটনাটি পুরোটাই পরিকল্পনা মাফিক করা হয়েছে। কারণ এর আগেও দুবার ডাকাতি হয়েছে সোনার দোকানে। ছিনতাই হওয়া ব্যাগের মধ্যে সোনা সহ বেশ কয়েক লক্ষ টাকা ছিল বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে কোলাঘাট এবং পাঁশকুড়া থানার পুলিস এসে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিলে শেষে অবরোধ ওঠে। এবং মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য় নিয়ে যায়।
ফের রেলে দুর্ঘটনা। এবার দুর্ঘটনার কবলে পুরী-নয়া দিল্লি পুরুষোত্তম এক্সপ্রেস (Purushottam Express)। ওভারহেডের তার ছিঁড়ে যাওয়ায় এমার্জেন্সি ব্রেক কষেন চালক। ফলে বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রেহাই পান ট্রেন যাত্রীরা। তবে চলন্ত ট্রেনে হঠাৎ ব্রেক কষলে তীব্র ঝাঁকুনিতে ওই ট্রেনের ২ যাত্রীর মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনাটি শনিবার দুপুরে ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) কোডার্মা জেলায় ঘটেছে।
সূত্রের খবর, শনিবার দুপুর ১২টা ৫ মিনিট নাগাদ ঝাড়খণ্ডের কোডার্মা রেল স্টেশনের কাছে আচমকাই ওভারহেডের ইলেকট্রিক তার ছিঁড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তীব্র ঝাঁকুনি দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে পুরী-নয়া দিল্লি পুরুষোত্তম এক্সপ্রেস। তাতেই সিট থেকে বহু যাত্রী ছিটকে পড়েন। আর দুই যাত্রীর মৃত্যুও হয়। জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার সময় ট্রেনটি ঘণ্টায় ১৩০ কিমি বেগে ছুটছিল। এই আবহে এমারজেন্সি ব্রেক কষার জেরে কামরার ভিতরে থাকা যাত্রীরা অধিকাংশই টাল সামলাতে পারেননি। তবে কী পরিস্থিতিতে ও ঠিক কোন কারণে দুই যাত্রীর মৃত্যু হয়, তা স্পষ্ট ভাবে জানা যায়নি।
রেল সূত্রে খবর, দুর্ঘটনার পর প্রায় চার ঘণ্টা ধানবাদ রেলওয়ে ডিভিশনের কোডার্মা-গোমোহ সেকশনে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। এর পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসতেই দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেয় পুরুষোত্তম এক্সপ্রেস।
দিন-দুপুরে চলল গুলি। গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে মৃত্যু উত্তর দিনাজপুরের পাঞ্জীপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান মহম্মদ রাহি। বুধবার দুপুরে পঞ্চায়েত অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে প্রধানকে লক্ষ করে ২-৩ রাউন্ড গুলি চলে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় কিষাণগঞ্জের এক বেসরকারি হাসপাতালে ও পরে অবস্থার অবনতি হলে উত্তরবঙ্গে স্থানান্তরিত করা হয়। তবে পথেই মৃত্যু হয় পঞ্চায়েত প্রধানের খবর প্রশাসন সূত্রে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দুটি বাইকে কালো কাপড় পড়ে আসে চারজন দুষ্কৃতী। গুলির আওয়াজ পেয়ে ছুটে যেতেই উধাও দুষ্কৃতীদল। ঘটনার বেশ কিছু সময় পরেও রাস্তায় রক্তের দাগ স্পষ্ট। দিনে-দুপুরে গুলি চলল কীভাবে? এ রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি কী? প্রশ্ন তুলে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে ক্ষুব্ধ মানুষজন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিস বাহিনী।
খুনের পিছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র না কি পুরোটাই পরিকল্পিত ঘটনা ? তা জানতে ইতিমধ্য়ে এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস প্রশাসন। তৃণমূল জেলা সভাপতির দাবি, দিন-দুপুরে গুলি চলার ঘটনায় জন প্রতিনিধিরাও সুরক্ষিত নয়? ফলে রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত রয়েছেন সাধারণ মানুষ। অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তৃণমূলের দ্বারাই সুরক্ষিত নয় তৃণমূল, সুর চড়িয়েছে বিজেপি।
ফের রাজধানী দিল্লির (Delhi) রাস্তায় প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হল এক যুবককে। পাঁচ আততায়ীদের হামলায় প্রাণ হারালেন জনপ্রিয় ই-কমার্স সংস্থা 'অ্যামাজন'-এর (Amazon) ম্যানেজার। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির ভজনপুরায়। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। সূত্রের খবর, ২৯ অগাস্ট, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ দিল্লির ভজনপুরার সুভাষ বিহার এলাকায় তাঁকে গুলি করে হত্যা করে পাঁচজন দুষ্কৃতি। জানা গিয়েছে, পয়েন্ট ব্ল্যাক রেঞ্জ থেকে গুলি করে সেখান থেকে চম্পট দেয় দুষ্কৃতিরা। নিহতদের কাকা জানিয়েছেন, কারা এই হামলা করেছে, সেই বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
পুলিস সূত্রে খবর, ৩৬ বছর বয়সী হরপ্রীত গিল মঙ্গলবার ভজনপুরার সুভাষ বিহার এলাকা দিয়ে তাঁর বন্ধুর সঙ্গে বাইকে করে যাচ্ছিলেন। তখনই তাঁদের উপর হামলা চালায় পাঁচজন দুষ্কৃতি ও খুব কাছ থেকে গুলি করে। পয়েন্ট ব্ল্যাক রেঞ্জ থেকে মাথায় গুলি করায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। রক্তাক্ত অবস্থায় সেখানেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। অন্যদিকে তাঁর সঙ্গে থাকা বন্ধু গোবিন্দ সিং-এর ডান কানে গুলি লাগে। ফলে তাঁকে গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন তিনি। তাঁকে এলএনজেপি হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। তিনি অবশ্য অ্যামাজনে কর্মরত ছিলেন না। ‘হাংরি বার্ড’ নামের একটি মোমোর দোকান চালাতেন তিনি।
পুলিস মামলা রুজু করে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। হরপ্রীতের সঙ্গে কারও শত্রুতা ছিল কিনা বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তা তদন্ত করছে। এছাড়াও আততায়ীদের খুঁজতে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখা হচ্ছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও দুষ্কৃতিদের গ্রেফতার করা হয়নি বলে সূত্রের খবর।
পারিবারিক বিবাদের জেরে গুলিবিদ্ধ (Shot) মহিলা। ঘটনায় গুরুতর জখম (Injury) হন ওই মহিলা। মঙ্গলবার সকালে কোচবিহার জেলার শীতলকুচির পাঠান টুলি এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে। জানা গিয়েছে, আহত ওই মহিলার নাম রাশেদা বিবি। অভিযোগ, নিজেদের পরিবারের লোকই গুলি চালিয়েছে। গুলি চালানোর ঘটনায় ব্য়পক চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রত্যক্ষদর্শীরা ওই আহত মহিলাকে উদ্ধার করে প্রথমে তড়িঘড়ি পার্শ্ববর্তী শীতলকুচি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। তবে সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মাথাভাঙ্গা মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। আহত মহিলার ছেলে জানিয়েছে, এক আত্মীয়ের চাষের জমিতে তাঁদের ছাগল ঢুকে গিয়েছিল। সেই কারণে প্রথমে ঝামেলা শুরু হয়। তারপর তাঁদের আত্মীয়দের মধ্য়ে একজন গুলি চালায় এবং সেই গুলি গিয়ে লাগে রাশেদা বিবির গায়ে।
কিন্তু কিভাবে গুলি লাগলো আর ঠিক কি কারণে গুলি চালানো হয়েছিল, সেই বিষয়টি এখনও পরিষ্কার নয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে শীতলকুচি থানার পুলিস। পাশাপাশি এই গোটা ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে পুলিস প্রশাসন।
স্ত্রীকে গুলি (Shot) করে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার (Arrest) স্বামী। বুধবার, ঘটনাটি ঘটেছে ক্যানিংয়ের দক্ষিণ ডেভিসাবাদ গ্রামে। পুলিস সূত্রে খবর, নিহতের নাম ছেলিমা সর্দার (৩১) ও অভিযুক্তের নাম বাবুরালি সর্দার। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যায়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে খবর, বছর পাঁচেক আগে প্রেম করে বিয়ে করেছিল ছেলিমা ও বাবুরালি। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই পণের টাকা-পয়সা নিয়ে ছেলিমাকে মারধর করত বাবুরালি। নগদ টাকা, মোটর ভ্যান সহ বহু দাবি পূরণ করলেও কোনভাবেই অত্যাচার কমেনি ছেলিমার উপর। অবশেষে সাংসারিক বিবাদের জেরেই স্ত্রীকে গুলি করে খুন করার অভিযোগ ওঠে স্বামীর বিরুদ্ধে। মাথার পিছনে গুলি করা হয়েছে বলে দাবি পুলিসের। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ছেলিমার।
পুলিসের প্রাথমিক অনুমান সাংসারিক বিবাদের জেরেই এই ঘটনাটি ঘটেছে। তবে ঠিক কী কারণে এই ঘটনাটি ঘটেছে তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে ক্য়ানিং থানার পুলিস প্রশাসন।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ভয় দেখানো ও গুলি (shot) চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত সহ এক দুষ্কৃতী। ওই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার (arrest) করল খড়দহ থানার পুলিস। শনিবার পঞ্চায়েত ভোটের দিন এক যুবককে দেখা যায় প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বিপক্ষকে হামলা করেছে, সংবাদমাধ্যমে ক্যামেরায় ধরা পড়ে সেই চিত্র। ব্যারাকপুর (barrackpur) মোহনপুর পঞ্চায়েত এলাকার এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠে রাজ্যবাসী সহ বিরোধীরা। পুলিস সূত্রে খবর, ওই ঘটনায় মূল অভিযুক্তের নাম ধীরাজ হেলা ও নূর হাসান। অভিযুক্তরা টিটাগড় থানার অন্তর্গত মুচিপাড়া এলাকার বাসিন্দা। এই ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যারাকপুর মোহনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত পূর্বাশা এলাকায় নির্দল প্রার্থীকে মারধরের ঘটনা ও প্রকাশ্যে গুলি চালানোর ঘটনা সামনে আসতেই, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে খড়দহ থানার পুলিস মূল অভিযুক্ত ধীরাজ হেলা ও নূর হাসানকে খড়দহ রাসখোলা ঘাট থেকে আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেফতার করেছে। পুলিস জানিয়েছে, ওই ঘটনার পর দুই অভিযুক্ত খড়দহ রাসখোলা ঘাট থেকে নৌকা পার হয়ে কোন্নগরে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। তবে তার আগেই পুলিস অভিযানে নেমে তাদেরকে ধরে ফেলে।
ফের জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu-Kashmir) গুলির (Shot) লড়াই। সেনার এনকাউন্টারে নিহত (Death) পাঁচ জঙ্গি (Terrorist)। শুক্রবার ভোর রাতে কুপওয়াড়া জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের গুলির লড়াই শুরু হয়। সেই সময় নিরপত্তাবাহিনী এবং পুলিসের যৌথ গোলাগুলিতে পাঁচ বিদেশি জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে কাশ্মীর জোন পুলিস। এলাকায় চলছে তল্লাশি অভিযান।
পুলিস সূত্রে খবর, উত্তর কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে জুমাগুন্ড এলাকায় জঙ্গিরা লুকিয়ে রয়েছে বলে গোপন সূত্রে খবর পায় নিরাপত্তা বাহিনী। তার পরেই ওই এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালায় সেনা এবং পুলিসের যৌথ দল। সেই সময়ই শুরু হয় গুলির লড়াই।
সেনার তরফে জানানো হয়েছে, কুপওয়াড়ার কেরান সেক্টরে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর এলাকায় জঙ্গি অনুপ্রবেশ রোখা হয়েছে। এলাকায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে। চলতি মাসের ১৩ জুন, কুপওয়াড়া জেলার ডোবানর মাচাল এলাকায় সেনাবাহিনী এবং কুপওয়াড়া পুলিসের যৌথ অভিযানে অন্তত দুই জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে।