স্ত্রীর নামে কুরুচিকর মন্তব্য শুনে রেগে গিয়ে এক যুবককে মারধর করেন স্বামী। সেই মারের প্রতিশোধ নিতে মঙ্গলবার গভীর রাতে হামলা চালায় ওই যুবক ও তার বন্ধুরা। এমনকি ওই যুবক স্কুটি নিয়ে ঘরের সামনে ধাক্কা দেওয়ার পর ঘরে ঢুকে ভাঙচুর ও বন্দুক (Shootuot) ঠেকিয়ে ভয়ও দেখায় বলে অভিযোগ। পরে ভাঙচুর করে বেরিয়ে যাওয়ার সময় বন্দুক বের করে শুন্যে গুলিও ছোঁড়ে ওই যুবক, এমনটাই অভিযোগ। মঙ্গলবার গভীর রাতে খড়িবাড়ি (Kharibari) থানার অন্তর্গত গৌড়সিং জোতে এই ঘটনাটি ঘটে।
জানা গিয়েছে, ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় খড়িবাড়ি থানার পুলিস (Police)। সঙ্গে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য কৃষ্ণ রায়ও যান। দোষীদের কড়া শাস্তির দাবি জানান পঞ্চায়েত সদস্য কৃষ্ণ রায়। ঘটনার তদন্তে নেমে ওই স্কুটিটিকে আটক করেছে পুলিস। ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কে রয়েছেন অভিযোগকারী পরিবার।
পুলিস সূত্রে খবর, অনন্ত বর্মন নামের ওই ব্যক্তির স্ত্রীর নামে কুরুচিকর মন্তব্য করেন এলাকার এক যুবক সঞ্জীব বর্মন। স্ত্রীর নামে এই কুরুচিকর মন্তব্য শুনতে পেয়ে সেই যুবককে মারধর করেন অনন্ত। আর সেই মারধরের বদলা নিতেই মঙ্গলবার গভীর রাতে অনন্ত বর্মনের খোঁজে অনন্তের শ্বশুরবাড়িতে হামলা চালায় সঞ্জীব ও তার বন্ধুরা। তারপরেই শুরু করে তাণ্ডব।
তৃণমূল (TMC) নেতা তথা পঞ্চায়েত সদস্যকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল বসিরহাটে। তবে অল্পের জন্য প্রাণ বাঁচলেন তৃণমূল নেতা। শুক্রবার রাতে বসিরহাট (Basirhat) থানার গোটরা গ্রাম পঞ্চায়েতের তেঘরিয়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বসিরহাট থানা পুলিস (Police)। ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিস। তবে এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি ওই তৃণমূল নেতার তরফে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। জানা গিয়েছে, ওই তৃণমূল সদস্যের নাম মৃত্যুঞ্জয় কর্মকার। তিনি গোটরা গ্রাম পঞ্চায়েতের তেঘরিয়া গ্রামের তৃণমূলের সদস্য। তাঁর বাড়িতেই শুক্রবার রাতের অন্ধকারে গুলি হামলা চালায় দুষ্কৃতিরা।
তৃণমূলের ওই পঞ্চায়েত সদস্য মৃত্যুঞ্জয় কর্মকার জানান, রাতের অন্ধকারে পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়ির সামনে এসে তিনটি ছেলে আচমকাই তাঁকে ডাকাডাকি শুরু করে। ডাকাডাকির কিছুক্ষণ পরেই বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসেন মৃত্যুঞ্জয় কর্মকার। তখনই দুষ্কৃতিরা তাঁকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ঘিরে ফেলে। তবে নিজের জীবন বাঁচানোর জন্য তিনি বাড়ির দিকে ফিরে গেলেই দুষ্কৃতিরা গুলি চালাতে শুরু করে। অভিযোগ, মৃত্যুঞ্জয় কর্মকারকে লক্ষ্য করে দুষ্কৃতিরা মোট দুই রাউণ্ড গুলি চালায়। তবে অন্ধকারের জেরে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় দুষ্কৃতিরা। তিনি আরও দাবি করেন, দুষ্কৃতিদের কাছে মোট তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। যা দিয়েই তাঁরা দু-রাউণ্ড গুলি চালিয়েছে। আর এই ঘটনার পরেই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতিরা।
তিনি আরও জানান, এই ঘটনার পরেই খবর দেওয়া হয় পুলিসকে এবং দলের সদস্যদের। পরে পুলিস ঘটনাস্থলে এসে গুলির খলপাগুলি উদ্ধার করে নিয়ে যান। তিনি বলেন, 'আমি একজন জন প্রতিনিধি হয়েও যদি আমারই কোনও নিরাপত্তা না থাকে তাহলে সাধারণ মানুষেরও কোনও নিরাপত্তা থাকছে না। প্রশাসনের কাছে শুধু একটাই দাবি, দুষ্কৃতিদের ধরে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হোক।'