
বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার ছেলের পচাগলা মৃতদেহ (Dead Body)। পাশের ঘরে শুয়ে রয়েছেন অসুস্থ মা। এমনই দৃশ্য ঘিরে সাতসকালে চাঞ্চল্য ছড়াল হাওড়ার (Howrah) শিবপুরের (Shibpur) প্রসন্ন দত্ত লেনে। পুলিস মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, শিবপুর প্রসন্নকুমার দত্ত লেনের একটি বাড়িতে লাল্টু সরকার (৪৮) এবং তাঁর মা মালতি সরকার (৬৫) থাকতেন। লাল্টু মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। কোনওরকম কাজকর্ম করতেন না। তাঁর মা মিনতি সরকারও দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। ২০১৬ সালে স্বামী মন্টু সরকার মারা যান। এরপর মা ও ছেলে ওই বাড়িতে থাকতেন। রেলের পেনশনের টাকায় তাঁদের সংসার চলত। অসুস্থতার কারণে গত কয়েক মাসের পেনশনের টাকা পর্যন্তও তোলা হয়নি। প্রতিবেশীরা বলেন, মা ও ছেলে পাড়ার লোকেদের সঙ্গে বেশি মেলামেশা করতেন না। আত্মীয়-স্বজন সেভাবে খোঁজখবরও নিতেন না।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত দু'দিন ওই বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ বের হলেও রবিবার সকালে বাড়ির দরজার নিচ দিয়ে পচা রক্ত বেরোতে দেখেন। এরপরই তাঁরা খবর দেন শিবপুর থানায়। পুলিস এসে দরজা ভেঙে দেখেন ছেলে লালটু সরকার মৃত অবস্থায় চেয়ারে বসে। তাঁর মা মালতি সরকার পাশের ঘরে বিছানায় শুয়ে আছেন। পুলিস মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রজু করে তদন্ত শুরু করেছে শিবপুর থানার পুলিস। প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান, কমপক্ষে তিন দিন আগে মারা গিয়েছেন ছেলে। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থতার জেরেই মৃত্যু। পাশাপাশি অসুস্থ মাকে উদ্ধার করে পাঠানো হয়েছে হাওড়া জেলা হাসপাতালে।
'শিবপুর' (Shibpur) নিয়ে স্বস্তিকার মনের বরফ কী গলল? সামাজিক মাধ্যমে বর্তমানে এই নিয়ে চর্চা চলছে। অভিনেত্রী 'শিবপুর' সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন। কিন্তু ছবি মুক্তির আগে থেকেই বদলে গিয়েছিল অভিনেত্রীর সঙ্গে প্রযোজনা সংস্থার সম্পর্ক। স্বস্তিকা (Swastika Mukherjee) অভিযোগ তুলেছেন সিনেমার প্রযোজক তাঁর নগ্ন ছবি পাঠিয়ে ব্ল্যাকমেইল করছিলেন। এই কারণেই অভিনেত্রী এই ছবির সঙ্গে নিজের দূরত্ব ঘোষণা করেছিলেন সামাজিক মাধ্যমে।
সিনেমার ট্রেলার মুক্তি পেতেই স্বস্তিকা জানিয়েছিলেন, এই সিনেমার ট্রেলার সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করলেও প্রচারে যাবেন না। এমনকি ট্রেলার মুক্তির দিন প্রযোজনা সংস্থার আমন্ত্রণে উপস্থিত ছিলেন না অভিনেত্রী। অবশেষে সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছে বড় পর্দায়। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই সিনেমায় স্বস্তিকা জাত চিনিয়েছেন। পর্দায় কেবল তাঁর অভিনয় দেখেই বুঁদ হয়েছেন সকলে। অভিনেত্রীও গিয়েছেন বড় পর্দায় সিনেমাটি দেখতে।
স্বস্তিকা সম্প্রতি নিজের সামাজিক মাধ্যমে বেশ কিছু ছবি দিয়েছেন। একা একা নয়, তিনি নিজের প্রচুর বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে সিনেমাটি দেখতে গিয়েছিলেন। এই দলে ছিলেন গায়িকা ইমন চক্রবর্তী এবং তাঁর স্বামী নীলাঞ্জন ঘোষ। ছিলেন ফ্যাশন ডিজাইনার অভিষেক রায়, ছিলেন মেকআপ আর্টিস্ট অভিজিৎ চন্দ-সহ আরও অনেকে। তবে স্বস্তিকার বিশেষ অতিথি হয়ে গিয়েছিলেন তাঁর বাড়ির পরিচারকরা। সামাজিক মাধ্যমে সবার সঙ্গে ছবি পোস্ট করেছিলেন স্বস্তিকা।
মুক্তির অপেক্ষায় থ্রিলার ছবি 'শিবপুর' (Shibpur)। সিনেমায় দেখা যেতে চলেছে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, খরাজ মুখোপাধ্যায়, রজতাভ দত্ত এবং স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের মতো তারকাদের। কিন্তু প্রথম থেকেই ছবিটি নিয়ে বিতর্ক তৈরী হয়েছিল স্বস্তিকার (Swastika Mukherjee) অভিযোগে। অভিনেত্রী সামাজিক মাধ্যমেই অভিযোগ তুলেছিলেন, সিনেমার প্রযোজক সন্দীপ সরকার নগ্ন ছবি পাঠিয়েছেন অভিনেত্রীকে। এই নিয়ে একদফা বিতর্কও হয়েছিল। এরপর ছবির অন্যতম প্রযোজক অজন্তা অভিযোগ তুলে বলেছিলেন, পরিচালকের প্ররোচনায় এই কান্ড ঘটেছে। ছবির ট্রেলার লঞ্চেও সেই অন্তর্ঘাত জারি রইল।
মঙ্গলবার 'শিবপুর' ছবির ট্রেলার লঞ্চ অনুষ্ঠিত হয়েছে দক্ষিণ কলকাতার এক ক্যাফেতে। শোনা গিয়েছিল, ছবির পরিচালক নাকি সেই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পাননি। যদিও আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন স্বস্তিকা। অতীত ভুলে কী তিনি ট্রেলার লঞ্চে উপস্থিত থাকবেন? সামাজিক মাধ্যমেই এর উত্তর দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। প্রকাশ্যে লিখেছিলেন, 'আমি শহরে নেই, তবে শহরে থাকলেও আমি অংশ নিতাম না। যৌন হেনস্থা সামান্য ঘটনা নয় এবং এর কোনও ক্ষমা নেই।'
তবে অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, তিনি যেহেতু এই সিনেমার সঙ্গে যুক্ত তাই ভক্তদের জন্য সিনেমার ট্রেলার শেয়ার করবেন। ইতিমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে শিবপুর সিনেমার ট্রেলার মুক্তি পেয়েছে। যদিও অভিনেত্রী এখনও সামাজিক মাধ্যমে তা শেয়ার করেননি। তবে যেভাবে প্রযোজক সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন স্বস্তিকা। তাতে মনে করা হচ্ছে সিনেমার প্রচার থেকেও সরে দাঁড়াতে পারেন স্বস্তিকা।
রামনবমী-কাণ্ড (Ram Navami Row) থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার আরও সতর্ক হাওড়া কমিশনারেট (Howrah)। শিবপুরে অশান্তির ঘটনার পুনরাবৃত্তি রুখতে চায় রাজ্য পুলিস (Bengal Police)। সামনেই ইদ, পবিত্র এই উৎসবে নতুন করে কোনও অশান্তি চায় না প্রশাসন। তার জন্য আগে থেকেই নজরদারি চালাচ্ছে হাওড়া সিটি পুলিস। শিবপুর এলাকায় ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চালানো হচ্ছে। রামনবমীর দিন অশান্তির সময় বহুতলের ছাদ থেকে প্রচুর ইটপাটকেল মারা হয়। তাই বহুতলের ছাদে কিছু মজুত রয়েছে কিনা, তা দেখা হচ্ছে ড্রোনের মাধ্যমে। এছাড়াও শিবপুর থানার পুলিস ও সেন্ট্রাল জোনের আধিকারিকরা বিভিন্ন জায়গায় র্যাফকে সঙ্গে নিয়ে রুট মার্চ করছে। এই নজরদারি প্রতিদিন চালানো হবে বলে পুলিস সূত্রে খবর।
রাম নবমীর মিছিল ঘিরে তপ্ত হয়েছিল হাওড়ার শিবপুর এবং হুগলীর রিষড়া। সেই অপ্রীতিকর ঘটনা আগামি উৎসবের মরশুমে একদমই ঘুরেফিরে আসুক, চায় না নবান্ন। তাই আগাম সতর্ক হতে এই পুলিসি তৎপরতা বলে সূত্রের খবর।
'পুলিসই হিংসা ছড়িয়েছে, পুলিসের সহযোগিতায় হয়েছে সব।' পুলিসকে (Police) দোষারোপ করে হাওড়া (Howrah) ছাড়ল ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। শনিবার সকালে রিষড়া (Rishra) যাওয়ার পথে কোন্নগরে এবং রবিবার হাওড়ার শিবপুর যাওয়ার পথে দ্বিতীয় হুগলি সেতু টোল ট্যাক্সে তাঁদের আটকে দেয় পুলিস। তারপরেই পুলিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে ওই কমিটির সদস্যরা। তাদের অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গ পুলিস রাজনৈতিক ব্যক্তিদের মতো আচরণ করছে। পাল্টা পুলিসের দাবি, ১৪৪ ধারা জারি আছে বলে ওদের যেতে দেওয়া হয়নি।
রাজ্যজুড়ে রামনবমীর মিছিল নিয়ে, হিংসা-অশান্তির কারণ ও পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে একটি দল ঘটনা করা হয়। যার নাম দেওয়া হয়, 'ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম'। সূত্রের খবর, শনিবার ওই ৬ জন সদস্যের দলটি হুগলির রিষড়ায় ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান, সেখানেও ১৪৪ ধারা জারি থাকায় পুলিস কোন্নগরে তাদের আটকে দেয়। শনিবারের মত রবিবারেও তাদের শিবপুরে যেতে বাধা দিলো পুলিস, দোহাই সেই ১৪৪ ধারা।
তারপরেই পুলিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন ওই কমিটির সদস্যরা, ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির পক্ষে রবিবার ডক্টর চারুওয়ালি খান্না বলেন, 'আমরা পুলিসকে বারবার বললাম যেখানে ১৪৪ ধারা আছে, সেখান ২ জন বা ৩ জন যাবো, প্রয়োজনে পুলিস সঙ্গে যাবে। তাও যেতে দেননি পুলিস।' তিনি আরও বলেন, 'এখানে যা যা হলো তা অত্যন্ত চিন্তাদায়ক ও লজ্জাজনক, এখানে পুলিসই হিংসা ছড়িয়েছে।'
ওখান থেকে বেড়িয়ে তাঁরা এসএসকেএম হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে যান, এবং সেখানে গিয়ে রিষড়ার হিংসায় আহত বিজয় মালিকে দেখে আসেন। সেখানেও রাজ্যের পুলিস প্রশাসনের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ করেন তাঁরা।
প্রসূন গুপ্ত: রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে পেয়ে বঙ্গের মানুষ অখুশি এমন দাবি কেউই করবেন না। বরং যত দিন যাচ্ছে ততই দেখা যাচ্ছে, বোস যথেষ্ট নিয়মানুবর্তিতা মেনে চলার মানুষ। এই রাজ্যপালের গুণ, তিনি সমস্ত দলের কথা শোনেন এবং সেই প্রেক্ষিতে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করেন। সাধারণত পশ্চিমবঙ্গে বাম আমল থেকে যত রাজ্যপাল এসেছেন, বোস কিন্তু তাঁদের থেকে একটি বিষয়ে ব্যতিক্রম। সংবিধান মেনে প্রশাসনকে নিয়ে চলা। তিনি দীর্ঘদিন প্রশাসনে ছিলেন ফলে অভিজ্ঞতা তাঁর টাটকা। তাঁকে চাপ দিয়ে কাজ হাসিল করা কঠিন, তা তৃণমূল বাম কিংবা বিজেপি হোক না কেন।
সম্প্রতি হাওড়া এবং রিষড়াতে রামনবমী মিছিলকে কেন্দ্র করে যে যে অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেছে তা নিজে উপস্থিত থেকে সরেজমিন তদন্ত করছেন আনন্দ বোস। যদিও বাম দলগুলি এই কাণ্ডকে ধর্মীয় মেরুকরণের বলে দাগিয়েছে। কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে তৃণমূল-বিজেপিকে। তারা বলেছে যে, ধমীয় মেরুকরণ করে আসন্ন ভোটগুলিতে ফায়দা তুলতে চাইছে এই দুই দল। সে যাই হোক না কেন সম্পূর্ণ বিষয়টি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে গিয়েছে এবং তারপর বিষয়টি দেখতে গিয়েছেন রাজ্যপাল নিজেই।
এটি নিয়ে কোনও রকম রাজনীতি হোক সে বিষয়ে রাজ্যপাল সজাগ ছিলেন। খবর, তিনি বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে রিষড়া না যেতে অনুরোধ করেন। সুকান্তবাবু রাজ্যপালকে সম্মান জানিয়ে অকুস্থলে যাননি। কিন্তু গিয়েছেন রাজ্যপাল এবং দেখে এসেছেন সবই। তিনি পরিবেশ শান্ত রাখতে অনুরোধ করেছেন। কিন্তু সুকান্ত মজুমদার রাজ্যপালের অনুরোধ রাখলেও, কিছুটা আক্রমণাত্মক রাজ্যের বিরোধী নেতা। যদিও তাঁর এই সমালোচনা শুনে রাজ্যপাল মিষ্টি হেসে জানান, 'কেউ সমালোচনা করতে পারেন, অতি সমালোচনা করতে পারেন কিন্তু দ্বিচারিতা করবেন না।' তাঁর এই প্রতিক্রিয়ার ওপারে কে? কিছুটা আন্দাজ করতে পারছে রাজনৈতিক মহল। রাজ্যপাল আরও বলেন, 'তাঁর কাজ বন্ধু ও পথপ্রদর্শক হিসাবে দায়িত্ব পালন করা। একইসাথে রাজ্য প্রশাসক যেন সংবিধান মেনে কাজ করেন সেটাই দেখা।'
শিবপুর এবং রিষড়া-কাণ্ডে প্রশাসনিক দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দিলেন রাজ্যের বুদ্ধিজীবীরা। রীতিমতো বিবৃতি দিয়ে তাঁরা রাজ্যের সাম্প্রতিক হিংসার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন। অপর্ণা সেন, কৌশিক সেন, অনির্বাণ ভট্টাচার্যদের সই করা বিবৃতিতে সাম্প্রতিক ঘটনায় নাগরিক হিসেবে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। তীব্রভাবে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বুদ্ধিজীবীদের বিবৃতি, 'রাম নবমীর উদযাপনকে কেন্দ্র করে গত ছয় দিন ধরে পশ্চিমবঙ্গে যে ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনৈতিক ক্রিয়াকাণ্ড সক্রিয় হয়ে উঠেছে, নাগরিক হিসেবে আমরা শঙ্কিত এবং উদ্বিগ্ন বোধ করছি।'
তাঁরা লেখেন, 'তীব্র ভাবে এই ঘটনাবলির প্রতিবাদ জানাই। সেইসঙ্গে প্রশাসনিক দায়িত্বের কথাও স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। সাধারণ মানুষের প্রাণ এবং সম্পত্তিরক্ষার দায়িত্ব পুলিস-প্রশাসনের। সেই দায়িত্ব পালনে পুলিসের নিষ্ক্রিয় ভূমিকার তীব্র নিন্দা করছি। অবিলম্বে এই মেরুকরণের হিংস্র রাজনীতি বন্ধ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে উচ্চ পর্যায়ের প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের দাবি জানাচ্ছি।'
এই বিবৃতিতে অপর্ণা সেন, কৌশিক সেন, ঋদ্ধি সেন, অনির্বাণ ভট্টাচার্য ছাড়াও সই রয়েছে সুজন মুখোপাধ্যায়, সুমন মুখোপাধ্যায়, শ্রীকান্ত আচার্য-সহ প্রমুখদের।
রাম নবমীর মিছিল (Ram Navami Rally) ঘিরে উত্তপ্ত হাওড়ার শিবপুর এবং হুগলির রিষড়া। ক্রমেই ছন্দে ফিরছে শিবপুর (Shibpur-Rishra), কিন্তু ১৪৪ ধারা রিষড়ায়। এই আবহে রাম নবমীর মিছিল ঘিরে প্রশ্ন তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata)। সোমবার তাঁর প্রশ্ন, 'রাম নবমীর মিছিল ৫ দিন ধরে হবে কেন? রাম নবমী যেদিন হয়, সেদিন তোমরা মিছিল করো আমাদের আপত্তি নেই।' হুঙ্কারের সুরে তাঁর মন্তব্য, 'কিন্তু বন্দুক-বোমা নিয়ে মিছিল করবেন না। অনুমতি না পেয়েও মিছিল করছে। এত রাস্তা থাকতেও সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় ঢুকে পড়ছে। ফলের গাড়িতে তাণ্ডব চালাচ্ছে। বন্দুক নিয়ে ডান্স করছে।'
তিনি পুলিস প্রশাসনকে সতর্ক করে বলেন, '৬ তারিখ দাঙ্গার নামে কোনও পরিকল্পনা করতে না পারে সতর্ক থাকবেন। আমরা বজরঙবলিকে সবাই সম্মান করি। বুলডোজার নিয়ে কে মিছিল করতে যায়? বুলডোজার তো রাস্তা তৈরির কাজে লাগে। বাড়ি ভাঙার কাজে লাগে। মিছিলে বুলডোজার নিয়ে যাচ্ছে আর বন্দুক নিয়ে নাচ করছে।'
এদিন মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যকে কটাক্ষ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি জানান, 'মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী চালাকি করছেন। ৬ তারিখ বিজেপির প্রতিষ্ঠা দিবস, আমরা ওদিন রাস্তায় থাকবো। তাই উনি বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষদের এবং দলীয় কর্মীদের উস্কাচ্ছেন বিজেপির উপর হামলা করতে। আপনারা নির্ভয়ে পার্টির প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করবেন। এতদিন আমরা আইন মেনে চলেছি। তৃণমূল কংগ্রেস, বিজেপির প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করতে না দিলে আমরা আইন হাতে তুলে নিতে বাধ্য হবো। ওরা লাঠি নিয়ে আসলে লাঠির উত্তর কীভাবে দিতে হয় আমরা জানি।'
টলিউডের অভিনেত্রীকে দেওয়া হচ্ছে হুমকি! নগ্ন ফটো ফাঁস, এমনকি প্রাণনাশের হুমকিও পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় (Swastika Mukherjee)। আর এই অভিযোগ এসেছে 'শিবপুর' (Shibpur) ছবির প্রযোজকের বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, স্বস্তিকা ইতিমধ্যেই বিষয়টি জানিয়ে পুলিসের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। অন্যদিকে ইম্পা (ইস্টার্ন ইন্ডিয়া মোশন পিকচার্স অ্যাসোসিয়েশন) সূত্রের খবর, অভিনেত্রী বিষয়টি সংগঠনের নজরে এনেছেন ও অভিযোগ জানিয়েছেন। ঠিক কী ঘটেছে ও কী বললেন স্বস্তিকা?
এক বাংলা সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর স্বস্তিকা জানিয়েছেন, শিবপুর ছবির পরিচালক অরিন্দম ভট্টাচার্য। প্রযোজক দু'জন সন্দীপ সরকার এবং অজন্তা সিংহ রায়। সন্দীপ বিদেশে থাকেন আর এই সন্দীপ সরকারই তাঁকে প্রায় এক মাস ধরে হেনস্থা করে চলেছেন। স্বস্তিকা জানিয়েছেন, চুক্তিপত্রে অজন্তা সিংহের স্বাক্ষর ছিল। সন্দীপ সরকার যে আরও একজন প্রযোজক, সেটা তো এখন জানতে পারছেন। গত এক মাস ধরে সন্দীপ সরকার তাঁকে ই-মেলে হুমকি দিচ্ছেন। প্রথমে কিছু তিনি না বললেও পরে তিনি পুলিসে অভিযোগ জানাতে বাধ্য হন।
তাঁকে কেমন ধরনের হুমকি দিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি জানান, 'একাধিক হুমকি দেওয়া হয় যেমন- আমেরিকান দূতাবাসে অভিযোগ করে ভিসা বন্ধ করে দেওয়া। আমেরিকা যাওয়া আটকানো, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে অভিযোগ জানানো। তাঁর সঙ্গে সহযোগিতা না করলে পুলিসে অভিযোগ জানানো ইত্যাদি।' আবার তাঁর ছবি বিকৃত করে পর্ন ওয়েবসাইটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন ওই প্রযোজক, এমনটাই দাবি অভিনেত্রীর। কিন্তু কেন এই হুমকি, জিজ্ঞেস করা হলে অভিনেত্রী জানান, তিনি সত্যিই জানেন না। তবে প্রযোজক জানিয়েছেন, তিনি নাকি টাকা চেয়েছেন। তবে স্বস্তিকার দাবি, 'চুক্তির বাইরে আমি কোনও টাকাই চাইনি।'
তবে এখানেই শেষ নয়, শুধুমাত্র অভিনেত্রী নয়, তাঁর ম্যানেজারকেও হুমকি দিয়েছেন ওই প্রযোজক। তাঁকে ইমেল করে বলা হয়েছে, তাঁর যখন-তখন পথ দুর্ঘটনা হয়ে যেতে পারে। পরিচালক অরিন্দমের সঙ্গে নাকি দিনের পর দিন খারাপ ব্যবহার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন অভিনেত্রী। এসব ঘটনার পর স্বস্তিকা অন্য এক প্রযোজকের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, তিনি নাকি অসুস্থ, আর এই বিষয়ে কিছুই জানেন না প্রযোজক অজন্তা।
তাই অজন্তার প্রশ্ন, 'একজন প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রীর সঙ্গে যদি এই ঘটনা ঘটে, তা হলে আমার ভয় করছে, নবাগত অভিনেতাদের তো এই ধরনের প্রযোজকরা রাস্তায় দাঁড় করিয়ে উলঙ্গ করে দেবেন!'
প্রসূন গুপ্ত: ফের রাজ্যের পাশে রাজ্যপাল। তিনি যে জগদীপ ধনকরের পদাঙ্ক অনুসরণ করবেন না, তা প্রথম থেকেই তাঁর কর্মপদ্ধতি দেখে বোঝা গিয়েছিল। তিনি শিক্ষিত মানুষ এবং সাহিত্যিক। লেখাপড়ার জগৎ ছাড়াও প্রশাসনের কাজে সুচারু। প্রশংসা পেয়েছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রীরও। মোদী বলেছিলেন, তিনি দক্ষ কাজের মানুষ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন, 'দিদি যাকে পাঠানো হচ্ছে তাঁকে আপনার পছন্দ হবে।' তিনি নতুন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। নতুন রাজ্যপাল আসার পর খুব ভালো সম্পর্ক হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়ের সঙ্গে। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকেছেন বোস, ভূয়সী প্রশংসা করেছেন সরকারের।
এরপর কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভেলে উপস্থিত থেকে বাংলা সিনেমার উন্নয়নে সঙ্গে থাকার কথা বলেছেন। এরপরেই যেন খানিক সুর কেটে গিয়েছিল রাজ ভবনের সচিব বদলি ঘিরে। কিন্তু এখানে রাজ্য সরকার কোনও সংঘাতে যায়নি।
অন্যদিকে এখনও পর্যন্ত রাজ্যপাল এমন কিছু বলেননি যাতে সরকার বিপাকে পড়তে পারে। সম্প্রতি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু কলকাতায় এসেছিলেন। তাঁকে সংবর্ধনা জানায় রাজ্য সরকার। সেই অনুষ্ঠানে হাসিমুখে দেখা গিয়েছে মমতা ও আনন্দ বোসকে। পরস্পর কুশল বিনিময় করে হৃদ্যতা বজায় রেখেছেন। সম্প্রতি রামনবমীকে কেন্দ্র করে মস্ত সংকট তৈরি হয়েছিল। বিভিন্ন কেন্দ্রে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে বাক-বিতন্ডা যেমন হয়েছে আবার সৌহার্দের চিত্রও দেখা গিয়েছে। কিন্তু সুরতাল কেটে গেলো হাওড়ায়।
শিবপুরে এই রামনবমীকে কেন্দ্র করে একদল যে হৈ-চৈ ও হামলা চালালো বলে খবর তা মোটেই স্বাস্থ্যকর ছিল না। বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী, মিছিল, দুষ্কৃতী বাহিনী এবং স্থানীয় পুলিসের উপর প্রবল ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন। এখানেই শেষ নয় বিষয়টি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ অবধি পৌঁছয়। শাহ রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলেন।সম্পূর্ণ বিষয়টি দেখে বোস প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ। তিনি জরুরিভিত্তিতে পতাকা না দেখে কড়া ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। তিনি বলেছেন, যে কেউ যদি ভাবেন মানুষকে বোকা বানাতে হিংসার আশ্রয় নেবেন, তবে তাঁরা মূর্খের স্বর্গে বাস করছেন। ইঙ্গিতটি কোনদিকে তা তাঁর বক্তব্যেই স্পষ্ট। কাজেই কোনও বেচাল যে বোস বরদাস্ত করবেন না তা বলাই বাহুল্য।
জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে হাওড়া থেকে দুই যুবককে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিসের এসটিএফ। ধৃতদের একজন মহম্মদ সাদ্দাম টিকিয়াপাড়ার আফতাবুদ্দিন মুন্সি লেনের বাসিন্দা। অন্যজন সৈয়দ আহমেদ শিবপুর গোলাম হোসেন লেনের বাসিন্দা। ধৃতদের একজন এম টেক-এর পড়ুয়া। দু জায়গা থেকে ল্যাপটপ মোবাইল ও বেশকিছু কাগজপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
ধৃতদের নাম মহম্মদ সাদ্দাম ও সৈয়দ আহমেদ। ১৯ তারিখ পর্যন্ত দুজনকেই পুলিস হেফাতে পাঠানো হয়েছে। ধৃতদের জেরা করে জঙ্গি কার্যকলাপ বিষয়ে আরও তথ্য জানতে চায় এসটিএফ। পাশাপাশি দুটো মোবাইল, ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত হয়েছে ধৃতদের থেকে। এঁরা জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ। প্রাথমিক তদন্তে ধৃতদের মোবাইল-ল্যাপটপে জিহাদি কনটেন্ট পাওয়া গিয়েছে, এমনটাই এসটিএফ সূত্রে খবর। যদিও এক ধৃতের পরিবার জানায়, 'ভাইয়ের উপর থাকা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং সাজানো। ও এই মুহূর্তে চাকরির জন্য মরিয়া ছিল। বি টেক পাস করে এম টেক পড়ছে ভাই। ও কোথায় আছে, কী করছে সব আমাকে বলতো।'
হাওড়ায় (Howrah) শিবপুর এবং মন্দিরতলা (Shibpur) থেকে টাকা (Money) উদ্ধারের ঘটনায় অনুসন্ধানে ইডি। এরপরই শুক্রবার টাকা উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেফতার (arrest) করা হয় ৪ জনকে। ধৃতরা হল- শৈলেশ পাণ্ডে, অরবিন্দ পাণ্ডে, রোহিত পাণ্ডে ও তাদের সহকারী। মোট ৪ জনকে দুটি ভিন রাজ্য থেকে গ্রেফতার করা হয়। ইডি (ED) সূত্রে খবর, ধৃতদের ওড়িশার রৌরকেল্লা ও গুজরাট থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ট্রানজিট রিমান্ডে আনা হচ্ছে ধৃতদের। আজই আদালতে পেশ করা হবে বলেও ইডি সূত্রে খবর।
পুলিস সূত্রে খবর, ৩ পাণ্ডে ভাই রৌরকেল্লায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন করেছিলেন। এদের সহকারী প্রসেনজিৎ-কেও গ্রেফতার করা হয়েছে গুজরাটের একটি হোটেল থেকে। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই হাওড়ার শিবপুর এলাকায় একটি আবাসন থেকে নগদ ৮ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়। শুধু টাকাই নয় উদ্ধার হয় সোনা ও হিরের গয়নাও। ঘটনার পর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন ধৃতরা।
হাওড়ায় শিবপুর এবং মন্দিরতলা (Shibpur) থেকে টাকা উদ্ধারের ঘটনায় তদন্ত অনুসন্ধান ইডির (ED)। ইডি সূত্রে খবর, হেয়ার স্ট্রিট থানায় যে এফআইআর (FIR) হয়েছিল সেই এফআইআর কপি ইতিমধ্যেই সংগ্রহ করেছে তারা। বিদেশ থেকে টাকা আসার একটি বিষয় উঠে আসছে, সেখানে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা মনে করছে বড় কিছু তথ্য থাকতে পারে। প্রয়োজনে ইডি আধিকারিকরা লালবাজারের আধিকারিকদের সঙ্গে কথাও বলবেন।
পরবর্তীতে ইসিআইআর করে তদন্তে নামতে পারে ইডি। ইতিমধ্যেই শুধু অনুসন্ধানের কাজ শুরু করেছে। সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করা শুরু হয়েছে। এই বিপুল পরিমান টাকার উৎস কী? সমস্ত কিছু জানার জন্য কলকাতা পুলিসের সঙ্গে কথা বলবে ইডি বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, হাওড়ার শিবপুরে ফের সেই পাণ্ডে ভাইদের বাড়িতেই উদ্ধার হয় বিপুল নগদ। শনিবার এবং রবিবার মোট দু'দিন মিলিয়ে ৮ কোটি টাকারও বেশি টাকা উদ্ধার হয়েছে তাঁদের শিবপুর এবং মন্দিরতলার দুই ফ্ল্যাট থেকে। রবিবার রাতে শিবপুরের ৩৫ নম্বর অপ্রকাশ মুখার্জি লেনের বৈভব অ্যাপার্টমেন্টের একটি ফ্ল্যাটে হানা দিয়েছিল অ্যান্টি ব্যাঙ্ক পুলিস।
এরপরই ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৬ কোটি টাকা। এই নগদ রাখা ছিল ৫০০ এবং ২০০০ টাকার বান্ডিলে। টাকা উদ্ধারের পর ফ্ল্যাটটি সিল করেছে পুলিস। মন্দিরতলায় আবার পাণ্ডে ভাইদের গ্যারাজে রাখা গাড়ি থেকে উদ্ধার দু'কোটি টাকা।
হাওড়ার (Howrah Money) মন্দিরতলার পর এবার শিবপুর। ফের সেই পাণ্ডে ভাইদের বাড়িতেই বিপুল নগদ উদ্ধার। শনি এবং রবিবার মিলিয়ে ৮ কোটি টাকার বেশি উদ্ধার পাণ্ডে ভাইদের দুই ফ্ল্যাট থেকে। রবিবার রাতে শিবপুরের (Shibpur) ৩৫ নম্বর অপ্রকাশ মুখার্জি লেনের বৈভব অ্যাপার্টমেন্টের এক ফ্ল্যাটে হানা দেয় অ্যান্টি ব্যাঙ্ক ফ্রড টিম, হেয়ারস্ট্রিট থানা (Kolkata Police) ও শিবপুর থানার পুলিস। যৌথ অভিযান চালিয়ে শৈলেশ পান্ডের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৬ কোটি টাকা। এই নগদ রাখা ছিল ৫০০ এবং ২০০০ টাকার বান্ডিলে। টাকা উদ্ধারের পর ফ্ল্যাটটি সিল করে দিয়েছে পুলিস।
উল্লেখ্য, শনিবার হাওড়ার কাউসঘাট রোডে একটি অভিজাত আবাসনে শৈলেশ পাণ্ডের ফ্ল্যাটেই হানা দিয়েছিলেন গোয়েন্দারা। সেই আবাসনের গ্যারেজে থাকা একটি গাড়ি থেকে (WBC 7751) প্রায় ২ কোটি ২০ লক্ষ টাকা-সহ সোনা, হিরের গহনা উদ্ধার করে পুলিস। পরে রবিবার বিকেলে ওই ফ্ল্যাটে পুনরায় হানা দেয় গোয়েন্দা আধিকারিকরা। তালা ভেঙে ফ্ল্যাটে ঢুকে সেখান থেকে টাকা উদ্ধার না হলেও বেশ কিছু নথিপত্র উদ্ধার করে সিল করে দিয়ে যান গোয়েন্দারা।
এরপরেই খবর পাওয়া গিয়েছে, রবিবার রাতেই শিবপুরে অপ্রকাশ মুখার্জি লেনে শৈলেশের আরও একটি ফ্ল্যাটে হানা দিয়েছে আধিকারিকরা। এদিকে টাকা উদ্ধারের আগে থেকেই 'পলাতক' দুই ভাই। তাঁদের খোঁজে লুকআউট নোটিস জারি করেছে পুলিস। এই বিপুল নগদ নিয়ে পালানোর ছকে ছিলেন শৈলেশ এবং অরবিন্দ পাণ্ডে।
এদিকে এই বিপুল টাকা উদ্ধারের খবরে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন স্থানীয়রা। ক্ষিপ্ত জনতাকে সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় পুলিসকে। নগদ টাকা উদ্ধারের পর পুলিস ক্ষিপ্ত জনতাকে কোনওরকমে সামলে সেখান থেকে উদ্ধার হওয়া টাকার ব্যাগ ও সুটকেস গাড়িতে তুলে এলাকা ছাড়েন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ২০১৩ সালের শেষের দিকে প্রায় ৯০০ স্কোয়ার ফিটের শিবপুরের এই ফ্ল্যাট কেনেন পাণ্ডে ভাই। বড়ভাই শৈলেশ, ছোটভাই রোহিত ওরফে অরবিন্দ ও তাঁদের মা থাকতেন সেখানে। ২০১৬-র মাঝামাঝি তারা ফ্ল্যাট ছেড়ে চলে যায় কাউসঘাট রোডের আবাসনের প্রায় দেড় কোটি টাকা মূল্যের টাওয়ার ৩-র ২-ডি ফ্ল্যাটে।
অপ্রকাশ মুখার্জি লেনের বৈভব আবাসনের ৩সি ফ্ল্যাটে তারপর থেকে স্থায়ীভাবে পাণ্ডে পরিবারের কেউ থাকতেন না। মাঝেমধ্যে শৈলেশকে দেখা গেলেও একটু বেশি যাতায়াত ছিল ছোট ভাই অরবিন্দের। স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায়, এবছরই দুর্গাপুজোর সময় একদিন রাতে মা'কে সঙ্গে নিয়ে রোহিত একটি গাড়িতে চেপে আসে এই ফ্ল্যাটে। অল্পসময়ের মধ্যে গাড়ি থেকে বেশ কয়েকটি ব্যাগ ও সুটকেস নিয়ে ফ্ল্যাটে ঢোকেন। তার কিছুক্ষণ পরেই তাঁরা সেই ফ্ল্যাট থেকে আবার বেড়িয়ে যান। যে গাড়িটি কাউসঘাট রোডের আবাসনের গ্যারেজে রাখা ছিল এবং সেই গাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার হয়েছে টাকা এবং গয়না।