প্রসূন গুপ্তঃ বাঙালির ১২ মাসে ১৩ পার্বন। তা হলেও দুর্গাপুজো মানেই শ্রেষ্ঠ উৎসব। সারা বছরে এই সময়ে অর্থাৎ আশ্বিন মাসে বা কখনও কার্তিক মাসেও বাঙালি হিন্দুরা ধুমধাম করে দুর্গাপুজো করে থাকে। বলতে দ্বিধা নেই এমন অসাম্প্রদিক উৎসব বোধহয় আর কোথাও দেখা যায় না। পুজো তার নিজের মণ্ডপে কিন্তু বাকি সময়ে হৈচৈ, খাওয়া দাওয়া। বাংলার এমার্জেন্সি কাজ ছাড়া বাকি সমস্ত স্কুল কলেজে ছুটি। একই সাথে কলকারখানাতেও থাকে ছুটির মেজাজ। সরকারি, বেসরকারি অফিসগুলিতে পুজোর ৪ দিন অবশ্যই ছুটির মেজাজ। অনেকেই হয়তো মণ্ডপে মণ্ডপে না ঘুরে পরিবারকে সময় দেয় এই চারটি দিন। বাড়িতে রোজগার মতো খাবার তৈরি হয়। আজকাল অনেকেই চার দিনই হয়তো বাইরে খাওয়ার ব্যবস্থা রাখে অবশ্যই ফের বলতেই হয় পকেটের হাল বুঝেই। অনেকেই পূজোর বোনাস পায়। অবিশ্যি তার অনেকটাই বাড়ির জামাকাপড় ইত্যাদি কেনাকাটাতে খরচ হয়। এই রাজ্যে বসবাসকারী অবাঙালিরাও এই উৎসবে ওই একই মেজাজে হাজির হয়।
আজকাল জিনিসপত্রের যে পরিমাণ দাম বেড়েছে তাতে করে যা ইচ্ছা কেনা হয়তো সম্ভব হয় না কিন্তু কিছু কেনাকাটাতো করতেই হয়। বাড়ির গিন্নীবান্নিরা কিন্তু অনেকেই সারা বছরের খরচের থেকে টাকা বাঁচিয়ে রাখে পূজোতে কেনাকাটার জন্য এবং এটাও বাস্তব আজকের দুর্মূল্যের বাজারে সস্তায় এই শহরগুলিতে নিশ্চিত কেনাকাটা করা যায়।
এক সময়ে পূজোর আগে খবরের কাগজগুলিতে কাপড়ের দোকান থেকে জুতোর দোকানের বিজ্ঞাপন থাকতো প্রায় রোজই কিন্তু আজকে অনেকটাই কমেছে। রেডিও থেকে টিভিতেও বিজ্ঞাপন যা আগে থাকতো তাও অনেকটাই কমে গিয়েছে। বিজ্ঞাপনের দর যে অনেক। কলকাতার বিভিন্ন খাবারের দোকানের বিজ্ঞাপন আজকে খুব একটা দেখা না। তবুও বাঙালির দুর্গা পূজো কিছু না থাকলেও কিছু তো থাকবেই। (চলবে)
তারকা মানেই তাঁরা হবেন ধরা-ছোঁওয়ার বাইরে। তাঁদের পাশে থাকবে কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষী। কিন্তু এর একেবারে বিপরীত দৃশ্য দেখা গেল মুম্বইয়ের (Mumbai) রাস্তায়। শুক্রবার মুম্বই বান্দ্রায় স্ট্রিট শপিং (Street Shopping) করতে দেখা গেল সারা আলি খানকে (Sara Ali Khan)। হ্যাঁ, অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। সইফ আলি খানের (Saif Ali Khan) মেয়েকে রাস্তার ধারে শপিং করতে দেখা গেল। এই দেখে মুগ্ধ তাঁর অনুরাগীরা। এত বড় তারকা হয়েও কীভাবে তিনি এত সাধারণ হয়ে ঘুরে বেড়ান তা দেখেই হতবাক তাঁর অনুরাগীরা।
বাকি দিনের মত শুক্রবারও মুম্বইয়ের বান্দ্রার ব্যস্ত রাস্তার ধারে দোকানগুলোতে সাধারণ মানুষ কেনা-বেচা করছেন। কিন্তু সে সময়েই হঠাৎ দেখা গেল অভিনেত্রী সারা আলি খানকে। তিনি সেখানে নাকি শপিং করছেন। এই দেখে অবাক দোকানদার থেকে রাস্তার মানুষ। সাধারণ ক্যাজুয়াল লুকেই তাঁকে এদিন দেখা যায়। তাঁর পরনে ছিল কালো রংয়ের শর্টস ও টপ, আর গলায় ঝুলছে ব্যাগ। তিনি আবার রাস্তায় ঘুরে ঘুরে জামা-কাপড় দেখছেন। সেই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় দিতেই ঝড়ের গতিতে ভাইরাল।
তবে নেটিজেনদের কেউ কেউ তাঁর প্রশংসা করলেও অনেকেই তাঁকে ট্রোল করতে ছাড়েননি। কেউ কেউ তাঁর এই রাস্তার ধারে শপিং করাকে 'পাবলিসিটি স্টান্ট' বলে উল্লেখ করেছেন।
এক শপিং মলে দাঁড়িয়ে আপন মনে খাচ্ছেন মাংস। তবে রান্না করা নয়, কাঁচা চিকেন খাচ্ছেন তিনি। এই ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়তেই হইহই পড়ে গিয়েছে। যুবকের কাণ্ড দেখে হতভম্ব নেটিজেনরা। ঘটনাটি অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডেলএইডের।
জানা গিয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডেলএইডের ওয়েস্টফিল্ড ম্যারিয়ন শপিং মলে এক যুবক হাতে কাঁচা মাংস নিয়ে চলন্ত সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সে সময় হঠাৎ তিনি সেই মাংসে কামড় বসাতে থাকে। এই কাণ্ড দেখে চক্ষু চড়কগাছ নেটিজেনদের। আবার অবাক করা কাণ্ড, তাঁর পায়ে নেই জুতো। তবে তাঁর পরনে ছিল গেঞ্জি, প্যান্ট ও মাথায় টুপি। কিন্তু তাঁর এমন ব্যবহারে অবাক প্রত্যেকেই। তবে তাঁর আসল পরিচয় ও তিনি কেন এমন করছেন তা জানা যায়নি।
যুবকের এমন কাণ্ড নেট দুনিয়ায় ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়েছে। কেউ কমেন্টে লিখেছেন, 'তিনি পাগল নাকি!' কেউ আবার বলেছেন, 'এই যুবক কাঁচা মাংস খেতে এতই ব্যস্ত যে বসারও সময় পাননি, দাঁড়িয়েই খেতে শুরু করেছে।'
গুরুগ্রামে (Gurugram) একটি শপিং মলের বেসমেন্ট (Mall basement) পার্কিংয়ে থাকা একটি গাড়ির মধ্যে ধর্ষণের (Raped) অভিযোগ। ২৭ বছরের এক তরুণীকে মাদক খাইয়ে ওই গাড়িতে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। পুলিস জানিয়েছে, অভিযুক্তরা চাকরির ইন্টারভিউ (Interview) নেওয়ার অজুহাতে ইঞ্জিনিয়ারিং-এ স্নাতক ওই মহিলাকে ডেকেছিলেন। অভিযোগকারীকে মাদকযুক্ত জল খাওয়ানোর পরে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নিগৃহীতা।
নির্যাতিতা ওই মহিলা থানার দারস্থ হয়ে পুলিসের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে জানান, তিনি অনলাইনে একটি চাকরি খুঁজছিলেন এবং তুষার শর্মা নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। ওই ব্যক্তি তাঁকে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। শনিবার সাহারা মলে সাক্ষাৎকারের অজুহাতে তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়। তিনি তাঁর নথিপত্র নিয়ে দুপুর ১-টার দিকে মলে পৌঁছন এবং শর্মার সঙ্গে দেখা করেন। এরপর ওই মহিলাকে মলের বেসমেন্টে নিয়ে যাওয়া হয়।
এরপর অভিযুক্ত ওই মহিলাকে মাদক মেশানো জল খেতে দেন। খাওয়ার পরে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এরপর অভিযুক্ত তাঁকে গাড়ির ভিতরে ধাক্কা মেরে ঢুকিয়ে ধর্ষণ করেছে বলে জানান তরুণী। মল পার্কিং এলাকায় তাঁকে ফেলে রেখে পালিয়ে যান অভিযুক্ত। পালানোর আগে ওই মহিলাকে হুমকি দিয়ে বলেন, ঘটনাটি কাউকে বললে তাঁকে মেরে ফেলা হবে।
অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিস ওই মহিলাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়। তুষার শর্মার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৮, ৩৭৬ (ধর্ষণ), ৫০৬ (অপরাধমূলক ভয় দেখানো) ধারার অধীনে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়। পুলিস মল ম্যানেজমেন্টের কাছ থেকে সিসিটিভি ফুটেজ চেয়েছে।
প্রসূন গুপ্ত: একসময়, সেই ৭০-এর খবরের কাগজে বিজ্ঞাপন হতো নানা জামা কাপড় থেকে জুতো। এছাড়াও পাওয়া যেত বাড়ির প্রয়োজনীয় দ্রব্যের প্রচার। এই বিজ্ঞাপন কিন্তু চলেছিল দীর্ঘদিন ধরে। তখন মানুষের হাতে টাকা ছিল, বিভিন্ন সংস্থা কর্মীদের পুজো বোনাস দিতো, যা ছিল বাধ্যতামূলক। এ রাজ্যে যেমন দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে বিক্রিবাট্টা হতো তেমনই অন্য প্রদেশে দীপাবলিকে কেন্দ্র করে একই ঘটনা ঘটতো। পুজোর অন্তত একমাস আগে থেকেই কেনাকাটা শুরু হয়ে যেত। শুধুমাত্র নিজের পরিবারের জন্য নয়, আত্মীয়স্বজনের জন্যও কাপড়জামা কেনা হতো। তখনকার দিনে বাজারে জামাকাপড় থেকে জুতোর দোকানে প্রবল ভিড় এবং প্রায় লাইন দিয়ে নিজেদের পছন্দের সামগ্রী কিন্তু বঙ্গ সন্তানরা। রবি ঠাকুরের কবিতাতেও এর বিবরণ পাওয়া যায়। কিন্তু প্রচার করে বিক্রিবাট্টার জমানা আসে ওই ৬০ ৭০-এর দশকের মধ্যে।
এই সেদিনও পুজোর বাজার হতো ধুমধাম করেই। এই বিক্রি কমতে শুরু হয়েছে বছর ছয়েক ধরে। ক্রমাগত দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে মানুষ দিশেহারা। খাবে না, বাজার করবে? এরই মধ্যে করোনার দাপট সারা বিশ্বের অর্থনীতির বাজারকে অসহায় করে দিয়েছে। গত ৩ বছর ধরে হালহকিকত খুব খারাপ। লক্ষ লক্ষ মানুষ কর্মহীন। হাতে টাকা নেই তাই বিকিকিনিতে মন নেই।
বিশ্ববাজারে এক্সপোর্ট এবং পাল্লা দিয়ে ইমপোর্ট নিদারুন কমে গিয়েছে। আন্তঃদেশীয় বাজারে কেনার মানুষ ৫ থেকে ১০ শতাংশ। উৎপাদন বাড়ানোর প্রশ্ন নেই, যেহেতু গ্রাহক বাড়েনি। যে কারণে গত দু'বছরে চাকরি খুইয়েছে বহু মানুষ, ব্যতিক্রম নয় এই বাংলাও।
দরিদ্র মানুষের ক্রয় ক্ষমতা চলে গেলে অর্থনীতিতে ধাক্কা আসবেই। এবার নিদারুন ভাবে বিক্রি কমে যাওয়ার করুণ দৃশ্য লোকের চোখে পড়ছে। প্রত্যেক জিনিসের দাম অন্তত ১৫ থেকে ২৫ শতাংশ বেড়েছে পক্ষান্তরে মানুষের উপার্জন বাড়েনি। এই অভাব আজ মধ্যবিত্তকে ছুঁয়ে ফেলেছে। এর থেকে মুক্তি কোথায়?
সুখবর! সুরাপ্রেমীদের জন্য আনন্দের খবর। এবার খোদ কলকাতায় (Kolkata) তৈরি হতে চলেছে মদের শপিং মিল (Liquor shopping mall)। শুনে ভ্রু কুঁচকে গেল, তাই না? ঠিকই শুনছেন। ঝাঁ চকচকে ঠাণ্ডা শোরুমে ঢুকে একদিকে যেমন নিজের পছন্দ মতো ব্র্যান্ডের মদের বোতল কিনতে পারবেন। আবার অন্যদিকে সেখানে বসে মদ্যপানের ব্যবস্থাও থাকতে চলেছে। খুব শীঘ্রই মধ্য কলকাতার এজেসি বোস রোডের উপর খোলা হবে 'দারু'র এই এক্সক্লুসিভ শপিং মল।
নবান্ন (Nabanna) সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব ভারতের মধ্যে এটিই প্রথম মদের শপিং মল হতে চলেছে। সম্প্রতি আবগারি নিয়ম-বিধিতে একাধিক পরিবর্তন আনা হয়েছে। যার ফলে রাজ্যে মদের শপিংমল খোলা সম্ভব হচ্ছে। তবে মদ বিক্রি সংক্রান্ত যাবতীয় বিধিনিষেধ শপিংমলেও বহাল থাকছে বলে জানিয়েছে নবান্ন। এক্ষেত্রে কোনওরকম ছাড় পাবে না ঝাঁ চকচকে বিপণন কেন্দ্র।
এই শপিং মলে দেশের তৈরি মদ যেমন পাওয়া যাবে। তেমনই বিদেশি এবং বিদেশ থেকে আমদানি করা সব ধরনের মদও পাওয়া যাবে। বসে যাঁরা খেতে চাইবেন তাঁদের জন্য ব্যবস্থা থাকছে চাটেরও। সুতরাং, মদ কিনে অন্য কোথাও যেতে হবে না খাবারের জন্য।
উল্লেখ্য, পূর্বভারতে না থাকলেও দক্ষিণের বেঙ্গালুরু (Bengaluru) শহরে রয়েছে শুধুমাত্র মদের শপিংমল। সুরাপ্রেমীদের পাশাপাশি সেই মল দেখতে ভিড় জমান পর্যটকরাও।
প্রসূন গুপ্ত: রবি সাহিত্যে বর্ণিত গ্রীষ্মের গরম প্রবল কিন্তু ভাদ্র মাসের গরমে পাগলের প্রতিক্রিয়া বাড়ে। এবার বর্ষাকালে বৃষ্টি হয়েছে দক্ষিণবঙ্গে খুবই কম। ফসলের ক্ষতিও হয়েছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে। পক্ষান্তরে বাংলার উত্তরভাগে বৃষ্টি ছিল স্বাভাবিক। ভাদ্র মাসে দক্ষিণবঙ্গে সাধারণত এতটাই বৃষ্টি হয়ে থাকে যে বর্ষাকালের কম বৃষ্টিকে অনেকটাই মেকআপ হয়ে যায়। করোনাকালের দু-তিন বছর কিন্তু শ্রাবণ ভাদ্রে বৃষ্টি হয়েছিল স্বাভাবিক বা কিছুটা বেশি, কিন্তু ব্যতিক্রম ২০২২। এ বছর গরম যথেষ্ট পড়েছে, পক্ষান্তরে বৃষ্টিও হয়নি স্বাভাবিক স্তরে। নিম্নচাপ এই বছর যা হয়েছে, তাতে কয়েকঘন্টা বৃষ্টি হয়েছে মাত্র কিন্তু টানা বৃষ্টিতে ক্ষেতখামারে যথেষ্টও জল পায়নি। কর্ণাটক, মহারাষ্ট্রে যখন প্লাবন এসেছে, বাংলা থেকেছে শুকনো।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস মেলেনি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই। সাধারণত কলকাতা লাগোয়া বাংলায় ভাদ্র মাসে প্রবল বৃষ্টি হয় এবং প্লাবিত হওয়ার ঘটনা যা কিছু হয়েছে। তা ওই পুজোর আগেভাগেই ১৯৬০-এ প্লাবিত হয়েছিল সেপ্টেম্বরে। ১৯৭০-এ বন্যা এসেছিল এই ভাদ্রেই। সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বন্যা বা প্লাবন কলকাতা লাগোয়া বাংলার মানুষ পেয়েছিলো ১৯৭৮-এ। কলকাতা-সহ উত্তর ২৪ পরগনা এবং বিস্তীর্ণ দক্ষিণবঙ্গ প্লাবিত হয়েছিল। এমনও দেখা গিয়েছিলো পুজোর সময়ে কলকাতার বিভিন্ন মণ্ডপের সামনে পা ডোবানো জল। দীর্ঘদিন লেগেছিল এই জল নামতে। প্রশ্ন এবার কী হতে পারে?
আবহাওয়াবিদদের বক্তব্য, রবিবার থেকে টানা বুধবার অবধি আকাশে সূর্যদেবের দর্শন পাওয়া যাবে না। অল্প থেকে ভারী বৃষ্টি হবে, মঙ্গলবার বৃষ্টি বাড়বে। জল দাঁড়াতে পারে কলকাতা হাওড়া-সহ বিভিন্ন স্থানে। পুজোর বাজারের অবস্থা এমনি খারাপ তার উপর আসন্ন কয়েক দিন যে বিক্রি কমবে তা বলাই বাহুল্য।
সেলেবরা নিজের স্টারডার্ম টিকিয়ে রাখতে সবসময় ভক্তদের কথা ভাবেন। ভক্তদের আবদার রাখার চেষ্টাও করেন। কিন্তু সেই ভক্তদের চটালেই পড়তে হয় বিপদের মুখে। তেমনই ছবির প্রচারে গিয়ে একবার অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়েছিল বলিউড (Bollywood) এবং দক্ষিণের (South) অন্যতম জনপ্রিয় এক অভিনেত্রী (Actress) সামান্থা প্রভুকে (Samantha Ruth Prabhu)।
ড্রিম গার্লকে দেখতে ভিড় জমেছিল শপিং মলে। সামনে থেকে দেখার ইচ্ছে মিস না করেই জনজোয়ারে ভেসেছিল। লোকে লোকারণ্য শপিং মলে আচমকাই এক ভক্তকে সপাটে চড় কষিয়ে দিয়েছিলেন নায়িকা। ১০ বছর আগে তিরুপতিতে ঠিক এমনটাই ঘটেছিল বলে সম্প্রতিই এক সংবাদমাধ্যমকে জানান সামান্থা প্রভু।
সূত্রের খবর, সেই সময় তাঁর হিট ছবির মধ্যে অন্যতম দুটি সিনেমা ‘ইয়ে মায়া চেসাভা’ ও ‘বৃন্দাভনম’ চূড়ান্ত সাফল্য পেয়েছে। এরপরই তিনি ব্যস্ত হয়ে পড়েন সিনেমার প্রচারে। তেমনই এক সিনেমার প্রচারে তিরুপতিতে ঘটে অস্বস্তিকর ঘটনা। সামান্থাকে দেখতে উপচে পড়ে ভিড়। হঠাৎ এক ভক্ত তাঁকে টেনে ধরে। দেহরক্ষীরাও সামলাতে পারছিলেন না। সেই পরিস্থিতিতেই রেগে গিয়ে ভক্তের গালে সপাটে চড় কষিয়ে দেন অভিনেত্রী। সকলেই সেই মুহূর্তে তাঁর ব্যবহার দেখে চমকে গিয়েছিলেন।