শাহজাহানের সাম্রাজ্যের পরতে পরতে শুধুই দুর্নীতির অভিযোগ। শাহজাহান ও তার অনুগামীদের বিরুদ্ধে জমছে অভিযোগের পাহাড়। ইতিমধ্যেই BLRO মাঠ দখলের অভিযোগ উঠে এসেছে শাহজাহান ও তার সাগরেদদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ মূলত মাঠটি দখল করেছিল শাহজাহান ঘনিষ্ঠ শিবু হাজরা এবং উত্তম সর্দার। তদন্তের গতি বাড়াতেই এবার ইডির হাতে এসেছে শাহজাহানের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক তথ্য। তদন্ত বলছে সন্দেশখালিতে সরকারি টাকায় তৈরি হয়েছিল বাজার। কিন্তু সেই বাজারের চুক্তিপত্রে মালিক শেখ শাহজাহান। ২০১৯ সালে এই বাজারের উপর নিজের মালিকানা চাপায় শাহজাহান। বাজারের সমস্ত মাছ ব্যবসায়ীদের উপরও জোরজুলুম চালাত শাহজাহান বাহিনী। শাহজাহানের নিজস্ব ফিসারি কোম্পানি সাবিনা ফিশারিতে ব্যবসায়ীদের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ মাছ বিক্রয়ের জন্য জোর করত শাহজাহান বাহিনী।
এখানেই শেষ নয় শাহজাহানের দুর্নীতি। মাছ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে হুমকি দিয়ে আদায় করা হত তাদের রোজের ব্যবসার একাংশ। ব্যবসায়ীদের বলা হত এই টাকা সরকারকে দিতে হবে। কিন্তু টাকা কোনওদিনই জমা পড়ত না পঞ্চায়েতে। গরীব ব্যবসায়ীদের সেই টাকা সোজা পৌঁছে যেত শাহজাহান অনুগামীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে।
লোকসভা ভোটের আবহে শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্তে নেমে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দের হাতে এবার কোন তথ্য এসে পৌঁছয় সেটাই দেখার।
সন্দেশখালির একদা ত্রাস শেখ শাহজাহানের স্ত্রী তসলিমা বিবিকে ফের জেরা ইডির। প্রসঙ্গত, এর আগেও একাধিকবার কেন্দ্রীয় জেরার মুখে পড়েছিলেন শাহজাহানের স্ত্রী। এবার বুধবারের দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের হাতে উঠে এসেছে একাধিক বিস্ফোরক তথ্য।
শাহজাহান ও তাঁর স্ত্রী তসলিমা বিবির রেজিস্ট্রি সংক্রান্ত নথির সূত্র ধরেই, তসলিমার নামে একাধিক জমি, হোটেল এবং গেস্ট হাউসের সন্ধান পেয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। ইডি সূত্রে খবর, ২০১৫ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বিনিয়োগ করা হয়েছিল এই সমস্ত ক্ষেত্রে। কেন্দ্রীয় তদন্তে উঠে এসেছে প্রতিটি ক্ষেত্রে বিনিয়োগের পরিমাণ কোটি টাকা। এখানেই শেষ নয়, শেখ শাহজাহানের অনুগামীদের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী তসলিমা বিবির যৌথ অংশীদারী রয়েছে। যদিও তসলিমা বিবিকে এই বিপুল সম্পত্তি কেনার জন্য, টাকার উৎসের কথা জানতে চাইলে জানান, কিছুই জানেন না তিনি। শেখ শাহজাহান তাঁকে বিভিন্ন নথিতে সই করতে বলতেন। সেই মতো তিনিও সই করতেন। এমনকি তাঁর ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বিপুল অর্থ কোথা থেকে এলো সে বিষয়েও কিছুই জানেন না শাহজাহানের স্ত্রী তসলিমা বিবি। এই সমস্ত বিষয়ে একমাত্র জানেন শেখ শাহজাহান, ইডির জেরার মুখে এমনটাই জানালেন তসলিমা বিবি।
ঘুরপথে কালো টাকা সাদা করতেই, শেখ শাহজাহানের দুর্নীতির জাল বিছানো তাঁর পরিবারের মধ্যেও। নিজের দুর্নীতির স্বার্থে শাহজাহান ব্যবহার করেছেন নিজের পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট। এমনিতেই সন্দেশখালির একদা ত্রাসের নামে রয়েছে বিভিন্ন অভিযোগ। সে অভিযোগ এতটাই গুরুতর যে বারংবার শাহজাহানের ফাঁসির দাবিতে সরব হয়েছে সন্দেশখালি। তার ফাঁসির দাবিতে গর্জে উঠেছেন রাজ্যের আইনজীবীদের একাংশও। বিপদে পড়েছেন বুঝে একাধিকবার ইডির কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন শাহজাহান। কিন্তু তার দুর্নীতির শেষ কোথায়? দুর্নীতির তল খুঁজে পেতেই আপাতত মরিয়া কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এখন দেখার যে শাহজাহানের এই দুর্নীতির জাল আর কতদূর বিস্তৃত। শুধুই কি শাহজাহান, নাকি নেপথ্যে রয়েছেন কোনও প্রভাবশালী? সেই সব উত্তরের খোঁজেই চর্চা তুঙ্গে।
জমি দখল, ভেড়ি দখল, মাছের আমদানি-রফতানি সংক্রান্ত মামলা। সন্দেশখালির বাদশাহ শেখ শাহজাহানের ভাই আলমগীর এবং তাঁর দুই শাগরেদ দিদার বাক্স মোল্লা ও শিবপ্রসাদ হাজরাকে এই মামলায় অভিযোগের ভিত্তিতে কলকাতা নগর দায়রা আদালতে পেশ করল ইডি। সূত্রের খবর, ধৃতদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন করেছেন ইডি আধিকারিকরা।
সূত্রের খবর, বুধবার জমি দখল, ভেড়ি দখল এবং মাছের আমদানি-রফতানি সংক্রান্ত মামলায় তিন অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট-এর আবেদন করেছিল ইডি। প্রসঙ্গত, সন্দেশখালি এবং ন্যাজাট থানায় ২০১৮ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত মহিলা নির্যাতন, জমি দখল এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের উপর জুলুমবাজির যে সমস্ত অভিযোগ দায়ের হয়েছে, তার মধ্যে শেখ শাহজাহান ছাড়া নাম ছিল শিবু হাজরা এবং বেশ কয়েকজনের। ইডি শাহজাহানের বেআইনি কাজকর্মের তদন্তে নেমে এবার সেই দিকেই নজর দিয়েছে। যে ব্যাপারে এ বার তাঁর সহযোগীদেরও হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে ইডি। সেই চেষ্টারই প্রাথমিক পর্বে এই তিন জনকে আদালতে হাজির করালেন ইডির গোয়েন্দারা।
উল্লেখ্য, ইডির উপর হামলার ঘটনায় ইডি আধিকারিকদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী শেখ শাহজাহান। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে জিজ্ঞাসাবাদের সময় বলেছেন, হামলার ঘটনা প্রসঙ্গে কোনও কিছুই জানতেন না। শেখ শাহজাহানের বাড়িতে যেদিনকে ইডি আধিকারিকরা তল্লাশি করতে গিয়েছিলেন সেদিন কোনওভাবেই মারধর করার নিদান তিনি দেননি।
ইডি সূত্রে আরও খবর, শেখ শাহজাহান ঘনিষ্ট বেশ কয়েকজন মাছ ব্যবসায়ী এলেন ইডি দফতরে। তাঁদেরকে তলব করা হয়েছিল। বেশ কিছু নথি নিয়ে তাঁরা ইডি দফতরে আসেন। মাছ ব্যবসার লেনদেন সংক্রান্ত নথি নিয়ে আসতে বলা হয় এবং সেই সব বিষয় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে ইডি সূত্রে খবর।
সিবিআই তদন্ত হলে ভালই হবে। ইডি দফতর থেকে জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথাই বললেন সন্দেশখালির বাঘ শেখ শাহজাহান। বুধবার কলকাতা হাইকোর্ট সন্দেশখালির ঘটনার তদন্তের ভার সিবিআইয়ের হাতে দিয়েছে। হঠাৎ করে শেখ শাহজাহানের এই সুর বদলে নতুন জল্পনা তৈরি হয়েছে।
যদিও শাহজাহান এই মুহূর্তে ইডি হেফাজতে রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁকে মেডিকেল চেকআপের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় জোকা ইএসআই হাসপাতালে। ইডি দফতর থেকে বেরোনোর সময় শেখ শাহজাহানকে প্রশ্ন করা হয় যে এবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়, উত্তরে শাহজাহান বলে সিবিআই তদন্ত হলে খুব ভালো হবে। প্রশ্ন করা হয় ইডি ও তদন্ত করছে উত্তরে বলেন সবটাই ভালো হবে।
হঠাৎ করে শেখ শাহজাহানের এই সুর বদলে রাজনৈতিক জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। বিজেপি কটাক্ষ করে বলেছে, শেখ শাহজাহান বুঝে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেস তাঁকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। সেকারণেই এখন সিবিআইয়ের হয়ে কথা বলছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গতকালই সন্দেশখালির ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব সিবিআইয়ের হাতে দিয়েছে। এবং সন্দেশখালির বাসিন্দারা সরাসরি সিবিআইকে অভিযোগ জানাতে পারবেন। সেই সঙ্গে সন্দেশখালিকতে স্পর্শ কাতর এলাকায় সিসিটিভি এবং বড় আলো বসানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রেশন বণ্টন দুর্নীতির পরতে পরতে রহস্য। এই দুর্নীতির তদন্তে নেমে বেশকিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে এসেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। জমি দখল, রেশন দুর্নীতি সহ একাধিক মামলায় ইতিমধ্যে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছে শেখ শাহজাহান। একাধিক তথ্য প্রমাণ সামনে রেখে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছেন ইডি আধিকারিকেরা। শুধুমাত্র শেখ শাহাজাহান নয় সন্দেশখালি জুড়ে বাহুবলে জমি দখলে যুক্ত ছিলেন শাহজাহানের ভাই শেখ আলমগীর সহ শিবু হাজরা ও দিদার বক্স। তদন্তের আরও গভীরে পৌঁছতে তাই আগামী দিনে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে তাঁদের বলে মনে করছেন আধিকারিকরা। তাই এই তিন অভিযুক্তকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালাতে চাইছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
গত সোমবার শাহজাহানের স্ত্রীকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডি আধিকারিকরা। আর এবার মাছ সংক্রান্ত মামলায় শেখ শাহজাহানের স্ত্রীকে তলব ইডির। চলতি সপ্তাহেই তাকে ইডির দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে বলে খবর।
কথায় আছে কান টানলে মাথা আসে। ইডির ওপর হামলা। শাহজাহানের বেপাত্তা। সঙ্গ দিয়েছিল পরিবার। শাসক দলের আশীর্বাদের হাত তাঁর মাথার উপর থাকায় তখনও অবধি বেঁচে যাওয়ার আশা ছিল শাহজাহানের মনে, ওয়াকিবহাল মহল বলতে শুরু করেছিল এমনটাই। তবে, দ্বিতীয়বার তাঁর আকুঞ্জিপাড়ার বাড়িতে গিয়ে তল্লাশি চালাতেই উদ্ধার প্রয়োজনীয় একাধিক নথি-পত্র উদ্ধার করে শাহজাহানের প্রাসাদ প্রমাণ বাড়ি সিল করে দিয়ে আসেন ইডির আধিকারিকরা, এবার সেই বাড়ি ফিরে পেতে মরিয়া শাহজাহান।
আইনজীবী মারফত শাহজাহান এবং তাঁর পরিবার দ্বারস্থ আদালতের। তাঁদের দাবি, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফ থেকে আকুঞ্জিপাড়ার বাড়ি সিল করা হয়েছে মাত্র, বাজেয়াপ্ত করা হয়নি। তাই আদালতের কাছে তাঁদের আবেদন বাড়িটি ফিরিয়ে দেওয়া হোক।
যদিও আদালত এবিষয়ে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, বাড়ি ফিরে পেতে গেলে ইডির অনুমতি নিতে হবে এবং প্রয়োজনীয় সমস্ত নথি ইডি আধিকারিকদের দেখাতে হবে। যদি ইডি সম্মতি দেয়, তবেই বাড়ি ফিরে পাবে শাহজাহানের পরিবার।
একদিকে হেফাজতে নিয়ে একাধিক তদন্তের প্রশ্নজাল, অপরদিকে বাড়ি ফিরে পেতেও আদালতের নির্দেশে মুখাপেক্ষী হতে হচ্ছে এই ইডির, যাকে হালকা ছলে নিয়ে তদন্তকারী আধিকারিকদের ওপর হামলা চালিয়েছিলেন শাহজাহান। কর্মের ফল এভাবেই ভোগ করতে হবে শাহজাহানকে- হেনস্থা দোসর হয়ে জুড়ে থাকবেই তাঁর ক্ষোভ উগড়াচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
ফের শেখ শাহজাহানের স্ত্রীকে তলব করল ইডি। গতকাল অর্থাৎ সোমবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দফায় দফায় চলেছে তলব। আগামী বুধবার আবার সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শাহজাহানের স্ত্রীকে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরার পাঠিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সূত্রের খবর, সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়ে চলছে এই জিজ্ঞাসাবাদ।
গতকাল, সোমবার সকাল ১০ নাগাদ শেখ শাহজাহানের স্ত্রী তসলিমা বিবি তাঁর আইনজীবিকে নিয়ে ইডি দফতরে হাজির হন। প্রায় ১১ ঘন্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর রাত ন'টা নাগাদ ইডির অফিস থেকে বেরিয়ে যান তিনি। তারপর একদিন যেতে না যেতেই আবারও তলব করা হয়েছে শাহজাহান স্ত্রী তসলিমা বিবিকে। ইডি সূত্রে খবর, শাহজাহানের ব্যবসার গোপন তথ্য জানতেই স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন ইডি অফিসাররা।
গত ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতি মামলায় তল্লাশি করতে গিয়ে সন্দেশখালিতে আক্রান্ত হয় ইডি। সেই হামলা ঘটনার পর থেকে ৫৫ দিন বেপাত্তা ছিলেন তৃণমূল নেতা শেখ শাহাজাহান। তারপর গত ২৯ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার হয় তাঁকে গেফতার করা হয়। আদালতে হাজিরার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল শাহজাহানকে। তখন আদালতকে শাহজাহান জানিয়েছিলেন, স্ত্রীর অসুস্থতার জন্যই তিনি হাজিরা দিতে পারছেন না। সোমবার ইডির অফিসেই প্রথম প্রকাশ্যে এলেন শাহজাহানের স্ত্রী তসলিমা বিবি।
'রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র' করা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে, কয়েকদিন আগে এমনই দাবি করেছিলেন শেখ শাহজাহান। এবার বিজেপি মিথ্যে কথা বলছে সরব হন তিনি। আজ, শুক্রবার জোকা ইএসআই হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে আসা হয়েছিল সন্দেশখালির বাঘকে। সেখান থেকে বেরোনোর সময় তিনি এই মন্তব্য করেন।
শেখ শাহজাহান এদিন দাবি করেছেন, বিজেপির দালালরা তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যে কথা বলছে। তাঁর বিরুদ্ধে মাদক পাচারকের অভিযোগ ছিল। যেটা একেবারেই মিথ্যে বলে দাবি করেছেন তিনি। কোনও রকম মাদক কারবারের সঙ্গে তিনি যুক্ত নন। তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যে প্রচার চালানো হচ্ছে বলে দাবি করেছেন শেখ শাহজাহান।
এদিকে জোকা ইএসআই হাসপাতালে শেখ শাহজাহানকে দেখে তীব্র বিক্ষোভ শুরু হয়। হাসপাতালের বাইরে বিক্ষোভকারীরা তাঁকে দেখে 'চোর চোর' স্লোগান দিতে শুরু করেন। তাঁরা স্লোগান দিতে থাকেন শেখ শাহজাহানকে নিরাপত্তা না দিয়ে বুথে নিরাপত্তা দেওয়া। একজন চোরকে নিরাপত্তা দিয়ে কি হবে। তার চেয়ে বুথে বুথে নিরাপত্তা দেওয়ার দাবি জানান তাঁরা। বৃহস্পতিবার কোচবিহারের সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন সন্দেশখালিতে অপরাধীরা জেল থেকে ছাড়া পাবে না। সন্দেশখালির অপরাধীদের সারাজীবন জেলেই থাকতে হবে। গতকাল কলকাতা হাইকোর্টও সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে রাজ্য সরকারকে তীব্র ভর্ৎসনা করেছে। কলকাতা হাইকোর্ট বলেছে যদি সন্দেশখালিতে নারী নির্যাতনের একটি ঘটনাও ঘটে থাকে তাহলে শাসক দল সেটার দায় এড়াতে পারেন না।
ইডির উপরে হামলার পর ৫৫ দিন পলাতক ছিলেন তিনি। ৫৬ দিনের দিন তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তারপরে সিআইডি হেফাজতে ছিলেন শাহজাহান শেখ। সেখান থেকে সিবিআই তাঁকে হেফাজতে নেয়। কিন্তু একটা কথাও তাঁরা বলাতে পারেনি। তারপরে ইডি হেফাজতে মুখ খুলেছিলেন শাহজাহান শেখ। সেখানেই তিনি দাবি করেছেন, সন্দেশখালিতে মানুষের উপকারেই কাজ করেছেন তিনি। কারোর এক টুকরো জমি তিনি দখল করেননি।
দিন যতই এগোচ্ছে, ততই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কড়া তদন্তে শাহজাহানের সম্পত্তির বহর একটু একটু করে ধসে পড়ছে। বৃহস্পতিবার জানা যায়, ইডির নজর এবার শেখ শাহজাহানের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ওপর। কালো টাকা সাদা করার ক্ষেত্রে শেখ সাবিনার ফিশারির নাম উঠে এসেছে, যার মালিকও শাহজাহানই। শেখ সাবিনা নামাঙ্কিত শাহজাহানের সেই ফিশারির অ্যাকাউন্ট এবং শাহজাহানের নিজস্ব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবার ফ্রিজ করল ইডি। ইডি সূত্রে খবর, ওই দুই অ্যাকাউন্ট মিলিয়ে প্রায় ১০ বছরে ১৩৭ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে।
শুধু তাই না, জানা যাচ্ছে, ইডির নজরে এখনও ১৬-১৭ টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। কারণ, বেতাজ বাদশা এতদিন শুধু নিজের বা নিজের কোম্পানির অ্যাকাউন্ট নয়, নিয়ন্ত্রণ করতেন তাঁর অনুগামীদের অ্যাকাউন্টও। সেখান থেকেও শেখ শাহজাহানের কোম্পানিতে টাকা লেনদেন হত বলে জানতে পেরেছে ইডি। সেই ক্ষেত্রে, সেসব অ্যাকাউন্ট-র লেনদেন সম্পর্কিত তথ্য খতিয়ে দেখার প্রয়োজন আছে বলেই মনে করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। বিভিন্ন ব্যাঙ্কে চিঠিও পৌঁছেছে ইডির তরফে। বেআইনিভাবে সাধারণের জমি কেড়ে, মুখের অন্ন কেড়ে যেভাবে তিলে তিলে কালো টাকায় শাহজাহান রাজত্ব তৈরি করেছিলেন, এভাবে তার অবসান হওয়ারই ছিল, মত ওয়াকিবহাল মহলের।
ইডি হেফাজতে পাওয়ার পরে, একদিকে ইডির ওপর হামলার মামলায় সিবিআই, অপরদিকে জমি দখল মামলায় ইডির সাঁড়াশি চাপ পড়েছে শাহজাহানের ওপর। ইতিমধ্যেই ইডি আধিকারিকরা মনে করছেন ৫০০ কোটি টাকার দুর্নীতি ছাপিয়ে গিয়েছে শাহজাহানের। বুধবার সকালবেলা স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য শাহজাহানকে আনা হয় জোকা ইএসআই হাসপাতালে। সেখানেই সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি জানান, সবটাই নাকি রাজনৈতিক চক্রান্ত।
আগামী ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত শাহজাহানের ঠিকানা সিজিও কমপ্লেক্স। সেখানেই জমি দখল মামলার তদন্তে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন ইডির আধিকারিকরা। ইডি সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই এই মামলায় প্রায় ৩১ কোটি ২০ লক্ষ দুর্নীতির টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। শুধু জমি দখল মামলাতেই এখনও অবধি প্রায় ১৩৭ কোটি টাকার আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ মিলেছে ইডির কাছে। ইডি আধিকারিকরা মনে করছেন, কম করে ৫০০ কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতি করেছে শেখ শাহজাহান।
ইডির কাছে শাহজাহানকে নিয়ে, শাহজাহানের জমি দখল মামলা নিয়ে যখন এমন তথ্য প্রমাণ আসছে, তখন সবটাকে রাজনৈতিক চক্রান্ত বলে দাগিয়ে দেওয়ার চাল যে নিজেকে বাঁচানোর জন্যই, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কিন্তু তা বললে আর শুনছেই বা কে!
সন্দেশখালির বেতাজ বাদশাহ শাহাজাহানের সাম্রাজ্যের পরতে পরতে লুকিয়ে রহস্য। ইডির তদন্তে ক্রমশ খুলছে সেই দুর্নীতি রহস্যের জট। তদন্তে উঠে এসেছে মেসার্স শেখ সাবিনা ফিশারির মালিক ধৃত শাহজাহান। যে ফিশারির অ্যাকাউন্টে ২০১২ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে প্রায় ১৩৭ কোটি টাকা জমা পড়েছে। এই ১০ বছরে কোটি কোটি কালো টাকা সাদা করার কারবার বহাল তবিয়তে করেছে শাহজাহান। আর কালো টাকা সাদা হত ম্যাগনাম এক্সপোর্ট কোম্পানির মাধ্যমে। আপাতত ওই এক্সপোর্ট কোম্পানির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। অরূপ কুমার সোম ম্যাগনাম এক্সপোর্ট কোম্পানির মালিক। আর পার্থপ্রতিম সেনগুপ্ত ও অরুণ সেনগুপ্ত কোম্পানির পার্টনার। যাদের বয়ানের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দামহল।তদন্তের স্বার্থে তাদের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও ডিজিটাল ডিভাইস সিজও করেছে ইডি।
চাপে পড়তেই ফিশারির ম্যানেজার মইদুলের দাবি, এলাকায় শাহজাহানের দাদাগিরিতেই চলত ব্যবসা।স্থানীয় ব্যবসায়ীদের রীতিমতো শাসাতো শাহজাহান। তাদের কোম্পানিতে মাছ বিক্রি করতে হবে অন্যথায় ব্যবসায়ীদের মাছ ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিত সন্দেশখালির ত্রাস শাহজাহান। ইডি সূত্রে খবর ৫০% মাছই মাছ ব্যবসায়ীদের থেকে আসত। আর ৩০% থেকে ৪০% মাছ বেআইনি ভাবে গ্রামবাসীদের থেকে ছিনিয়ে নিত শাহজাহানের বাহিনী। গোটা কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য বিশেষ দলও গঠন করেছিল শাহজাহান।
শুধু তাই নয়, তদন্ত যতই এগোচ্ছে ততই উঠে আসছে শাহজাহানের এই কীর্তিকলাপের সঙ্গে জড়িয়ে একাধিক ব্যক্তির নামও। শাহজাহান ঘনিষ্ঠ একাধিক ব্যক্তির মাধ্যমে ফিশারির টাকা লেনদেন হত বলে দাবি ইডির। আদালতে ইডির গোয়েন্দাদের জমা দেওয়া তথ্য বলছে, শাহজাহান ঘনিষ্ঠ ১০ জনের মাধ্যমে ফিশারি কোম্পানিতে টাকা লেনদেন হত। টাকা লেনদেনে কাজে লাগানো হত হাজরা এন্টারপ্রাইস, বসুন্ধরা ট্রেড, রিন্টু এন্টারপ্রাইজসহ একাধিক কোম্পানিকেও।এমনকি শাহজাহানঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করতেন শাহাজাহান নিজেই। ফিশারির টাকা তার অঙ্গুলিহেলনেই ব্যবহৃত বিভিন্ন খাতে।তার নির্দেশেই সেই টাকায় কেনা হত জমি, সম্পত্তি।
একাধিক অসাধু কারবারের আখড়া শাহজাহানের সাম্রাজ্য তা বলাই বাহুল্য। ইডির তৎপরতায় এখন সেই তথ্যই ক্রমশ আসছে প্রকাশ্যে। ইডির হেফাজতে এদিকে চলছে শাহজাহানের জিজ্ঞাসাবাদপর্বও। আগামীদিনে শাহজাহানের বয়ানে আদৌ নতুন কোনও তথ্য উঠে আসবে নাকি সুকৌশলে প্রশ্ন এড়িয়ে জারিজুরি লোকাবে সে? লোকসভা নির্বাচনের গুরুগম্ভীর আবহে ঘুরপাক খাচ্ছে এই প্রশ্নটাই।
বসিরহাট মহকুমা আদালতের নির্দেশে শেষ কয়েকদিন জেল হেফাজতে ছিলেন শাহজাহান। যদিও শনিবার শাহজাহানকে শোন এরেস্ট করে ইডি। সেই সংক্রান্ত মামলা ইডি বিশেষ আদালতে হয় সোমবারে। শুনানির শেষে জেল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়ে সোমবার বিকেল ৪টেয় শাহজাহানকে আদালতে হাজির করানোর নির্দেশ দেন বিচারক শুভেন্দু সাহা।
বিচারক শুভেন্দু সাহার এজলাসে ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী জানান, গত ৩০ মার্চ বসিরহাটে শাহজাহানকে শোন এরেস্ট করছিল ইডি। সেদিন জেরা করার সময় বারবার তদন্তকারীদের তিনি বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন বলেও বিচারকের কাছে জানান ইডির আইনজীবী। জানান, তদন্তে এখন আরও কিছু নাম উঠে এসেছে। এখন শাহজাহানকে হেফাজতে নিয়ে জেরা না করা হলে, সন্দেহভাজনরা নাগালের বাইরে চলে যেতে পারেন বা পালিয়ে যেতে পারেন। তাই আর দেরি নয়, সোমবারেই শাহজাহানকে হেফাজতে চায় ইডি। যদিও, সোমবার তড়িঘড়ি কীভাবে তা সম্ভব জানতে চেয়ে বিচারক প্রশ্ন করলে, ইডির আইনজীবী জানান, রাস্তা মাত্র ২ ঘণ্টার। এরপরেই বন্দি শাহজাহানকে বসিরহাট থেকে আদালতে হাজির করানোর জন্য রওনা দেন ইডির আধিকারিকরা।
ইডি সূত্রে খবর ছিলই, জমি দখল, ভেরি দখল এবং মাছের আমদানি-রপ্তানিতে শাহজাহানের বিরুদ্ধে ইসিআইআর করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এখন নিজেদের হেফাজতে নিয়ে বেতাজ বাদশার 'অত্যাচার রহস্য' কতটা উদ্ঘাটিত হয়, সেটাই দেখার।
ইডির আবেদনে সাড়া দিয়ে বসিরহাট জেলে শেখ শাহজাহানকে সরাসরি জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিল বসিরহাট মহকুমা আদালত। শনিবার সকাল ১০টা নাগাদ বসিরহাট মহকুমা আদালতে পৌঁছন ৫ সদস্যের ইডির একটি প্রতিনিধি দল। সঙ্গে ছিলেন ইডি ও সিবিআই-এর একজন করে আইনজীবি। ইডি-র উপর হামলার ঘটনায় ধৃত শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু জমির হদিশ মেলে। যার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ৩১ কোটি টাকা। এই ৩১ কোটি টাকার মধ্যে ১২ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ইডির তরফে। এ বিষয়ে বসিরহাট জেলে জিজ্ঞাসাবাদ করার সম্ভাবনা সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা শেখ শাহজাহানকে, খবর ইডি সূত্রে। শনিবার আদালতের নির্দেশ মিলতেই বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি, ল্যাপটপ এবং প্রিন্টার সহ জেলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রবেশ করেন ইডির ৩ আধিকারিক।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার ন্যাজাট থানার ৮ নম্বর মামলায় শেখ শাহজাহান, মেহেবুব মোল্লা এবং সুকমল সর্দারকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। অপরদিকে, ন্যাজাট থানার ৯ নম্বর মামলায় আইজুল শেখ, এনামুল শেখ, হাজিনুর শেখ, সঞ্জয় মণ্ডল, আলি হোসেন ঘরামি, ফারুক আকুঞ্জি এবং সিরাজুল মোল্লাকে ২ এপ্রিল অর্থাৎ ৫ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল বসিরহাট মহকুমা আদালত।
বসিরহাট জেলে জিজ্ঞাসাবাদের পর ইডির পরবর্তী পদক্ষেপ কী হয় সেটাই এখন দেখার বিষয়।
রেশন বণ্টন দুর্নীতির তদন্তে তৎপর ইডি। গত বৃহস্পতিবার শাহজাহান ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের বাড়ি সহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। সেই তল্লাশি অভিযানে বেশকিছু নথি উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। সেই সঙ্গে সন্দেশখালির সরবেড়িয়া নতুন বাজারের একটি গ্যারেজ থেকে তিনটি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থারা আধিকারিকরা। অভিযোগ, ওই গাড়িগুলি শাহজাহান ঘনিষ্ঠ মোসলেম শেখের গ্যারেজে রাখা ছিল।
সূত্রের খবর, বাজেয়াপ্ত গাড়িগুলির মধ্যে একটি শেখ শাহজাহানের, একটি গাড়ি তাঁর ভাইযের এবং অপর গাড়িটি এক ব্যবসায়ীর। এরপরেই বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য মোসলেম শেখকে তলব করে ইডি। সেই তলবে সাড়া দিয়ে শুক্রবার সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেন মোসলেম শেখ। সেখানে তাঁকে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডি আধিকারিকরা। এরপর শনিবার তাঁকে ফের তলব করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই তলবে সাড়া দিয়ে শনিবার সকালে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেন মোসলেম শেখ। আগামী দিনে এই দুর্নীতির তদন্ত কোন দিকে মোড় নেয়, সেটাই এখন দেখার।
সন্দেশখালিতে রেশন বণ্টন দুর্নীতির তদন্তে গিয়ে শাহজাহান অনুগামীদের হাতে মার খেতে হয়েছিল ইডি আধিকারিকদের। গত ৫ জানুয়ারির ওই ঘটনার মূল চক্রী শেখ শাহজাহান ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন। বর্তমানে সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন তিনি। হামলার ওই ঘটনায় কারা কারা যুক্ত ছিল, তা জানতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
সম্প্রতি ঘটনায় জড়িত সন্দেহে শাহজাহান ঘনিষ্ঠ জিয়াউদ্দিন মোল্লাকে গ্রেফতার করে সিবিআই। এই আবহে শাহজাহানের ভাই শেখ আলমগীর সহ ১০ জনকে তলব কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। বৃহস্পতিবারই নিজাম প্যালেসে তাদের হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। সিবিআইয়ের তলবে সাড়া দিয়ে বৃহস্পতিবার নিজাম প্যালেসে হাজির হন শাহজাহান ঘনিষ্ঠ ২ ব্যক্তি।
সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিকদের ওপর হামলার ঘটনার রহস্যভেদে ততপর সিবিআই। আগামী দিনে তদন্তে কোনও চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে কিনা, সেটাই এখন দেখার।